নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোকের প্রাবল্য মনোজগতের ধবংসকারী আবেগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

মানুষের মনোজগতে আক্রমণাত্মক অনুভুতির স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে।মস্তিস্কের এমন কিছু সেল রয়েছে যেখানে হিংসার উৎপত্তি ঘটে।তবে সেটি প্রায় সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকে।পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ধরনের অনুঘটকের দ্বারা এটি সক্রিয় হয়।ফ্রয়েডের মতে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই প্রবৃত্তিকে নিস্ক্রমণের সুযোগ না দিলে তা সঙ্ঘিসতার বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করতে পারে।
মানুষের মনে জন্ম নেয়া এই প্রবৃত্তি নিস্কাশ্ন প্রাচীনকালে অনেক সহজ ছিল। মানুষ তখন একে অন্যকে আক্রমণ করে স্বীয় অবস্থান সুদৃঢ় করেছে, প্রয়োজনে নির্দ্বিধায় একে অন্যকে ধবংস করেছে।এ ধরনের আচরণ ছিল তখন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।অথচ মানুষ নিজেকে যতই সভ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে , ততই তার মধ্যে হিংস্রতা সঞ্চিত হয়ে ধীরে ধীরে তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।কারণ সভ্যতা মানুষের আদিম প্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখে, তার নির্গমণের পথ রুদ্ধ করে দেয়। তবে সভ্যতার মধ্যেও মানুষের আদিম প্রবৃত্তি প্রকাশ পেতে পারে, যদি তার জন্য সে ধরনের উপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়।তখন সেই চাপা প্রবৃত্তি বিস্ফোরকের মতো ফেটে পড়ে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ইহুদি নিধন কিংবা ভারতবিভাগের সময়কালে তীব্র জাতিবিদ্বেষ ও তা থেকে ব্যপক দাঙ্গা ছিল ও আদিমতার প্রকৃষ্ট নির্মম নিদর্শ্ন। যদিও সে আদিমতা প্রকাশিত হেছিল গোষ্ঠী পর্যায়ে।
তবে প্রাচীনকালেই মনীষীরা মানুষের মধ্যে এই হিংসা প্রবৃত্তির উপস্থিতি লক্ষ করেছিলেন এবং তা নিবৃত্ত রাখার প্রয়াসে নানা পথ বাতলে দিয়েছিলেন। যেমন, এরিস্টটল এই প্রবৃত্তি দমনের উপায় হিসেবে বিয়োগান্তক নাটক দেখার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।এমন নাটক দেখে দর্শক শোকে আপ্লুত হবে।সেই শোকের প্রাবল্য মনোজগতের ধবংসকারী আবেগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে।মানুষ তার অভ্যন্তরীণ ইতিবাচক গুণাবলীকে প্রাধান্য দেওয়ার ফলে আক্রমণাত্মক প্রবৃত্তিকে প্রতিহত করার শক্তি পাবে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক যে হানাহানি চলছে তাতে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে হিংস্র প্রবৃত্তি ব্যপকভাবে পুঞ্জিভুত হচ্ছে। যার বিস্ফোরণ ঘটলে জাতির জন্য এক ভয়ংকর দুঃসময় নেমে আসবে।তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিজেকে হিংসা প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত রাখার জন্য বেশি বেশি বিয়োগান্তক দেশি-বিদেশি নাটক, সিনেমা দেখতে পারে। যেখানে মানুষের দুঃখ , বেদনা কষ্ট দেখে নিজের হিংসাশ্রিত মনকে ধৌত করতে পারবে।যাতে করে তাদের মন দেশের প্রতি , দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।সবকিছুকে তারা সহজ করে দেখতে শিখবে। মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে নিজেকে তৈরি করতে পারবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

চাদের জোসনা বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.