নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ১৯

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩


পরদিন খুব ভোরে দাদুর বাসায় চলে এলাম আমি। হঠাৎ আমার এভাবে মরিয়া হয়ে দাদুর বাসায় আসতে চাওয়ার আবদার দেখে মা হয়তো অবাকই হয়েছিলেন। কিন্তু কিছু জানতে চাইলেন না। এই দাদুর বাসায় হঠাৎ আসার ব্যাপারটা নিয়ে আমি যখন আকুল হয়ে মায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, মা খুব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এই জীবনে আমার উপরে উনি অজস্র বাক্যবাণ, তীর্যক কথার ছুরি চালিয়েছেন বারংবার, বহু বহুবার ফালাফালা করে কেটেছেন উনি আমাকে তার তীক্ষ কথার চাবুকে। তবুও আমি কোনোদিন মায়ের কোনো করুণা চাইনি। নীরবে মেনে নিয়েছি তার সকল উৎপীড়ন। তাই কাল যখন তাকে এইভাবে বললাম, উনি মানা তো করতেই পারলেন না বরং বিস্মিত নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর ড্রাইভার চাচুকে ডেকে বলে দিলেন ভোরবেলা যেন উনি আমাকে ও বাড়িতে রেখে আসেন।

আমি মোটামুটি আশস্ত হলাম কিন্তু এরপরও আমার ভয় যায় না। মনে হয় আজ রাতেই যদি দোলন হাজির হয় এই বাসায়। তাকে যে জ্যান্ত ফিরতে দেবেনা মা সে আমি মোটামুটি নিশ্চিৎ। দোলন কি করবে? কি তার পরিকল্পনা, কোন সাহসে, কার ভরসায় এসেছে সে এই পরিজনহীন বাংলাদেশে! কিচ্ছু জানিনা আমি। দোলনের জন্য আমার ভীষণ ভয় হয়। এই ভয়টা হয়তো আমাকে ধরিয়ে দিয়েই গিয়েছে আরবাজ। তার মত বোধ বুদ্ধি এবং বাস্তববাদী মানুষ তো আমি আর দেখিনি। সে যেদিন বললো, দোলন সেই মুহুর্তে বাংলাদেশে ছুটে না এসে সঠিক কাজটাই করেছে। এইভাবে আসাটা হত চরম বোকামী বা চরমতর কোনো করুণ পরিনতির নামান্তর। সেদিন হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আমি আরবাজের দিকে। তার আগ পর্যন্ত দোলনের প্রতি চরম অভিমানে আমি তার কথা ভাবতেও চাইনি পর্যন্ত। সেই প্রথম আমার চোখের উপর থেকে কালো পর্দাটা সরতে শুরু করেছিলো।আমি বুঝতে শুরু করলাম আসলেই আমি ভুল বুঝেছি। আরবাজ যা বলছে সঠিকটাই বলছে সে। সেই মূহর্তে আমার মাথা কাজ করছিলো না । আমি ধরেই নিয়েছিলাম আমার সে দূরাবস্থা জানা মাত্র দোলন সবকিছু ফেলে কোনো ভাবনা চিন্তা ভুত-ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ছাড়াই আমার কাছে ছুটে আসবে। উদ্ধার করে নিয়ে যাবে আমাকে।

আজ ভাবলে হাসি পায়, ছোট থেকে রুপকথার গল্প বেশি পড়ার ফলই ছিলো হয়তো সেটা। আমার জীবনের প্রথম পড়া রুপকথার গল্প যা বাবা আমাকে কিনে দিয়েছিলেন। বইটার প্রচ্ছদে লাল বসন ভূষনে সজ্জিতা মুকুট পরা কঙ্কাবতী রাজকন্যার ছবি। যাকে দৈত্যপূরী থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বীর সাহসী রাজপুত্র। সাত সমুদ্দুর তেরো নদী কোনো কিছুই পরোয়া করেনি সে। আর এতো শুধুই পাশাপাশি দুটি দেশের ব্যাবধান। আমার রাজপুত্রের যে সেইটুকু পথ পাড়ি দেওয়াটাও কতটা দুস্কর ছিলো আমার অবুঝ মন সেটা বোঝেনি, মানেনিও। কিন্তু আরবাজের কথাতেই আমি এক নিমিশে বড় হয়ে গেলাম। বড়দের মত ভাবতে শুরু করলাম। অন্য যে কোনো প্রেমিক হলেই হয়তো বলতো দোলন ভুল করেছে, যে কোনো মূল্যেই সে ছুটে আসলো না কেনো তোমার কাছে? কেনো সে সেই মুহুর্তে তোমার পাশে দাঁড়ালো না সে, এমন অনেক কিছুই সাত সতেরো। আসলে এই জীবনে যাদেরকেই আমি দোলনের কথা বলেছিলাম তারাও সেটাই বলেছিলো। এটাই স্বাভাবিক। প্রেম যেমন কোনো ধর্ম, বর্ণ জাঁত পাত মানেনা তেমনি প্রেমিক প্রেমিকারও একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা উদ্বেগও হয় অন্ধ। তাই এই ধরনের অসম ভালোবাসার পরিনতিও যদিও অন্ধকারেই মুখ থুবড়ে পড়ে তবুও সেই ক্ষেত্রেও সেটাই যেন করণীয়। তাই তো পৃথিবীতে এত বিফল প্রেমের সফল অমর গল্পগুলি সদা স্মরনীয় বা চির জাগরুক হয়ে থাকে আমাদের মনে।

সে যাইহোক আমি আমি জেনে গেছি সেদিনও দোলনের জন্য এই দূর্গম পথ ছিলো যেমনই বিপদসঙ্কুল, আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমাকে দোলনকে বাঁচাতে হবে। যে কোনো মূল্যে দোলনকে রক্ষার সকল দায় দায়িত্ব এখন আমার। জোর করে ভুলতে চাওয়া ক্রমে ঝাঁপসা হয়ে আসা দোলনের মুখের আদলটা এতদিন পরে আমার মনে মায়াময় স্মৃতিমুখ হয়ে জ্বলজ্বল জ্বলতে থাকে। সেই গভীর কালো বড় বড় চোখের অক্ষিপল্লবের ছায়া। বাঁম দিকের গেজ দাঁতের বড় দূর্লভ হাসি। সবই আমার চোখের সামনে চলচিত্রের মত ভাসতে থাকে। আমার দুচোখে ঝরতে থাকে অঝর শ্রাবন। এই চরম সঙ্কটে আমার মাথা কাজ করে না। এই মুহুর্তেও আমার এই পৃথিবীতে একমাত্র শুভাকাঙ্খী হিসাবে আরবাজকেই মনে পড়ে। আমি জানি আরবাজ আমাকে যত পছন্দই করুক বা ভালোবাসুক সে কখনও নিজের স্বার্থের কথা ভেবে আমাকে ভুল পরামর্শ দেবে না বা দোলনের ক্ষতি হয় এমন কিছুই সে করবে না। পরামর্শ চাইতে ওকেই আমি বেঁছে নেই। কিন্তু আরবাজ আউট অব রিচ। বিদেশের ফেরার পর থেকেই ওর সাথে মেসেঞ্জারেই বেশি কথা হত আমার। আর আমার ফোন থেকে বিদেশে কল দেওয়াটাও সম্ভব না হওয়ায় মেসেঞ্জারেই আমাকে অপেক্ষা করতে হবে আরবাজের জন্য। কিন্তু আমার সময় বড় কম।

