নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ১৭

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

মায়ের কড়া নিষেধ সত্বেও আমি আরবাজ চৌধুরীকে আমার জীবনের সাত আট কিংবা নয় দশ সব কাহনই বলে দিয়েছি। আসলে আরবাজ এমনই এক মানুষ যাকে বিশ্বাস করা যায়। তার ব্যাক্তিত্বের কাছে হার মানবে পৃথিবীর সকল কলুষতা, অসত্যতা। আরবাজের সাথে আমার রোজ কথা হয়। ফোন কিংবা এমএসএন ম্যাসেন্জারে। মাঝে মাঝে দেখাও হচ্ছে। মা আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেন না আর। উনি ধরেই নিয়েছেন আরবাজ চৌধুরীর সাথে আমার বিয়েটা হতেই যাচ্ছে। কিন্তু উনি জানেন না আরবাজকে আমি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছি তাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। হয়ত শুধু তাকেই নয় এই জীবনে আমার আর কাউকেই বিয়ে করা হবে না।

আরবাজ খুব মন খারাপ করেছিলো সে আমি বুঝেছি কিন্তু আমার মতামতের প্রতি সে পূর্ণ সন্মান জানিয়েছে। কারো মতের বিরুদ্ধে কিংবা জোর করে কারো চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের শিকার কাউকে বা কোনোকিছুকেই সে সমর্থন করতে পারে না। আমার কাছে আরবাজকে মনে হয় মানুষ জনম এমনই হওয়া উচিৎ। আরবাজ মনুষ্য সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। মানুষের জন্য তার এত সমবেদনা, এত সহানুভুতিপূর্ন মন, এত সহমর্মিতা আমি আমার জীবনে আর কাউকে দেখিনি। আমি আরবাজের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে পড়ি। আমার খুব কষ্ট হয় যে আমি আরবাজের মনের ইচ্ছেটাকে পূরণ করতে পারছি না। আরও যেটা কষ্ট পেয়েছি। আরবাজ আমার কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে যাচ্ছে আর কাউকেই বিয়েটা না করেই। সে আমাকে বলেছে সে আমার জন্যই নাকি শুধু অপেক্ষা করবে। যদি কোনোদিন আমি মত বদলাই, যদি কোনোদিন আমার মনে হয় আমার চলার পথে কোনো একজন জীবনসাথী দরকার তখন যেন আমি তার কথাটাই মাথায় রাখি। এটাই তার শেষ কথা।

আমার খুব খারাপ লাগে। আমি জানিনা কখনও আমার মনে এমন কোনো ইচ্ছে হবে কিনা। কখনও আমি আমার এই বিক্ষত মনকে কারো সুশীতল পরশে বা ভালোবাসার প্রলেপে আবারও উষ্ণ করে তুলতে পারবো কিনা। কিন্তু আমার জীবনে আরবাজ এক আশীর্বাদ। দোলনের উপরে অভিমান হোক বা দোলন থেকে থমকে যাওয়াটাই হোক যেটাই বলি না কেনো এই প্রাথমিক ক্ষত শুকোতে আমার বেশ কিছুটা সময় লাগতো হয়তো যা ঠিক তারপর পরই আরবাজের আগমনে আমি অনেকটাই সামলাতে পেরেছি। আরবাজের পরম বন্ধু মনোভাবাপন্নতা ও মমতাময় সাহচর্য্যে ভুলে থাকতে পেরেছি সেই বেদনাকে। তাই আরবাজের কাছে থাকবে আমার চিরকৃতজ্ঞতা। যদি কখনও এতটুকু সুযোগ হয় আমার থেকে আরবাজের কোনো উপকারের, আমি আমার প্রাণ দিয়ে হলেও সেই চেষ্টাটাই করবো। শুধু পারবোনা ওকে এই মুহুর্তে বিয়ে করতে। আরবাজ বলেছে তার উপরে আমি পূর্ন বিশ্বাস রাখতে পারি। আমি চাইলে সে আমার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকবার বা প্রতিষ্ঠিত হবার ব্যাবস্থাও করতে পারে। আমি রাজী হইনি আসলে আমি আর কারো করুণা চাচ্ছি না যদিও আরবাজের কাছে এটাকে করুনা বলাটা আমার অন্যায় হবে আরবাজের সাথে আসলে এই করুনা কথাটা যায় না।

