নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The Dreamer…

খ।ইরুলব।কু

The Dreamer

খ।ইরুলব।কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপলব্ধি...

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২০

পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত নবজাতক মানব শিশু হাসপাতাল থেকে কিনে আনতে হয় আমার এমন ধারনাই ছিল, আমাকেও আমার পরিবার কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকেই কিনে এনেছেন বলেই বিশ্বাস করতাম, এখনো মনে আছে ছোট বেলায় মায়ের শাসন বা প্রয়জনীয় উত্তম মাধ্যম পেলেই মনে হত কেন যে এরা হাসপাতাল থেকে আমাকে পসন্দ করে আনলেন, তবু কোনো এক অজানা কারণে আমার প্রতি মায়ের বা মায়ের প্রতি আমার প্রগার মমতা অনুভব করতাম
পৃথিবীর নিয়মে সময় এক এক করে অবচেতন মনে লুকিয়ে থাকা সকল কৌতুহল ই পূরণ করে চলে, জীবনের চক্রে আমিও আজ ১৬ দিন বয়সী এক সন্তানের বাবা, আমার স্ত্রীর গর্ভকালীন মোট ৬.৫ মাস সময় ই আমাকে কর্মস্থল দেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দুরে পূর্ব আফ্রিকায় থাকতে হয়েছে..
প্রত্যাশিত ডেলিভারি সময়ের ১৫ দিন পূর্বে কোনো এক সন্ধায় অনাগত সন্তান কল্পনা করতে করতে বাড়ি গিয়ে হাজির হই, তখন ও গর্ভ কালীন সময় একজন নারী কেমন সময় অতিক্রম করেন এ সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিলনা, আমাকে আমার সন্তান জন্মের পূর্বের ১৫ ও পরের ১৩ মোট ২৮ দিন স্ত্রীর কাছাকাছি থেকে কর্মস্থলে ফিরতে হয়েসে,
কিন্তু জীবনের এই ২৮ দিনে অর্জিত জ্ঞান, উপলব্ধি জীবনের এখন পর্যন্ত অর্জিত ক্ষুদ্র সঞ্চয় কে অনেক বেশি সম্মৃদ্ধ করেছে, ডেলিভারির পূর্বের দেখা ১৫ টি রাতের একটি রাতে ও আমি আমার স্ত্রীকে ঘুমাতে দেখিনি, সারাদিন এক মুহুর্তের জন্য ও অসচেতন হতে দেখিনি যাতে অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হয়, সাধ্য মত চেষ্টা করেছি স্ত্রীকে সময় ও সঙ্গ দেয়ার, তবু আরো অনেক কষ্টের মত সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে সারাক্ষণ পেটের মধ্যে কম করে হলে ও ৪ কেজি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাফেরা করার কষ্টটা বুঝার সাধ্য প্রকৃতি আমাকে দেয়নি
পূর্বের ১৫ দিন দেখে পরের ১৩ দিন দেখার খুব কৌতুহল ছিল, তাই হাসপাতালে থাকা ৭ দিনেরও প্রতিটি ঘন্টা ও মিনিট কাছ থেকে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রসুতি মাকে যে ত্যাগের সীকার করতে হয় তা দেখার চেষ্টা করেছি, কেন যেন আমার মনে হয়েছে পৃথিবীতে যে কোনো অবাধ্য সন্তান কে একজন প্রসুতি মায়ের কাছাকাছি অন্তত ১ ঘন্টা রাখা তার বোধ উদয়ের জন্য যথেষ্ঠ,
স্ত্রীর সাথে কাটানো এই ২৮ দিনে আমার ছোট সময়ের একটি কথা বার বার ই মনে পরেছে
ছোট সময় মায়ের কথা না শুনলে বা মা কষ্ট পায় এমন কিছু করলে আমার আব্বা সাথে সাথেই মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলতেন বা নিজে নিয়ে গিয়ে ক্ষমা চাওয়াতেন যাতে মায়ের মনে কোনো কষ্ট না থাকে, তখন ক্ষমা চাওয়ার গুরুত্বটা খুব বুজতে না পারলেও আজ বুজতে পারছি সেটা কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বুজতে পারছি কেন হাদিসে আল্লাহর পরে দ্বিতীয় পূজনীয় কেউ হলে সেটা মায়ের কথা বলা হয়েছে, কেন হিন্দু ধর্মে সকল দেবী কে মায়ের রূপে দেখা হয়েছে…
“মা যে দশ মাস দশ দিন
গর্ভে ধরিয়া করিছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও
সেই ঋণ সোধ হবে না জানি"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.