কি করবো এখন আমি? কোনো ডিসিশনই নিতে পারিনা আমি। অনেক ভেবে আমি শিউলিকে এই বিপদে সাহায্য চাইবার একমাত্র পথ বলে মনে করি। ওকে গোপনে ডেকে আনি আমার রুমে। দরজা বন্ধ করে খুব অনুনয় করে ওর দুটো হাত ধরে বলি,
- শিউলী তুমি আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবে?
ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে সে। এমনভাবে ভেঙ্গে পড়তে আসলে এ বাড়িতে কেউ কখনও আমাকে দেখেনি। আমার দুচোখে তখন অঝর বর্ষন। আমাকে এমন উতলা হতেও সে দেখেনি কখনও। সে আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে বলে,
- আপুমনি তুমি কাইন্দো না। কি করতে হবে বলো? আমি নিজের জানের বদলি হলেও তাই করবো।
আমার মুখ দিয়ে কথা সরে না। এইভাবে সে কখনও আমাকে কিছু বলেনি কিন্তু সদা ও সর্বদা শিউলিই একমাত্র মানুষ যে ছিলো এই বাড়িতে আমার সকল প্রতিকূলতায় খুব নীরবে ও গোপনে আমার পাশে পাশে। আমাকে ওর এই প্রছন্ন সঙ্গ দিয়ে চলার ব্যাপারটা কেউ না বুঝলেও আমি ঠিকই বুঝতাম। তাই এই বিপদে ওকে মনে পড়েছিলো আমার। শিউলী যেভাবে বললো, এইভাবে কেউ কখনও আশ্বস্ত করেনি আমাকে। খুব অবাক লাগে, এই পৃথিবীতে সকল আপনজন থাকতেও আমার কোথাও কেউ নেই যাকে যে কোনো মুহুর্তে যে কোনো পরিস্থিতে খুলে বলা যায় নিজের মনের সুখ কিংবা দুঃখটুকু। অথচ কোথাকার কোন শিউলী আজ সে নিজের জীবনও দিয়ে দিতে রাজী এই আমার জন্যে! আমি ওকে বলি-
-কেউ যদি আমাকে খোঁজ করে, মানে আমার কথা জানতে চায়, বলো আমি কোথায় চলে গেছি কেউ জানেনা....
শিউলী অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। বলে,
-কই যাইবেন?
আমি সে কথার উত্তর না দিয়ে বলি-
-শিউলী তুমি রমেশকাকু, ড্রাইভার, হাশেমচাচা সবাইকে বলে দিও। সবাইকে বলো তুমি ....যদি কেউ কখনও এই বাড়িতে এসে আমাকে খোঁজে তারা যেন বলে আমি কোথায় চলে গেছি তাদের জানা নেই...
কান্নায় আমার গলা ধরে আসে। আমি কিছু বলতে পারিনা আর কিন্তু শিউলি যা বুঝার বুঝে নেয়। ও আমার চোখের পানি মুছিয়ে দেয় পরম মমতায়। এক স্নেহশীলা বড় বোনের মত জড়িয়ে রাখে সে আমাকে।

আমি ওর কোলে মাথা রেখে কাঁদতে থাকি। ও আমাকে কাঁদতে দেয়। মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। গভীর রাতের নিস্তবদ্ধতার বুক চিরে বদ্ধ ঘরের ভেতরে নিজের কানেই ভেসে আসে শুধু আমার নিজেরই ফুঁপিয়ে ওঠার শব্দ। আর শিউলীর নিশব্দ কান্নার বাণী বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। সেই দীর্ঘ গভীর নিশীথে সম্পূর্ণ দুই প্রান্তের দুই বিপরীত মেরুর নারী আমরা দুজন ভেসে যাই একই বেদনায়। আমার মনে পড়ে এই বাড়িতে পা দেবার প্রথম দিনটি হতেই এই মেয়েটি আমার হাত ধরেছিলো। আমার ঘোরগ্রস্ত জ্বরের একাকী রাত্রীরে এই মেয়েটিই সারারাত আমার পাশে বসেছিলো। খুব ভোরে আমার জ্বর ছেড়ে যাবার পরে প্রচন্ড ক্ষিধের মুখে এই মেয়েটিই আমাকে আশ্চর্য্য স্বাদের মাখনে ভাঁজা পাউরুটি আর ডিম এনে দিয়েছিলো। নতুন বাবার মা যেদিন আমাকে নিয়ে অসহ্য কিছু কটু কথা বলছিলেন আমি আড়ালে থেকে শুনে ফেলেছিলাম। আমার দুচোখ ভরে উঠেছিলো সেদিন জলে। উনি আমাকে নিয়ে যে পরম তাচ্ছিল্যে উনার এক আত্মীয়ের সাথে আলাপ করছিলেন সেই আলাপটা আমার চোখে পানি এনে দিয়েছিলো সেই ছেলেবেলাতেও। সে সময়টাতেও শিউলী আমার পাশে ছিলো ছায়ার মত । সকল সুখে নয় তবে সকল দুখেই এই রক্তের সম্পর্কহীন মানুষটি আমার পাশে পাশেই ছিলো। পৃথিবীতে নেই নেই করেও কত মায়া...... কত মায়াজাল........ আজও সারারাত শিউলী আমার পাশে বসে থাকে।

খুব ভোরে শিউলী আমার ব্যাগ গুছিয়ে দেয়। আমার খুঁটিনাটি জিনিসপত্র পরম যতনে ব্যাগে ভরে সে। আমি মনে মনে ঠিক করে ফেলেছি এ বাড়িতে আমি আর ফিরবো না। কথাটা ভাবতেই আমার এক অজানা আতংক বা কষ্টের বোধ ঠিক বুকের মধ্যখানে বয়ে যায়। হয়তো শিউলীর সাথে আর কখনই দেখা হবে না আমার। শিউলীর এই মায়ার বাঁধন কেটে অনেক দূরে চলে যেতে হবে আমাকে। হঠাৎ কি মনে করে আমার গলার সেই ছোট্ট থেকেই পরে থাকা সরু সোনার চেইনটা খুলে আমি শিউলীর হাতে দেই। বলি,
- শিউলী আমি যখন থাকবো না । আমার কথা মনে হলে তুমি এই চেইনটার দিকে তাকিও....
শিউলী কোনো কথা বলে না। ওর চোখ দিয়ে নিশব্দে জল ঝরে অবিরল।

সেই অন্ধকারাছন্ন ভোর বেলাতেই আমি ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। বিশাল ভয়ংকর নতুন এলসেশিয়ানটা ঝিমুচ্ছিলো তখন সিড়ির উপরে বসে বসে। আমার পায়ের আওয়াজে সে পরম আলস্যে এক চোখ খুলে তাকায়। চেনা মুখ দেখে আবার অবলীলায় নিশ্চিন্তে চোখ বন্ধ করে ফেলে । সিড়ির মুখে কচকচে সবুজ পাতাবাহারের বড় বড় পাতাগুলি সেই অন্ধকারাছন্ন ভোরের আলোতে কালো কালো চেহারায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চুপ। বাগানের পাথরের বেঞ্চগুলো সেই আঁধো আলো ছায়াতে মুখ বধির দৃষ্টিতে ভুতুড়ে চেহারা নিয়ে বুঝি তাকিয়ে থাকে আমারই দিকে। ঝলমলে সতেজ ফুলগুলো যা কিছুক্ষণ পরেই রৌদ্রের আলোয় ঝলমল করে হেসে উঠবে তারাই শিশিরসিক্ত শীতলতায় জড়তায় কুঁকড়ে থাকে এই হিম হিম ভোরের হাওয়ায়। কত আনন্দ, বেদনা অশ্রুজলের ইতিহাস বয়ে চলে এই স্থবির প্রানহীন পাষান কিংবা এই মুক প্রানী বা জীবগুলি এই পৃথিবীতে। নির্বাক ভাষায় হয়তো বর্ণনাও করে চলে তারা সেসব বিশ্ব বিধাতার কাছে। শুধু আমাদের তা জানা হয় না কখনও। এক সন্ধ্যায় এ বাড়িতে পা দিয়েছিলাম আমি সকলের অগোচরে আর এক ভোরে বিদায় নিয়ে যাচ্ছি সকলের অলক্ষ্যে। তাতে এই পৃথিবীর কোনো ক্ষতি বৃদ্ধি নেই। কোথাও কারো কিছুই যায় আসে না হয়তো।


