নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ২১ (শেষ-পর্ব)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮


মায়ের ডায়েরীটি শুধুমাত্র প্রতিদিনের ব্যাক্তিগত দিনলিপিই নয়। এই ডায়েরীতে মা লিপিবদ্ধ করে রেখে গিয়েছেন তার নানা রকম প্রিয় এবং অপ্রিয় জাগতিক ও অজাগতিক বিষয়গুলিও। যেমন ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুদের নাম। কয়েক পাতা জুড়ে মা শুধু নাম কালেকশনই করেছেন। যেমন আরও কয়েক পাতায় উনি লিখে রেখেছেন উনার পড়া প্রিয় বইগুলির নাম। আমি খেয়াল করে দেখলাম ডায়েরীটা কয়েকভাগে বিভক্ত। নামের ভাগ, বই এর ভাগ, তার গহনার বিবরণী বা লিস্টির ভাগ, কিছু প্রিয় রেসিপি, কিছু নজরুল সঙ্গীতের স্বরলিপি এবং সবশেষে ব্যাক্তিগত কথামালা। রোজ রাতে সকলে ঘুমিয়ে গেলে আমি এই ডায়েরী নিয়ে বসি।

মায়ের ডায়েরীর প্রতি হঠাৎ আমার এত আগ্রহ জন্মাবার কারণই হয়ত মায়ের রহস্যময় মনোগজতের কিছু গলি ঘুপচির আভাস পাবার চেষ্টা। রহস্যময় মনোজগত বলেছি এই কারণেই যে আম্বিয়ার মা থেকে শুরু করে যে কেউই মাকে চিনেন এবং জানেন তারাই নিজের মেয়ের সাথে মায়ের এই অস্বাভাবিক দুরত্বের বা আচরণের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না। আমিও ঠিক এই রহস্যের কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। আসলে সারাজীবন একই ছাদের নীচে থেকেও তাকে আমার সত্যিকারে জানা হয়নি অনেক খানিই। আর বুঝার প্রশ্ন তো অনেক দূরে। তাই আমি মায়ের ডায়েরীটির প্রতি এতটা আগ্রহী হয়ে উঠেছি। এই আগ্রহের আরও একটা কারণ ছিলো বাবার অন্তর্ধানের যে ইতিহাস এতগুলো দিন পরে আমি সেদিন দাদুর মুখে শুনেছি সেই ইতিহাসের আরও কিছু খোলা জানালার আবিষ্কার করা যায় কিনা তারই ইচ্ছাটা। মা ডায়েরীতে নানা কথাই লিখেছেন, তার রাতে দেখা কিছু অদ্ভুত স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্নের কথা। তার ভালো লাগা, মন্দ লাগা রাগ ক্ষোভ আর দূরাশার কথা। মায়ের দেখা স্বপ্নগুলোর বিবরণ বড় অদ্ভুৎ। প্রথমে তার দেখা স্বপ্নের যেসব বর্ণনা দিয়েছেন তা আবোল তাবোল স্বপ্ন মনে হওয়ায় এড়িয়ে গেলেও হঠাৎ মনে খটকা লাগায় আমি ফের মন দিয়ে পড়তে শুরু করি। মা লিখেছেন-
----------------
কাল রাতে ফের সেই অদ্ভূত স্বপ্নটা দেখলাম। যে স্বপ্নটা আমি বার বার দেখি। একটি পুরোনো রাজবাড়ি। বাড়িটির এক বিশাল প্রশস্থ জলসাঘরে ঘুঙ্গুর পায়ে নেচে চলেছে একটি ছোট্ট মেয়ে। দেয়ালজোড়া বিশাল আয়নায় প্রতিবিম্বে মেয়েটির দুলে দুলে নেচে চলার দৃশ্যটি আমার বড় চেনা। তবে মেয়েটা কি ঐ রাজবাড়ির নর্তকী নাকি ঐ বাড়ির মেয়ে কিছু বুঝিনা আমি। স্বপ্নে মেয়েটার মুখ দেখা যায় না। পাতলা নেকাবে ঢাকা থাকে তার মুখ। নাচতে নাচতে মেয়েটা আমার দিকে এগুতে থাকে আর তখনই শুরু হয় আমার শ্বাসকষ্ট। কাল রাতেও একই ব্যাপার হলো। অনেক কষ্টে জেগে উঠি আমি। উঠে দেখি আমি দরদর ঘামছি। পানি খাই এক গ্লাস। আমার ধারণা আমি ঐ মেয়েটি । আমার জন্ম ঐ রাজবাড়িতেই। স্বপ্ন আমাকে বার বার আমার অতীত জনমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্বপ্নে আমি ফিরে ফিরে যাই আমার অতীত জনমের রাজ বাড়িটিতে। আচ্ছা আমার অতীত জনমের সেই রাজবাড়িটা কোথায় ছিলো। আমার নাম কি ছিলো সেই জগতে? রাজকুমারী কাঞ্চনমালা নাকি অন্য কিছু ......
------------------
কাল রাতে এক আশ্চর্য্য ঘটনা হলো। যদিও ঘটনাটি নতুন নয় তবে অবশ্যই অতিপ্রাকৃত তাতে আমার সন্দেহ নেই। এ কথা কাউকে বললেই হেসে উড়িয়ে দেবে বা আমাকে পাগল সাবাস্থ করতে উঠে পড়ে লাগবে। তাই কাউকে বলিনি। এই ঘটনার শুরু সেই ক্লাস নাইন থেকে। একদিন মাঘ মাসের শীতের রাত। কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছি। ঘড়িতে ঢং ঢং ঠিক রাত দুটোর ঘন্টা দিলো। আমার চোখ খুলে গেলো আপনিতেই। রাত্রীতে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানো আমার অভ্যাস। আলো নেভালেই আমার নিশ্বাস আটকে আসে,তাই আলোটা জ্বালিয়েই রাখি আমি। সেই ঝকঝকে আলোতে স্পষ্ট দেখলাম। হাসি হাসি মুখের এক যুবক আমার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকে দেখে হিম হয়ে যাই। সম্পূর্ণ সন্মোহিতের মত তাকিয়ে থাকি তার চোখের দিকে। সেই হাসি হাসি চেহারার যুবক তার স্মিত হাস্যের চোখের আলোয় আমাকে বিদ্ধ করে রাখে সন্মোহনের ঘোরে। আমার সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে এক ঝটকায় আমি উঠে বসি। অমনিতেই ভোঁজবাজীর মত সব হাওয়ায় মিলিয়ে যায় ......কি ভয়ংকর কিছু মুহুর্ত! উফফ আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি...
-------------------

একি স্বপ্ন নাকি ঘোর নাকি সত্যিই ঘটে আমার সাথে? গভীর রাতে কিংবা ঝুম দুপুরে আমি ঠিক আমারই অবয়ব দেখতে পাই। হেঁটে বেড়াচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘরের মাঝে, সারা বাড়িতে। আমি আতঙ্কে নীল হয়ে যাই। স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু আমার সেই অবয়বের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তাতে । সে আমার দিকে ফিরেও তাকায় না .......

----------------------------

মায়ের ডায়েরীতে ডুবে যাই আমি। বিস্ফারিত নয়নে গিলতে থাকি তার লেখা এই সব অদ্ভুতুড়ে স্বপ্ন বা অভিজ্ঞতার কথা। তার ডায়েরী থেকে বেছে বেছে স্বপ্নগুলোই পড়তে থাকি আমি। এরই সাথে স্বপ্ন নিয়ে আমি নানা রকম বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, আর্টিকেলও পড়তে শুরু করি। দুঃস্বপ্ন দেখার পেছনে রয়েছে যে সব বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও গবেষণালব্ধ কারণ সে সব পড়ে পড়ে আমার মাথা কাজ করে না আর। দুঃস্বপ্নগুলির পিছে রয়েছে চলমান জীবনের চাপ, উৎকণ্ঠা ইত্যাদি ইত্যাদি। এসবেরই প্রতিচ্ছবি হলো এমন সব দুঃস্বপ্ন। খুব জানতে ইচ্ছে করে মায়ের জীবনের কিসের এত উৎকন্ঠা ছিলো? জেনেছি বাহ্যিক চাপ বা নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা যখন অত্যধিক হয়ে যায় তখনই এই জাতীয় দুঃস্বপ্নের দেখা মেলে। এটা মূলত মনের ভেতরের না-বাচক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ। জীবনের নিরাপত্তাহীনতা অথবা উদ্বিগ্ন পরিস্থিতির কারণেই এমন দুঃস্বপ্ন এসে ধরা দেয়। এই রকম দুঃস্বপ্ন মূলত ব্যক্তিগত জীবনের কোনো দুর্বলতা থেকেই গড়ে উঠে। জীবনের কোনো বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেও এমন স্বপ্ন ঘুরে ফিরে দেখতে পায় মানুষ। তবে কি মা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন? এবং এই মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণ কি? তবে কারণ হিসাবে আমি মোটামুটি দাঁড়া করিয়ে ফেলি তারই ডায়েরীর প্রাপ্ত তথ্য থেকে পাওয়া কিছু কথামালা দিয়ে। মা লিখেছেন,

--------------------
ডঃ রঞ্জন বলেছিলেন আমার নাকি কোনো অতীত জনম নেই। এবং সেটা কারোরই নাকি থাকে না। এ কথা আমি আজও বিশ্বাস করিনি, করবোও না। এই সব অতিপ্রাকৃত ব্যাপারগুলোতে ডাক্তারী ফলায় এই ডক্টরের কি সাধ্য তাতে? সে তো বিশ্বাসই করে না আমি যে সত্যিই জানি ঐ রাজবাড়িই আমার আসল বাড়ি। উনি বলেছিলেন এসব নাকি আমার ভ্রান্ত ধারণা। স্বপ্ন আমাকে নিয়ে যায় আমার অতীতে এই কথা আমি কি করে তাকে বুঝাবো? আর বুঝারই বা কি সাধ্য আছে তার? সে বলে, খুব অল্প বয়স থেকেই আমার রুপের প্রশংসাটাই নাকি নিজের সম্পর্কে আমাকে অতি বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তাই নাকি আমি নিজেকে ভাবছি রাজকন্যা বা এমন কিছু অপার্থীব কেউ একজন...... এই ডক্টর আমাকে নিশ্চয়ই হিংসা করেছে নয়তো ও নিজেই কিছু জানে না....
-----------------------


মায়ের লেখা আরও সব নানা রকম অবাস্তব কল্পনার বর্ননাগুলি পড়ে আমি বেশ বুঝতে পারি। কিশোরীকাল থেকেই মায়ের এই অবাস্তব কল্পনার মাঝে বসবাসের শুরু তার ফলশ্রুতিতে এই সব দুঃস্বপ্নের সুত্রপাত। নিজেকে নিয়েই নিজের মাঝে মত্ত থাকার ফল। মায়ের ভাষ্যমতে বা মায়ের ডায়েরীর লেখাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় ডক্টর আসলে ঠিকই ধরেছেন, অসামান্য রুপের প্রশংসাই তাকে কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্থ করে তুলেছিলো। আমার এই সব ব্যাখ্যার পিছে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় মার লেখা আরও কিছু তথ্য থেকেই।
----------------------------

ইদানিং হঠাৎ নিজের অবয়ব নিজে দেখতে পাওয়ার সেই অসুখটা বেড়েছে আমার। অসুখ মানে ডঃ রঞ্জনের মতে, উনি যেটাকে আমার হেলুসিনেশন বলতেন। বিয়ের পরে এই হেলুসিনেশন বলতে গেলে প্রায় ছিলোই না । কিন্তু হঠাৎ সেদিন মাঝ রাত্তিরে ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমার বিছানার উপরেই বসে আছে সে। মানে আমার অবয়ব। আমাদের দুজনের মাঝখানে কে এই নারী? আমি চিৎকার করে উঠতে গিয়েও থমকে গেলাম। অষুধগুলো কি আবার শুরু করতে হবে? আমি কি তবে ফের একটাবার ডঃ রঞ্জনের সাথে এপোয়েন্টমেন্ট নেবো?


