নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ১৪

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪


ও বাড়ির গেটে যখন পা দিলাম। তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল নেমেছে। ভেবেছিলাম এতক্ষনে বুঝি সেখানে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। মা নিশ্চয় আজও আমাকে দেখা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়বেন আমার উপরে ঠিক সেদিনের মত। চিৎকার চেঁচামেচিতে পাড়া মাৎ করবেন। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম সেই মধ্য দুপুর গড়িয়ে বিকেলবেলাতেও মানে দুপুরবেলার ভাত ঘুমের সময়টুকু বেশ আগেই পেরিয়ে গেছে তবুও সারা বাড়িতে তখনও এক ঝিম ধরা ভাব। মা মনে হয় তার দ্বিপ্রাহরিক নিদ্রা ছেড়ে এখনও ওঠেননি। কাজের লোকজন সব তখনও নিজ নিজ বিশ্রামেই রয়েছে। আমাকে দেখে বাগানে বাঁধা বিশাল এলসেশিয়ানটা শুধু মুখ তুলে একবার চেয়ে আবার তার সাদা ঝকঝকে পানির পাত্রে মুখ ডুবালো। হলুদ আর লাল রঙের ডোরাকাটা রাবারের তোবড়ানো বলটা যা দিয়ে তিতলী ওকে খেলা শেখাতো কিছুদিন আগেও তা পড়ে ছিলো ঠিক তার পাশেই। বারান্দার রেলিং এ দুইটা চুড়ুই ঝগড়া করছিলো কিচির মিচির। সিড়ির ধারের পাতাবাহার গাছের সাদা হলুদ ছোঁপ দেওয়া পাতাগুলি বিকেলের ঝিরঝিরে সেই বাতাসে কাঁপছিলো তিরতির।

আমার মাথা কিছুই কাজ করছিলো না। আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত বাগান পেরিয়ে বারান্দায় পা দিলাম। বারান্দার চারিদিক ফুলে ফুলে ঝলমল করছে। বড় বড় টবে ফুটে রয়েছে ক্রিসেনথিমাম। কি ঝকঝকে মন ভালো করে দেওয়া চেহারার ফুলগুলো। সাথে পেতলের ঝকঝকে টবগুলো সোনার মত চকচক করছে। আমি খানিক থমকালাম। মনে হলো আচ্ছা এসব টব কি কাজের লোকজন রোজ রোজ পলিশ করে? খেয়াল করিনিতো। নইলে এত ঝাঁ চকচকে চেহারা হয় কেমনে করে? কি সব সাত পাঁচ ভাবছিলাম কে জানে। আমাকে চমকে দিয়ে হঠাৎ হাশেমচাচা বললেন, আমি তাহলে যাই মা। তুমি ভেতরে যাও। মনে হচ্ছে কোনো সমস্যা হবে না। আমি আসলে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, কি হচ্ছে চারপাশে বা আমি কি করছি বা উনি কি বা বলছেন আমাকে। আমি মাথা নেড়ে সায় জানালাম। হঠাৎ তিতলী কোথা থেকে যেনো ছুটে এলো, আমার হাত ধরে টানতে লাগলো।

ওর সাথে আমি আমার নিজের অগোচরেই চলে গেলাম ওর নতুন পুতুল বাড়ির খেলাঘরে। তিতলী আমাকে হাত ধরে কার্পেটে বসালো। বক বক করে চললো অনর্গল কি সব। কত্ত রকম পুতুল ওর। বৌ বার্বি, বর বার্বি, তাদের ছেলে মেয়ে সংসার। বেডরুম, ডাইনিং রুম, কিচেন আরও কত কি? হঠাৎ ভীষন হাসি পেলো আমার। সংসার। হায়রে সংসার। এ জগৎ সংসার এক বিশাল রহস্য। হঠাৎ কোথা থেকে যে কোথায় মোড় নেয় এক মুহুর্ত আগেও কেউই জানেনা। তিতলীটা কি সুন্দর হয়েছে। একদম মায়ের গায়ের রঙ পেয়েছে। চেহারাটাও যেন এক পুতুলের মুখ কেটে বসানো। ওর ঘোর কালো ঘন বাঁকানো বাঁকানো চোখের পাপড়িঘেরা গোলগোল চকচকে মনির চোখদুটো ঘুরিয়ে যখন কথা বলে। মনে হয় যেন জ্বলজ্বল হীরের দ্যুতি ঠিকরে বের হচ্ছে। ওর চারপাশ ঘিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অজস্র পুতুলের মাঝে ও নিজেই এক জীবন্ত পুতুল।