প্রায় তিনমাস কাঁটিয়ে আরবাজের ফিরে যাবার সময় এলো। এর মাঝে সে প্রায় এক মাসেরও বেশি চিটাগং ছিলো তার ফ্যামিলীর সাথে। তার মা নাকি বড় আশা করেছিলেন এবারেই বউ এর মুখ দেখবেন বলে। তার সে আশা পূর্ণ না হওয়ায় নাকি খুব মন খারাপ করেছে। আরবাজের এসব কথায় আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ি। নিজেকে অপরাধী লাগে আমার। কিন্তু কি করবো আমি যে নিরুপায়। হঠাৎ এত বড় ধাক্কাটার পরপরই আরবাজের আগমন আসলে আমাকে নিজের সম্পর্কেও ভাবতে দেয়নি মন দিয়ে। আমি আরবাজকে নিয়েই ব্যাস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমার জীবনে এমন একজন সহানুভুতিশীল মানুষের আগমন আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। আরবাজের ব্যাক্তিত্বের ঔজ্জ্বলতায় চারিদিক ঝলমল করে হেসে উঠেছিলো যা আমার জন্য হয়তো দরকার ছিলো। আমার জীবনে আরবাজের আবির্ভাব এক আশীর্বাদ হয়েই এসেছিলো। আরবাজ আমার এই প্রত্যাখানের দায়িত্ব সম্পূর্নই নিজের উপরে তুলে নিলো। সে আমার আর তার উভয় পরিবারেই জানালো যে সে নিজেই সিদ্ধান্ত বদলেছে। ঠিক এবারে সে বিয়ে করতে চাচ্ছে না, আরও কিছুদিন সময় চাচ্ছে এবং সে আমাকেই বিয়ের পাত্রী হিসাবে নির্বাচন করেছে। হঠাৎ এই আশাভঙ্গে মা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। আমাকে ফের অকথ্য কথার বর্ষনে ভাসিয়ে দিলেন। খুব ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিলেন আরবাজের এই মত পরিবর্তনের কারণ যে আমি তা তার ভালোই জানা আছে। আমি মনে মনে হাসলাম।

আরবাজ ফিরে যাবার পরপরই হঠাৎ একরাশ স্মৃতি হুড়মুড় করে নামলো আমার চোখের পাতায়। সেই স্মৃতিতে কখনও দোলন কখনও আরবাজ। দোলনের উপরে যে একগুঁয়ে রাগ বা ক্রোধটা জন্মেছিলো আমার। হঠাৎ সেই রাগ, ক্রোধ বা ক্ষোভের মাঝে নিজের ভুলটা বুঝতে শুরু করলাম আমি। এই বোধটার কারণ হয়তো আরবাজও হতে পারে। আরবাজকে যেদিন আমি দোলনের কথা বললাম। সব শোনার পরে সে বললো, "দোলনের কোনো ভুল আমি দেখতে পেলাম না। এই বৈরী পরিবেশে সে এসেই বা কিবা করতো বলো? সে যা করেছে কোনো ভুল করেনি।" আমি বিস্ফারিত নেত্রে তাকিয়ে ছিলাম সেদিন আরবাজের দিকে। আরবাজ আমার কাছে একজন বোধ বুদ্ধিসম্পন্ন খাঁটি মানুষ। সে কোনো ভুল করতে পারেনা এমনটাই বিশ্বাস জন্মেছিলো আমার। আমি তাকে বিস্মিত হয়ে জিগাসা করলাম " তুমি হলে কি করতে?" সে বললো "একই কাজ করতাম হয়তো...." আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম! সে আমার বিস্মিত চেহারা দেখে স্মিত হাস্যে আমাকে আশস্থ করলো। বললো, "আমি খুবই বাস্তববাদী মানুষ। আবেগে চলিনা মেয়ে।"

আরবাজ যতই বলুক সে আবেগে চলে না তার মত আবেগী মানুষ আসলে আমি কমই দেখেছি। সে আসলে আবেগ ঢেকে রাখে কিন্তু কোথাও কোথাও সে তার আবেগের ঝাঁপি খুলে দেয় অবলীলায় অপকটে। আর সেই ঝাঁপিটাই খুলে দেওয়ার জায়গাটাই হয়ত আমিসহ গুটিকয় মানুষ। যেদিন ও বললো, বিয়ের পরপরই ওর ইচ্ছে ছিলো নেপালে হানিমুন করবার আর এ কারনে সে দেশে আসার আগেই নেপালের পোখারার এক রিসোর্টে মোটামুটি কথা পাকাপাকি করেও রেখেছিলো। হানিমুন হিসাবে তার পোখারা পছন্দের কারণ সে তার স্টুডেন্ট লাইফেই পোখারা ভ্রমনে এতই আপ্লুত হয়েছিলো সে তার জীবনসঙ্গিনীকে নিয়ে জীবনের প্রথম দিনগুলি সেখানেই কাটিয়ে আসতে চেয়েছিলো। নীল শাড়ি নিয়ে আরবাজের আদিখ্যেতা প্রায় প্রেমিক কবিদের পর্যায়ে পড়ে। প্রথমদিনে আরবাজ আমাকে যে ছোট বড় মাঝারি সাইজের সোনালী র‌্যাপিং এ মোড়ানো উপহার দিয়েছিলো তার বড় প্যাকটাতেই ছিলো ঘন নীল শিফন শাড়িতে রুপালী বুটির কারুকাজ। এই শাড়িতে তার প্রিয়তমাকে দেখবার বড় সাধ ছিলো তার। যদিও আমি তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি বটে তবুও সে তার প্রিয়তমা হিসাবে এই আমাকেই ভাবে। সে শাড়ি পরে আমাকে তাকে দেখাতেও হয়েছিলো।

