নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপি\'র সামনে কঠিন থেকে কঠিনতর রাজনৈতিক সুণামি এগিয়ে আসছে।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

পাকিস্তান দলের বর্তমান পারফরমেন্স নিয়ে গতকাল রীতিমত যেন একটু ‘আক্ষেপ’ করলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ! কাল মিরপুরে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারানোর পর পেছনে ফিরে গেলেন ধোনি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনলেন নব্বই দশকে পাকিস্তানের সেই দুর্দান্ত সময়টাকে। যেভাবে একের পর এক পাকিস্তানকে হারিয়ে চলেছেন, তাতে নিজেদের দিকে কৃতিত্ব না নিয়ে নব্বইয়ের দুরন্ত পাকিস্তানে কথা বললেন ধোনি, ‘কৃতিত্ব নেওয়াটা সব সময়ই সহজ কাজ। তবে বুঝতে হবে এই সময়ে তাদের দলে কোন ধরণের ক্রিকেটার খেলছে। যদি নব্বই দশকের পাকিস্তান দলটার দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন দলটিতে দুর্দান্ত অলরাউন্ডার ও বোলার ছিল। যাঁরা একই সঙ্গে জোরে বোলিং ও সুইং করাতে পারত।’ প্রথম আলোতে সংবাদটি পড়ে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি'র বর্তমান অবস্থার সাথে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অনেক মিল খুঁজে পেলাম। দুটি সম্পূর্ণ দুই মেরুতে অবস্থানকারী সংগঠন। একটি রাজনৈতিক দল , অন্যটি ক্রীড়া সংগঠন। তবে মিল খুঁজে পাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।দুটির সাথেই বিশাল জনগোষ্ঠীর আবেগ জড়িত।পার্থক্য হচ্ছে একটির সাথে শুধু জনগণের ভালোবাসা, হাসি-কান্না ওআবেগ জড়িত, অন্যটির সাথে জড়িত একটি দেশের মানুষের ভাগ্য।দুটি সংগঠনের বর্তমান জীর্ণ, শীর্ণ অবস্থার জন্য দায়ী সীমাহীন দুর্নীতি। একটিতে ম্যাচ পাতানোর মত দুর্নীতি , অন্যটিতে জনগণের অর্থ লোপাটের মত সীমাহীন দুর্নীতি। প্রশ্ন হচ্ছে এ অধপতনের শুরুটা কিভাবে হল, এতে কি কোনো মিল আছে ? উত্তর হচ্ছে, হ্যা আছে। এতেও দারুন মিল আছে।যেদিন থেকে পাকিস্তান দলে পিসিবি নিয়ন্ত্রকদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ দলে সুযোগ পাওয়ার মাপকাঠি হয়ে ওঠে সেদিন থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধঃপতন শুরু।যার পরিণতি হচ্ছে আফগানিস্তানের মত মাঠবিহীন দলের সাথে খেলতে গিয়েও আজ পাকিস্তান দলের পা কাপাঁকাঁপি শুরু হয়ে যায়। এবার আসি বিএনপি'র কথায় ,যেদিন থেকে বিএনপি তার রাজনীতি দলের নেতাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের ডাইনিং টেবিলে নিয়ে গেছে এবং একদল খাবার পরিবেশনকারী কর্মচারী সর্বস্ব নেতৃত্বের হাতে দলের প্রতীক বিক্রয়ের দায়িত্ব প্রদান করেছে সেদিন থেকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দলটির অধঃপতন শুরু। এখন অনেকেই হয়ত প্রশ্ন রাখবেন ,আওয়ামী লীগও তো একই কাজ করছে তবে তারা কিভাবে টিকে আছে।তাদের সাথে দ্বিমত করার কোনোই কারণ নেই।তবে এক্ষেত্রে পার্থক্য হচ্ছে , আওয়ামী লীগ যদি হয় একটি কর্পোরেট দল, সেক্ষেত্রে বিএনপি হচ্ছে একটি মুদি বা আড়তদারি দোকান।একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যেভাবে ব্যবসার বিভিন্ন গতিপ্রকৃতি বুঝে সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন ব্রান্ড বাজারে ছাড়ে, আর কঠিন মন্দার সময়ও নিজেকে টিকিয়ে রাখে ।আবার সুযোগ পেলেই লোকসান সমেত কয়েকগুন লাভ বাজার থেকে তুলে নেয়। আর এজন্যে তাকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে টেকনোক্রাট নিয়োগ দিয়ে বসিয়ে বসিয়েও মাঝে মাঝে বেতন দিতে হয়।যেমন হেড অব মার্কেটিং, হেড অব ফিন্যান্স, হেড অব অপারেশন্স ইত্যাদি ...
