নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদা সে আগন্তক - ২ এবং শেষ পর্ব

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭



-ও হো হো হো!!! পরথম দেখায়-ই গাঞ্জার অফার! লাইক দ্যা এটিচ্যিউড... ফারহান আমার দিকে এক চোখ ছোট করলো। ফারহানের এই আচরণ আমার পছন্দ হইলো না। দেইখাও আমি না দেখার ভান কইরা অন্যদিকে ঘুইরা রইলাম। ফারহানের তাতে ভ্রুক্ষেপও নাই। সে অনবরত বক বক কইরা যাইতেছিলো। এই শহরে তার বহুত দিন হইলো আসার ইচ্ছা ছিলো। কোন আমলে তার দাদার পরদাদা নাকি এইখানে রেনউইক বইলা যেই জায়গাটা আছে মানে গড়াই এর ধারে রেনউইক কোম্পানী সেই কোম্পানীর ম্যানেজার ছিলো। এই গড়াই নদীর উপরে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কথা সে বহুবার বই এ পড়ছে। আমি কি তারে আজ সেইখানে নিয়া যাইতে পারি কিনা জানতে চাইলো। আমি কলিজায় ধাক্কা খাইলাম। তার দিকে খানিক মনে হয় আক্কল গুড়ুম হইয়া তাকায়াও ছিলাম। তাই দেইখা সেও মনে হয় অবাক হইয়াই জিগাইলো, কি হইলো? আমি ঢোঁক গিললাম, বললাম কিছু না, চিন্তায় পড়লাম ফারহান যে রেনউইকের কথা বলতেছে আমার বাবাও এই কোম্পানীর ম্যানেজার। আমি কেমনে তারে এইখানে নিয়া যাবো?

মাজারে ঢুকার পরে ফারহান আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠলো। লালনের আঁখড়া, চারিপাশে ছড়ানো ছিটানো বাউল সমাবেশ, তাদের লাল লাল চক্ষু মনে হয় তার নিজের জগতই খুঁইজা পাইলো। সে কিছুক্ষন বইসা বইসা তাদের সাথে গানও শুনলো। এক বাউলকে রিক্যুয়েস্ট করলো খাঁচার ভেতর অচিন পাখি গানটা শুনাইতে। ফকির গান ধরলো। একটা না, একটার পর একটা অনুরোধ ছাড়াই। ফারহান অনবরত ছবি তুলতেছিলো। আমি দূরে বইসা তার কান্ড দেখতেছিলাম। সে ঐ বাউলের গান শোনানোর ফাঁকেই ক্যামেরা থুইয়া কয়েক লাইন টান দিয়া দিয়া ঐ বাউলের কয়েকটা ছবি আঁইকা ফালাইলো। দূর থেইকা উঁচা কইরা আমারে দেখাইলো। আমি অবাক হইলাম, এত তাড়াতাড়ি কেমনে হুবুহু দাঁড়িদুড়িওয়ালা এই বুড়ারে আইঁকা ফালাইলো সে? ভেতরে একটা অভিমানও জন্মাইতেছিলো, আমার ছবি সে আঁকে নাই...

মাজার থেইকা ফারহান শিলাইদহ কুঁঠিবাড়ি যাইতে চাইলো। এই কুঁঠিবাড়ি যাইতে হইলে নদী পার হইতে হবে। সে আরেক চিন্তার বিষয়। আমরা রিক্সা নিয়া নদীর ঘাটে রওয়ানা দিলাম। পথে আর একটু হইলে আমাদের কলেজে কেমিস্ট্রির হেড আতাউর স্যারের চোখে পইড়া যাইতাম প্রায়। উনি উল্টা দিক দিয়া বাইক নিয়া এইদিকে আসতেছিলেন। চোখে পড়তেই তাড়াতাড়ি ফারহানের পিঠের পিছে মুখ লুকাইলাম। আল্লাহ জানে স্যার দেখলো কিনা। ঘাটে পৌছাইয়া নৌকা ভাড়া করলাম। খেয়াল করলাম রিক্সা ভাড়া, নৌকা ভাড়া সবই আমি দিতেছিলাম সে এই নিয়ে উচ্চবাচ্যও করতেছিলোনা। তার এই ছন্নছাড়া উদাসীনতা বা খামখেয়ালী আচরণ, কিছুটা দায়িত্বহীনতা আমার ভেতরে বিরক্তির জন্ম দিতেছিলো । মনে মনে নিজের উপর বিরক্ত হই্তেছিলাম। ভালোই বিপদে পড়লাম এক বেক্কলের পাল্লায় পইড়া। নৌকায় বইসাও সে ক্লিক ক্লিক করতেছিলো আর অনবরত বক বক করতেছিলো। আমার মাথায় অন্য চিন্তা তখন। এই আপদ ঘাড় থেকে কেমনে নামাবো। আমি দূরে তাকাইয়া রইলাম। নদীতে কচুরীপানার ফুল, মধ্য দুপুরের রৌদ্দুর পড়া ঝিকিঝিকি পানি। তার কথায় আমি কান দিতেছিলাম না। ফারহান উইঠা আইসা আমার পাশে বসল-

- কি হইসে? বিরক্ত হইতেছো কেনো?

- বিরক্ত না, রোদে মাথা ধরসে।

- না মাথা ধরে নাই। সত্য বলো...

- চুপ করো তো। ভাল্লাগতেসেনা। ফারহানের মুখ কালো হইয়া গেলো।

- স্যরি। বইলা সে দূরে গিয়া গলুই এর উপরে বসলো। কিছুক্ষন চুপ থাইকা হঠাৎ তড়িঘড়ি ব্যাগ থেইকা এক কাউবয় হ্যাট টাইনা টুইনা বাইর কইরা আনলো। ফের আমার পাশে উইঠা আইসা কইলো, ধরো, রোদ ঠেকবে, মাথা যন্ত্রনা কমবে। আমি ওর দিকে শীতল চোখে তাকাইলাম। সে হাসি হাসি মুখে কইলো,

- হুম পইরাই দেখো। এইটা ম্যাজিক হ্যাট। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে যাদুর মত কাজ করে। আমি তার কথা শুইনা হাইসা ফালাইলাম।

ফারহান আবার বক বক শুরু করলো। সবই তার নিজের কথা। ক্লাস এইটে তার বাবার রোড একসিডেন্টে মৃত্যু। পরের বছরে মা। এরপর কিছুদিন ড্রাগ জীবন। রিহ্যাব। চারুকলায় ভর্তি.....

