নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আমরা নিজেরা বদলে যাই,\nতবেই আমাদের সমাজ বদলাবে।

লাল মাহমুদ

লাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন যত মারণাস্ত্র ( MOAB, FOAB, জিরকন, সারিন গ্যাস এবং টমাহক) এদের কিছু তথ্য,,,, পর্ব - ০৪

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১২:০১

গত তিনটি পর্বে আপনাদের সামনে MOAB, FOAB এবং জিরকন সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছিলাম। আজ আরেক মারণাস্ত্র সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। চলুন জেনে নিই রাসায়নিক গ্যাস 'সারিন গ্যাস' সম্পর্কে,,,,

৪ এপ্রিল ২০১৭ সিরিয়ার উত্তর - পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন এলাকায় সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালায়। ঐ হামলায় ২০ শিশুসহ অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার রোধে গঠিত সংগঠন OPCW'র মতে, এ রাসায়নিক গ্যাস হামলায় ভয়াবহ
'সারিন গ্যাস' সহ আরও কিছু বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার হয়।

#সারিন গ্যাস#

মিনিটখানেকের মধ্যে প্রাণ কেড়ে নিতে সক্ষম সারিন গ্যাসের উদ্ভব জার্মানিতে। শক্তিশালী কিটনাশক তৈরী করতে গিয়ে জার্মান বিঞ্জানীরা ১৯৩৮ সালে উদ্ভাবন করেন সারিন। সারিন গ্যাস তৈরি করা খুব সহজ এবং ব্যয় অত্যন্ত কম বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য মতে, সায়ানাইডের চেয়েও ২৬ গুণ বেশি মারাত্মক সারিন। এর ছোট্ট এক বিন্দু একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার রোধে গঠিত সংগঠন OPCW জানিয়েছে, নিঃশ্বাসের সাথে ২০০ মিলিগ্রাম সারিন মানব শরীরে ঢুকলে কোনো রকমের লক্ষণ ছাড়াই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে। শুধু নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নয়, ত্বকের মাধ্যমেও এটি শোষিত হয়ে ফুসফুসেরর চারপাশের মাংসপেশি অবশ করে ফেলতে পারে এবং পুরো স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল করে মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। তবে ত্বকের মাধ্যমে সারিন শোষণে তুলনামূলক ভাবে বেশি সময় লাগে। ফলে প্রথম আধা ঘন্টায় মাথা ব্যথা, বমিভাব, খিচুনি, শ্বাসকষ্ট কিংবা এরকম কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু এরপর খুব দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তির ভোগান্তি শুরু হয়। খাবার ও পানির মাধ্যমে সারিন শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কোনো কারনে সারিন মানুষের শরীরে ঢুকলে মৃত্যু না হলেও চোখ, ফুসফুস ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্তু স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সারিন বাতাসের চেয়ে ভারী বলে যে এলাকায় প্রয়োগ করা হয়, সেখানে বায়ু প্রবাহ না থাকলে ঐ গ্যাস ছয় ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

বর্তমানে সারিন গ্যাস মজুদ রয়েছে কমপক্ষে এমন পাঁচটি দেশ এ কথা ঘোষণা করেছে। পাঁচটি দেশ হলোÑ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, লিবিয়া, ইরাক এবং জাপান। তবে চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের কাছে মজুদ সারিন গ্যাস ধবংসের কথা স্বীকার করলেও তা ছিল খুবই মন্থরগতিতে। সবশেষ জুলাই ২০১৩ এ জানা যায় চীনে বর্তমানে ১৩ হাজার টন রাসায়নিক গ্যাস বিদ্যমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে সিরিয়া, ইরান ও উ. কোরিয়ায় এ রাসায়নিক গ্যাস রয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়ায় ভিএক্স, সারিন, মাস্টার্ডসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ ছাড়াও আরো কিছু দেশ রয়েছে যাদের সারিন গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে কিন্তু জনসমক্ষে তারা এটা প্রকাশ করছে না। সম্ভাব্য এ দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, মিসর, সার্বিয়া সুদান, তাইওয়ান এবং ভিযেতনাম। ভারত ১৯৯৭ সালে তাদের কাছে রাসায়নিক গ্যাস সারিন আছে বলে ঘোষণা করে।

আরও বিস্তারিত জানতে: Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১২:২০

লাল মাহমুদ বলেছেন: B-)

২| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নাম শুনেছি, আজ বিস্তারিত জানলাম।।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৭ ভোর ৬:২৮

লাল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করার জন্য,,,,

৪| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

রাখালছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪২

লাল মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ,,,,, কৃতজ্ঞতা,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.