গাড়িটা যখন মেইন গেট পার হচ্ছিলো পেছনে ফিরে আরও একবার তাকালাম। বাগান আর গেটের লাইট তখনও জ্বলছে। পুরো বাড়ি ঘুমিয়ে আছে এক আশ্চর্য্য নীরবতায়। এরই মাঝে আমি চুপিচুপি যেন পালিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু কার থেকে পালাচ্ছি? কিসের এত ভয় আমার? মায়ের সাথে কাল রাতেই শেষ দেখা হয়েছিলো। জানিনা মার সাথে আর কখনও আমার কোনোদিন দেখা হবে কিনা। তার এত এত অবহেলার পরেও এ কথাটা ভেবেই বুকের মাঝে অনুভব করি এক চিনচিনে সুক্ষ কষ্টের স্রোত। মনে মনে বলি, মা আমি জানি তোমার কিছু কষ্টের তীব্রতা আছে। যেসব কষ্টগুলো বা তার কারণগুলো আজও আমার অজানা। বুদ্ধি হবার পর থেকেই তোমার বুকের মাঝের জলন্ত হুতাশনের দেখা আমি পেয়েছি। যদি পারতাম নিজের জীবনের বিনিময়েও নিভিয়ে দিতাম তোমার সেই হুতাশনের যন্ত্রনা।
জানিনা কেউ তা পেরেছিলো বা পারবে কিনা। আমি জানি তোমার শত সহস্র অশান্তির মাঝে আমিও একটি অশান্তির কারণ ছিলাম। জানিনা কি তার কারণ তবে সেই অশান্তি থেকে আমি তোমাকে আজ মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি। আমি আর কোনোদিন ফিরবোনা। এটাই আমার প্রতীজ্ঞা। যেভাবেই হোক, যে কোনো মূল্যেই হোক আমি এই শপথ বা প্রতীজ্ঞা রক্ষা করবোই। আমি চাই বাকী জীবনটা তুমি অনেক অনেক ভালো থাকো। যেমনটা চাও বা যেমনটি তুমি চেয়েছিলে ঠিক তেমনি করে ভালো থাকো তুমি। আমি তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম ....ভালো থেকো মা.....


তীতলীটার জন্য বুকের মধ্যে এক চাপা কষ্ট.......আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসছে। ভোরের ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি ছুটে চলেছে শনশন। জানালার গ্লাসটা খুলে দেই আমি। ভোরের নির্মল বাতাসের ঝাঁপটা এসে লাগে মুখে। শীতল হাওয়ায় প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। তীতলীর ছোট্ট মিষ্টি মুখটা সকল কিছু ছাঁপিয়ে আবারও মনে পড়ে আমার.....তীতলী হয়তো আমাকে ভুলেই যাবে। কিন্তু তীতলী আমার সকল শুভকামনা আর ভালোবাসা থাকবে তোমার জন্য। জীবনের যে কোনো প্রান্তেও এসে যদি তোমার কোনোদিন আমাকে প্রয়োজন পড়ে আমি থাকবো তোমার পাশে.... উফফ .....আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে...
এই পৃথিবীতে এত কষ্ট কেনো মানুষের? অনেক দিন আগে এক বাউলের মুখে একটা গান শুনেছিলাম। একতারা বাঁজিয়ে সে গাইছিলো-

মানব জনম দিয়ে বিঁধি পাঠাইওনা পৃথিবীতে....
এত কষ্ট পেলাম আমি মাপার মত নেইকো ফিতে..

তবে কি মানব জনমেই সকল কষ্ট!
পূর্নজন্ম বলে যদি কিছু থাকে তবে কি আমি ঐ বাউলের মত অন্য কোনো জীবের জীবন চাইবো?
কত শত প্রশ্নই খেলা করে আমার মাথায়......
যার উত্তর জানা নেই......

একি খেলা আপন সনে - ১৭

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বেচারা খালি দৌড়ের উপরেই থাকে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভালো বলছেন। এই বাড়ি ঐ বাড়ি ....

পরের জা'গা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই,
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।

আমরা কেউই এই জগতের কোনো ঘরের মালিক নই অয়নভাই।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: যাক দোলনের সাথে মিল হবে না । খুব ভালো হয়েছে আজকের পর্ব টা ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এখনও সেই দোলনকে নিয়েই আছেন? অয়নভাই আবার ফাঁকতালে জিতে যায় মনে হচ্ছে।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সেটাই তো চিন্তায় পড়ে গেলাম । নায়িকা একাই না জানি থাকে ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একা থাকলে সমস্যা কি আপু? এত জটিল জীবনে সেই তো সবচেয়ে সহজ সমাধান মনে হয়।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: @নূরাফা, থাক এত চিন্তা করে লাভ নেই। বাস্তবে আসলে যা ঘটেছিল সেই অবলম্বনেই গল্প শেষ হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাস্তব ঘটায়মান। এখনও তার শেষ হয়নি।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: তাও অবশ্য ঠিক । নায়িকা তুমি একাই থাকো । পঁচা নায়িকা ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একা থাকলে পঁচা হয় এই ধারনা থেকে বের হতে হবে মেয়ে। বরং ধারনাগুলো উল্টে যাক। রাজকন্যা উদ্ধার করবে তলোয়ার নিয়ে রাজপুত্রকে রুপকথাগুলো এইভাবে লেখা হোক।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু উল্টো হলে ভালোই হতো । আমি পঁচা বলছি আরবাজের জন্য । আরবাজ অপেক্ষায় থাকবে ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তাহলে আরবাজকেই রক্ষা করতে পাঠাই নায়িকাকে। উল্টোও হবে প্রথাও ভাঙ্গবে।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হাহাহা দারুন হবে । আপু জলদি পাঠান ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভাবনায় থাকবে। দেখি পাঠানো যায় কিনা।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: তখন পাঠক রা কইব লেখিকা একটা ফেমিনিস্ট। :P

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পাঠক বললে কি আর করা? আপনারাও তো কত কিছুই বলছেন কিন্তু আমার গল্প চলছে নিজের নিয়মে আর গল্পের নায়িকা চলছে তার ভাগ্যের নিয়মে।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মানব জনম দিয়ে বিঁধি পাঠাইওনা পৃথিবীতে....
এত কষ্ট পেলাম আমি মাপার মত নেইকো ফিতে..

তবে কি মানব জনমেই সকল কষ্ট!
পূর্নজন্ম বলে যদি কিছু থাকে তবে কি আমি ঐ বাউলের মত অন্য কোনো জীবের জীবন চাইবো?
কত শত প্রশ্নই খেলা করে আমার মাথায়......
যার উত্তর জানা নেই......


