নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ১৫

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩


আমাকে এ বাড়ি হতে পাকাপাকি বিদায় করবার আয়োজনে মায়ের বেশ তৎপরতা দেখা গেলো। হয়তো উনি এ সুযোগটাকে আর হাত ছাড়া করতে চাচ্ছেন না। আমার থেকে আজীবনের মুক্তির এই মোক্ষম সুযোগ আর পাওয়া যাবেনা বলেই হয়ত সকাল থেকে তার মহা তোড়জোড় শুরু হলো। সকাল আটটা বাঁজতে না বাঁজতেই রুমের দরজায় ধাক্কাধাক্কিতে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। দরজা খুলতেই দেখি শিউলী দাঁড়িয়ে আছে। সে জানালো মা তাড়াতাড়ি করে নাস্তা খেয়ে গোসল সেরে নিতে বলেছেন। কারণ কিছু পরেই বিউটি পারলারের মেয়েটা আসবে। আমাকে রেডি হতে হবে।

আমি কিছু না বলে তার কথায় সন্মতি জানালাম। শিউলী ফিরে যেতে দরজা বন্ধ করে এসে আমি বারান্দায় দাঁড়ালাম। সাধারণত এত দেরী করে উঠিনা আমি। খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠা আমার ছোটবেলার অভ্যাস। কাল বেশি রাত জাগার কারণেই আজ ঘুম ভাঙ্গতে দেরী হয়েছে। চোখ জ্বালা করছিলো আমার। বারান্দা হতেই দেখলাম রমেশকাকু পরম যত্নে বাগানের হেজে গাঁদা ফুলের চারা লাগাচ্ছন। আমার মনে হয় পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেনো আমি, এই মানুষটা সারাজীবন আমার মনের আরশীতে গাঁথা থাকবে। কি পরম নিষ্ঠায় বছরের পর বছর ধরে ফুল ফুটিয়ে যাচ্ছেন উনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এই বাগানের সাথে যেন অতঃপ্রতঃভাবেই জড়িয়ে গেছেন তিনি আর তার জীবন। আমি আজ পর্যন্ত কোনোদিন উনাকে কাজ ছাড়া দেখিনি। কখনও আগাছা নিড়াচ্ছেন, কখনও বা পাইপে বা ঝাঁঝরিতে করে গাছে পানি দিচ্ছেন, কখনও চারা লাগাচ্ছেন। একনিষ্ঠ নিবেদিত প্রাণ এই রমেশকাকু বাড়িতেও যান না। শুনেছি উনার বাড়ি আসামে। পৃথিবীতে উনার আপনজন বলতে কেউ নেই। উনি নিজে কখনও উনার নিজের কথা বলেন না। জিগেস করলে এড়িয়ে যান। মাঝে মাঝে ভাবি, পৃথিবীতে কত মানুষ থাকে শেকড়চ্যুত।

হঠাৎ দরজায় মায়ের গলা শুনতে পেলাম। আমাকে নাম ধরে ডাকছেন। এ বাড়িতে আসার পর কোনোদিন উনি আমার ঘরে উঁকি দিয়েও দেখেননি। কতদিন উনি আমাকে নাম ধরে ডাকেননি। আজ তার ডাক তাই তার মুখে খুব অদ্ভুত শোনাচ্ছিলো। আমি কান পেতে শুনছিলাম। যতক্ষন শোনা যায়। ইচ্ছে করেই দেরী করছিলাম। দরজা খুলে দিতে দেখলাম মা হাতে একটি গহনার বাক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে তখনও ফ্রেশ না হতে দেখে বেশ বিরক্ত হলেন। ড্রেসিং টেবিলের উপরে গহনার সেটটা রেখে আমাকে তাড়াতাড়ি রেডি হবার তাগাদা দিয়ে গেলেন। কিছু পরেই বিউটি পারলারের মেয়েটা আসলো। তার সামনে আমাকে বসতে হলো পুত্তলিকার মত। মা বলে গেলেন কোথাও যেন বাড়তি মেকআপের আভাস না থাকে। নো লুক মেকাপ হবে। লাইট কালার পিংক লিপস্টিক হবে, পিচ ভেলভেট ব্লাশন, হালকা আইলাইনা। আমি সাধারণত স্টেজ প্রোগ্রাম বা নাচের সাঁজ ছাড়া তেমন সাজি না। আর ক্লাসিক্যাল নাচের সাজ তো বলতে গেলে ভুতুড়ে কাজল, টকটকা ঠোটের রঙ। মায়ের সেসবে দারুন অপছন্দতা। বিউটি পারলারের মেয়েটা প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় নষ্ট করে গোলাপী সোনালী জরিপাড় কাতানে আর মায়ের দেওয়া সেই অদ্ভুত বাতাবী লেবুদানা রং স্টোনের সরু নেকলেস আর ছোট্ট এক পাথরের দুলে যখন আমাকে সাজিয়ে দিলো আয়নায় নিজেকেই চিনতে পারছিলাম না আমি। এ যেন অন্য আমি। একেবারেই অচেনা অজানা কেউ।

