নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ১১

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯


খুব ভোরে দোলন এলো। ওকে দেখে চমকে উঠলাম আমি! এক রাতের মাঝে বুড়িয়ে গেছে যেন। উস্কোখুস্কো চুল, লাল চোখ আর উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি। আমার এত কষ্ট হচ্ছিলো। তবুও ভেতরের উদ্বেগ চেপে রেখে জানতে চাইলাম কি হয়েছে। ও বললো আমার সাথে জরুরী কথা আছে তার। ও বাইরে অপেক্ষা করছে আমি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেডি হয়ে আসি।

আমি খুব তড়িঘড়ি রেডি হয়ে নিলাম। নায়লাকে বললাম ফিরতে দেরী হতে পারে। এটাও বললাম দোলনের সাথে যাচ্ছি। কি যেন জরুরী কথা আছে ওর। গত কাল পর্যন্ত আমার আর দোলনের এই সম্পর্ক নিয়ে নায়লা খুব আনন্দে ছিলো কিন্তু গত রাতে যখন ওকে সব খুলে বলি বুঝতে পারি নায়লার মনটা খারাপ হয়ে গেছে। কিছুটা অপমানবোধ বা ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়ে গেছে যে আমার থেকে ওর মাঝেও তা কাল ওর চেহারা দেখে আমাকে আর কারও বলে দিতে হয়নি। তাই আজ সকালে যখন আমি বের হচ্ছিলাম। নায়লা ব্যাপারটা পছন্দ করছে না সে বেশ বুঝতে পারলাম। অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে রইলো সে আমার দিকে এরপর গম্ভীর মুখে বললো, তোর উচিৎ দোলনের মুখও আর ইহজীবনে না দেখা। আমি ভীষন অবাক হলাম! হতভম্বের মত তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে।

এরপর আমরা সেদিন চলে গেলাম বহুদূর। রাঙ্গামাটির পথ ছাড়িয়ে দূর দুরান্তে। দোলন আমাকে অবিশ্রাম বলে চলেছিলো। এ কখনই সম্ভব হবে না মানে কারো পক্ষে কোনোদিনই কোনো কিছুর বিনিময়েই আমাদের এ সম্পর্কের বাঁধন ছেড়া সম্ভব না। কাল রাতে ওর বৌদিকে সেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা জোরাজুরি করলে তাকেই তাদেরকে হারাতে হবে। এতে বেশ কাজ হয়েছে বলেই তার মনে হয়েছে। বৌদি কিছুটা ভয়ও পেয়েছে। পুত্রতুল্য এ দেবরটিকে তিনি যে প্রাণের চেয়েও ভালোবাসেন। কত অন্যায় আবদার পূরন করেছেন তিনি তার জীবনে সকলের অগোচরেও তা দোলনের চাইতে বেশি আর কে জানে!

সেদিনের রাঙ্গামটির পথের ধুলোয় কতটা পথ ধরে যে চলে গিয়েছিলো আমাদের পদচিহ্ন তা জানা হয়নি। এ দিকে লোকালয় কমে আসছিলো। দু একটা বিছিন্ন মাটির ঘর, কলাগাছ, খড়ের গাঁদা বা ঘাসবিঁচালী খাওয়া গরু সবই আজও রঙ্গিন তৈলচিত্রের মত বাঁধাই করে আটকানো আছে আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে। সেই লালচে মাটির পথ দেখে হঠাৎ আমার মনে হয়েছিলো রবিঠাকুরও একদিন হয়তো এই পথেই হেঁটে যেতে যেতে লিখেছিলেন ঐ গান-

গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটির পথ আমার মন ভুলায় রে -
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে, পায়ে পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে -
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে-
যায়রে কোন চুলায় রে -
আমার মন ভুলায় রে!!

আমার আর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না। এই ঘরের বাহিরটাই যেন বড় আপন তখন। হাতের মুঠোয় হাত। দু'জনের পাশাপাশি হেঁটে চলা। এই পথ এই গানের মতন যে চুলোতেই নিয়ে যাক না কেনো কোনো আপত্তি ছিলো না আমার । দোলন আমার আশ্রয়। যেই আশ্রয় হারতে দেয় না। যে আশ্রয় হঠাৎ আসা ঝড় ঝাপটায় আগলে রাখে বুকের মাঝে। কোনোভাবেই ঠেলে ফেলে না পথের মাঝে ধুলো কুটোয়।