আমি বসে রইলাম ওর পুতুলের খেলাঘরে ঐ নিষ্প্রান পুতুলগুলোর মতই প্রাণহীন, নিশ্চল। সারা শরীর জুড়ে কি এক অবসন্নতা আর ক্লান্তি। আমর প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছিলো। হাই উঠছিলো বার বার। আমি আসলে আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। আমার সামনে ভুত ভবিষ্যৎহীন অন্ধকার। আমি জানিনা এইবার আমি ঠিক কি নিয়ে বাঁচবো। কিছুই ভাবতে পারছিলাম না, কিছুই না। শিউলি মালটোভা মেশানো গাঢ় খয়েরী রঙের এক গ্লাস দুধ নিয়ে এলো তিতলীর জন্য আমাকে দেখে চমকে উঠলো, আপনি এইখানে? আপনাকে তো খালাম্মা খুঁজতেসে। এই কথায় আমার কোনোই ভাবান্তর হলো না। মনে হলো খালাম্মার কোনো কিছুতেই আমার আর কিছুই যায় আসে না আসলে। অথচ কত কত দিন আমি অপেক্ষায় থেকেছি, অপেক্ষায় ছিলাম, মা আমাকে একটাবার কাছে ডাকবে বুঝি। চুল বেঁধে দেবে বা জিগাসা করবে খেয়েছি কিনা। কিন্তু মা যেন আমাকে ভুলেই গিয়েছিলো।

কি অপরিসীম দক্ষতায়, অবর্ণনীয় উপেক্ষায় এবং আশ্চর্য্য অবহেলায় মা আমাকে এড়িয়ে গেছেন দিনের পর দিন। এই বাড়িতে আমি যেন কোনো অদৃশ্য চলমান বস্তু। যাকে মা দেখতেই পেতেন না। কি খেলাম না খেলাম, কোথায় গেলাম না গেলাম কোনোকিছুরই যেন মূল্য ছিলোনা মায়ের কাছে। অন্যান্য সকলের মত মায়ের কাছেও আমি ছিলাম এ বাড়িতে চরম অপাংক্তেয় একজন। অবশ্য আমি এতদিনে বুঝেছি কেনো আমাকে ঘিরে মায়ের এই উদাসীনতা ছিলো? কিসের ছিলো সেই ক্ষোভ। আমার বাবাই সেই উদাসীনতা বা ক্ষোভের কারণ। বাবা, আমার মায়ের জীবনের এক চরম পরাজয়। অপূরনীয় ক্ষতি, মায়ের পরম হার। আমার বাবা যে উপেক্ষায় এই পরমা সুন্দরী স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গেছেন সেই উপেক্ষার জ্বালা সহ্য করার ক্ষমতা ছিলো না আমার পরমা সুন্দরী, অহংকারী মায়ের জন্য। সেই উপেক্ষা বা ত্যাগের যন্ত্রনা তাকে কুরে কুরে খেয়েছে সারাটাজীবন।

নতুন জীবনে এসে মা তাই তার আর কোনো পিছুটান চাননি। পিছে ফিরে তাকাতে চাননি তার এই পরাজিত ইতিহাসের কোনো স্মৃতির কাছে। কিন্তু চোখের সামনে এই জলজ্যান্ত আমি বাবার স্মারকলিপি হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। সেটাই মায়ের আসল যন্ত্রনার কারণ ছিলো। এই আমি ছিলাম মায়ের সকল যন্ত্রনার কারণ। আমি বা আমার উপস্থিতি মাকে যন্ত্রনায় বিদ্ধ করে যেত। এটা জানতে আমার অনেক দেরী হয়েছিলো। কি যে সব সাত পাঁচ ভাবছিলাম। শিউলী আবার তাড়া দিলো। খালাম্মা ডাকতেছিলো আপা। এখুনি যান, নইলে রাগ অইবো। পরম আলস্যতায় উঠে দাঁড়ালাম আমি। পায়ে পায়ে হেঁটে গেলাম মায়ের রুমের দিকে।

মা ইজিচেয়ারে বসে ছিলেন তার রুমেই। হাতে মায়ের প্রিয় বই বিমল মিত্রের কড়ি দিয়ে কিনলাম। ছোট থেকে আমি অন্তত পঞ্চাশ ষাটবার মাকে এই বই পড়তে দেখেছি। বিমল মিত্রের এই কড়ি দিয়ে কিনলাম বইটার মত আরও কিছু প্রিয় বই আছে মায়ের। কেরী সাহেবের মুন্সী, অপরাজিত, নিশিকুটুম্ব, মেমসাহেব আরও এমন কিছু বই যা মাকে বার বারই পড়তে দেখেছি।। আচ্ছা মা একই বই কতবার পড়ে? মায়ের কাছে কত কিছু জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তার সাথে এমন সহজ সম্পর্ক নেই যে এই সামান্য প্রশ্নগুলোও তাকে করতে পারি আমি। আমার স্কুলের বা কলেজের বন্ধুদের মায়েদেরকে দেখেছি। স্কুলগেটে দাঁড়িয়ে থাকতে। মায়ের থেকে টাকা নিয়ে আঁচার বা চটপটি কিনে খেতে এমন আরও কত কত স্মৃতি। আমার মা কোনোদিন আমার জন্য স্কুল গেটে যায়নি। আমাকে কোনোদিন সাথে করে স্কুলে নেয়নি। যেন আমি তার মেয়ে এটা স্বীকার করাতেই ছিলো তার লজ্জা।

মা আমাকে দেখে চোখ তুলে চাইলেন। হাতের বই নামিয়ে রাখলেন পাশের সাইড টেবিলে। তারপর সেখানে রাখা দুটি ফটোগ্রাফ তুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। বললেন,

