নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ৪

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

সংসারের হালচাল বুঝবার জন্য সে বয়সটা খুব কাঁচা হলেও আমি খুব তাড়াতাড়িই সে বয়সেই বুঝে গেলাম অনেককিছুই। বুঝলাম এখানে টিকতে গেলে নিজের ভীত শক্ত করতে হবে। কিন্তু পায়ের তলায় মাটিই নেই যেখানে সেখানে কোন ভীতের কথা ভেবেছিলাম আমি, তা কেই বা জানে। আসলে ও বাড়ির ধন সম্পদ অর্থ প্রতিপত্তি কিংবা আলগা জৌলুশ সেসবের প্রতি তো আর কোনো মোহ ছিলো না আমার । সে বয়সে সেটা হবারও কথা নয়। শুধু বুঝেছিলাম এক প্রছন্ন অবহেলা বা উপেক্ষার চোখ সে ঐ বাড়ীর কর্তী অর্থাৎ নতুন বাবার মায়ের চোখসহ এক গাঁদা কাজের লোকজন সবারই। সবার কাছেই আমি যেন ছিলাম বেশ খানিকটা অবজ্ঞার মানুষ। সেই অবজ্ঞা বা অবহেলাটাই আমার বুকের মধ্যে কাঁটা হয়ে ফুটে থাকতো।

নিজের মুখে মুখ ফুটে কখনও কিছু চাইতাম না কারো কাছে। নিজের মত থাকতাম নিজের মাঝে। শুধু খুব কাছের বা খুব আপন মনে হত রমেশ চাচাকে। উনি আমাকে শিখিয়েছিলেন ফুল আর পাখিদের নাম। আজও নীল অপরাজিতা, প্রগাঢ় ঘ্রাণের গন্ধরাজের ঘ্রান কিংবা হাস্না হেনার স্নিগ্ধতা মানেই আমার ছেলেবেলার রমেশ চাচার তৈরী সেই স্বর্গীয় ঊদ্যান। বসন্ত বৌরী পাখি কিংবা সাদা শঙ্খচিল বা দুপুরবেলা পেয়ারা ডালে বসে "ঘু ঘু" এক মন খারাপ করা ডাকের ঘুঘু পাখি চেনাটাও উনারই কাছে। উনি ছাড়া ঐ যে মিষ্টি মত মেয়েটা এ বাড়ির ফুট ফরমাশ খাঁটা কাজের মানুষই সে। সেও আমাকে অনেকটাই বুঝতো। কোনো এক অদৃশ্য নির্দেশনায় সে আমার থেকে অদৃশ্য দূরত্ব বজিয়ে রাখতো বটে তবে অনেকদিন অনেক অনেক প্রয়োজনে আমি তাকে ছায়ার মত পেয়েছিলাম আমার পাশে। এক রাতে আমার খুব জ্বর আসলো। পিপাসায় বুক ফেঁটে যাচ্ছিলো আমার। ঘোরগ্রস্ত আমি আমার রুম থেকে বেরিয়ে মায়ের ঘরের দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। অতো জ্বরের ঘোরেও দরজায় ধাক্কা দিতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম আমি। ফিরে আসছিলাম যখন তখনই দেখলাম শিউলীকে। শিউলী অর্থাৎ ঐ কাজের মেয়েটি। সারারাত আমার শিওরে বসে রইলো সে। মাথায় জলপটি দিলো। পানি খাওয়ালো। ভোরের দিকে যখন আমার খুব খিধে পেয়েছিলো। আমি না বলতেও সে ভেঁজে এনেছিলো মাখন ছড়িয়ে তাওয়ায় সেকা দু স্লাইস ব্রেড আর এক মাগ চা। সেই অমৃত খাবারের স্বাদ আমি আর পৃথিবীর কোথাও কখনও পাইনি।