এ লাইনগুলো নিয়ে কিছু কথা,তবে লাইগুলোর অনেক গভীরতা আছে। পূর্নজন্ম একটি অমীমাংসিত উত্তর! কিন্তু কথায় আছে লাইফটাকে এনজয় করো,আচ্ছা জীবন জিজ্ঞাসায় কিছু প্রশ্নের উত্তর কি আদৌ হয়? ধরুণ, তিনটা জিনিষ এদেরকে দেখে বা শুনে এক মনে হয়। যেমন- সুখ, শান্তি, আনন্দ। আসলে কি এরা এক?

কবি‘র ভাষায় বলতে হয়,আমি পাগল হয়ে বনে বনে ঘুরি, আপন গন্ধে মম কস্তুরি মৃগ সমান!! হিমালয় একটি হরিণ পাওয়ার যায়, তার নাভিতে মন মাতোয়ারা একটি সুগন্ধ বের হয়। এমনতো অবস্থায় হরিণটি পাগলের মত দৌড়ায় এ সুগন্ধ কোথায় থেকে আসছে? সে খুঁজতে থাকে কোথায় সে সুগন্ধ? কোথায় সে সুগন্ধ ? কিন্তু সে সুগন্ধ তার নিজের নাভিতে আসছে। তার নিজের শরীর থেকে বের হচ্ছে সে অমৃত সৌভাস। কিন্তু সে দৌড়াচ্ছে, সে দৌড়াচ্ছে, পাথর ঠকড়াচ্ছে, মাটি খুঁড়ছে, গাছে উঠচ্ছে। কিন্তু সে সুগন্ধের সন্ধান পাচ্ছে না। একদিন এইভাবে, এই জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে সে ক্লান্ত। সে বিব্রত হয়ে, একদিন না, একদিন দেহ ত্যগ করছে। ঠিক সে রকম আমরাও দৌড়াচ্ছি এ প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজতে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার কমেন্টের দুটি পোরশন আছে,

১। পূর্নজন্ম একটি অমীমাংসিত উত্তর- হ্যাঁ মানছি। তবুও পূর্ণজন্ম বলে হিন্দু ধর্ম এবং বাউলিয়ানাও কিছু নিদর্শন পাওয়া যায় গানে, দর্শনে বা বিভিন্ন মতবাদে। পূর্ণজন্ম কথার অর্থ হচ্ছে পুনরায় জন্ম গ্রহণ । একবার জন্মের পর স্বাভাবিক নিয়মে যে মৃত্যু হয় তারপর আবারও অবিনশ্বর আত্মা সহযোগে ভিন বাড়িতে বা ভিন পরিবেশে একই আত্মা কিন্তু ভিন্ন শরীরে প্রত্যাবর্তন। এটা
ধর্মের একটি বিশেষ তত্ত্ব । প্রত্যেক প্রাণী বা জীবের মধ্যে আত্মা আছে । আর এই আত্মা দেহ ধারণ করে এবং এই আত্মাটির কারনেই দেহ ও জীবে জিবনের সঞ্চার হয়। নইলে এই দেহ হত জড় পদার্থ। তবে এই আত্মার কোন জন্ম মৃত্যু
নেই । শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতায় বলা হয়েছে " ন
জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা
ভবিতা বা ন ভূয়ঃ ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতো থয়ং পুরাণ্যো ন
হন্যতে হন্যমান শরীরে ।। ( শ্রীমদ্ভবদ্ গীতা ,
2/20)
- আত্মার কখনো জন্ম বা মৃত্যু হয় না । পুনঃ পুনঃ তার উত্পত্তি বা বৃদ্ধি হয় না । আত্মা কেবল এক দেহ থেকে অন্য দেহে আশ্রয় গ্রহণ করে । একে পুর্নজন্ম বলে । গীতার মত উপনিষদে আত্মা ও জন্মান্তরের কথা আছে । হিন্দু ধর্ম মতে মানুষের একটি মাত্র জন্ম নয় । তার অনেক জন্ম আছে । পূণ্যের ফলে স্বর্গ এবং পাপের ফলে নরকে যায় । স্বর্গ বা নরক ভোগ শেষে আবার জন্ম গ্রহণ করে ভিন্ন রূপে। ভিন্ন দেহে । তবে আত্মা কিন্তু একই । এর কারণ কর্মফল । কর্ম ফলের কারণে বিশেষ বিশেষ রূপে পূর্ণজন্ম হয় ।

এসব বললাম ( শ্রীমদ্ভবদ্ গীতা , 2/20) হতে প্রাপ্ত জ্ঞানের ভিত্তিতে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে এত বিস্তারিত জ্ঞানের হয়ত প্রয়োজন নেই। এই সত্যটি অমীমাংসিত যেমনই অমীমাংসিত বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাস। তবুও মানুষ ধর্ম তথা কিছু বিশ্বাস ব হন করেই পৃথিবীতে বেঁচে আছে।

আমি পূর্নজন্ম নিয়ে লিখছিনা তার কোনো বিশ্লেষনও করছিনা শুধু যা জানি তাই বললাম। আর গল্পে বলেছি মেয়েটির অতি সাধারণ মনের কল্পনা বা ঘটনার বিবরনকে। এটা এক অর্থে সিরিয়াস কিছু না হবার পরেও সিরিয়াস কিছুই। কারণ গানটি নায়িকাকে ভাবিয়েছিলো এবং জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই তার এই গান মনে পড়েছে।

জগতের প্রতিটি প্রাণী বা জীবেরই প্রাণ আছে। কষ্ট দুঃখ আছে। তবে তার মতে মানে সেই গান রচয়িতার মতে মানুষের দুঃখ এতই বেশি তার চাইতে অন্য প্রাণীর সম্ভবত কম কারন মানুষই একমাত্র প্রানী যে তার বোধ , বুদ্ধি আবেগ অনুভুতিতে চলে। এবং মনুষ্য জীবনই জটিল কর্মযজ্ঞে আবর্তিত তাই সে মানুষ না হয়ে ক্ষুদ্র তুচ্ছ কোনো প্রাণী হয়েও এই সকল দুঃখ এড়াতে চায়।

এটি কোনো ধর্ম তত্ব বিশ্লেষনটা নায়িকার মনের মাঝে ভেসে আসা সেই জটিক গানের কিছু পংতি।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মৃগনাভ বা কস্তরী মৃগের উদাহরনটা ভালো হয়েছে শাহরিয়ারভাই। এ প্রসঙ্গে রবিঠাকুরের একটি গানের কয়েকটি চরণ মনে পড়ে গেলো শকুন দৃষ্টি ভায়ের মত-

আমি আপনার মাঝে আপনি হারা
আপন সৌরভে সারা
যেন আপনার মন, আপনার প্রান
আপনারে সঁপিয়াছি ....