----------------------------
এরপর পরই মায়ের লেখা আরও কিছু তথ্য থেকে আমি পরিষ্কার হয়ে যাই আমার দেখা মায়ের ঐ অস্বাভাবিক ক্রোধ বা উন্মাদনার কারনগুলি। মা লিখেছেন,

জানতাম এমন কিছুই একটা ঘটতে যাচ্ছে আমার জীবনে। যেদিন থেকে আবার আমার হেলুসিনেশনে ঐ ছায়ামূর্তী দেখতে পেলাম সেদিন থেকেই বুঝেছিলাম চরম কোনো পরিনতীর দিকেই যাচ্ছে আমার জীবন। যেদিন জানতে পেলাম ওর প্রাক্তনের কথা। যাকে ছাড়া নাকি তার জীবন বিবর্ণ। চরম হতাশা আর গ্লানিতে পাগল হয়ে গেলাম আমি? এ আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা আমার চাইতেও কোনো আকর্ষনীয়া নারী পৃথিবীতে থাকতে পারে যার আবেদন আমার চাইতেও বেশি। উফফ! কি করবো এখন আমি? আত্মহত্যা নাকি খুন? এখন তো আমি একাও নই। সাথে আমার সন্তান। এই অপমান আমি কি করে সহ্য করবো! এই অপমানের কি প্রতিশোধ নেবো আমি? আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করে শেষ করে দেই নিজেকে অথবা ওদের পুরো পরিবার। সবচাইতে রাগ লাগে ওর বাবার উপরে। কোনো সাহসে উনি ঐ আবলুশ কাঁঠ ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিতে গেলেন? তাও আবার তার এই সম্পর্কের কথা গোপন করে। নাহ ছাড়বোনা আমি। কোনোদিন ক্ষমা করবো না ঐ বৃদ্ধকে। আমার এই পরিনতির জন্য একমাত্র দায়ী করে রাখবো আমি তাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। বিশ্বাসঘাতক....ছোটলোক...... এই ফ্যামিলীকে আমি শেষ করে দেবো.... কিন্তু কি করে? সত্যিই খুন চেপেছে আমার মাথায় .... সবকটাকে বিষ খাইয়ে মারবো আমি...কিন্তু আমার মেয়ে? এই মেয়েটাই আমার জীবনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে.... কোনো কূল কিনারা পাই না আমি... কি করবো ? কি করবো? হে খোদা আমাকে বলে দাও.. আমি এখন কি করবো?

বন্ধ করে ফেলি আমি ডায়েরীটা......চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি কিছুক্ষন। বাবার জন্য কষ্ট হয়। মায়ের জন্যও। কি নিষ্ঠুর আমাদের এই জীবন। কতগুলি আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ি আমরা আর তারপর পারিপার্শ্বিক জগতের কাছে নিয়ন্ত্রন হারাই। গভীর রাতে আমি চুপি চুপি উঠে আসি ছাঁদে। মেঘহীন তারাভরা ঝকঝকে আকাশ। পুবের হাওয়া বইছে......ঝকঝকে আলোয় পুরোনো বাড়ির এখানে ওখানে ছাল ওঠা ছাঁদটাও বড় মায়াময় দেখাচ্ছে। পৃথিবীতে এত মায়া, এত কষ্ট, এত পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশের মাঝেও প্রকৃতি বড় সুন্দর আর নির্লিপ্ত। আমার মন হু হু করে ওঠে। হঠাৎ নিজেকে এই বিশাল পৃথিবীতে বড় একা লাগে। আমার পাশে কেউ নেই। কোথাও কেউ নেই। তবুও কত মায়ায়, কত কান্নায়, কত হেলা ফেলায় জড়িয়ে আছি আমি এই নিষ্ঠুর এবং মায়াময় পৃথিবীতে। আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছি জগতের এই মায়াজালে।

বাবাকে বড্ড মনে পড়ে আমার আজকাল। মায়ের ডায়েরীটা পড়ার পর থেকে তার জন্যও কষ্টটা কম নয় আমার। আমার অতি সুন্দরী মা হেরে গিয়েছিলেন। যার আত্মবিশ্বাসই ছিলো তার সৌন্দর্য্য সেই সৌন্দর্য্যের অবহেলা মানতে পারেননি তিনি যার ফলশ্রুতিতে প্রায় উন্মাদিনীতেই পরিনত হয়েছেন তিনি। বাবাই কি সুখী হয়েছেন? হয়তো বা হ্যাঁ, হয়তো না। তার কি একটাবারও মনে পড়ে না তার এই দুঃখী মেয়েটার কথা? এ প্রশ্নে নিজেকেই প্রশ্ন করি আমি। আচ্ছা আমি কি সত্যিই দুঃখী? কখনও নিজের কাছে এই প্রশ্নের উত্তরটা হ্যাঁ পাইনি।বরং মনে হয়েছে বিশ্ববিধাতা আমাকে যত না দুঃখ দিয়েছেন, দুঃখকে জয় করতে শিখিয়েছেন তারও চেয়ে অনেক বেশী। সংসারের এই জটিল চক্র বড় রহস্যময়, বড় অদ্ভুত। তবুও বড় মায়া, চারিদিকে অপার মায়ায় ভেসে থাকি আমরা। ভালোবাসি এই জগতকে।

দোলনকে মনে পড়ে, মনে পড়ে আরবাজকেও। আরও কত শত হারিয়ে যাওয়া মানুষের মুখ ভেসে যায় মনের আয়নায়। আরবাজ বলে জীবন এক রেইল স্টেশনের মত। কত মানুষ ট্রেইনের অপেক্ষা করে, ট্রেইনে চেপে চলে যায়, আবার আরেক দল নতুন মানুষ ফিরে আসে। এই ক্ষুদ্র জীবনটাতেও কত শত মানুষের আনাগোনা। জীবনের চাকাও কখনও থেমে থাকে না, গড়িয়েই চলে। দোলনের সাথে আর কখনও হয়তো দেখাও হবেনা আমার। আমার কিশোরীকালের প্রেম, আমার অবাক ভালোবাসা, সেই স্মৃতিময় প্রেমের শুধু সুখ স্মৃতিটুকু নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই আমি বাকীটা জীবন। তবে আরবাজকে হয়তো একজন অতি অতি ভালো বন্ধু হিসাবে সারাজীবনই পাশে পাবো। আমি চাই আরবাজের একজন বিদুষী স্ত্রী হোক, সন্তান ও সংসারে আরবাজ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক একদিন। ওর সুখী দাম্পত্য জীবন আমাকেও সুখী করবে এমনই আমার বিশ্বাস। আমাকে ভালোবেসে আরবাজের এই একা থাকার ডিসিশনটা আমি মানতে পারিনা। তাই মাঝে মাঝে এমনও ইচ্ছে হয় ওর সাথে ইচ্ছাকৃত বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফেলার। তবে এই ব্যাপারে আমি মনে হয় স্বার্থপর হয়ে গেছি। কেউ নেই আমার পাশে সুখে ও দুঃখে যার কাছে হাত বাড়ানো যায়। এই একমাত্র আরবাজই আমার এমন একজন বন্ধু যার কাছে অবলীলায় আমি ভাগাভাগি করে নিতে পারি আমার সকল কষ্ট ও সুখগুলোকে। তাই স্বার্থপরের মত ওর কষ্টকে আড়াল করে আমি হাসিমুখে ওর সাথে কাটিয়ে দেই দিনের পর দিন। বহু দূরে চলাচল তার তবুও মনের একেবারেই কাছটিতেই তার বসবাস....


শেষ অধ্যায়
ঝুমকী ফুপুর এখানে চলে আসার সাথে সাথেই হঠাৎ যেন জীবনের নাটকের সেকেন্ড সিন ড্রপ পর্দা নেমে এলো। শুরু হলো জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের বেসরকারী এই কোর্সটি ঝুমকী ফুপুর সাহায্যেই ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এইখানে ক্লাসগুলির সাথে সাথে প্রায়ই থাকে নানা অরফানেজ বা হসপিটাল বা নানা রকম বাড়তি সুবিধাযুক্ত স্কুল বা পার্ক পরিভ্রমনমূলক শিক্ষা। আমি আমার দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরকে দেখে ভাবতেও পারিনি কোনোদিন এই উন্নত দেশগুলোতে এই সব শিশুরা যারা মা বাবা বা আত্মীয় পরিজনহীন তারাও এত সুখী থাকতে পারে। অবলীলায় নিজেদের ভেতরের মেধা বিকশিত করে তুলতে পারে কিছু হৃদয়বান মানুষের সাহ্চর্য্য ও সহযোগীতায়। বড় ভালো লাগে ওদের হাসিখুশি মুখগুলো দেখতে। ওদের সাথে খেলতে বা কথা বলতে। আমি আরও অবাক হয়েছি ওদের বয়সের তুলনায় জীবনবোধের মূল্যায়ন ও জ্ঞান দেখে।

এক কথায় ভালোই আছি আমি। নতুন পরিবেশ ও নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই নিজের কাছে। বাকী সময়টা এবং ছুটির দিনগুলো কাটে ঝুমকী ফুপুর সাথে গল্পে, কথায় বা শপিং মলগুলো ঘুরে ঘুরে। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করি ঝুমকীফুপুর মাঝে এই বয়সেও যে উচ্ছলতা ও আনন্দ ছড়িয়ে আছে তা হয়তো এই পৃথিবীর ৯০% মানুষের মাঝেই নেই। ছিপছিপে শরীরের এক মাথা কোঁকড়া চুলের ঝুমকিফুপুর উচ্ছলতায় হাসি আনন্দে দিনে দিনে আমি হয়ে উঠি রঙ্গীন বর্ণীল। নতুনভাবে উজ্জিবীত হয়ে উঠি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরনা নিয়ে। আমার দুঃখ কষ্ট ফেলে আসা অতীত ধীরে ধীরে বর্ণহীন হতে থাকে। ফুপু কেনো আজও চিরকুমারী এ কথাটিও আমাকে মাঝে মাঝেই ভাবায়। তবে তাকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সদউত্তর পাইনি। বরং এ কথা জানতে চাইলেই সে চোখ রাঙ্গিয়ে ঠোঁটে আঙ্গুল চেপে বলে, চুপ, আর কখনও জানতে চাইবি না। সবাইকে সব কথা জানতে হয় না। আমি কি তোর থেকে জানতে চেয়েছি? তুই কেনো বিয়ে করলি না আরবাজকে?
সব প্রশ্ন বা রহস্যের আসলে উত্তর হয় না বা উত্তর জানতে নেই........

বহুদিন পর দাদুর মৃত্যুর খবর আসে। জানতে পাই দাদুর মৃত্যুর পর বাবা নাকি বাংলাদেশে এসেছিলেন দীদাকে নিয়ে যেতে। দীদা রাজী হননি। যে কটা দিন বেঁচে থাকবেন সে বাড়িতেই কাঁটিয়ে দেবেন এমনই তার ইচ্ছা। বাবা ফিরে গেছেন তার আপন ঠিকানায়। মা এখন অনেকটাই স্থির হয়েছেন এমনটাই আঁচ করি ঝুমকী ফুপুর সাথে কথা হয় যখন তার মায়ের। সবাই বেশ নিজ নিজ স্থানে নিজের মত করে ভালো মন্দ অথবা তাদের নিজেদের মতই আছে। আমিও ভালো আছি.......অতীতের স্মৃতিগুলি আমি একেবারেই ভাবি না আর .....অতীতের প্রায় সকলেই মনে হয় মনে রাখেনি আমাকেও.....

একদিন হঠাৎ আমার জন্মদিনে তীতলীর কার্ড আসে। কার্ডটা খুলে আমি অবাক হয়ে যাই। তীতলী লিখেছে .....

