নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আমরা নিজেরা বদলে যাই,\nতবেই আমাদের সমাজ বদলাবে।

লাল মাহমুদ

লাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড, একটি কপি পেস্ট পোস্ট

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত জেলে গেলেন। দুর্নীতির দায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তার পুত্র তারেক রহমানের হয়েছে দশ বছর। এর আগের এক মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। মা জেলে গেছেন। পুত্র ভাগ্যবান। এক-এগারোর সরকারের সময় মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার নামে সেই যে বিদেশে গেছেন আর ফেরেননি। সহসা ফিরবেন বলে মনে হয় না। ভাগ্যক্রমে তাই তাকে জেলে ঢুকতে হয়নি। তারেক রহমানের চেয়ে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের মেয়াদ কম। সম্ভবত তার বয়স এবং বর্তমান অসুস্থ অবস্থার কথা আদালত বিবেচনা করেছেন।

এই ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত কী রায় দেন, সেদিকে সারাদেশ উন্মুখ হয়ে তাকিয়েছিল। যদিও এই মামলা ছিল দুর্নীতির মামলা এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পূর্ববর্তী সেনা প্রভাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মামলা দায়ের করে গেছে। তথাপি বিএনপির নেতারা এটাকে একটা উদ্দেশ্যমূলক রাজনৈতিক মামলা, অসত্য মামলা এবং আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য এই মামলার রায় ম্যানুপুলেট করছে বলে দীর্ঘকাল প্রচারাভিযান চালিয়েছেন।

তাদের সে অভিযান যে ব্যর্থ হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির রায় তার প্রমাণ। আরও বড় প্রমাণ, তাদের প্রচার-প্রোপাগান্ডা দেশের মানুষ বিশ্বাস করেনি। তাই এই রায় ঘোষিত হওয়ার আগে থেকেই ' খালেদা জিয়াকে দণ্ড দিলে দেশে আগুন জ্বলবে' বলে তারা যে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন, তা অসার বলে প্রমাণিত হয়েছে। রায় ঘোষিত হওয়ার আগে-পরে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর রাস্তায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ছাড়া সাধারণ মানুষও রাস্তায় নামেনি। ক্ষোভ প্রকাশ করেনি। ঢাকাসহ সারাদেশে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। রায় ঘোষিত হওয়ার পরদিন অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিএনপি সারাদেশে রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে। এই লেখাটা আগেভাগেই লিখছি। সেই ডাক কী অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে, তা আমার জানা হয়নি।

আমার ধারণা, কিছু ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল ছাড়া আর কিছুই হবে না। জামায়াতিরা এই বিক্ষোভের ডাক শুনে বিএনপির ছাতার আড়ালে আবার সন্ত্রাসে নামতে চাইলে পার পাবে না। সরকার তাদের মামলা দেওয়ার জন্য আগে থেকে প্রস্তুত রয়েছে। আমাকে ঢাকার এক প্রবীণ আইনজীবী বলেছেন, বিএনপি গোড়া থেকেই হিসাবে ভুল করেছে। বিএনপির আইনজীবীরা এই দুর্নীতির মামলাকে প্রকৃত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে যুক্তিতর্ক ও আইনের সাহায্যে অসত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করার চেয়ে এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মামলা বলে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে রাজনৈতিক গলাবাজি, আদালতে হাঙ্গামা ইত্যাদি দ্বারা দলের অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীকে বাঁচাতে চেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে নিজেদের আখের গোছাতে চেয়েছেন। প্রবীণ আইনজীবীর মতে, তাদের এই চেষ্টা সফল হয়নি।

বিএনপিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অপশাসনের অভিযোগ থেকে মুক্ত করা মুশকিল। বিএনপির কয়েক দফা শাসনামলে জিয়া পরিবারের দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাসের রাজনীতি এবং তারেক রহমানের হাওয়া ভবন এখন লোকের মুখে মুখে প্রবাদবাক্য। তবু আইনের মারপ্যাঁচ খাটিয়ে, যুক্তিতর্কের সাহায্যে বিএনপির একপাল আইনজীবী এই মামলাগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে পারতেন। তারা তা করেননি। তারা নিরপেক্ষ আইনজীবীর পরিবর্তে দলীয় আইনজীবীর ভূমিকা গ্রহণ করেছেন এবং রাজনৈতিক গলাবাজি দ্বারা মামলায় জয়ী হতে চেয়েছেন। তখনই প্রমাণ হয়েছে, এই মামলা অসত্য প্রমাণ করার মতো তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে নেই। আইনের মারপ্যাঁচ ও কৌশল খাটানোর মতো দক্ষতা ও যোগ্যতাও তাদের অনেকের নেই।

