নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

“হেলেনের প্রতি ” - এডগার অ্যালেন পো\'র কবিতা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:০৬



সমালোচনা – বলা হয় জীবনানন্দ দাশের অতি বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’-এর উৎস এডগার অ্যালেন পো’র কবিতা ‘টু হেলেন’ থেকে এবং অনেক সাহিত্য বোদ্ধা দুটি কবিতার মধ্যে বেশ মিল পেয়েছেন। তাদের মতে পো’র ‘হেলেন’ থেকে হয়েছে জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’। দেশে দেশে অনেক কবি সাহিত্যিক পো’র লেখায় প্রভাবিত হয়েছিলেন যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘একই গাঁয়ে’ আর এডগার অ্যালেন পো’র ‘অ্যানাবেল লি’ একই কবিতা। এক লেখকের প্রতি অন্য লেখকের এসব প্রভাব বা ছায়া বিস্তার করার এসব জটিলতার অবসান পো নিজেই দিয়ে গেছেন, একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একজন বড় লেখক হতে হলে কী লাগে? পোর মতে, একটা বড় ডাস্টবিন লাগে। লেখা নামক যেসব আবর্জনা তৈরি হবে তা ফেলে দেয়ার জন্য। লেখকরা ক্রমাগত আবর্জনা তৈরি করেন। নিজেরা তা বুঝতে পারেন না।

—————————————————-
স্বকীয় বৈশিষ্টে সর্বকালের সেরা নান্দনিক কবিতা – -হেলেনের প্রতি
মূল- এডগার অ্যালেন পো
Eng- To Helen
——————————————————-
হেলেন, তোমার সৌন্দর্য আমার কাছে-
দূরবতী কোনো এক সময়ের নিশিয়ান জলযানের মতো ।
সুরভী মাখা সাগরের তীর ঘেঁষে
ক্লান্ত,হতাশ ভ্রমণকারীকে পৌঁছে দেয় নিজ তীরভূমে’

বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে দীর্ঘ ভ্রমণ করা
তোমার বাদামী চুল, চিরায়ত মুখশ্রী
তোমার শীতল চাহুনি নিয়ে যায়-
গ্রিসের রূপ মহিমায়,
আর প্রাচীন রোমের গৌরব ভূমিতে।

