নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ২০

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫


বেশ কয়েক বছর পর এ বাড়িতে এলাম আমি। আমার ১৩ বছরের জন্মদিনের পরে আরও বছর তিনেক প্রতি জন্মদিনেই দাদু নিয়ম করে আমাকে এ বাড়িতে নিয়ে আসতেন। এরপর কিভাবে কিভাবে যেন একটা সময় এই আসাটা বন্ধ হয়ে গেলো। মা তো ভুলেও কখনও বলতেন না এ বাড়ির কথা। অথচ আমি যতদূর দেখেছি বা বুঝেছি মায়ের জন্য, মায়ের ভালোর জন্য এই পৃথিবীতে দাদুই বুঝি সবচাইতে বেশি ভেবেছেন। আজ এই অদ্ভুত ভোরে দাদুর বাসার গেট দিয়ে যখন গাড়িটা ঢুকছিলো, এই ভোরের স্নিগ্ধ আলোতেও বাসাটা বড় ম্লান দেখাচ্ছিলো। গাড়িটা পর্চের নীচে দাঁড়াতেই দাদুর বাসার পুরোনো বুড়ো দারোয়ান দৌড়ে এসে গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়ালেন।

আমি অলস এবং ক্লান্ত শরীরে সারা রাত্রীর জাগরণ ক্লিষ্ট চোখে তাকিয়ে দেখলাম, বাড়িটা ঘিরে এক অদ্ভুত বিষন্নতা, মন খারাপের মেলা। কত বছর যে বাড়িটা রং করা হয়নি কে জানে। বাগানের ফুলগুলো মরে শুকিয়ে আছে এখানে ওখানে। কোনো কোনো ফুলগাছ যত্নের অভাবে শুকনো পাতার কাঁঠি কাঁঠি ডালগুলি নিয়ে মৃত কঙ্কালের মত দাঁড়িয়ে আছে। বড় বড় গাছের পাতা ও বাঁকল শুকিয়ে কাঁঠ হয়ে আছে। দেবদারু গাছগুলিকেও দেখাচ্ছে যেন ভূতের বাড়ি পাহারা দিতে ভূতের মতই দঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত কিছু জন্তুর মত। বাসার সামনেটাতেও এখানে ওখানে শুকনো পাতার আবর্জনা। কেউ মনে হয় শুকানো পাতাও পরিষ্কার করে না আর এখানে। এরই মাঝে ধুলোময় শানের উপরেই জ্বলজ্বল করছে কিছু চকচকে বেগুনী গোলাপী রঙের বোগেনভেলিয়ার ঝরা ফুল। এই পর্চ ঘেসে উঠে যাওয়া অপূর্ব সুন্দর বোগেনভেলিয়ার ঝাঁড়টি বুঝি আপ্রাণ চেষ্টায় আজও বাড়িটিকে সৌন্দর্য্য দানে সচেষ্ট রয়েছে।

বাড়ির ভেতরে পা দিতেই এক গুমোট অন্ধকারের ঘ্রান নাকে এসে লাগলো, বদ্ধ সেগুন কাঁঠের দরজা জানালার কাঁঠের ঘ্রান। কিন্তু যেন কত পরিচিত, কত আপন। পুরোনো চেনা ঘ্রান, পুরোনো শেকড়ের টান, পুরোনো ভুলে যাওয়া স্ম্বতির গন্ধ। এক নিমিশে বিদ্যূৎ চমকের মত খেলে গেলো মস্তিস্কের তন্ত্রীতে এক অজানা চুম্বকীয় অতীতের সংকেত। আমি হেঁটে গিয়ে সোজা দীদার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। পর্দা সরিয়ে ভেতরে উঁকি দিতেই দেখলাম উঁচু খাটের উপরে পা ঝুলিয়ে বসে আছেন দীদা। পাশে তার সোনার বরণ পানের বাটাটি। আমি জানি সেই আশ্চর্য্য সুন্দর কারুকার্য্যময় মুখ বন্ধ শেকল লাগানো বাটিটির ভেতরের খোপে খোপে থরে থরে সাজানো রয়েছে কুঁচোনো সুপারী, খয়ের, জর্দা ও নানা রকম বর্নীল মশলাগুলি। ছোটবেলায় মায়ের কুমকুমের বাক্সটি আর দীদার পানের এই বাটাটি ছিলো আমার কাছে সেই রহস্য ভরা সাত রাজার ধন এক মানিকের মূল্যবান এক রতন। জানালা দিয়ে ভোরের এক ফালি নরম আলো এসে দীদার বিছানার উপরে পড়েছে। দীদা আমাকে দেখে খুব অবাক হলেন। ফোকলা দাঁতে ফুটিয়ে তুললেন এক গাল স্নিগ্ধ হাসি। বললেন,
-তুমি! এত সকালে কোথা থেকে এলে দাদু?

"দাদু" আহ এই ছোট্ট ডাকটিতে কত যে অন্তরের আন্তরিকতা, কতখানি নিবিড় ভালোবাসার ছোঁয়া। এই নিস্বার্থ ভালোবাসায় বহুকাল কেউ আমাকে ডাকেনি। বহু বহু দিন কেউ এইভাবে আমার অন্তরের গোপন কুঠুরীতে করাঘাত করেনি। পৌছে দেয়নি কেউ এমন একটি ডাক আমার শুস্ক হৃদয়ের মনিকোঠায়। আমি নির্বাক হয়ে রইলাম। দীদার সবকটা চুলই ধপধপে সাদা হয়ে গেছে। গলার চামড়ায় কি আশ্চর্য্য কুচি কুচি কুঞ্চন। কপালের বলিরেখাগুলি শত শত শাখা প্রশাখার নদী হয়ে ছড়িয়ে আছে সারা কপাল জুড়ে। দীদার গলায় আজও সেই মনোহর সোনার চেইনটা। যা কনে দেখার সময় তার গলায় পরিয়ে দিয়ে আমার দাদুর বাবা মানে আমার দীদার শ্বশুরমশায় চেইনটাই দেখতে পাচ্ছিলেন না আর। মানে দীদার সোনার বরণ গায়ের রঙের সাথে ঐ সোনার চেইনের রঙটা ঠিক ঠিক এক হয়ে মিলে গিয়েছিলো সেদিন। আমার সেই অসামান্যা রূপবতী দীদা আজ বার্ধ্যকের দ্বারপ্রান্তে এসে অনেকটাই বদলেছেন বটে। তবুও সেই অসামান্য রূপের ছটা আজও অনেকটাই বিরাজমান তার ধুসর চোখের তারায়।

দীদা আর আমার মৃদু কথপোকথনও বুঝি দাদুর কানে গেলো। উনি পাশের রুম হতে উঠে আসলেন। হাতে দৈনিক পত্রিকা। আমাকে দেখে দারুন উচ্ছসিত হয়ে উঠলেন। বললেন,
- কতদিন পরে এলে। আসো আসো আমার বুকে আসো দাদু। এইবার পাঁকাপাঁকিভাবে এখানেই থেকে যাও। এখন আর তুমি ছোট্টটি নেই। আমাদের একমাত্র বংশধর তো তুমিই। আমাদের সকল ভার নেবার দায়িত্বও তোমার...'
আমি কিছুই বলতে পারছিলাম না। দাদুর এত শত কথার পাঁকে আমি বার বার জড়িয়ে যাচ্ছিলাম। ফ্যালফ্যাল করে তাকাচ্ছিলাম উনাদের দিকে। কি বলছেন উনি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। দাদু হাঁকডাকে চারপাশ সরগরম করে তুললেন, আম্বিয়ার মা, আম্বিয়ার মা আমার দাদুর জন্য নাস্তার ব্যাবস্থা করো শিঘ্রী। গরম গরম পরোটা, মাংস ভূনা আর সুজির হালুয়া বানাও, আমরা সবাই একসাথে নাস্তা করবো আজ। দাদু হই চই থামালেন না।
- কতদিন পরে আমার দাদুমনি এসেছে। ডাব আনতে পাঠাও। সে ডাবের শাঁস খেতে পছন্দ করে।

