নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথাগুলো বলে ফেলার জন্যে এসেছি

লিসানুল হাঁসান

নিতান্তই সাধারণ মানুষ

লিসানুল হাঁসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলেবেলে

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

ছোটবেলা থেকেই আমি গল্প শুনতে পছন্দ করতাম । শৈশবের সামান্য অংশই কেটেছে আমার দাদুবাড়িতে । যেসময়টা সেখানে কাটিয়েছি সেই সময়টাতে যাকে পেতাম , গল্প শোনানোর বায়না করতাম। আমার দাদুভাইয়ের যে অল্পকিছু স্মৃতি আমার মনে আছে তার একটা হল এমন যে আমি আর দাদুভাই পাকঘরের চৌকিতে বসে আছি রাতে। দাদুভাই আমাকে পরীদের গল্প শোনাচ্ছে আর আর বলছে অইযে জানালা দিয়ে পরীরা আসবে আমাদের নিয়ে যেতে । কিংবা সেই কাজের ছেলেটার কথা। যে সারাদিন কাজ করার ফাঁকেফাঁকে আমাকে গল্প শুনাতো। খাঁটি রূপকথা, যার মাঝেমাঝে পাত্রপাত্রীরা গান গাইত। এমনটা আমি ঠাকুর মার ঝুলিতেও পড়ি নি পরে । সম্পূর্ণ লেখাপড়া না জানা একজন কিভাবে এমন গল্প বানাতো সেটা ভেবে আমি এখনো অবাক হই। কিংবা সন্ধ্যে হলে আমার দাদুদের উঠানে যেসব আসর বসত। পান সুপুরি চিবাতে চিবাতে দাদুমনি হয়ত পুরনো দিনের কোন গল্প বলতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় কি হয়েছিল। পাকবাহিনি যখন ওনাদের বাড়িতে আগুন দিতে এলেন তখন তারা কিভাবে পাটিপাতার ঝোপে কিংবা পাশের বাড়িতে লুকিয়েছিলেন এসব। কিংবা তাদের ছোটবেলার গল্প । তাদের কতগুলো গরু ছিল, সেই গ্রুর দুধ যেই পাত্রে জ্বাল দেয়া হত সেটায় কত পুরু সর বসত এসব। মাঝেমাঝে ঝড় তুফান বা বন্যার গল্প ও হত যেহেতু দ্বীপাঞ্চলের মানুষ আমরা । গল্পশোনাটা একসময় গল্প পড়ায় পরিবর্তন হয়ে গেল। পড়া বেশ সুবিধার । নিজের ইচ্ছে মত পড়া যায়, চুপচাপ পড়া যায় এবং কাউকে বিরক্ত ও করতে হয় না। পাশাপাশি গল্পের জগতটাকে নিজের মত করে সাজিয়ে নেয়া যায় কল্পনায়। এভাবে গল্প পড়তে পড়তে আর কল্পনায় জগত সাজাতে গিয়ে অতীতের প্রতি আমার যে আগ্রহ সেটা অবচেতনভাবেই গড়ে উঠেছে। এখন যখন হাসপাতালে যাই , চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা বিস্ময় দেখি তখন অবচেতনেই আমার কল্পনার ডালপালা মেলে দেই। ভাবি যখন এসব ছিল না তখন সময়টা কেমন ছিল। এই পদ্ধতিগুলো কিভাবে এল , কার মাথা থেকে এলো। বিজ্ঞানের আশ্চর্য সাফল্য আমাকে অভিভূত করার আগেই এর ইতিহাস আমাকে আগ্রহী করে তোলে। মাঝেমাঝে মনে হয় আমাদের পাঠ্যক্রমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বা এমন কোন একটা বিষয় যদি অন্তর্ভুক্ত করা যেত তাহলে বোধহয় মন্দ হত না। কমপক্ষে আমরা বিষযগুলোকে আরো বেশি উপভোগ করতে পারতাম । আজ যে 'লোকাল এন্সথেশিয়া ' দিয়ে অবেদনবিদেরা অনায়াসে ছোটখাটো শল্যচিকিৎসা করে ফেলছেন তারা কি কখনো ভাবেন এটা আসলে কি বিশাল একটা আবিষ্কার ! আজকাল খুব মনে হয় যে ইতিহাস পড়লে বোধহয় মন্দ হত না। কিছুটা মন্দ তো হত বটেই। বাজার অর্থনীতির এ যুগে একজন ইতিহাসবেত্তার উপযোগিতা একজন ' কসাইয়ের' সমান তো আর না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: দুই একটা বানান এডিট করে ঠিক করে নিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.