নিশ্চয় ! তোমার উজ্জ্বল জানালার কুলুঙ্গিতে
আমি তোমাকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি,
তোমার হাতে আগুনের বাতি!
আহ, রাজকুমারী পরমাত্মা, সে অঞ্চলগুলি থেকে পৌঁছে দেবে –
পবিত্র ভূমিতে !
———————————————————————-
ফুটনোটঃ অ্যাডগার অ্যালান পোর (জন্ম ১৯ জানুয়ারি, ১৮০৯ : মৃত্যু ৭ অক্টোবর, ১৮৪৯) পো একাধারে কবি, গল্প লেখক, প্রকাশক, সমালোচক ও গোয়েন্দা গল্পের জনক। ‘টু হেলেন, পনের লাইনের এই কবিতা চাইল্ডহুড বন্ধুর মাকে সম্মান জানিয়ে লেখেন। পোর মা এলিজাবেথ আরনল্ড পো ও বাবা ডেভিড পো জুনিয়র। দুজনই ছিলেন অভিনেতা। দুজনেরই অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস ছিল। তাঁর মা ২৪ বছর বয়সে ১৮১১ সালের ৮ ডিসেম্বর যক্ষ্মা রোগে মারা যান। এর তিন দিন পর ২৭ বছর বয়সে (১১ ডিসেম্বর) মারা যান বাবা। পোর তখন বয়স দুই বছর। এরপর পো অন্য এক ধনাঢ্য পরিবারে দত্তক ছাড়াই পালকপুত্র হিসেবে বড় হন। এই পরিবার তাকে স্কুলে ভর্তি করায়। ১৮২৩ সালের কোনো একদিনের ঘটনা। পো সহপাঠী রবার্টের বাসায় গিয়েছিলেন। অনাথ পো সহপাঠীর বাসায় গিয়ে তার মা জেনের আদর-স্নেহ পেয়ে আপ্লুত হয়েছিলেন। জেন ঘরে ঢুকে পোর হাত দুটি ধরে মৃদু ও মোলায়েম কণ্ঠে অভ্যর্থনা জানান। হৃদয়নিংড়ানো এই অভ্যর্থনাবাক্য পোর মতো বঞ্চিত অনাথ বালকের সংবেদনশীল মনের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল, যাকে বলে চেতনায় গেঁথে যাওয়া। তিনি ঘোরের মধ্যে বাড়ি ফেরেন। তাঁর জীবনে একটাই চিন্তা,একটাই আশা—আবার কখন তিনি সেই মধুর ও অমায়িক কথাগুলো শুনবেন। যে কথাগুলো তাঁর নিরানন্দ পৃথিবীকে মধুর করে তোলে এবং হৃদয়ের একাকিত্বকে নতুন আনন্দে ভরিয়ে দেয়।জেনের মৃত্যুর পর ১৯৩১ সালে পো টু হেলেন কবিতা লেখেন। মৃত্যুর আগে নিউইয়র্কের কাছাকাছি ছোট্ট এক কুটিরে পো একা একা বাস করতেন। ১৮৪৯ সালের ৩ অক্টোবর হঠাৎ তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের রাস্তায়। জোসেফ ওয়ালকার নামের এক সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে ওয়াশিংটন কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তাররা তাঁকে বাঁচাতে পারেন নি, অনন্তের পথেই যাত্রা করেন তিনি। ঠিক কী কারণে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তার কারণ আজও জানা যায়নি। কেউ কেউ মনে করেন, মৃত্যুর আগে অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন তিনি। যার কারণে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই,

আপনার সৌজন্যে জানতে পারলাম বিখ্যাত কবিতাটি। আজ অনুবাদটি চমৎকার লাগলো। নাইয়াদ মানেটি ঠিক বুঝলাম না।
ফুটনোট পড়ে অবাক হলাম। এতটা বিষাদ ময় কবির জীবন তা জানা ছিল না। আমরা মাইকেল মধুসূদন দত্তেরও এক হেলেনের কথা শুনেছি। কবি জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেনের সঙ্গে এডগার এলান পোর হেলেনের পরিচয় করালেন। এভাবেই হেলেনরা যুগে যুগে কবিদের মনে বাসা বেঁধে অমর গাঁথুনি সৃষ্টি করুক।
কবিতায় প্রথম লাইক।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

বলেছেন: দাদা,
আপনাকেও জানাই শুভ সকালের নাইয়াদ শুভেচ্ছা।।।
জীবনানন্দের বনলতা সেনকে কেউ কেউ বলেন কবি একজন বেশ্যা নারীকে তুলে ধরেছেন।।। কতটা সত্যি জানি না।।


তবে মোদ্দাকথা হলো - সবাই সুন্দর, সবাই কবিতা, সবাই রুপক শুধু নারীকে ঘিরে,, নারীর প্রতি ভালোলাগা থেকে তৈরি হয়ে মহাবিশ্বের অনবদ্য কবিতারা।।।।

naiad ---- a nymph of lakes and springs and rivers and fountains। উপযুক্ত বাংলা খুঁজতে খুঁজতে হয়রান।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহাহাহা সকাল বেলার নাইয়াদ শুভেচ্ছায় প্রীত হলাম।
আপনার উদ্দেশ্যেও রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

বলেছেন: সিন্ধ সকালের শীতল শুভেচ্ছা।।।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
চমৎকার প্রেমের কবিতা।
অরিজিনাল কবিতা পড়িনি তবে আপ্নারটা ভাল লাগল।
নিশিয়ান আর নাইয়াদ এই দুইটা শব্দের অর্থ কি?
ভাল থাকুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৩

বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন।
পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটনা - রটনা সবকিছুর মূলেই প্রেম আর বিরহের আবেশ।।।।


কবিদের অনেক শব্দ নিজস্বতার বহিঃপ্রকাশ আসলেই জানা মুশকিল।।।।
ভালো থাকুন

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট ভাইয়া
ভালো লাগলো

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৪

বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আপ্লুত।।।

ভালো থাকুন।।।
অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
কবিতার ভাবার্থ সুন্দর ++

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৫

বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইলো সাথে থাকার জন্য।।

আপনাকে জানাই ঈদের আগমনী শুভেচ্ছা।।
দোয়া করবেন।।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এডলার (এডগার) অ্যালেন পো'র গল্প অনুবাদ পড়েছি সেবা প্রকাশনীর বদৌলতে মানুষের মৃত্যু রহস্য আজন্ম থেকে যাবে ভবিষ্যতেও এমনটি হবে। আমরা প্রতিটি মানুষ নিরব দর্শক !!!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৮

বলেছেন: আপনি তো এমনিতেই একজন পন্ডিত মানুষ।।।
মানুষের মৃত্যু রহস্য -- চিন্তার অতীত, অহিংসা লালন করুক প্রতিটি মানব।।।


ভালো থাকুন।।


ঈদের আগমনী শুভেচ্ছা রইলো শিশু রাফিনের জন্য একগাদা ভালোবাসা।।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পো-কে ও তার কবিতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৮

বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।।।

ভালো থাকুন।।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এডগার এ্যালান পো'র অনেক গল্প পড়া হলেও কখনো কবিতা পড়া হয়নি। আপনার চমৎকার অনুবাদ পড়ে পুলকিত হলাম। একজন কবি শুধু কবিতা লিখেই নিজের দায়িত্ব শেষ না করে বিখ্যাত কবিদের কবিতা অনুবাদ করছেন; এটা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। ধন্যবাদ, প্রিয় কবি। তবে, জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতায় এই কবিতার প্রভাব স্পষ্ট।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৪৯

বলেছেন: পোর যে যেন গল্পটি আপনি অনুবাদ করেছিলেন তার পড়েছিলাম।

আপনি পোর ভক্ত সেটা জানি।

বিখ্যাত কবিদের কবিতা অনুবাদ - আসলে ভালো লাগা থেকে একটু চেষ্টা করা আরও কিছু না।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ‘বনলতা সেন’ কবিতার প্রথম দুটি স্তবকের সাথে 'To Helen' কবিতার ভাবের দিকে কিছু সামঞ্জস্য আছে। To Helen কবিতার মতো 'বনলতা সেন' কবিতায়ও সমদ্রপথ-পথিক, পথিকের বনলতার স্মৃতিচারণ, চুল ও মুখের বর্ণনা এসেছে। তাই হয়তো সাহিত্যবিশারদরা এমনটা ভাবছেন।

আপনার ভাবানুবাদ ভালো লেগেছে।

অ:ট:
হালকা লালচে চুলের বিদেশিনী দেখতে কিন্তু মন্দ লাগেনা। কবি অ্যালেন পো' সম্ভবত 'hyacinth hair' দিয়ে কোন লালচে চুলওয়ালা রমণীকে মিন করেছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০৪

বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনি আমার কাছে একজন অতীব সম্মানের ও প্রিয় ব্লগার কারণ আপনি সবাই বিষয়ের উপর স্বকীয়তা বজায় রাখেন।

সময় করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
ভালো থাকুন৷।।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যের প্রিয় কবি।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০৬

বলেছেন: অনেকেই পোর লেখায় প্রভাবিতর্ক হয়েছেন তার কারণ হলো পোর লেখায় প্রেম, বিরহ, মৃত্যুর মতো বিষয় বিভিন্নভাবে ওঠে এসেছে।