ঠিক বারোটায় বের হলাম আমরা। আমরা মানে আমি আর ড্রাইভারচাচু। জীবনে কখনও শুনিনি পাত্রী পাত্রের সঙ্গে দেখা করতে নিজেই রওয়ানা দেন। স্বয়ম্বরা নামে আগের দিনে রাজা রাজড়াদের এক অনুষ্ঠানের কথা শুনেছিলাম যেখানে পাত্রী নিজেই তাদের বর নির্বাচন করতো। ওহ আমার ক্ষেত্রে তো সেটাও হবেনা। আসলে আমি জানি এই দর্শন শুধু মাত্র আমাকেই দর্শন করানো মানে পাত্রের পছন্দ অপছন্দের মূল্য দেওয়া। পাত্র যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই হবে ফাইনাল। যদি এমন হয় আমার তাকে পছন্দ আর তার আমাকে নয় তবে সেটা অগ্রাধিকার পাবে না কোনোদিন।

সে যাইহোক, সেদিন বোধ হয় ছুটির দিন ছিলো। রাস্তাঘাটে তখন এমনিতেও এত যানজট ছিলো না। আমি ২৫ মিনিটেই পৌছে গেলাম সেখানে। আমাদের বুকিং দেওয়া ছিলো। যেহেতু সময়ের আগেই পৌছে গেছি তাই আমি ঘুরে ঘুরে পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে রাখা জামদানী, রাজশাহী সিল্ক, মসলিন শাড়িগুলি দেখছিলাম। আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার পিছনেই হঠাৎ "এক্সিউজ মি" শুনে চমকে তাকালাম আমি। বুঝলাম উনিই আরবাজ চৌধুরী। ছবির সাথে তাকে মিলিয়ে নিতে এক বিন্দু কষ্ট হলো না আমার। ভীষন মন ভালো করে দেওয়া চেহারার ৬ ফিট ২ ইঞ্চি উচ্চতার সুপুরুষ আরবাজ চৌধুরীর স্মিত হাসির আড়ালে কি যাদু যে ছিলো জানিনা। মনে হলো উনি যেন আমার অনেক দিনের চেনা। আমি বুঝলাম উনাকে ভরসা করা যায়। উনি আর যাই করুক আমাকে বুঝবেন।

লাঞ্চের তখনও প্রায় আধা ঘন্টা মত বাকী থাকায় উনি আমাকে জ্যুস অফার করলেন। স্বচ্ছ লাল রুবি রঙ পমোগ্রানেট জ্যুস খেতে খেতে আমাদের টুকটাক আলাপ হচ্ছিলো। আরবাজ চৌধুরীর দারুন আগ্রহ শান্তি নিকেতন নিয়ে। একজন খাঁটি শান্তি নিকেতনী মানে আমাকে মিন করে বলছিলেন আর কি তার সাথে কথা বলতেই নাকি দারুন রোমাঞ্চিত হচ্ছিলেন উনি। আরবাজ চৌধুরী বললেন,

-জানেন ছোট থেকেই গান শেখার দারুন শখ ছিলো আমার। কিন্তু গান গাইতে গেলেই গলা দিয়ে বের হত কা কা । এক কথায় আমাকে কাক কন্ঠি বলতে পারেন। ওহ কন্ঠি তো মনে হয় স্ত্রী লিঙ্গ তাই না? তবে কি আমাকে এটা বলতে গেলে কাক কন্ঠ বা কাক কন্ঠা বলতে হবে?

আমার ভীষন হাসি পাচ্ছিলো তার এইসব কথা শুনে। তবে তার সাবলীল কথা বলার ধরণে, দারুন বুদ্ধিদীপ্ত এবং পরিমিত আচারে ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হচ্ছিলাম। তার কথা বলার ফাঁকে ফাঁকেই খেয়াল করলাম তিনি চলনে বলনে পোষাকে আশাকে দারুন রুচীশীল। ভীষন ঝকঝকে তকতকে আরবাজ চৌধুরীর গোল্ডরিমের চশমার আড়ালে চোখদুটি হীরকখন্ডের মতনই দ্যুতি ছড়াচ্ছিলো। তার ব্যাকব্রাশ করা চুলের নীচের উঁচু কপালে যেন পরম সৌভাগ্য আর সফলতার রাজটিকা আঁকা আছে। এক নজরে ভীষন ভাগ্যবান একজন সফল মানুষ মনে হয় উনাকে। ভাবছিলাম উনার মত একজন লোক কি করে আমার মত ব্রোকেন ফ্যামিলীর বা অন্যের বাড়ি বা মায়ের দ্বিতীয় হাসব্যান্ডের বাড়িতে বাস করা একটি মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হলেন? উনি কি আমার সম্পর্কে সত্যিই কিছু জানেন? মনে পড়লো মায়ের সাবধানবাণী " গর্ধবের মতন যেন তোমার সাত কাহন বলতে বসো না তাকে। অনেক ভাগ্য করলে এমন ছেলে পাওয়া যায়।" চমকে উঠলাম আমি! তবে কি মা তার ছয় কিংবা আটকাহনটি এই মানুষটির কাছে গোপন করেছেন? হয়তো কিছুক্ষনের জন্য ভাবনার জালে অন্য কোথাও হারিয়ে গিয়েছিলাম। উনার কথায় সম্বিৎ ফিরলো। উনি বললেন,

- আপনি কি কিছু ভাবছেন? আপনাকে বেশ চিন্তিত লাগছে। আচ্ছা সত্যি করে বলেন তো আমি কি দেখতে মাংকি বা ইয়েতীর মত?

