নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে শব্দচয়নের বিষয়ে সচেতন হতে হয়

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

রাজনৈতিক নেতার যোগ্যতার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে বাগ্মীতাকে গণ্য করা হয়।যদিও অনেক সময়েই তা চিরাচরিত মেঠো বক্তব্যে হিসেবে সকলমহলে বিবেচিত হয়ে থাকে।কিন্তু একজন সফল রাজনীতিবিদের বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে শব্দচয়নের বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরী।কারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্যের প্রতিটি শব্দে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, যা সমাজ অর্থনীতি , সংগঠন, দেশের ভিতরে ও বাহিরে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়া , প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।তাই যেসব রাজনীতিবিদ শব্দচয়নের ক্ষেত্রে সচেতন তাঁরা নিজেকে একসময় রাজনীতিবিদ থেকে রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হন।
কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশর বর্তমান শীর্ষ রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব শব্দচয়নের বিষয়ে অত্যন্ত উদাসীন অথবা দৃষ্টিকটুভাবে অনভিজ্ঞ। যা তাঁরা তাদের দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বক্তব্য বা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সভাসমিতিতে হরহামেশাই করে থাকেন।প্রশ্ন হচ্ছে এই সকল শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের অজ্ঞতার কারণ কি ? এটা কি শুধুই শিক্ষার অভাব , না রাজনৈতিক চর্চার অভাব।উত্তর হতে পারে দুটোই। বস্তুতপক্ষে বেশিরভাগ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজেকে সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ আছে?সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রে তাদের চরম ব্যর্থতা।শুধু তাই নয়, এ সকল নেতৃত্ব বিদেশী কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক দেখেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে।কারণ তারা যদি পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমূহের রাজনৈতিক বিতর্কগুলো অবলোকন করতেন তাহলে দেখতে পারতেন, সেখানে কিভাবে একজন রাষ্ট্রনায়ক বা রাজনীতিবিদ কতটা সচেতন ও সতর্কভাবে এক একটি শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে আমরা ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সের কথা উল্লেখ করতে পারি। সেখানে ''প্রাইম মিনিষ্টারস মিনিটস' এ কিভাবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিতর্কে শব্দের ব্যবহার করে থাকেন।তবে সবকিছুকে ছাঁপিয়ে যায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে আয়োজিত বিতর্কের সময়।অথচ তাদেরকে তাবৎ দুনিয়ার বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে হয়। শব্দচয়নে একটু ঢিলেঢালা হলেই নিমিষের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তার পারদ নীচের দিকে উঠানামা করতে শুরু করে।এখানে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে যারা অত্যন্ত সফল উদাহরণ হিসেবে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন , সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর,সিনিয়র বুশের কথা উল্লেখ করতে পারি। এমনকি টারমিনেটর খ্যাত ক্যলিফোর্নিয়া রাজ্যের সাবেক গভর্ণর আর্নল্ড সোয়ার্জনেগারের নামও উল্লেখ করতে পারি।
আমাদের দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি আমেরিকার নির্বাচনের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক অনুষ্ঠানসূহ মনোযোগী রাজনৈতিক ছাত্রের মত অবলোকন করতেন তবে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যে প্রদানের সময়ে শব্দচয়ন আরো সুসংগঠিত ও প্রাঞ্জল হতে পারত। যার সুফল বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরাই শুধু নয় , বিভিন্ন সময় স্ব স্ব রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও পেয়ে থাকত। পূণশ্চঃ বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের তাদের ব্যস্ত রাজনৈতিক সূচীর মধ্যে আর একটি অবশ্য পালনীয় কর্মসূচী লিপিবদ্ধ করতে পারেন।আর সেটা হচ্ছে, আমেরিকার পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থীদের বিতর্ক অনুষ্ঠান গুলো অবশ্য অবশ্যই দেখা । তাতে তারা শুধু নিজেদের শব্দচয়নের ক্ষেত্রেই উন্নতি লাভ করবেন না, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও রাজনীতির বিষয়ে উৎসাহী করে তুলতে পারবেন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

বর্নিল বলেছেন: শিক্ষার অভাব।অামাদের রাজনীতিবিদদের অভিধানে শব্দের সংখ্যাই অল্প।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক কথা।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

Omar1971 বলেছেন: Raj ta ekono ace khali Neti ta nai????

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: ঠীকই বলেছেন।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

দোলাভাই বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.