নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কঠিন সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না কঠিন মানুষেরাই দীর্ঘস্থায়ী হয়

হিংস্র ঈগল

আমি শুধু এটুকুই বুঝি যে আমি কিছুই বুঝি না। এখনো বোঝার জন্য অবিরত চেস্টিত আছি।

হিংস্র ঈগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলেই কি বঙ্গবন্ধুর জানাজায় অনেক কম লোক উপস্থিত হয়েছিল?? স্বাধীনতা বিরোধীদের আরেকটি প্রোপাগান্ডা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯

‘বঙ্গবন্ধু যদি এতই জনপ্রিয় হয়ে থাকেন, কেন তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম হলো না? কেন মাত্র ৩০-৩৫ জন উপস্থিত ছিল?’- ঠিক এরকমই একটা প্রোপাগ্যান্ডা ছড়ায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। অনেকেই আবার ইতিহাসচর্চার অভাবে সঠিক কারণ সত্যিকারার্থেই জানতে পারেন না। এর উত্তর পেতে হলে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর লাশ নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে গোসল-দাফন; জানতে হবে পুরো ঘটনাক্রম।



ভোর পাঁচটা চল্লিশ। বত্রিশ নম্বরের বাড়িটির প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে যে সমতল জায়গাটা, তার তিন-চার ধাপ ওপরে একেবারে কাছ থেকে গুলিতে শেখ মুজিবের নিথর দেহ পড়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে তাকে খুন করা হয়েছে। পরনে ছিল চেক লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি। চশমার একটি গ্লাস ভাঙা। রক্তে পাঞ্জাবির রং হয়ে গিয়েছে গাঢ় লাল। তলপেট ও বুক ছিল বুলেটে ঝাঁজরা। তার ধূমপানের অভ্যাস ছিল। প্রিয় তামাকের পাইপটি সিঁড়িতে পড়ে আছে। একটি বুলেট তাঁর ডান হাতের তর্জনীতে গিয়ে লেগেছিল। আঙুলটি প্রায় বিচ্ছিন্ন। এই আঙ্গুল দিয়েই তো কতশতবার বজ্রকন্ঠে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে। পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের এমন ভয়াল বীভৎসতার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর আলাউদ্দিন আহমেদ পিএসসি। তার বর্ণনায় তিনি ব্যক্ত করেন এইভাবে-

কী বীভৎসতা! রক্ত, মগজ ও হাড়ের গুঁড়ো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল প্রতিটি তলার দেয়াল, জানালার কাচ, মেঝে ও ছাদে। রীতিমত রক্তগঙ্গা বইছে যেন ওই বাড়িতে। গুলির আঘাতে দেয়ালগুলোও ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। চারপাশে রক্তের সাগরের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ঘরের জিনিসপত্র। প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে আছেন ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরা স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু লাশ।



১৬ই আগস্ট, ১৯৭৫
রেডিওতে প্রচারিত খবর শুনে গ্রামবাসী আগেই জেনে গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর খবর। পুরো গ্রাম শোকে বিহ্বল। আকাশে মেঘের আনাগোনা। বৃষ্টি হবে হবে এমন অবস্থা। লাশ নামানো হচ্ছে হেলিকপ্টার থেকে। হেলিকপ্টারের পাখার আওয়াজ ছাপিয়েও আরেকটি আওয়াজ বাতাসে ভাসছে। টুঙ্গিপাড়ার সাধারণ মানুষের বিলাপের ধ্বনি। এরা দেখেছে এই টুঙ্গিপাড়াতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, তার বেড়ে ওঠা, তাকে দৌড়াতে দেখেছে বিস্তৃত ধানক্ষেতের মাঠে, ছুটে যেতে দেখেছে মানুষের দুঃখে, দেখেছে মিছিলে, মিটিংয়ে। সেই মানুষটা আজ নিজ গ্রাম এসেছে। অথচ, বুক তার বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে আছে, দেহটা তার নিস্তব্ধ।
হেলিকপ্টারের থেকে লাশ নামানো হলো। গোপালগঞ্জ পুলিশের লোকজন চারদিক ঘেরাও করে রেখেছে। কেউ যেন লাশের কাছে না আসতে পারে সেজন্যে এই ব্যবস্থা। লাশটাকে নিয়ে যাওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। শৈশবে যে উঠানে তার হাঁটতে শেখা, সে উঠানে রাখা হলো নিশ্চল রক্তেভেজা শেখ মুজিবের কফিন।