সময় করে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।।

ভালো থাকুন।।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

অন্তরা রহমান বলেছেন: কবিতা নিয়ে পোস্ট দেখলেই ভালো লাগে। তবে হ্যা, বনলতা সেন নিয়ে কথা হবে না। কারন, ছায়া বা অনুপ্রেরণা থাকতেই পারে। কিন্তু, জীবনানন্দের ঐ অপার্থিব সব উপমা আর অনির্বচনীয় সব শব্দচয়ন, ছন্দ-পয়ারের কারুকাজ। ঐটা পোর পক্ষে সম্ভব না৷ ঐটা জীবনানন্দ - কবিতার ঈশ্বরের নিজের হাতের কাজ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
কবিতা থেকে কবিতার জন্ম হয়ে যায় এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।।
তবে ভাবের মিল ও শব্দের প্রয়োগ এ-ই দিক থেকে দু'টি কবিতার মিল পাওয়া যায়।
যদিও বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি পঠিত কবিতা বনলতা সেন কতবার পড়েছু আরও হারিয়ে গেছি অন্য জগতে তার শেষ নাই।

ভালো থাকুন সবসময়।।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবনার ঐক্য বুজি কাল কালান্তে এমন বহু বিভ্রমের জন্ম দিয়েছে।

মানুষের মৌলিক অনুভূতিতে মানুষ বুঝি খুবই কমন। প্রকাশের কিছু ভিন্নতা বা বৈচিত্র থাকে বটে!
তবে ক্ষুধা, হাসি, কান্না, সূখানুভবের অনুভবে মানুষ গোত্র বোধকরি সবচে কমন বৈশষ্ট ধারন করে।
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সাদ কালোতে প্রকাশেই যা কিছু ভিন্নতা!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১১

বলেছেন: এরজন্য - আমরা মানুষ,
ভাষা ভিন্ন,
রং ভিন্ন
চাহিদা ভিন্ন
চাওয়া ভিন্ন
স্বপ্ন ভিন্ন
কিন্তু একটি জায়গায় সবাই অভিন্ন তার হলো সবার রক্তের রং একটাই।।।


ভালোবাসা রইলো প্রিয় কবি।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বনলতা সেন ও স্বমহিমায় মহিমান্বিত একটি কবিতা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১১

বলেছেন: সহমত।।।।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: এলান পো যে কবিতা লিখতো , তাই জানতাম না।
তবে তার গল্প গুলো খুব ভালো লাগতো।

সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১৩

বলেছেন: পোর বিখ্যাত হওয়ার পেছনে তার কবিতা The Raven বলা দাঁড়কাক।
দাঁড়কাক প্রকাশিত হওয়ার পরে চারিদিক পো সমাদৃত হতে থাকেন।


ভালোবাসা রইলো।।।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০৮

রাকু হাসান বলেছেন:

অনুবাদ কবিতার প্রতি আমার আগ্রহ কম । তোমরা যা দাও সেগুলো পড়ি । ধীরে ধীরে ভালোবাসা তৈরি হবে আশা করি । সমালোচনা ও ফুটনোট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া । শুভরাত্রি ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১৩

বলেছেন: এতে সহজ সরল স্বীকারোক্তি আরও আন্তরিক মন্তব্য রাকু হাসনকেই মানায়।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা ভাই।।।

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪২

এমজেডএফ বলেছেন:
"হেলেনের প্রতি" - সর্বকালের সেরা কবিতাগুলোর মধ্যে একটি। এডগার অ্যালেন পো'র এই ক্লাসিক কবিতাটিকে ভাষান্তর করে আমাদের মতো সাধারণ পাঠকের কাছে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।