আরবাজের দেওয়া আর তিনটি উপহারের প্যাকেটে ছিলো পারফিউম, গাঢ় নীল রঙের একটি ভ্যানিটি ব্যাগ আর একটি ছোট্ট হীরে বসানো আংটি। ডিজাইনটা এমন যেনো দুটি হাত দুটি দিক থেকে এসে ঐ ছোট্ট ডায়ামন্ডটিকে ধরে রেখেছে। শাড়ি, ব্যাগ ও পারফিউম আমি নিজে ব্যাবহার করলেও ঐ আংটিটি আমি তুলে রেখেছি। আমি সেটা ফেরৎ দিতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু আরবাজ নেয়নি। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করেছি। যেদিন আরবাজ বিয়ে করবে সেদিন ওর বউকেই আমি ফিরিয়ে দেবো এই আংটিটি। হয়তো আরবাজ খুব রাগ করবে, ওর নতুন বউটা হয়তো কখনই জানবে না সেই আংটির ইতিহাস তবুও আমি ফিরিয়ে দেবো ওকে। ঐ আংটির মূল্য আমি তো রাখতে পারিনি। ঐ আংটিটির যোগ্যও নই আমি।

আমার চারিপাশ ঘিরে শূন্যতা প্রগাঢ় হতে থাকে। আমার জীবনে দোলনের আবির্ভাব যেমনি ছিলো হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা কোনো অমূল্য পরশ ঠিক তেমনই আরবাজের আগমনও ছিলো এক ঝড়ো হাওয়ায় মাতাল করা রাতে এক পশলা বৃষ্টির পরের প্রশান্তির আমেজ। দোলনের অন্তর্ধান আমাকে যতখানি নিঃশেষ করে দিয়ে যেতে পারতো আরবাজের আগমন সেটা প্রতিহত করেছে বটে তবে আরবাজের পুনরায় প্রবাসে প্রত্যাবর্তনটা আমার কাছে বেদনাময় হয়ে উঠলো । হঠাৎ যেন পায়ের তলায় মাটি নেই। শুন্যতার উপরে দোদুল্যমান অনুভুতি। একবার মনে হলো আমি বুঝি ভুলই করলাম। এই দূর্বিসহ জীবন থেকে মুক্তির পথটি বুঝি আরবাজই ছিলো। কিন্তু সেটা কি আরবাজকে একরকম প্রতারনাই হত না? যতই বলি বা ভুলে থাকি আমি দোলনকে। সত্যিই কি আমি সেটা পেরেছি! এ তো আমার ভুলে থাকার অভিনয়! এই দুটি বছরে প্রতিটি ক্ষন, মুহুর্ত ঘন্টা কেটেছে যার কথা স্মরণ করে চাইলেই কি তাকে এত সহজেই ভোলা যায়! আবারও সাত পাঁচ ভাবনায় জড়িয়ে পড়ি আমি। আমার সদ্য ফেলে আসা দু'বছরের অতীত আমাকে কুরে কুরে খায়।

আমি ফের নিজের কাছে নিজেই গৃহবন্দিনী হয়ে পড়ি।

হঠাৎ একদিন ঝুমকী ফুপুর ফোন এলো.......এই ফোনটাই বদলে দিলো আমার জীবনের বাঁকটা একদম নতুনভাবে নতুন পথে .......

(চলবে)


একি খেলা আপন সনে - ১৬

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

আমার আব্বা বলেছেন: তুমি অনেক বড় হবে

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ।
কত বড়?

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

আমার আব্বা বলেছেন: হা হা ।
কত বড়? রসিকতা একটুও পছন্দ না । আমি অলস লিখতে ও সম্পর্ণ মন্তব্য করতে অলসতা লাগে । আমি বোঝাতে চেয়েছি অনেক অনেক বড় লেখক হও ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওহ । আমি ভেবেছিলাম বয়সে বড় হতে বলছেন। আপনি আমার লেখা কি সত্যিই পড়েন? ঠিক বুঝিনা তবে আমি চাই আপনি পড়েন আর আমাকে বড় হবার জন্য সত্য মতামত দেন।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

সকাল রয় বলেছেন: তারপর...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তারপর আসছে সকালভাই। শিঘ্রীই আসছে।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পটা পড়ে প্ররাণটা একদম জুড়িয়ে গেল ! জীবনটা গল্পের মত হোক :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা কি মনের কথা? মনে হচ্ছে কথার কথা।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কোনটা মনের কথা ? লাইন দুটি আছে ? লাইন কোট করে প্রশ্ন করুন? :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দুটিতেই প্রশ্ন।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভাল হইছে। ফিরায় দিছে। B-)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এত হিংসা কেনো আরবাজকে অয়নভাই?