সে জন্যই বিএনপির এই আইনজীবী ও নেতারা আইনি লড়াইয়ের চেয়ে এই মামলাগুলোকে রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। হয়তো ভেবেছিলেন, এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে জনগণ তাদের সমর্থন দিতে এগিয়ে আসবে। তারা হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। যেমন দেশের মানুষ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ব্যর্থ করে দিয়ে আইয়ুব-মোনায়েম সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছিল। বিএনপির আইনজীবী ও নেতারা আহম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। বর্তমান আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু বিএনপির শাসনামলের হত্যা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির অভিশপ্ত বছরগুলোর কথা এত শিগগির তারা ভোলেনি।

খালেদা জিয়ার জন্য আমার সত্যি দুঃখ। একজন স্বৈরাচারী সেনাশাসকের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রথমে স্বৈরতান্ত্রিক পন্থা ত্যাগ করে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এক আশার আলো জ্বেলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পুনর্গঠন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে আপসহীন নেত্রী খেতাব লাভ করেন। প্রথম ক্ষমতায় বসেই জনমত ও বিরোধী দলগুলোর দাবিকে সম্মান জানিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। তার সরকারের আমলে একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রথম কারাবন্দি হন। আমার তো একসময় ধারণা জন্মেছিল, খালেদা জিয়া হবেন বাংলাদেশের ইভা পেরন। তিনি তা হতে না পেরে ইসাবেলা পেরনের মতো দুর্নীতি ও অপশাসনের দায়ে আদালতের রায়ে জেলে বন্দি হলেন কেন?

খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তার দণ্ড হওয়ায় আওয়ামী লীগ খুশি হতে পারে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিশোধের মনোভাবও থাকতে পারে। কিন্তু বিএনপি নেত্রীর বর্তমান পরিণতির জন্য আওয়ামী লীগের দল ও সরকারকে ঢালাওভাবে দায়ী করে লাভ নেই। খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিণতির জন্য মূল দায়ী তার অন্ধ সন্তানস্নেহ এবং নিজের কর্মফল। অন্ধ মাতৃস্নেহের জন্য বিশ্বের বহু গরীয়সী নারীর জীবনেও রাজনীতিতে বিপর্যয় এসেছে। তাদের মধ্যে ভারতের নেহরুকন্যা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একজন।

ইন্দিরা গান্ধী দুর্নীতিপরায়ণ ছিলেন বা গণতান্ত্রিক আচার-আচরণে বিশ্বাসী ছিলেন না- এমন কথা তার অতি বড় সমালোচকও বলবেন না। কিন্তু তার ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর প্রতি ছিল তার অন্ধ সন্তানস্নেহ। রাজনীতিতে তিনি লৌহমানবী নামে পরিচিত হলেও সন্তানদের কাছে তিনি ছিলেন একেবারে কোমল হৃদয় মাতা। সঞ্জয়ের কোনো দোষ তার চোখে পড়ত না। এই সঞ্জয় গান্ধীকে তিনি ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করবেন ভেবেছিলেন।

