নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আমরা নিজেরা বদলে যাই,\nতবেই আমাদের সমাজ বদলাবে।

লাল মাহমুদ

লাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন, কিন্তু ডাক্তার আপনাকে কি ঔষুধ দিবে তা ভুলে গেলেন। এমন কি হয়েছে কখনো???

১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

গত বেশ কিছুদিন যাবৎ বাম বুকে ব্যাথা, খালি পেটে ব্যাথা, ভরা পেটে বাম বুকে জ্বালা পোড়া করা, মাঝে মাঝে বুক ধড়ফড় করা সহ ইত্যকার সমস্যায় ভুগছিলাম। এর সাথে আবার নতুন করে বাম হাতে অসস্থি লাগাতে, একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম হার্টে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা! ডাক্তার দেখাব ঠিক করলাম। কিন্তু কোন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার দেখাই? তা নিয়ে আবার আরেক দুঃশ্চিন্তায় পড়লাম। হার্ট স্পেশালিষ্ট দেখাবো নাকি মেডিসিন স্পেশালিষ্ট দেখাবো। অবশেষে কয়েকজনের সাথে পরামর্শ করে মেডিসিন স্পেশালিষ্ট দেখানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমি যে ডাক্তার দেখাবো বলে ঠিক করলাম, উনি একজন প্রফেসর। আবার এফসিপিএস করেছেন দুইবার। একবার পাকিস্তান আমলে আবার বাংলাদেশ হওয়ার পরে। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ডিগ্রি নেওয়া। ভাবলাম অভিজ্ঞ ডাক্তার, আবার ভিজিটও কম। মাত্র ৬০০ টাকা ভিজিট। তাহলে উনার কাছেই যাই। আমি যেখানে থাকি তার পাশেই একটা নাম করা হাসপাতালে উনি চেম্বার করেন প্রতি রবিবার ও বুধবার।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল তার কাছে গিয়েছিলাম। হাসপাতালে গিয়ে ৬০০ টাকা ভিজিট দিয়ে সিরিয়াল দিলাম। উনার আসার কথা সকাল ১০ঃ৩০ টায়। সিরিয়াল দেওয়ার পর জানতে পারলাম উনি আসবেন ১১ঃ০০ টায়। বসে রইলাম উনার আসার অপেক্ষায়। অপেক্ষার সময় কি আর কাটতে চায়। অবশেষে ডাক্তার সাহেব আসলেন। তখন ঘড়িতে ১১ টা বেজে ৪৫ মিনিট। ডাক্তার সাহেব আসার পর আবার শুরু হলো সিরিয়াল পাওয়ার অপেক্ষা। অপেক্ষার পালা শেষ করে চেম্বারে প্রবেশ করলাম। সালাম দিয়ে উনার সামনে বসলাম এবং আমার যাবতীয় সকল সমস্যা খুলে বললাম। ডাক্তার সাহেব সব কিছু শুনলেন এবং গজ গজ করে প্যাডে পরীক্ষার লিস্ট করলেন। তারপর আমার হাতে ফাইলটা দিয়ে বললেন এগুলো পরীক্ষা করে নিয়ে আসেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার যে পরীক্ষা নিরীক্ষা দিবেন এটা জানাই ছিল। আমি যতটুকু জানতাম, যে সমস্যা নিয়ে আমি গিয়েছি, তাতে করে আমাকে তিনটা পরীক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু উনি আমাকে তিনটার জায়গা ছয়টা পরীক্ষা দিয়েছেন। অবশ্য এই সব আগেই প্রস্তুতি ছিল। যাইহোক, সকল পরীক্ষানিরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার সাহেবের কাঋে গেলাম। ডাক্তার সাহেব রিপোর্ট গুলো দেখে আমাকে বললেন, আপনার তো কোনো সমস্যা দেখি না। আমি বললাম, স্যার তাহলে আমার উপসর্গ গুলো কিসের। ডাক্তার বললেন, আপনি টেনশন করেন। তারপর তিনি প্রেসক্রিপশন করতে গিয়ে আমাকে কি ঔষধ দিবেন ভেবে পেলেন না। অবশেষে মোবাইলে এ্যাপস দেখে তিনটা ঔষধ লিখে দিলেন। চলে আসার সময় শুধু বললাম, স্যার আপনার যে বয়স, এই সময়ে আপনার তো রেস্টে থাকার কথা। আপনি কেন জাগায় জাগায় চেম্বার করে বেড়ান। এখন স্যার রেস্ট নেন। তার উত্তরের অপেক্ষা না করে বেরিয়ে চলে এসেছি।
আসতে আসতে একটা কথা মাথায় ঘোরপাক খেতে লাগল। আচ্ছা একজন ডাক্তারের জীবনে কত টাকা প্রয়োজন? সারাটা জীবন এই ডাক্তার সাহেব তো টাকা কামিয়েছেন। এই শেষ বয়সেও তার এতো টাকার প্রয়োজন কেন? পরে এই ডাক্তার সাহেবের গতকালের একটা হিসাব করলাম। তাতে গতকাল উনি প্রায় ৯০০০ (বিশ) হাজার টাকা শুধু ভিজিট বাবদই পেয়েছেন। এই টাকাটা উনি পেলেন মাত্র বেলা ১১ঃ ৪৫ থেকে বিকাল ৪ঃ০০ পর্যন্ত পরিশ্রম করে।