পক্ষান্তরে মুদি বা আড়তদারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালিকই সব। যা ব্যবসা হয়,তার পুরোটাই মালিকের। আবার যখন লোকসান হয় , তখনও পুরোটাই তার।তাই এখানে যারা কাজ করে তাদের খুব বেশি ব্যবসা বুঝতে হয় না। শুধু মালামাল হিসাব করে ক্রেতাদের দিতে পারলেই হয় এবং হিসাব করে টাকা নিতে পারলেই। এই দেয়া নেয়ার মাঝখানেও কিন্তু কর্মচারীদের বিশাল একটা আর্থিক লোপাটের সুযোগ আছে। তাই এখানকার কর্মচারীদের যোগ্যতার অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে মালিকের সুনজরে থাকা অর্থ্যাৎ বিশ্বস্ত থাকা।এছাড়া অবশ্য তাদের কোনো কাজই নেই।আর মালিকের লাভ হচ্ছে মাসিক অল্প কিছু বেতন ও অনেক সময় তিনবেলা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেই সে এইসব কর্মচারী রাখতে সক্ষম হচ্ছে।এতে যেমন তার লাভও বেশি, ক্ষতির পরিমাণও বেশি। কারণ যখন আড়তদারি বা মুদি ব্যবসা বিপদের সামনে উপণীত হয়, তখন এইসব কর্মচারী মালিককে বিপদ থেকে উত্তরণের কোনো পথ বাতলে দিতে পারে না।আর তার নিশ্চিত পরিণতি হচ্ছে আড়তে তালা... বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃত্বকে ভাবতে হবে একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তারা কি দলকে মুদি বা আড়তদারির ব্যবসার আদলে পরিচালিত করবেন, না ''হিলারী ক্লিনটন '' যেভাবে কর্পোরেট সিস্টেমে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সেটাকে অনুসরণ করবেন।
পূণশ্চঃবিএনপি'র সমস্যা হচ্ছে তৃণমুল নেতাকর্মীদের মত এর শীর্ষ নেতৃত্বও সারাক্ষণ একটি ঘোরের মধ্যে থাকে যাদের হুমায়ুন আহমেদের হিমু চরিত্রটা অত্যাধিক পছন্দ।তাদের কাছে নিউটন, আইনাস্টাইনের সুত্রগুলো দূর্বোধ্য লাগে কারণ এগুলো বুঝতে মস্তিস্কের উপর অধিক চাপ লাগে।
সতর্কবাণীঃ বিএনপি'র সামনে কঠিন থেকে কঠিনতর রাজনৈতিক সুণামি এগিয়ে আসছে। এটা ১/১১ এর চেয়েও অনেক ভয়ংকর ।এর আঘাত শুধু বটবৃক্ষকে উপড়ে ফেলবে না, দুর্বা ঘাশগুলিও মাড়িয়ে যাবে।একমাত্র সংস্কার , অসংস্কার সকলের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই এ রাজনৈতিক সুণামি'র আঘাত থেকে বিএনপিকে রক্ষা করতে পারে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

বিজন রয় বলেছেন: দেখি কি হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.