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঝুমকি ফুপু আসলেই ম্যাজিশিয়ান !!!!
ছু মন্তরে সব ঠিকঠাক করে দেন।


মন ভালো করা লেখা !!!

থাক না হয় আরবাজ বন্ধু হয়ে মন খারাপ হলে মনের আঁচল মেলার জন্য ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঝুমকী ফুপুর প্রতি তাই আমারও কৃতজ্ঞতা।

আরবাজ বন্ধু হয়েই থাকুক আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু আরবাজের চাওয়াটা সেটা ছিলো না।

ধন্যবাদ মনিরা আপা।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ধুর, একটা কাল্পনিক চরিত্র তাকে আবার হিংসা! আমার মনে হইতাছিল বিয়ে দিলে কাহিনী কেমন যেন হয়ে যাবে। এখন দেখা যাক সামনে কি হয়।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সামনে যে কি হয় আমিও চিন্তায় আছি। তবে আপনারা পড়ছেন তাই কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পটি আবারও মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, এটি যার তার গল্প নয়,এটি কথাসাহিত্য কঙ্কাবতী রাজকন্যা লেখা গল্প। ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন। “স্ত্রী হচ্ছে যুবকের প্রণয়িনী, মধ্যবয়সের সঙ্গিনী, বৃদ্ধের সেবিকা।এ গল্পে মুল বিষয় কোন বিয়েকে কেন্দ্র করে ঘটনা নিয়ে এ গল্প লেখা হয়েছে। কিন্তুু বিয়ে গরীবের জন্য অপরিহার্য, বড়লোকের জন্য বিলাসিতা বা শখ !

একটা ছোট গল্প বলি চার বন্ধু মিলে, একটু ইচ্ছা পোষণ করলো। তারা আনন্দ খুঁজেতে যাবে। তখন কি করা যায়, তাহলে সবাই মিলে আমিরিকা যাই এবং যাওয়ার ব্যবস্থাও করলো।তখন তারা আমিরিকাতে চলেও গেল। যাওয়ার পরে তারা ১০০ তলা উচুতে হোটেলের রুম নিল। সবচেয়ে ভারো জিনিষ দেখব,এবং ভালো জায়গায় থাকবো, খাওয়া দাওয়া করবে। হোটেল রুম নেওয়ার পরে, পরের দিন ঘোরাঘুরি শেষে যখন হোটেলে ফিরলো। তখন আমিরিকাতে যা কখনো হবার নয়,সেদিন তাই হয়েছিল। মানে লোডশেডিং হয়েছে আর লিফট চলবে না। এ আনন্দের মাধে নিরানন্দ শুরু হয়ে গেল। তখন তারা সিড়ি দিয়ে উঠা শুরু করলো।

তখন তারা একে অপরেরকে বললো আমরা চারজন একে অপরকে তার দুঃখটা শেয়ার করবো।। প্রত্যেক মানুষ ভাবে তার দুঃখটা সবচেয়ে বেশি, জীবনে আমার মত কেউ দুঃখ পায়নি। তখন প্রথম বন্ধু গল্প শুরু করলো, ২৫ তলা গিয়ে, পরে জন গল্প বলা শরু করলো, তারপরে ৫০ তলায় গিয়ে আরেক জন শুরু, তার পরে ৯৯ তলায় গিয়ে শেষ গল্প শেষ করলো । আর বাকি রইল চার নাম্বার বন্ধু !!! তাকে গল্প শুরু করার কথা সবাই যখন বললো,,, তখন সে বললো। আমি হোটেলের রুমের ছাবি মনের ভুলে নিচ তলায় রেখে এসেছি।......... প্রত্যেক ব্যক্তি আনন্দ খোঁজার পিছনে দৌড়াচ্ছে।এখন এতো কথার মধ্যে একটু রহস্য আকারে দিয়ে মন্তব্য করলাম। এখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে..... আপনার প্রশ্নের উত্তর।। :P :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: উত্তর পেলাম আমি সেই চার নাম্বার বন্ধুটি ছিলেন এবং সকলে আপনাকে ফেলে উপরে চলে গেলো আপনাকে নিজেকেই সেই চাবি আনতে হলো। আপনার দুঃখের সঙ্গী কেউ হলো না। আর তাই গল্পটা মনোযোগ দিয়ে পড়া আপনাকেই মানায়।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