- আমরা এই ছেলের সাথে তোমার সন্মদ্ধ ঠিক করছি। ছেলে বিদেশ থাকে। পিএইচডি করেছে সেখানেই ইউনিভারসিটিতে জব করছে। দেশে এসেছে বিয়ে করতে। তুমি কাল এর সাথে দেখা করবে। মা শুধু আদেশ নিয়েই ক্ষান্ত হলেন না সাথে মায়ের তিরষ্কারও শুরু হলো।
"এই বয়সেই যে অঘটন তুমি ঘটিয়েছো তাতে লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেছে। তোমার জন্য কোথাকার কোন ছোটলোকদের কথা শুনতে হলো আমাদেরকে। জীবনেও ভাবিনি আমার পেটের মেয়ে হয়ে তুমি হবে এমন বেহায়া এবং নির্লজ্জ। ছি ছি লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করে আমার।" আরো সব অসহ্য রকম ভৎসনায় উনি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আমাকে। আমি ছবিটা হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে ছিলাম। মন দিয়ে শুনছিলাম মায়ের কথাগুলো। নির্লজ্জের মতই মনে হয় তাকিয়েও ছিলাম ছবিটার দিকে। কিন্তু আসলে ছবিতে আমার মন ছিলো না। আমি ছবিতে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। মা বললেন,
-তোমার সাত জনমের ভাগ্য এমন একজন ছেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এমন উচ্চ শিক্ষিত উচ্চবংশ ছেড়ে.......
মা আরও আরও কি কি সব বলে যাচ্ছিলেন। আমি মায়ের কথার মাঝেই হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেতেই ছবিটার দিকে মন দিলাম। কি অসম্ভব ভদ্র এবং চৌকশ চেহারার একজন মানুষ। হাতে একটি পেপসির প্লাস্টিক গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন শীপের রেলিং এর ধারে।
মনে হয় কোনো জাহাজ ভ্রমনের ছবি। পিছে সারি সারি আলোক মালার ঝালর। কুঁচকুঁচে কালো রাত্রীর মাঝে দ্যুতি ছড়াচ্ছে সেই ছোট্ট ছোট্ট আলোক বিন্দুগুলি। কি অসম্ভব সুখী একজন মানুষের ছবি। একজন সফল মানুষ।

মা উঠে গিয়ে আলমারী থেকে একটি শাড়ির প্যাকেট বের করে আনলেন। প্যাকেট থেকে সেলোফেন কাগজ মুড়ানো হাল্কা গোলাপী আর সোনালী রঙের অদ্ভুত মায়াময় কারুকাজ করা একটি কাতান শাড়ি ছুঁড়ে দিলেন আমার দিকে। বললেন-
কাল সকালে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের রুপাকে বলেছি। সে এসে তোমাকে সাজিয়ে দেবে। ড্রাইভারকে বলা আছে ঠিক বারোটার মাঝেই বের হয়ে যাবে। হোটেল সোনারগাতে আছে আরবাজ। সেখানেই লাঞ্চের জন্য বুক করা আছে। মা মনে হয় আপদ বিদায় করতে পারলেই বাঁচেন। বিশেষ করে আমার মতন কেউ যখন আপদ....

শাড়িটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম আমি। দরজার কাছে পৌছুতেই মা বললেন,
-শোনো। আমি ফিরে তাকালাম। মা বললেন,
- গর্ধবের মত আবার তোমার সাত কাহন খুলে বলতে বসো না এই ছেলেকে। অনেক পুন্য করলে এমন ছেলে পাওয়া যায়।
আমার খুব হাসি পেলো। জানতে ইচ্ছে হলো, মা কি তবে কোনো পুন্যই করেননি? সারাজীবন জ্বলে পুড়েই মরলেন উনি এত প্রাপ্তির পরেও। আমার ঠোঁটের কোনে অস্ফুটে এক চিলতে হাসিও ফুটে উঠেছিলো হয়ত। মায়ের অলখে সেই হাসি আমি লুকিয়ে ফেললাম।

নিজের রুমে ফিরে এসে হঠাৎ আমার বুকটা হু হু করে উঠলো। আমি জানালায় দাঁড়ালাম। আকাশে কত তারা। পুরো আকাশ জুড়ে তারার ঝিলিমিলি। বেশ দূরের মেইন গেটের সাথে লাগানো হাস্নাহেনা ফুলের গাঢ় স্নিগ্ধ গন্ধ ভেসে আসছে। পৃথিবী কত সুন্দর! সারা পৃথিবীর প্রতিটি ক্ষন তার রূপ রস গন্ধের ডালি নিয়ে বসে আছে। হয়ত আমাদেরকে সুখী করতেই বিশ্ব বিধাতার এত আয়োজন। তবুও এরই মাঝে আমরা মানুষ বা কিছু মানুষ দারুণ অসুখে ভুগছি।