উনার কথায় হেসে ফেললাম আমি। উনি বললেন,

- আপনার হাসিটা দারুণ সুন্দর! আমি মনে হয় লজ্জা পেলাম কারণ উনি তখনি বললেন,

- জানেন কত নীল নয়না, সুলোলিতা, কিন্নরী সুহাসিনী, সুভাষিনী বিলোল চাহনী আর ভ্রু বিলাসে তাকিয়েছে আমার দিকে। তবুও তাতে এতটুকু মন দোলেনি আমার। কেনো জানেন?

আমি তখন এই উচ্চশিক্ষিত মানুষটি যার জীবনের প্রায় অর্ধেক নিজ দেশের বাইরে কেটেছে এমন পলিশড মানুষের মুখে এমন বাংলা শুনে হা হয়ে গিয়েছি। হা করেই বুঝি তাকিয়ে ছিলাম। তিনি বললেন কি হলো? এমন অবাক হয়ে চেয়ে আছেন কেনো? শুনবেন না কেনো তাদের কোনোরুপ আকর্ষনেই আকর্ষিত হইনি আমি? আমি হা করা মুখ বন্ধ করে বললাম,
- হ্যাঁ শুনবো... উনি বললেন,
- কারণ সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি। আমার এই দেশ, এই দেশের মানুষ এবং এই দেশের লজ্জা অবনিতা মুখের নারী।
রোগ শোক ব্যাধিতে স্নেহময়ী, রেগে গেলে রণচন্ডিনী, এক হাতে ড্রাইভিং স্টিয়ারী আরেক হাতে ঝাল ঝাল গরুর মাংস রন্ধন পটিয়সী এর চাইতে সুন্দর কিছু, আর কি হতে পারে এই পৃথিবীতে বলেন? এই যে আপনার হাসির প্রশংসা করতে আপনি লজ্জা পেলেন জানেন সেই আবীর ছড়িয়ে গেলো আপনার দু' গালে...সেই সৌন্দর্য্যের কাছে সৌন্দর্য্যের দেবী ভেনাসও তুচ্ছ ....

আরবাজ চৌধুরী যে ভীষন বাকপটু এবং শুধু বাকপটুই নয় একেবারেই অন্যরকম মার্জিত ব্যাক্তিত্বের মানুষ তা বুঝে নিতে কারো দু মিনিটের বেশি সময় লাগবেনা। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত উনার কথা শুনছিলাম। উনার রিটায়ার্ড পোলিশ অফিসার রাগী বাবা, উনার স্নেহময়ী মা, ভীষন ভালোবাসার বড় বোন, দুলাভাই তাদের বাচ্চাদের কথা। শুনতে শুনতে বুঝতে পারছিলাম এবং চোখের সামনেই যেন দেখতে পাচ্ছিলাম এক সুখী ও সমৃদ্ধশালী পরিবারের চিত্র। তবে উনার সবচেয়ে ভালোবাসার ও মায়ার মানুষটি যাকে পারলে উনি হয়তো তার জীবনের বিনিময়েও সকল সুখ ও আনন্দ এনে দিতে চাইতেন সে তার ২০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছোট ভাইটি। ভাইটির কথা বলতে গিয়ে উনার মুখে যে কষ্টের ছাঁপ ফুটে উঠতে দেখলাম তাতে বুঝলাম পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের কিছু বিশেষ কষ্ট থাকে যা সে বহন করে চলে সারাটাজীবন বুকের মধ্যে একা একা। যা চাইলেও অন্য কেউ ছুঁয়ে দেখতে পারে না হয়তো, তা থাকে তার একান্ত নিজেরই হয়ে।

ফিরে আসার সময় উনি আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার সামনে আনলেন ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের অসাধারণ সৌন্দর্য্যে র‌্যাপিং করা চারটি গিফট বক্স। আমি আবারও অবাক হলাম। আমার মনে হচ্ছিলো এসবের যোগ্য তো আমি নই অথচ এই মানুষটি আমাকে একের পর এক অবাক করেই চলেছে। এই অসাধারণ মানুষটি তার অসাধারণ হৃদয়ে লালিত করেছে এক অজানা অনাবিল স্বপ্নের যার যোগ্য আমি নই। আমার চোখে পানি এসে গেলো।


সেই অবাধ্য চোখের জল লুকিয়ে কোনোমতে গিয়ে গাড়িতে উঠলাম। ফিরে আসার সময়টিতেও গাড়ির দরজা খুলে দিলেন আরবাজ চৌধুরী কিন্তু আমি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রইলাম। কোনো রকম বিদায় সম্ভাষন ছাড়াই চলে এলাম তড়িঘড়ি চোখের জলটুকু লুকাতেই।

জানিনা উনি কি ভাবলেন আমাকে......