আপু,
তোমার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা। বাকী জীবনটা অনেক অনেক আনন্দে থাকো তুমি এটাই আমার চাওয়া।
তবে একটা কথা আজ তোমাকে বলতে চাই, তুমি এ বাড়ি থেকে চলে যাবার পরে আমি একা হয়ে গেছি। ভীষন একা.........মাঝে মাঝে তোমাকে ভীষণ মিস করি....
তীতলী


অনেক অনেক দিন অনেক অনেক অতীত ভুলে থাকবার পরেও তীতলীর এই ছোট্ট কথামালার কার্ডটি হাতে নিয়ে আমি স্তব্ধ বসে থাকি। হু হু কান্নায় ভেঙ্গে আসে বুক।তীতলীরও সেই বয়স হয়ত এখন যখন দুঃখকে জয় করা শিখতে হয় বড় কষ্টে, বড় সাধনায়। অনেকেই তা পারে না, তীতলী কি পারবে? না ওকে পারতেই হবে। আমি ওকে শিখিয়ে দেবো। দুঃখ কষ্ট দ্বিধা দ্বন্দ এ সকল আপেক্ষিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে কিভাবে নিজের মত করে বাঁচতে হয় ওকে শিখিয়ে দেবো আমি। মনে মনে বলি,
" তীতলীমনি তুমি যত দূরেই আর যেখানেই থাকো। আমি আছি তোমার পাশে।" নিজের কাছে নিজের এই প্রতিশ্রুতি করি আমি। কিন্তু জানিনা কিভাবে বা কি করে এই প্রতিশ্রুতি রাখবো আমি। তবুও আমি জানি আমি পারবো......আমাকে সেটা করতেই হবে...এ পৃথিবীতে একটা মানুষের কাছেও হয়তো আমার আজও মূল্য আছে। সে তীতলী, আমার ছোট বোন। এই আশাটি আমাকে হয়তো বাঁচিয়ে রাখবে আরও বহুদিন... মানুষ তো বাঁচে আশা নিয়েই...



পাদটিকাঃ

গল্পটি অতীত থেকে বলতে শুরু করা হয়েছিলো। অতীত থেকে বলা শুরু হলেও এটি একটি বহমান বা চলমান জীবনে গল্প। গল্পটির এই পর্যন্তই লেখিকার জানা আছে। এরপরে ভবিষ্যতে এ গল্পের নায়িকা বা অন্যান্য পাত্র পাত্রীর ভাগ্যে কি ঘটবে জানা নেই তার। যদি তেমনি বিশেষ কিছু ঘটে, দোলন, আরবাজ কিংবা অন্য কাউকেও সে জীবন সঙ্গী হিসাবে বাঁছাই করে তবে সেদিন কোনো নতুন গল্প লেখা হবে কিনা জানিনা। তবে ভবিষ্যতের সেই নতুন গল্প লেখা নিয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নেই তার। শুধু মনে হয় যদি এই নায়িকার জীবনটা রিওয়াইন্ড করে আবার তার ছেলেবেলায় ফিরিয়ে দেওয়া যেত সেখানে থাকতো তার অতি স্বাভাবিক একটি সুখী মায়াময় পরিবারের গল্প, একজন মমতাময়ী মা, স্নেহময়ী বাবা কিংবা ছোটবোন তিতলী। যাদের ভালোবাসায় একটি সুখী সমৃদ্ধ জীবন বয়ে যেত। দোলন কিংবা আরবাজ খানিক টানাপোড়েন হলেও যে কোনো একজনকে সঙ্গী করে নিয়ে সে শুরু করতো আর একটি নতুন জীবনের গল্প। তবে বেশ হত।

গল্পটি নিজের জন্য লিখে রেখে যাবার প্রেষনা থেকেই লিখতে শুরু করেছিলাম। এতগুলো দিন, এতগুলো পর্বের সাথে আমাকে যারা সঙ্গ দিয়েছেন, সহমর্মিতা ভালোবাসা আর অনুপ্রেরনায় ভাসিয়ে রেখেছেন তাদের সকলের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা।

সমাপ্ত


মন্তব্য ১৬৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

শামচুল হক বলেছেন: প্রথম হলাম চা দেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কিসে প্রথম হয়েছেন? পড়ায় নাকি না পড়েই কমেন্টে? চা নুর হাফসা আপুর কাছে আছে। উনি এসে চা দেবেন। আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভোটে আমিই জিতলাম। যেটা এক্সপেক্ট করেছিলাম সেটাই হল। B-)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা নুর আপু আসলে এখন বিপদ। মানে গল্পের শেষ পরিনতী দেখে খেপে যাবে। কিন্তু কি আর করা বলেন? গল্পটা তো ....

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পৃথিবীর চতুর কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে নানান রহস্য।আর মানুষ জন্ম থেকে রহস্যর প্রতি প্রবল আকষণ বোধ করে। ঠিক তেমনি আপনার ময়ের ডায়রিটা ছিল আপনার কাছে রহস্য ঘেরা। আপনার গল্প খানিক পড়ে বিদায় নিলাম। আমার কোন গল্প দুই তিনবার না পড়লো, আমি গল্পে কোন আগামাথা বুঝি না। :(

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কোথায় যান মাথা ক্লিয়ার করতে? গল্প বুঝতে অসুবিধা হলে আপনার জন্য সামারী লিখে দিতে পারি। তবে একটা কথা বলে রাখি, গল্পটা আসলে নিতান্ত সাধারণ একটি গল্পই। রহস্যময় জগতের সবচাইতে রহস্যময় প্রাণী মানুষদের রহস্যঘেরা জীবনের গল্পগুলির কিছু বিষয়ে আলোকপাত। মূলত এটা কিছু মুহুর্ত, অবস্থা ও অনুভূতির বর্ণনামুলক লেখা।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: গল্পটা তো .... বাস্তব।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাস্তব ছাড়া কি গল্প হয়? সব গল্পের মূল ভিত্তিতে খুঁজে দেখলে দেখা যাবে খুঁটিটি কোনো না কোনো বাস্তবতার উপরেই দাঁড়িয়ে আছে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

শামচুল হক বলেছেন: পড়লাম সমাপ্তি অংশ। গল্প থেমে যাওয়ায় শেষ পরিণতি জানা হলো না।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষ পরিনতী তো লেখিকা নিজেই জানে না ।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: যাই নাই কোথাও !আশে পাশে আছি। তবে পুরো গল্পের সামারী করে দিলে। আপনাকে একখানা স্পেশাল ধন্যবাদ। :)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ঠিক আছে করে দেবো।

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বলছিলাম যে গল্পে-উপন্যাসে লেখক ইচ্ছামত পরিণতি টানতে পারে। সেটা এখানে ঘটে নাই।

নূরাফার চেহারা দেখার মত হবে। বাংলা ৫ এর মত হয়ত। আমি সংখ্যালঘু হয়েও ভোটে জিতেছি নূরাফা। B-))

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। আর একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কি? সম্পূর্ণ গল্পে একটা নাম মিসিং ছিলো....

হ্যাঁ সংখ্যালঘু হয়েও আপনি জিতেছেন মানে মনে হয় একমত্র আপনিই সেদিকে ছিলেন। বাকীরা আরবাজের প্রেমে পড়ে গেলো।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এটা আমি অনেক আগেই খেয়াল করেছি। আগের পর্ব গুলায় নায়িকার নাম লিখতে গিয়েও হোচট খেয়েছি। কারণ নায়িকার নামই দেয়া ছিল না।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা নায়িকার নাম ছাড়া লিখতে আমাকেও বেশ কয়েকবার হোঁচট খেতে হয়েছে।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছাদ থেকে কি দোলনকে সত্যিই দেখা গিয়েছিলো? না ওটা মতিভ্রম ছিলো? দেখা গিয়ে থাকলে তারপর কী হলো তার? বোঝা গেলো না ঠিক!
চলমান গল্প! চরিত্রগুলোর পরিণতি না জানার একটা আফসোস থেকে যাবে। যাহোক ভালোই লেগেছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ গিয়েছিলো।
বোঝা গেলো না কেনো? আমি তো পরিষ্কার করেই বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যতদূর বুঝানো যায়। আপনি মনে হয় মিস করে গেছেন। তারপর

আর তো হলো না দেখা
জগতে দোহে একা ...
চিরদিন ছাড়াছাড়ি যমুনা তীরে ....

অসংখ্য ধন্যবাদ সাধু ভাই।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমারো প্রথম বিশ্বাস করতে কষ্ট হত। ভাবছিলাম একসময় জিজ্ঞেস করব নায়িকার নাম কি দিয়েছেন নাকি আমিই ভুলে গেছি!
নাম না থাকায় নায়িকাকে নিয়ে কমেন্ট ও করা হত না। আপনার কি মাথায় নায়িকার জন্য কোন নাম ঘুরাঘুরি করেছে এই সিরিজ লেখার সময়?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: করবে না কেনো? করেছে তবে সেটা লিখতে চাইনি।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি,

পোষ্টের প্রথমে প্রথম পর্ব থেকে লিংক দিলে পাঠকগণ সহজে পড়তে পারবে মনে হচ্ছে।

শেষাংশে মাশরাফির ছক্কার মারলেন আফি, গল্প চমৎকার হল।

আশা করছি, এই ধরনের গল্প আরো পাবো আপনার নিকট হতে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা লিঙ্কগুলো দিচ্ছি।

অসংখ্য ধন্যবাদ ফাহিমভাই।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু মনটাই খারাপ হয়ে গেছে । দাঁড়ান একটু কান্না করে নিই । :(( :|
বাস্তব দেখেই হয়তো এতো কঠিন সমাপ্তি ।
অসীম ভালোলাগা ছিল এই গল্প জুড়ে । আজ শেষ হওয়াতে আগামী তে হয়তো শূন্যতা অনুভব হবে ।
পরিশেষে বলবো । জীবন এতো কঠিন কেন ? ভাল্লাগেনা জটিলতা ।
গল্পের শেষ টা হয়তো মন খারাপ করিয়ে দিল ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ মন আমারও খারাপ হয়েছিলো আজ। বিশেষ করে তীতলীর কথা লিখতে গিয়ে। মন খারাপ করবেন না খুব শিঘ্রী হয়তো মন ভালো করিয়ে দেবো। মানে চেষ্টা করতে পারি।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু কিভাবে মন ভালো করবেন ? :D
অয়ন আপনি জিতে গেলেন । এই ছেলে টা এতো বুঝে কিভাবে ? আমার মাথায় ঢুকে না ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: করবো। তখনই দেখবেন।
অয়ন জিতেছে কারন উনি দোলন কিংবা আরবাজ দুজনের একজনকেই পছন্দ করেন নি।

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু নায়িকা র কি কি নাম আপনার মাথায় ঘুরছিল বলা যাবে ?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: যাবে কিন্তু আরেকদিন বলবো।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমার আরবাজ কে ভালো লেগেছিল ।
অয়ন ভাই ছেলে , হিংসুটে তাই ওনার কাউকে ভালো লাগে নি :D :)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরবাজকে তো তাহলে সেই খবর জানানো দরকার। মানে অয়নভায়েরটা না আপনারটা।

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অয়ন ভাইয়ের টা :D
বেশি বাস্তববাদী ছেলে আমার পছন্দ না ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আচ্ছা জানিয়ে দেবো।

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: দোলনা,গার্বেজ এদের হিংসা করা যেত যদি নায়িকা ব্রোকেন ফ্যামিলিতে না বেড়ে উঠত। যেহেতু নায়িকা অনেক দুঃখ সয়েছে, হতাশা অনুভব করেছে, আশাভঙ্গ হয়েছে তাই নায়িকার ভেতর একা একা সার্ভাইভ করার ইচ্ছা আস্তে আস্তে বেড়েছে। আমি চাচ্ছিলাম, সে একাই সব ছাপিয়ে শাইন করুক। এছাড়া নায়িকার প্রতি আলাদা কোন আকর্ষণ নেই। আমি এভাবেই বুঝেছি। ভুল ও হতে পারে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গুড অবজার্ভেশন। অয়নভাই আপনি ভালোই অনুমান করতে পারেন। আমিও এমনটাই চেয়েছিলাম।