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। আমি কি ডাবের শাঁস পছন্দ করতাম কখনও কোনোকালে? মানে আমার ছোট বেলায়? মনে পড়ে না আমার। তবে মনে পড়ে নারকেলের ফোপল নামে এক অদ্ভুত স্পঞ্জের বলের মত একটি নারকেলের ফলের কথা। আমার চোখে ভাসছিলো খুব ছোট্টবেলা, টেবিলে দাদু,বাবা, আমি। মা কিংবা দীদা নাস্তা উঠিয়ে দিচ্ছেন প্লেটে। টেবিল ভরা নানা রকম নাস্তা পরোটা, মুগডালভুনা, সুজি বা ডিমের হালুয়া,বেগুনভাঁজা সোনালী দিনের স্মৃতি। ছেলেবেলার স্মৃতিগুলি বড় মধুময় যা আমি ভুলতেই বসেছিলাম। আমার হঠাৎ মনে পড়লো, আচ্ছা দাদু কি জানে বাবার কোনো খবর? আমি আচমকা দাদুকে বললাম,
- দাদু বাবার কোনো খবর পেয়েছো? দাদু চমকে উঠলেন। মুখখানা ম্লান ও গম্ভীর হয়ে উঠলো তার। তারপর বললেন,
- তুমি হাত মুখ ধুয়ে আমার ঘরে আসো আমি বলছি।
আমি বললাম,
- এখুনি বলো দাদু।

দাদুর বুক থেকে খুব অলখে চুপিসারে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হলো, তা আমার চোখ এড়ালো না। উনি চশমার কাঁচ মুছতে মুছতে উনার রুমের দিকে চললেন। পিছে পিছে চললাম আমি। দাদু তার কালো কুঁচকুচে মেহগনী কাঁঠের ইজি চেয়ারটাতে গিয়ে বসলেন। আমি উনার মুখোমুখি বিছানার পরে। কিন্তু তারপর আমি দাদুর মুখ থেকে যা শুনলাম তাতে স্থবির হয়ে গেলাম কিছুক্ষনের জন্য। দাদু জানালেন, বাবার অন্তর্ধানের মাস ছয়েকের মাঝেই বাবা মাকে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠান এবং এরপর তিনি ফোনে দাদুকে জানিয়েও দেন তার খবর। উনি মূলত আমাকে নিয়ে যাবার জন্যই ফোনটি করেছিলেন সেদিন বিদেশ থেকে তবে এও জানিয়েছিলেন মায়ের সাথে স্বেচ্ছায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে উনি পাড়ি দিয়েছিলেন সুদূর আমেরিকায়। সেখানেই উনি তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চান, সেখানেই আবাস গড়েছেন উনি এবং সেখানেই নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি আমাকেও। দাদু আরও বলেন, বাবার এই প্রেমিকাকে দাদুর পছন্দ না থাকায় তিনি এক প্রকার জোর করেই বাবাকে বাধ্য করেছিলেন মাকে বিয়ে করতে। সেই মুহুর্তে দাদুর মুখে চেয়ে তার সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও এই জিনিসটাই আসলে বাবা কখনও মানতে পারেননি।

আমার সামনে সারাজীবন বয়ে বেড়ানো অজানা অজ্ঞাত এক রহস্যের দূয়ার খুলে যায় তারপরও আমার হঠাৎ সেই জীবনটাও দেখতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা তাই যদি হত তো নতুন বাবার বাসার মত সেই বাড়িটা কেমন হত? বাবার বিয়ে করা নতুন বউটা হত আমার নতুন মা। সে কি আমাকে ভালোবাসতো নাকি সিনডেরেলার মায়ের মত ঘরের কাজ করাতো? হঠাৎ প্রচন্ড হাসি পায় আমার। প্রচন্ড হাসিতে ফেটে পড়ি আমি। হাসির দমকে আমার চোখ দিয়ে পানি এসে যায়। দাদু অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। চশমার কাঁচ মুছতে থাকা হাতটা থমকে যায় তার। বিস্ফারিত নেত্রে তাকিয়ে থাকেন উনি আমার দিকেই।

এরপর আমার মনে তখন নানা প্রশ্ন, নানা কৌ্তুহল। তবে কি এটাই ছিলো মা এবং বাবার মাঝে দুরত্বের কারণ? মা জেনে গিয়েছিলেন বাবার প্রাক্তন প্রেমিকার প্রতি এই দূরহ আসক্তির কথা? মোটামুটি অনেকখানি জবাব পেয়ে যাই আমি নিজের কাছেই। দাদু জানান বাবা আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু উনি রাজী হননি। দাদু বাবাকে বলে দিয়েছেন, বাবা যেন আর কখনও সন্তানের দাবী নিয়ে এ বাড়িতে না আসেন। যদিও এ অধিকার তার খাঁটে না। সন্তানের উপর সবচেয়ে বেশি অধিকার থাকে বাবারই তবুও উনি চান না। তিনি আরও জানিয়ে দিয়েছিলেন বাবাকে যে তার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। তবে দাদু এরপর বলে চললেন, দাদুর এই বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক বালান্স সব কিছুই উনি দিয়ে যেতে চান তার একমাত্র উত্তরসূরি এই আমাকে। আমি নিস্তব্ধ বসে শুনে যাই আমাকে নিয়ে ঘটে চলা আমার অজানা কথনগুলি। দাদু তার সম্পত্তি ও নানা অর্থ প্রতিপত্তির বিশাল বিবরণ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমার কানে কিছুই ঢুকছিলো না। আমি তখন শুধুই ভাবছিলাম বাবাকে নিয়ে। হঠাৎ বাবাকে বড় দেখতে ইচ্ছে করে আমার এই এতগুলো বছর পরেও। তবে যে দাদু বললেন, তার সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তবে কি বাবার সাথেও কখনও আর দেখা হবে না আমার ? বুকের মধ্যে এক অদ্ভুত চিনচিনে ব্যাথা। ব্যাথাটা গোপন করি আমি।

খেতে বসে আমি অবাক হয়ে যাই। এত অল্প সময়ে এত আয়োজন! পুরানো আমলের সবুজ আর সাদা সাদা পাতা পাতা চীনামাটির মোটা মোটা তৈজসপত্রে পরোটা, ডাল, মাংস, সব্জী আরও কত কি? এত খাবার কে খাবে! দাদু খুব উৎসাহ নিয়ে খাচ্ছিলেন। তাকে উচ্ছসিত খাদ্যরসিক এক বুড়ো শিশুর মত দেখাচ্ছিলো। আমি একটু খেয়াল করে দেখলাম এ বাড়িতে আম্বিয়ার মা ছাড়া আর কোনো কাজের লোকের ছাঁয়াও দেখা যাচ্ছে না। বাইরেও দারোয়ান ছাড়া আর কেউ আছে বলে মনে হয় না। দাদুর তো অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা নেই বরং উনাকে উচ্চবিত্তই বলা যায় তবে তার লোকবল এত কম কেনো? নানা প্রশ্ন মাথায় ঘোরে আমার। দাদু খুব মৃদু্স্বরে অপরাধীর মত মায়ের কথা জিগাসা করেন। জানতে চান, কেমন আছে মা? আমার মনে হয় বাবার এই কৃতকর্মের জন্য দাদু সারাজীবন নিজেকেই দায়ী করেছেন। কারণ আমার অসম্ভব রুপবতী মাকে তিনিই পছন্দ করে এ বাড়িতে এনেছিলেন যেটা তার জীবনের চরম ভুল বলে আজ তার মনে হয়। আমি দাদুকে আশ্বস্ত করি মা ভালো আছেন তবে আমি কিছুদিন এইখানে তাদের সাথে থাকতে চাই। দাদু বলে কিছুদিন নয়, তুমি সারাজীবন থেকে যাও দাদুভাই। এ বাড়ি তো তোমারই বলো। আমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি চুপিসারে।