দাফনকাফনে অংশ নিতে বাধা দেয়াঃ

অনেকে লাশ দেখতে আসতে চাইলেন। ভয়ে ভয়ে দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা এগিয়ে আসলেন। গ্রামবাসীরাও তাদের প্রিয় নেতাকে, প্রিয় মানুষটাকে শেষবারের মতো দেখতে আসতে চাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ ও সেনাবাহিনী চায় না কেউ লাশের কাছে আসুক। তারা বাধা দিলো। কাউকেই কাছে ঘেঁষতে দেয়া হলো না। শুধু ১৫/১৬ জনের মতো মানুষকে রাখা হয় তার কফিন বহন করার জন্য। কফিনের ভেতরে বড় বড় বরফের টুকরা, খুবই ভারী, এখানে তো কিছু মানুষ লাগবেই!
কফিন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আনার পর, কফিন খোলা নিয়েও ঝামেলা দেখা দেয়। এমনভাবে কফিনটা লাগানো হয়েছিলো যে, পরে সেটা খুলতে মিস্ত্রী পর্যন্ত আনতে হয়েছিল। ওই সময়টায় সেনারা কফিনসহ বঙ্গবন্ধুকে কবর দিতে চাইলো। তারা ঝামেলা এড়িয়ে জানাজা না করেই দ্রুত দাফনের কাজ শেষ করতে চায়। রজব আলী, যিনি পঁচাত্তরে রেডক্রস অফিসে পিয়নের চাকরি করতেন তিনি প্রতিবাদ জানান।

১৬ আগস্ট হেলিকপ্টারে মিয়া ভাইকে (বঙ্গবন্ধু) টুঙ্গিপাড়ায় আনা হয়। কবর খোঁড়া, লাশ দাফনের জন্য লোকের প্রয়োজন হয়। আমি এগিয়ে যাই। কবর খুঁড়ি। লাশের সঙ্গে আসা মিলিটারিরা মিয়া ভাইকে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি প্রতিবাদ জানাই। তাদের বলি, মিয়া ভাইকে ইসলামী বিধিবিধান মতো দাফন-কাফন করতে হবে। তৈয়ব মাতুব্বরের দোকান থেকে ৫৭০ সাবান কিনে আনি। সেই সাবান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গোসল করানো হয়।
৫৭০ সাবান দিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সেরা বাঙ্গালীর লাশের গোসল করানো হলো। তারপর রেডক্রসের রিলিফের শাড়ি যা কিনা কিছুদিন আগে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুই বিতরণ করেছিলেন, তা ছিঁড়ে তৈরিকৃত কফিনের কাপড় দিয়ে লাশ জড়ানো হলো। জানাজা পড়ালেন মৌলভী সাহেব। সেনা অফিসার ও জোয়ানেরা জানাজায় অংশ নিলেন না। রাষ্ট্রনায়ককে সম্মান জানাতে বিউগলের করুণ সুরও বাজলো না। কিন্তু টুঙ্গীপাড়ার গ্রামবাসীর চাপা কান্না এক শোকবিহ্বল পরিবেশের সৃষ্টি করলো।





সেনাদের ভয়ঃ
সেদিন মানুষ যেমন আর্মিদের ভয় পাচ্ছিল, আর্মিরাও ভয় পাচ্ছিল সাধারণ মানুষদের, কখন জানি তারা ক্ষেপে ওঠে! আর্মিরা যে ভয় পাচ্ছিল সেটা বুঝতে পারা যায়, কর্ণেল কাজী হায়দার আলীর বক্তব্য থেকে। তিনি সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশ টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন-

হেলিকপ্টারের মধ্যে কারো মুখে কথা নাই, সবাই হয়তো আমার মতোই ভাবছিল, এই কঠিন দায়িত্বে আল্লাহ কেন আমাদের সোপর্দ করলেন? দায়িত্ব পালন করে নিজেরা ফিরতে পারবো কি? দেশের প্রেসিডেন্টের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে যাচ্ছে, লোকেরা কত কিছু জিজ্ঞাসা করবে, তার জবাব কী দেব? সবাই মনে করবে আমরাই এই অঘটন ঘটিয়েছি, তখন লোকাল এরিয়া থেকে পাল্টা আঘাত আসতে পারে, নিজেরা সামলে ফিরে আসতে পারবো কি?

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরই সারাদেশে কারফিউ জারি ছিলো। ১৭ আগস্টের পত্রিকা বলছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়নগঞ্জ বাদে বাকি দেশে কয়েকঘন্টার জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। এই কারফিউ জারি ছিলো ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। যারা মুজিব হত্যার পর রাস্তায় লোক নামে নাই কেনো প্রশ্ন তোলেন কেনো তার জানাজায় মানুষ হয় নাই জানতে চান- তারা নিশ্চয়ই এর মাঝেই জবাব খুজে পাবেন। কারণ কারফিউতে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ছিল, যা বারবার রেডিও টিভিতে প্রচার হচ্ছিলো।
এরপর পুরো দুই দশক তার নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। না রেডিও, না টেলিভিশন, নাসংবাদপত্র- কোথাও ছিলেন না তিনি। শুনেছি, ১৫ আগস্ট এলে নাকি তখন টিভিতে বলা হতো, খবরের এক কোণে, “আজ মরহুম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী”! হায়, তিনি কি শুধুই ছিলেন একজন রাষ্ট্রপতি!