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: নূরাফা, যেভাবে বাস্তববাদী বলছেন, সেরকম ও না আবার। আমি কিন্তু ব্লগে আমার প্রথম পোস্টটি(কবিতা) বেশ আবেগ নিয়ে লিখেছি আর সেটা বাস্তবতা অবলম্বনেই। :P

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আবেগ ছাড়া কি মানুষ হয়? আমার মনে হয় আমি ঠিক যতখানি বাস্তববাদী ততখানিই আবেগী।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়লাম। মন্তব্যে পরে আসছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক আছে সম্রাটভাই।

২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কোন গল্প পড়ে সে গল্পের মুল থিম আমি কখনো ধরতে পারি না। :( এর কোন সমাধান আছে কি ! :( আর পুরো গল্পে একটা সামারী করে, অবশ্যই আমাকে প্রতিউত্তরে দিবেন। আপনার পাঠক হিসাবে এটা আপনার কাছে দাবী।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটি একটি আত্মকথনমূলক লেখা। এখানে নায়িকা তার অতীত থেকে স্মৃতিচারণ করেছেন। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলীর শিশু তার নতুন বাবার বাড়িতে কি কি অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিকূলতাগুলি কাঁটিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যায় তারই নানা সময়ের মোটামুটি ধারাবাহিক বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এখানে তার মূল শপথটাই ছিলো যে কোনো বাঁধাকেই গ্রাহ্যি না করা। শেষমেশ নিজের পায়ে নিজে দাঁড়ানোর প্রতীজ্ঞায় অনড় থাকা। গল্পটি এখানেই থেমে গেছে কারণ এটি একটি চলমান গল্প বা নায়িকার বর্তমান চলমান জীবনের গল্প যা এখানেই ইতি টানতে হয়েছে। এরপরেও গল্পটি আসলে থেমে নেই কিন্তু লেখটাকে থামিয়ে দেওয়া হলো।

২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হাহাহা । অয়ন ভাই আমি তো আরবাজের কথা বললাম ।
দোলনের সম্পর্কে মন্তব্য করি না কারন আমি দোলনের পর্ব গুলো মিস করেছি । ;)
আরবাজের ব‍্যক্তিত্ব চমৎকার । যে কারোরই ভালো লাগার কথা । গুছিয়ে কথা বলে ।

। যেহেতু নায়িকা অনেক দুঃখ সয়েছে, হতাশা অনুভব করেছে, আশাভঙ্গ হয়েছে তাই নায়িকার ভেতর একা একা সার্ভাইভ করার ইচ্ছা আস্তে আস্তে বেড়েছে। আমি চাচ্ছিলাম, সে একাই সব ছাপিয়ে শাইন করুক। এছাড়া নায়িকার প্রতি আলাদা কোন আকর্ষণ নেই। আমি এভাবেই বুঝেছি। ভুল ও হতে পারে।

ঠিক বলেছেন । দুঃখ পাওয়া এই ধরনের মানুষ গুলো একা থাকতেই বেশি ভালোবাসে । সুখ তাদের কাছে অসম্ভব কিছু । তারা তা বিশ্বাস করার ক্ষমতা রাখে না ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ব্যাখ্যা দারুণ হয়েছে নূরআপা। আপনি ভালো পাঠক। শাহরিয়ারভাই এখনও গল্পটা পুরোপুরি বুঝেনি। পারলে আপনিও একটি সামারী লিখে দিন।

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: তবে একটা প্রশ্ন ব্রোকেন ফ‍্যামিলির মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও নায়িকা কি সুন্দর নিজের সত্তা ধরে রেখেছে অবাক করার ব‍্যাপার ।
আমি কয়েকজনকেই দেখেছি নেশার কবলে নিজেকে নিঃশেষ করতে । কেউ ভারসাম্যহীন বিয়ে করে আর মদের বোতলে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ।
এই ধরনের পরিবারের সন্তান হয়ে জন্ম নেয়া টা অনেক টা অভিশাপের মতো । বাবাও চায় না , মাও চায় না , অল্প বয়সেই বুঝতে হয় সে সবার বোঝা । তার আগমন অন্য দের জন্য বিরক্তির । সবাই সেই সন্তান টা কে দোষ দেয় । কিন্তু সে কেন এমন হলো কেউ তা ভাবে না ।
গল্পটা শেষ না হলেই বুঝি ভালো হতো । ভীষন এক মন খারাপ এর দল আমাকে ঘিরে ফেলছে । এখুনি চা খেয়ে মন ভালো করতে হবে ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটি শিশুর বিকাশে মা বাবা সর্বোপোরি একটি পূর্নাঙ্গ পরিবার এমনকি যৌথ পরিবারের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। মায়ের ডায়রীতে মায়ের ভিতরের জ্বালা বুঝতে পারলাম। সমাপ্তিসহ পুরো লেখাটাই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিকভাই। আজ যে মন দিয়ে লেখাটা পড়েছেন বেশ বুঝতে পারছি। অজস্র শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: নূরাফা, আরবাজ লোকটা ভালই। ডেডিকেশন দেখিয়েছে অনেক। তাছাড়া নায়িকার ও হয়ত তাকে ভাল লেগেছে কিন্তু করুণার পাত্রী হয়ে থাকতে হবে এই কারণে হয়ত বিয়েতে রাজি হয় নাই। আন্দাজ করলাম।
২২ নং মন্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বলেছেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুধু করুণার পাত্রী টাইপ ব্যাপারটা না হয়তো। আসলে ব্যাপারটা এমন ......


তুই ফেলে এসেছিস কারে
মন মন রে আমার
তাই জনম গেলো শান্তি পেলি নারে
মন মন রে আমার!!

যে পথ দিয়ে চলে এলি
সে পথ আবার ভুলেও গেলি রে
সে পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে ....

২৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: নায়িকার চারপাশ বিবেচনা করে ওনার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে, অয়ন ভাই ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আমারও মনে হয় এটাই ঠিক ছিলো। সারাজীবন কি রাজকন্যাদেরকে রাজকুমারই ঘোড়া ছুটিয়ে এসে রক্ষা করবে?

২৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি এমন একটা গল্পের প্রতিক। তবে মায়ের চরিত্রটা মেনে নিলাম। বাবার চরিত্র গল্পের জন্য যদি রং না লাগায়ে থাকেন টুটাললি কমপ্লিকেট একটি চরিত্র একেঁছেন। গল্পযে শুধুই গল্প তা জানি আবার গল্পের মাঝেই লোকানো রহস্য ঘেরা বৈচিত্রময় জীবন যে রেখা টেনে যায় তাইতো গল্প। আপনার গল্পটি এতোই ভালো লেগেছে তার কোন বিশেষণ আমার জানা নেই। হয়তো বা এমন একটি জীবন চক্র খুবি কাছ থেকে দেখা হয়েছে বলে আবেগের বাঁধ ভেঙ্গেছে। তবে সত্যি কথা কিন্তু প্রথম খন্ডেই আমি বলেছিলাম গল্পে আমি মজে গেছি।
গল্পটি লিখার প্রান্তে ফুরায়ে গেলেও অজানা কতো কী বাকী। হয়তো কোন একদিন এমনি আরো একটি গল্প দৃষ্টিগত হবে কোথাওনা কোথাও, নয়তো লোকালয়ে মূখরিত হবে। স্মৃতিরা তখন জানান দিয়ে যাবে এ হলো সেই কষ্কাবতী নামক রাজকন্যার গল্প।


১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সুজনভাই প্রথম থেকেই সাথে ছিলেন। কৃতজ্ঞতা রইলো সারাজীবনের জন্য।

২৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সুন্দরী মেয়েরা যখন জানতে পারে, তাদের প্রেমিক বা স্বামীর পূর্ব প্রনয়ী আছে, তখনই তাা সেই অদৃশ্য প্রনয়ীকে অদৃশ্য শত্রু বানিয়ে অঘোষিত এক যুদ্ধ শুরু করে।। মায়ের ডায়রী পড়ে তেমনটাই মনে হলো।। এবং তা মায়ের ভাষ্যেই আছে!!
আরবাজ আর দোলনের মাঝে পার্থক্য প্রেম এবং পরিনত বয়সের বাস্তবতা।। সেই কৈশর র আজকের ভাবনার মে দুরত্বও যে অনেক বেশী!!
শেষের দিকে ফুটে উঠেছে একটি ব্রোকেন পরিবারের সন্তানের ইচ্ছে এবং হতাশার কথা।।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারুন কমেন্ট সচেতনহ্যাপী ভাই। সুচারু বিশ্লেষনে মুগ্ধতা।

২৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: পড়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম। নিজেকেই প্রশ্ন করলাম সিরিজটাতো শেষ, আমার অনুভুতি কী? বুঝতে পারলাম না কিছুক্ষণ।

অদ্ভুত এক অনুভুতি নিয়ে গেলাম।
গল্পের নায়িকার জন্যে শুভকামনা, লেখিকার জন্যে শুভকামনা । :)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা নীল আপা। ভালো থাকবেন।

২৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হটাৎ করে শেষ হলো মনে হচ্ছে | শেষ এমন কিছুই হবে ভেবেছিলাম বেশ খানিটা আগেই -মানে কয়েকটা পর্ব আগেই | আরবাজ সাহেবের সাথে নায়িকাকে জড়িয়ে দিলে গল্পের ভিত্তি নড়ে যেত বলে মনে হয়েছিল | সেটা মনে হয় একটা মন্তব্যে জানিয়েও ছিলাম | কিন্তু এই পর্বের ফোকাস বেশি হয়ে গেছে ডাইরির উপর - কিন্তু সেটা মূল গল্পের সাথে অতটা এটাচ্ড না বলে মনে হলো | মানে ডায়েরিটার কথা এতটা না বললেও মনে হয় ক্ষতি হত না |আফটার অল গল্পটা নায়িকাকে নিয়ে | তার মাকে নিয়েতো নয় | বাবার সাথে কখনো দেখা হয়ে যাবে ভেবেছিলাম সেটা হলো না দেখে একটু মন খারাপ | একটা পর্ব বাবাকে নিয়ে হলে মনে হয় খারাপ হতো না | আগের পর্বের দাদার বাড়িকে নিয়ে লেখাটা ভালোলেগেছিলো খুব | ভেবেছিলাম অনেক বড় একটা মন্তব্য করবো | ব্যস্ততার জন্য আর মন্তব্য করা হয় নি | যাক কোনো অবস্থায়ই এগুলো কিন্তু কোনো সমালোচনা নয় লেখার | অন্য সবার মতো আমিও প্রথম থেকেই আপনার গল্প মুগ্ধ হয়েই পড়েছি | আর গল্পের সাথে অনেক এটাচমেন্টের জন্যই হয়তো গল্প নিয়ে ভেবেছি আমিও |সে থেকেই এইসব কথা | রাজকন্যা না থাকলে ব্লগ সম্রাজ্য চলবে কি ভাবে ? আরেকটা গল্পের শুরু করা যায় না রাজকন্যা সম্রাজ্যের প্রজাদের জন্য ? কুর্নিশ রাজকন্যা মুগ্ধতার | ভালো থাকবেন অনেক অনেক |

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ডায়েরীটা কখনও আনতেই চাইনি এই লেখায়। হুমায়রা আপার বিশেষ অনুরোধে ডায়েরীটা আনা হয়েছে। বাবার সাথে দেখা হয়নি। তাই কোনো পর্ব নেই তবে কখনও দেখা হলে লেখা যাবে সেই গল্প। ১৯ পর্ব লিখতে গিয়ে আমি নিজেকে ভুলেছিলাম। আমার এই গল্পের সাথে এত মানুষে এটাচমেন্ট আমাকে নিজেকেই অবাক করেছে। তাই সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

