নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গয়েশ্বরের (পন্ডিত) বাচালতা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

ছোটবেলায় স্কুলে পড়াকালীন সময়ে একটি কথা প্রায়ই শুনতাম আর তা হচ্ছে '' পন্ডিত সেজো না, পন্ডিত হও।'' কথাটি বর্তমানে মাঝে মাঝেই বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের বাচালতা নিয়ে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল গয়েশ্বর বাবুর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মনগড়া বক্তব্য শুনে আবারো মনে পড়ে গেলো। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম হচ্ছে জাতীয় স্থায়ী কমিটি ।গয়েশ্বর বাবু সেই কমিটির সদস্য। মূলত স্থায়ী কমিটির কাজ হচ্ছে দলীয় নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখা।দলের সামনে যুগোপযোগী রাজনৈতিক কর্মসূচী নির্ধারণ করে দেয়া।দলের অন্যান্য অর্গানের দায়িত্ব হচ্ছে সেই কর্মসূচী বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা।কিন্তু গয়েশ্বর বাবু আজ পর্যন্ত দলকে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক ও অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ বৃদ্ধিতে উস্কানিতে ভূমিকা রাখা ছাড়া অন্য কোন নীতি নির্ধারণীতে ভূমিকা রেখেছেন বলে দেখা যায়নি।কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে তিনি সম্প্রতি এমন ধরনের স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন যা দলকে সামগ্রিকভাবে মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা ছাড়া আর কিছুই না। এসব বক্তব্য দিয়ে আশপাশের কিছু প্রগলভ শ্রেণীর বোধবুদ্ধিহীন ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে '' ক্যায়া বাত হ্যায়, ক্যায়া বাত হ্যায়'' জাতীয় প্রশংসা বাণী তিনি হয়ত শুনতে পারবেন, কিন্তু দেশের শিক্ষিত সমাজের কাছে বিএনপিকে একটি পশ্চাদপদ রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলবেন ।তবে দলের ভিতরে ও বাইরে বহুলভাবে প্রচারিত গয়েশ্বর বাবু খুব পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনীর অন্যতম এজেন্ট হিসেবে সাফল্যজনকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যাতে বিএনপি কোনোভাবেই সঠিক রাজনৈতিক ট্রাকে যেতে না পারে। তাই দেখা যায় দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া যখনই দলের অভ্যন্তরীন সমস্যা সমাধান করে বিএনপিকে একটি ঐক্যবব্ধ শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে রুপান্তরের উদ্যেগ গ্রহণ করেন তখনই গয়েশ্বর বাবু বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য দিতে শুরু করেন।তাই বিএনপির উচিৎ পন্ডিত সাজা লোকদের তৎপরতা দলের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা।তাছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের যে বিষয়ে বিতর্কের অবতারণা গয়েশ্বর করেছেন তার আদৌ যোগ্যতা গয়েশ্বরের আছে কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:

গয়েশ্বর, রিজভী, রিপন, ড: এমাজুদ্দিন হচ্ছে খালেদা জিয়ার মগজ ও মুখ।

এরা ১৯৭৫ সালের বেনেফিসিয়ারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.