নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথাগুলো বলে ফেলার জন্যে এসেছি

লিসানুল হাঁসান

নিতান্তই সাধারণ মানুষ

লিসানুল হাঁসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নজাল ঃ মুভি রিভিউ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৩


ট্রেইলারটা দেখেই আগ্রহ জন্মেছিল।পরীমনির কন্ঠে ' জলের গ্লাস দেয়ার ছলে একটুখানি ছুয়ে দিও ' ডায়লগটি যারা শুনেছেন তারা প্রায় সবাই অবাক বিস্ময়ে এবং অধীর হয়ে ছবিটির জন্য অপেক্ষা করেছেন বলে আমার ধারনা। কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখার জন্য সংগী-সাথী খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছিল। শেষমেশ যখন শুনলাম ব্যাচমেট নিশি আর তারদলবল 'স্বপ্নজাল ' দেখতে যাচ্ছে তখন হুট করে আমিও রাজি হয়ে গেলাম। ঢাকার বিখ্যাত জ্যামের কবলে পড়ে সিনেমার প্রথম মিনিট পাঁচেক মিস করে ফেলি। কিন্তু যেটুকু দেখার সুযোগ হয়েছিল তাঁর পুরোটাই পয়সাউসুল। অনেক দিন ধরে কোন বাংলা সিনেমায় এমন অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক পাইনি। এবার পেলাম স্বপ্নজালে। সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমই অসাধারণ যত্ন নিয়ে শ্যুট করা। সিনেমার প্রেক্ষাপট আমাদের আজকের সময়ের চেয়ে কিছুটা আগের। নির্দিষ্ট করে বলা না হলেও ভাষা , কস্টিউম ,লোকেশন এসবের মধ্যে সেটা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এরপরেই বলতে হয় গানগুলোর কথা । গান আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের এমন চমৎকার ব্যবহার অনেকদিন ধরেই পাই না। পরীমনি একটা জায়গায় ছাদে বৃষ্টির মধ্যে নাচে। সেই সিনটায় ব্যাকগ্রাউন্ডের তবলার সাউন্ডেরর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নায়িকার ভাইয়ের হাতে একটা মাটির হাড়ি তুলে দেয়া হয় বাজানোর জন্য। স্টিমারের বার্ডস আই ভিউ , নায়কের নায়িকার অপেক্ষায় বিকেল বেলায় বনে দাঁড়ানোর দৃশ্য সহ এমন আরো অনেক দৃশ্য আছে যেগুলো খালি চোখে দেখেও আরাম। এবার আসি পরীমনির কথায়। পরিমনির এমন একটা নিষ্পাপ ,সতেজ লুক আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না। নায়ক ইয়াশ রোহান প্রথম কাজ হিসেবে বেশ সাফল্যের সাথেই উতরে গেছেন। দুরন্ত প্রেমিক হিসেবে একজন সদ্য কৈশোর পেরোনো অবুঝ ও জেদি যুবকের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন। নায়ক - নায়িকার মা , বাবা বেশ ভাল অভিনয় করেছেন। তবে যার কথা বিশেষ ভাবে বলতে হয় সে হল ফজলুর রহমান বাবু। বাবু একজন পরীক্ষিত অভিনেতা। তিনি তাঁর আগের কাজগুলোতে তাঁর যোগ্যতার সাক্ষর রেখেছেন। এবার ও তাঁর ব্যতিক্রম হয় নি। নায়কের বারবার ইন্ডিয়া গমনের ব্যপারটা একটু খটকা জাগিয়েছে। আর ফজলুর রহমান বাবুর বমির সিনে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড টা একটু বেশিই মনে হয়েছে। এরকম ছোট্ট দুয়েকটা সিন বাদ দিলে স্বপ্নজাল সিনেমাটি সত্যিই এক স্বপ্নের আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে সিনেমা হলটিতে। মাঝে মাঝে হালকা কিছু কমিক রিলিফ ও ছিল। মনপুরার পরে গিয়াস উদ্দিন সেলিম আবার আরেকটি মাস্টারপিস আমাদের উপহার দিলেন একথা বলতেই পারি। ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারের দৌড়ে পরীমনি , ফজলুর রহমান বাবু ,নবাগত ইয়াশ রোহান আর পরিচালক সেলিম বেশ সামনের দিকেই থাকবেন বলে আমার বিশ্বাস ।এমন ছবি হলে গিয়ে না দেখলে নিজেকে বঞ্চিত করা হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল লাগলো মুভি রিভিউ

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন সেলিম “মনপুরা” ছবির পরিচালকও ছিলেন। :)

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

লিসানুল হাঁসান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

লিসানুল হাঁসান বলেছেন: জি

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

লিসানুল হাঁসান বলেছেন: জি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.