নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেন্ট মার্টিন’স এর মৃত্যুফাঁদ ঃ রিপ কারেন্ট

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন দ্বীপ সেন্ট মার্টিন’স এ ঘুরতে গিয়ে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় এর নয় জন ছাত্র সমুদ্রে ভেসে যায়। এর মধ্যে দুইজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, চারজন এখনও নিখোঁজ আর তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যে জায়গাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে তাতে ধারনা করা হচ্ছে যে এর কারন হচ্ছে “রিপ কারেন্ট” বা “উল্টো স্রোত”। এইটাই প্রথম নয় বরং এর আগেও এই একই জায়গায় অনেক পর্যটকের অকাল মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসা এক ছাত্র বলেছে যে ওই জায়গাতে কোন নির্দেশনা বা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও ছিল না।









শুধু মাত্র বাংলাদেশেই নয় বরং পৃথিবীর সকল সমুদ্র সৈকতেই ভাঁটার সময় ভেসে যাওয়া ছাড়াও আরেকটি যে বড় বিপদ রয়েছে তা হল এই “রিপ কারেন্ট” বা “উল্টো স্রোত”। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সৈকতেই প্রতি বছর এই কারনে অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেন্ট মার্টিন’স এর মাথার সরু অংশের জন্য ওই জায়গাতেই “রিপ কারেন্ট” এর প্রবনতা বেশি এবং সেইখানেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।



“রিপ কারেন্ট” বা “উল্টো স্রোত” এক ধরনের অত্যন্ত শক্তিশালী ঢেউ যা সমুদ্রতটে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ঠ এর কারনে [যেমনঃ গভীর খাদ] ধাক্কা খেয়ে একটি সরু পথ ধরে সমুদ্রের দিকে ফিরে যায়। এবং এই সরু পথটাতেই যদি কেউ থাকে তখন সেই শক্তিশালী ঢেউ ধাক্কা দিয়ে তাকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে শান্ত এবং নীল দেখা গেলেও এর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে এর ভয়ঙ্কর রূপ যা একটানে যে কাউকে নিয়ে যায় গভীর সমুদ্রে।









সাঁতার জানা থাকলেও কেউ যদি “উল্টো স্রোত” এর বিপরীত দিকে সাঁতার কাটা শুরু করে তবুও অনেক সময় তীরে পৌঁছানো সম্ভব হয় না কারন এই স্রোতগুলো অসম্ভব শক্তিশালী হয়। তাই বিপরীত দিকে না গিয়ে সৈকতের সমান্তরালে সাঁতার কাটলে তীরে ফিরে আসা যায়।







সেন্ট মার্টিন’স এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ঠ এর কারনেই ওই নির্দিষ্ট জায়গাটি “রিপ কারেন্ট” বা “উল্টো স্রোত” প্রবন এলাকা। স্থানীয় অধিবাসীদের সেইটা জানা এবং কোন পর্যটককে ওখানে দেখলে তারা পানিতে নামতে নিষেধ করে কিন্তু সবসময় সেটা জানবার সুযোগ হয় না অনেকের।











আমরা চাই অতি শীঘ্রই যেন সেখানে একটি সতর্কতামূলক নির্দেশনা সহ দ্বীপের বিপজ্জনক পয়েন্ট গুলোতে যাতে লাল পতাকা রাখা হয়। আমরা চাই না আর কোন আনন্দ যাতে বিষাদে পরিণত হোক। আমরা চাই না আর কোনও তরুন প্রান যাতে সেন্ট মার্টিন’স এ গিয়ে চলে না যায়ঃ

“দূরে ...... অনেক দূরে”।















মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীতে সবচাইতে অদক্ষ অশিক্ষিত অকর্মন্য দুর্ণীতিবাজ ঘুষখোর প্রশাসনের কাছ থেকে এসব আশা করাই ভুল। এরা বাংলাদেশী!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: দ্রুতই কিছু করা উচিত। না হলে এভাবে আরও প্রান হয়ত চলে যাবে।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পর্যটন কর্পোরেশন করেটা কি? কোটি কোটি টাকা বাজেটে এত এত লোকবল পোষে!!!

এই মৌলিক, বেসিক জিনিষ গুলো সারতে কি মহাযজ্ঞ লাগে!

চাই শুধু উদাসিনতা!!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৩

অগ্নিপাখি বলেছেন: আরও দুর্ঘটনা ঘটলে হয়ত টনক নড়লেও নড়তে পারে।
এরকম চলতে থাকলে আস্তে আস্তে এইসব পর্যটনের জায়গাগুলো আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে।
নিরাপত্তার জন্য নুন্যতম ব্যাবস্থা অন্তত থাকা উচিত।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: নভেম্বরে সেন্টামার্টিনে যাওয়ার প্ল্যান ছিলো। এখন তো ভরসা পাইতাছি না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭

অগ্নিপাখি বলেছেন: ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে তো কিছু হবে না। শুধু একটু সচেতন হলেই কিন্তু অনেক প্রান বেঁচে যায়। অন্তত ভাঁটার সময়টা সমুদ্রে না নামলেও হয়। আমি কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিনসে গিয়ে দেখেছি ভাঁটার সময়েই বেশির ভাগ সমুদ্রে নামে বিপদ আছে জানা সত্ত্বেও।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: কি হুনাইলেন আম্রে? সেন্ট মার্টিনে যামু না। গেলেও পানিতে নামুম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.