নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিদ্রোহীর গর্জন

কবি ও কাব্য

একজন বিদ্রোহী বলছি ঃ যেখানে দেখিবে কোন অন্যায় অত্যাচার সেইখানে পাইবে শুনিতে আমার হুংকার সময় এসেছে সাথিরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে গর্জে উঠার।

কবি ও কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অ্যাকশন হিরো রুবেল এর গল্প ঃ

১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৭



চলচ্চিত্রের নায়ক রুবেল । পুরো নাম মাসুম পারভেজ রুবেল । ৮০র দশকের মাঝামাঝি থেকে ৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের নিয়মিত দর্শকদের কাছে এক অতি জনপ্রিয় তারকার নাম রুবেল । পুরো দেড় দশকে রুবেল ছিলেন একমাত্র নায়ক যার কোন ছবি ফ্লপ বা ব্যবসায়িক ভাবে ব্যর্থ হয়নি । কারন রুবেল ছিলেন তখনকার সময়ের গতানুগতিক অ্যাকশন ছবিগুলোর নায়কদের মাঝে সম্পূর্ণ আলাদা । যিনি প্রতিটি ছবিতে মারামারি করতেন খালি হাতে । যার কোন বন্দুক , গুলির প্রয়োজন ছিল না । তার কাছে যা ছিল তা অন্য কোন নায়কদের কাছে ছিল না । একমাত্র বাংলাদেশের দর্শকরা তা পেতো হলিউডের ব্রুস্লির ছবিতে । হ্যাঁ, রুবেল ছিল মার্শাল আর্টে পারদর্শী একজন নায়ক যার ছবিতে থাকতো নিত্য নতুন মারামারির কৌশল । কখনও শুন্য উঠে দুই পা মেলে খেজুর গাছে ঝুলন্ত কলসি ভেঙ্গে দিতেন । কখনও শুন্য লাফিয়ে একসাথে চারজনকে একটি লাথি দিয়ে ধরাশায়ি করে দিতেন । আর দর্শক বিস্ময়ে দেখতো যে আমাদের নায়করাও পারে ব্রুস্লির মতো কংফু যা তখনও বলিউডের ছবিতেও দেখা যেতো না ।

