নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছরের অগাস্ট এ ইকোনমিস্ট পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য শহরের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, আমাদের ঢাকা সেখানে তৃতীয় বারের মত দ্বিতীয় স্থানে ছিল, বিসয়টি সরকার বা জনগণ খুব বেশী গুরুত্বের সাথে নিয়েছে বলে আমার মনে হয় না, (তবে সম্প্রতি ঢাকা সিটির নব্য কর্তারা শহরের পলেস্তারা হীন বাড়িগুলোতে পলেস্তারা ও নতুন রং করানোর নির্দেশ দেয়ার কথা ভাবছে… বিসয়টির সাথে ইকোনমিস্ট প্রকাশিত রিপোর্টের কোনো হাস্যকর যোগসূত্র থাকতেও পারে)
তবে ইকোনমিস্ট তাদের রিপোর্ট টি প্রকাশের ক্ষেত্রে সেফটি, সাস্থ্য সেবা, শিক্ষার সুযোগ, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও পরিবেশ সংস্লিষ্ট ৩০ টি দিক বিবেচনায় রেখেছিলেন…
আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযাই ঢাকা ও আশেপাশের আটটি শহরের বায়ু অত্যন্ত অসাস্থ্যকর, ২০১২ সালে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে পরিমান লোক কেবলমাত্র বায়ু দূষণের কারণে মারা যায় বাংলাদেশ সেখানেও তালিকার সর্বচ্চে জায়গা করে নেয়া কোনো দেশ
আমাদের দেশে বায়ু দুষণ নিয়ে কথা হলেই যাবতীয় দায় কেবল কলকারখানার গায়ে জুড়ে দেই, কলকারখানাকে আইনের আওতায় আনাটা সরকারের কাজ, কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে কেবলমাত্র যেখানে সেখানে থুথু ফেলা বন্ধ করার মাধ্যমেও বায়ু দুসনের মাত্রা কিসুটা হলেও কমানো সম্ভব, সর্ব ক্ষেত্রে দায়টা কেবল অন্যের কাধে জুড়ে দিতে পেরেই যেন সর্ব সুখ, যেখানে যখন ইচ্ছা তখন থুথু ফেলাটা যে অন্যায়, অসাস্থ্যকর এমন বোধ টি ই যেন আমাদের নাই…
তবে আশার কথা হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অনেক বড় অর্জন ও খুব সল্প সময়ে লাভের উদাহরণ আমরা সৃষ্টি করেছি, জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই মাত্র তিন দশকের ব্যবধানে স্যানিটেশন, জন্মনীয়ন্ত্রনের মত খাতে অনেক বড় অর্জন সাধিত হয়েছে
তাই আসা করছি শিগ্রই সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকল প্রকার দূষণ(বায়ু, মাটি,পানি, আলো, শব্দ, ভিজ্যুয়াল) রোধে সচেষ্ট হব
সাম্প্রতিক ভারত সরকার কর্তিক আয়োজিত Clean India Campaign কতটা সফল হয়েছে আমার জানা নাই, তবে আমাদের দেশে এমন আন্তরিক উদ্যোগ সফলতা পাবে বলেই আমি বিশ্বাস করি…..
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
খ।ইরুলব।কু বলেছেন: ধন্যবাদ অরণ্য...
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
অরন্য সামির বলেছেন: amrao asha rakhi