অনেক ভালো থাকবেন।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: নায়িকার ভাগ্য টা কি সাংঘাতিক মাত্রায় খারাপ । শেষ টা জানার অপেক্ষায় থাকলাম ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মানুষ তো নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ন্তা। সেও নিজের ভাগ্য নিজে হাতে তুলে নিয়েছে।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: একবুক অব্যক্ত ব্যথার যন্ত্রণা নিয়ে হাজারও সুখ-দুঃখের স্মৃতি জড়িয়ে থাকা নিজের ছোট্ট জগতটাকে এভাবে ছেড়ে আসতে রাজকন্যার কেমন লেগেছিল জানিনা, তবে সেই ব্যথার কিছুটা মনে হল নিজের ভেতরও অনুভব করতে পারলাম। কিছু মানুষের জন্মই হয় দুঃখকে আজন্ম সঙ্গী করে, রাজকন্যা মনে হচ্ছে তাদেরই একজন। কোন পর্ব পড়ে এত খারাপ লাগেনি যেমন লাগল মেয়েটির এভাবে বাড়িটি থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নেয়ায়।

আজকের পর্ব পড়ে আপনাকে খুশিমনে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না, যদিও আমার কাছে এই পর্বটাই সেরা মনে হয়েছে। খুশিমনে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না এজন্যই যে, রাজকন্যার নিজের ব্যথাটা এখনও আমার বুকে চিনচিন করে তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সম্রাটভাই এই মন্তব্যে আপনাকে কি জানাবো জানিনা। আমি অবাক হলাম এটা ভেবে যে আপনি হয়তো আমার মতই আবেগী অথবা অসম্ভব একজন মনোযোগী পাঠক। এই পর্ব লিখতে গিয়ে আমি কতবার যে চোখ ধুতে উঠেছি আমি তা নিজেও জানিনা।

আমিও জানি আমার এ পর্বটাই এখনও পর্যন্ত যা লিখেছি তার মাঝে সেরা। কারণ এ লেখা আমি বুকের গভীরে থেকেই এনেছি। অজস্র ধন্যবাদ সম্রাটভাই।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: BANGALI TEACHER VS STUDENTS | New Bangla Funny Video | New Video 2017
<< https://goo.gl/3mjLXw

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু । শেষ টা সুখের হোক । বেচারি খালি কষ্ট ই পাচ্ছে ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শাহরিয়ার কবিরের কমেন্টটা দেখেন নুর আপু। এই কস্তরীমৃগের মতই আসলে আমরা সবাই ছুটছি। সুখের পিছে। সুখ তো অধরা। আবার সকল অধারার মাঝেই সকল সুখ।

১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু পড়েছি । কথা গুলো ঠিক বলেছেন । আমরা সবাই সুখ নামক মরিচিকার পিছনে ছুটছি ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটাই হয়তো বেঁচে থাকর সুখ। মায়ামৃগ।

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বাদশাভাই।

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০০

অলিউর রহমান খান বলেছেন: খুবই সুন্দর! চমৎকার! মনোমুগ্ধকর!
আবার পড়ার জন্য প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি।

অনেক ভালো হয়েছে আপু।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অলিভাই কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার চায়ের রহস্য আমি জেনে গেছি। আপনি আমার লেখা পড়েননি।

১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ।

জগতের প্রতিটি প্রাণী বা জীবেরই প্রাণ আছে। কষ্ট দুঃখ আছে। তবে তার মতে মানে সেই গান রচয়িতার মতে মানুষের দুঃখ এতই বেশি তার চাইতে অন্য প্রাণীর সম্ভবত কম কারন মানুষই একমাত্র প্রানী যে তার বোধ , বুদ্ধি আবেগ অনুভুতিতে চলে। এবং মনুষ্য জীবনই জটিল কর্মযজ্ঞে আবর্তিত তাই সে মানুষ না হয়ে ক্ষুদ্র তুচ্ছ কোনো প্রাণী হয়েও এই সকল দুঃখ এড়াতে চায়।


আমি পূর্নজন্ম নিয়ে তত বিস্তারিত খুব বেশি জানিও না। তবে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাস করে এবং তাদের এ বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাও করি। কারণ, প্রতিটি ধর্মের ভিত্তি হল বিশ্বােসর উপরে। যাক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।একটা সময় গুটি বসন্ত ছিল, তাকে তাড়ানো হল,তারপরে আবার আরেটা নতুন রোগ এসে হাজির হল। ঠিক তেমনি মানুষের আবেগ,অনুভুতিতে নতুন নতুন দুঃখের বসতি আছে, থাকবে। আর আবেগ,অনুভূতি ছাড়া কোন প্রাণী হয় না। আপনার সাথে আলোচনা করে কিছু জানতে পারলাম, এবং ভালো লাগলো। গল্প চলছে চলুক, পাঠক হিসাবে সাথে আছি। অনেক অনেক ভাল থাকুন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই। এইভাবেই একে অন্যের সাথে আলাপ আলোচনায় অনেক কিছুই জানা সম্ভব। যেমন এই পূর্নজন্ম নিয়ে আমার দারুন আগ্রহ ছিলো একটা সময়। খুব ছোট বেলায় বিভূতিভূষনের দেবযান পড়েই এই আগ্রহ জন্মায়। পরে প্রবীর ঘোষের আলৌকিক নয় লৌকিক পড়ে সে ধারনায় সন্দেহ জন্মে। আসলে জানার তো শেষ নেই তাই তো হিরক রাজা বলেছেন, জানার কোনো শেষ নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই...



দেবযান - উইকিপিডিয়া
দেবযান হল প্রখ্যাত কথাসহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা উপন্যাস। এই উপন্যাসে মৃত্যু ও জীবন উপলব্দি নিয়ে রচিত।দেবযান নামটি সংস্কৃত শব্দ দেবযান থেকে এসেছে, যা আক্ষরিকভাবে ঈশ্বরের পথ হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে।এই পথ কোন ফেরার পথ নয়, যেহেতু প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে এই পথটি অতিক্রম করে একটি আত্মা মুক্তি পাবে।এই পথের বর্ণনা উপনিষদ এবং গীতাতেও রয়েছে। অন্য পথ পিতর ইয়ান নামে পরিচিত। কর্মের ফল কাটিয়ে উঠার জন্য এই পথটি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে। গীতা এই দুটি পথকে সাদা এবং কালো পাথ হিসাবে উল্লেখ করে, এক যা শাশ্বত জীবনের দিকে পরিচালিত করে এবং অন্যটি বিশ্বকে প্রত্যাবর্তনের জন্য বাধ্য করে। সঠিক শ্লোক, তবে দেবযান নামটি গ্রহণ ...
https://bn.wikipedia.org/wiki/দেবযান



প্রবীর ঘোষ - উইকিপিডিয়া
লেখক[১] যুক্তিবাদী
বাঙলায় লিখিত বই[সম্পাদনা]. তিনি যুক্তিবাদ প্রসার সহায়ক ও অলৌকিকতা বিরোধী একাধিক গ্রন্থের লেখক। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে আছে: অলৌকিক নয় লৌকিক( ৫ খন্ডে সমাপ্ত),; জ্যোতিষীর কফিনে শেষ পেরেক,; মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ ও মেডিটেসান; সংস্কৃতিঃ সংঘর্ষ ও নির্মাণ,; আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না,; পিংকি ও অলৌকিক বাবা,; অলৌকিক রহস্য জালে পিংকি,; ধর্ম-সেবা-সম্মোহন,; গোলটেবিলে সাফ জবাব ইত্যাদি।
https://bn.wikipedia.org/wiki/প্রবীর_ঘোষ

১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

প্রামানিক বলেছেন: পড়লাম এবং শেষ পরিণতি জানার অপেক্ষায় রইলাম

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ !!!
যেখানে মন নিজের সাথে নিজের বোঝাপরায় সায় দেয় ।


তবে সেখানোই ......।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মনিরাআপা আমার কাছে এই পর্বটি আমার লেখা বিশেষ একটি পর্ব। এ লেখা লিখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম। মনে পড়ে ছোটখাটো খুঁটি নাটি ফেলে আসা স্মৃতি। সব কিছু লিখতে পারিনা।