১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহন করা মাসুম পারভেজ রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় বড় ভাই মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা’র প্রযোজিত ও শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন করেন । প্রথম ছবিতেই বাংলাদেশের দর্শকদের বাজিমাৎ করে দেন রুবেল তাঁর মার্শাল আর্ট এর কলাকৌশল দেখিয়ে । সেই থেকে শুরু বাংলা চলচ্চিত্রে একটি ‘রুবেল’ অধ্যায়ের । এরপর ‘উদ্ধার’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুস্ঠি’, ‘মারকশা’ ছবির ব্যবসায়িক সাফল্য দিয়ে তৎকালীন সময়ের সকল প্রযোজক ও পরিচালকের নজরে পড়েন । কিন্তু তখনও খোকন ও মাসুদ পারভেজ ছাড়া অন্য কেউই মার্শাল আর্ট ভিত্তিক ছবি নির্মাণ করতে সাহস পেতেন না । এই সময় এগিয়ে আসেন পরিচালক আহমেদ সাত্তার ‘হুংকার’ ও ‘বীর বিক্রম’ ও আবুল খায়ের বুলবুল ‘ আমি শাহেনশাহ’ ছবি নির্মাণ করেন । দুই পরিচালকও রুবেলকে দিয়ে সাফল্য পেলেন । এরপর একে একে মুক্তি পেতে লাগলো ‘বিষদাঁত’, ‘বজ্রপাত’ ‘অকর্মা’ ‘ইনকিলাব’ ‘আজাদ’ ‘উত্থান পতন’ ‘সন্ত্রাস’ ‘শেষ আঘাত’ ‘দেশ দুশমন’ অর্জন ‘লাওয়ারিশ’ ছবিগুলো । প্রত্যেকটি ছবিই বক্স অফিসে সাফল্য পেলে রুবেলের চাহিদা বেড়ে যায় । খোকনের সেই সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বললেই চলে । কারন রুবেল ছাড়া সেই সময়ে একমাত্র ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া কোন নায়কই মার্শাল আর্ট জানতো না । ফলে সিনেমা মুক্তির দিক দিয়ে সেই সময় রুবেলের ছবি একটির পর একটি আসতেই থাকে । এমনও অনেক সপ্তাহ গেছে যে নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবির নায়কই থাকতেন রুবেল। ফলে একে একে মুক্তি পেতো লাগলো মা মাটি দেশ, গোলামির জিঞ্জির, অধিনায়ক , বীরযোদ্ধা, অন্যায় অত্যাচার, মালামাল, আন, ওমর আকবর , রুবেল আমার নাম, মহাগুরু, মিন্টু সম্রাট, লড়াই , সম্পর্ক , মহাশত্রু, মৃত্যুদণ্ড , মায়ের কান্না, টপ রংবাজ, চোখের পানি , জ্বলন্ত আগুন , ট্রাক ড্রাইভার , বিক্রম , ডন নামক একেকটি মারমার কাটকাট ছবি আর আমরা হুমড়ি খেতাম সিনেমা হলে । তখন আমাদের কাছে রুবেল মানেই দুর্দান্ত অ্যাকশন ছবির মহানায়ক । টেলিভিশনের পর্দায় বিজ্ঞাপনের সময় খেয়াল রাখতাম রুবেলের কোন নতুন ছবির ট্রেলার দেখাচ্ছে কিনা । স্কুল থেকে ফিরে রেডিওতে কান পেতে থাকতাম রুবেলের কোন নতুন ছবির বিশেষ অনুষ্ঠান দিচ্ছে কিনা গাজি মাজহারুল ইসলামের কণ্ঠে । আমাদের হাঁটা চলার সময় সবসময় রুবেলের মতো বডিল্যাংগুয়েজ থাকতো যেন সব সময় প্রস্তুত ঢিসুম ঢিসুম করার জন্য । সেই সময়ে সিলেটের ‘মনিকা সিনেমা’( বর্তমানে হলটি নেই) হল সবার কাছে আলাদা পরিচিত পেয়েছিল রুবেলের ছবিগুলো প্রদর্শনীর কারনে । রুবেলের নতুন ছবি মুক্তি পাওয়া মানেই মনিকায় আসবে । কারন সেই সময়ে রুবেলের সবগুলো ছবি একমাত্র মনিকা সিনেমা মুক্তিপাওয়ার সাথে সাথে প্রদর্শনী করতো । মনিকার ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে পরবর্তীতে অন্যান্য হলগুলোও রুবেলের ছবি প্রদর্শনীর জন্য প্রতিযোগিতা করতো । পরবর্তীতে নন্দিতা ও লালকুঠি সিনেমা রুবেলের নতুন ছবিগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে । এ জে রানার ‘মহাগুরু’ ছবির আগে রুবেলের অন্য কোন সিনেমা আমি মনিকা ছাড়া দেখেছি বলে মনে পড়ছে না ।

রুবেল এমনই এক অভিনেতা ছিলেন যার ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত স্বপন চৌধুরীর ‘বন্ধু বেঈমান’ ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবি সুপার ফ্লপ বা মূলধন তুলতে পারে নাই এমনটি জানা নেই । প্রতিটি ছবিটি দেখেছি হাউসফুল দর্শক । এমনকি যেসব ছবি অন্য কোন নায়ক থাকলে সাধারন মূলধন না তোলার ঝুঁকিতে পড়তো নিশ্চিত সেধরনের ছবিগুলো পর্যন্ত অনায়াসে রুবেলের কারনে মূলধন ফেরত পেতো । অর্থাৎ প্রযোজক পরিচালকদের কাছে রুবেল একটি আস্থার প্রতিক হয়ে গিয়েছিলেন যার ছবি মানেই মূলধন ফেরত আসার নিশ্চয়তা । ৯১ তে যখন নাইম শাবনাজ জুটি, কাঞ্চন –দিতি , মান্না চম্পা জুটি তুঙ্গে তখনও রুবেল একের পর এক ছবি দিয়ে সবাইকে একা টেক্কা দিয়ে যাচ্ছিলেন । সেই সময় মুক্তি পায় গোলাবারুদ, বীরযোদ্ধা, সম্পর্ক, অপহরন, ঘরের শত্রু, শত্রু ঘায়েল, রক্ত নিশান , সতর্ক শয়তান , মীরজাফর, গোয়েন্দা, জ্বলন্ত বারুদ , শত্রু ভয়ংকর ছবিগুলো । এরপর সালমান –সানীর যুগেও রুবেল ছিলেন সমান জনপ্রিয় ও তাঁর ধারায় একক অধিপতি । অর্থাৎ কেউই রুবেলের ছবি থেকে দর্শকদের ফেরাতে পারেনি । রুবেল শুধু একজন অভিনেতাই ছিলেন না সেই শুরু থেকেই তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি ফাইট ডাইরেক্টর হিসেবেও সফল ছিলেন । তাঁর সবগুলো ছবিতেই নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ ‘ দ্যা একশন ও্যারিয়রস’ নামে একটি ফাইটিং গ্রুপ ছিল । বলতে গেলে সেই সময়ে বাংলাদেশে মার্শাল আর্ট কে জনপ্রিয় করে তুলেন রুবেল । যার ফলে তখন অনেক কিশোর তরুন মার্শাল আর্ট শিখতে উৎসাহী হয় । রুবেল তাঁর বিভিন্ন ছবিতে মার্শাল আর্ট এর ভিন্ন ভিন্ন নতুন কলাকৌশল উপস্থাপন করতেন । যার মধ্য ‘ ড্রাংকিং কংফু’ (শত্রু সাবধান) , উইপিং কংফু ( বাঘের থাবা), ড্যান্সিং কংফু (ভণ্ড ) , ব্লাইনড কংফু ( চারিদিকে শত্রু) সহ দুর্দান্ত সব কলাকৌশল উপস্থাপন করেন ।