চরম অভদ্র বা পাগলই বোধ হয়........

(চলবে)



একি খেলা আপন সনে - ১৪

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকে ফাস্ট হমু!!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা পড়েন আগে। দেখি পড়াতেও আপনি ফাস্ট কিনা।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সত্যি পৃথিবীতে হয়তো বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই একটা বিশেষ কষ্ট থাকে যা তাকে আমৃত্যূ বয়ে বেড়াতে হয়।
কিছু কিছু কষ্ট যা একান্ত নিজের বুকের ভেতরে রেখে দিতে হয়।কারও সাথে সেই কষ্টের কথা শেয়ারও করা যায় না।

প্রতিটি পর্বের মতই এই পর্বটিও অনেক ভাল লেগেছে।গল্পের নায়িকা দোলনকে এত দ্রুত ভুলে গেল।দোলনকে মনে হয় কিছুটা একপেশে দোষ দেওয়া হয়েছে।দোলনেরও তো কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল।
যাক নতুন নায়ক যখন এসেছে দেখি কি হয়।

অনেক ভাল থাকুন কঙ্কাবতী রাজকন্যা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই নিয়ে আমার কলিগদের সাথে আমার মহা ঝামেলা হয়ে গেলো আজ সকালে। তারা বলছে তাহলে দোলনের সাথে প্রেমে গভীরতা ছিলোনা। এত সহজেই এই মেয়ে দোলনকে ভুলে কিভাবে?

আমি কোনো জবাব দেইনি। হয়তো গল্পের শেষে সব জবাবই খুঁজে পাওয়া যাবে। সবটা তো এখনও বলা হয়নি।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়াতে আমি ফাস্ট কখনই হতে পারব না।অনেক লেখায় পড়ে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি আমি তিন চার নাম্বারে পড়ে যায়।
আমি একটু ধীরে পড়ি,যেন লেখাটি হৃদয় দিয়ে পড়তে পারি।লেখার মাঝে লেখকের অনুভুতি গুলো যেন কিছুটা উপলবদ্ধি করতে পারি।

আর আপনার কোন লেখায় প্রথম কমেন্ট করা হয়নি।তাই আজ না পড়েই আগে প্রথম হয়ে নিলাম।
যদিও এখানে প্রথম আর শেষ হওয়ার মধ্যে কোন ব্যপার নেই।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সে কথা ঠিক। প্রথম শেষ বলে কিছু নেই। বরং মন দিয়ে পড়ছেন এটাই বড় প্রাপ্তি। আমার ধারনা আমার এই লেখাগুলি কেউ কেউ আমার চাইতেও বেশি অনুভব করেছে। অনেক কমেন্টে আমি তেমনি আভাস পেয়েছি। চির কৃতজ্ঞতা তাদের সকলের কাছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

অলিউর রহমান খান বলেছেন: খুব সুন্দর আপু। ইশ! আমি যদি এমন লিখা লিখতে পারতাম। :(

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পারবেন। লিখতে শুরু করলেই হয়ে যাবে ভাই। একটা সময় আমিও ভাবতাম মানুষ এত কিছু লিখে কেমন করে?

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পরিচয় পর্ব তো ভালই হল। বিয়ের পরে না জানি কি হয়।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরিচয়টা ভালোই ছিলো কারণ আরবাজ চৌধুরী একজন প্রকৃত ভদ্রলোক ছিলেন।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:
পাত্রের সাথে দেখতে যাওয়া অংশটুক্যতে একবারের জন্যও যে দোলনের কথা মনে পড়েনি সেটা কি সত্যিই না ইচ্ছে করেই লেখা হয়নি ।

পুরো গল্পটাতেই একটা আভিজাত্যভাব আছে। সেই ধারাটা এখানেও বজায় আছে। এটা ভালো লাগছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলনের কথা? মনে পড়েছিলো কিনা জানানো হবে।

হ্যাঁ দু পরিবারেই আভিজাত্য ছিলো।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

মিথী_মারজান বলেছেন: এত সুন্দর পরিচয়ের পরবর্তী অংশটা কেমন হতে পারে?
ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছিনা।
আবার না জানি কি ক্লাইমেক্স এসে দাঁড়ায়!
পরবর্তী পর্বগুলো কয়েকটা একসাথে না পড়ে স্বস্তি পাবনা এবার।

ভাললাগা আপু।:)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তাড়াতাড়ি দিয়ে দেবো মিথী আপা।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: - আহা তোমার সংগে প্রাণের খেলা,
প্রিয় আমার, ওগো প্রিয়।
বড় উতলা আজ পরাণ আমার,
খেলাতে হার মানবে কি-ও?