এরপরের বেশ কয়েকটা দিনই কেটে যায় আমার বহুদিন আগে ফেলে যাওয়া এ স্মৃতিময় বাড়িটির আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে। এক ঘর থেকে আরেক ঘর, ছাদ, বারান্দা, বাগান এমনকি আমি বাসার পিছনের সার্ভেন্টস রুমগুলোতেও উঁকি দেই। পরিত্যাক্ত পিছের এই রুমগুলোতে থাকতো একদিন এই বাসায় মালী বা রান্নার কাজ করতে আসা মানুষেরা কিংবা যে সব ড্রাইভারেরা গ্রাম থেকে আসতো এখানে কাজের জন্য কিন্তু থাকার জায়গা ছিলোনা ঢাকায়। আজ এখানে কেউ নেই। দরজাগুলো হাট করে খোলা এবং ভেতরে পরিত্যাক্ত জিনিসপত্রের স্তুপ।শুধু সামনের দিকের একখানা ঘরে মোটামুটি পরিষ্কার করে দারোয়ানচাচু থাকেন। আম্বিয়ার মা দীদার রুমেই ঘুমায় রাত্তিরে। হায়রে জীবন, কোথায় কখন স্থবির হয়ে যায়, জাঁকজমক জৌলুশহীন এই পরিবর্তিত চেহারা সম্পর্কে একদিন কোনো ধারনাই করা যায় না।

মায়ের রুমটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাসার গেস্টরুমটিই তুলনামুলকভাবে পরিছন্ন থাকায় আমি আপাতত সেই রুমেই থাকছি। আম্বিয়ার মায়ের আমার সম্পর্কে দারুণ কৌতুহল। সে সুযোগ পেলেই আমার উপরে তার আহা উহু সহানুভূতি দেখাতে আসে এবং তার দারুন কৌতুহলী প্রশ্নবাণে আমাকে জর্জরিত করে তোলে তবে তার সহানুভুতির বাণী শুনে আমার দুঃখ কষ্ট বা বেদনার বদলে দারুন হাসি পায়। যেমন সে বলে, আহহারে, কি পুড়া কপাইল্লা মাইয়াডা। বাপ মাও সব থাকতেও এত্তিম। আরে এইডা কেমুন বাপ! বাপের মত্তন কামডা করলি? আর মাওর কতা যা হুনছি মা তো না ডাইনি রাক্ষুসী.. হাজার হাজার শাপশাপান্তে সে বাড়িঘর ভরিয়ে তোলে। দীদা এসব শুনলে দারুন রাগ করেন তাই তার এসব সান্তনা বা সহানুভুতির বাণী বেশিভাগ সময় হয় ফিসফিস স্বরে। আমার ভীষন হাসি পায়। আমার ধারণা আম্বিয়ার মাও হাসে। এই সব বলে গিয়ে আড়ালে গিয়ে সে অনেক হাসে কারণ এই সব সহানুভুতির বাণী যে তার মন থেকে নয় বরং এসব বলে সে দারুন মজা বা আত্মতৃপ্তি পাচ্ছে তা আর আমাকে কারো বলে দিতে হয় না। সত্যিকারের সহানুভুতি বা ভালোবাসার সুর যে আলাদা তা আমি ভালোই জানি। যা আম্বিয়ার মায়ের নেই।

সে তার আম্বিয়ার সুখের গল্প প্রায়ই আমার কাছে ফেঁদে বসে। কি সৌভাগ্যবতী মাইয়া। বাপ যতদিন বেঁচে ছিলো সে ছিলো বাপ সোহাগী আর এখন হইসে স্বামী সোহাগী। আসলে সৌভাগ্য বা সুখ যে টাকা থাকলেই হয় না বরং বড়লোকদের বাড়ীর এই সব অশান্তির চেয়ে তাদের গরীবের বাড়ির সুখ অনেক বেশি সেই কথায় সে আমাকে বার বার বুঝিয়ে দেয়। আমার ভীষন হাসি পায় কারণ আমি জানি এইসব বলে সে আমাকে আঘাত করতে চায় এবং এই আঘাত করাতেই তার আত্মতৃপ্তি হয়। বলতে গেলে এই বাড়িতে আম্বিয়ার মায়ের এইসব জ্ঞানী জ্ঞানী কথাগুলিই আমার এখন একমাত্র বিনোদন। নয়তো মাঝে মাঝেই আমার ভীষন দুশ্চিন্তা হয়। দোলনের জন্য। কিন্তু আমি আপ্রাণ ভুলে থাকি ওকে।

আরবাজের সাথে কথা হচ্ছে প্রায় রোজ রোজই। মেসেঞ্জারে সে বার বারই আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে আমি আমার মত বদলেছি কিনা এবং আরও জানায় আমার জন্য সে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ঝুমকী ফুপুর সাথে যোগাযোগ রাখি আমি। আমার সেখানে যাবার বন্দোবস্ত প্রায় পাঁকা করে ফেলেছেন উনি। শুধু ও বাড়ি থেকে কেউ আমার খবর নেয় না। আমিও আমার খবর তাদেরকে দেবার কোনো চেষ্টাও করিনা। শেষ পর্যন্ত কি দোলন আমাকে খুঁজেছিলো নাকি মা দোলনের কথা জেনেছিলো। অনেক অনেক প্রশ্ন জাগে আমার মনে কিন্তু আমি জোর করে সেসব প্রশ্নকে চাপা দিয়ে ফেলি আমার বুকের মাঝেই।

এক দুপুরে দীদা আমাকে ডেকে পাঠালেন উনার বেডরুমে। দরজা বন্ধ করে উনি সিন্দুক থেকে বের করে আনলেন একটি বড় কারুকার্য্যময় গহনার বাক্স। গহনার বাক্সটি খুলে আমাকে বললেন, “এইখানে আমার সারাজীবনের যত উপহার রয়েছে। দেখো এটি আমার বিয়ের হার, সাতটি হীরে বসানো এই সাতনরী হার আমার বাবা আমাকে দিয়েছিলেন যা আমি জীবনে শুধু ঐ একদিনই পরেছি। এটি আমার শ্বাশুড়ির দেওয়া অনন্ত বালা। আমার বড় প্রিয়। বংশ পরম্পরায় উনি এই বালাদুটি সব ছেলেদের বড় সন্তানকে দিতে বলেছিলেন। এই দেখো আমার শ্বাশুড়ির দেওয়া আরেকটি দারুন সুন্দর উপহার এক জোড়া বাজুবন্দ। রুবি আর পান্না বসানো এই যে মলজোড়া দেখছো এটি ছিলো আমার শ্বশুর মশাই এর বড় সাধের উপহার। ঘরের বউ সারাবাড়ি হাঁটবে যখন ঝমঝম করে আওয়াজ হবে এটাই ছিলো তার চাওয়া। রুমঝুম শব্দে ভরে তুলবে সে চারিদিক…..” এমন কত শত গল্প। আমি অবাক হয়ে দেখি এক একটি গহনা এক একটি ইতিহাস বা কালের সাক্ষী বহন করে চলেছে।

এরপর উনি গহনার বাক্সটির ডালা বন্ধ করে আমার হাতে দিয়ে বললেন, আজ থেকে এই বাক্সটি তোমার। আমি জানিনা আজকালকার মেয়েরা কখনও এসব পরে দেখবেও কিনা। তবুও এর একমাত্র মালিক আমি তোমাকেই মনে করছি। শুধু তোমার কাছে আমার একটি অনুরোধ থাকবে। শুনেছি তোমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন যেখানে সেই ঘরে একটি ছেলে মানে আমার একটি নাতী আছে। তোমার উপরে দায়িত্ব দিয়ে যাবো একটি। যদি কোনোদিন তার সাথে তোমার দেখা হয়। তাকে বলো তার বউ মানে আমার নাতবউ এর জন্য বাজুবন্দ আর টিকলিটি তার দাদীমার উপহার। আমার চোখ জ্বালা করে কান্না আসে এই চির দুখীনি বৃদ্ধা নারীটির জন্য। যাকে সহিষ্ণুতার পরাকাষ্ঠা বলে মনে হয় আমার। যাকে কোনোদিন কোনো উদ্বেগে উদ্দেলিত হতে দেখিনি আমি অথচ আজ আমার মনে হয় সংসারের প্রতি নির্লিপ্ত এই নারীটি সারাজীবন তার বুকের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন এক কষ্টের আগ্নেয়গিরি।

আমি দীদার কাছ থেকে মায়ের রুমের চাবিটি চেয়ে নেই। গভীর রাতে আমি খুলে নিয়ে বসি মায়ের আলমারী থেকে বের করে আনা মায়ের ডায়েরীটি। ডায়েরীর পাতা উলটাই.......
পাতায় পাতায় খুলতে থাকে আমার সারা জীবন বুকের মাঝে বয়ে বেড়ানো অনেক অনেক রহস্যের জট। খুলে খুলে যায় জালগুলি, ছেড়া ছেড়া সুতোয় উড়ে উড়ে বেড়ায় তারা মাঝরাত্রীর বুক চিরে আমার চারপাশ ঘিরে ঘিরে ......