ইচ্ছে করলেই আমি ফিরে যেতে পারতাম আমার নিজের দাদুর বাড়িতে। নিজের দাবীতে সকলের চোখের মনি হয়ে সেখানে থাকাটা মোটেও অসম্ভব কিছু ছিলো না আমার জন্য। তবুও আমি যেতে চাইতাম না বা চাইনি তার একটা মাত্র কারনই ছিলো। সে আমার মা। মায়ের কাছাকাছি না থাকতে পারলেও একই বাড়িতে আছি। তাকে দেখতে পাচ্ছি সেই বা কম কি। আমার নিজের বাবা যতদিন ও বাড়িতে ছিলেন কোনো একটা দিনও আমার মনে পড়ে না বাবার সাথে মাকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখেছি। কিন্তু এ বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় মা বেরিয়ে যেতেন বাবার সাথে ক্লাবে কিংবা পার্টিতে। মা বেরিয়ে যাবার পরেও সারাবাড়িতে ছড়িয়ে থাকতো কড়া বিদেশী পারফিউম এবং প্রসাধনীর গন্ধটা আরও বেশ কিছুক্ষন। আমি সেই গন্ধ নিয়ে সারা সন্ধ্যা ঘুরে বেড়াতাম। মা ফিরতেন গভীর রাতে। আমি তখন গভীর ঘুমে আছন্ন, এমনই ভাবতেন হয়তো তারা। কিন্তু মা কোনোদিন জানবেনা, মা না ফেরা পর্যন্ত আমি কোনোদিনই চোখের পাতা এক করতাম না। আমার ঘর থেকে জানালা দিয়ে দেখতে পাওয়া বড় গেটটাতে চোখ মেলে বসে থাকতাম ঐ প্রায় মধ্যরাতেও, অপেক্ষায় থাকতাম কখন দেখা যাবে গাড়ির হেড লাইট বা শোনা যাবে নতুন বাবার বড় গাড়িটার হর্ণ ।

ঠিক ও বয়সটাতে আরও বুঝে গেলাম এই সুবিশাল পৃথিবীতে আমার পথচলা আমার একারই। আমাকে একাই লড়তে হবে। রমেশচাচা প্রায়ই বলতেন, পড়ালেখা করে বড় হও আর কোনো দুঃখ থাকবে না মা। আমি অবাক হয়ে ভাবতাম আমি তো কখনও উনাকে আমার কোনো দুঃখ বলিনি। তবে উনি কেনো আমাকে এত দুঃখী ভাবেন সব সময়! এ বাড়িতে আসার আগে আমি কিছুদিন লিটিল জ্যুয়েলস স্কুলে গিয়েছিলাম কিন্তু এখানে আসার পরে আমাকে ভর্তি করে দেওয়া হলো অগ্রনী স্কুলে। একে নতুন পরিবেশ, তার উপরে নতুন স্কুল, বন্ধুরাও নতুন। কিন্তু কি এক অজ্ঞাত কারণে আমার ক্লাসের সহপাঠীরা বেশিভাগই আমাকে ভীষন পছন্দ করে ফেল্লো। স্কুলের বুলি আপা
একদিন একটি রচনা লিখতে দিলেন, বিষয় ছিল আমগাছ। আমি আগে কোনোদিন রচনা লিখিনি। তারপরও ভাবনা আর কল্পনা দিয়ে লিখে ফেলেছিলাম একটি একাকী আমগাছের কাহিনী। বুলি আপা বিস্মিত হলেন! উচ্ছসিত হলেন। আমার লেখায় উনার মুগ্ধতা বা অনাদরে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া এই আমির এত আদর, এত প্রশংসাতে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম আমি। বুঝে গেলাম নিজেকে গড়ে তোলার লড়াইটাই হলো নিজের ভেতরের সকল শক্তি বা মেধাকে কাজে লাগিয়ে তোলা। এই একমাত্র অবজ্ঞার জবাব হতে পারে।

এ বাড়িতে এক বিশাল আবিষ্কার আমার, তিনতলার বারান্দার কোনে এদের সুবিশাল লাইব্রেরী রুম। দেশী বিদেশী কত রকম বই যে তাকে থরে থরে সাজানো। একটা মইও আছে, উঁচু তাকগুলো হতে বই নামাবার জন্য। রোজ স্কুল থেকে ফিরেই আমার কাজ ছিলো চুপ করে একটা বই এনে নিজের রুমের লাগোয়া বারান্দায় বসে পড়া। আবার চুপি চুপি সেখানেই ফিরিয়ে রেখে আসা। পথের পাঁচালী, শরৎচন্দ্র, সঞ্চয়িতা কিংবা মেঘনাদবদ কাব্য সবই পড়তাম আমি বুঝে বা না বুঝেই। রবিঠাকুরের কবিতার "মাকে আমার পড়ে না মনে" পড়ে চোখের জলে বুক ভাসাতাম। কবিতার ভেতরের মেয়েটা তখন আমি।