পথের ধারে সরু নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকাতে করে আমরা সেদিন সারা দুপুর ভেসে চললাম। ক্লান্ত শ্রান্ত সেই আমরা নৌকার গলুই এ গা বিছিয়ে দিয়েছিলাম। মাথার উপরে ঝকঝকে আকাশ আর আমাদের মন তখন ঘর ছাড়া মেঘেরও সঙ্গী। সেই ভর দুপুরেও নদীর উপর ভেসে চলা ঝিরঝিরে বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যাচ্ছিলো। একটি অপূর্ব সুন্দর নীল মাছরাঙ্গা পাখি পানিতে ছোঁ মেরে গিয়ে বসলো নদী তীর ঘেষা বাঁশঝাড়ের নূয়ে পড়া একটি বাঁশের উপরে। চারিদিকে নিস্তব্ধ নীরবতা। শুধু বৈঠা টানার সাথে সাথে জলের কলল কলল শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। পৃথিবী এত সুন্দর কেনো? মাঝে মাঝেই পৃথিবীকে ক্লেদশূন্য অপার্থীব লাগে। মনে হয় বেঁচে থাকি এই খানে হাজার বছর।


নৌকার মাঝি আমাদের এক অদ্ভুত জিনিস খেতে দিলো। সবুজ রং গোল মতন এক ফলের উপরে ছোট ছোট গোলাকার ডিজাইন। সেই ঢাকনি খুলে বের হয়ে আসে সাদা সাদা বীজের এক অদ্ভুত স্বাদের বস্তু। মাঝি বললো এসব নাকি পদ্মের চাঁক। পদ্ম মানে আসল পদ্ম ফুলের তলে নাকি এই পদ্মের চাঁক তৈরী হয় আর এ খাবারটি বিশেষ সুস্বাদু। তবে এসব চাঁক তুলে আনাটাও দুরহ বটে। কারণ প্রায়শই নাকি পদ্মের সাথে জড়িয়ে থাকে বিষধর সাপ।

পৃথিবীতে সব সুন্দরই কি রহস্যময়? সব সুন্দরের সাথেই কি জড়িয়ে থাকে এক একটি বিষধর সর্প? কত যে প্রশ্ন জাগে আমার মনে! তবুও হাতের মাঝে হা্ত। আশ্বাস দেয়, ভয় নাই, ভয় নাই। আমার মন মুক্তি চায়, সকল বাঁধা বিপত্তি, অভিযোগ পেরিয়ে একটি নির্মল দিনের বিশুদ্ধ বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস টেনে নেবার মুক্তি। নিষ্কন্টক পথে নগ্ন পায়ে নিশ্চিন্তে হেঁটে চলার মুক্তি। আমার এই ভীরু প্রান অভয় চায়। সামনে আঁধার সরে যাওয়া স্বপ্নমাখা দিন আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। দোলনের চোখে তাকিয়ে আমি সেই সোনালী দিনের স্বপ্নে ডুবে যাই। বার বার এই দূর্বল মন ঠায় চায় দোলনের কাছে কোন প্রতিশ্রুতিতে জানা নেই আমার। তবুও আমি নিশ্চিন্ত প্রছন্নতায় জেনে বুঝে ডুবে যাই দোলনের মাঝেই।



তখন তরুন ছিলো অরুন আলো
পথটি ছিলো কুসুমতীর্ণ
বসন্ত যে রঙ্গিন বেশে ধরায় সেদিন অবতীর্ণ-
বৌদির বেঁধে দেওয়া নিষেধের বেড়াজাল ছিড়ে খুড়ে আমরা যেন মুক্ত আকাশে উড়ে চললাম এরপরে ডানা মেলে। ততদিনে আমি এতটুকু বুঝেছি যে দোলনকে ছাড়া আমার যেমনই চলবে না, দোলনেরও চলবে না আমাকে ছাড়া। কাজেই এই পৃথিবীর আর কারো বাঁধা নিষেধ বা রক্তচক্ষু বা অগ্নিবাণ যাই আসুক আমাদেরকে থামানো যাবেনা আর। রোধ করা যাবেনা আমাদের চলার পথ। আমার ভেতর বাহির অন্তর জুড়ে তখন শুধু দোলন আর দোলন।