আমরা শিলাইদহ পৌছাইলাম যখন তখন প্রায় বেলা ১ টা। সকালে তাড়াহুড়ায় নাস্তাটাও ভালো মত করতে পারি নাই। খিধায় পেট চোঁ চোঁ করতেছে। ফারহান আমার পাশে পাশে হাঁটতেছে। গেটে পৌছাইয়া ওরে দাঁড়াইতে বইলা আমি টিকেট নিতে গেলাম। ফিরা আইসা দেখলাম একদল হিঁজড়ার সাথে সে গল্প শুরু করছে। তারা আমারে দেইখা মস্করা বাড়াইয়া দিলো। আমি বিরক্ত হইয়া তারে প্রায় টাইনা দূরে আনলাম।

- যা তা লোকজনের সাথে তোমারে ভাব জমাইতে হবে?

- যা তা বলতেসো কেনো? এরা প্রকৃতির খেয়াল। বিধাতার ব্যাতিক্রমী সৃষ্টি।

- থামো। দার্শনিকগিরি ফলাইতে হবে না। আমি ধমক দিলাম প্রায়। সে থামলো।

প্রায় সারা দুপুর রবিঠাকুরের কুঁঠিবাড়ি কাঁটাইয়া আমরা গেটের থেইকা কিছু দূরের এক টং দোকানে বসলাম। দোকানে কাঁচের বয়ামে টোস্ট, লাঠি বিস্কিট, লাল নীল লজেন্স এবং চানাচুরের ছোট ছোট পলিব্যাগ ঝুলতেছিলো। সামনে এক লোক ডাব কাইটা লোকজনের হাতে তুইলা দিতেছিলো। পথের উপরে দু'তিন জন হাওয়াই মিঠাওয়ালা বসা ছিলো। কাঁচের বাক্সের মাঝে অদ্ভুত সুন্দর সেই রঙের দিকে তাকাইয়া আমি তারে জিগাইলাম-

- ডাব খাবা?

- আমি ভাবছিলাম তুমি আমারে লাঞ্চ করাইবা।

- লাঞ্চ করানোর মত টাকা নাই ব্যাগে।

- কেনো নাই? অতিথিরে লাঞ্চ করাইতে হয়। জানোনা.. . খুব স্বাভাবিকভাবে বইলা ফারহান অন্য দিকে মুখ ফিরাইয়া রাখলো।

রাগে আমার গা জ্বালা করতেছিলো।

আমি একাই ডাব শেষ করলাম। ফারহান সিগারেট ধরাইলো।

ফিরতি নৌকায় ফারহান বেশ চুপচাপ থাকলো। বেশি ক্ষণ গেলো না সে আবার বক বক শুরু করলো। তার গার্লফ্রেন্ডের নাম ছিলো নওরিন। সে তার এক্স গার্লফ্রেন্ডের লগে কবে বুড়িগঙ্গায় নৌবিহারে গেছিলো। যদিও আরও বন্ধু বান্ধব ছিলো সঙ্গে তবুও তারা লঞ্চের এক রুমেই রাত কাটাইসে।আমি ফারহানের দিকে তাকাইলাম। এই গল্প কোনো মানুষ এমন পরিবেশে প্রায় অচেনা একজন মেয়েকে বলতে পারে আমার জানা ছিলো না। মাঝি হা কইরা ফারহানের গল্প শুনতেছিলো। ফারহান যথারীতি নির্লিপ্ত মুখে মাছরাঙ্গার ছোঁ দিয়া দিয়া মাছ ধরাই মনে হয় দেখতেছিলো।

হঠাৎ ফারহান গান ধলো। ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া......তার আগে সে মাঝিরে গান শুনাইতে বলছিলো কিন্তু মাঝি বলছে সে গান জানেনা এবং এই কথা শুইনা ফারহান খুব অবাক হইসে কারণ তার ধারণা ছিলো বাংলার সকল মাঝিই জারি শারী ভাঁটিয়ালী বিশারদ।

হঠাৎ আমার কাছে এই বিকাল অন্যরকম লাগতেছিলো। নৌকার গায়ে বাড়ি খাওয়া ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এর শব্দ। বেশ শুনশান চারিধার। কচুরীপানার ফুলসহ ভাইসা যাওয়া। পাল তোলা নৌকা।দূরে সবুজ গ্রাম। নিজেরে এই পার্থীব জগতের বাইরের কেউ মনে হইতেছিলো।
ভালোলাগা সময় কিন্তু কই যেন কাঁটার খচখচ। কিছু একটা মিসিং। আমি তার মুখের দিকে তাকাইলাম। আকাশের দিকে তাকাইয়া সে ভোস ভোস সিগারেট টানতেসে। ধোঁয়ার কুন্ডুলী উপরের দিকে উইড়া যাইতেছে। বাজে দৃশ্য।

ঘাটে নাইমা আমরা কিছুদূর হাঁটলাম তারপর রিক্সা পাইলাম। খিধা আর ক্লান্তিতে আমার পা টলতেছিলো।

- দূর! তোমার জন্য আমার আজ সারাদিন খাওয়া হইলো না।

- খাইতে না করছে কে?

- কইলাম না আমি ভাবছিলাম তুমি অতিথিরে খাওয়াইবা।

- কেনো ভাবছিলা?

- কারণ আসার পথে মানিব্যাগ কই পইড়া গেছে খেয়াল করি নাই। বুক পকেটে খুচরা ৩০ টাকা ছিলো যা দিয়া সিগারেট কিনছি। আমি তার দিকে হা কইরা তাকায় রইলাম। তখন অন্ধকার হয়ে আসতেছিলো। অন্ধকারে তার মুখ ভালো কইরা দেখা যাইতেছিলো না। জিগাসা করলাম-

- মানে সারাদিন না খাইয়াই ছিলা?

- হ্যাঁ।

-নাস্তাও করো নাই?

- না করি নাই

-এখন ঢাকা যাবা কি কইরা? ফারহান হো হো কইরা হাসতে লাগলো। একজন নির্ভাবনাময় মানুষের হাসি।

- চিন্তা নাই। ট্রেইনের ছাঁদে উইঠা চইলা যাবো?

- এইভাবে আসাটা তোমার ঠিক হয় নাই।

- হয়তো

- আসলা কেনো?

- জানিনা। কেন যে আসলাম...

আমার মাথা কাজ করতেসিলোনা।আমি ভীষন বিরক্ত হইয়া বললাম,

- আমাকে এখন বাসায় ফিরতে হবে। রাত হইয়া যাইতেছে।

- আচ্ছা......

অন্ধকারে কোনো সম্ভাষন ছাড়াই আমরা বিদায় নিলাম......