বুকের ভেতর ব্যথার হাহাকার। চাপ চাপ বেদনা। আমি এই বেদনার নাম জানি। কিন্তু আমি এখন সেটা মনে করতে চাইনা। কিছুতেই না।
শৈশব আমাকে নিঃস্ব করে দিয়ে যেতে পারতো। কৈশোর আমাকে উছন্নে ভাসিয়ে দিতে পারতো অবলীলায়। কিন্তু আমি ভেসে উঠেছি। বার বার প্রতিটা ঝড়ঝঞ্ঝা চরম আঘাতও আমি হঠিয়ে দিয়েছি। আমি পিছু হঠিনি কখনও কিছুতেই। এগিয়ে গিয়েছি সকল বাঁধা বিঘ্ন পেছনে ফেলে। আমি হেরে যাবো না। কোনোভাবেই পরাজিত হবোনা আমি। দোলন আমার কাছে আজ থেকে এক মুছে যাওয়া অতীত। ইরেজার দিয়ে ঘষে মেজে তুলে ফেলতে চাই আমি এই অতীতকে আমার জীবন থেকে চিরতরে। এক বিন্দু ক্ষীন মলিন দাঁগও যেন সেখানে না থাকে ।


গভীর রাতে আমি দরজা বন্ধ করে আমার গোপন বাক্সের ডালা খুলে বসি। দোলনের দেওয়া ডজন ডজন লাল, নীল, হলুদ, সবুজ কাঁচের চুড়িগুলি টুকরো টুকরো করে গুড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলি। ওর দেওয়া কাশ্মিরী সিল্ক নাচের ঘাঘরি, বালুচুরি শাড়ি কাঁচি দিয়ে কুঁচি কুঁচি কেটে ফেলি। আছড়ে ভাঙ্গি আমার ভীষন ভীষন প্রিয় মাটির টেরাকোটা পুতুলগুলি এবং কবিতার ভাষায় আমাকে লেখা শত শত চিঠিগুলি আমি দেয়াশলাই জ্বালিয়ে পোড়াতে থাকি। সেই কাগজ পোড়া গন্ধে ঘর ভরে ওঠে। আমি বুক ভরে শ্বাস টেনে নেই।

আহ কাগজ পোড়া বিভৎস্য দমবন্ধ এক গন্ধ....

আমার ভীষণ হাসি পায়......

তীব্র হাসি......

অট্টহাসি পায় আমার .......

তবুও অবাক হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করি মেঝের উপর চোখের জলে ভেসে যাওয়া এক সাগরের মাঝে......


(চলবে)

একি খেলা আপন সনে- ১৩

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

মিথী_মারজান বলেছেন: ভাল লাগা অবিরাম আপু।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মিথী। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবভাই।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যথারীতি আরও অপেক্ষা। রেশটা রয়েই যাচ্ছে। ধরে রেখেছে এখনও সমানতালে। মুগ্ধতাও মিশে থাকছে পর্বের পর পর্বে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি নিজেও অবাক। এইভাবে পাশে পাবো আপনাদেরকে এটা ভাবিনি।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধারাবাহিক উপন্যাস
খেলা আপন সনে - ১৪
আগামী বই মেলায় দেখা যাবে কি?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা
না তেমন কোনো ইচ্ছে নিয়ে লেখা শুরু করিনি।

তবে অনেকের পরামর্শ শুনে সাহস বাড়ছে মনে।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সময় তার নিয়মের হেরফের করে না। চমৎকার সেটিং এবার অনেক ভাল লাগলো সববারই ভাল লেগেছিল। গল্পের ভেতরি ছিলাম এখনো আছি তবে এবারের খন্ডে চিরাচরিত গল্পগুলো থেকে একটু আলাদা লাগল আমার কাছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ভাল থাকবেন সবসময়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সুজনভাই সত্যি বলতে আপনাদের আন্তরিকতায় আর সহযোগীতায় আমি আপ্লুত। এত উৎসাহ উদ্দীপনা না পেলে হয়তো আমার লেখাটা এত দূর আগাতো না।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আপনি আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন হয়ে উঠেছেন। আপু কি আমাকে কোন বিশেষ টিপস দিবেন দয়া করে? যেন আমি ও আপনার মত সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে পারি। সকল সুন্দর কথা যেন আপনার গল্পে চলে আসে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একদিন ঠিক এইভাবে আমিও একজনকে জিগাসা করেছিলাম। গল্প লেখার নিয়ম কি? সে আমাকে উত্তর দিতে পারেনি। আমি আসলে আজও শিখিনি বা জানিনা গল্প কি করে লেখে। শুধু জানি নিজের মত করে কিছু কথার বর্ণন। এটাকে গল্প বলে কিনা জানিনা ভাই। দোয়া করি আপনি সেরা গল্পকার হয়ে উঠুন। আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আপু এ সিরিজ গল্প দিয়ে একটা বই বের করতে পারেন। আমার বিশ্বাস কেউ অপছন্দ করবে না। হিট হবে সিওর।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কিভাবে বের করবো? এই লেখা নিয়ে গেলে প্রকাশক কি পড়েও দেখবে? আপনারা পড়ছেন এটাই পরম পাওয়া।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অাপনার লিখনীর হাত নিপুন গল্প বলার ঢং এতই মোহনীয় যে সবাই এক বসায় সমস্ত গল্পটি পড়ার প্রতিজ্ঞা করতে পারে। সত্যি একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। যে গল্প হাসাতে পারে, কাদাঁতে পারে আবার ডুবাতে পারে ভাসাতেও পারে তাকেই গল্প বলা চলে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ মন্তব্যে আমার ভেসে যাবার কথা। সুজনভাই এই মন্তব্যের কোনো প্রতিত্তোর হয় না। আমি আসলেও আপ্লুত হলাম।

৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প পড়িয়া একটা লাইক প্রদান কার হইল!! :)


গল্প ভালো হয়েছে+

চলুক......