প্রায়ই আমরা ঐ রাঙ্গামাটির পথ ধরে হেঁটে যেতাম বহুদূরে। এক বিকেলে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠের ঠিক মধ্যিখানে পেয়েছিলাম এক জাগ্রত মনসা মন্দির। জাগ্রত বলছি কারণ সেই মন্দিরের গায়ে অপঠনযোগ্য হরফে কিছু লেখনী ছিলো যার মর্মদ্ধার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তবে বিশাল হরিৎ প্রান্তরের মাঝে সেই ছোট্ট এক রতি মন্দিরের ঘরে একটি অপরূপা শ্যামা মূর্তীর মাথায় উপরে জড়ানো ছিলো বিশাল ফনা তোলা এক ধাতব সাপ। তার সামনে সাটাঙ্গে উবু হয়ে পড়েছিলেন একজন বৃদ্ধ মহিলা। আমরা যখন মন্দিরের দুয়ারে গিয়ে দাঁড়ালাম। উনি ভ্রুক্ষেপ করেননি। যখন উঠলেন এবং ফিরে তাকিয়ে দেখলেন আমাদেরকে তখন বেশ চমকে উঠলেন। জানতে চাইলেন কোথা থেকে এসেছি আমরা এই অবেলায়। আমি অবাক হয়ে দেখলাম উনি ঐ একটি কথাই জিজ্ঞাসা করে সৌম্য শান্ত দৃষ্টিতে ফিরে তাকালেন মনসা দেবীর মুর্তীর দিকে এবং পরম মমতায় উনার চকচকে পেতলের ঘটি হতে দুধ ঢেলে দিতে লাগলেন মনসা দেবীর সামনে রাখা পাথরের বাটিতে।

উনি ফিরে যাবার সময় আমাদেরকে সাবধান করে দিলেন। আমরা যেন মা মনসাকে কোনোভাবেই বিরক্ত করে না তুলি। উনি বড় জাগ্রত দেবী। দয়াবতী কিন্তু রাগ অনির্বান। রেগে গেলে আর জান নিয়ে ফেরা হবে না আমাদের। উনার কথায় কি ছিলো জানিনা কিন্তু আমার গা ছমছম করতে লাগলো। উনি আমাদেরকে রেখে চলে গেলেন। আমি বললাম, দোলন চলো ফিরে যাই। কাজ নেই এখানে থেকে। দোলন হঠাৎ এক অদ্ভুত কান্ড করলো। মনসা দেবীর মূর্তীর সামনে ছোট্ট পাত্রে রাখা সিঁদুর তুলে নিয়ে আমার সিঁথিতে লাগিয়ে দিলো। তারপর হো হো করে হাসতে লাগলো। বললো, শাস্ত্র মতে তুমি কিন্তু আজ থেকে আমার সহধর্মিনী হয়ে গেলে। আর কখনও কাউকেই তুমি জীবনসঙ্গী করতে পারবে না, এই আমি ছাড়া। আমি ওর কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম কিন্তু তারপরই হাসতে লাগলাম ওর ছেলেমানুষী দেখে।


এরপর দিনই বাংলাদেশ থেকে জরুরী ট্রাঙ্ককল এলো। আমার জরুরী তলব পড়লো দেশে ফিরে যাবার। মা মরণাপন্ন অবস্থা শঙ্কটে আছে। ফোনটা করেছিলেন আমার নতুন বাবা। উনি বেশি কিছু বললেন না । ফোন কেটে দিলেন। যদিও মায়ের উপর আমার অভিমানের কোনো শেষ সীমা ছিলোনা কিন্তু এই সংবাদে আমি এতটাই অস্থির হয়ে উঠলাম যে দোলন আমার ছুটির ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে টিকেট ও অন্যান্য সকল ব্যাবস্থা দেড়দিনের মাথায় করে ফেললো।

বাংলাদেশে ফিরে আসার ঠিক আগের সন্ধ্যায় আমি আর দোলন পাশাপাশি বসে ছিলাম। তখন সন্ধ্যা নামছিলো। ধুধু প্রান্তরের বুকে আমরা দু'জন। আমার মন ভীষন খারাপ ছিলো এমনিতেই। কিন্তু হঠাৎ আমার ভেতরে হু হু করে উঠলো। আমার মনে হলো আমি আর কোনোদিন দোলনকে দেখতে পাবোনা। আমার বুকের ভেতরে কে যেন বলে গেলো আমি দোলনকে হারাতে যাচ্ছি। দোলনের সাথে এই বুঝি আমার শেষ দেখা।

আমি আকুল হয়ে কাঁদছিলাম। দোলনের বুক ভেসে যাচ্ছিলো আমার চোখের জলে। দোলন আমাকে সান্তনা দিয়েই যাচ্ছিলো। বলছিলো, দূর পাগলী এসব কি ভাবো? আমাদের দুজনকে আলাদা করার সাধ্যি স্বয়ং বিধাতারও নেই । উনি আমাদেরকে গড়েছেনই একে অন্যের জন্য। তবুও দোলনের কথায় আমার মন সাঁয় দিচ্ছিলো না। আমার মনে হচ্ছিলো আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। আমার সামনে অনিশ্চিৎ ভবিষ্যৎ। আমি প্রানপনে দোলনকে আঁকড়ে ধরে ছিলাম। রাত গাঢ় না হওয়া পর্যন্ত।