এরপর বহু বছর পার হইসে। তার সাথে যখন আমার পরিচয় হইসিলো আমি তখন নিতান্তই কিশোরী, ইন্টারের ছাত্রী। এরপর প্রায় বছর সাতেক পার হইয়া গেছে। এখন আমি পূর্ণ বয়সের একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তবুও কারণে অকারণে প্রায়ই আমার তারে মনে পড়ে। জানিনা কই আছে এখন সে, কই থাকে, কি করে কোনো হদিসই জানা নাই আমার আর তার তবুও রোডে বা মার্কেটে, বিয়াবাড়ি বা কোনো জনসমাগমস্থলে ঝাঁকড়া চুল হ্যাংলা পাতলা শুকনা চেহারার লম্বা, ফর্সা মত কোনো ইয়ং ছেলে দেখলেই আমার মনে পড়ে ফারহানকে।

এই যে যেমন সেদিন রিক্সা কইরা ফেরার সময় ঝুপ কইরা সন্ধ্যা নামতেছিলো যখন তখন আমি অফিস থেইকা বাসায় ফিরতেছি। হঠাৎ মনে পইড়া গেলো সেই গড়াই নদীর পারের সন্ধ্যা। সন্ধ্যার অন্ধকারে বিদায়ের প্রাক্কালে ফারহানের মন খারাপ করা মুখ। হঠাৎ আমার মন খারাপ হইয়া যায়। মনে হয় একটা মানুষ যে আমার জন্য এতদূরের পথ পাড়ি দিয়া ছুইটা আসছিলো। তারে আমি সারাদিন অভুক্ত রাখছিলাম। খুব একটা ভালো বিহেভও করি নাই তার কিছুটা আনইউজ্যুয়াল বা আমার অপ্রতাশিত আচরনের কারণে। অথচ সে আমারে দিয়া গেছে খুব আলাদা রকম কিছু সুন্দর মুহুর্তের একটা দিনের স্মৃতি। যদিও সেইটা মনে পড়লেই আমার মন খারাপ হয়। এমন স্মৃতি হয়ত আর কোনোদিন কেউই আমার জীবনে দিতে পারবে না।


মাঝে মাঝেই এমন মন খারাপ করা মুহুর্তে আমি বহু যতনে সেভ কইরা রাখা ফারহানের সেই মেসেজ দুইটা খুইলা পড়ি। এক বাসায় পৌছানোর পর যখন মায়ের উকিলী জেরার মুখে পইড়া নানা রকম মিথ্যা কথা বইলা সারাদিনের অনুস্থিতির কারণ দর্শাইতেছিলাম, ঠিক তখনই টেক্সটের শব্দ। মানে ফারহানের সেই মেসেজটা। মা হাত বাড়াইলেন,

-ফোনটা দে .... আমি মায়ের হাতে ফোন দিতে দিতে যাদুকরী দক্ষতায় সেকেন্ডের মাঝে সেই মেসেজ সেকরেট ড্রাফটে পাঠাই দিসিলাম। মা এমনিতেই ফোনের কিছু তেমন বুঝে না। ফোনটা ঘুরাইয়া ফিরাইয়া কোনো সুরাহা করতে না পাইরা অগ্নি দৃষ্টি ঝরাইতে ঝরাইতে ফোন ফেরৎ দিয়া রান্নাঘরের দিকে হাঁটা দিসিলো। আমি হাঁফ ছাইড়া বাথরুম লক কইরা তাড়াতাড়ি মেসেজ খুইলা দেখছিলাম-

" ইট উইল বি আ মেমোরেবল ডে ইন মাই লাইফ। থ্যাংকস ফর ইওর টাইম...


তখন অত টাইম ছিলো না। তাড়াতাড়ি ফোন অফ কইরা হাত মুখ ধুঁইয়া মায়ের পাশে টিভি দেখতে বসছিলাম। সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ ভাইঙ্গা ঘুম আসতেছিলো। রাতে খাইয়া যখন বিছানায় চোখ বুজলাম নৌকার দুলুনী আর কানে ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ.... কখন ঘুমাইয়া পড়লাম জানিনা.....

খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। বালিশের তলা থেইকা কি মনে কইরা ফোন টাইনা বাইর কইরাই দেখি ফারহানের টেক্সট-

- কিছুক্ষন আগে ঢাকা পৌছাইছি। নিরাপদেই পৌছাইছি। সারা রাত ঘুম হয় নাই। চোখ বুঁজলেই তোমার বিরক্তি ভরা নাক মুখ কুঁচকানো চেহারা মনে ভাসছে। হা হা হা তবু সারাদিন আনন্দেই ছিলাম। তুমি চইলা যাবার পর থেকেই হঠাৎ মন খারাপ লাগতেসে....বুকের মধ্যে কেমন এক চাপধরা ব্যাথা....কেনো এমন হইতেসে জানিনা ..... এইটা ছিলো ফারহানের দুই নাম্বার আর শেষ মেসেজ.....




বুক চিরা বিশাল দীর্ঘশ্বাস বাইরাইলো । ফোনটা বালিশের নীচে রাইখা ফের পাশ ফিরা শুইলাম.....

চোখের পানিতে বালিশ ভিজা যাইতেছিলো। কেনো আমিও জানিনা .....

বাইরে কূয়াতলার দিকে কোথায় যেন একটা কোকিল ডাকতেছিলো.....

আমি টেক্সট লিখলাম, কি জানি কিসেরও লাগি প্রাণ করে হায় হায় .....


লিখা আবার ডিলিট কইরা দিলাম.....


* আগের পর্বেই বলেছি। লেখার এই ভাষাটা আমার স্টাইল নয়। এই ভাষায় আমি এর আগে কখনও লিখিওনি। তবে কিছুদিন আগে অনলাইনে ফেসবুকের পাতায় একটি গল্প পড়ে অবাক হয়ে যাই। প্রায় সেইম ঘটনাই আমারও আছে যা তার মত করে আমার কখনও লেখা হয়নি। কমেন্টে দেখলাম সেই গল্প পড়ে অনেকেই বলেছে তাদের লাইফেও প্রায় সেইম সেইম ঘটনা আছে।
আসলে জীবনের অনেক গল্পই হয়তো এইভাবেই মিলে যায়। গল্পের নাম একজন গিটারিস্ট। গল্পকারের নাম ইনিসি।ইনিসি সম্ভবত একটা নদীর নাম। তার নামটাও দারুন। তার গল্প বলার ধরনটাও আমার দারুন লেগেছে তাই তারই অনুকরণে প্রায় তার মত ঘটনাটিই আমি এক্সপেরিমেন্ট লেখা হিসাবে বেঁছে নেই। যদিও আগের পর্বে পাঠকেরা এই টাইপ ভাষায় অনেকেই আপত্তি জানিয়েছেন। তবুও আমার ভালোলাগার ইনিসিকে আমি তার গল্পের শফিকের সাথে আমার ফারহানের গল্পে বেঁধে রাখলাম। ইনিসীর জন্য শুভকামনা....ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা এই ব্লগের সকল পাঠকগণকে.....