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশাভাই। শুভকামনা।

১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

জাহিদ অনিক বলেছেন:




বালিকার সর্বগ্রাসী প্রথম প্রেমের করুণ পরিণতি।


পরের পর্বের আশায় ।

ভালো হচ্ছে কংকাভাইয়া।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জাহিদভাইয়া ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বিয়ে হবে বিয়ে! B-)
আসলেই হবে তো? :||

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা দেখা যাক। তবে আপনার কি মনে হচ্ছে? হবে?

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে হবে। হওয়ার পর কাহিনী শুরু হবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হা তাহলে বিয়ে দিয়েই দেই। কি বলেন?

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: না, মাদার তেরেসা বানায় দেন। =p~

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সেটাও মন্দ না। দেখি সে আসলেই কি হতে চায়।

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: এক টানেই পড়ে ফেলাম। এ পর্বও ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রামানিকভাই শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনি অনেক ভাল লিখেন এটা যদি না বলি তাহলে আপনার উপর অন্যায় করা হবে । একজন ভাইয়া আয়াজউদ্দীন না এরকম নামটা উনিও খুব ভাল লিখেন, এই ব্লগে যত লেখকের গল্প পড়েছি আপনারা দুজনই সেরা। ধন্যবাদ আপু !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি আসলেও এই ভালোবাসার কোনো প্রতিদান দিতে পারবোনা হয়তো। শুধু বলি প্রাণ থেকে শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শেষে এসে হাসাহাসি ডট কম..... :)



গল্প ভাল লিখেছেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সব হাসি হাসি নয়।

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শেষের লাইনটা আসলে, পাঠক হিসাবে মেনে নিতে চাচ্ছিলাম না......



২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষেরও শেষ লাইন আছে। আরেকবার পাঠ করে দেখেন। শুভকামনা।

১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

সকাল রয় বলেছেন: ভালো লেখার হাত আপনার। মাঝে মাঝে পড়তে হবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সকালভাই। শুভকামনা।

১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি দোলন কে একটু ও ভালবাসতে পারি নি , এর কোন কারন নেই কিন্তু ।
আপনার বর্ণনা এত্ত এত্ত রোমান্টিক হবার পর ও দোলন অপাংতেয় লাগছিলো ।

এই পেপসির প্লাস্টিকের গ্লাস হাতে নেয়া মানুষ টাকে ভালোবেসে ফেললাম ,প্লিজ তাকে ভীলেন বানাবেন না ।


আর হ্যাঁ যে কোন পোড়া গন্ধই বিভৎস্য ও দম বন্ধ করা হয় ।


লেখায় একরাশ মুগ্ধতা ,কেনো মুগ্ধতা অপ্সরার পোষ্ট করা মন্তব্যে গুছিয়ে লিখেছি ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দেখেছি। সেসব দেখেই আমি আপ্লুত এবং লজ্জিত।

তবে আপনার মন্তব্যের পরে প্লাস্টিকের গ্লাস হাতে মানুষটাকে নিয়ে ভাবলাম। আপনার তৃতীয় নয়ন আছে।

তবে এই অংশ পড়ে "প্লিজ তাকে ভীলেন বানাবেন না ।' একচোট হাসলাম। জানেন আমার কলিগেরাও এমন করে বলে। প্লিজ এটা কইরেন না। প্লিজ এইবার মেয়েটাকে একটু শান্তি দেন। এমনই নানা কথা, নানা ইচ্ছের প্রকাশ। কেউ কেউ হুমকীও দেন, আর যদি আমাদেরকে কাঁদাইছো... এসব শুনে আমি হাসি। ব্লগের কথা মনে পড়ে। এইখানেও কেউ কেউ আমার গল্পের চরিত্রের সাথে মিশে থাকে।

আসলে এভাবে তো কখনও কাউকে বলা হয়নি। এই যে গল্পে যা বলছি তা হয়ত আমি না। এমন করে আমি কাউকে গল্প বলতে পারিনা। এখানে যে লিখছে তা হয়তো আমি না। আমার ভেতরের অন্য কেউ।

অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপা। অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানবেন।

২০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: গল্প বলার আপনার স্টাইলটা অনন্যসাধারণ। শব্দগুলো কেমন গড়গড়িয়ে চলে, চলতে চলতে নানা ছবি ফুটিয়ে তোলে! যেমন গল্পের শেষের শব্দগুলো- একি কবিতা?