হ্যাঁ আরেকটা গল্পের শুরু হবে। তবে আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ মলাসভাই।

৩০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামনের দিনে নতুন কোন গল্প বা অন্য কিছু নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন সে কামনায় করি।
ভাল থাকুন সবসময়।শুভ কামনা রইল।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই। ভালো থাকবেন।

৩১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেষ করেই দিলেন!! আর ২/১টা পর্ব লিখলে পারতেন। যাই হোক, অাপনার চরিত্রের বর্ণনা, কাহিনীর বিন্যাস অার শব্দের গাথুনি চমৎকার। নেক্সট লেখা কবে পাচ্ছি?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নেক্সট লেখা যে কবে পাবেন আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। আপাতত অন্য কিছু নেক্সট প্রজেক্টে বিজি থাকতে হবে। ভালো থাকবেন মফিজভাই। নতুন লেখা আনবো দেরী হলেও খানিকটা।

৩২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই জীবনের কোনো রিওয়াইন্ড অপশন নেই :(

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। জীবনের রিওয়াইন্ড অপশান হয় না।

৩৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প শেষ হইয়া যাওয়াতে মন খারাপ হইয়া গেল। :( আশা করি,ব্লগে আবার নতুন কোন গল্প লিখিবেন। !:#P

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লিখবো।অশেষ ধন্যবাদ বাদশাভাই।

৩৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। ভালো সময় কাটলো। রাধা-জীবন কাহিনী??? মন ভালো হলো। আবার খারাপ হলো ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিমভাই। শুভকামনা।

৩৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

বেয়াদপ কাক বলেছেন: গল্পটা আমার কাছে একটা রেলগাড়িতে ভ্রমণ এর মত হয়ে গিয়েছিল। সুন্দর চলছিল, ভাল লাগছিল। কিন্তু যাত্রা শুরু হয়ই গন্তব্য এ পৌছানোর জন্য। “একি খেলা আপন সনে” আজ তার গন্তব্য এ পৌছে গেল। দারুন একটা যাত্রা শেষ হোল। আশা করছি নতুন কিছু নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করবেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারুন কমেন্ট। শুভকামনা কাকভাই। নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

৩৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ কিছু পর্ব মিস করেছি, যাই পড়ে আসি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পড়ে আসেন গিয়াসভাই। কত ফর্মা হলো লেখাগুলো লেখাশেষে হিসাব করে দেবেন। অশেষ ধন্যবাদ।

৩৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: নায়িকা কি বাস্তব চরিত্র আপু ?
বাস্তব হলে কি সাংঘাতিক কষ্টটাই না পেলো ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জীবন মানেই যন্ত্রনা
নয় ফুলের বিছানা
সে কথা সহজে কেউ মানতে চায় না...


কারণ বেঁচে থাকাটা আনন্দের...

৩৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু শুনতে খারাপ লাগলেও আপনার কথা সত্যি । :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা নুর আপু অনেক ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো অফুরন্ত।

৩৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

উম্মে সায়মা বলেছেন: গল্প শেষ হয়ে গেল আপু? এবার পড়ে ফেলতে হবে।
শুভেচ্ছা রইল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পড়ে ফেলেন সায়মা আপা। আপনার জন্যও অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

৪০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আরও তিন চারটা অধ্যায় লিখতে পারতেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ তা লেখা যেত। তবে অন্য কাজে ব্যাস্ত হতে হবে তাই শেষ করে দিলাম আপাতত।

৪১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

কাতিআশা বলেছেন: ইশ্‌শ্‌!..শেষ হয়ে গেল?..যা হোক রাজকন্যা একটু ঘুমাক আরাম করে..তারপর ফ্রেস হয়ে আবার আমাদের মনভুলানো গল্পের রাজ্যে নিয়ে যাবে আবার শীঘ্রই আশাকরি !,,,I am gonna miss you and your "Eki khela apon sone".....সত্যি ভেবেছিলাম এটা আপনার নিজের জীবনের ঘটনা কিনা আর excited ছিলাম এই ভেবে যে, আপনি ঝুমকি ফুপুর সাথে যে দেশে এসেছেন..সেটা আমি যেখানে আছি!...কি বোকা আমি! :(

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কে জানে হয়ত সেখানেই আছি আমি। খুঁজে দেখেন না আশেপাশে কাতিআশা। পৃথিবীটা খুব একটা বড় নয়। অনেক শুভকামনা রইলো।

৪২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সমাপ্তিটা তাড়াহুড়োয় হয়েছে। আরও একটু বিস্তারিত লিখে নায়িকার বর্তমান ব্যস্ততাটা ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। নিজের দুঃখময় সব স্মৃতি আর অতীত ভুলে গিয়ে শিশুদের সেবায় আত্মনিয়োগ করাটা বিশাল শক্ত মনের পরিচায়ক। তবে সমাপ্তি পারফেক্ট হয়েছে। এরচেয়ে ভাল আর কী হতে পারত? গতানুগতিক মিলন বা চির বিরহের দিকে না গিয়ে নিজের জীবনকে অন্যদের জন্য উৎসর্গ শুধু বিশাল মনমানসিকতার মানুষদেরকেই মানায়। আপনার লেখার এটাই সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
বিশেষ আর কিছু বলার নেই। আপনার লেখনি ভাল সাথে পরিপক্কতারও অভাব নেই। ভাল একজন লেখকের প্রায় সব গুণই আপনার আছে। আশা করি আপনার পাঠকদের জন্য ভবিষ্যতেও আপনার লেখনিতে একাত্ম হওয়ার সুযোগ অব্যাহত রাখবেন। সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায়। ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নাহ বর্তমান অবস্থা এর বেশি বলতে চাইনি। সেসব নিয়ে না হয় আরেকটি উপন্যাস লেখা হবে। আপনার প্রশংসার আপ্লুত হয়েছি সম্রাটভাই।আপনার জন্যও রইলো এক রাশ শুভকামনা।

৪৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো সবগুলো সহ শেষ পর্ব।

অার ভালোলাগলো প্রতিটি চরিত্রের নিখুঁত বিশ্লেষন। তবে মনে হয়েছে তুমি মায়ের প্রতি খুব সদয় ছিলে না। তার চরিত্রটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভিলেনই হয়ে থাকলো। কিন্তু একটি মেয়ে যখন বিয়ের পর জানতে পারলো তার স্বামী পরনারীতে আসক্ত এবং তাকে জোর করেই বিয়ে দেয়া হয়েছে তাহলে সেটা তার জন্য কতটা কষ্টের তা কিন্তু তোমার গল্পে আসেনি।

ভালো থাকো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সদয় ছিলাম কিনা জানিনা তবে নির্দয়ও ছিলাম না।

একটি মেয়ে যখন বিয়ের জানতে পারে তার স্বামীর হৃদয়ে তার স্থান নেই তা কতখানি কষ্টের তা নিয়ে না হয় আরেকটি গল্প কখনও লেখা যাবে। আমি তো মায়ের গল্প লিখিনি । মেয়েটার গল্প লিখেছি শুধু সোহানীআপা। অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৪৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু আমাকে কি বিদায় দিচ্ছেন নাকি আপনি বিদায় নিচ্ছেন । :| #:-S

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কোনোটাই না। বরং ব্যাস্ততা কাটিয়ে আপনার জন্য আরেকটা কি গল্প লেখা যায় ভাবছি।

৪৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু । ;) B-)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

৪৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ইশ, নূরাফা ঘুষ পেয়ে খুশি হয়ে গেছে। :P

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকে কি ঘুষ দেওয়া যায় ভাবছি।

৪৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু ওনাকে জুস দিন ফলের জুস , তাহলে খুশি হবেন ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা চলবে? মোস্ট এক্সপেনসিভ জ্যুস ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড।

৪৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অয়ন ভাই আপনার দেখেন চলবে কিনা ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনারা খান। আরও কয়েকজনকে নিয়ে খেতে পারেন। আমি চললাম।

৪৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বাহ! এগুলা বেচে ধনী হওয়া যাবে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: যাবে।

৫০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আপু আপনি গল্পটি দিয়ে বই বের করেন। কি সুন্দর গল্প আহা!
বেশীর ভাগ গল্পই পূর্ণতা পায় না, এসব গল্প কষ্ট লাগে।
চমৎকার গল্পটি সাজিয়ে ছিলেন পরম যত্নে যা মনকে ছোঁয়ে গেল।
ব্লগে আপনার গল্প দিয়েই আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম অংশ পড়েই
আপনার একজন ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম।

ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের উপহার দেখার জন্য।
নতুন কিছুর অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা দেখা যাক বই বের করা যায় কিনা। আমার গল্প দিয়ে যাত্রা শুরু আপনার জেনে খুব খুশি হলাম। অনেক ভালো থাকুন।

৫১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: vlo achen !!
golpo ta lekha shesh korar por apnar manoshik ebong sharirik obostha kemon chilo !!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি ভালো আছি।
গল্পটা শেষ করার পর মানষিক ও শাররিকভাবে ভালো আছি।

৫২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

চানাচুর বলেছেন: এক টানে সব কয়টা পর্ব পড়লাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে গিয়ে মনে হয়নি যে কোন গল্প পড়ছি। বিশেষ করে দোলনের অংশটুকু পড়ে মনে হয়েছে বাস্তব চিত্রই। সবটুকুই যেন কারো জীবনের কাহিনী। সব পর্বই এত গভীর যে অন্য পর্বগুলো পড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। অনেক অনেক ভাল লাগা রইলো। এরকম আরো অনেক গল্প লিখে যাবেন আশা রাখি। ভাল থাকুন আপু।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: চানাচুর আপু এমন মন্তব্যের জবাব হয় কি? অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৫৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রতিটা পর্ব পড়েছি, শুধু পড়েছি বললে ভুল বলা হবে, বলা উচিত পড়তে বাধ্য হয়েছি। জীবনের গল্প ফিকশনের চাইতেও বেশী কিছু হয়। আপনার লেখনী অসাধারন, পাঠককে লেখা ছেড়ে বের হতে দেয়না, বরং অারও ভেতরে যেতে বাধ্য করে।

অনাগত দিনগুলি কাটানো দিনগুলির চাইতে হাজারগুন উজ্জল ও উচ্ছল হোক এই কামনায়..............

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই। আমার লেখা এত যত্ন নিয়ে পড়বার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

৫৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:





হিটলার বলছেনঃ অনেকগুলো পর্ব। সামাজিক উপন্যাস?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ

৫৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

তাসবীর হক বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগল।বেশ কিছু চমক ছিল।প্রায় প্রতিটা পর্বই ছিল সুখপাঠ্য।নায়িকার পরিণতি অনেকটাই প্রেডিক্ট করতে পেরেছিলাম।তবে মায়ের আচরণটা ঠিক ধরতে পারছিলাম না।শেষ পর্বে এসে জট খুললো।এতো সুন্দর গল্প লিখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।শুভ কামনা রইল।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ তাসবীর হক। শুভকামনা রইলো।

৫৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আবার পড়লাম এই পর্ব টা । আবার ভালো লেগেছে ।
আপু আপনি যান নি দেখে ভালো লাগছে ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা যাইনি। কিন্তু কিছু লিখিওনি। আপনার জন্য লিখবো। অয়নভায়ের জন্যও।

৫৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আচ্ছা, নায়িকার নামগুলো কোথায় এবং কবে বলবেন? আপনি বলেছিলেন বলবেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নামগুলো কেনো হবে? নায়িকা তো একজনই ছিলো। নাম বলার এখনও সময় আসেনি।

৫৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: :D আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপু অদৃশ্য মানব কে দেখেছেন ? এখন অনলাইনে আছে দেখতে পারেন ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সে কে?