একি খেলা আপন সনে - ১৯

মন্তব্য ১১৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সেই ডায়েরির কাহিনী তাহলে আগামি পর্বে শুরু হবে! আমি তো ভাবছিলাম আপনি ডায়েরির কথা আর আনবেনই না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আনতে চাইনি। কারণ পৃথিবীতে সকল রহস্যের জাল খুলে যাবার কোনো দরকার নেই বলেই মনে হয় আমার। কিছু রহস্য বরং চাপা থাকাই ভালো। তবুও কি মনে করে নেক্সট পর্বে সেই রহস্য বা মায়ের ডায়েরীটার কিয়দংশ বলে দেওয়া উচিৎ বলেই মনে হলো।

আসলে সেই ডায়েরীর খুঁটিনাটি তো লেখা সম্ভব না তাইলে সেটা হবে আরেক গল্প।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আপনার গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। কপি-পেষ্ট অপশন বন্ধ থাকার কারণে, একটা লাইন কোট করতে পারলাম না। এবার গল্পটি পড়ে কেন জানি মনে হল। আপনার গল্পের মূলভাবটা এক লাইনে লুকিয়ে আছে। তবে গল্পটি আমার বেশ ভালো লেগেছে । আজ আর গল্পের ব্যপারে তেমন কিছু বলবো না। আজ একটা ধাঁ ধাঁ বলবো এবং তার উত্তর, সম্ভব হলে দিবেন।

একলোক ভদ্রলোক ছিল, সে ১০ তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতো, প্রতিদিন লিফট দিয়ে উপরে উঠত আবার লিফট দিয়ে নিচে নামত। কিন্তু ১০ তলা থেকে নামার সময় লিফট দিয়ে নেমে নিচে যেতে, আবার উঠার সময় লিফট দিয়ে ৭ তলায় নেমে, বাকি ৩ তলা সিড়ি দিয়ে হেঁটে ১০ তলায় উপরে উঠত। কিন্তু কেন এতো কষ্ট করে বাকি ৩ তলা,সে লিফট দিয়ে না উঠে সিড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে উঠে? :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রম্যে উত্তর দেবো নাকি সিরিয়াসলী?


রম্যে উত্তর- লোকটিকে ডক্টর উপদেশ দিয়েছেন ওজন কমাতে। তাই সে ১০ তলা নেমে যায় কারণ ১০ তলা হেঁটে নামলে কোনো লাভ নেই বলেই মনে হয় তার। তবে হেঁটে উঠলে ওজন কমতে পারে। ১০ তলা তো মোটা শরীর নিয়ে ওঠা কঠিন তাই ৭ পর্যন্ত লিফটে ওঠে কিন্তু বাকী ৩ তলা হেঁটে উঠে মনকে সান্তনা দেয় সে কিছুটা ওয়ার্ক আউট করেছে।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কিয়দংশ বলে দিবেন; এতেই হবে। ডায়েরির কথা না আনলে আমার কাছে গল্পটা অসস্পূর্ণ লাগত। যাই হোক, শেষ পরিণতি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। এটার পরে কি অন্য কোন গল্পে হাত দিবেন?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অন্য গল্পে হাত দেবো নাকি পুনরায় উধাও হবো ভাবছি। তবে আপনাদেরকে মনে থাকবে। আপনাদের এই সুবিশাল আকাশসম ভালোবাসা।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এ বুঝি জীবন কি কঠিন । পড়তে গিয়েই চোখ ঝাপসা হয়ে এলো । এখন বুঝতে পারছি নায়িকা কেন আরবাজ কে মেনে নেয়নি

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না,

শুধু সুখ চলে যায়।

এমনি মায়ার ছলনা।

এরা ভুলে যায়, কারে ছেড়ে কারে চায়।

তাই কেঁদে কাটে নিশি, তাই দহে প্রাণ,

তাই মান অভিমান,

তাই এত হায় হায়।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আবার উধাও হয়ে গেলেই মনে হয় ভাল হবে। আবার অনেকদিন পরে অন্যকিছু নিয়ে আসবেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তাই ভাবছি। আবার অন্য কোনো দেশে...

শঙ্খচিল কিংবা শালিখের বেশে....

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু উধাও হলেও । মাঝে মাঝে আমাদের দেখতে ব্লগে আসবেন কিন্তু । আমরা আপনাকে মিস করবো ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা। মাঝে মাঝে ...

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: এটা রম্য নয়....... তাকে ডাক্তারও বলেনি!!!!! সে তো কোন কোন দিন ৫, ৬, ৮ তলায় নেমে যেতে পারতো। কিন্তু প্রতিদিন সে ৭ তলায় নেমে যায়,আর বাকি ৩ তলা পায়ে হেঁটে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে? যদি এর উত্তর দিতে বিরক্তবোধ করেন, তাহলে দরকার নেই। :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ৭ তলায় মনে হয় তার তার পোষা কুকুর ছিলো। তাকে নিয়ে উপরে উঠতে হলে লিফট ইউজ নিষিদ্ধ ছিল। তাই হেঁটে হেঁটে।

না বিরক্ত হচ্ছি না উত্তর খুঁজে পাবার চেষ্টা করছি।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আরো একটু সহজ করে দেই, তার কোন কুরকুর ছিল না। সে স্বাভাবিক মানুষের মত যাওয়া আসা করতো। কিন্তু ৭ তলায় নেমে যেত । আর বাকি তিন তলা পায়ে হেটে সিড়ি উপরে যেত। :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পায়ে হেঁটে সিড়ি উপরে যাওয়া মানে কি?

ওহ বুঝেছি সাত আসমান বলে একটা কথা আছে। ৭ তলার উপরে আট/নয় বা দশ আসমানে এইভাবে লিফটে ওঠা ঠিক হবে না মনে করেই সে কষ্ট করে সিঁড়ি বাইতো।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমি অপার্থিব জগত নিয়ে বলিনি , পার্থিব জগতের কথাই বলেছি। :) সিড়ি দিয়ে মানুষ কিন্তু পায়ে হেটে যায়!!! একারণে উল্লেখ্য করেছি আর সুযোগ থাকতে সে কেন সে সুযোগ কাজে লাগাবে না। সে লিফটেও ১০ উপরে উঠতে পারে। কিন্তু সে ৭ তলায় মানে কেন। এখানে আসলে প্রশ্ন ও তার উত্তর লুকিয়ে আছে? :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লোকটি বোকা। সুযোগের সদ্বব্যাবহার জানেনা।

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কেউ প্রতিদিন বোকামি করে না !!! অবশ্যই, এর উত্তর দিব !!! :) :)


আজ আমার মনে হয় সংসারের প্রতি নির্লিপ্ত এই নারীটি সারাজীবন তার বুকের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন এক কষ্টের আগ্নেয়গিরি।
এই লাইনটা আপনি একটু ব্যখ্যা দিবেন কি।। দু লাইন করে এর ইতিবাচক দিক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে।।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পুরো লাইনটিই একটি ব্যাখ্যা।


নিরুদিষ্ট ছেলে আর তার নতুন বউ বা নাতি বা তাদের সকলের জন্যই রয়েছে তার উৎকন্ঠা, উদ্বিঘ্নতা। আপাতদৃষ্টিতে তাকে নির্লিপ্ত মনে হলেও। সেই অদেখা নাতি কিংবা নাতবউকে তার দিয়ে যাওয়া উপহার প্রমান করে তার কষ্ট বা ভালোবাসার প্রতিচ্ছায়াকে।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: একদা ভায়োলিন শিখতাম ফার্মগেটের রাজাবাজারে। সেই স্যার একদিন বলেছিলেন - বুঝলা, মানুষ অাসলে দুখি জীব, তাই সে সারাজীবন সুখ খুঁজে বেড়ায়....