ওমেরা বলেছেন: ব্লগে, ব্লগাররা সাধারণত ধারাবাহিক গল্প পড়তে চায় না । আপনার গল্পটা সবাই আগ্রহ নিয়ে পড়ছে । তারমানে গল্পটা আসলেই ভাল ।ধন্যবাদ আপু ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তাই তো দেখছি। এটাই আমার বিস্মিত হবার কারণ। আমি এসেছিলাম নিভৃতে এই লেখা ব্লগে জমা রেখে চলে যেতে। সকলের ভালোবাসার বাঁধন আমাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে আটকে ফেলেছে। অনেক ধন্যবাদ ওমেরা।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

কাতিআশা বলেছেন: এই যে আবার উৎকন্ঠায় রাখলেন রাজকন্যা...আমি খুব তাড়াহুড়ার মানুষ..প্রবলেমেও পড়ি তার জন্য!..লান্চ গলা দিয়ে নামবেনা এখন..আপনার এই সিরিজ টাকে একটু sadistic মনে হচ্ছে..ভালই জ্বালাচ্ছে আমাকে!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমাকেও কি জ্বালাচ্ছে না? এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে খুব শিঘ্রী ইতি টানবো।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: নীল শিফন শাড়ি তে রূপালী বুটির কারুকাজ শাড়ি টা মনে হয় সুন্দর এ হবে । আপু আমাকে দিয়ে দিন ।
আচ্ছা আপু ছেলেরা নীল ছাড়া অন্য কালার কেন পছন্দ করেনা প্রেমিকার বেলায় । নীলের বিশেষত্ব কি ?
এবারো মিল হলো না । পঁচা নায়িকা ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা আপনাকে দিয়ে দেবো।ছেলেদের মনে হয় বেদনার রঙটাই বেশি পছন্দ, প্রেমিকারা বেদনা দেয় তো। কিসের মিলের কথা বলছে? আরবাজের সাথে?

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু আরবাজ । যে ভালোবাসে তার কাছেই যাওয়া উচিত ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার কি মনে হয়েছে দোলন ভালোবাসে না? না হয় সেখানে প্রতিকূল পরিবেশ কিন্তু ভালোবাসায় তো খাঁদ নেই।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হা, হা, হা------ প্রতিউত্তরের ব্যপারে আর কিছু বলবো না। :P এখন ধরুন,একটি শিশুকে একটি খেলনা দিলে,সে আনন্দের সাথে খেলা করে। তার পরক্ষণে আরেকটি খেলনা দিলে, সে তখন তার দিকে হাত বাড়ায় । ঠিক তেমনি, আপনার পরে পর্বের গল্পের পড়ার জন্য আশায় থাকলাম। ধন্যবাদ, অনেক অনেক ভাল থাকুন :) :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই মন্তব্যে মনে পড়লো-

কোনখানে হাত বাড়াই মিছে
ফিরি আমি কাহার পিছে
সব যেন মোর হারিয়েছে
পাইনি তাহার দাম।



যদি জানতেম আমার কিসের ব্যাথা
তোমায় জানাতাম ....

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আমি প্রথম থেকে পড়েছি এবং খুব ভালো লেগেছে। ব্লগে অনেকের লিখাই পড়ছি, আপনারা অনেকেই আমার প্রিয় লিখক হয়ে উঠেছেন। আমি আস্তে আস্তে আপনাদের সম্পর্কে ধারণা নিতে চেষ্টা করছি কারণ আমার প্রিয় ব্লগারদের নিয়ে কিছু লিখার ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে। আপু আমার টুকটুকে লাল শাড়ী ও লাল চুড়ি ভালো লাগে। শাড়ীতে কোন কারুকাজ থাকবেনা একদম লাল।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নুর হাফসা আপনার এই পছন্দের ব্যপারটা দেখলে হয়ত খুশি হবেন। ছেলেদের নীল শাড়ি কেনো পছন্দ উনি জানতে চাইছিলেন আমার কাছে।

আপনার লাল রঙ ভালো লাগার কারণ কি অলিভাই?

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খুব বেশীই কি, আমার আমিত্ব নিয়ে লেখা হলো না!!
আরবাজ বড্ড বাস্তববাদী।। তাই সহজেই দোলনকে সমর্থন করেছে।।
সমস্যা আসলে নায়িকার অবচেতনে।। প্রথমেই সংরক্ষিত আসনে আরেকজনকে বসাতেও দ্বিধা,সংশয়!!
আসলে বোধহয় নিজেকেই ঠিক বুঝে নিতে পারছে না??