৫৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: গুলো হবে। কারণ আপনি বলেছিলেন, কয়েকটা নাম মাথায় ঘুরছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা একটাও দেওয়া যাবে না।

৬০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এখন অনলাইনে নাই । বাম সাইডে খেয়াল করলে মাঝে মাঝে দেখবেন । একজন এর নাম দেখায় না যাকে আমরা অদৃশ্য মানব বলছি ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ দেখেছি। উনি ভীন গ্রহের এলিয়েন হতে পারেন।

৬১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন:
পড়লাম এ পর্বদুটিও(২০-২১) একসাথে। ১-১৯ অবশ্য আগেই পড়া ছিল। ভাললাগা জানিয়েই শুরু করতে (মন্তব্যের ইতি টানতে) চাই। আগেই বলে রাখি, আমি সাহিত্যবিশারদ নই, সুতরাং আমার কথা বা মন্তব্য অতটা গুরুত্ববহ নয়। তবে, পাশাপাশি এটুকুনও বলতে চাই যে আমি ভীষন পড়ুয়া - যা পাই ভাল লাগলে গোগ্রাসে গিলি, একেবারে শেষাব্ধি। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই একজন রবীন্দ্র ভারতীয় ছাত্রীর গল্পের সাহিত্যমান সম্পর্কে আলোচনা, সমালোচনা বা রিভিউ মন্তব্য করার বালখিল্যতা দেখানোর সাহসটুকু করেই ফেললাম যেমনটি আগেও করেছি কোন উচিতানুচিৎ বিবেচনা ছাড়াই।

একটু পেছনে ফেরা যাকঃ

পর্ব ১-৭ঃ গভীর ব্যপ্তি ছড়িয়ে শুরু হয়েছিল বিশেষ করে ১-৪ যেভাবে ডালপালা, শাখা প্রশাখা ছড়িয়েছিল তা একটি মেগা ধারাবাহিকেরই ঈঙ্গিতবাহী মনে হয়েছিল প্রথমদিকে। বাবার নিরুদ্দেশ পরবর্তী মায়ের পূণর্বিয়ে, নূতন বাবা, নূতন বাবার মা(মোটা সোটা ভীষন গম্ভীর মহিলা) ও তাদের পরিবারে গল্পের কেন্দ্রীয়চরিত্রের মেয়েটির নিগৃহীতভাবে বেড়ে ওঠার গল্প, ঝুমকী ফুফু, তীতলী, শিউলি, রমেশ কাকা, হাশেমচাচাসহ আরও অনেক নাম না জানা চরিত্রের উপস্হিতি ও সেই সাথে প্রত্যেকটি চরিত্রের সাথে মানানসই ঘটনা-দুর্ঘটনা-প্রবাহ এ পর্বগুলিতে পেয়েছে এক ভীন্নমাত্রা। আমার ত পড়তে-পড়তে একসময় এমনটাই মনে হয়েছে যে এইসকল চরিত্র ও ঘটনা-প্রবাহের সাথে কালের সমসাময়ীক ইতিহাস-অর্থনীতি-রাজনীতি যুক্ত হলে হয়তঃ পাঠকের পড়ার সময় এমন মনে হতেই পারত যে তারা যেন প্রথমআলো, দূর্বীণ বা পূর্ব-পশ্চিম পড়ছেন(আমি অবশ্যই এগুলির সমকক্ষ বা এজাতীয় তূলনা করছি না)। বড়দের পারিবারিক ঝুট-ঝামেলায় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ও তার জেরে তারই সামনে তার‌্ই মায়ের পুণঃবিয়ে ও নূতন সংসারে উটকো ঝামেলা হয়ে চরম নিগ্রহের শিকার(এতটাই নিগ্রহের যে সৎ বোন তীতলীর জন্মদিন পালিত হল কিন্তু তাকে কে্উ উইশটা পর্যন্ত করলনা) হয়ে বেড়ে ওঠা - একটা শিশুর কোমল মনে যে কি বিরুপ প্রভাব ফেলেছে এবং ফলশ্রুতিতে তার নিজেকে গুটিয়ে নেয়া বা চরম জেদী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে বেড়ে ওঠার গল্প এখানে নিপুণভাবেই উঠে এসেছে।

পর্ব ৮-১৩ঃ প্রেম-বিরহ পর্ব - শুরুতে মেয়েটিকে সদ্য কৈশর ছেড়ে যৌবনে পদার্পিত হতে দেখা যায় এখানে। আর ঠিক এখানেই শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতীতে পড়তে যেয়ে প্রেম - লেখনির ভাষায় -

প্রেমে পড়লাম আমি। সে এক উথাল পাথাল প্রেম ....

তবে, এ প্রেম যে অসম প্রেম, তা ত তার নিয়তিই নির্ধারন করে দিয়েছেন - ফলাফল দুই পরিবারের ঝগড়া-বিবাদ যা পরবর্তীতে প্রেম-বিষাদে পর্যবসিত - চিরায়ত যা হয়।

তবে, এখানে এসে মনে হয়েছে গল্প তার পূর্ববর্তী ব্যপকতার খোলস ছেড়ে শুধুমাত্র দুইটা চরিত্রকেন্দ্রিক হয়ে একটা সরু চ্যানেল দিয়ে অতিক্রম করেছে - অবশ্যি এর কারনটাও লেখিকা পরিস্কার করেছেন যে এটা শুধুই সেই মেয়েটির গল্প।

পর্ব ১৪-১৭ঃ পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত - একটি অসফল প্রেমের পরিণতিতে যা হয়; সেই সুযোগে অসম্ভব ভদ্র এবং চৌকশ সুপুরুষ মিঃ আরবাজ চৌধুরীর আগমন ও পরবর্তীতে পছন্দ হওয়া সত্বেও দৃঢ়চেতা মেয়েটির টানাপোড়েন মনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ও অপেক্ষা করেও অবশেষে হাল না ছেড়ে বিদেশ প্রত্যাবর্তন - অসাধারন ক্ষুরধার লেখনীতে উঠে এসেছে এগুলি কিন্তু, গল্প এখানেও একটা সরু নালী দিয়েই গেছে - এবং কারনটাও মনে হয়েছে একই।

পর্ব ১৮-১৯ঃ বিষাদময় প্রেম অতঃপর বিয়েতে জোরাজুরি - এসকল পূর্বাপর ঘটনায় মন যখন বিষিয়ে ছিল ও পরিত্রানের তৃতীয় একটি পথ খুঁজছিল - তখনই হঠাৎ ঝুমকী ফুপু হয়ে এলেন আশির্বাদরুপে - যেন উত্তপ্ত মরুবালিকাতে একফোটা শান্তির বৃষ্টি। এদিকে অশান্ত মনে উঁকি দিল আর এক শেকড় সন্ধানী প্রশ্ন -

আচ্ছা মায়ের কি কোনো প্রেমিক ছিলো? বাবাটাই বা কোথায় চলে গেলো? বেঁচে আছেন তো তিনি? - এই যখন মনের অবস্থা ঠিক তখনই আরেক চমক - প্রথমবেলার প্রথম প্রেমিক - দো-ল-ন দর্শন।

পর্ব ২০-২১ঃ শেকড়ের টানেই হোক বা পালিয়ে বাঁচতে ও একজনকে বাঁচাতেই হোক ওবাড়ি ছেড়ে দাদুর বাড়িতে চলে আসা ও দাদুর মুখেই বাবার প্রাক্তন প্রেমিকা ও দ্বিতীয় বিয়ে সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া এবং অতঃপর মা ও বাবার মাঝে দুরত্বের কারণ নির্ণয় - দারুন ঝর্ঝরে লেখনীতেই উঠে এসেছে। সন্তানের অমতে বিয়ে দেয়াটা যে কতটা ঝুকিপূর্ণ সেই সত্য এখানে উন্মচিত হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বুড়া(দাদু) নিজের বৌমাকে নিজহাতে আবার বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন - ধরে রাখতে পারেননি। আবার মায়ের আত্মহত্যা বা খুন করার মানসিকতা ও হেলুসিনেশন পূনর্জাগরনে তার প্রথম স্বামী-সংসার হারানোটাও দায়ী অনেকখানি।

সব মিলিয়ে দারুন উপভোগ্য ছিল টোটাল সিরিজটা। আমার আরও কিছু কথা আছে যা আজ আর লিখতে পারছি না(সময়ের অভাবহেতু)। পরে যোগ করব আশা রাখি। আপাততঃ একটা রবীন্দ্র-সঙ্গীত শুনে মনটা হাল্কা করি -

দেখাতে পারি নে কেন প্রাণ খুলে গো,
কেন বুঝাতে পারি নে হৃদয়-বেদনা।
কেমনে সে হেসে চলে যায়,
কোন্‌ প্রাণে ফিরেও না চায়,
এত সাধ এত প্রেম করে অপমান।

এত ব্যথাভরা ভালোবাসা,
কেহ দেখে না, প্রাণে গোপনে রহিল।
এ প্রেম কুসুম যদি হত,
প্রাণ হতে ছিঁড়ে লইতাম,
তার চরণে করিতাম দান,
বুঝি সে তুলে নিত না,
শুকাত অনাদরে,
তবু তার সংশয় হত অবসান।

দেখাতে পারি নে কেন প্রাণ

- রচনাকাল 1883

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রথমেও বলে নেই, মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হওয়ায় অনেক অনেক দুঃখিত। এবার বলি, আপনার মত মনোযোগী পাঠক ও চুলচেরা বিশ্লেষক থাকা যেমনই জরুরী, তেমনই আনন্দের এবং তেমনই ভয়ংকর বিষয়ও। ভয়ংকর বলছি কারণ তাতে লেখকের নিজের চোখে না পড়া ভুলও সেই পাঠকের চোখে ধরা পড়ে।

আপনার লেখা প্রতিটা পর্বের পুংখানুপুংখ বিশ্লেষন দেখে মুগ্ধ হলাম ভাই। আর সবশেষে অসাধারণ এই গানটির জন্য কৃতজ্ঞতা।

পুরো সিরিজ জুড়ে সাথে থাকবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পরবর্তী গল্প লেখার সাহস জুগিয়েছে।

৬২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

কালীদাস বলেছেন: বিটুইন দ্যা লাইনস অনেক, অনেক কথা এসেছে এই পর্বে। কার কেমন লেগেছে জানিনা, ফিনিশিং হিসাবে আমার কাছে ভাল লেগেছে; যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনে হয়না আমার। ঠিকই বলেছেন, আপনার প্ল্যানটা ঠিকই ছিল সিরিজটার; লাস্ট পর্বে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর এসেছে। সিরিজটা মোরালটা তাৎপর্যপূর্ণ; সহজ, সুন্দর খোলামেলা একটা ফ্যামিলি লাইফের দরকার সুন্দরভাবে এনেছেন।

আপনার অনেক গুণভক্ত পাঠকের কিছু কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে তাঁরা অলরেডি পাটি বিছিয়ে রুমাল/গামছা নিয়ে ননস্টপ কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন =p~ এনাদের সম্মানে, আমার মত দুচারজন কাঠখোট্টা পাঠকের বিরক্তিকর ক্যাঁচক্যাঁচানি আপাতত শুনতে হবে না এই আনন্দে, প্লাস সফলভাবে লম্বা একটা চমৎকার সিরিজ শেষ করা সেলিব্রেট করতে একটা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করলে মন্দ হয়না B-)) জাঝাকাল্লাহ :#)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ফিনিশিং হিসেবে ভালো লাগা জানাবার জন্য আর পুরো সিরিজেই অন এ্যান্ড অফ সাথে থাকবার জন্য কৃতজ্ঞতা কালীদাসভাই।


আর মন্তব্যের শেষে যে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করতে চেয়েছেন তা করতে পারেন আমি সাথে আছি! হুজুর কি আপনি হবেন জানায়েন?