আমি হেরে যাবো না। কোনোভাবেই পরাজিত হবোনা আমি। দোলন আমার কাছে আজ থেকে এক মুছে যাওয়া অতীত। ইরেজার দিয়ে ঘষে মেজে তুলে ফেলতে চাই আমি এই অতীতকে আমার জীবন থেকে চিরতরে। এক বিন্দু ক্ষীন মলিন দাঁগও যেন সেখানে না থাকে।

গভীর রাতে আমি দরজা বন্ধ করে আমার গোপন বাক্সের ডালা খুলে বসি। দোলনের দেওয়া ডজন ডজন লাল, নীল, হলুদ, সবুজ কাঁচের চুড়িগুলি টুকরো টুকরো করে গুড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলি। ওর দেওয়া কাশ্মিরী সিল্ক নাচের ঘাঘরি, বালুচুরি শাড়ি কাঁচি দিয়ে কুঁচি কুঁচি কেটে ফেলি। আছড়ে ভাঙ্গি আমার ভীষন ভীষন প্রিয় মাটির টেরাকোটা পুতুলগুলি এবং কবিতার ভাষায় আমাকে লেখা শত শত চিঠিগুলি আমি দেয়াশলাই জ্বালিয়ে পোড়াতে থাকি। সেই কাগজ পোড়া গন্ধে ঘর ভরে ওঠে। আমি বুক ভরে শ্বাস টেনে নেই।


ইরেজার দিয়ে ঘষে মেজে তুলে ফেললেই কি মুছে যায় সব? কাগুজে চিঠি না হয় পুড়ালেন, কিন্তু মনের মধ্যে গেঁথে থাকা চিঠি পুড়াবেন কি দিয়ে - তা যে পুড়াতে গেলে আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে!!!

আমার মনে হয় না দোলন-চ্যাপ্টার এখানেই ক্লোজড্‌। ভাবছি, কি হতে পারে - ১৬ তে।

"কেবল, তুমি কি গো এমনি ভাবে,
রাঙিয়ে মোরে, পালিয়ে যাবে।
তুমি সাধ করে নাথ, ধরা দিয়ে,
আমারও রঙ বক্ষে নিও।"

ভাল হচ্ছে, ভাল লাগছে। গো এ্যহেড - কিপিটাফ।

আর হ্যাঁ, গানটা শুনতে এখানে ক্লীক করুন

ধন্যবাদ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ দোলন এখানেই ক্লোজড। ঠিকই ধরেছেন আর কখনও দেখা হয়নি বা হবেও না দোলনের সাথে।

যাই গানটা শুনে আসি।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গানটা অনেক শোনা তবুও আরেকবার শুনলাম...

মনে পড়ে গেলো আর একটি গান-

জাগরণে তারে না দেখিতে পাই,
থাকি স্বপনের আশে–
ঘুমের আড়ালে যদি ধরা দেয়,
বাঁধিব স্বপনপাশে।

এত ভালোবাসি, এত যারে চাই,
মনে হয় না তো সে যে কাছে নাই–
যেন এ বাসনা ব্যাকুল আবেগে, তাহারে আনিবে ডাকি।।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই ১৫ পর্বটিকে খোঁজে অস্থির অবশেষে পেলাম। সুন্দর করেই সম্পন্ন করেছেন পর্বটির ইন্ডিং। আগামী পর্বের অপেক্ষাতো থাকতেই হবে ভদ্রলোকটির গল্পের পুরোটি শুনবার জন্য।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার পোস্টে লিঙ্ক দিয়ে এসেছি। ১৬ অতি শিঘ্রি আনছি। বেশি বিরক্ত করতে চাইছি না আর।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মানুষের মন কত বিচিত্র! প্রথম প্রেমের কথা অবলীলায় ভুলে যাওয়া কত সহজ!! ধন্যি মেয়ে তুমি!!! দোলনের সাথে যে মিলন হচ্ছে না সেটা আমি আগেই আন্দাজ করেছিলাম। তাই বলে এভাবে মন থেকে মুছে ফেলা? সত্যিই আশ্চর্য!

মনে হয় মেয়েটার সুখের দিন আসতে যাচ্ছে। তারপরও কিছু জটিলতা থাকতে পারে। অপেক্ষায় রইলাম।

বরাবরের মত সুন্দর হয়েছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম অংশ পড়ে হাসি পেলো। আজ সকালে রিতীমত ঝগড়াই হয়ে গেলো আমার এক কলিগের সাথে। এইভাবে প্রেম মুচে ফেলাটা মেনে নিতে পারলো না সে। আমার লেখা বয়কট করেছে। যদিও জানি মুখে বললেও পরের পর্বগুলো সে পড়বেই।