২১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এখানে বিরাট একটি ব্যাপার লক্ষ করে যাচ্ছি গল্পটি শুধুই যে একটি মাত্র জীবন দর্শণের আদলে বর্ণিত হচ্ছে তা নয়, এখানে আরো কয়েকটি চরিত্রে কষ্টগুলোও কম নয়। তবে অস্পষ্ট বর্ণনায় তাদের কষ্টগুলো ম্লান হয়ে গেছে, শুধুই মেইন চরিত্রটি ফোকাসিত তাই কষ্ট গুলো নাড়া দিচ্ছে। জীবন যেখানে সে একটি রহস্য তাতে তার সব কিছুই রহস্যময়। গল্পের সাথেই আছি কষ্টবোধটুকু নিজের মধ্যেও ছড়িয়ে গেছে। এবারের পর্ব গল্পের স্বাধ নেওয়ার চেয়ে বিরোহিত হেয়েছি বেশি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এবারের পর্ব লিখতে গিয়ে নিজেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম ভাই। হ্যাঁ এটি মূলত নায়িকার ডায়েরী। সাথে তাকে ঘিরে থাকা চরিত্রগুলি এসেছে। তাদের সম্পর্কে নায়িকা যতটুকু জানে তারই বয়ান দেওয়া হয়েছে। তাই মেইন চরিত্রকে আপনার বেশি প্রমিন্যান্ট লাগছে সুজনভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

২২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কষ্টে মাখানো কোন কথামালার লেখা পড়ি যখন তখন আমার একান্ত নিজের কষ্ট গুলোর কথা অগোচরে মনের মাঝে ভিড় করে।
আমি লেখাটির সাথে নিজের কষ্টকেও অনুভব করি।
এমন অনেক বই আছে যা পড়ে আমি নিজের অজান্তেই কেঁদেছি।কখনও চোঁখ ছলছল করে উঠেছে।মাঝে-মাঝে নিজের এমন ছেলেমানুষী আবেগ দেখে হেসেই ফেলি।জানি এই সব সস্তা আবেগের দাম নেই কারও কাছে।তবু এই সব সস্তা আবেগে কেন যে বার-বার ভেসে যায় নিজেও জানিনা।

যায় হোক অনেক কথা বলে ফেললাম,আপনার এই লেখাটি পড়তে গিয়ে আপনাকে অনেক ম্যাচিউর মনে হয়েছে।অনেক ম্যাচিউর আর অনেক কিছু না জানলে এমন একটা লেখা কখনই সম্ভব নয়।
অনেক ভাল থাকুন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক কিছু জানি এটা ঠিক নয়। মন দিয়ে অবজার্ভ করা আর তাই নিয়ে ভাবা আমার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ হয়তো। অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই। শুভকামনা।

২৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

নীল-দর্পণ বলেছেন: এক সাথে তিন পর্ব পড়লাম!

আবারো মনে খচ খচানি নিয়ে অপেক্ষায় বসে গেলাম, এর পর কী হবে কী হবে ভেবে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আর বেশি খচখচানি দেবো না তাড়াতাড়ি শেষ করে দেবো নীলআপা। শুভকামনা।

২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: মাঝে মাঝে চোখের সামনে মানুষটার চলে যাওয়া দেখতে হয়। খুব ইচ্ছে করে বলতে প্লিজ চলে যেওনা। তোমার সাথেই আমার সারাটা জীবন কাঁটিয়ে দেয়ার ইচ্ছে। কিন্তু, কিছুই করার থাকে না। সত্যিকার ভালবাসা সেখানে পরাজিত হয়। কিছু প্রশ্নের কোন উত্তর নেই। হাজারটা ডিকশনারী ঘেঁটেও যার কোন সমাধান আসে না!

আজ তোমাকে চাই , আজ ফিরে তাকাই হায় , কিছু না বলে যেন কে চলে যায়

কেমন আছেন রাজকন্যা? পড়লাম এ পর্বটিও, বরাবরের মতই ভাল, বিশেষ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়াটা খুব বিষাদময় করে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে, গত পর্বের সাথে একটু অমিল চোখে পড়ল, হতে পারে আমার বুঝার ভুল।

১৮ পর্বে আরও কিছু গান এ্যাড করলাম যা আমার ভাললাগে। আপনার ভাললাগলে জানাবেন।

ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভালো আছি। কিন্তু এই লেখার ইতি টানতে গিয়েই টানতে পারছি না। কত কিছু বাকী থেকে যাচ্ছে। কখনও আর বলা হবে কিনা জানিনা। তাই একটু ঝামেলাতেই পড়েছি।

গানটার জন্য ধন্যবাদ এ গান আমার চেনা গান নয়।

গত পর্বের সাথে কোন অমিলের কথা বলেছেন বুঝতে পারিনি।

অশেষ ধন্যবাদ। ১৮ পর্বে গানগুলো দেখে আসি।

২৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমি আগের পর্বগুলো পড়িনি বলেই এমনটি ঘটছে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটু সময় করে পড়লে খুশি হবো সাদাভাই। তবে এ লেখা শুরুর কালে ভাবিনি একটা মানুষও এটা পড়বে। অনেকেরই অনুপ্রেরনায় অনুপ্রেরিত হয়েছি। শুভকামনা আপনার জন্য।

২৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

করুণাধারা বলেছেন: রাজকন্যা, চমৎকার এই গল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে মন খারাপ হল। তাই কিছু অসুস্থতা নিয়েই এলাম আমার ভালোলাগা, ধন্ধলাগা শেয়ার করতে । ভালোলাগা পুরো সিরিজ জুড়ে-  ঝরঝরে লেখনি,  জীবনবোধ, কাব্য, গান, মন্তব্যের ঘরে কখনো চমৎকার কবিতা, কখনো গীতার উদ্ধৃতি দেখেই বোঝা যায় কেবল রবীন্দ্র সাহিত্য নয় রাজকন্যা আরো অনেক বিষয়েই গভীর জ্ঞান ধরেন। এই সব কিছু মিলেই গল্পকে একটা আলাদা মাত্রা দিয়েছে যেজন্য প্রতিটা পর্বই ছিল সুখপাঠ্য। নইলে আমি অন্তত প্রেম বিরহ মিলনের গল্প এত আগ্রহ নিয়ে পড়তাম না। আগেও বলেছি, একইরকম আগ্রহ জন্মেছিল 'ন হন্যতে' পড়তে গিয়ে।

 এইবেলা শুভকামনা জানিয়ে রাখি।

এবার বলি ধন্ধ লাগা নিয়ে। মায়ের সাথে তুমুল ঝগড়ার পর বাবা বাড়ি ছেড়ে গেলেন, বহুদিন খোঁজ মিলল না, পরে খবর পাওয়া গেল তিনি বিদেশে চলে গেছেন। তারপরই দাদু মায়ের বিয়ে দিলেন। এখানে কিন্তু বাবার মৃত্যু বা কোন তালাকের উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রে বিয়ে হওয়া সম্ভব? কাবিননামায় যে উল্লেখ করতে হয় পাত্রী কুমারী, বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্তা কিনা। আশাকরি বই বের হলে এটা স্পষ্ট করবেন।

লিংক কি ১৮ হবার কথা না?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ করুনাধারা আপা। অসুস্থতা নিয়েও পড়তে এসেছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশটি পড়ে কিছুটা লজ্জা পেয়েছি। তারপরও কৃতজ্ঞতা।


আর দ্বন্দটা নিয়ে পরবর্তী পর্বেই সমাধান পেয়ে যাবেন আপা। অলরেডি লেখা আছে। কি কারণে দাদু কোনো রকম তথ্য ছাড়াই মাকে বিয়ে দিলেন। এক স্বামী জীবিত, কোনো তালাকের উল্লেখ নেই তারপরও কিভাবে এই বিয়ে হলো। এখনই এই পর্বে এই উত্তরটি দিতে পারি। কিন্তু সেটা আমার পরবর্তী পর্বে দিলেই বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছি।