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ তাই হবে। বেশ অবুঝ ছিলো বয়সটাও। বয়স এবং অভিজ্ঞতা জীবনের সঞ্চয়ে এক বড় পাথেয়। অসংখ্য ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপীভাই।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলে গল্পে "বাস্তবতা" আশা করাও ভুল।। আবার গল্প/ কবিতা যাই বলি না কেন, সবই আমাদের নিয়ে অর্থাৎ মানবজীবনকে নিয়ে।। এটা না হলে যে গল্প/কবিতার বাস্তবতাই থাকবে না।। (অবশ্যই অধমের জ্ঞ্যানে)।।
তবে মানুষের মনের দ্বিধাটাশেষ পর্যন্ত থাকেই।। বিশেষ করে, "সংকটময় মুহুর্তে"।। এর থেকে পরিত্রান নেই।। এখানেই গল্পের স্বার্থকতা।।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না গল্পে বেশিভাগ সময়ই বাস্তব থাকে বলেই মনে হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন, গল্প কবিতা সবই মানবজীবনকেই ঘিরে। আর দ্বিধা সংকট জীবনেরই অংশ। অসংখ্য ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপীভাই।

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৮

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: একা মোর গানের তরী,
ভাসিয়েছিলাম নয়ন-জলে।
সহসা কে এলে গো,
এ তরী বাইবে ব’লে।

যা ছিল কল্পমায়া,
সে কি আজ ধরল কায়া?

খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিন যাচ্ছে, তারপরও পুরোটাই পড়লাম। আপততঃ এই গানটি আপনার গল্পের নায়িকার জন্য। পরে কমেন্ট করব আশা রাখছি।

ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক এই গানটিই এই পর্বের কথা যেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আপু কেন ভালো লাগে তার কোন সঠিক ব্যাখ্য আমার কাছে নেই তবে এ রঙটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি যদি কখনো কাউকে কিছু উপহার দিতাম তাহলে অবশ্যই লাল শাড়ি ও লাল চুড়ি কিনে দিতাম।
মেয়েরা লাল রঙের শাড়ী পড়লে তাদেরকে খুব সুন্দর দেখায় এবং সাথে যদি থাকে লাল চুড়ি তাহলে কথাই নেই। নূর-ই-হাফসা আপু কেমন রঙ তাহলে পছন্দ করেন?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লাল সোনালী এবং বেগুনী আমারও প্রিয় রঙ। নীল কমলা হলুদও কম নয় আসলে আমার ধারণা আমার রংধনু রংটাই বেশি পছন্দের মানে সাত রঙ।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আরবাজের জন্য খুব মায়া লাগলো!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমারও তার জন্য মায়া রয়েছে।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পের রসিকরা হয়তো এখানেই এসেই লেখকের কৃর্তণ করেন, অসারণ! পাঠক যে যার মতে ভেবে নিয়েছিল হয়তো আমার কথা কি আর বলবো আমিতো রিতিমতো এখানে এসে চমকে গেছি,কোথায় যাচ্ছে এবারও বড় ধরনের সক খেলাম। যাই হোক গল্প যে বুনছে সে যে একজন নিপুন কারিগর তার প্রশংসা করার কোন বাক্য আমার জানা নেই। গল্পে আছি সেই আগের মোতই। এবার কোথায় ফোকাসটা দেখার অপেক্ষায়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সুজনভাই। আপনারা যারা প্রথম থেকেই আমার গল্প পড়ে আসছেন অয়নভাই, সম্রাটভাই, মনিরা আপা সুজন ভাই আহমেদভাই খায়রুলভাই আখেনাটেন, শকুনদৃষ্ট, নীল দর্পণ হাফসাসহ আরও অনেকেই তাদের কাছে রইবে আমার চিরকৃতজ্ঞতা। প্রথমে নিজের মনেই লিখতে শুরু করেছিলাম। আপনাদের অনুপ্রেরনা আর আগ্রহে এখন একটা সিরিজ লিখেই মনে পড়ে যায় আপনাদের কথা। জানাতে চাই কি লিখেছি আমি। এসভই আপনাদের অনুপ্রেরনার ফল।

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আপুনি, এতো সুন্দর করে গল্প লেখেন কিভাবে? গল্প পড়িয়া একখানা লাইক প্রদান করা হইল। !:#P

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বাদশাভাই।

২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি নয়টা পর্ব একসাথে পড়লাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সাধুভাই।

২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: ডেডলক্‌, পরিস্কার ডেডলক্‌ সিচুয়েশান।

পদার্থ বিজ্ঞানের পরিভাষায় - একই সময়ে একই বস্তুর উপর যদি বিপরীত দিক থেকে সমমানের দুটি বল একই সঙ্গে ক্রিয়া করে তবে, বস্তুটির ডেডলক্‌ সিচুয়েশান হয় - অর্থাৎ, বস্তুটির অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয় না বা সে কারোর দিকেই অগ্রসর হয় না।