পরের পর্ব লেখা আছে। খুব শিঘ্রিই মুক্তি দিবো

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার কলিগ আর আমার অনুভূতি মিলে গেল বলে আপনার হাসি চলে এল? আমার কিন্তু খারাপ লাগছে। এভাবে বেমালুম ভুলে যাওয়াটা দৃষ্টিকটু লেগেছে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখাটা কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। আরও কয়েক পর্ব বাকী আছে। আর জীবন রহস্যময়, গল্পরাও ভালো মন্দ রাগ দুঃখ এবং ক্রোধের মিশেলেই সৃষ্টি।

দেখেন গল্পের মেয়েটি কিন্তু বাস্তববাদী। আবেগের জোয়ারে ভেসে গেলেও সে বার বারই তার রাশ টেনে ধরতে ভুল করেনি। তবে এই দোলনের প্রত্যাখ্যান বা অপরাগতার পরে কি তার জন্য বসে বসে হা পিত্যেশ করাটাই তার ঠিক হত মনে করছেন? আর সবচেয়ে বড় কথা এই হা পিত্যশের সময়টাও তার ছিলো না। তার পারিবারিক পরিবেশটাও খুব ইতিবাচক ছিলো না।

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: লাইক দিয়ে গেলাম আপু রাতে পড়বো ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা আপু।

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: টাচ ঊড টাচ উড
পরের পর্বে কিছু বলি ।

ততক্ষন কারো নজর না লাগে ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মনিরাআপা আপনার কথাই ভাবছিলাম। আরবাজ চৌধুরীকে ভীলেন বানাতে নিষেধ করেছেন। লেখার সময় এই কথা বার বার মনে পড়ছিলো। যদিও আরবাজ চৌধুরী মোটেও ভিলেন ছিলেন না।

তবে উপরে কিন্তু নজর না লাগলেও আমাকে পারলে মার দেবার ইচ্ছা জাগছে কারো কারো মনে। সম্রাট ইজ বেস্ট ভায়ের মন্তব্য দেখেন। উনি ভালোই খেপেছেন।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে+

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।

দিবস রজনী, আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি।
তাই চমকিত মন, চকিত শ্রবণ, তৃষিত আকুল আঁখি।।

চঞ্চল হয়ে ঘুরিয়ে বেড়াই,
সদা মনে হয় যদি দেখা পাই–
‘কে আসিছে’ বলে চমকিয়ে চাই কাননে ডাকিলে পাখি।।

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবভাই।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পে একটু কমেডি টাইপের কিছু দেওয়া যায় না? তাতে মনে হয়, পাঠক আরো একটু মনোযোগ সহকারের পাঠ করে আনন্দ পাবে!! কি বলেন?

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কমেডি? মনিরা আপা সেদিন আরবাজ চৌধুরীকে ভিলেন না বানাবার হুমকি দিয়েছিলেন আজ আপনি বলছেন কমেডি আনতে। এখন কাকে যে কমেডিতে আনি। ভাবনার বিষয়। আমি মনে হয় কমেডিতে খুবই খারাপ। সারা গল্পের গল্পচিত্র খুঁজে কোনো কমেডির ছোঁয়া পেলাম না।

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

ওমেরা বলেছেন: বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপু ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার কথাও ভাবছিলাম ওমেরা। আমি এই লেখাটাই নিজেই এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি। লেখার পরে যারা পড়ছে তাদেরও জানাতে ইচ্ছে করে। মনে মনে ভাবি তারা কি পড়বে আমার এই লেখাটাও? চক্ষুলজ্জায় বা বিরক্ত করা হবে ভেবে জানিয়ে আসি না।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আসলে কি !!!!! আমি একটু কমেডি টাইপরে গল্প বেশি পছন্দ করি ও মনোযোগ দিয়ে পড়ি !!! আর, ব্লগে দেখি বেশির ভাগ গল্প শুধু লায়লা আর মাজনু, এই টাইপরে গল্প, উপন্যাস বেশি লেখা হয়!! আচ্ছা সমস্যা নেই; আপনি আপনার মত করে লিখুন। তবে একটু ভাষার অলংকার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই লেখায় অলংকরণ ঠিক যতটুকু দেওয়া দরকার আমি তাই দিয়েছি। এমন একটি সহজবোধ্য তবে জটিল সম্পর্কের কাহিনীতে ভাষার অলংকরণে পরিমিতি থাকা উচিৎ মনে হয়েছে আমার। আর তাছাড়া একটা ব্যাপার আমি দেখেছি আমি যে লেখাটা যেভাবে লিখবো ঠিক করি সে লেখায় হঠাৎ কোনো পরিবর্তনে আমি লিখে মজা পাইনা।

এই লেখাটা শেষ হলে পরবর্তী লেখায় আপনার কথাটা মাথায় রাখবো-

১। কমেডি
২। অলংকৃত ভাষার কোনো গদ্য লেখনী।

অসংখ্য ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই। তবে ব্লগে আমি অনেক কমেডি লেখাই দেখেছি কমেডি কেউ লিখে না এ কথাটি পুরিপুরি সঠিক নয়।