এই ভয়ের কারণেই, সেদিন, বঙ্গবন্ধুর জানাজায় সামিল হতে দেয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে। অথচ, ঘাতকরা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছিলো যে বঙ্গবন্ধুর জানাজায় কেউ অংশ নেয়নি।

##তথ্যসুত্রঃ সংগৃহীত। ##

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে কার্ফু ছিলো সেই সময়

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

হিংস্র ঈগল বলেছেন: সেই জন্যই জানাজায় কম লোক উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা এটাকে প্রপগান্ডা হিসেবে ব্যাবহার করে।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নির্বোধ ঘাতক জানে না
মরণেই থামে না জীবন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

হিংস্র ঈগল বলেছেন: নির্বোধ ঘাতক জানে না
মরণেই থামে না জীবন।

সঠিক।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:




কারফিউ ভেঙ্গে কি কাদের সিদ্দিকী প্রতিবাদ করেনি? তোফায়েল আহমেদ রক্ষীবাহিনীর প্রধান হয়েও কেন প্রতিবাদ করেনি বড় জোর তিনি মারা যেতেন, এখনতো বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে কত লোক পাওয়া যায় তখন কেন কারফিউ ভেঙ্গে জীবন দেয় নাই?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

হিংস্র ঈগল বলেছেন: আসলে জীবন দেয়া কথাটা মুখে বলা যত সহজ বাস্তবে ঠিক ততটাই কঠিন। এজন্যই কাদের সিদ্দিকী ছাড়া আর কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় নি।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

সনেট কবি বলেছেন: মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: মানুষ তাঁকে আজীবন মনে রাখবে। আঃ লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: একদিন সব ঘাতকের বিচার হবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

হিংস্র ঈগল বলেছেন: সব ঘাতকের বিচারই কাম্য। কোন ঘাতকেই ছাড় দেয়া উচিৎ নয়।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৭

বিজন রয় বলেছেন: সঠিক ইতিহাস এভাবেই জানাতে হবে।
++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১

হিংস্র ঈগল বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: সাতই মার্চে তাঁর ডাকে যে মানুষ এসেছিলো, দেশে প্রত্যাবর্তনে যে মানুষের ঢল নেমেছিলো তার পর কি তাঁর জানাজায় কত পরিমান লোক হলো তার আর কোন হিসাব দরকার আছে? বন্দুকের ভয়ে তো ছাগলও বলে সে চিত্রা হরিণ!!!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: বন্দুকের ভয়ে তো ছাগলও বলে সে চিত্রা হরি। এটাই আসল ব্যাপার। প্রান ভয়ে তখন অনেকেই বের হতে সাহস পায়নি।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @ আসলেই কি বঙ্গবন্ধুর জানাজায় অনেক কম লোক উপস্থিত হয়েছিল??
.. আসলেই সেদিন গুটি কয়েক লোক ছিল।
কেন? তার উত্তরটা পোস্টেই সুন্দভাবে বলা আছে।


প্রোপাগান্ডাকারীদের বলার কিছু নেই, মাথা মোটারা এসব কথা ছড়ায় আর মগজহীনেরা না জেনে না বুঝে তা বিশ্বাস করে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

হিংস্র ঈগল বলেছেন: "প্রোপাগান্ডাকারীদের বলার কিছু নেই, মাথা মোটারা এসব কথা ছড়ায় আর মগজহীনেরা না জেনে না বুঝে তা বিশ্বাস করে"

সঠিক বলেছেন।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

শিখণ্ডী বলেছেন: আমার তখন পাঁচ বৎসর পূর্ণ হয়নি। রেডিওতে কী কী ঘোষিত হয়েছিল পুরোপুরি মনে নেই। কিন্তু সেদিনের আমার পরিবারের অস্বাভাবিকতা এখনও মনে আছে। সবাই শুধু ফিসফাস করছে, থমথমে পরিবেশ, দাদা চেয়ারে ঠোঁটে হাত দিয়ে শুয়ে আছেন। সবাই কথা কম বলছে। আমার এক পাগলা কাকার মুখে জানতে পারলাম 'মজিবরকে মাইরা দিছে'।