প্রায় ২০০ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন রুবেল যার মধ্য দেশের প্রবীণ খ্যাতিমান পরিচালক যেমন আছেন তেমনি আছেন একেবারে নতুন পরিচালক । যেসব পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন তাদের মধ্য উল্লেখযোগ্য ছিলেন শহিদুল ইসলাম খোকন , মাসুদ পারভেজ , আহমেদ সাত্তার, আবুল খায়ের বুলবুল , শিবলি সাদিক , মালেক আফসারি , রানা নাসের, ফজল আহমেদ বেনজীর, দেওয়ান নজরুল, কমল সরকার, এ জে রানা , এম এ মালেক , জিয়াউদ্দিন মাসুদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, স্বপন চৌধুরী, সোহানুর রহমান সোহান, জিল্লুর রহমান , গাজী জাহাঙ্গীর, কামারুজ্জামান, রায়হান মুজিব, জীবন চৌধুরী, সিদ্দিক জামাল নানটু, দেলোয়ার জাহান ঝনটু, তোজাম্মেল হক বকুল, শামসুদ্দিন টগর, মমতাজুর রহমান আকবর, ইস্পাহানি আরিফ জাহান, এনায়েত করিম, নাদিম মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, শাহাদত হোসেন লিটন, শাহিন সুমন প্রমুখ। ৯০ দশকের একেবারে শেষের দিকে রুবেল নিজে প্রযোজনা ও পরিচালনায় নামেন । তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিগুলো হচ্ছে বিচ্ছু বাহিনী, মায়ের জন্য যুদ্ধ , প্রবেশ নিষেধ, বাঘে বাঘে লড়াই, টর্নেডো কামাল, বিষাক্ত চোখ, রক্ত পিপাসা, সিটি রংবাজ, খুনের পরিণাম , অন্ধকারে চিতা, চারিদিকে অন্ধকার । এই পর্যন্ত তিনি ৫০ জনেরও বেশি অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি বেঁধে ছিলেন তাঁর মধ্য কবিতা ও পপি হচ্ছেন সর্বাধিক ছবির নায়িকা । রুবেলের অন্যান্য নায়িকারা হলেন রানী, জিনাত ,শতাব্দী রায় ( কলকাতা), সন্ধ্যা, চম্পা, সাথী, মিশেলা, সুচরিতা, পরী, দিতি, একা, মৌসুমি, অরুনা বিশ্বাস, লিমা, নন্দিনী, শিল্পী, তামান্না, সিমলা, কেয়া, সোনিয়া, শাহনাজ, শাহনূর প্রমুখ ।

রুবেলের আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি বাংলাদেশ ক্যারাতে ফাউন্ডেশন এর পরিচালক এবং তিনি দুই বার জাতীয় ক্যারাতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন । বাংলা চলচ্চিত্রে রুবেল চিরদিন উজ্জ্বল এক নক্ষত্র হয়ে থাকবেন এবং ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ।