একদিন লাইব্রেরী রুমের তাকের ড্রয়ারে আবিষ্কার করলাম আমি এক আশ্চর্য্য যন্ত্র। সুদৃশ্য কাঠের তৈরী বাদ্যযন্ত্রটিতে ছিলো তারের ছড়া। আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করতে গম্ভীর এক অদ্ভুত স্বর বেরুলো। তাড়াতাড়ি রেখে দিলাম ড্রয়ারেই। এর কিছুদিন পরেই খুব কাকতালীয়ভাবেই
ঐ যন্ত্রটির সাথে পরিচয় হলো আমার। বিদেশ থেকে এলেন আমার নতুন বাবার একমাত্র বড় বোন। মা যেমন তার মোটা সোটা রাশভারী, মেয়ের সাথে তার একটু মিল নেই। স্কুল থেকে ফিরে আমি দেখলাম এক ছিপছিপে ফরসা ববকাট চুলের মহিলাকে। আগেই জানতাম উনি আসবেন কাজেই আঁচ করে নিলাম। উনি খুব হাসি খুশি আর চঞ্চল চরিত্রের মানুষ ছিলেন। আমাকে দেখেই কাছে ডাকলেন। বললেন, আহা কি মিষ্টি মুখটা। মায়ের মতই হাসি, চোখ নাকের আদল পেয়েছে কিন্তু রঙটা পায়নি। চমকে উঠলাম আমি। মনে পড়ে গেলো বাবাকে গালমন্দ করা মায়ের সেই উপমা আবলুশ কাঠ রঙ!

একদিন বিকেলে উনি উনার বেহালার খোঁজ করলেন। বেহালা কই আমার বেহালা! কেউ খুঁজে পাচ্ছিলো না তার বেহালা। আমি জানতাম কিন্তু ভয়ে বলিনি। শেষ পর্যন্ত নিজেই আবিষ্কার করলেন তিনি। ধুলো ঝেঁড়ে মুছে বাঁজাতে বসলেন। কি মায়াময় সুর। কোন অচীনদেশে নিয়ে যায় মন। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম আর সেদিনই জানলাম এটি বাঁজাতে একটি কাঁঠির মত অস্ত্রের প্রয়োজন হয়। আমার আগ্রহ দেখে ঝুমকি ফুপু আমাকে শিখাতে বসলেন। খুব অল্পদিনেই আমি শিখে ফেল্লাম । সুর তুলে বাঁজাতে শুরু করলাম পুরানো সে দিনের কথা, ভুলবি কিরে হায়, ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়!

না কিছুই আসলে ভুলে যাওয়া যায় না । স্মৃতি সে দুখের হোক বা সুখেরই সবই হীরা, মনি, মুক্তা হয়ে জ্বলজ্বল জ্বলে মনের গহীন কুঠুরীতে।

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনি পাঠককে অপেক্ষায় রাখছেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একসাথে সবটা লেখা যায় না। কেউ পড়তেও পারবেনা। সবারই সময়ের দাম আছে। পাঠকদের জন্য বরঞ্চ এটাই ভালো অয়নভাই। আমিও একটু করে লিখি, আপনারাও একটু করেই পড়েন না হয়। তবুও পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমি খারাপভাবে বলি নাই। বলছি, আপনি পাঠকের প্রত্যাশা বাড়াতে পেরেছেন। পাঠককে ধরে রাখছেন। পাঠক পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকছে। যাই হোক, আমিই ভাল করে বুঝাতে পারি না। দুঃখিত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বুঝতে পেরেছি মানে অল্প লেখাতে দোষের কিছু নেই। বরং এটা বলতে চেয়েছেন পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে। ধন্যবাদ ভাই। আপনি প্রথম থেকেই আছেন আমার লেখায়। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভালো লাগলো খুব।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তারেকভাই।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

মথুরেশ রায় মধু বলেছেন: খুব ভাল লাগল পড়ে

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মধুরেশ রায়।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সূখপাঠ্যতায় ভেসে ভেসে পাঠ হয়ে গেল :)

+++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: কাহিনী খুবই ভালো লাগছে। আপনার লেখার গাঁথুনিও চমৎকার। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

সুমন কর বলেছেন: গল্পের ভেতরের মেয়েটা এখন আমরা --- বর্ণনায় মুগ্ধতা।
+।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমনভাই।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:


মেয়েটা তো মাতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত হল। মাও যে মেয়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লেখক কি সেকথা কিছু আলোকপাত করবেন? কেমন করে মা তার দিন কাটাচ্ছেন নতুন বাড়িতে?
অপত্য স্নেহের টান মা কিভাবে অনুভব করে।

আর কত পর্ব ?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কত পর্ব জানিনা এখনও।
আপনার কথা মনে রাখবো, মায়ের দিকেও আলোকপাত করবো।

এখানে মা ও মেয়ের ভালোবাসাটাও এক গোলক ধাঁধার মত।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তারপর?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লিখবো।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

গোলক ধাঁধা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

বেশি পর্ব করবেন না প্লিজ ! পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুত হলেও হতে পারে !