ওহ আর এই পর্বের প্রথম লাইন বা ডায়ালগটা এর আগের পর্বের একদা এক আগন্তক- ১ পর্বে কমেন্টে দেওয়া শকুন দিষ্ট ভায়ের ডায়ালগ থেকে নেওয়া ....

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:







দুই পর্বই পড়েছি । উদ্ভুত মানুষের দিকে মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত । বহমান নদীর মত উদ্ভট একটা মানুষের সাথে একটা দিন কাটিয়ে দেয়া ভাবলেশহীনভাবে !! আমার কাছে ভাল লেগেছে, এক্সপেরিমেন্ট ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে? অশেষ কৃতজ্ঞতা। তবে এক্সপেরিমেন্ট আমার দারুন লেগেছে।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪২

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: "তোমার আমার এই যে বিরহ,
এক জনমে নহে"।।

শেষ কইরা দিলেন?

কি দরকার আছিল শেষ হওনের? ভালইতো লাগতেছিল আগন্তকের কাহিনী। মানে বেশ ভাল। রেশ রয়ে গেল মনে।

এই আপনি আর শায়মা - এই দুই জনে আমার সুন্দর:) নামটারে ফানা-ফানা কইরা ছাড়লেন। ভাবছি, নামটার এফিডেবিট করামু কি না !!!

ধন্যবাদ দিলে কম দেওন হয়, তাই আর কিছু কমু না। পরের কিছুর অপেক্ষায়।

ভাল থাকবেন অবশ্যই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এক্সপেরিমেন্টটা আমার যতই আনন্দের হোক। এখানের পাঠকদের জন্য খুব একটা কমফোর্টেবল ছিলো না।

আর শেষ করেছি মানে শুরু করবো বলেই। নতুন এক্সপেরিমেন্ট শুরু হবে নিলে কি করে?

আপনার নামটা আমি লিখতে পারিনা। এমনকি বুঝতেও পারিনা আপনি আসলে কি লিখতে চেয়েছিলাম নিকে। এফিডেবিট করানোই মনে হয় শ্রেয়।

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হঠাৎ হাওয়ার রেশ,
অনেকদিন থাকে বেশ!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কখনও কখনও সারাজীবনই থেকে যায়।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ঐ মেসেজ টাই শেষ ছিল কিভাবে ওনি কি আর যোগাযোগ করতে চান নি কিংবা ফেসবুকে ও কি তাকে আর পাওয়া যায় নি ।
তবে ভালো হয়েছে চলে গিয়ে , এমন মানুষ অনেক ঝামেলার ।
গল্প বেশ ভালো লেগেছে আপু । নাম তার সার্থকতা পেয়েছে ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দুজনই চায়নি হয়তো। নয়তো ছেলেটার শেষ মেসেজের উত্তর না দেওয়ায় ইগোহীন লোকটারও মনে ইগো এসেছে বা ধরেই নিয়েছে মেয়েটা আর কোনো রকম কনটিনিয়েশন চায় না। হ্যাঁ ভালো হয়েছে। এমন মানুষেরা গল্প নাটকেই ভালো। নামটা আমার শেষ পযন্ত ভালো লেগেছে। অসংখ্য দঃন্যবাদ হাফসাআপা।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


গল্প নিয়ে করেছেন । এবার কবিতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন ! আশারাখি গল্প থেকে ভাল হবে ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কবিতা? হা হা ঠিক আছে। দেখা যাক।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমার গল্পপাঠ মানেই গল্পের থিমটা জানা। বিশেষ করে লেখকের কর্মশৈলী বিচার করা। আমি পাঠক ভালো বলতে পারেন। গল্প পাঠে আমার তিক্ততা নেই বললেই চলে। আর আপনার লিখনীর সাথে সবেতো মাত্র পরিচয়। এই স্বল্প সময়ে আপনার লিখনীর আর্টটা আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। এই গল্পেও গল্প বলার ঢং ঠিকি আপনার মতোই ছিলো শুধুই রিতীর পরিবর্তন। এমন যে একেবারে মন্ধ ভাবে সারা মিলবে তা নয় কিন্তু। তারপরেও প্রত্যেকের সংস্কৃতি তাদের নিজের মতো। আমার যে ভালো লেগেছে এইটুকু বলবো। সাথে থাকবো যতো দিন গল্প শুনাতে চাইবেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ সুজনভাই। দেখি কতদিন গল্প শোনাতে পারি।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: বিশুদ্ধ স্বাদের গল্প খেলাম- তৃপ্তিতে.
অভিবাদন সমৃদ্ধ আগামীর জন্য।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ লিটনভাই।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

কিরমানী লিটন বলেছেন: বিশুদ্ধ স্বাদের গল্প খেলাম- তৃপ্তিতে.
অভিবাদন সমৃদ্ধ আগামীর জন্য।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ লিটনভাই।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: এ পর্বও কথ্য ভাষায় দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৪

মাআইপা বলেছেন: কি জানি কিসেরও লাগি প্রাণ করে হায় হায় ....

লিখা আবার ডিলিট কইরা দিলাম.....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহু কুহু কুহু গায়
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায় ...

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২০

সোহানী বলেছেন: ভালা করছো, এএই সব আউলা ঝাউলা পুলা থাইকা যত্ত দূরে থাকন যায় ততই ভালা, তার উ্প্রে বাচ্চা কালের প্রেম........ :P এর লাইগাই পুলার এক্স ভাগছে......... আল্লাহ তুমারে বাচাঁইছে................হাহাহাহা

গল্পে ভালোলাগা। এইখানেই ইতি টেনে ভালো করেছো তা না হলেতো এই ছেলে ঘোল খায়ায়ে ছাড়তো। =p~

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা সেটাই সত্য কথা। এমন আউলা ঝাউলা ছেলে।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

আটলান্টিক বলেছেন: দাড়ান একটু পরে আসছি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আর তো এলেন না।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে গেঁথেছেন কথামালাগুলো, আমি সামুতে নতুন এটাই আপনার লেখা আমার প্রথম পাঠ। দারুণ এক মুগ্ধতা নিয়ে পড়া শেষ করলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: এমন অনেক মাকে দেখেছি সন্তানদের তিক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখতে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ এমন অনেকই আছেন।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর করে লিখতে পেরেছেন আপনি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবভাই

১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ওনার আগের জি এফ ও হয়তো এইজন্য চলে গেছে । এতো কথা বলে তার উপর উদাসীন ।
মানুষ বলে আর্টিস্ট, সাহিত্যিক, কবি , বিজ্ঞানীরা নাকি উদাসীন হয় । কথা কি সত‍্য ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সত্য না মনে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে হয়তো উদাসিন হন তারা। হা হা

১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন:



আমাকে একবার একজন প্রশ্ন করেছিল, আচ্ছা কবি বলে উদাসীন নাকি উদাসীন বলে কবি ?
আমি উত্তর করেছিলাম, আমি উদাসীন বলেই উদাসীন।

নূর-ই-হফসা আপুর প্রশ্নটা দেখেই বললাম।


যাক, আপনার এক্সপেরিমেন্ট শেষ হয়েছে। এবার আমাদেরকে পরীক্ষালব্ধ ফলাফল জানাবেন।

একরম দুই চারটা প্রেম হুট হাট করেই জীবনে আসে আবার যায়। ব্যাপার না ; তাইনা কংকাভাইয়া ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এক্সপেরিমেন্টের কি শেষ আছে জীবনে?

এক্সপেরিমেন্ট শেষ তো জীবনই শেষ। কাজেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক্সপেরিমেন্ট চলুক ...

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


ওরে বাবা ! দার্শনিক কথাবার্তা !
একি দার্শনিকতা আমারও সনে !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হেলাফেলা সারা বেলা একি খেলা আপন-সনে।

এই বাতাসে ফুলের বাসে মুখখানি কার পড়ে মনে॥

আঁখির কাছে বেড়ায় ভাসি কে জানে গো কাহার হাসি,

দুটি ফোঁটা নয়নসলিল রেখে যায় এই নয়নকোণে॥

কোন্‌ ছায়াতে কোন্‌ উদাসী দূরে বাজায় অলস বাঁশি,

মনে হয় কার মনের বেদন কেঁদে বেড়ায় বাঁশির গানে।

সারা দিন গাঁথি গান কারে চাহে, গাহে প্রাণ--

তরুতলে ছায়ার মতন বসে আছি ফুলবনে॥

১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


সখী, বহে গেল বেলা, শুধু হাসিখেলা,. এ কি আর ভালো লাগে!


শুভ সন্ধ্যা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার খেলা যখন ছিল তোমার সনে

তখনকে তুমি তা কে জানত।

তখন ছিল না ভয় ছিল না লাজ মনে

জীবনবহে যেত অশান্ত।

তুমি ভোরের বেলা ডাক দিয়েছ কত

যেন আমার আপন সখার মতো,

হেসে তোমার সাথে ফিরেছিলেম ছুটে

সেদিন কত না বন-বনান্ত।



ওগো সেদিন তুমি গাইতে যে-সব গান

কোনো অর্থ তাহার কে জানত।

শুধু সঙ্গে তারি গাইত আমার প্রাণ,

সদা নাচত হৃদয় অশান্ত।

হঠাৎ খেলার শেষে আজ কী দেখি ছবি,

স্তব্ধ আকাশ, নীরব শশী রবি,

তোমার চরণপানে নয়ন করি' নত

ভুবন দাঁড়িয়ে আছে একান্ত।

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আমি বুঝতে পেরেছি, এরপরে আপনি কবিতা নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট চালাবেন !!!!!!!!!!!!!!

আমাদের ভাত মেরে দিলেন কংকাভাইয়া ! !!!!!!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না এসব আমার কবিতা নয়। এসব তো কালজয়ী গান।

২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছন্নছাড়া বাউলেরা সংসারী হতে চায়না! বাঁধন যে আটকে রাখে! তাই
চক্রাবর্তনের পথে মোহ -মায়া খুবই বিপদজনক বস্তু!
তার থেকে ছুটি নিতে জনম জনম চলে যায়! ফারহান পারছে- অনন্ত গল্পে ;)

গল্পে মুগ্ধতা।

এক্সপেরিমেন্ট সাকসেসফুল :)

+++++

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগুভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গল্পে ++++
মানে ফাঁকিবাজি মন্তব্য এবং যথারীতি না পড়েই ;)


ফিরব এবং পড়ে মন্তব্য করব ।
ততক্ষন শুভ কামনা :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা।

২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




চমৎকার এন্ডিং । ভাষার ব্যবহারের কথা আগের পর্বেই বলেছি - ভালো ।
মন্তব্যের মেসেজ টেক্সট - লাইকড ................

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে বিজ্ঞজনেরাও মাঝে মাঝে ভুল করেন। রাজকন্যাকে নীলপরি ভাবেন। নীলপরি সন্মোধনেও সন্মানিত হলাম আহমেদভাই। কৃতজ্ঞতা।

২৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



অমনযোগের কারনে সত্যিই লজ্জিত ।
আসলে আপনার আগে নীলপরিকে মন্তব্য করতে গিয়ে নিকটিকে কপি করতে হয়েছে । আপনার নিকটিও সেভাবে কপি করে পেষ্ট করেছি । এখন তো দেখছি , আপনারটা কপি হয়নি , আগের কপিকরা নিকটিই চলে এসেছে আপনার এখানে । :((
আপনার গল্পের আউলা ঝাউলা পোলার কথাটি মাথায় গেঁথে ছিলো বলেই হয়তো আমার মাথাও আউলা ঝাউলা হয়ে থাকবে । B:-/
ম্যান ইজ মর্টাল -- মানুষ মাত্রেই ভুল হয় ! :P

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লজ্জিত হবার কিছু নেই আহমেদভাই। আমি তো আগেই বুঝেছি আপনি ভুল করেছেন নিক কপি করাতে। গল্পের নায়কের মতন আপনি যদিও আউলা ঝাউলা নন তবুও এই গল্প পড়ে মাথা আউলা হবারই কথা। অসংখ্য ধন্যবাদ আবারও মন্তব্যের জন্য।

২৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৭

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে+++

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশাভাই। শুভকামনা।

২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এই পর্ব বেশ লাগলো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ধ্রুবক আলোভাই।

২৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্য,গল্পটা কিন্তু আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন সোহেলভাই।

২৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: কথ্যভাষায় দারুণ লেখা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

২৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভালই লাগছিল কিন্তু। ভাললাগা রেখে গেলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। এটা কিছুটা এক্সপেরিমেন্ট ছিলো।

৩০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: এক্সপেরিমেন্টটা আমার যতই আনন্দের হোক। এখানের পাঠকদের জন্য খুব একটা কমফোর্টেবল জোন ছিলো না।