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভায়োলিন এবং শানাই দুঃখের প্রতিরূপ।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

কোলড বলেছেন: "শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমি অপার্থিব জগত নিয়ে বলিনি , পার্থিব জগতের কথাই বলেছি। :) সিড়ি দিয়ে মানুষ কিন্তু পায়ে হেটে যায়!!! একারণে উল্লেখ্য করেছি আর সুযোগ থাকতে সে কেন সে সুযোগ কাজে লাগাবে না। সে লিফটেও ১০ উপরে উঠতে পারে। কিন্তু সে ৭ তলায় মানে কেন। এখানে আসলে প্রশ্ন ও তার উত্তর লুকিয়ে আছে"

The guy might be too short to reach for 10th floor button in the lift

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কোলডভাই।
উত্তরটি আমি সাথে সাথেই গুগল করেই পেয়েছিলাম। কিন্তু শাহরিয়ারভাই কেনো আমার গল্পে এই ধাঁধাটি দিলেন সেটা বুঝতে না পারায় এই সব বলছিলাম হা হা ।

যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা।

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছি না। সামনে দেখা যাক। কিছু রহস্যের মীমাংসা হতে পারে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পর্বটিতে মেইনলি গল্পের নায়িকা যে একটা সময় তার বাবার হদিস জানতে পারে এবং সেটা এই দাদুবাড়ি থেকেই সেটাই বলা হয়েছে আর একটি পরিবারের সকলের বিছিন্ন হয়ে পড়া এবং নায়িকার বিছিন্ন হয়ে পড়ার পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে।

আর মাত্র একটি পর্ব লিখবো। সেখানেই শেষ করে দিচ্ছি মানে অলরেডি মোটামুটি লিখেছি। এরপর আমার অন্য কিছু কাজ আছে। শুধু শুধু পাঠকদেরকে অপেক্ষা করিয়ে রাখতে চাইছি না।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সত্যজিত রায় বলেছিলেন "গুপি গায়েন বাঘা বায়েন" এ "জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই" আপনার সাথে এতোক্ষণ বক বক করে, এর কোন অর্থ থাক আর না থাক, তবে কিছু বাংলা শব্দ টাইপ করা হল। আর কিছু শেখা হল।। ভাল লাগলো। যার কাছে কিছু শেখা হয় সে শিক্ষক। শিক্ষক মানে দেবতা ; আর দেবতা হল সত্যর রুপ। সত্যর মাঝে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন। আরো গল্প উপন্যাস সৃষ্টি করুন। আমরা পাঠক হিসাবে পড়ি। আর পৃথিবীতে যত বড় বড় মানুষ ছিলেন বা আছেন, তারা সবাই মানব জাতির শিক্ষক। আপনিও সফল হবেন। আপনার সৃষ্টি নিয়ে হাজার হাজার হৃদয়ের মাঝে বেঁচে থাকবেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।



এবার আসি ধাঁ ধাঁ ব্যপারে.....

ভদ্রলোকটি ছিল শট বা বেটে !!!! সে ৭ নং বাটন পযন্ত টিপতে পারতো !!! এ কারণে, বাকি ৩ তলা সিড়ি দিয়ে পারে হেঁটে যেত। কোলড ওনিও বলেছেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হা শাহরিয়ারভাই আজকের এই রসিকতাময় বকবক থেকে কি শিখলেন? সব সময় শেখা নিয়েই ভাবতে হয় না জীবনে মাঝে মাঝে কিছু হালকা আলোচনারও দরকার আছে। আমাকে কেনো আপনার সফল হবো মনে হচ্ছে জানিনা। হাজার হৃদয়ের মাঝে বেঁচে থাকতে চাওয়ার মত মেন্টালিটি মনে হয় আমার নেই তাহলে এতদিনে হাজার না কোটি কোটি হৃদয়েই থেকে যেতাম। মানুষ হিসেবে আমি একটু নিভৃতচারীই। নিজের মত থাকতে ভালোবাসি। হৃদয়ে দাঁগ কেটে ক্ষত করতে চাইনা।


আর ধাঁধাটির উত্তর আমি গুগলেই পেয়েছিলাম কিন্তু আপনার সাথে একটু মজার সময় কাটালাম। অনেক ভালো থাকবেন শাহরিয়ারভাই।

১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বে আমার গল্প পাঠের সার্থকতা হয়েছে। আপনার বর্ণনার প্রশংসা নতুন করে কি করবো। তবে আপনি গল্পটিতে বাবার চরিত্রটি ও আরবাজ এই দুইটি চরিত্র এক রহস্যঘেরা নিপুন সাহিত্য রসে পূর্ণ করেছেন।গোটা গল্পে যেমন বাবা চরিত্রটি রহস্যে আবৃত্য ছিল তেমন গল্পের একবাঁকে আবরাজ এলো,এখনো সে রহস্য।

মন্তব্যও প্রতিমন্তব্য পাঠে যেটুকু আঁচ করলাম পাঠক ঝুকিয়ে নিজে লোকিয়ে যাবেন! এমনটা করবেননা। থাকুন অামাদের নিয়ে আপনার লেখায় মিষে যাওয়া যায়। পাঠে রস আছে গল্প অনুধাবনের এক অনুভুতি জাগ্রত হয়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসলে এদের উপস্থিতি নায়িকার জীবনে ক্ষনস্থায়ী হলেও উপলদ্ধি বা মূল্যের পরিমানটা অনেক অনেক বেশি। তাই বাবা বা আরবাজ কম এসেছে লেখায়।

এতজনে লেখাটা পড়বে বা এত মিশে যাবে আগে এটা আঁচ করিনি সুজনভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৯

শামচুল হক বলেছেন: এ পর্বও ভালো হয়েছে। ডায়রীর রহস্য জানার অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ডায়েরীর রহস্য জানিয়ে যাবো। অনেক শুভকামনা।

১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাহিনী এখন সমতলে, লেখার ষ্টাইল এখনো ভালো

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখা শেষ করে দিতে চাচ্ছি গাঁজীভাই।কারণ এর বেশি জানানোর আর কিছু নেই এই গল্পে।

১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মায়ের বিতৃষ্ণার কারন বুঝলাম।। আর "আম্বিয়ার মা দের" বরাবরের ইতিহসটাও ভাল লেগেছে।।
গহনার বাক্স বরাবরই কিন্তু বড় অথবা ছোটছেলের ভাগ্যে থাকে!!
তবে মায়ের ঘরের চাবির সাথে পাঠকদের মাঝেও খুলতে থাকে, সন্তানের প্রতি এতটা বিরূপতার কারন!! মানুষের মনের একটি জটিল পর্বের উদঘাটন।।
আসলেও এই পর্বটি আগেরটার বিচ্ছিন্নতা কাঁটিয়ে উঠেছে।। (অবশ্যই আমার মতে)।। আপনার মত কি, জানতে ইচ্ছে করছে।। কারন লেখক/লেখিকা এক ভেবে লিখেন, আর পাঠকরা ভাবেন, তাদের মত করেই।। যেখানেই সম্মিলন, স্বার্থকতা ধরা দেয় সেখানেই।।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এত মন দিয়ে লেখাটা পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।
আমি আমার মতই লিখতে শুরু করেছিলাম। পুরো গল্পের কাঠামোটা ছিলো আমার হাতে। তবে পাঠকের মতামত উপদেশ বা সহযোগীতাগুলি আমাকে গল্পের ভাঁজগুলি খুলতে আরও সাহায্য করেছে বলেই মনে হয়েছে আমার। অনেক শুভকামনা হ্যপীভাই।