দাদুও অবশ্যই এই বিষয়গুলি জানতেন যে পাত্রী কুমারী, বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্তা এসবের ভিত্তিতেই বিয়ে দিতে হবে। এবং সব কিছু জানার পরেই তিনি এই অপরাধবোধে ভুগেছিলেন তার পুত্রবঁধুর জন্য যার কারন তার বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যায় বা তিনিই গড়িয়ে দেন।

এবং শুধু দাদুই নয় মাও জানতেন এবং জেনেশুনেই দাদুর কথায় সন্মত হন। সবই পরিষ্কার হয়ে যাবে পরবর্তী পর্বে আপা। আসলে গল্পটি নায়িকার বয়ানে লেখা এবং এখনও পর্যন্ত যতদূর বর্ণনা করা হয়েছে ততদিন এসব রহস্য তার অজানাই ছিলো। মায়ের সঙ্গে খুব সহজ সম্পর্ক না থাকায় এবং মায়ের ইগোয়িস্টিক সমস্যার কারণে মাও অনেক কিছুই গোপন করে রাখতেই পছন্দ করতেন বেশি। মেয়েটিও নিজের মাঝে গুটিয়ে রাখা স্বভাবের হওয়ায় অনেক কিছুই অনেকদিন জানেনি তাই বলে সারাজীবন জানেনি তাই নয়। সেসবই আসবে পরের এক বা দুই পর্বে। আর তারপরই শেষ হবে এই গল্প আপা। আশাকরি সকল দ্বন্দের সমাধান বা উত্তর যতদূর সম্ভব দিতে পারবো।

শুভকামনা রইলো। তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে ওঠেন।

২৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখায় পাঠকেরা উৎসাহিত, অনেক ইন্টার-এ্যাকশনও হচ্ছে; তবে, আপনি নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখুন লেখায়

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদগাজীভাই। আপনি আমার গল্পের প্রথম পাঠক ছিলেন মনে আছে? কৃতজ্ঞতা রইলো।

২৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু নতুন পর্ব কবে দিবেন । অপেক্ষায় র ইলাম

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দিয়ে দেবো শিঘ্রীই।

২৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ২৬ নং কমেন্ট এবং প্রতি উত্তর দুই আমাকে আশ্বস্হ করেছে। আমিও একি দ্বিধা-দন্ধে জড়িয়ে ছিলাম। পাঠকরা গল্পের একটি ইন্ডিং চিন্তা রেখেই গল্প পড়তে পড়তে এগিয়ে যায়। আমিও সেই পাঠকদের মতোই সাথে আছি। কিন্তু কোনক্রমেই এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলাম না। অাপনার নিপুন কারু কার্যে বার- বার আটকে যাচ্ছি এটাই কি লিখিয়েনদের সম্মোহন বিদ্যা, যার যাদুতে পাঠক আকৃষ্ট করণ রপ্ত করেছেন! সুন্দর লিখাটি শেষ হয়ে যাবে দু:খবোধ আরো বাড়বে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবকিছুই একদিন শেষ হয় সুজনভাই। যদিও শেষ হবার পরেও গল্পটি অসমাপ্তই থেকে যাবে। অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

৩০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

পবন সরকার বলেছেন: এ পর্ব পড়ে মজাই লাগল, একে একে অন্য পর্বগুলোও পড়বো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ পবনভাই।

৩১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চুপিচুপি "লাইক" দিয়ে চলে এলেন? ভালো-মন্দ জিজ্ঞেসও করলেন না?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লাইক দিলাম কারণ লেখাটা ভালো লেগেছে। আর মাঝে মাঝে কমেন্টের জন্য আমাকে একটু নিজেকেই অপেক্ষা করতে হয়। মানে ভালো লাগার কারণ বর্ননা করাটা সব সময় সহজ হয়ে ওঠে না।

৩২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

কাতিআশা বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে গেলাম..অপূর্ব! দুদিন খুব ব্যস্ত ছিলাম.ব্লগে আসতে পারিনি, আজকে লগ-ইন করেই রাজকন্যার টা আগে পড়লাম..এখন লান্চ খেতে যাচ্ছি। This part is exceptionally better than previous parts...well done!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কাতিআশা।

৩৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই পর্বটা হয়েছে খুবই রাজসিক -বলার ঢঙেই | খুবই সুন্দর করে আবেগটাকে দূরে রেখে লিখেছেন এই পর্বটা | ভালো লাগলো অনেক | আমি কিছু আন্দাজ না করেই পড়তে চাচ্ছি আপনার লেখা | আপনি কোন পথে গল্প নেবেন সেটা লেখক হিসেবে আপনারই হাতেই থাকুক |কিন্তু এই পর্বে গল্পের বর্ণনা, ভাষা, ছোট ছোট ব্যাপারগুলো খুব ভালো লেগেছে | আগের পর্বগুলো ছিল সবই অপূর্ব সুন্দর |আর এই পর্ব সুন্দরের সাথে খুবই কুশলী | পরের পর্বগুলো আমি চাইবো এরকমই হোক | আবেগ থাকুক | বাস্তবতাও থাকুক | জীবনের কঠিন সময়গুলোর নিরপেক্ষ একটা ভাষ্যও থাকুক | এটাই নেক্স পর্বগুলোতে চাওয়া | একাডেমিক পড়াশোনা, কাঠখোট্টা বিষয়ের রিসার্চের কারণেই আর গল্প, উপন্যাস অনেকদিন পড়া হয় না | আপনার লেখাটা খুব ভালোলাগা নিয়েই পড়ছি | ভালো থাকুন |

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মলাসইলমুইনাভাই। পাঠকের এত এক্সপেকটেশন পূরণ করার কি ক্ষমতা আমার আছে? আমি তো নিজের মনে লিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন মাঝে মাঝে মনে হয় পালিয়ে যাই লেখা ছেড়ে। কারণ এর বেশি লেখার ক্ষমতা যে আমার নেই।
তবুও আমি চেষ্টা করবো আমার যথাসাধ্য।

৩৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো হৈছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিমভাই।

৩৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


দেখে নিব আমি এর শেষটা কি হয়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: যেখনে শুরু সেখানেই শেষ। শুভকামনা জাহিদভাই।

৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




এ পর্বে আলাদা করে তেমন কিছু বলার আগে করুণাধারা র কথাগুলোর কিছুটা বলে যেতে চাই-------- পুরো সিরিজ জুড়ে- ঝরঝরে লেখনি, জীবনবোধ, কাব্য, গান, মন্তব্যের ঘরে কখনো চমৎকার কবিতা, কখনো গীতার উদ্ধৃতি দেখেই বোঝা যায় কেবল রবীন্দ্র সাহিত্য নয় রাজকন্যা আরো অনেক বিষয়েই গভীর জ্ঞান ধরেন।

এখান থেকে ওখানে, এ ঘর থেকে ও ঘরে গল্পের নায়িকার এমন করে জায়গা বদল দেখে মনে হলো বলি ---- জীবনের নাও বয়েই চলে , কোনও একই ঘাটে বাঁধা থাকেনা চিরকাল ; না নদীতে - না জীবনে !

