নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর ধর্মপ্রেম......

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই নাগরিকদের সাধারণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ঢাকার কুটকৌশল হিসেবে আবারো ধর্মের আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকটা বিনা কারণেই আজ তিনি মুক্তচিন্তা নিয়ে একটি স্ববিরোধী ব্যাখ্যা দাড় করাতে চেষ্টা করলেন। বোঝাই যাচ্ছে তিনি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সমাজে নতুন ধরনের বিভাজনের ফ্রন্ট খোলার একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন।একজন সরকার প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। অথচ তিনি সেটা না করে নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণের চলাচলে সময়সীমা বেধেঁ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ধর্মভীরু প্রমান করতে গিয়ে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রয়াসকে তাঁর ব্যক্তিগত খেয়ালখুশি মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সূর্য অস্ত যায় প্রায় সন্ধ্যা ৭টায়। অথচ ১লা বৈশাখ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করার হুকুম জারি করেছে পুলিশ , এটা কি আইনশৃংখলা স্বাভাবিকতার বহিঃপ্রকাশ।সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁর কাজ নিশ্চয়ই আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করা। নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হয়ে সুযোগমতো ধর্মকে ব্যবহার করা নয়। এতে বরং সমাজে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর উত্থাণ ঘটে।
আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শাহবাগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে গড়ে ওঠা গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলনকে কিভাবে সরকারের দখলে নিয়েছেন আবার নিজেরা হেফাজাত ইসলামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ঢাকায় ডেকে এনে তাদেরকে হঠাতে লাখ লাখ রাউন্ড গুলি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছেন।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজনে কখনো ধর্মের প্রতি অতি প্রেম আবার কখনো মুক্তচিন্তার প্রতি সীমাহীন অনুরাগ , এই কৌটিল্য প্রবণতা বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতি অধিক মনো্যোগী হতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের সামগ্রিক কাঠামো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উপর নির্ভরশীল, এটা কোনোক্রমেই শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগ বা প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
পূণশ্চঃ দুনিয়ার তাবৎ স্বৈরাচার শাসকদের ক্ষেত্রে একটি অলিখিত মিল রয়েছে, সেটা হচ্ছে তারা স্বীয় রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন । সেই পাকিস্তান আমলে আইয়ূব খাঁন থেকে শুরু করে বিশ্ববেহায়া হিসেবে পরিচিত স্বৈরাচারী এরশাদ পর্যন্ত কে নয় ? সবাই তারা ধর্মকে তাদের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে যথেচ্ছে ব্যবহার করেছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যে শুনে মনে হচ্ছে তিনি নিশ্চয়ই নিজেকে ওনাদের মতন গণবিচ্ছিন্ন ভাবছেন , তাইতো এখন ধর্ম ও মুক্তচিন্তার বিভাজন সৃষ্টির অপতৎপরতা শুরু করেছেন!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২১

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: দুনিয়ার তাবৎ স্বৈরাচার শাসকদের ক্ষেত্রে একটি অলিখিত মিল রয়েছে, সেটা হচ্ছে তারা স্বীয় রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন । সেই পাকিস্তান আমলে আইয়ূব খাঁন থেকে শুরু করে বিশ্ববেহায়া হিসেবে পরিচিত স্বৈরাচারী এরশাদ পর্যন্ত কে নয় ? সবাই তারা ধর্মকে তাদের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে যথেচ্ছে ব্যবহার করেছে



হাঁ এটাই সত্য আলেমরা কখন ধর্ম কে ব্যাবহার করেনা তারা ধর্মের উপর আমল করে নিজের জীবনকে পরকালের জন্য গড়ে নেয় । মুনাফিকরাই নিজের সারথ উদ্ধার করার জন্য কখন কখন ধার্মিক বনে যায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.