আজ এত টুকুই থাক। এরপরের ঘটনাগুলো লিখতে গেলে একটু সময় নিয়ে বসতে হবে। তার চেয়ে বরং একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করি। মন কিছুটা ডাইভার্ট হবে-

I'll remember forever
The tears I found in your eyes
The last day, the last kiss,
I’ll remember forever.

The night will glow in my dark
My head was on your neck
The things you said-
You never leave me
And won't let this end"

I flash back to the days,
That flew away on bird’s wings
I can remember your promise
you can do for me anything.

Keep the memories in your heart
the good times we had,
And I hope you look back
And think I am still by your side….


একি খেলা আপন সনে- ১০

একি খেলা আপন সনে- ৯

একি খেলা আপন সনে- ৮

একি খেলা আপন সনে- ৭

একি খেলা আপন সনে- ৬

একি খেলা আপন সনে - ৫

একি খেলা আপন সনে- ৪

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

সেই ভালো সেই ভালো, আমারে নাহয় না জানো।
দূরে গিয়ে নয় দুঃখ দেবে, কাছে কেন লাজে লাজানো ॥
মোর বসন্তে লেগেছে তো সুর, বেণুবনছায়া হয়েছে মধুর--
থাক-না এমনি গন্ধে-বিধুর মিলনকুঞ্জ সাজানো।
গোপনে দেখেছি তোমার ব্যাকুল নয়নে ভাবের খেলা।
উতল আঁচল, এলোথেলো চুল, দেখেছি ঝড়ের বেলা।
তোমাতে আমাতে হয় নি যে কথা মর্মে আমার আছে সে বারতা--
না বলা বাণীর নিয়ে আকুলতা আমার বাঁশিটি বাজানো


কেন যে জানতে হয় !!!!!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: যদি তারে নাই চিনি গো সে কি
সে কি আমায় নেবে চিনে সেই নব ফাল্গুনের দিনে
জানিনে জানিনে-

আর কখনও কি হবে চেনা জানা?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার আকুলতা তোমার কান্না তোমার সংশয় বলে দিচ্ছে ;
আর নয় আর নয় ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না। জীবন কি থেমে যাবার জন্য?
জীবন হেরে যাবার জন্য নয়। থামার প্রশ্নই আসে না।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করলেন। আশা করি খুব বেশি দেরী হবে না! শুভকামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন ডাইভার্ট করতে কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি দেখেছেন। এখন অপেক্ষা নিজেকে কতদিন করতে হবে সংশয়ে আছি। পরের পর্ব লিখলে যারা পড়বেন তারা যারপরনাই বিরক্ত হবেন মনে হচ্ছে। লেখিকার মনের খবর কয়জনা রাখে বলেন?

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম।
কবিতাটা চমৎকার লেগেছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল দর্পণ। কবিতাটা মাইন্ড ডাইভার্টিং পয়েম। লেখার জন্য লিখিনি বা কাব্য আসার কারণেও নয়।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:



গল্প আরো একটু ভাল হতে পারতো।। শেষে এসে কবিতা ভালো লেগেছে+


শুভ কামনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আজ এক হাস্যকর কান্ড হলো। আমার লেখা প্রতিটি পর্বই আমার কলিগেরা মন দিয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে আমাকেই তাদের পড়ে শোনাতে হয়। তো আজ শোনাচ্ছিলাম পর্ব-১০। সেখানে শনচুলো বুড়ির কথা পড়বার সময়। এক কলিগ মনের অজান্তেই বলে বসলো, "হারামজাদী" আমি চমকে তাকালাম। সে স্যরি টরি বলে শেষ। কারণ শনচুলো বুড়ির কারণেই যে দোলনদের প্রেমের এই পরিনতি সেই মেয়েটি সহ্য করতে পারেনি তাই অস্ফুটে এই ইনএপ্রোপ্রিয়েট কথাটি বলে ফেলেছে।
খুব আপ্লুত হই যখন আমার লেখা গল্প কেউ মন দিয়ে পড়ে বা আমার বলা গল্পগুলো মন দিয়ে শোনে ও হৃদয়ে ধারন করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শাহরিয়ার।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেখাটিতে কোথায় যেন একটি ছেদ পরে গেছে বলে মনে হল ।
উপন্যাসের স্টাইল টা মনে হল বেশী পরেছে এ গল্পে । উপন্যাসে রূপ নিলে
মনে হয় খাপ খেয়ে যাবে । অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখার ঠিক মধ্যিখানে এই ছেদটাই গল্পের মূল বৈশিষ্ঠ আলীভাই। এই ছেদের এপিঠ আর ওপিঠেই গল্পটি আসলে দাঁড়িয়ে আছে দুইভাগ হয়ে। উপন্যাস হবে কিনা জানিনা। তবে গল্পটি এক সময় থেমে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তাই কি হয় !! জীবন কি থেকে থাকে ?
কেবল জীবনের বাঁক পালটে যায় ;
আর হেরে যাওয়া ? রাজ কন্যার প্রশ্নই আসে না ।