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আহমেদভাই। তবে এই ঘাট ছেড়ে নৌকো চলে যাবার কালে চোখের জলে আরেক নদীর সৃষ্টি হয়েছিলো। স্বর্গে নয়, মর্ত্যে নয়, দোযখ বা নরকেও নয় গল্পের মেয়েটার হৃদয়ের মনিকোঠায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শেষ পরিণতি জানার অপেক্ষায় রইলাম

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৩৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন:
গত পর্বের ৯ম প্যারায় আপনি বলেছিলেন -

"একদিন হঠাৎ তখন বিকেল গড়িয়েছে, আমি ছাদের রেলিং এ দূর আকাশের লাল আর হলুদ রঙের দুটি ঘুড়ির কাটাকুটি খেলায় চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ বাগান পেরিয়ে মেইন গেটের সামনে দিয়ে সোজা যে রাস্তাটা চলে গেছে, সে রাস্তা ধরে দেখলাম দোলন হেঁটে আসছে, সাথে ওর এ পাড়ারই একটি ছেলে।"

যদি ভুল বুঝে না থাকি, আপনি তখন বাংলাদেশে আপনার(গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের) মায়ের কাছে, তাই না? আর সে (দোলন) বাংলাদেশে এই প্রথমবার আসল? তাই যদি হয় তাহলে, বোল্ড করা অংশটুকু ক্লিয়ার হলাম না।

আবার, -
"দোলন আমার দিকে তাকিয়েই হেঁটে আসছিলো সামনের দিকে। আমার দিকে তাকিয়ে ও হাত নাড়লো। ওর মুখে সেই স্মিত চাপা হাসিটা আমি এত দূর থেকেও দেখতে পেলাম। হঠাৎ আমার পায়ের তলায় পৃথিবী দুলে উঠলো।"

দোলন আপনার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লো। তার মানে সে আপনাকে দেখেছে এবং আপনিও? কথাও হয়েছে কিছু নিশ্চয়? তাহলে, তাকে কি বলে ফেরালেন বা কোথায় থাকার ব্যবস্থা করলেন, নাকি দেখাই দিলেন না - সে বর্ণনা আসেনি। কারণ, আপনি পরদিন খুব ভোরেই তড়িঘড়ি করে এবাড়ি ছেড়ে দাদুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন যাতে দোলনের সাথে আপনার মায়ের দেখা না হয়।

হয়তঃ আপনার বলার ঢংটাই এরকম। যাইহোক, আমি কিন্তু আগেই বলে রেখেছি আমার বুঝার ভুলও হতে পারে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে ওর এ পাড়ারই একটি ছেলে।"

হ্যাঁ এ পাড়ার মানে বাংলাদেশের এ পাড়াতেই। তাকে দোলন কিভাবে চিনেছিলো বা জেনেছিলো জানা নেই আমার। কোনো না কোনো ভাবে হয়তো চেনা জানা বা ম্যানেজ করেছিলো সে খবর কখনও জানা হলে লিখে দেবো।

না কথা হয়নি। একজন গেটের বাইরের রাস্তায় আর একজন ছাঁদের উপরে....

এ পারে মুখর হলো কেকা ঐ
ওপারে নীরব কেনো কুহু হায় ...


না কথা হয়নি.....তাকে ফেরানোর জন্য বলাও হয়নি...

এ কারণেই সেদিন বলেছিলাম আপনার ঐ গানটার কথা .....

দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে--

কেন কথা কহিল না, চলিয়া গেল ধীরে॥

নিকুঞ্জে দখিনাবায় করিছে হায়-হায়,

লতাপাতা দুলে দুলে ডাকিছে ফিরে ফিরে॥

দুজনের আঁখিবারি গোপনে গেল বয়ে,

দুজনের প্রাণের কথা প্রাণেতে গেল রয়ে।

আর তো হল না দেখা, জগতে দোঁহে একা--

চিরদিন ছাড়াছাড়ি যমুনাতীরে॥

দুজনে দেখা হলো মধুযামিনী রে

কেনো কথা কহিলো না চলিয়া গেলো ধীরে....


কেনো কথা কহিলোনা চলিয়া গেলো ধীরে ......

এই কেনোর উত্তর জানা নেই । যার যার মত করেই না হয় খুঁজে নিক সকলে .....

অসংখ্য ধন্যবাদ শকুন দৃষ্টি ভাই। কৃতজ্ঞতা আজীবনের।

৩৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি - পর্ব ১-১৯ পুরটাই পড়েছি। ১৯ বরাবরের মতই দারুন লেগেছে। ২০ - ২১ দিয়েছেন দেখলাম। পড়ে নিই, পরে কথা হবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ শেষ পর্ব মানে ২১ এ শেষ করে দিলাম।

৪০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদায় বিষাদময়। বিদায়কালে ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়, চোখ তুলতেও কষ্ট হয়।
শিউলি'র জন্য মায়া হচ্ছে, পরিকল্পিত পলায়নপরা নায়িকার চেয়েও।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শিউলী এর পরে হারিয়ে গেলো। তার আর জগতে কোনো অস্তিত্বই রইলোনা।

ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৪১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: "সাথে ওর এ পাড়ারই একটি ছেলে" - এই বাক্যটায় একটু খটকা লেগেছিল, এবার বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ!

আর - "চিৎকার করতে গিয়েও থমকে গেলাম আমি। এক নিমিশে ঘুরে দাড়ালাম। দৌড়ে ফিরে আসলাম নীচে" - এখানেই যে দর্শন ও তৎপরবর্তী ঘটনা-ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া শেষ - সেটা বুঝতে পারিনি বলে দুঃখিত। এখন ক্লিয়ার। আসলে, পাঠক হিসেবে মনের মধ্যে একটা প্রিকনসেপ্ট ছিল যে(যেটা ঠিক না, অবশ্যই), এত দিন পর দেখা, একটা আবেগ কাজ করবে মেয়েটির মনে। তাছাড়া, সে(দোলন) এখানে নূতন, তার একটা গতি নিশ্চয় করা মেয়েটিরই দায়ীত্ব। কিন্তু, টুইস্টটা যে এমন হবে - ভাবতে পারিনি। এজন্য আমাকে আনাড়ী পাঠক বলতে পারেন। তবে, ভয়ংকর মনে হয় না?

সেজন্যই আমি কিন্তু, আগেই বলে রেখেছিলাম যে - "আমার বুঝার ভুলও হতে পারে"। যাইহোক, আপনি মনে হয় একটু সিরিয়াসলি-ই নিয়েছেন বিষয়টা? আশাকরছি, আমিও বুঝাতে পেরেছি আপনাকে?

ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না আমি সিরিয়াসলী নিয়েছি কথাটি যেমন শতভাগ সত্য নয় তেমনি একদম মিথ্যেও নয়। যে কোনো পাঠক আমাকে যখন কোয়েশ্চেন করে এই জায়গা এমন কেনো সে জায়গা তেমন। আমি উত্তর দেবার চেষ্টা করি এবং নিজেও বুঝি সে সব জায়গাতে সেভাবে না লিখে আরও ভেবে লিখতে হত।

কারণ লেখক হিসেবে কথাগুলো যদি পাঠকের অন্তরেই না পৌছুতে পারি তো লিখে কি লাভ বলেন। যদিও অনেক কবি ও সাহিত্যিকের মতে লেখার দায়িত্ব লেখকের কিন্তু পাঠকের দায়িত্ব যার যার মত অনুভব করা। কিন্তু আমি কিছু লিখে বুঝাতে পারিনি ব্যাপারটা আমাকে পীড়া দেয় তাই বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।তারপরও এত মনোযোগী আমার কাছে দেবতাতূল্য। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.