রুবেলের অভিনীত ছবিগুলো – ১) লড়াকু,২)উদ্ধার, ৩) বীরপুরুষ,৪) বজ্রমুসঠি, ৫) মারকশা ৬) হুংকার ৭) বীরবিক্রম ৮) আমিই শাহেনশাহ ৯) বিষদাঁত, ১০) বজ্রপাত ১১)অকর্মা ১২) ইনকিলাব ১৩)আজাদ’ ১৪)উত্থান পতন ১৫)সন্ত্রাস’ ১৬)শেষ আঘাত ১৭)দেশ দুশমন ১৮)অর্জন ১৯) লাওয়ারিশ ২০)মা মাটি দেশ, ২১)গোলামির জিঞ্জির, ২২)অধিনায়ক ,২৩) বীরযোদ্ধা, ২৪)অন্যায় অত্যাচার, ২৫)মালামাল, ২৬)আন, ২৭)ওমর আকবর , ২৮)রুবেল আমার নাম, ২৯)মহাগুরু ৩০)মিন্টু সম্রাট, ৩১)লড়াই , ৩২)সম্পর্ক , ৩৩)মহাশত্রু, ৩৪) মৃত্যুদণ্ড ৩৫)মায়ের কান্না, ৩৬)টপ রংবাজ,৩৭) চোখের পানি , ৩৮)জ্বলন্ত আগুন , ৩৯)ট্রাক ড্রাইভার , ৪০)বিক্রম , ৪১) ডন ৪২)গোলাবারুদ, ৪৩)অপহরন ৪৪) ঘরের শত্রু, ৪৫)শত্রু ঘায়েল, ৪৬)রক্ত নিশান , ৪৭)সতর্ক শয়তান ,৪৮) মীরজাফর, ৪৯)গোয়েন্দা, ৫০)জ্বলন্ত বারুদ ,৫১) শত্রু ভয়ংকর ৫২) দুঃসাহস ৫৩) আজকের হিটলার ৫৪) শ্রদ্ধা ৫৫) দুর্নীতিবাজ ৫৬) মূর্খ মানব ৫৭) লৌহ মানব ৫৮) আখেরি রাস্তা ৫৯) বিশ্বপ্রেমিক ৬০) উল্কা ৬১) স্বজন ৬২) ভাংচুর ৬৩) ক্ষমা নেই ৬৪) রাগী ৬৫) দেশ দেশান্তর ৬৬) মিথ্যার রাজা ৬৭) বিদ্রোহী কন্যা ৬৮) ঘাতক ৬৯) ঘৃণা ৭০) বিপদ সংকেত ৭১) পরাধীন ৭২) মুক্তি চাই ৭৩) আর্তনাদ ৭৪) গরীবের সম্মান ৭৫) গরীবের বিচার নাই ৭৬) প্রেমিক রংবাজ ৭৭) কংফু নায়ক ৭৮) রাজার ভাই বাদশা ৭৯) পলাতক আসামী ৮০) জজ সাহেব ৮১) ভণ্ড ৮২) লম্পট ৮৩) মানুষ ৮৪) নরপিশাচ ৮৫) শত্রু সাবধান ৮৬) জননেতা ৮৭) কালো চশমা ৮৮) কাঙালি রাজা ৮৯) ডালভাত ৯০) বাদশা গুন্ডা ৯১) যোদ্ধা ৯২) রাক্ষস ৯৩) পাগলা ঘণ্টা ৯৪) নরপিশাচ ৯৫) গৃহযুদ্ধ ৯৬) মুক্তি চাই ৯৭) দোজখ ৯৮) দুই চোর ৯৯) অশান্ত বাদশা ১০০) নীল সাগরের তীরে ১০১) দুর্দান্ত দাপট ১০২) ক্ষমতার লড়াই ১০৩) মুখোশ ১০৪) জ্যান্ত লাশ ১০৫) বেয়াদব ১০৬) অগ্নি সন্তান ১০৭) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা ১০৮) আত্মপ্রকাশ ১০৯) জীবন মানেই যুদ্ধ ১১০) হিংস্র থাবা ১১১) ভয়ংকর সন্ত্রাসী ১১২) রবি মাস্তান ১১৩) কঠিন শাস্তি ১১৪) জিন্দাদাফন ১১৫) মাস্তানের দাপট ১১৬) জবাব দে ১১৭) সুখের আগুন ১১৮) খাইছি তোরে ১১৯) সন্ত্রাসী নায়ক ১২০) সেয়ানা পাগল ১২১) হারামখোর ১২২) টাইম নাই ১২৩) সাইক্লোন ১২৪) দুর্ধর্ষ দুর্জয়