অপূর্ব !! দুর্দান্ত !! মনকাড়া বর্ণনা ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা। অনেক ভালো থাকবেন।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

প্রামানিক বলেছেন: একটানে পড়লাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:


মাদলীয়ার তালে তালে
অঙ্গ ওঠে দুলে লো
দোল লাগে শাল পিয়াল বনে
নতুন খোঁপার ফুলে লো
মহুয়া বনে লুটিয়ে পড়ে
মাতাল চাঁদের হাসি লো




সাথেই আছি কংকাভাইয়া !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ আরও একটি রাঙ্গামাটির গান বেশ মনে করিয়েছেন। যদিও এ গান রবিঠাকুর লিখেন নাই। ধন্যবাদ অনিকভাই।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


না এটা তো নজরুলের গান, রাঙামাটি শুনলেই আমার মন এটা গেয়ে ওঠে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ গানে মন গেয়ে ওঠা বা নেচে ওঠারই কথা। তাল লয় ছন্দের এক অপূর্ব সমাহার।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: সেই রাঙ্গামাটি, কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
ভাল লেগেছে।
শেষের সেই কবিতাটা অনেক বেশি ভাল লেগেছ।
শুভ কামনা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি কি শান্তিনিকেতনে ছিলেন?

কবিতাটা কেনো লিখেছি জানিনা মনে হলো আজকের মত থামা উচিৎ আর তখনই কবিতার জন্ম হলো।

১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পে মজে আছি সে স্বীকার করেছি সেই প্রথমেই। এই পর্বে এসে পর্ব ভানার কিছুটা ত্রুটি দেখা দিল। যাই হোক সেটিং লেখকের নিজের। তবে ্ট্ই টুকু বুঝতে বেশিই কষ্ট হলো," দিনই বাংলাদেশ থেকে জরুরী ট্রাঙ্ককল এলো।........"

কবিতা গানের উদ্ধৃতিও যথাসময়েই ছিল। শেষের রচিত কবিতাটি দারুণ। একদম মুদ্ধপাঠ যাকে বলে। ভাল থাকুন সবসময়। পরের পর্বের আকাক্ষায় রইলাম।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পর্ব ভানার ত্রুটিটা ঠিক বুঝিনি সুজনভাই। একটু ধরিয়ে দেবেন? পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া আমার জানা প্রয়োজন।


পরদিন ট্রাঙ্ককল এলো মানে বাংলাদেশ থেকে ফোন এলো।


শেষের কবিতাটির মাঝে আমি একটি ভুল পেয়েছি। আর একটি লাইন এ্যাড করবো আজকে যদি পারি।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম শুধু


শুভরাত্রি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নয়নভাই।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখিকার মনের খবর কয়জন রাখে বলেন?
লেখকদের মনের খবর কেউই রাখে না।রাখবেও না কোন দিন।
সবাই লেখকের লেখায় পড়তে আসে মন পড়তে কেউ আসে না।
ভাল থাকুন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তা বটে। লেখাগুলো পড়ে অবশ্য মন পড়া যায় কিছু কিছু।

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমে বলে নেই কবিতাটাও ভাল হয়েছে, গল্পের মতই চমৎকার হয়েছে কবিতাও!