নানা পরিস্থিতি তখন সবাইকে পুরো হতভম্ব করে দিয়েছিল। আবার সবাই বলাবলি করত আওয়ামী লীগ তো পদচ্যুত হয়নি (মোস্তাক ক্ষমতায়)। ওটি ছিল অস্বাভাবিক একটি পরিস্থিতি যাকে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিচার করা কখনও ঠিক হবে না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

হিংস্র ঈগল বলেছেন: পরিস্থিতি তখন অনেক অস্বাভাবিক ছিল। জানাজায় কম লোকের উপস্থিতির এটাই মূল কারন।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ঘাতক নুর কে ফিরিয়ে এনে ফায়ার স্কোয়াডে দিলে খুশি হবো

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

ভাইয়ু বলেছেন: প্রিয় জাতীর পিতা শেখ মুজিবের এমনভাবে বিদায় মন কোনভাবেই মেনে নিতে চায়না ৷ যতবারই কালো ইতিহাসটা সামনে আসে, ততবারই বুকের মধ্যে চিনচিনে ব্যাথা অনুভুত হয়..
ভাল থাকুক হাজার বছরেরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ♥

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

হিংস্র ঈগল বলেছেন: ভাল থাকুক হাজার বছরেরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ♥

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: He was killed but he hasn't died.
Respect.

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

হিংস্র ঈগল বলেছেন: Respect

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একটু কার্টেসি দিলে ভাল লাগত, ভাই!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

রাকু হাসান বলেছেন: পড়ে এত টা খারাপ লাগছে ,কিছু বলতে পারছি না । |-)

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪

হিংস্র ঈগল বলেছেন: খারাপ লাগারই কথা।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

একাল-সেকাল বলেছেন: #শাহিন-৯৯, তোফায়েল সাহেব শেখ মুজিব কে বঙ্গবন্ধু উপাধিদাতা ও রক্ষী বাহিনীর প্রধান হয়েও সেদিনের কারফিউ ভাঙ্গেনি বলে আজ বহাল তবিয়তে মন্ত্রি
অন্যদিকে, কাদের সিদ্দিকী মৃত্যুকে তোয়াক্কা না করে কারফিউ ভেঙ্গে প্রতিবাদ করার পুরস্কার স্বরুপ আওয়ামী নেতাদের দ্বারা রাজাকার উপাধিপ্রাপ্ত হলেন নিজ জীবদ্দশায়।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪

হিংস্র ঈগল বলেছেন: এটাই আঃ লীগের রাজনীতি।

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আজিম্পুর থাকি। ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফেরার পথেই বাংলাদেশ বেতার( তখন তার নাম দেয়া হয় 'রেডিও বাংলাদেশ';) এ মেজর ডালিমের ঘোষণা- আমি মেজর ডালিম বলছি...।
আমার মনে আছে, মনে হলো, ঢাকা নিথ, নিস্ত, জনমানবশূন্য একটি শহর। ভয় ও অজানিত আশঙ্কায় মানুষেরা বিহ্বল ছিলো।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

হিংস্র ঈগল বলেছেন: এটাই মূল কারন জানাজায় না আসার।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আজিম্পুর থাকি। ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফেরার পথেই বাংলাদেশ বেতার( তখন তার নাম দেয়া হয় 'রেডিও বাংলাদেশ';) এ মেজর ডালিমের ঘোষণা- আমি মেজর ডালিম বলছি...।
আমার মনে আছে, মনে হলো, ঢাকা নিথ, নিস্ত, জনমানবশূন্য একটি শহর। ভয় ও অজানিত আশঙ্কায় মানুষেরা বিহ্বল ছিলো।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

হিংস্র ঈগল বলেছেন: এটাই মূল কারন জানাজায় না আসার।

১৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জানাজা দিয়ে হবে কি। বাংলাদেশে শয়তানের জানাজায় লাখো লোক উপস্থিত হওয়ার রেকর্ড আছে

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

হিংস্র ঈগল বলেছেন: "বাংলাদেশে শয়তানের জানাজায় লাখো লোক উপস্থিত হওয়ার রেকর্ড আছে"

দুঃখজনক হলেও সত্য।

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৪

রাফা বলেছেন: পুরো বাংলাদেশকে হত্যা করার পর কে আসবে জানাজায় ? বঙ্গবন্ধু'কে নয় ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশ'কে হত্যা করা হয়েছিলো।ঠিক ২০১৪ সালের নির্বাচনকে প্রতিরোধ করার মত ভুমিকা ছিলো খুনিদের । কারফিউ দিয়ে জানাজা করতে হয়েছে তাদের ।হতবিহব্বল বাংলাদেশ চেতনাবিহিন ছিলো সেই দিনগুলোত।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

হিংস্র ঈগল বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.