১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৩

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আর কেউ আপনাকে না চিনলেও আমি আপনাকে চিনেছি। এবং আমি এও জানি আপনি আবার আমাদের মাঝে আসবেন অন্য কোন নামে । পন্ডিতি মনে হয় বেশী করে ফেল্লাম, সরি মাফ করে দিবেন ।

আপনার লিখার প্রশংসা করার মত যোগ্যতা আমার নেই শুধু এটুকুই বলছি আপনি অত্যন্ত, অত্যন্ত ভাল একজন লেখক । যে নামেই লিখুন আমরা লিখা পেলেই খুশী ও সন্তুষ্ঠ থাকব । অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা প্রথমেই ভাইয়া ডাকটি শুনে ভাবলাম মনে হয় ভুল করে অন্য কারো মন্তব্য আমাকে দিলেন পরে পুরো মন্তব্যটি ভালো করে বুঝলাম আমাকেই লিখেছেন। এবং তাই নয় আমাকে এমন কেউ ভাবছেন যে আপনার ভাই। আর পন্ডিতি বেশি কম জানিনা তবে মজা পেয়েছি আপনার ওভার কনফিডেন্স দেখে। প্রেডিক্ড, গেইস এসবই আমরা করি কখনও সঠিক হয় কখনও বেঠিক বা ভুল। আপনি ভুল করছেন ওমেরা আমি আপনার ধারে কাছে কোনো ভাইয়াদেরই ভাইয়া নই। আমি কঙ্কাবতী রাজকন্যা নিকের আড়ালে কোনো একজন মানুষ যাকে আপনি চেনেন না।

আপনিও ভালো থাকুন। চেষ্টা করবো আরও লেখার যদি সময় আর সুযোগের সমন্বয় ঘটাতে পারি। অনেক শুভকামনা ওমেরা।

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন খারাপ নিয়ে লেখাটা পড়ছিলাম। মন কি আরও খারাপ হলো কী না বুঝতে পারছি না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন খারাপের কিছু নেই সাধুভাই। সুখ দুঃখ হাসি কান্নার মিশেলেই তো এই জীবন। অনেক শুভকামনা।

২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার নিজেরই যথেষ্ট দুঃখ আছে; এমতাবস্থায়.... মুশকিল!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দুঃখকে জয় করুন। দুঃখ বড় বেয়াড়া বন্ধু। একে শেকলে বেঁধে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। বাড়তে দিলেই মাথায় ওঠে।

২২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুই পোস্টে দুটো মন্তব্য একসাথেই পড়লো নাকি? ক্যামনে কী!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি তো একই পোস্টে দুই মন্তব্য করেছেন সাধুভাই।

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আরে সেটা না, আপনার পোস্টে মন্তব্য করে আমার পোস্টে যেতে না যেতেই দেখি আপনার মন্তব্য!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওহ হ্যাঁ সেটাই দেখলাম। একই সাথে মন্তব্যের কারণ আপনার সামুর বাড়ি আর আমার সামুর বাড়ির দূরত্ব একই।

২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৮

অলিউর রহমান খান বলেছেন: বরাবরের মতো চমৎকার হয়েছে। গল্পে অন্যরকম মজা ও আমেজ পাওয়া যায়।
খুব সুন্দর হয়েছে আপু।
বেশ ভালো লেগেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ অলিভাই। শুভকামনা।

২৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: এ পর্বও ভালো লাগল। ওমেরার মন্তব্যে কেমন সন্দেহের ইঙ্গিত পেলাম। তবে যাই হোক-- নিকের আড়ালে আপনি পুরুষ হোন আর মহিলা হোন আপনার লেখা ভালো হচ্ছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই লেখার প্রশংসার জন্য।

আর ওমেরার মন্তব্যে সন্দেহের ইঙ্গিতের কি আছে বুঝলাম না? ওমেরার কোনো পূর্ব বা উত্তর পুরুষের সাথেও আমার কস্মিনকালেো কোনো পরিচয় তো দূরের কথা সে নিজেই পুরুষ কি মহিলা সেটাও আমার জানা নেই। যদিও পুরুষ, মহিলা কিংবা জাঁত কুল দেখে ব্লগে লেখা পড়ার ব্যাপারটা ঠিক যায় না তবুও কয়েকদিন আগে আমি মুরগি নামি একজন আমার লেখা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলো নারী নিক বলেই নাকি আমার লেখার এত পাঠক নইলে কেউ এই লেখা এত আগ্রহে পড়তও না। আপনিও কি নারী পুরুষ এইসব নিক নিয়ে মাথা ঘামান কারো লেখা পড়বার সময়? ঠিক বুঝলাম না এই ধরনের মনোভাবের কারণ কি ?

২৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

যাক পিতার অন্তর্ধান রহস্যের কিছুটা কিনারা পাওয়া গেল।
বাকীটা যেভাবে ভেবে রেখেছিলাম সেভাবেই এগুচ্ছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ । এই গল্প আগামী পর্বে সমাপ্য! :)

২৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আগামী পর্বেই শেষ !
আহা !
আচ্ছা, সেই শেষতম পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম অপেক্ষার পালা থেকে।

২৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শোনেন, একটা কথা বলি। আমি সাদাসিধা মানুষ। প্যাচঘোচ ভালো বুঝি না্।

আসলে আমরা সবাই জানি, মূল ঘটনাটা আপনার জীবনেরই। হয়তো লেখার খাতিরে একটু এদিক-ওদিক করেছেন আরকি! ;)
শুধু বলে যান, আরবাজকে বিয়ে করেছেন কিনা, না করলে কোন সম্ভাবনা আছে? সরাসরি উত্তর দিয়েন কিন্তু!!!!!!
আর যদি বলেন, শেষ পর্বে উত্তর দিবেন, তাহলে বসলাম, উত্তর শুনেই উঠবো... :)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা উত্তরঃ না। মানে আমার নিজের কোনোই সম্ভাবনা নেই।

তবে প্রশ্নটা মজার ছিলো আর আপনার গেইসটা আপনারই। আমি কিন্তু বলিনি আমার গল্প....

যাইহোক আরেকটা কথা বলে রাখি, আর একটাই পর্ব লিখে রেখেছি যেখানে এই গল্পের আপাতত পরিসমাপ্তি ঘটেছে। শুধুই লেখা আবারও পড়তে হবে এবং কিছু যোগ বিয়োগের দরকার হলে করতে হবে তারপর শেষ। আপনি মনে হয় আমার কিছু পর্ব পড়েননি।
লেখা দিয়ে আপনাকে জানিয়ে আসলে আবার যদি বিরক্ত হন সেই ভয়ে জানাতে যাইনি। যাইহোক শেষ পর্বটা পড়লেই চলবে। শুভকামনা।

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার কিছু পর্ব পড়েননি না, সব পর্বই পড়েছি, এ টু জেড। সবগুলোতে কমেন্ট করিনি, এই যা।

যাইহোক, উত্তর পেলাম। ধন্যবাদ দিয়ে আর ছোট করলাম না, এম্নিতেই আপনি আমার থেকে অনেক ছোট....... :)
লেখা কিন্তু বন্ধ করবেন না। শেষ পর্বের ভালোলাগা অগ্রীম জানিয়ে দিলাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা না পড়েই ভালো লাগা জানাবার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ রইলো। লেখা তো কখনই বন্ধ করি না আমি। শুধু মাঝে মাঝে লেখারা ঘুমিয়ে থাকে। ভালো থাকবেন।

৩০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রহেস্যর দুয়ার খূলেছ ধীরে ধীরে!!