শান্তিনিকেতন পর্বগুলো পড়তে পড়তে কেবলি ন হন্যতে মনে পড়ছে। তবে আপনার লেখার স্টাইল অনন্য। চলুক লেখা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ করুণাধারা।
প্রশংসার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটা বরাবরের মতই ভালো লাগলো।

কবিতাটা বেশি ভালো লেগেছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তার মানে বোঝা গেলো এখন থেকে আমার কবিতাতেও হাতে খড়ি নিতে হবে।

১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

নিশাত১২৩ বলেছেন: ভালোলাগা নিয়ে পড়ে যাচ্ছি আপন সনে রাজকন্যা।

শেষের কবিতায় মুগ্ধ করলেন যে। পরের পর্বের জন্য প্রতীক্ষায় :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বুঝলাম গল্প ছেড়ে এবার আমায় কবিতা লেখাতেই মন দিতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ নিশাত।

১৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সরি বোন পর্বভাবনা হবে টাইপো ছিল। আমি একরকম ভেবে রেখেছিলাম আপনি তার পাথ অন্যদিকে নিয়ে গিয়েছেন এটাই মূলত বুঝাতে চেয়েছি। তা যেন নিপুন এক সেটিং নিজের মতো করে ট্রানিং পাঠক বিচুত্যি নয় পাঠক মজে যাবে গল্পে।

না অামি ধরে নিয়েছিলাম আপনি প্রবাসের কোন দেশে কিন্তু আপনার চিত্রায়ন ছিল রাঙ্গামাটি তাই যখন ওখান থেকে ফিরলেন বা ওখানেই ছিলেন এমন সময় কি আপনার ফোন এলো?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না এটা আমি শান্তি নিকেতনের কথা লিখেছিলাম। মন দিয়ে আমার লেখা পড়ছেন তাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। অনেক ভালো থাকুন সুজনভাই।

১৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: সবগুলো পর্ব একটানে পড়লাম। মনে হলো আমার পরিচিত আপন কারো জীবন কাহিনী ! মায়া ও ঘোর এখনো কাটেনি ! চমতকার লেখণী !পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওসেলভাই অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: সবগুলো পর্ব সময় করে পড়তে হবে। মনে হচ্ছে খুব ভালো লাগবে।
শুভ কামনা আপু :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভালো লাগবে কিনা জানিনা। তবে পাঠক প্রতিক্রিয়া আমাকে আপ্লুত করেছে।

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই পর্বের সবচেয়ে ডিস্টার্বিং ব্যাপারটা কি জানেন ? আমাদের রাজকন্যার কষ্টের বর্ণনা পড়তে পড়তে নিজেই মনে মনে বলে উঠছি বিউটিফুল ! এতো রাজসিক হলো এই পর্বের লেখাটা | শান্তি নিকেতনের মানুষেরা যে এতো অশান্তির সৃষ্টি করত পারে পাঠকের মনে কে জানতো ! সেই শেষের কবিতা পরে যেমন মন খারাপ হয়েছিল এই পর্বে তেমন মন খারাপ হলো | রাজকন্যা, লেখাটা ম্যাজিস্টিক হয়েছে এই পর্বে |

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পর্ব বা এই পর্বের শেষের দিকে যেখানে আমার থামতেই হলো সেই মুহুর্তের বর্ণনা দেবার মত ভাষা জ্ঞান বা ক্ষমতা আসলে আমার নেই। আমি আগেই বলেছি পৃথিবীতে কিছু মুহুর্ত আছে শুধু অনুভবই করা যায় ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সে হোক না আনন্দ বা গভীর দুখের কোনো কাহিনীকাল।

কিন্তু এর চাইতেও গভীর দাগ কেটে যাওয়া মুহুর্তটা আসলে এর পরেই এসেছে। যে দাঁগ কোনো কিছুতেই ঘষে মেজে তোলা যায় না মন থেকে। সেই পর্ব লিখতে গেলে আমি হয়তো আবারও ফিরে যাবো সেই দুঃসহ অসহনীয় সময়গুলোতেই তবুও যুদ্ধ। জীবন মানেই যুদ্ধ আর এই যুদ্ধে যে বিজয়ী জীবন তার জন্য নিত্য নতুন পসরা সাঁজিয়ে বসে আছে। জীবন থেমে যাবার নয়।

২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতায় হাতেখড়ি না, আপনি কবিই।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা তাই তো মনে হচ্ছে এখন আমার। ঠিক আছে এখন থেকে প্রতি পর্বেই একটা করে কবিতা জুড়বো ভাবছি।

২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আপনি কে গো? লেখা খুব ভালো লেগেচে...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি কঙ্কাবতী। আপনার প্রশ্নটা আমার করা উচিৎ ছিলো আপনি কে? নামটা তো পড়তে পারছিনা এমনই জগা খিঁচুড়ি লেগে আছে। আমার লেখা পড়েছেন আর ভালো লেগেছে জেনে ভীষন ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন।

২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আপনি কে জিগগেশ করলাম কারন আপনি আমার ব্লগে ভিজিট কোরেচেন...আপনি কোথায় জব করেন?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার ব্লগ ভিজিট করেছিলাম এই অদ্ভুত নামটির কারণে। তবে না আমি আপনার পরিচিত নই। আপনার অফিসেও আমি জব করি না।

২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আমি জব করি কে বোললো!! আমি মুক্ত পাখি...
আচছা আপনার রাননার হাত কেমন? কোন রাননা টা ভালো পারেন?