আরবাজকে আমি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছি তাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না। শুধু তাকেই নয় - এই জীবনে হয়তঃ আমার আর কাউকেই বিয়ে করা হবে না। - বাস্তবেও বোধহয় এমনটিই হয় - যেমন হতে দেখেছি আমাদের সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান স্যারের ক্ষেত্রে।

তুমি কোলে নিয়েছিলে সে-তার,
নীড় দিলে নিষ্ঠুরো ক'রে -
ছিন্ন যবে হলো তার
ফেলে গেলে ভূমি পরে।

আমার ভাঙল যা তা, ধন্য হল চরণো পাতে।।

প্রকৃত ভালবাসা বোধহয় এমনই - বাকীরা নগদ নারায়ণে বিশ্বাসী ব'লেই আমার মনে হয়। যার ফল,
দুজনে ছাড়া-ছাড়ি,
মধু যামিনীরে।

দারুন মুন্‌শিয়ানা দেখিয়েছেন লেখিকা এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে। থাম্‌স আপ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ডেডলক সিচুয়েশন। তাই হবে হয়তো।


চিরদিন ছাড়াছাড়ি যমুনা তীরে
মধুযামিনী রে .....

মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। আমার প্রিয় গানগুলিই আপনার মাথায় ঘোরে।

এই গান আসছে নেক্সট কোনো পর্বে।

মানে এই গানের সাথেই হয়তো যায় সেই স্মৃতি----

দুজনের আঁখিবারি, নীরবে গেলো বয়ে
দুজনের প্রাণের কথা প্রানেতে গেলো রয়ে ....

২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: আর তো হল না দেখা,
জগতে দোঁহে একা-
চিরদিন ছাড়াছাড়ি
যমুনা তীরে।।

এই গান আসছে নেক্সট কোনো পর্বে? মানে এই গানের সাথেই যায় সেই স্মৃতি?

হায় হায়! বলেন কি!! কে তবে হতে চলেছে সেই সৌভাগ্যবান? আর, কেই বা অভাগা? আরবাজ না দোলন? দোলন না মিঃ আরবাজ চৌধুরী - যিনি এমনই এক মানুষ যাকে বিশ্বাস করা যায়, যার ব্যাক্তিত্বের কাছে হার মানে পৃথিবীর সকল কলুষতা, অসত্যতা? না কি ইনাদের কেউ না? কোন করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে?

তবে, একজনকে ত হারাতেই হবে। আবার, পাবার জন্যও হারাতে হয় অনেক সময় -

তোমায় নতুন করে পাব বলে
হারাই ক্ষণে-ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন ।
দেখা দেবে বলে তুমি
হও যে অদশর্ন
ও মোর ভালোবাসার ধন ||

ওগো, তুমি আমার নও আড়ালের,
তুমি আমার চিরকালের -
ক্ষণকালের লীলার স্রোতে
হও যে নিমগন
|

দেখা যাক কি হয় ... পরের পর্বের প্রতীক্ষায় ...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নতুন করে পাবো বলে হারাই বার বার ....
আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনার গানের গলা ভালোই। মানে বেশ ভালো।

২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। আমার প্রিয় গানগুলিই আপনার মাথায় ঘোরে -

এর ক্রেডিটটার অনেকটুকুই রবিবাবুর পক্ষেই যায় বলে আমার মনে হয়। কারন, মানব হৃদয়ের কোমল কুঠুরির আনাচে-কানাচে এই মহান কবির বেশ ঘোরা-ফেরা।

আর, শান্তনিকেতন, রবীন্দ্র সঙ্গীত, অংক বা প্রোগামিং - এগুলির ভেতরে দারুন একটা যোগসুত্র আছে বলেই মনে হয় - যারা বিশ্বাস করেন তাদের চিন্তার যোগসুত্রও কি থাকা স্বাভাবিক না?

আর হ্যাঁ, তোমায় নতুন করে পাব বলে, হারাই ক্ষণে-ক্ষণ গানটি সাহেব চ্যাটার্জীর কন্ঠে ভাল লাগে। শুনতে দেখতে পারেন।

শুভকামনা নিরন্তর।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এর ক্রেডিটটার অনেকটুকুই রবিবাবুর পক্ষেই যায় বলে আমার মনে হয়। কারন, মানব হৃদয়ের কোমল কুঠুরির আনাচে-কানাচে এই মহান কবির বেশ ঘোরা-ফেরা।

মানব মনের আনাচে কানাচে বসে বসেই তিনি রচনা করেছেন তার অমর সৃষ্টি।

২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

মিথী_মারজান বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর একটি পর্ব।
আবারো অপেক্ষা শুরু ঝুমকি ফুফুর ফোনের কারণটা জানার জন্য। :)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানবেন। মানে অচীরেই জানিয়ে দেবো।ধন্যবাদ অশেষ মিথী।

২৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগা... চলুক মাথে আছি। (এক সাথেই অনেকগুলো পড়ে নিলাম)

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সোহানী।

২৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ! মানে দারুন!
প্রতি পর্বেই দারুন সব টুইষ্ট! আটপৌড়ে ভাবনার বাইরে দারুন, নিজের মতো করে চলছে জীবন :)

পর্ব শেষে আগ্রহটা বেড়েই যাচ্ছে :)
+++++++++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগুভাই।

৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই পর্বটা ভালোই লাগলো, যদিও প্লট কিছুটা পুরোনো। তারপরও ভালো এবং প্লাস :)

সাত আট কিংবা নয় দশ সব কাহনই বলে দিয়েছি।
এতো কাহন থাকলে তো বিপদ :D

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মানুষের জীবনে কি কাহনের শেষ আছে? নেই....
অনেক ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো ভাই।

৩১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনার গানের গলা ভালোই। মানে বেশ ভালো - হা হা হা ...

কেন? কেন এমনটি মনে হল আপনার? এর পেছনে কি সুত্র আপনি খুঁজে পেয়েছেন?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কথায় কথায় এইভাবে গান আসে যাদের তাদের জিবের ডগাতেও গান থাকারই কথা। আর সেই ক্ষেত্রে গলা বা কন্ঠটাও অনায়াসে এসে যায়।
এইভাবেই সুত্র এসে যায়।

৩২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পরের পর্ব কবে আসছে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শিঘ্রই আসছে অয়নভাই।
সমস্যা হলো লিখতে গিয়ে নিজেই চোখের জলে ভেসে যাই মাঝে মাঝে। যা লেখার গতীকে প্রতিহত করে।

৩৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: হুমম! বুঝলুম, যা বুঝার!!

তবে, আপনি যতটা ভাল লেখক, গল্পের গাঁথুনীতে যতটা পাকা হাত আপনার, গুড গেসার মনে হয় ততখানি নন। তবে, যুক্তিটা অনেক শক্ত-পোক্ত, হৃদয়গ্রাহী মনে হয়েছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তার মানে বলতে চাচ্ছেন আপনি গায়ক নন শ্রোতা। শুধু শ্রোতাদের মাঝে এত গান মনে রাখার ক্ষমতা কম থাকে। একটু আধটু জানা থাকলে এই রকম হুটহাট গানের এক্সামপল দেওয়া সহজ হয়। আপনাকে তাই এমনটা মনে হয়েছে আমার।

৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

শামচুল হক বলেছেন: খুবই ভালো লাগছে। চলুক সাথে আছি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।

৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: দারুণ দারুণ
খুব সুন্দর।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৩৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আরবাজকে একেবারে নিরাশ মনে হল না। শেষমেষ হয়ত তার সাথেই মিলিয়ে দেবেন। তবে দোলনের ব্যাপারটা ঘোলাটেই রয়ে গেল। তার কোন অ্যাকটিভিটি না দেখা গেলে অপূর্ণতা থেকে যাবে।
বরাবরের মতই পাঠককে ধরে রাখবে। গতিশীল আর সুন্দর।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরের পর্বে যান কষ্ট করে সম্রাটভাই। আপনার উত্তর কিছুটা পাবেন।

৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



পৃথিবীর ধুলোকাদায় আছড়ে পড়া এক আহত ডানাভাঙা পাখির গল্প ..................

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদভাই।

৩৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়লাম।বরাবরের মতই ভাল লাগা।+++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেলভাই।

৪০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আরবাজ মনুষ্য সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র -- হ্যাটস অফ টু ইউ ফর জাস্ট দিস পীস অভ কমেন্ট!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: থ্যাংক ইউ খায়রুলভাই।

৪১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে, আর মাত্র কয়েকটা সিরিজের পর আপনি এ নিয়ে আর লিখবেন না!
আপনার গল্পে যত বিদগ্ধজনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছি, এরকম খুব বেশী দেখা যায় না। মূল গল্পের সাথে সাথে কয়েকজন পাঠকের উচ্চমানের আলোচনা ভীষণ উপভোগ করেছি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না লিখবোনা ভেবেছিলাম। কিন্তু আবার আসবো আমি নতুন কিছু নিয়ে খুব শিঘ্রীই। তবে কিছুদিন ব্যাস্ততা থাকবে। অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বিদগ্ধজনের উপস্থিতি ও সুন্দর আলোচনা সমালোচনা কখনও কখনও কিছুটা তর্ক বিতর্ক বা রসিকতার জন্য।

৪২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১২

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আরবাজ চৌধুরী তাহলে আমার কথাটাই বললেন দোলনের ব্যাপারে। হুম...

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.