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গোলক ধাঁধাই তো জীবন। পাঠকের ধৈর্য্যের সীমায় বেঁধে দেবেন না আমাকে প্লিজ। এত কিছু ভাবতে গেলে মন দিয়ে লেখা হবেনা আমার। আমি যত দিন মন চায় যতখানি মন চায় লিখতে চাই। আজকাল পাঠক যে পড়ে সেটাই বিস্ময়।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালো লাগছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ তূর্য্য।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


হাঃ হাঃ বেশ ! আপনি হাত খুলে লিখুন। আমি শেষ অবধি আছি অন্তত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আজও কিছু পাঠক অবশিষ্ঠ আছে তাহলে।

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


শুভকামনা রইলো পরের পর্বের জন্য :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদভাই। আপনি বললে এখনি দিতে পারি। এই মাত্র শেষ করলাম।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

সবাই গল্পকে ভাল বলেছে !!! আমি আর মন্দ বলতে পারলাম না।। :)


কেমন আছেন? :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালোই আছি।

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আমি কেন বলব !!!!!!!!!

ওটা আপনার কাজ ! ;)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি পাঠক না? আপনিও বলার অধিকার রাখেন।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বেশ তবে সেই পাঠক অধিকার বা দাবী নিয়েই বলছি, দিন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওকে।

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি আপনার লেখা গুলো পড়ছি ,কিন্তু মন্তব্য করার মত ভাষা নেই ।
এমন একটা প্লট আর আপনার ভাষা ও বর্ণনা র মুন্সিয়ানা একেবারে হৃদয় স্পর্শ করে ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরাআপা।

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: তারপরও ভাবনা আর কল্পনা দিয়ে লিখে ফেলেছিলাম একটি একাকী আমগাছের কাহিনী। বুলি আপা বিস্মিত হলেন! উচ্ছসিত হলেন। আপনার লেখা আপনার নিজের অভিজ্ঞতারই না আপনার দারুন সাহিত্য মনের সেটা নিয়ে খানিকটা কনফিউজড ছিলাম | এই লাইনগুলোর পরই মনে হলো আপনার কথাই আপনি বলছেন | বুলি অপার চেয়ে সময়ের দিক থেকে আমি নিশ্চই অনেক পিছিয়ে কিন্তু আপনার লেখা নিয়ে আমার ও আমাদের উচ্ছাসতা একই রকম | মনে ব্যাথা জাগিয়ে রাখার মতো সুন্দর হচ্ছে আপনার লেখা | মার্ভেলাস ....|

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখা এবং লেখালিখি এই নিয়ে বসবাস শুরু হয়েছিলো বেশ ছোট বয়স থেকেই আমার। কথা বলার মানুষগুলোর চাইতে খাতাই ছিলো আমার বন্ধু। নিজের সাথে নিজের কথপোকথন তাই নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাত জেগে কাটিয়ে দেওয়া। একটা সময় লেখনীর অপর প্রান্তের একজন মানুষ তার সঙ্গী হলো। সেসব লেখা মানে চিঠিগুলি জড়ো করলে বুঝি একখানা আস্ত উপন্যাসই হয়ে যেত।

অশেষ ধন্যবাদ মালসইলমুইনাভাই। শুভসকাল।

১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



"....... বুঝে গেলাম নিজেকে গড়ে তোলার লড়াইটাই হলো নিজের ভেতরের সকল শক্তি বা মেধাকে কাজে লাগিয়ে তোলা। এই একমাত্র অবজ্ঞার জবাব হতে পারে।.........

গল্পের/ উপন্যাসের শেকড়টা এখানেই । লেখা সাবলীল ।

তবে পাঠকের মন্তব্যে কাহিনী কোথায় গড়াবে এমন ধারনা দিয়ে আপনার প্রতিমন্তব্য মনে হয় ঠিক নয় । এতে পাঠকের আকর্ষণ কমে যাবে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জি এস ভাই। পাঠকেরা যে আজও এই সব দীর্ঘ রচনা পড়ে বা পড়ছে তাও আমার মতন একজন অজ্ঞাত মানুষের লেখা সেটাই বিস্ময়! পাঠকের কৌতুহলও আমার লেখার উৎসাহ বাড়াচ্ছে। যদিও মনোস্থ করেছিলাম এ লেখা লেখার। কাজেই লিখেই যেতাম হয়তো।

তবুও পাঠকের কৌতুহল বা প্রশ্নের কাছে কিছু ধারনা পৌছে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে থাকবার জন্য। শুভকামনা।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