...কোন একজন আমাকে ইশিফিশি বোলে ডাকতো। এটা উচচারন করা সহজ..

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইশিফিশি? সুন্দর কিউট নেম। এটা কি সবাই ডাকতে পারে নাকি? আমার রান্নার হাত জানতে চেয়েছেন কেনো? দেখলাম আপনার পোস্টে ডাল রান্না খুঁজেছেন। আপনি কি রান্না ভক্ত?

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রতিটি পর্ব (কয়েকটি পর্ব একসাথে) তন্ময় হয়ে পড়ছি, ক্যারি অন ম্যাম......

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা সর্বদা।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

কালীদাস বলেছেন: ব্রেক আপ /:) মেয়েদের ভেতরকার সাইকোলজিটা দেখছি খানিকটা এই পোস্টে (আগেরটার শেষে শুরু)। পরেরটায় দেখব কোনদিকে যায় ঘটনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মেয়েদের সাইকোলজিটা নানারকমই হয় তবে কিছু কমন তো থাকবেই। ছেলেদের সাইকোলজীটাও অবশ্য জানা হয়ে যায় একটা সময়। সেটাও লিখবো। তবে কিছু সাইকোলজী ছেলে মেয়ে ভেদে অজ্ঞাত অজানা থেকে যায় আমৃত্যু।

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: উপস! ১১ তে এসে পড়েছেন! পড়তে হবে আগেরগুলা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আমার লেখার গতী দেখছি ভালোই। পাঠকেরা মাঝে মাঝেই এসে এমনটা বলছেন। একটু গতী কমাতে হবে মনে হচ্ছে।

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: গতি ব্যাপার না। সব লেখাই তো সংরক্ষিত থাকছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সংরক্ষিত থাকছে বটে কিন্তু বিরক্তি না ধরে যায় সেটাও ভাবনার।

৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বিরক্তি ধরলে কেও মনে হয় না আগের পর্বগুলো পড়ে পড়ে কমেন্ট করত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ কারণেই আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমার এ পরিশ্রম বৃথা যায়নি। আমার লেখনী আমি অন্তত কিছু মানুষের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি।

৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: জি, আমি রাননার ভক্ত কারন আমি নিজে ভালো রাধতে পারিনা। আপনি ইশিফিশি বোলে ডাকতে পারেন...

প্রায় ই ডাল রাননা করি কিনতু প্রতিবার অখাদ্য হয়..
আমার ইমেল: [email protected]

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইমেইলের জন্য। এবার নিশ্চয় ডাল রান্নায় সফল হবেন।

৩২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




কারো অশ্রুভেজা চোখের কথা না হয় মনে রাখলেন । মনে রাখলেন না হয় কারো শেষের চুম্বনখানি ।
কিন্তু পাঠকের কথাও যে মনে রাখতে হয় ! অথচ গল্প ছেড়ে বসে গেলেন কবিতায় ...................

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না পাঠকের কথাও মনে আছে শুধু সময় সুযোগ হলো না এ দুদিনে লিখবার। কবিতা লিখেছিলাম শুধুই লেখবার জন্য। দেখলাম সেটাও পাঠক বেশ গ্রহন করেছেন। তাই ভাবছিলাম কবিতা লেখাটাও মন্দ না।

৩৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:
নতুন পর্ব কোথায় কংকাভাইয়া !

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লিখছি। লিখতে গিয়ে যা হবার তাই হলো....
তাই একটু দেরী হচ্ছে.....