দারুন !

ভাল লাগেছ বরাবরের মতোই!!!!

++++++++++

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগুভাই।

৩১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: নিক নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই, নিক পুরুষ না মহিলা এটা দিয়ে কি করবো? লেখা ভালো হলেই হলো। আমি একজন পাঠক, পাঠক হিসাবে আপনার বর্তমান লেখাটি পড়ে ভালো লাগে এটাই আমার জন্য যথেষ্ঠ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই। ভালো থাকবেন।

৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আর মাত্র একটা পর্ব ? আপু পিলিজ এরপর চলে যাবেন না । মায়া বড্ড খারাপ জিনিস । আপনার গল্প আর আপনার উপর পড়ে গেছে । আমরা আপনাকে মিস করবো । আপনার গল্পের আসর ও খুব মিস করবো । তাহলে শেষ পর্ব না হয় অনেক দিন পর দিন । :)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা যাবোনা। আরও লিখবো।

৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় খুব তাড়াহুড়া হয়েছে মনে হয়.........

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পর্ব ও পরের পর্বে কিছু তাড়াহুড়া থাকবে। এর আগের কোনো পর্বেই তাড়াহুড়া ছিলো না। এখন আমি শেষ করার চিন্তায় আছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী।

৩৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হা হা হা শাহরিয়ারভাই আজকের এই রসিকতাময় বকবক থেকে কি শিখলেন?

হা হা হা... বাংলা টাইপিং শেখা বা কিছু শব্দ টাইপ করা ।এটা কি শেখা বলে না। এই আর...... যাহোক,ভাল থাকুন। :)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবকিছুই শিক্ষা এবং শেখা। অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।

৩৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

হুমায়রা হারুন বলেছেন: আপনার লেখাটি প্রকাশ করেছি ম্যাগাজিনে । মেসেজ দিয়েছি। এখন আমার ৪-৮ খন্ড দরকার। কপি পেস্ট করতে পারছি না । আপনি কি মেসেজে পাঠিয়ে দেবেন word file এ লেখাটি? অনেক অভিনন্দন। লিংক view this link

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ৮ - ৬ পাঠিয়েছি। বাকীগুলাও পাঠাবো তাড়াতাড়ি আপু। অনেক ধন্যবাদ।

৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

লেখা চোর বলেছেন: প্লিজ এতো বড় লেখা দিবেন না। কপি করতে কষ্ট হয়। ;)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা এরপর থেকে খুব ছোট ছোট দেবো।

৩৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো!++++++++++

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কাতিআশা। শুভকামনা।

৩৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

কালীদাস বলেছেন: এই পর্বটা মুটামুটি লাগল। রহস্যের আরও দুই লাইন লেখার পর ইন্টারভাল দিলে আরও ভাল লাগত :) ইনফ্যাক্ট এই জিনিষটার ব্যাপারেই আমার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি প্রায় শুরু থেকেই।

বাজুবন্দ মানে কি ব্রেসলেট টাইপের কিছু একটা? গহনার ব্যাপারে আমার আইডিয়া আইনস্টাইনের গহনার ব্যাপারে নলেজের কাছাকাছি :P

স্যরি, ১৯ নাম্বার এপিসোডটা ভাল লাগেনি তেমন একটা। বেটার হোপ ফর আপকামিং এপিসোডস :)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসলে ইন্টারভালের সময় নেই হাতে। নিজের মনে লিখতে শুরু করেছিলাম সময় নিয়ে ধীরে সুস্থ্যে। শুধুই লেখাটাকে ছাঁপার আখরে বন্দী করে রাখবো বলে। কিন্তু এত এত মানুষ পাশে পেলাম যে কিছুটা দায়বদ্ধতা শুরু হলো পাঠকের দিকটা থেকেও। কাজেই লিখবো কি লিখবো না বা আদৌ শেষ করলে করবো কি করবো না ব্যাপারটা তখন আর আমার হাতে থাকলো না। মোটামুটি একটা পরিসমাপ্তির দিকে এগুতেই হলো। আসলে গল্পে এই বাবার অন্তর্ধানের রহস্য বা মায়ের ডায়েরীর গোপন কথাগুলো প্রকাশ করে দিতে চাইনি আমি।
সেই দুটি বিষয়ই আমার এই লেখার পরিসমাপ্তির আগে জুড়ে দিতে হলো। গল্পটা আসলে মোটামুটি শেষ। নেক্সট পর্বে ইতি টেনে দিচ্ছি। আমি তো হুমায়ুন আহমেদ নই অথবা শীর্ষেন্দুও নই কাজেই যা পেলাম পাঠক হতে সেই অনেক অনেক বেশি পাওয়া আমার জন্য। সত্যিই এই কৃতজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়।


মাঝে মাঝে ভালো লাগুক বা মন্দ লাগুক আমার লেখা কি মনোযোগেই না আপনারা পড়েছেন। ধন্য হয়ে যাই আমি। বাজুবন্দ ব্রেসলেট টাইপ কিছুই কিন্তু এর ইংলিশ আর্মলেট। বাজু মানে আর্মে পরতে হয়। আমি ছবি খুঁজে আনবো কিছু পরে। এখনও না চিনলে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।


স্যরি এর কিছু নেই । ১৯ নং সবার ভালো লাগবে এই আশা করাটাই বৃথা। তবে কি জানেন? লেখক হিসাবে সেটাই আমার বেস্ট পার্ট । মানে লিখতে গিয়ে বুকের গভীর থেকে উঠে এসেছিলো ঐ লেখাগুলো। আমার মত করে অনুভব করলে সেটাই হত আপনার কাছেও সেরা। এই কথাটি আমি ঐ পর্বের কমেন্টেও বলেছি।


অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা কালীদাসভাই।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকে বাঁজু বন্দের ছবি জবাবে দিতে গিয়ে নীচে চলে গেছে।


একটি জিনিস না শেয়ার করে পারছি না।

ওস্তাদ ফায়রুজ খান সাহিবের বিখ্যাত ঠুমরী। রাগ ভায়রাভির উপরে সৃষ্ট...বাঁজুবান্দ খুলু খুলু যায়

এটি ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খান, ভীমসেন জোসিসহ অনেকেই গেঁয়েছেন।

৩৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন:


বাংলার নারীদের গহনা নিয়ে আমি একটি আর্টিকেল লিখেছিলাম বেশ আগে । এক সময় সেখান থেকে বাঁজুবন্দের ডিটেইলস কপি করে আপনাকে দিয়ে যাবো কালীদাস ভাই। ভালো থাকবেন।

৪০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে+

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশাভাই।

৪১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

কালীদাস বলেছেন: আল্লাহরে আল্লাহ, ছবির ঐ মহিলায় কত কিছু পিনছে :-/ থ্যাংকস চেনানোর জন্য। আপনার ঐ আর্টিকেলটাও পারলে ব্লগে শেয়ার করুন, আমি ব্লগে থাকলে পাঠক হিসাবে পাবেন। তাছাড়া নতুন কিছুরও এক্সপেরিমেন্ট হবে আপনার জন্য; ছকের বাইরে আসবেন সেক্ষেত্রে লেখক হিসাবে :)

সিরিজ শেষ হয়ে গেলে কিছু পাঠক কিন্তু ঝরে পড়তে পারে পরের পোস্টগুলোতে ;) আমার হত, আমার ফান পোস্টের অনেক পাঠক মেটালের পোস্টে ভুলেও ঢুকত না =p~

আপনার ঠুমরীর জন্য ধন্যবাদ। ঠিক এমুহুর্তে এই জিনিষ শোনার মুডে নেই; কয়েক সেকেন্ড শুনে রেখে দিয়েছি। পরে শুনে জানাব কেমন লেগেছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আর্ম ছাড়া আর্মলেট ছবি দিলে হয়তো বুঝা যেত না সেটা হাতে পরে নাকি পায়ে পরে।তাই এইভাবে দিলাম। আর্টিকেল লেখাটাই আমার মূল লেখার বিষয়বস্তু। গল্প কম লিখেছি। সিরিজ শেষ হলে পাঠক ঝরে যাবে এমন কিছু ভাবছি না । নিজেই ঝরে যেতে পারি কালীদাসভাই।

সেই আদিকালের ঠুমরী একটু রিমেক করলে মনে হয় ভালো হত।

শুভকামনা জানবেন।

৪২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই অনেক ভাললাগা+++

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই।

৪৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: অসম্ভব ভাললাগা । বাবার অন্তর্ধাণের কারন জেনে এখন আরো একটা বিষয় জানতে মন চাইছে। বাবার সাথে পরে দেখা হয়েছিল কিনা।
ডায়েরীটাও নতুন করে খুব কৌতুহল জাগাচ্ছে । আগে থেকেই কিছু ভাবছি না, শেষে দেখা যাবে ভাবলাম এক, হল আরেক!