১২৫) রিটার্ন টিকেট ১২৬) বেইমানির শাস্তি ১২৭) সন্ত্রাসী নায়ক ১২৮) বিল্লু মাস্তান ১২৯) খালাস ১৩০) গডফাদার ১৩১) জমিদার ১৩২) ধান্দা ১৩৩) বাবা কেন আসামী ১৩৪) গোলমাল ১৩৫) ফেরারি আসামী ১৩৬) মানিক বাদশা ১৩৭) কয়লা ১৩৮) খেসারত ১৩৯) তল্লাশি ১৪০) হিরো নাম্বার ওয়ান ১৪১)রক্ত গরম ১৪২) ড্যাঞ্জার হিরো ১৪৩) ঢাকার সম্রাট ১৪৪) বস্তির শাহেনশাহ ১৪৫) মরন আঘাত ১৪৬) চরমশিক্ষা ১৪৭) দুর্নীতি দমন ১৪৮) আজকের গরম খবর ১৪৯) তছনছ ১৫০) সদর ঘাটের কুলি ১৫১) দাঙ্গা দমন ১৫২) গেরিলা বাহিনী ১৫৩) ড্যাঞ্জার মিশন ১৫৪) পাগলা মাস্তান ১৫৫) প্রেমিক ডাকাত ১৫৬) অসভ্য মানুষ ১৫৭) অবৈধ অস্র ১৫৮) ঘুম হারাম ১৫৯) অন্ধ আইন ১৬০) এলাকার বাদশ ১৬১) ওরা সোলজার ১৬২) ব্যারিকেড ১৬৩) কাউনটার অ্যাটাক ১৬৪) দুশমনের দুশমন ১৬৫) কাটা লাশ ১৬৬) রাঙা মাস্তান ১৬৭) চ্যালেঞ্জের মুখে ১৬৮) ফুটপাতের শাহেনশাহ ১৬৯) সুখের আশায় ১৭০) শিকারি ১৭১) ভাইয়া নাম্বার ওয়ান ১৭২) প্রেমিকা ছিনতাই ১৭৩) শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৭৪) চুরমার ১৭৫) ছোট বোন ১৭৬) উত্তর দক্ষিন ১৭৭) একশো কোটি টাকা ১৭৮) মহাতাণ্ডব ১৭৯) মাস্তান সম্রাট ১৮০) বড় ভাই জিন্দাবাদ ১৮১) নেশা ১৮২) দমকা ১৮৩) জজের রায়ে ফাঁসী ১৮৪) কাটা রাইফেল ১৮৫) কালা দুনিয়া ১৮৬) জিদ্দি সন্তান ১৮৭) আদরের ছোট ভাই ১৮৮) অন্যায়ের প্রতিশোধ ১৮৯) অশান্ত বাদশা ১৯০) নিনজা ১৯১) বাংলার বাঘ ১৯২) ধর মাস্তান ১৯৩) আগুন আমার নাম



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

এন ইউ এমিল বলেছেন: স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ভাই :(

একসময় রুবেল আমার প্রিয় নায়ক ছিল সে জায়গা এখনো কেউ দখল করেতে পারেনি, এখনতো ছবি দেখর সময়ই পাইনা, আর বাংলা ছবি শোনলেই কেমন যেন মাথা ঘুরা (কিছু অস্বাধারন ছবি বাদে)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

কবি ও কাব্য বলেছেন: ভাই আপনাদের মনে করিয়ে দেইনি, আমার স্মৃতিগুলো একটু মনে করলাম । খুব মিস করি সেই দিনগুলোকে

২| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

সামির হোসাইন বলেছেন: হুম রুবেল এর অনেক মুভি দেখছি , প্রথম টা বোধ হয় বিপ্লব , আর শেষের টা ভন্ড

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: আমি দেখেছি ১২২ টা ছবি হলে

৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

হেডস্যার বলেছেন:
জটিল লেখা...
++++++

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনাকেও জটিল ধন্যবাদ স্যার ।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

মাসুদ রশিদ বলেছেন: ১৯৩.... অনেক

৫| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

C/O D!pu... বলেছেন: রুবেলকে অনেকটা টাইপড হিরো মনে হয়... অ্যাকশনধর্মী ছবিতে মানানসই, বলতে গেলে বাংলা ছবির অ্যাকশনের জনপ্রিয়তা রুবেলেরই সৃষ্টি...