- হুমম্‌!! তবে, সব পাঠকের ক্ষেত্রে কথাটি মনে হয় প্রযোজ্য নয়। যেমন ধরুন, আমার কথাটিই বলি - পুরো গল্পের আদ্যপান্ত পড়তে বা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি বরং খুব স্বাচ্ছন্দেই একটানে পড়ে ফেলেছি ও বুঝেছি এবং আমি বিশ্বাস করি অনেকেই তা পেরেছেন।

এফিডেবিট করানোই মনে হয় শ্রেয়
আপনি যে আমার নাম এফিডেবিট করানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তার সমস্যাগুলো কি কি জানেন?
১। বাবা-মা'র দেয়া নাম:)(যতদুর জানি সামুর ব্লগারদের জন্মগত(রেজিঃ এর সময়) দেওয়া নাম চেন্জ করা যায় না ;))
২। সামুর বাগ:) (সামুর অসংখ্য সমস্যার ভেতরে নিক নেইম চেইন্জ করতে না পারাটাও একটা বড় সমস্যা)
৩। খরচ:) (কারণ, সামুট্রেনে আসার পথে মানিব্যাগ কই পইড়া গেছে খেয়াল করি নাই। বুক পকেটে খুচরা ৩০ টাকা আছিলো যা দিয়া সিগারেট কিনছি।:))

(আপনার সে আগন্তক ফারহান সাহেবের মত, তাহলে, খাওয়াতে হবে না??? আহারে বেচারা!! বড় ভাল লোক আছিল, কিন্তু কেউ তার মন বুঝলনা:), সবাই শুধু বাহ্যিক দিকটাই দেখল:))

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো হয়েছে চলে গিয়ে, এমন মানুষ অনেক ঝামেলার।:)
সোহানী বলেছেন: ভালা করছো, এএই সব আউলা ঝাউলা পুলা থাইকা যত্ত দূরে থাকন যায় ততই ভালা,
এইখানেই ইতি টেনে ভালো করেছো তা না হলেতো এই ছেলে ঘোল খায়ায়ে ছাড়তো।
:):):)

হা হা হা ... ভাবছি, - ফারহান সাহেব যদি মি. আরবাজ চৌধুরির মত পরিপাটি, কেতাদুরস্ত হতেন তাহলে বোধহয় নূড়াফা, ছুয়াফা কেন এই গল্পের নায়িকাও ভাবতেন আরেকটু তাকে নিয়ে হয়তঃ অন্যভাবে, তাই কি !!!

তাই যদি হয় - তাহলে বলতেই হয় যে ভালবাসা কন্ডিশনাল, তাই না? তাহলে, এই ভালবাসা নিয়ে কবিদের যে এত বন্দনা তা কি মিথ্যা? কেবলই গল্পে, নাটকে, সিনেমায়?

সে কি কেবলই চোখের জল,
সে কি কেবলই দুঃখের শ্বাস,
লোকে তবে করে,
কি সুখেরই তরে,
এমন দুঃখের আঁশ!!!

আচ্ছা, সে যে এত কস্ট কইরা অতদুর থেইকা আপনার লগে দেখা করতে আসল, সকালের নাস্তা না কইরা, সারাদিন না খাইয়া আপনার লগে ঘুরল, কাউবয় ম্যাজিক হ্যাট টাইনা আপনারে ভরদুপুরের রোদ তথা মাথা ব্যথা থেকে বাঁচাইল, তারে শুধু টোস্ট আর লাঠি বিস্কিট খাওয়াইয়া বিদায় দিলেন!!! খুব একটা ভালো বিহেভও করেন নাই!!! উপরন্তু, যখন জানলেন যে তার কাছে ফেরার টাকাটাও নেই তখন কি একটুও মায়া হল না !!!

কিন্তু, আমি তো জানতাম নারীরা অনেক কোমলমতি!!! এখন তো দেখছি তারা কোমল হৃদয়ের অনেক কঠিন মানুষ !!!!:):):)

ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া :) ......

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পুরো গল্পের আদ্যপান্ত পড়তে বা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি বরং খুব স্বাচ্ছন্দেই একটানে পড়ে ফেলা ও বুঝার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আর ফারহানের খাওয়া নিয়ে যা বললেন তাতে তো মনে হচ্ছে তাকে খুঁজে পেতে আমাকে আবার দাওয়াৎ দিতে হবে।

আরবাজ চৌধুরীকে তো মনে হচ্ছে আমার থেকেও আপনারা অনেকেই বেশি মনে রেখেছেন। বেচারা তো জানতে পেলে আহ্লাদে আট টুকরা হয়ে মরবে।

আর মায়ার কথা বলছেন?

সকলি মায়ার ছলনা ......

এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না,

শুধু সুখ চলে যায়।

এমনি মায়ার ছলনা।

এরা ভুলে যায়, কারে ছেড়ে কারে চায়।

তাই কেঁদে কাটে নিশি, তাই দহে প্রাণ,

তাই মান অভিমান,

তাই এত হায় হায়।

প্রেমে সুখ দুখ ভুলে তবে সুখ পায়।

সখী চলো, গেল নিশি, স্বপন ফুরাল,

মিছে আর কেন বল।

শশী ঘুমের কুহক নিয়ে গেল অস্তাচল।

সখী চলো।

প্রেমের কাহিনী গান, হয়ে গেল অবসান।

এখন কেহ হাসে, কেহ বসে ফেলে অশ্রুজল।


আর একটা কথা মন্তব্যের ঢঙ্গেই বুঝা যায় গল্প লিখলে মাৎ করে দিতে পারবেন।

৩১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: জ্বী ম্যাডাম, পুরো গল্পে মিঃ ফারহান সাহেবের সাথে বেশ খানিকটা অবিচারই করা হয়েছে(অবশ্য, আমার দৃস্টি ভঙ্গিতে)। আমি ভেবেছিলুম তাকে দেখেই নায়িকা গেয়ে উঠবেন -

পার হয়ে এসেছ মরু ...
নাই যে সেথা ছায়া তরু।
পথের দুঃখ দিলেম তোমায় গো ...

তা না, আপদ বিদেয় করেই বেঁচেছেন। ভাল তো, ভাল না!!!!

আরবাজ চৌধুরীকে তো মনে রাখার মতই বর্ণনায় পেয়েছি। হিংসা করার মত।

যাক, এই সুযোগে আপনার কন্ঠে একটা গান তো শুনা হল!!! মন্দ কি?