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

কালীদাস বলেছেন: :( এই পর্বটা এমন জায়গায় থামিয়েছেন, পরেরটা দেখার আগ পর্যন্ত মনটা উশখুশ করবে!
কিছু বানান ভুল আছে, ঠিক করে নেবেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেবো পর্ব ১৬

ধন্যবাদ কালীদাসভাই। বানান অবশ্যই ঠিক করে দেবো পরে।

২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কেউ কেউ দেখছি দোলনের জন্য কষ্ট পাচ্ছে !!!!!
বাহ !
বেশ বেশ !!! যে পায় সে পাক ,আমি পাই না ।

চৌধুরী কে ভীলেন না বানাতে বলেছি ,কারন লেখক ইচ্ছে করেলেই বানাতে পারতেন, যেমন আপনার সেই ছেলে কলিগের হাতে গেলেই সে হয়ে যেত রাবন ।

আর এ ধরনের গল্প বা উপন্যাসে কমেডি !!!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমিও পাই না। কাপুরুষ না হলেও সে তো আর তার পাশে থাকতে পারেনি। তার জন্য অকারযণ কষ্ট পেয়ে জীবন নষ্ট করার কি আছে বলেন?

না লেখক ইচ্ছে করলেও তাকে ভীলেন বানাতে পারবেন না কারণ তিনি এক মহান মানব। কলিগ ছেলে না। একজন চিরকুমারী ওল্ড লেডি।

এ ধরণের উপন্যাসে কমেডি পাঠক চাহিদা। লেখক চাহিদা নয়। মনিরা আপা অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রতিটি কাঠিন্যতার আড়ালেই থাকে নমনীয়তার ঝরনা।।। সবাই তার খোজ পায় না, নিজেদের ব্যর্থতায়।। কিন্তু আরবাজ পেরেছে।।
গল্পটা কি নূতন পথে যাচ্ছে?? মনে হয় তাই।।
ভাল থাকবেন।।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপীভাই।

গল্পটা শেষ করে দেবো ভাবছি। নইলে লেখার মাঝে নিজেই এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু হুট করে শেষ করি কিভাবে সেটাই ভাবনা।

২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অপ্সরাপুর পোষ্টে সবার মুখে মুখে দেখি ঘুরেফিরে এক্টা নাম বারবার আসছে..............কন্কাবতি রাজকন্যা!!
বিষয়টা কি? নামখানাতেই একখান মোহনীয়া ব্যপার আছে। পোংটা মনে ডালিম কুমার হবার সুপ্ত বাসনায় সোনারকাঠি-রুপোর কাঠির স্ব-মোক্ষমাস্ত্র সমেত এসে দেখি চৌধূরীর বাড়ীর আরবাজ মিয়া কিস্তিমাতের শেষ চালটা চাললেন বলে।:(
মাথার মধ্যে কিলবিল করে উঠা ছড়া লিখার ইচ্ছেটা ফুসসসসস করে উবে গেলো। আমার সদা গোপালের কপাল। যা বর্ণনা দিলেন মাইরি আরবাজ সাহেবের জুতো পালিশ যিনি করেন তার সাগরেদের পিএস হবার যোগ্যতাও আমার নেই। |-)
গোদের বিষফোঁড়ার মতন আবার দোলনের নামও দেখতে পাচ্ছি সামু জনতার কমেন্টে। /:)
আপাতত রমেশ কাকুর মতন আঠা হয়ে এই ব্লগে সাঁটালুম নিজেরে..................তবে এসছি যখন ঘটনা এক্টা ঘটবেই। আমিও মাল অত সুজা না। মনিরাপু,ডাইনিপু থুরি শায়মাপু,পুচকে অনিকদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন.................

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বুঝতে পারছি আপনি মনোযোগী পাঠক। অংসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: সবাই অনেক অনেক সুন্দর কমেন্টে সুন্দর কথা বলেছেন, আলোচনা করেছেন। আমি বরাবরের মতই অনুভুতি প্রকাশ করতে পারছিনা।
পুরোটা পর্বে, প্রতিটি খুটিনাটি ব্যাপারও এত সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন যেন মনে হচ্ছে আমার সামনে বুঝি কারুকার্জ মন্ডিত এক থালা রাখা হয়েছে।

অধীর আগ্রহে থাকি আপনার এই সিরিজটির জন্যে। হয়ত একদম নিয়মিত আসা আসা হয় না তবে বিশ্বাস করেন এসেই খোজ নিই আপনার নতুন পর্ব দিয়েছেন কিনা।

অসম্ভব ভাললাগা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নীল দর্পণ। আপ্লুত হচ্ছি।

২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

মৌমুমু বলেছেন: আপনার লিখার প্রশংসা অনেক শুনেছি এবং আপনি লিখলেও অনেক ভালো। পড়েছিলামও কয়েকটা তবে মন্তব্য করা হয়নি কখনো। আপনার এই শিরোনামের সিরিজটা পড়ার ইচ্ছে আছে।
ভালো থাকবেন আপু।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মৌমুমু। শুভকামনা।

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



দিবস রজনী, আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি।
তাই চমকিত মন, চকিত শ্রবণ, তৃষিত আকুল আঁখি।।

চঞ্চল হয়ে ঘুরিয়ে বেড়াই,
সদা মনে হয় যদি দেখা পাই–
‘কে আসিছে’ বলে চমকিয়ে চাই কাননে ডাকিলে পাখি।।


-দয়া করে বলবেন কি, লাইনগুলো কার লেখা?