অট্টহাসি পায় আমার..........
তবুও অবাক হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করি মেঝের উপর চোখের জলে ভেসে যাওয়া এক সাগরের মাঝে.........

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না এটা কবিতা না। গল্পেরই অংশ আপা।
ফিলিংসটা এমনই ছিলো হাসি এবং তারপর সেই ভুল হাসির মাঝে সত্য ফিলিংসটারই প্রকাশ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপা। মন দিয়ে পড়ছেন জেনে কৃতজ্ঞতা।

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি ভাললাগার সর্বোচ্চ প্রকাশ করতে যে শব্দটি ব্যবহার করি সেটা হল "চমৎকার" । সেটাই জানিয়ে গেলাম এখানে। ভাল থাকবেন আপু। :)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীল দর্পন আপা।ভালো থাকবেন।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রাজকন্যা, এ পর্বটা খুব ভালো লাগলো আপনার লেখার মুন্সিয়ানার জন্য | জীবনের বাঁক ঘোরা একটা জায়গায় দাঁড়িয়েও খুব সুন্দর করে ডেসক্রাইব করেছেন ঘটনা | খুব আবেগে হাহাকার মনে হয়নি তা, আবার ভালোবাসার কষ্টটাও পুরো বোঝাতে পেরেছেন |হ্যাটস অফ কুশলী লেখার জন্য | আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মার্ সাথে দেখা করার আগে পরের ছোট ছোট সব ডেস্ক্রিপশনের জন্য | মার্ পড়া বইয়ের নাম | অনেক বার করে এক বই পড়া এই ছোট ছোট বর্ণনাগুলোই জুয়েল ইন দ্যা ক্রাউনের মতো বাড়িয়ে দিয়েছে পুরো লেখার সৌন্দর্য্য | এই কাহিনী আমি যদি লিখতাম এই ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনাগুলো দূরবীন দিয়ে খুঁজলেও পেতাম না বলার জন্য | আর তাতে সবাই আমার লেখা পরে ইয়াক বলতো আর আপনার লেখায় ইয়াম ইয়াম বলে হামলা করে পড়ছে | ওয়ান্ডারফুল ! অফ টপিক, আপনার মা-র বইয়ের লিস্টগুলো কিন্তু খুব ভালো | মনোজ বসুর "নিশিকুটুম্ব" পড়েছেন আপনি ? ওটা এসএসসির -পরে নানী বাড়িতে যেয়ে পড়া আমার | সাহেব চোরের কাহিনী নিয়ে খুবই সুন্দর বই | বিমলমিত্রের ইয়া মোটা কড়ি দিয়ে কিনলামও সেই ভ্যাকেশনে পড়া | ওটাও সুন্দর | আমার খুবই সন্দেহ কেরি সাহেবের মুন্সি -ও আমি তখন পড়েছি | নামটা খুবই পরিচিত লাগছে | অফটপিক টু, ব্লগে এখন সবাই রাজকন্যার জয়ধ্বনি দিচ্ছে সেরা নতুন ব্লগার হিসেবে | আমি হাসছি সেটা দেখে | নস্ট্রাডমাসের -দ্যা ম্যান হু স টুমোরো'র মতো মনে হচ্ছে নিজেকে |আমিতো সেই সেপ্টেম্বরেই রাজকন্যার রাজসিক আগমনের ঘোষণা দিয়েছি প্রথম লেখা থেকেই | সবাই আজ যা দেখছে আমি অতীতেই তা দেখতে পেয়েছি | ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা দ্রষ্টা মনে হচ্ছ নিজেকে | মিথির মতো লেখায় ভালো লাগা অবিরাম | আর ওমেরার কথার সাথে একটু যোগ করে বলি -শিওর আমরা ব্লগের সব সময়েরই সবচেয়ে কুশলী একজন গল্পকারের উজ্জ্বল আগমনের সাক্ষী হয়ে যাচ্ছি মনে হচ্ছে | আবারো কুর্নিশ | ভালো থাকবেন |

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গল্প লেখাটা আমার হবি নয় তবে অনেক কিছুই লিখি আমি। লিখতে হয়। লেখাটাই আমার হবি। কারো জন্য না হলেও নিজের জন্য। কত শত প্রিয় অপ্রিয় সফলতা বিফলতার ছবি দিয়ে গড়া থাকে আমাদের এই মানব জন্ম। লিখলেই এক একটি গল্প হয়ে যায়।

মলাসইলমুইনাভাই, আপনাদের উৎসাহে মনে হচ্ছে সব ছেড়ে এখন গল্প লেখাটাই ধরতে হবে। যদি গল্প লেখা শুরু করি তবে তার কৃতিত্ব হবে পুরোটাই হয়তো আপনাদেরই। কিন্তু আমি জানিনা আসলেই আমি সেটা কন্টিনিউ করবো কিনা। সে যাইহোক, বই পড়া বা আমার জীবনে দেখা নানা রকম ফুল বা গাছের ছবিগুলি পেছনে ফিরে যখনই তাকাই আমার চোখে ভাসে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সিজনে প্রকৃতির বিভিন্ন রুপ রস গন্ধটাও যেন আমি ফিরে পাই। এই কারণে বুদ্ধদেব গুহ আমার সবচাইতে প্রিয় লেখক। বিভূতিভুষন তো প্রকৃতি ব্যাবচ্ছেদের গুরু।