৬৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু নতুন গল্পের অপেক্ষায় আছি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নতুন গল্প লেখা শুরু করেছি। খুব শিঘ্রি নিয়ে আসবো। ধন্যাবাদ আপু মনে রাখার জন্য আমাকে।

৬৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: ব্রোকেন ফ্যামিলীর একটা মেয়ে যে ছোটবেলা থেকেই বাবার স্নেহ ও অধিকারবন্চিত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মায়ের অবহেলায় সৎ বাবার পরিবারে একজন অযাচিত সদস্য হিসেবে চরম নিগ্রহের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠা যার - তার জীবন কতখানি সংগ্রামময়, কত কঠোর প্রতিকূল পরিবেশে, কত কঠিন বাস্তবতার মোকাবেলায় তার জীবনের প্রতিটা ক্ষণ-প্রবাহিত - তার নিখুত বর্নণা অনেক ঝর্ঝরে লেখনীতে ফুটে উঠেছে এর পল্পের প্রতিটি পর্বে-ছত্রে-ছত্রে। আর, অমন সংগ্রামী একটা মানুষের যতটা বাস্তববাদী, জীবনমূখী ও দৃঢ়চরিত্রের হওয়া উচিৎ বা সম্ভব, লেখনীতে ঠিক ততটুকুই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে - এক্ষেত্রে লেখিকা কোন কার্পণ্য বা আদিখ্যেতা দেখাননি - আমার কাছে যা অসাধারন মনে হয়েছে।

এমন দৃঢ়চেতা মেয়ের তার প্রেম বা বিয়ের দিকে না যেয়ে নিজেকে আত্মপ্রত্যয়ী হিসেবে প্রতিস্ঠিত করার মানসিকতা তার মেধা, গুণ ও ব্যক্তিত্বকেই প্রাধান্য দিয়েছে বা বড় করে তুলেছে। বিশেষকরে, প্রেমিককে এতদিন পরে দেখতে পেয়েও যে তাকে বাঁচানো বা পরিবারের সম্মানের দিকে তাকিয়ে বা তাকে সেইফ রাখার জন্য দেখা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া বা ওভারলুক করা - আমার কাছে আরও বড় প্রেমের উদাহরন বলেই মনে হয়েছে। প্রেমের পরিসমাপ্তিতে যে মিলন থাকতেই হবে - আমি বিষয়টা এমনভাবে দেখিনা। কারন, জীবনে বাস্তবতার অবস্থান কখনও কখনও আমাদের কল্পনারও বাইরে যে সম্পর্কে হয়তবা আমরা পূর্ববর্তী কোনো ধারনাই রাখি না।

পরিশেষে, নিজের দুঃখময় স্মৃতি ও অতীত ভুলে থাকতে বা নিজেকে বৃহৎ কোন সামাজিক কিছুতে ব্যস্ত রাখতে শিশুদের মাঝে আত্মনিয়োগ করাটা যথারীতি পথেই দারুন হয়েছে। সমাপ্তিটা একেবার পারফেক্ট মনে হয়েছে। এর থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারত, আমার জানা নেই।

এই সিরিজটি শেষ করতে আপনি যে অসম্ভব পরিশ্রম, মেধা আর সময় ব্যয় করেছেন - সেটা বুঝতে কস্ট হয়নি মোটেও। আমরা ত শুধু একটানে পড়েই ভাললাগার জন্য একটা ধন্যবাদ দিয়েই খালাস! ব্যস!! কিন্তু, এর পেছনের একজন কারিগরের যে কতটা তেল পুড়ল, কতটা কাঠ-খড় পুড়িয়ে, কতটা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে একটা আউটকাম এল তার খবর রাখি না।

আপনার লেখনি শক্তি নিয়ে কথা বলাটা মনে হয় আমার ঠিক হবে না। তবে, সেটা যে উঁচুমানের - সন্দেহ নেই, সেই সাথে পরিপক্কতারও উপস্হিতি টের পাওয়া যায় লেখার মধ্যে। সত্যি বলতে কি, আমি যেদিন থেকে এই লেখনীর সাথে পরিচিত হই, ঠিক সেই দিন থেকেই এর প্রতিটা পর্ব, প্রতিটা চরিত্র খুঁটে-খুঁটে দেখার বা হৃদয়ঙ্গম করার চেস্টা করেছি, ভাল লেগেছে বলেই পড়েছি। বলতে পারেন, একটা ভাললাগার বন্ধনে আটকে গেছি। একজন ভাল লেখকের হয়ত এখানেই সার্থকতা।

সেই ভাললাগা থেকেই বলেন আর ভালবাসা থেকেই বলেন, আশা করব, এই সিরিজ শেষ হয়ে গেলেও আপনি আমাদের জন্য কলম থামাবেন না, লিখে যাবেন। আমাদের সময়গুলো আরও ভাল কাটুক আপনার লেখা পড়ে পড়ে।

ভাল থাকবেন, অনেক অনেক অনেক ...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্যটি চোখে পানি এনে দিলো।
এত আশা পূরণ কি আমাকে দিয়ে সম্ভব! জানিনা..
এই সিরিজটি শেষ করতে আপনি যে অসম্ভব পরিশ্রম, মেধা আর সময় ব্যয় করেছেন - সেটা বুঝতে কস্ট হয়নি মোটেও। আমরা ত শুধু একটানে পড়েই ভাললাগার জন্য একটা ধন্যবাদ দিয়েই খালাস! ব্যস!! কিন্তু, এর পেছনের একজন কারিগরের যে কতটা তেল পুড়ল, কতটা কাঠ-খড় পুড়িয়ে, কতটা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে একটা আউটকাম এল তার খবর রাখি না।

আমি জানিনা আমি কতটুকু মেধা বা সময় ব্যায় করেছি শুধু জানি নিজেই নেশায় মেতে গিয়েছিলাম।

আপনাকে ধন্যবাদ জানাবার ভাষা নেই ভাই। না আমি আবারও লিখবো। যতদিন পারি আমি লিখবো হয়তো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

৬৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মত মনোযোগী পাঠক ও চুলচেরা বিশ্লেষক থাকা যেমনই জরুরী, তেমনই আনন্দের এবং তেমনই ভয়ংকর বিষয়ও। ভয়ংকর বলছি কারণ তাতে লেখকের নিজের চোখে না পড়া ভুলও সেই পাঠকের চোখে ধরা পড়ে।

পাঠক ভয়ংকর হয় কখন? যদি সে কনস্ট্রাকটিভ সমালোচক না হয়ে ডিস্ট্রাকটিভ হয়(মানে, লেখকের শুভাকাংখি নয়)। একজন কনস্ট্রাকটিভ সমালোচক পাঠকের চোখে পড়া ভুল লেখকের জন্য আশির্বাদ।

সবশেষে অসাধারণ এই গানটির জন্য কৃতজ্ঞতা

শুনে প্রীত ও অনুপ্রানিত হলেম।

পুরো সিরিজ জুড়ে সাথে থাকবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পরবর্তী গল্প লেখার সাহস জুগিয়েছে

আপনাকেও ধন্যবাদ। সাথে আর একটি রবিবাবুর অসামান্য উপহার:

যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে
এমন গানে গানে?

কেন তারার মালা গাঁথা?
কেন ফুলের শয়ন পাতা?
কেন দখিন-হাওয়া গোপন কথা
জানায় কানে কানে?

যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
কেন আকাশ তবে এমন চাওয়া চায়
এ মুখের পানে?

যদি প্রেম দিলে না প্রাণে
তবে ক্ষণে ক্ষণে কেন
আমার হৃদয় পাগল-হেন?

তরী সেই সাগরে ভাসায়
যাহার কূল সে নাহি জানে?
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে

if you, my Lord,
gave me a heart
devoid of love,

why did You infuse
so much melody
in the morning sky?

why bother making
this ornate pattern
of stars in the sky?

why is this
bed of flowers
on the ground?

why does the southern breeze
dying to tell me
its sweet little secrets?

if you, my Lord,
gave me a heart
devoid of love,

why does the sky
staring at my face
so ardently?

if you, my Lord,
gave me a heart
devoid of love,

why does my heart
feel so impatient
for someone?

why does my mind
yearn for this
illusive unending
journey to an unknown
idyllic land?

এটি অনেকেই গেয়েছেন। তবে, ভাললেগেছে মিউজিক ছাড়া এটি

আপনার নূতন লেখা পড়ার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহ নিয়ে প্রতিদিন সামুতে আসব।

শুভকামনা সতত! অনবরত।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ডেসট্রাকটিভ পাঠক আর কি করবে? আমার লেখা পড়ে ডেস্ট্রয়ের ইচ্ছা হলে বড়জোর সে নিজের ল্যাপটপ ভাঙ্গতে পারে। হাহাহা


আপনার রবীন্দ্রপ্রীতি দেখে অবাক হই। এত জানেন?

আপনার নূতন লেখা পড়ার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহ নিয়ে প্রতিদিন সামুতে আসব।
<<< এই কথাটির মূল্য কত জানা নেই। অজস্র ধন্যবাদ আর শুভকামনা আপনাকেও।

৬৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপনি আমাদের জন্য আবার গল্প লিখছেন , তাতেই আমরা দারুন খুশি ।
আর আপনি আমার প্রিয় আপু ব্লগার দের মধ্যে একজন । আপনাকে ভুলবো কেন । :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাফসা আপু।

৬৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


এতগুলো পর্ব, এতগুলো কুশীলব, এতগুলো ঘটনা সবটা একবার মিলিয়ে দেখলে আমার কেবল নিজের কবিতা থেকেই দুইটা লাইন বলতে ইচ্ছে করছে,


পরিশিষ্ট জীবন বৃত্তান্তে রয়ে যায় একটি ভাঁজকরা পৃষ্ঠা;
বাহান্ন নম্বর পাতায় একটি নীল ফিতার বুকমার্ক।



ভালো থাকুন কংকাভাইয়া

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনিও ভালো থাকবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জাহিদভাই।

৬৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ সকাল

আপনার মহাউপন্যাসের জন্য শুভকামনা, আপনার জন্যও

অগ্রিম ইংরেজি বর্ষের শুভেচ্ছা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্যও রইলো এক রাশ শুভ কামনা।

৬৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০২

আটলান্টিক বলেছেন: এতো বড় গল্প!!!!! শুরু করতাম?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: করেন। শুরু করেন আটলান্টিকভাই।

৭০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অনেক দিন নেটওয়ার্ক এর বাহিরে থাকার কারণে গল্প টা পড়া হয়নি.... তবে এটা ও ঠিক যে ভুলতে ও পারিনি। গত কাল থেকে আবার শুরু এবং এই মাত্র শেষ করলাম।

এক কথায় অসাধারণ লিখেন আপনি, যার কোন তুলনা হয়না। নতুন কিছুর জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষায় রাখবেন না প্লিজ..

দয়া করে লিখকের পরিচয় টুকু জানাবেন.... যদি আমার বাংলার আনাছে কনাছে কোথাও থেকে হয়ে থাকেন তবে আমার চেয়ে খুশি মনে হয়না কেউ হবে.........ভালো থাকবেন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এত বড় সন্মানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রায়হান ভাই।

নতুন লেখার চেষ্টা করছি। আমার কি পরিচয় দেবো বুঝতে পারছি না। আমি এই বাংলারই মানুষ। আপনার আশেপাশেই আছি।

৭১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫২

অজানিতা বলেছেন: আপু শুধু জানবেন আপনার গল্প সার্থক হয়েছে। আর বেশী কিছু বলার মত মনোবল নেই আমার এখন!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো। শুভকামনা।

৭২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: সবার মত আমিও এই দারুন গল্প উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

মনে হচ্ছে আরেকটু আগে বাড়ানো গেলে ভাল হত। একুশ গুণ চার - সমান চুরাশি। আরো কিছু বাড়িয়ে হয়ত নব্বুই পৃষ্ঠা হতে পারে; উপন্যাস হিসাবে বইটি বড় ক্ষীণকায়া, তেমন নজরকাড়া হবে কি? আগরি দর্শনধারী........