আমাকে দিয়ে গল্প!!!!!!!!! খাইছে আমারে। বুঝছি, নিজের প্রশংসা শুনতে ইচ্ছে হল আপনার!!!:):):)

আরে, আপনি হলেন গল্পের পাখি, গুরু বলা যায়। মর্নিং শোউজ দ্য ডে, এখনই যে ধার, না জানি ভবিষ্যতে কি হবেন। তাও ভাল, আমরা হয়ত আর একজন মিসির আলির জননী পেতে যাচ্ছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: জ্বী ম্যাডাম, পুরো গল্পে মিঃ ফারহান সাহেবের সাথে বেশ খানিকটা অবিচারই করা হয়েছে(অবশ্য, আমার দৃস্টি ভঙ্গিতে)। আমি ভেবেছিলুম তাকে দেখেই নায়িকা গেয়ে উঠবেন -

পার হয়ে এসেছ মরু ...
নাই যে সেথা ছায়া তরু।
পথের দুঃখ দিলেম তোমায় গো ...

তা না, আপদ বিদেয় করেই বেঁচেছেন। ভাল তো, ভাল না!!!!

হা হা হা আপনার কমেন্ট পড়লে গোমড়ামুখীর মুখেও হাসি ফুটবে। গানও কম জানেন না। বিশেষ করে রবীন্দ্র সঙ্গীত তো মনে হয় আপনার নখদর্পনে। আমিও অবশ্য কম জানি তাও নয়। যেমন আপনার গান শুনেই মনে পড়লো-

এ পথে আমি যে গেছি বার বার
ভুলিনিতো একদিনও
আজ কি ঘুচিলো চিহ্ন তাহার
উঠিলো বনের তৃণ.....

আর হ্যাঁ আমি যাই লিখি আরবাজ বা ফারহান সবার সাথেই তো আমি অন্যায় করেছি বলে আপনাদের মনে হয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাদের উপর সহানয়ভূতিশীল হয়ে ওঠেন ব্যাপারটা কি বলেন তো? আমি কি সকলের উপর অন্যায়কারী নাকি? তাদের দোষটা তো দেখতেই পান না। ঠিক আছে এরপরের গল্পটা আসবে একজন সকল দোষে দোষী প্রেমিক, স্বামী কিংবা ভূস্বামী, বাদী কিংবা বিবাদীকে নিয়ে।

যা বলছিলাম ফারহান বা আরবাজ চৌধুরী ছেড়ে দীপুদা আর দোলনকে কি একটু কম সহানুভূতির মনে হয়? তারা যে রাঙ্গিয়ে দিয়ে গেলো-

আপন রাগে, তাদের গোপন রাগে,
তরুণ হাসির অরুণ রাগে
অশ্রুজলের করুণ রাগে।।

তার কি হবে?

তারা যে জাগিয়ে দিয়ে গেলো......

আঁধার নিশার বক্ষে যেমন তারা জাগে
পাষাণগুহার কক্ষে নিঝর-ধারা জাগে
মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে

বিশ্ব-নাচের কেন্দ্রে যেমন ছন্দ জাগে


তেমনি আমায় দুলিয়ে গেলো....সুখগুলোকে ভুলিয়ে গেলো.... তাই তো দুঃখগুলো নিয়েই লিখছি ।


মিসির আলীর জননী! আবার হাসালেন না কাঁদালেন বুঝহতে পারছিনা। স্বপ্ন এবং দুঃস্বপ্নেও এমন বিদঘুটে নাম রাখার ইচ্ছা নেই আমার ছেলের। হোক না সে গল্পের ছেলেই।



৩২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩১

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: নির্মোহভাবে যদি দেখি, আমি তো কারোরই দোষ খুঁজে পাই না, না আরবাজের না দোলনের(১ম গল্পে)। বরং দুজনই পরিস্হিতির শিকার বলতে পারেন - ১ জন যোগ্য হওয়া সত্তেও আর জন জাত-পাতের গ্যাড়াকলে পড়ে ...

আর তিনি কি করলেন - দেখায় দিলেন না তার, যে এত কস্ট করে ভীনদেশে এসেছিল। তার না ছিল চেনা-জানা, না ছিল আশ্রয় এখানে? আরেকজন তো পাত্তাই পেল না অত যোগ্য হওয়ার পরেও? তাহলে, দেখা করতেই বা যাওয়া হয়েছিল কেন? তাই বলছিলাম -

"প্রভাত আসে তাঁহার কাছে আলোক ভিক্ষা নিতে,
সে আলো তার লুটায় ধরণীতে।
তিনি যখন সন্ধ্যা-কাছে দাঁড়ান উর্ধ্বকরে,
তখন স্তরে স্তরে,
ফুটে ওঠে অন্ধকারের,
আপন প্রাণের ধন-
মুকুটে তাঁর পরেন সে রতন।।"

আমি যখন তাঁর দুয়ারে ভিক্ষা নিতে যাই

২য় গল্প পরিণতি পেয়েছে - তাই, আর না বলি।

শেষটায় এটা কি হল? ধরেই নিলাম পছন্দ হয়নি ঐ নির্ভেজাল পাগল প্রেমিকটারে। কিন্তু, একটা সুন্দর বিদায় তো তার দেয়াই যেত, না কি? পরিবর্তে কি পেল সে? এখন পর্যন্ত গালি(সামু ব্লগেও)। আর সে হয়ে রইল -

https://www.youtube.com/watch?v=2lDHeCBPIRE' target='_blank' >ওগো আমারও চির অচেনা পরদেশী

তাই বলছিলাম, প্রেম প্রশ্নবিদ্ধ!!!:) এখানে, নিরাপদ নয়। :):):)

মিসির আলীর জনক বলতে নন্দিত গল্পকার হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে বুঝিয়েছি। এখন বুঝে নিন, আপনারে হাসালুম না কাঁদালুম!!

হুমম্‌! লিখুন পরের গল্প, পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা কমেন্টের প্রথমাংশে আবারও আমার মানে লেখিকার উপর রাগ সুস্পষ্টভাবেই পরিলক্ষিত। সে যাইহোক গানটা শুনেও হাসি পেলো.... যদিও অনেক অনেক প্রিয় গান....তবুও দীর্ঘশ্বাস.... ও বন্ধু আমার...

যাকগে ভেবেছিলাম দ্বিতীয়াংশে সিরিয়াস হবো তবুও কমেন্টের ধরণে সিরিয়াস হওয়া হলো না।

আর হুমায়ুন আহমেদ বা উনার মিসির আলীর জননী কেনো তার শ্বাশুড়ি কিংবা খালা শ্বাশুড়িও হবার ইচ্ছা নাই শেষে অকালে প্রানটাই যাবে।

পরের গল্প জননী বা শ্বাশুড়ি নিয়ে লিখবো কিনা ভাবছি। জি সিরিয়াল টাইপ কিছু। মহিলা সহকর্মীদের শ্বাশুড়ি বউ এর গল্পগুলো শুনে মনে হয় বি সিরিয়াল মানে বাংলাদেশের এই কাহিনীও কম হত না!