তারচেয়ে বরং কৌতুহলে খই ফোটাতে ফোটাতে অপেক্ষা করি। :)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষ পর্ব লিখেছি। শিঘ্রই দিয়ে দেবো নীলআপা।

৪৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো হলো শেষ পর্ব দেরী করে দিচ্ছেন । :) :D

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না বেশি দেরী করবো না। একটু ব্যাস্ততায় ছিলাম। আর তাছাড়া হটাৎ শেষ করে দিতে চেয়ে মনে হচ্ছে আরও অনেক কিছুই বলার ছিলো।

৪৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু দেরী করেই দেন । নাহলে আপনি তো চলে যাবেন ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না যাবো না । আপাতত থাকছি।

৪৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: :D :) ধন্যবাদ আপু ।



আপনার জন্য চা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুধু চা? চায়ের সাথে বিকালের টা টাও দরকার ছিলো।

৪৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন:
আপু নিন

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এত কিছু! ডিনারই হয়ে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৪৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনি এক কাজ করেন। এখন গায়েব হয়ে যান। অনেক মাস পরে আসবেন যখন নাকি সবাই ভুলে যাবে আপনি একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলেন। তখন শেষ পর্ব দিবেন। :P

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না না এখন গায়েব হতে পারবো না । কোনো কাজ শেষ না করে আমি থামি না। এখন ভালো হোক মন্দ হোক এটা আমালে শেষ করতেই হবে।

৪৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অয়ন ভাই ভালো বুদ্ধি দিছে কিন্তু ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এমন বললে কিন্তু আমি এখুনি দিয়ে দেবো শেষ পার্টটা। নিজের মনে লিখে গেলে এত সব ভাবতাম না এখন যেহেতু আপনাদের মত কেউ কেউ জড়িয়েই গেছেন আমার লেখার সাথে। এখন এটা গলাট কাঁটার মত বিঁধে আছে। শেষ না করা পর্যন্ত আর সব কাজে মন দিতে পারছি না।

মোটামুটি রেডি আছে শেষ পর্ব। এইমাত্র নিয়ে বসেছিলাম ফিনিশিং টাচটা দিয়েই দিতে। বলা যায় না আজ রাতেও প্রকাশ করে দিতে পারি।

৫০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু রাগ করছেন । সরি আপু । আমরাও আপনার শেষ পর্বের অপেক্ষায় আছি । মজা করছিলাম আমরা ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না রাগ করিনি । রাগ করবো কেনো? আমিও মজা করেছি।

৫১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আচ্ছা, প্রকাশ করেন। তবে প্রথম পাতায় প্রকাশ করবেন না। তাহলে প্রকাশ ও করা হবে। আবার পড়াও হবেনা। পড়লেও খুব কম মানুষ পড়বে। :P

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কম মানুষ পড়ুক কিন্তু যারা রেগুলার পড়ে এসেছে এতদিন তাদেরকর কি করে জানাবো?

৫২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমি তো আমার প্লান অনুসারে কথা বলছিলাম। সবাই যাতে অনেক অনেক দিন পরে আবিষ্কার করে যে লাস্ট পর্ব দেয়া হয়ে গেছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভালো বুদ্ধিই বের করেছেন। লাস্ট পর্ব না দিলে মানে শেষ না করলে নতুন কিছু শুরু করবো কিভাবে?

৫৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: তাই নাকি! আমি তো ভেবেছি আপনি এটা শেষ করে চলে যাবেন। তাহলে তো এটা শেষ করাই লাগে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তবে তাই হোক।

এখুনি পোস্ট দিচ্ছি। পাঁচটা মিনিট অপেক্ষা করেন।

৫৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পরের পর্বে আসতেছি .......

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক আছে।

৫৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




ঘৃনার সাইকোলজিক্যাল রহস্যের জট খুলছে ...খুলছে..... । খুলুক । পুরো জট খুলে গেলেই গল্প তার ভিনটেজ আমেজটা হারিয়ে ফেলতে পারে !

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জট মোটামুটি খুলেই দিয়েছি শেষ পর্বে। যদিও লেখার শুরুতে এমনটা মাথায় ছিলো না। আমি কখনই এই জট যেমনই খুলতে চাইনি তেমনি ডায়েরীটাও প্রকাশ করতে চাইনি। কিন্তু কারো কারো মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হলো খোলাসা করেই দেই কিছুটা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদভাই। ভালো থাকবেন।

৫৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো দাদু বাড়ীতে ফিরে আসার অনুভূতিটুকু বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। গোলাপী নীল রঙের বোগেনভেলিয়ার আপাতঃ পরিত্যাক্ত বাড়ীটাকে সৌন্দর্য দানের আপ্রাণ চেষ্টার বর্ণনাটুকু ভাল লেগেছে। নিজেদের একসময়ের গমগম করা গ্রামের বাড়ীটার বর্তমান অবস্থা কল্পনা করে মনটা হু হু করে উঠলো। একসময় সদা ব্যস্ত মায়ের প্রাণ চাঞ্চল্যের কারণে বাড়ীটা ঝকঝকে ছিল। এখন মা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। ভাইবোনেরা সবাই বাইরে, বাড়ীটাতে আজ আর কেউ থাকেনা। চোখ বুঁজে বাড়ীটার কথা ভাবলে ভিটেয় ঘুঘু চড়া দেখতে পাই। গাছের পাতার আবর্জনা, অবাধে পশু পাখিদের আনাগোনার কারণে পরিত্যাক্ত ময়লার স্তুপ, ইত্যাদির ছবি ভেসে উঠে মনটাকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। কতটা প্যাশন নিয়ে আমরা সংসার সাজাই, একদিন সবই পরিত্যাক্ত হয়ে যায়!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ জীবন সূর্যাস্তের রক্তিমাভা থেকে সায়াহ্নের ক্রম অন্ধকারাছন্ন পরিক্রমার মত আমাদের এই জাগতিক সম্পদেরও একটি কাল পরিক্রমা থাকে আর তাই হয়তো একদিনের চাকচিক্যময় জৌলুসপূর্ণ রাজবাড়িটিও একদিন ভাঙ্গাচুরা কলেবরে দাঁড়িয়ে থাকে প্রেত্মাতার মত।

মায়ের জন্য শুভকামনা রইলো। উনি ভালো থাকুন। ডিমনেশিয়া এক ভয়াবহ যাতনার নাম।

৫৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠক্রমে দেখলাম, আমার এ ভাবনাটিই প্রতিফলিত হয়েছে আপনার কথায়ঃ হায়রে জীবন, ... ধারণাই করা যায়না!
বাকী কথায় পরে আসছি।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৫৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আম্বিয়ার মা এর চরিত্র বিশ্লেষণ ভাল হয়েছে, উপভোগ্য হয়েছে।
সচেতনহ্যাপী এর ১৮ নং মন্তব্যটি ভাল লেগেছে।
৩৮ নং প্রতিমন্তব্যে Ustad Faiyaz Khan Sahib এর Bhairavi Thumri-Baju Band Khul Khul Jaye এর লিঙ্ক জুড়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।


৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.