৬| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

C/O D!pu... বলেছেন: রুবেলকে অনেকটা টাইপড হিরো মনে হয়... অ্যাকশনধর্মী ছবিতে মানানসই, বলতে গেলে বাংলা ছবির অ্যাকশনের জনপ্রিয়তা রুবেলেরই সৃষ্টি...

৭| ১৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

কালোপরী বলেছেন: :)

৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৭

অমৃত সুধা বলেছেন: এক সেকেন্ডেই মুভি ডাউনলোড!
http://dhakajournal.com/?p=7686

৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ++++++

১০| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

ভিটামিন সি বলেছেন: রুবেলরে আমার ভালো লাগত না। তবে ভন্ড দেখে ব্যাফুক মজা পাইছিলাম।

১১| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

করতাল বলেছেন: ১৯৬৯ সালে জন্ম !!! এই তথ্য টি কি একটু যাচাই করা যায় ? ?

১২| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

করতাল বলেছেন: ১৯৬৯ সালে জন্ম !!! এই তথ্য টি কি একটু যাচাই করা যায় ? ?

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

করতাল বলেছেন: ১৯৬৯ সালে জন্ম !!! এই তথ্য টি কি একটু যাচাই করা যায় ? ?

১৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মোঃ জুম্মা বলেছেন: অসাধারণ। রুবেল অসাধারণ ।

১৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

মদন বলেছেন: রুবেলের প্রথম সিনেমা দেখেছিলাম স্কুল পালিয়ে। বীরপুরুষ। এর পরে দেখি বজ্রমুষ্ঠি। বাংলা সিনেমার নায়ক বলতে আমি তারেই গুরু মানি :)

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

কবি ও কাব্য বলেছেন: আমি ছবি দুটো দেখেছি পরিবারের সাথে । তবে ৯১ তে পালিয়ে ছবি দেখা শুরু হয় আমার । রুবেল ছিল সেই সময় দুর্দান্ত ।

১৬| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

শিপু ভাই বলেছেন:
আমার প্রিয় একজন নায়ককে নিয়ে অসাধারন এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ পাপ্পু ভাই!!!
++++++++++++++++






অঃটঃ ভাই বেরাদার হিসাবে একটা কথা কই- আপ্নে চলচিত্র ও বাংলা গানের ব্যাপারে যে ভূমিকা রাখছেন তা অসাধারন। এক্ষেত্রে আপনার ধৈর্য ও ত্যাগ অপরিসীম। আপনি এগুলোই চালিয়ে যান। গতানুগতিক নোংরা রাজনৈতিক টপিকে আপনারে সামিল হইতে দেখলে ভাল লাগে না। সবাইরে সব কিছুতে মানায় না।

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

কবি ও কাব্য বলেছেন: শিপু ভাই অনেক ধন্যবাদ ।

অফটপিক ঃ ভাই আমারও ইচ্ছে করে না পলিটিক্যাল পোস্ট । কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন এর সময় দেখলাম পুরো দেশকে দুইভাগে বিভক্ত করে পরিচিত অনেকেই পলিটক্যাল পোস্ট শেয়ার ও লিখা শুরু করছেন । তখন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না । যুদ্ধঅপরাধীর বিচার সব সময় মনে প্রানে সম্পূর্ণ সততার সাথে হোক এই দাবী করে আসছিলাম এবং এই ইসুকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না করার জন্য চাচ্ছিলাম । কিন্তু যখনই দেখলাম রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তখনই বুঝলাম যুদ্ধ অপরাধীর বিচার আবারও কলঙ্কিত হতে যাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করে পুরো দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হলো তখন এই বিভক্তি দূর করার জন্য নিজেকে নামতে হলো । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কাউকে ব্যবসা করতে দিবো না এটাই আমার শেষ কথা ।

