নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা বিজয় এনেছিল ঃ বীরশ্রেষ্ঠদের কথা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩







মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও আত্মত্যাগের জন্য ৭ জন বীর যোদ্ধাকে “বীরশ্রেষ্ঠ” খেতাবে ভূষিত করা হয়। এটি নিতান্তই পরিচিতিমূলক পোস্ট। এর মাধ্যমে যদি বর্তমান প্রজন্মের কেউ যদি সামান্যতম জানতে পারেন তাহলেই আমি সার্থক। অনেক দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম যে এখনকার অনেক ছেলে-মেয়েই [যাদের বেশিরভাগই রাজধানী শহরের অভিজাত ইংরেজি মাধ্যম স্কুল পড়ুয়া]এইসব বীরদের নাম তো দূরের কথা তাঁদের অবদান সম্পর্কেও সামান্যতম ধারনা নেই। অনেক অভিজাত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও জানে না তাঁদের নাম আর তাঁদের অবদান। ব্লগ এর সুবাদে তাঁরা যদি অন্তত এই সব বীরদের সম্পর্কে জানতে পারে তাহলেই আমার উদ্দেশ্য সফল।]

[দয়া করে আমাকে কেউ ইংলিশ মিডিয়াম বিরোধী/ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী হিসেবে ভাববেন না। তবে এই ইংলিশ মিডিয়াম এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র ছাত্রীর একটি নির্দিষ্ট অংশ <সবাই নয়> আসলেই , বিশ্বাস করুন এই বিষয়গুলো নিয়ে একেবারেই অনুৎসাহী এবং জানতে আগ্রহী নয়। তাঁদের উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলা]

১. রুহুল আমিনঃ

তিনি নোয়াখালীর বাগপাচরা গ্রাম এ ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করবার পরে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।

১৯৭১ এ তিনি চট্টগ্রাম এর নেভাল বেস এ ইঞ্জিনিয়ার অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ এর পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর স্বাধীনতার মাত্র ৬ দিন পূর্বে তার জাহাজ আক্রমনের শিকার হয়। শহীদ হবার পূর্ব পর্যন্ত তিনি বীরের মতো লড়াই করে যান এবং পাকি জানোয়ারদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন।

২. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ঃ

১৯৪৮ সালে বরিশাল এর রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহন করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৬৮ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমী থেকে কমিশন প্রাপ্ত হন। মহানন্দা নদীর তীরে পাক হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করবার সময় তিনি শহীদ হন।



৩. সিপাহী মোস্তফা কামাল ঃ

১৯৪৭ এর ১৬ ডিসেম্বর ভোলার হাজিপুর এ জন্মগ্রহন করেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার মাত্র ২৩ দিন পরে ১৮ ই এপ্রিল ১৯৭১ এ কুমিল্লার দরুইন গ্রামে এক মুখোমুখি যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।

৪. সিপাহী হামিদুর রহমান ঃ

১৯৫৩ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারী যশোর এর খালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন হামিদুর রহমান। ১৯৭১ এর ২ রা ফেব্রুয়ারি তে সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২৫ শে মার্চ এর পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন। ১৯৭১ এর ২৮ শে অক্টোবর পাকি হানাদাড়দের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁকে ভারতের ত্রিপুরায় দাফন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ এর ২৭ শে অক্টোবর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্যোগে তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের পাশে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

৫. মতিউর রহমান ঃ

১৯৪৫ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন মতিউর রহমান। ১৯৭১ এর অগাস্ট এর ২০ তারিখ করাচী এয়ার বেস থেকে একটি টি- ৩৩ বিমান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিতে যাবার সময় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি শহীদ হন।

তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের জন্য একটি বিমান নিয়ে গিয়ে যুদ্ধে যোগদান করা যা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁর কো-পাইলট রশিদ মিনহাজ , মতিউর রহমান এর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বিমানের কন্ট্রোল নষ্ট করে দেয় যার ফলে সীমান্তের মাত্র ৩২ মাইল দূরে তাঁর বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং শহীদ হন মতিউর রহমান।

৬. ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ঃ

১৯৪৩ এ ফরিদপুর এ জন্মগ্রহন করেন রউফ। ১৯৬৩ এর ৮ ই মে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এ যোগদান করেন। ১৯৭১ এর ৮ ই এপ্রিল চট্টগ্রাম এর বুড়িঘাঁট এ পাকি হানাদারদের সাথে যুদ্ধে শত্রুদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে শহীদ হন।



৭. ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ঃ

২৬ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সালে যশোরের মহেশখালী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৪ মার্চ, ১৯৫৯ এ ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস এ যোগদান করেন। ১৯৭১ এর ৫ ই সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটিতে পাকি হানাদারদের হাত থেকে নিজের সহযোদ্ধাদের রক্ষার সময় শত্রুসেনাদের গুলিতে শহীদ হন।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.