আপনার লেখার হাত ভাল। দেখলাম, আমার ব্লগে চুপি চুপি ঘুরে এলেন। গতকাল দুপুর ২:৫৮ -র দিকে। তো, কথা বলা কি নিষেধ ছিল?
যাক, আবারও যাওয়ার জন্য অগ্রিম স্বাগত।

ভাল থাকুন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটি রবিঠাকুরের গান.....

অসংখ্য ধন্যবাদ নকিবভাই।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=GNR5SRXRL_Q

গানটি এখানে পাবেন নকিবভাই।

২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যেন যাদুর কাঠির রাজকন্যার গল্প :)

বুৃদ হয়ে শুনে যাচ্ছি মুগ্ধতায় ...

প্রতি পর্ব যেন হাজার এক রজনীর গল্পের মত রাত ভোর করে দেয়া :)

আবিষ্ট অপেক্ষায় - - -

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভৃগু ভাই। শুভকামনা।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাল লাগলো।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

সকাল রয় বলেছেন:
পড়লাম
অনেক অনেক ভালো

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সকালভাই।

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: সোনার হাতে সোনার কাঁকন কে কার অলংকার - প্রতি পর্বের সাথে যে ছবিগুলো দিচ্ছেন সেগুলো দেখে মনে হয় যেন এর চেয়ে মানানসই ছবি আর হতেই পারে না। এই গল্পমালা বই আকারে বের করলে প্রতি অধ্যায়ের শুরুতে এমন ছবি দিলে বইটা আরো আকর্ষণীয় হবে- আমার ধারনা।

পরের গল্পের অপেক্ষায়!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বই আকারে বের করতেই হবে? আপ্লুত হই বার বার। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই আপা।

৩০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২০

জে আর সিকদার বলেছেন: আহা কঙ্কাবতী

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রথমে এটিই আমার প্রোপিক ছিলো। আবার যে কোনো মুহুর্তে এটাই হয়ে যেতে পারে।

৩১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আরবাজ চৌধুরীর স্মিত হাসির আড়ালে কি যাদু যে ছিলো জানিনা। মনে হলো উনি যেন আমার অনেক দিনের চেনা। আমি বুঝলাম উনাকে ভরসা করা যায়। মেয়েটির দুখের দিন কেটে যাচ্ছে মনে হয়----

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দুখের দিন থাকতে দেওয়া যায় না। ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

৩২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই পর্বে কিছু বলার নেই। পরের পর্বের আশায় রইলাম।
বুঝা যাচ্ছে পর্ব আরও অধিক হবে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নাহ খুব বেশি আর লিখবো না। নেশায় পড়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ ধ্রুবকভাই।

৩৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কাতিআশা বলেছেন: আমি কিন্তু হ্যালুসিনেশনের মধ্যে আছি আপনার অপূর্ব লেখার মায়ায়...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কাতিআশা কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা আপনার জন্য।

৩৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




নায়কের বর্ণনাটুকু বড্ড সিনেমাটিক মনে হলো ।
যাক... মন নিঙড়ানো লেখা তো, চলবে ................

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আহমেদভাই অনেকেই এই গল্প নিয়ে বই প্রকাশের কথা বলছেন তবে আমার মনে হচ্ছে আমার গল্প দিয়ে একটা বাংলা নাটক বা সিনেমা বানালে মন্দ হবেনা।

আমার লেখা পড়েন তাই আমার কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা নেই।

৩৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বেশ!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ তূর্য্যভাই।

৩৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

শামচুল হক বলেছেন: খুবই ভালো লাগছে। চলুক সাথে আছি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৩৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৩৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আরবাজ চৌধুরীর চমৎকার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হ'লাম। নায়িকার আচরণেও। গল্পে লেখিকার মুন্সীয়ানা পরিস্ফূট।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৪০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আমার কখনও আরবাজ চৌধুরী হওয়া হবে না। এই অংশটা পড়ে কেন জানি ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছিল, এটা একটা সস্তা উপন্যাসের কল্পিত চরিত্র। মানুষ কিভাবে এত ভালো হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হবে, প্রথম দেখাতেই এত সহজে কিভাবে একটা মেয়ের মন জয় করে ফেলবে। জানি না। হয়তো মানুষ আসলেই এমন পারফেক্ট হয়। আমার মতন ইমপারফেক্ট না। :(

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরবাজের মাঝেও হয়তো ইমপারফেকশন আছে যা দূর থেকে ধরা যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.