আগে যদি জানিতাম, তবে ডাক্তারই হইতাম
রোগী দেখতাম, আর টাকা কামাইতাম।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ডাক্তার হলেও, সমস্যা এ রকমই থাকতো; তখন আপনি চেম্বারের বসে এসব সুন্দর কথা শুনতেন রোগীর মুখ থেকে।

১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

লাল মাহমুদ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।

এ জন্যই হয়তো উপরওয়ালা আমার কপালে ডাক্তারি পেশা রাখেন নি। তাতে করে ভালোই হয়েছে।

২| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা সেবা বাদ দিয়ে টাকা কামানোর জন্য ডাক্তার হয় তারা বদ।

১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

লাল মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা,,, তা যা বলেছেন, নুর ভাই।

আমার এক চাচা, তার মেয়ে কে দশ লক্ষ টাকা এডমিশন ফি দিয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়াচ্ছেন। সে ডাক্তার হয়ে যতটুকু সেবা দিবে তার দ্বিগুণ তো তাকে কামাইতে হবে। কিন্তু তার পরেও তো নূন্যতম মানবতা থাকতে হবে!! কিনৃতু আমরা বর্তমানে এমন এক সময় পার করতেছি, যেখানে মানুষ মরার আগেও টাকার গন্ধ শুকতে চায়। সবার শুধুই টাকা,টাকা আর টাকা দরকার।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: টাকার নেশা এমন এক নেশা যা কখনো মানুষকে ছাড়ে না, সে ডাক্তার হোক আর যাই হোক।

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

লাল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
কথা কিন্তু সইত্য।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনিও একই কাজ করতেন। এটা যে একধরনের নেশা।

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: হয়তো করতাম, নয়তো করতাম। যেহেতু ঐ অবস্থানে আমি নেই তাই অগ্রীম বলা যাচ্ছে না। তবে যাবতীয় নেশাই কিন্তু খারাপ। তা একদিন ধ্বংস করে সব কিছু।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাই।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১:১২

চাঙ্কু বলেছেন: তাইলে আর কি! ডাক্তারি পড়া শুরু করে দেন ;)

১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:৫২

লাল মাহমুদ বলেছেন: ডাক্তারদের আর যাই বলুন, তাদের কিন্তু টাকার অভাব হয় না। সে সময় থাকলে হয়তো শুরু করে দিতাম।

মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৮

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: এগুলো ব্যতিক্রম । নব্বই ভাগ ডাক্তার মানবিক। বর্তমান সময়ে এইসব বেশি চোখে পড়ার কারণ হলো টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট পাওয়া ডাক্তারগণ।

১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:২১

লাল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক প্রত্যয়।

আসলে ডাক্তারি পেশা টা এখন এমন হয়ে, যে ডাক্তারটের কাছে যেতে আমরা এখন ভয় পাই। আপনি নব্বুই ভাগ ডাক্তারদের মানবিক বলেছেন। এটার সাথে আমি একটু দ্বিমত পোষণ করছি। বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ। আপনি যদি কখনো ডাক্তারের কাছে যান তবে নিজেই পরিস্থিতি টা অনুধাবন করতে পারবেন। কিছু কিছু ডাক্তারের মাঝে আপনি সেবা জনিত ত্রুটি খুজে না পেলেও, ব্যবস্থা জনিত ত্রুটি অবশ্যই খুজে পাবেন।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৫৫

ওমেরা বলেছেন: যাক আপনার কোন সমস্যা নেই এটা ভাল।
আচ্ছা আপনারা সবাই ডাক্তারা বিভিন্ন টেষ্ট দেন এটা খারাপ ভাবে দেখেন কেন? আমাদের এখানেও যে কোন রোগের জন্য ডাক্তারের কাছে গেলেই আগে বিভিন্ন রকমের টেষ্ট করেন এর পর যদি প্রয়োজন মনে করেন অষুধ দিবেন না হলে না।

১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:২৮

লাল মাহমুদ বলেছেন: আমার সমস্যা নেই জেনে আমিও শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ,
আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা আপু ভয়াবহ। এখানে প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় টেস্টই বেশি দেন ডাক্তার সাহেবেরা। এতে তারা কমিশন পান। প্রয়োজন অনুয়ায়ী টেস্ট দিলে কারও কিছু বলার থাকত না বা বলত না। আমাদের বিশাল পরিমানের অশিক্ষিত আর বোকা জনগনদের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করছে এক শ্রেণীর অসাধু ডাক্তার এবং ক্লিনিক মালিকেরা।

অশেষ ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এপৃথিবীতে ডক্তারী এমন একটি পেশা যার মেয়াদ হয়ে থাকে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ।

১৭ ই মে, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩

লাল মাহমুদ বলেছেন: এদেশের ডাক্তারদের মেয়াদ নাই এটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর সবারই রেস্ট নেওয়া দরকার। নয়তো এমন হবে যে, রোগীর রোগ ধরতে পেরেছে, কিন্তু ঐ রোগের কি ঔষুধ দিতে হবে তা ভুলে গেছে।

ধন্যবাদ জানবেন প্রিয় মাহমুদুর রহমান ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.