নিশিকুটুম্ব আমি পড়েছি। শেষে পাতাগুলোতে এসে সহ্য করতে পারিনি। বই বন্ধ করে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। এই সব নিঁখুত বর্ণনা। সাহেবের ফিরে যাবার দৃশ্য কিভাবে বর্ননা করেছেন এসব লেখকেরা ভেবে পাই না আমি। আরও একটা বই ছিলো আমার তালপাতার পুঁথি। এছাড়াও আরন্যক, উদ্ধারণপুরের ঘাট,কোজাগর যা দেখে জেনেছিলাম কোজাগর শব্দটা ভয়ংকর অজগরের মত শুনালেও তার অর্থটা দারুণ মায়াময়। অনেকেই ছদ্মনামে লিখতেন এর মাঝে অবধূতের নামটা বিশেষ অন্যরকম লেগেছিলো। কত যে কথা, কত যে স্মৃতি। বলে কি শেষ করা যাবে এই জীবনে?

সেরা নতুন ব্লগার ব্যাপারটা বিব্রতকর। অনেকেই নতুন লিখছেন, অনেকের হয়ত এখানেই লেখালিখির শুরু। তবে লেখক হিসাবে আমি তো আসলে নতুন না। তাই নতুনদের সাথে পাল্লা দিয়ে সেরা হয়ে যাবার ব্যাপারটা একটু লজ্জাস্করও বটে। একটু দুস্কার্য্যও বলা যায়। সত্যিকারের নতুন লেখকদেরকে উৎসাহ দিলে তাদের লেখালিখি অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে মনে হয়। বিশেষ করে ইয়ং জেনারেশন বা আজকালকার আকাশ সংস্কৃতির ছেলেমেয়েরা তো মন দিয়ে কিছু লিখতেই চায় না। তাদের ব্যাস্ত জীবনে সময় বড় কম।

অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তারপরেও সকলের জন্য আমার। ভালো থাকবেন মলাসইনমুইনাভাই।

আচ্ছা আপনার কি মনে আছে? কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী উপন্যাসটির কথা? নীহাররঞ্জন গুপ্ত এবং তারাশঙ্কর এ দুজন লেখকের কথাও মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় বুকসেল্ফের কালেকশনে এসব দেখেছি।

২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধোঁয়া ওঠা কফির মাগে মন হারিয়ে গেলো। মনে হয় তীব্র শীতে গ্যাংটকে বসে আছি।

২৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার লেখার কথা নতুন করে কি আর বলব।
এবারের পর্বও অনেক ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেলভাই। শুভকামনা আপনার জন্যও।

২৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

জে আর সিকদার বলেছেন:

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর ছবিটার জন্য।

২৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগা রইল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আশ্চর্য হয়ে দেখছি, প্রতিটা নতুন লেখাতেই কিভাবে নিজেকে অতিক্রম করে যাচ্ছেন।

শুরু থেকেই যা যা অনুমান করেছিলাম, মিলে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত মিলে কিনা দেখি!!! খেলাটা খেলতে ভালোই লাগছে.... :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মফিজভাই কৃতজ্ঞতা। তবে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আপনি কি ভেবে রেখেছেন।

২৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ঠিক করছেন কি বানাবেন?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক তো আগে থেকেই করা আছে।

২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তবে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত আপনি কি ভেবে রেখেছেন হা হা হা, বলে যদি দেই, আর মিলেই যদি যায় তাহলে বদলে ফেলবেন। রিস্ক নিতে পারি না... :)। তাছাড়া আমাদেরকে ঝুলিয়ে রেখেছেন, আপনাকেও একটু ঝুলাই.......কি বলেন!!!!!!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঝুলিয়ে রাখিনি। এইভাবেই গল্পটা এসেছে। লিখতে লিখতেই টায়ার্ড হই আমি। আরও লিখলে পাঠকদের পড়তে পড়তে কি অবস্থা হত ভেবে দেখেন।

৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এই পর্ব টাও দারুন । আপনার লেখায় যাদু আছে আপুনি ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক বেশি ধন্যবাদ হাফসাআপু। অনেক ভালো থাকুন।

৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঠিক আছে ফর্মা টর্মা বাদ , আপনি লিখতে থাকুন।
লিখা যথারীতি ভাল হচ্ছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই। লিখছি আমি। দেখি কতদূর যায়।

৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু এই গল্পটা নিয়ে এবার বই মেলায় একটা বই ছাপিয়ে ফেলুন । তাহলে পুরো গল্প একদিন এ পড়া যাবে ।
বই খুব ভালো চলবে । আপনার যাদুর ছোঁয়া মিশে আছে । লেখা খুব ভালো হচ্ছে । কিন্তু অপেক্ষা যে বড্ড কষ্টের । :|