লেখা হলে আপনাকে জানিয়ে আসবো জাহিদভাইয়া।

৩৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কংকা ভাইয়া কেন? আপনি কি তবে ভাই? :-&

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না। জাহিদ অনিক ভাই এক নাটকের ডায়ালগ বলেন। আজ রবিবার মনে হয় সেই নাটকের নাম। যেখানে জাহিদ হাসান একটা মেয়েকে কংকাভাইয়া বলতো। ভীতু ছিলো।

৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এই পর্বে অনুভূতি বেশ তীব্র। লাস্টের কবিতা ভাল হয়েছে। কি মনে করে কবিতা টা দিলেন?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মাইন্ড ডাইভার্ট করতে।

৩৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখনীর মাধ্যমে অতীত দিনের আবেগ অনুভূতির চমৎকার চিত্রায়ন ঘটেছে।
কবিতাটা নতুন চমক, ভাল লেগেছে (২য় স্তবকটি ছাড়া, ওখানে একটু সম্পাদনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি)।
গল্পে ভাল লাগা + +

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কবিতাটা ছিলো মাইন্ড ডাইভার্ট করার জন্য ।কিন্তু পাঠক তা পছন্দ করেছে এটাতেই অবাক হলাম।

৩৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ পর্বে বেশ কয়েকটি চমৎকার মন্তব্য এসেছে। তার চেয়েও বেশী ভাল হয়েছে আপনার কয়েকটি প্রতিমন্তব্য। সুপার্ব!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খায়রুলভাই। কৃতজ্ঞতা।

৩৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

জেন রসি বলেছেন: সুন্দরের পাশেই বসে থাকে বিষধর সাপ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ। সুন্দরের কাছে যাওয়া সহজ নয়।

৩৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রাঙ্গামাটির পথে হাঁটাহাটি আবার বাংলাদেশ থেকে ট্রাঙ্ককল? গোলমেলে লাগলো। রাঙ্গামাটি তো আমি জানতাম বাংলাদেশে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সেটাও রাঙ্গামটির পথ।

৪০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




বিস্বাদে শেষ হলো এই পর্ব । নাড়ির টান যতই নিষ্ঠুর হোক না কেনো হারানোর আগাম বার্তায় হৃদয় যন্ত্রণাময় করে তোলে। চলুক...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কিছু প্রেডিকশন বুকের মধ্যে আগে থেকেই কাঁদে।

৪১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ কিছু প্রেডিকশন বুকের মধ্যে আগে থেকেই কাঁদে - খুব ভাল লাগলো আপনার এ হৃদয়মথিত উপলব্ধিটুকু।
চমৎকার!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৪২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩

একলব্য২১ বলেছেন: দোলনের সাথে আপনার প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক কত দিনের ছিল।

দোলন মনসা দেবীর মূর্তির সামনে ছোট্ট পাত্রে রাখা সিঁদুর তুলে নিয়ে আমার সিঁথিতে লাগিয়ে দিলো।

এটা কি বাস্তবিকই ঘটেছিল। মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র।

এই লেখার প্লট নিয়ে আমি ঘুমাতে যাই। ঘুম থেকে উঠি। কাজ করি। আবার এই প্লটে ফিরে আসি। বড়ই অসোয়াস্তিকর অবস্থা। ন্যাড়া সত্যি সত্যি বারবার বেল তলায় যায়। :(

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ৯/১০ মাস হবে । ভুলে গেছি প্রায় .....

হা হা মন্তব্য মজাদার।

যাইহোক এরপর আরও একটা পড়াবো। তারপর আরও আরেকটা... তারপর.....

৪৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

একলব্য২১ বলেছেন: যাইহোক এরপর আরও একটা পড়াবো। তারপর আরও আরেকটা... তারপর.....

বদ মতলব আঁটছে। উনার ইচ্ছা আমার পার্মানেন্ট ঠিকানা হোক পাবনা।

আমিও কম না। পলিটিক্স করে মিরোরডলকে ফাঁদে ফেলে দিছি। জাস্ট প্রথম পর্বটা পড়াইতে পারলেই হল। বাকি কাজ আপনা আপনি হয়ে যাবে। আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি লেখিকা ৩২ দাঁত বের করে কেলিয়া হাসছে। হা হা হা......

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হা শুধু ৩২ দাঁত না হি হি হি হি করে ভূতের হাসি পেত্নীর হাসি।

:P


ড্রাফটে একটা কবিতা লিখেছি। গোপন কবিতা।

অনেক বেশি বিজি ছিলাম রেকর্ডিং নিয়ে।
এখন তান্তি তান্তি লাগতেতে ....... রেকর্ডিং শেষষষষ হি হি
উফফফ আমি সব কিছুতে এত সিরিয়াস কেনো বুঝিনা....
তাই তো এত কত্ত হয়!!!!!!!!:(


আর নিজের অকাজ বেকাজ নিয়ে বাঁচিনা আর কই থেকে সব অকাজ যে আমার ঘাড়ে চাপে..... আমি নিভৃতচারী মানুষ নিভৃতে থাকতে চাই তানা এক্কেবারে পাবলিকে মনে হয় এইবার টেনে হিচড়ে বের হতেই হলো.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.