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখা এখনো সেভাবে পড়া হয়নি।
সময় লাগবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সময় হলে পড়বেন বিজনভাই।

৩৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: রাজকন্যা, আপনার লেখার বিষয়বস্তু প্রধানত টিন এজ লাভ, যা আমার কাছে তেমন আকর্ষনীয় বিষয় নয়। কিন্তু তবু আপনার লেখাগুলো আমার কাছে তীব্র আকর্ষনীয় তার লেখনশৈলীর গুনে, একটা নিজস্ব স্টাইল আছে আপনার লেখায়। (অবশ্য এই স্টাইল অনেকটা স্পর্শিয়ার স্টাইলের সাথে মেলে।) সেই স্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি বলেই হয়ত এই নতুন স্টাইল ভাল লাগল না- তাই বলে এটা ভাল নয় তা বলি নি।

অন্য কোনরকম এক্সপেরিমেন্ট করুন না- যেমন রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে প্রবন্ধ! মনে হয় এ ব্যাপারে আপনি ভালই অনেক জানেন; কিছু শেয়ার করুন!

নতুন লেখার অপেক্ষায় রয়েছি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কমেন্টে আপ্লুত এবং অনুপ্রানিত হলাম আপা। আপনিসহ কিছু মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি যা হয়তো কখনও আমার ভোলা হবেনা।

হ্যাঁ নতুন স্টাইলটা একেবারেই আমার জন্য নতুন ছিলো। আমি এইভাষায় স্বপ্নেও কখনও কথা বলিনি।

অন্য এক্সপেরিমেন্টের মাঝে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে লিখতে বলেছেন। হ্যাঁ আমি কিছুটা জানি তাই বলে ভালই বা অনেক না আসলে। এসব নিয়ে কখনও ইচ্ছা হলে লিখবো আপনার কথা তো অবশ্যই মনে থাকবে তার সাথে সাথে। তবে আপাতত এখানে গল্প এক্সপেরিমেন্টই চললে কি বেশি খারাপ হবে?

নতুন লেখা লিখবো আপা। হঠাৎ ব্যাস্ততা আর ঝামেলায় পড়ে গেছি।

৩৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু নতুন কোন গল্প লিখছেন ?
অনেক দিন আপনাকে দেখছি না ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটু ব্যাস্ত ছিলাম আপু। এখনও আছি। তারি মাঝেই কিছু না হয় লিখে ফেলবো!

৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪২

কালীদাস বলেছেন: হা হা :)
দুই পর্বই পড়লাম। ভাল লেগেছে আপনার ছকের বাইরে আসার চেষ্টা, ভাষাগত এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে। কনভার্সেশনগুলো উপভোগ্য ছিল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, পারিপার্শ্বিক বর্ণনাগুলোও গল্পটাকে রিচ করেছে এত ছোট প্লটের ভেতরেও। সত্যি বলতে কি ফিনিশিংটা বেশ লেগেছে আমার, রম্য হিসাবে উতরে গেছে লেখাটা ভালভাবেই।

মেইন উইকনেস হচ্ছে, ভাষার মিশ্রণ। আপনি অনেক জায়গাতেই কথ্য ভাষার সাথে আপনার নিজের শতভাগ ব্যবহারের শুদ্ধ ভাষা এনে ফেলেছেন, যে কারণে পাঠক হিসাবে বারবার থমকে গেছি; এক ফ্লো পাইনি ভাষার বারবার পরিবর্তনের কারণে। সেকেন্ড, যদিও বলেছি ছকের বাইরে আসার জন্য এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছেন, তবু এখনও টিনএজ লাভ আপনার এই লেখার মেইন কনটেন্ট; আগের বড় সিরিজটার মতই।

এনিওয়ে, চালিয়ে যান :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আমার গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে আমার থেকেও বেশি মজাটা আপনিই পেয়েছেন। তবে ঠিকই ধরেছেন এই ভাষা আমার ভাষা নয়। অনেকখানেই থমকে গেছি। ফ্লো কেটে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

নতুনকে স্বাগত জানিয়েছেন তাই আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

৩৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২

সজিব। বলেছেন: শেষ হয়ে গেলো ! আরো পড়তে ইচ্ছে করছিলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আবার অন্য কিছু লিখি তখন পড়বেন।

৩৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

অয়ি বলেছেন: অভ্যাসগতভাবে আপনার গল্পের নায়ক বিচ্ছিরী । তাই হয়তো নায়িকা তাকে মনে রেখেছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা তাই হবে। তবে সেই বিচ্ছিরীটার জন্যই মন কেমন করার কারণ এক রহস্য।

৩৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২১

অয়ি বলেছেন: বিচ্ছিরী অভ্যাসের লোক রহস্য করতে পছন্দ করে। নায়িকাদের রহস্য ভাল লাগে ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ বালিকারা রহস্যপ্রিয়। আপনার নামের অর্থ কি অয়িআপা?

৪০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

অয়ি বলেছেন: ভক্তি, প্রেম স্নেহসূচক সম্বোধনবিশেষ ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা। দারুণ নাম।

৪১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ভালো লাগছে। নারীর perspective/viewpoint থেকে লেখা গল্প খুবই কম। বলতে গেলে সব কিছুই ছেলেরা লেখে। তাই দেখা যায় গল্প/উপন্যাসে নায়িকার দৈহিক বর্ণনা,নায়িকার মনস্তত্ব,নায়িকার চাহিদা সবই ছেলেদের ভিউপয়েন্ট থেকে লিখা হয়। ফলে গল্পে কেমন ব্যলেন্স থাকেনা। মনে হয় ছেলেরা নিজেদের ইচ্ছামত নায়িকা বানায় নিছে। বাস্তবে নারীরা হয়ত এরকম না। আপনি তাও নারীর ভিউপয়েন্ট থেকে গল্প লিখেছেন কয়েকটা তাই পড়তে ভালোই লাগছে। এমন না যে এই কয়েকটা গল্প দিয়ে নারীদের মেন্টালিটি বুঝে ফেলব বা নারীজগতের আসল চিত্র অনুধাবন করে ফেলব। নারীর ভিউপয়েন্ট থেকে লেখা গল্প পড়তে পারছি, কিছু জানতে পারছি - এটাই আনন্দের বিষয়।

০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুক্ষ বিশ্লেষনের জন্য অয়নভাই।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.