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বই করতে গেলে তো গিয়াসভায়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ঠিক আছে আপনার এবং অন্যান্যদের অনুরোধ নিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ হাফসাআপু।

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

মোঃ কামরুল ইসলাম হাওলাদার বলেছেন: চমৎকার খুভ ভাল লাগলো

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা কামরুলভাই।

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার গল্পের সবগুলো পর্ব একদিন সময় করে বসে পড়তে হবে আপু :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা। সবগুলো শেষ হোক তবে। শুভকামনা।

৩৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৮

কালীদাস বলেছেন: এই সিরিজটা যতই এগুচ্ছে ততই অবাক হচ্ছি মা-মেয়ের রিলেশনটা নিয়ে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার রিয়েল লাইফের অনেকেই এই প্রশ্নটা করেছেন। মা মেয়ের সম্পর্ক এমন হয় কি করে? আমি উত্তর জানিনা। অসংখ্য ধন্যবাদ কালীদাসভাই।

৩৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কালিদাস ভাই আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা অবশ্য অনেকেরই মনের জিজ্ঞাসা। একজন তো আমাকে পারলে পিটানি দিত। বলেছে মা কখনও এমন হতে পারে? গাঁজাখুরি গল্পের আর জায়গা পাওনা না? কি যে বিপদে পড়লাম গল্প লিখে।

৩৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




বরাবরের মতোই করুণ ।

তীরের জন্যে যার প্রান আনচান করে - কাঁদে , সাগরে নামার আগে চোখের জলে ভেসে যাওয়া সেই কথকের জেনে নেয়া ভালো, এ সমুদ্রের কোনও তীর-ই হয় না ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তবুও কথক তীরহারা সেই ঢেউ এর সাগর পাড়ি দেবেই পণ করেছে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদভাই।

৩৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দোলনের চেয়ে মায়ের পছন্দের পাত্রটাকেই বেশি ভালো লাগছে। ভালো মানুষেরা তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কষ্ট পায়; এখানকার পরিণতি কী হয় দেখি!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সকলেরই তাই লেগেছে। আহা দোলনের কষ্ট বা ভালোবাসাটা কোনো মূল্যই পেলোনা।

৩৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

শামচুল হক বলেছেন: খুব ভালো লাগল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য।

৪০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ জগৎ সংসার এক বিশাল রহস্য- আমরা নিয়তির হাতে গুটি মাত্র।
বাবা, আমার মায়ের জীবনে এক চরম পরাজয়! - এটা এবং এর পরের অনেক কথায় "মা"কে তুলে ধরেছেন নিপুণ দক্ষতায়!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না নিপুন দক্ষতায় আসলে তুলে ধরতে পারিনি। সেটা করতে হলে হয়তো এক জীবন লেগে যাবে। এত কি সময় আছে আমাদের এই ব্যাস্ত জীবনে? নেই আর তাই অনেক ইচ্ছে থাকা সত্বেও তিল তিল করে গড়ে তোলা হয় না লেখাগুলি। অনেক ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৪১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

তাসবীর হক বলেছেন: গতকাল পুরো শেষ করতে পারিনি।আজকে সারাদিন এই লেখাটার চিন্তা মাথায় ঘুরেছে।আবার শুরু করলাম পড়া।গল্প খুবই জটিল হয়ে উঠছে।শেষটা দেখেই ছাড়ব...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা।

৪২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০০

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: দোলনেরও বয়স বেশি ছিল না, সে বেচারা কি করতে পারতো। বাংলাদেশে এসে সে কি বা করতে পারতো। দোলনের প্রতি ক্রোধটা বোধগম্য নয় আমার কাছে। আপনাদের ভুল হয়েছিল ওই বাড়িতে গিয়ে ধরা অল্প বয়সেই ধরা পড়া। নাহলে আরো কিছু বছর গেলে ঠিকই দোলন আপনাকে নিয়ে সংসার হয়তো করতে পারতো। জানি না। হয়তো একপেশে ভাবে বলতেছি। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে আপনি পড়েছেন, সেখানে দোলনের কিছুই করার ছিল না আমার মতে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা গল্পের মাঝে ঢুকে পড়া বা গল্পের সাথে একাত্মতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি ভাই। অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা রইলো।

৪৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: নতুন আগমন ঘটবে। পুরাতন বিদায় নিয়েছে।

একটা প্রশ্ন, নারীরা এত আবেগপ্রবণ হয় কেন, বিশেষ করে হৃদয়ঘটিত বিষয়ে। মনে হয় হৃদয় হাওয়া লাগলে মস্তিষ্কের চক্ষু আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায় |-)

আজকে ৬ নং পর্ব থেকে পড়া শুরু করেছি। অনেক চড়াই উৎরাই গেছে এ পর্বগুলোতে। আশা করি ঘন কালো মেঘের বর্ষণের পর আকাশে কিছুটা হলেও আলো ফুটবে।

আজ এই পর্যন্তই থাক। বেশ রাত হয়েছে। আবার আসবো ইনশাআল্লাহ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবগুলো পড়ে মন্তব্যের জন্য কি কৃতজ্ঞতার জবাব লিখবো সেই ভাষাও জানা নেই ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.