১৭| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

জালাটান বলেছেন: রুবেল হতে পারত বাংলাদেশের কিংবদন্তি। কিন্তু শেষের দিকে এসে বিভিন্ন নায়িকাদের সাথে এমন কিছু সিনেমা করছে যার কোন দরকার ছিল না।

সাহারার কথাই বলি। সাহারার করা সব চেয়ে বাজে গান রুবেলের সাথে করা । সাহারার "বিষাক্ত চোখ" সিনেমাতে অনেক বাজে ভাবে ক্যামেরার সামনে আনা হইসে। সব গুলা পোশাক ছিল স্বচ্ছ, তাই ভিতর এর সব পোশাক খুব স্পষ্ট ছিল, অনেকটা ইচ্ছে করে দেখানো হয়েছে সে গুলা। করিওগ্রাফিও খুব বাজে ছিল। স্বচ্ছ মিনি ফ্রক, নাইটি পরা এই গানটার কোন মানেই ছিল না, রুবেলের ইচ্ছাতেই নাকি করা হইসে এটা। এমনকি সাহারা এই সিনেমাতে রুবেলের নায়িকাও ছিল না, পপি ছিল। সাহারার আরও খোলামেলা গান আছে কিন্তু এইটা সাহারার করা সব চেয়ে বাজে গান আমার দেখা। সাহারা ছিল নতুন নায়িকা, বড় বাজেটের সিনেমা ছিল বলে সাহারাকে দিয়ে অনেক কিছু করানো হইসে রুবেল এর সাথে গানে।

অনেক নায়িকার ক্যারিয়ারের সব চেয়ে খোলামেলা গান রুবেলের সাথে। এমনকি পপি, মৌসুমিরও। কেয়া, মনিকা, শায়লা, শানু দের সাথেও অনেক আজেবাজে গান আছে।

রুবেল এই কাজ গুলা করে নিজের ইমেজটা নিয়ে ঝামেলা না করলে ভাল করত।

১৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার প্রতিটা পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত হই।ব্লগে বাংলা ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রিকে এমন ভাবে কেউ উপস্থাপন করতে পারেন নাই কখনো।

ভালো থাকবেন।

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

সৌরদীপ্ত বলেছেন: রুবেলের ছবি মানেই একশান, ছোটবেলা থেকেই দেখেছি তার অন্যরকম একটা ইমেজ আছে। তবে অশ্লীল গানের চিত্রায়নেও তার ছবিগুলো মনে থাকবে। বিশেষ করে মৌসুমীর সাথে পরাধীন ছবিতে করা "চুপ, একদম চুপ" গানটার দৃশ্যগুল‌ো এখনো চোখে ভাসে। এছাড়া পপি, শানু, সাহারা এরাও তার সাথে খোলামেলা গানের দৃশ্যে অংশ নিয়েছে।

২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

ইউছুফ আলী ভাই বলেছেন: আর যাই বলেন ভাই নায়ক হিসাবে (একশান ফাইটার) রুবেল আমার কাছে বাংলা ছবির বস। তার উপর কোন গুরু বা বস নাই। তার ছবি গুলো অন্য রকম এক কথায় অসাধারণ। শেষের দিকে কিছু বাজে ছবি বা ছবির কিছু অংশে অভিনয় করেছে। কিন্তু আগের ছবিগুলো দেখার মত। তাছাড়া আমরা চাইনিজ ও হিন্দি ছবি না দেখে তার ছবি দেখেই কিন্তু মন ভরাতে পারতাম। এখন ঐ মানের কোন নায়কই বাংলাদেশে নাই। কলকাতায় ও বোম্বে বর্তমানে তামিল ছবির নকল চলে। কিন্তু রুবেল কিছু চাইনা মুভি নকল করলেও তার ভাবটা ফুটিয়ে তুলতে পারত। যা অসামান্য। তাই তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পানি না।
আর আমাদের মাঝে ব্লগটি সুন্দরভাবে তথ্যদিয়ে সাজিয়ে পেশ করার জন্য ব্লগের লেখক কে তো ধন্যবাদ না দিয়ে পারিনা। ধন্যবাদ ভাই চালিয়ে যান।

২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: আমার প্রিয় নায় রুবেলকে নিয়ে এত সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ডানাভাঙ্গা চিল বলেছেন: দারুণ ছিল পোস্টটা। নস্টালজিক।
পুরান পোষ্টে ++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.