তারচেয়ে আরো কিছু যোগ করে বই প্রকাশ করুন, নাহলে আমরাই বা কেন একবার পড়া গল্প পয়সা খরচ করে কিনতে যাব!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাহা ঠিক আছে আরেকটু বাড়িয়ে দেবো যা যা লেখা হয়নি এই পর্বগুলোতে। তবে উপন্যাস হিসাবে প্রকাশ হবে কিনা বলতে পারছি না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপা।

৭৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়ের কয়েকপাতা জুড়ে নামের তালিকায় কি "কঙ্কাবতী"ও ছিল?
ডায়েরীতে লিখে রাখা আরো আরো কথার বা বিষয়ের তালিকা পড়ে মনটা যেন কেমন করে উঠলো। হায়রে সোনার সংসার! এ সংসার সাজাতে গিয়ে বাংলার রমণীরা কত কি যে ভাবে, আর কত কি যে আপন খেয়ালে মায়াভরে ডায়েরীতে লিখে রাখে!
শেষ পর্যন্ত সকল কথা ফুরলো। আসলেই ফুরলো কি? ফুরোক বা না ফুরোক, সার্থকভাবে গল্পের শেষ টেনেছেন। পাঠক আচ্ছন্ন।
সূর্যাস্ত আসন্ন। আজকের এ দিনটির সমাপ্তির সাথে সাথে যেন আপনার গল্পেরও যবনিকাপাত হলো, মানে আমার গল্পপাঠ শেষ হলো।
সিরিজ আদ্যোপান্ত ভাল লেগেছে। পুরো সিরিজের জন্য অনেকগুলো +++++++++++++


০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না সেখানে কঙ্কাবতী নাম ছিলো না।
হ্যাঁ আগের দিনে অনেককেই শুনেছি ডায়েরীর পাতা ভরে নানা কিছু লিখে রাখতো। তখন তো ফেসবুক ছিলো না তাই হয়তো সেটাই ফ্যাশন ছিলো।

শেষের প্রশংসাগুলোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো খায়রুলভাই।

৭৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আ্পনার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো যত তীব্রভাবে মনে আছে, বড় বেলার স্মৃতিগুলো যেন সেভাবে তীব্রভাবে মনে নেই। খুব দ্রুত যেন ছোট ফুপুর কাছে চলে আসলেন, এমন লাগছিলো। আর আরবাজের সাথে এরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেওয়া আপনার অন্যায়। প্রয়োজনে তার সাথে খুব খারাপ আচরণ করে তাকে আপনাকে ঘৃণা করতে শেখান, এবং বেচারাকে মুক্তি দিন। এরকম এমেইজিং একটা মানুষ আপনার কারণে কষ্ট পাচ্ছে, ভেবে খারাপ লাগছে। পাশাপাশি থাকাটা এত কঠিন কেন? জানি না। হয় আরবাজকে গ্রহণ করুন, নয়তো দূরে ঠেলে দিন। :( :( :'(

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বড়বেলার স্মৃতি মনে নেই তা নয়। তবে লেখাতে এবং রিয়েলটিতেও ছেলেবেলা, কিশোরীবেলা আমার প্রিয়।

বেচারার মুক্তি দেবার আমি কেউ নই। যার মুক্ত হবার তাকে নিজেই হতে হয় কারো সাধ্য নেই তা থেকে জোর করে মুক্ত করার।


হা হা গল্পে আপনার রিয়াকশন অস্থির মনের পরিচয় দিচ্ছে। মন্তব্যে মজা পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ নাঈমভাই।

৭৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে নিম্নোক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলাম:

"হয়তো আমি আবরাজ চৌধুরির মত পারফেক্ট নই, কিন্তু সেই পারফেক্ট মানুষটাকে পর্যন্ত কঙ্কাবতী রাজকন্যা গ্রহণ করলো না। এমনই কি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই হচ্ছে? প্রাণী জগতটা এমন, যৌনমিলনে সাধারণত নারী প্রাণী যেন প্যাসিভ ভূমিকা পালন করে, কিন্তু পুরুষ প্রাণীটা একটিভ ভূমিকা পালন করে। নারীটা বড়জোড় এলাউ করে, কিন্তু নিজে থেকে একসেপ্ট করিয়ে নেবার কাজ প্রাণীজগতে নেই সাধারণত। পুরুষ প্রাণীকেই ডাকতে হয় আকৃষ্ট করার জন্য বারবার, মেলতে হয় পেখম। নারীকে কি নিজে থেকে কোন পুরুষ সঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতা তাহলে ডিজার্ভ করে না এভুলোশনারি দৃষ্টিতে?

কি জানি। এমন টপিকে কথা শুরু হলে ভীষণ ঝগড়ার সৃষ্টি হবে হয়তো। আমাকে নারীবিদ্বেষী হয়তো ভাবা হবে। তবুও মনের মাঝে প্রশ্ন আসে। কেন কঙ্কাবতী রাজকন্যাকে আরবাজ চৌধুরীকে গ্রহণ করে না? কোন সাইকোলজিকাল কারণ তাকে আটকে রাখে। আর কেনই বা আরবাজ চৌধুরী মুভ অন করতে পারে। আমাদের এভুলোশনারি হিস্টোরিতে কি সব প্রশ্নের উত্তরই দেওয়া আছে? ভাবার বিষয়..."

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা স্টাটাসটি মজার এবং তাতে অন্যেরা কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জানতে মন চাইছে। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ নাঈমভাই আমার লেখা পড়ে এত এত কমেন্ট করার জন্য এবং অবশ্যই মন দিয়ে পড়ার জন্য এবং দুদিনের মাঝে শেষ করার জন্য।

৭৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি কে?????????????

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কেনো?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি কঙ্কাবতী। এটাই আমি... আপনি কে পাঠক? বিশেষ্য নাকি বিশেষন? ক্রিয়া নাকি প্রতিক্রিয়া?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: :P

৭৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

একলব্য২১ বলেছেন: কাল রাত ৩টা পর্যন্ত। আজ কাজের ফাঁকে ফাঁকে ২১টি শুধু পর্বই না, তার সাথে এক গাঁদা পাঠকে প্রশ্ন ও প্রতি উওর পড়া। মাথা আমার হ্যাং করে গেছে। পর পর দুইটা সিরিজ পড়া। আর তার সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়া। আমি ভীষণ ক্লান্ত। আমার প্রচুর বিশ্রাম দরকার। আই রিয়েলি নিড এ ব্রেক। দুধ বিক্রেতা দুধের মধ্যে জল মিলায়। সাহিত্যে কারণে অনেক কিছুই লিখতে হয়। রাজ হাঁসকে দুধজলমিশ্রিত পানিয় খেতে দিলে সে শুধু দুধটুকুই খায়। বাকি পানি পরে থাকে পাত্রে। আমি এই মিশ্রিত লেখা থেকে সত্যটা কি বের করতে পারবো? সেই জ্ঞান বুদ্ধি তো আমার নেই। দেখি আয়নাপুতুল সেটা বের করতে পারে কি না। পুরো লেখাই বিশেষ করে ১৯, ২০, ২১ পর্ব বেশি ভাল লেগেছে। আচ্ছা আরবাজই কি রুশো। এড়িয়ে যাবেন না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না আরবাজ রুশো না....... আরবাজ সেই ডিনারের পরের আমরা ......

এটা নিয়ে লিখবো ভাবছি- কেমন আছে কঙ্কাবতী?

1

2

3

4

5

6

7

8

9

মাথা যখন আবার শান্ত হবে তখনকার জন্য.....

৭৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০

একলব্য২১ বলেছেন: এটা নিয়ে লিখবো ভাবছি- কেমন আছে কঙ্কাবতী?

আপনি লিখেন। আমরা সকলেই অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়বো। সদ্য সমাপ্ত সিরিজের মত সামুর সবাই মেতে উঠবে। সর্বক্ষণ আলোচিত ব্লগে থাকবে নিশ্চিত।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাহা আচ্ছা লিখবো.....

৭৯| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: শুধু ২১ নম্বর পড়ে হইবেক না, ১ থেকে ২১ শে আসতে হবে।
ডায়েরীটা দারুণ পছন্দ হয়েছে, তালা-চাবি দেয়া ডায়েরী জীবনে প্রথম দেখলাম।
ডায়েরীর লেখা দেখতে চাচ্ছি না তবে সিস্টেম কেমন যদি ভিডিও ক্লিপ করতেন তাহলে দেখতে পেতাম।

১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আচ্ছা ভিডিও করে দেখানো হবে।

৮০| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে শেষ করেই ক্ষান্ত হলাম। রাত জেগে পড়েছি, শেষে ফজরের পর এই পর্ব খুলে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানিনা। আবার ঘুম ভাঙার পর সকালে বাকিটা শেষ করলাম।

অনেক প্রশ্ন জেগেছে মনে। জানিনা করাটা ঠিক হবে কিনা যদিও নতুন সিরিজে অনেক জবাব পেয়েছি তাও বলছি।
১. বাবার কি আর কোন খবর?
২. ঐ সময়ের পর কি দোলনের সাথে আর দেখা হয়েছিল?
৩. বইটা কিভাবে পাওয়া যাবে, অনলাইন না বাংলাবাজার?

ব্লগে পড়া সেরা গল্প বলবো না কারন গল্প তো গল্পই, এ তো এক বাস্তব জীবনের কাহিনী, স্থান অনেক ঊর্ধ্বে । শিখলাম অনেক কিছু। লগইন করা ছিলো না তাই বাকী পর্বে মন্তব্য রাখা হয় নি।

কঙ্কাবতীর উভজগতের মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: Click This Link


আরেকটা সেরা গল্প পড়ো। :)

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাবা আর নেই তাই তার আর কোনো খবরও নেই।
হ্যাঁ হয়েছিলো। কিন্তু সামনে সামনে না ফেসবুকে। আর সামনে সামনে দেখা হতে হতেও হলো না- এসেছিলে তবু আসো নাই জানায়ে গেলে এই নামে আর একটা লেখা লিখবো কখনও। লেখাটা আমার মনে আছে। লিখতে পারবো কবে জানিনা।
বইটা নীলসাধু ভাইয়ার কাছে আছে কিনা জানিনা।
আমার কাছে নেই।
অনেক কম পেয়েছিলাম আমি।

৮১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নতুন লেখা ভেবে পড়লাম। পড়া শেষ হবার পর আশিটা মন্তব্য দেখার পর বুঝলাম এটা অনেক আগে লেখা। আগের পর্বগুলি না পড়া সত্ত্বেও আমার কাছে লেখাটা ভালো লেগেছে। গল্পের প্রয়োজনেই গল্পে বর্ণিত পরিবেশের মধ্যে একটা শুন্যতা বিরাজ করছে। চঞ্চল মনের কেউ এই গল্পটা পড়তে চাইলে আগে তার মনকে শান্ত এবং সুস্থির করতে হবে। একেকটা গল্পের স্বাদ একেক রকম। তাই পাঠকের মনকে সেই স্বাদ গ্রহনের জন্য তৈরি হয়ে নিতে হবে গল্প পড়া শুরু করার আগে।

নিজের সৌন্দর্যের কারণে কেউ আত্মকেন্দ্রিক হয় এবং মানসিক সমস্যায় ভোগে এটা আমার জানা ছিল না। সাধারণত সৌন্দর্যহীনতার কারণে মানুষ মানসিক কষ্টে থাকে।

অনেকে নিয়মিত লম্বা লম্বা স্বপ্ন দেখতে পারে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমার ছোট ফুফু প্রতিদিন সকালে তার বিচিত্র বিচিত্র এবং লম্বা লম্বা স্বপ্ন আমাদেরকে বলতেন। এটা নিয়ে আমরা হাসাহাসি করতাম। ঘুম ভালো না হলে মানুষ এই ধরণের বিচিত্র স্বপ্ন দেখে। আর দুঃস্বপ্নগুলো সাধারণত মনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থেকে আসে। দুঃস্বপ্ন সত্যি হবার সম্ভবনা নাই বললেই চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.