বেয়াদপ কাক বলেছেন: আবারো ভালো লাগা রইল।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখা সুন্দর সাবলীল গতিতে এগিয়ে চলেছে ।
ভাল লাগা রেখে গেলাম ।
শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস মুল্যবান মন্তব্য রেখে গেছেন ।
অনুসরন করলে মনে হয় ভাল হবে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। অবশ্যই অনুসরনের চেষ্টা করবো।

২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেই অমৃত খাবারের স্বাদ আমি আর পৃথিবীর কোথাও কখনও পাইনি - যে মানবিক আচরণ, অনুভূতির কারণে এ স্মৃতির সকৃতজ্ঞ স্মরণ, তাকে শ্রদ্ধা জানাই এবং লেখিকার কৃতজ্ঞতাবোধকেও।
স্মৃতি সে দুখের হোক বা সুখেরই সবই হীরা, মনি, মুক্তা হয়ে জ্বলজ্বল জ্বলে মনের গহীন কুঠুরীতে - + +
এখানে মা ও মেয়ের ভালোবাসাটাও এক গোলক ধাঁধার মত (৮ নং প্রতিমন্তব্য) - ব্যতিক্রমী কোন মাতৃৃত্বের সাথে পরিচিত হতে হবে কিনা, সেকথা ভেবে কিছুটা শঙ্কিত হ'লাম।
আজকাল পাঠক যে পড়ে সেটাই বিস্ময় (১০ নং প্রতিমন্তব্য)- -বিস্মিত হবেন না, আমরা আছি। সামুর পাঠকেরা কিছুটা কবিতাবিমুখ হলেও গল্পের জন্য পাগল!
সেসব লেখা মানে চিঠিগুলি জড়ো করলে বুঝি একখানা আস্ত উপন্যাসই হয়ে যেত (১৮ নং প্রতিমন্তব্য) - আহা, আমড়া বোধহয় একখানা আস্ত উপন্যাসই মিস করে ফেললাম!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আস্ত উপন্যাসখানাও না হয় মিস না করার ব্যাবস্থা করা হবে খায়রুলভাই। সাথে থাকবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এবারে আমার নামের বানানটা শুদ্ধভাবে লিখেছেন, ধন্যবাদ! :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কোথায় ভুল করেছিলাম! অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

২৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিরিজটা ভাল ভাবেই পাঠক ধরে রাখতে পারছে ---

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পাঠকেরা সাদরে নেবেন বুঝিনি।

২৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়তে ক্লান্তি অনুভব করছি না..........+++

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সোহেলভাই।

২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

জেন রসি বলেছেন: মায়া, স্মৃতি এবং যাপিত জীবন........

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ স্মৃতির প্রদীপ যা কখনও নিভে যায় না।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:






উপভোগ্য হয়ে উঠছে । বিভিন্ন চরিত্র ঢুকছে, বিবিধ অভিজ্ঞতা । ভাল লাগছে ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাগুলো ধৈর্য্য নিয়ে পড়বার জন্য। অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভাল... প্লাস।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রকিভাই।

২৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০১

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আমি লাকি, একটার পর একটা পর্ব পড়তে তিন চারদিন ওয়েট করা লাগতেছে না। সবগুলো ট্যাব পাশাপাশি খুলে পড়তে পারছি। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ

৩০| ০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




অবহেলা সহ্য করা আসলেই ইম্পসিবল !
সেটাই, দুরের মানুষ রমেশ কাকা অথবা শিউলি তারাই তখন কাছের আর
কাছের মানুষ হয়ে গেছে দুরের ।
অসুস্থ হলে তখন কাছের মানুষ কাউকে পেতে ইচ্ছে করে ।
সেসময় একা থাকাটা কষ্টকর ।

নিজের একটা জগত তৈরি করে নিয়ে নিজের আপন ভুবনে একবার বাস করতে শিখে গেলে আসলেই আর কখনও কারো অপেক্ষায় থেকে কষ্ট পাবার প্রয়োজন হয়না ।
দুঃখ কষ্ট বুকের ভেতরে লালন হবে কিন্তু সেটা কন্ট্রোল করার এক অসীম শক্তি তখন চলে আসে ।
গল্পের মেয়েটিরও তাই হচ্ছে ।
তার জন্য আমার প্রিয় একটি ভায়োলিন ।





০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপুনি!!!!

৩১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮

আরোগ্য বলেছেন: তিন নং পোস্টে করা মন্তব্য দেখি সত্যি হলো। বুঝা গেল জীবনের অভিজ্ঞতা আমার বেশ ভালো, মাশাআল্লাহ B-)

ছোট বালিকা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। শিখনির কাজে মেধা প্রয়োগ করছে, বেশ ভালো লাগছে এ ব্যাপারটা।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম হুম !!! :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.