"জীবনানন্দ দাশের অতি বিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’-এর উৎস এডগার অ্যালেন পো’র কবিতা ‘টু হেলেন’ " - এ ব্যাপারে আমার মতো একজন সাধারণ পাঠকের কোনো মন্তব্য করা কঠিন। তবে এ কথা ঠিক যে নারীর রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় হাজার হাজার কবিতা লেখা হয়েছে। একই বিষয় নিয়ে লেখা কবিতায় কিছু কিছু মিল থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কবিতা বিশ্লেষকদের মতে এডগার অ্যালেন এই কবিতায় গ্রিক পুরাণ অনুসারে স্পার্টার রাজা মেনিলাউসের স্ত্রী হেলেন অফ ট্রয়-এর রূপ-সৌন্দর্যকে বর্ণনা করেছেন। জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কে? এ নিয়ে অনেক মতবাদ! তবে অনেক সাহিত্যবোদ্ধার মতে বনলতা সেন একজন পদস্খলিত নারী! জীবনানন্দ পদস্খলনের পূর্বেকার বনলতা সেনকে চিনতেন, কিন্তু বহুদিন আর তার কাছে যাননি; পরে যখন যান তখন তার পদস্খলন হয়ে গেছে; তাই প্রশ্ন ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’, আপনি আসলে তো আর আমার পদস্খলন হতো না, আমি রূপাজীবা হবার অধঃপতন থেকে রক্ষা পেতাম।

উৎসাহী পাঠকদের বিশ্লেষণ করার সুবিধার্থে এডগার অ্যালেন পো'র মূল কবিতা এবং জীবনান্দের 'বনলতা সেন' এখানে পাশাপাশি দিলাম:

To Helen
By Edgar Allan Poe

Helen, thy beauty is to me
Like those Nicéan barks of yore,
That gently, o’er a perfumed sea,
The weary, way-worn wanderer bore
To his own native shore.

On desperate seas long wont to roam,
Thy hyacinth hair, thy classic face,
Thy Naiad airs have brought me home
To the glory that was Greece,
And the grandeur that was Rome.

Lo! in yon brilliant window-niche
How statue-like I see thee stand,
The agate lamp within thy hand!
Ah, Psyche, from the regions which
Are Holy-Land!

বনলতা সেন
জীবনানন্দ দাশ

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ‘পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

উল্লেখ্য, এডগার অ্যালেন পো 'To Helen' নামে দুটি কবিতা লিখেছিলেন। এখানকার কবিতাটি হচ্ছে প্রথমটি এবং এটিই বেশি জনপ্রিয়।
ভাষান্তরে কবিতার প্রথম ও তৃতীয় স্তবকে আপনি শেষের দুটি লাইনকে এক লাইনে নিয়ে এসেছেন। আমার মনে হয় লাইন দুটি মূল কবিতার মতো আলাদা থাকলেই ভালো হতো। বরাবরের মতো কবির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও কবিতার শানে নুযূল বয়ান করার জন্য আপনাকে বাড়তি ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বলেছেন: "To Helen" is the first of two poems to carry that name written by Edgar Allan Poe. The 15-line poem was written in honor of Jane Stanard, the mother of a childhood friend.


In popular culture
This poem inspired "Banolata Sen" by 20th century Bengali poet Jibanananda Das.
The poem is recited by Tom Hanks in the 2003 Coen Brothers film The Ladykillers.
The poem is used by Dennis Barlow to seduce Aimée Thanatogenos in The Loved One by Evelyn Waugh[5]......।

১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

আরোগ্য বলেছেন: ব্লগে সময় করতে পারি বা ইদানিং। পোস্টে ভালো লাগা রইলো।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১২

বলেছেন: যেখানে থাকো যেমন থাকো -- ভালো থেকো তুমি।।।।

ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।

১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: কবিতা ,কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী এবং মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়তে পড়তে অনেকটা সময় ভালো লাগার আবেশে ভরে গেল।
ভালো লাগা রইলো অন্তর থেকে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৩

বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.