সঞ্জয় গান্ধীর দুর্বৃত্তপনার অন্ত ছিল না। মায়ের মাথার ওপর তিনি ছড়ি ঘোরাতেন এবং তার দাপটে প্রশাসন ও কংগ্রেস দল অস্থির ছিল। তার বিভিন্ন পরিকল্পনা, বিশেষ করে বাধ্যতামূলক পুরুষ বন্ধ্যত্বকরণ নীতি সারা ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয়। সঞ্জয় গান্ধীর কীর্তিকলাপের কারণেই ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস দলের শুধু নির্বাচনে ভরাডুবি হয়নি, বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে ইন্দিরা গান্ধীকে ভারতের কুখ্যাত তিহার জেলে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। তার বিদেশে যাওয়ার পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন বিশ্বের বরেণ্য নেতাদের একজন। তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতার কোনো তুলনা নেই। তবু অন্ধ সন্তানস্নেহ ও কর্মফল তার রাজনৈতিক জীবনে বিরাট বিপর্যয় ঘটিয়েছিল। সঞ্জয় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ইন্দিরা গান্ধীর তুলনায় রাজনীতিতে খালেদা জিয়া কিছুই নন। কোনো রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম হয়নি। ছিলেন একজন সেনা অফিসারের স্ত্রী। ভাগ্যচক্রে রাজনীতিতে এসেছেন। রাজনীতি সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা খুবই কম। এই অবস্থায় অন্ধ সন্তানস্নেহে আক্রান্ত হলে তিনি কর্মফল এড়াবেন কী করে? ইন্দিরাও যা পারেননি।

আমার আগে ধারণা ছিল, খালেদা জিয়া নিজে ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিপরায়ণ নন। তার পরিবার, বিশেষ করে পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত কোকোর দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, সন্ত্রাস ও অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকে প্রশয় দিতে গিয়ে নিজেও সম্ভবত তাদের কাজে জড়িয়ে গেছেন। তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করা খালেদা জিয়ার বড় সাধ। কিন্তু সে জন্য তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত করার আগে কুখ্যাত হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া, ক্ষমতায় বসার আগেই তাকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেওয়া, দেশের প্রত্যেকটি বড় সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাজে তার জড়িত হওয়াকে প্রশয় দেওয়া খালেদা জিয়ার চরিত্রকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তাকে জেলে যেতে হয়েছে। এখন এটাকে কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের চক্রান্ত বলে প্রচারণা চালালে বিএনপি লাভবান হবে না।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা যদি খালেদা জিয়ার এই দণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এবং আদালত তা গ্রহণযোগ্য মনে করেন, তাহলে জামিনে মুক্ত হতে তার বেশি দিন লাগবে না। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ যদি আদালতের দণ্ডের কারণে নিষিদ্ধ হয়, তাহলেও নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিতে তার কোনো বাধা থাকবে না। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব না হলেও তার নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ওয়াকওভার পাবে না।

এই কথাটি ঠাণ্ডা মাথায় বিবেচনায় রেখে বিএনপিকে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। আন্দোলন করে দলের নেত্রীকে তারা কারামুক্ত করতে পারবে না। সেই শক্তি ও জনসমর্থন তাদের নেই। 'খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাব না'- এই ধুয়া তুলে নির্বাচন বর্জন করতে চাইলে বিএনপি দুর্বল ও দ্বিধাবিভক্ত হবে। তারেক রহমান মায়ের অনুপস্থিতিতে দলের চেয়ারপারসন হয়ে নেতৃত্ব দেবেন কি? বিদেশে বসে রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া যার আর কোনো যোগ্যতা নেই এবং যিনি আদালতের রায়ে নিজেও দণ্ডিত, তিনি দলকে কী নেতৃত্ব দেবেন? তিনিও তো দেশে অনুপস্থিত। মা জেলে, তিনি বিদেশে। এখন দেখার রইল, বিএনপি এখন কী করে? এই সময়টা তাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষার কাল।

লন্ডন, ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, ২০১৮
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আর কিছু সময় গেলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: বিএনপি তে সুবিধাবাদীদের যে অংশ টা আছে। তাদেরকে নিয়েই সবচেয়ে বড় ভয়। আপনার মত আমিও সময়ের অপেক্ষায় আছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২১

রাফা বলেছেন: কথাগুলো আগুন আর পানির মত সত্য।বি,এন,পির নেতৃবৃন্দ এখনও জেগে ঘুমাইতেছেন।আমার ব্লগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এরপরেও বি,এন,পি জামাতের বি টিমের মতই রাজনীতি করে যাবে ইনশা-আল্লাহ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

লাল মাহমুদ বলেছেন: জামায়তের জন্যই বিএনপি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারছে না। জামায়াত কে সাথে রাখার জন্য বিএনপির গায়ে যে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লেগেছে,তার থেকে তাদের নিকট ভবিষ্যৎ যে, মুসলিমলীগ হতে পারে, তা এখন অনেকেরই ধারনা। যাইহোক, সময়ই বলে দিবে সব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.