নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধ মাতৃস্নেহ......

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

মাতৃস্নেহের একটি আলাদা সৌন্দর্য আছে। তবে মাতৃস্নহের সুবাস ততক্ষণই সৌন্দর্যরুপে সকলকে মোহিত করে যতক্ষণ তা পরিবারের সীমিত পরিমন্ডলে সীমাবদ্ধ থাকে।যখনই তা পরিবারের চৌকাঠ পেরিয়ে বৃহত্তর পরিসরে বিশেষকরে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ধাবিত হয় তখন মাতৃস্নেহ এক ভয়ংকর রুপ ধারণ করে। যার ভয়াবহতা থেকে ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজ ,রাষ্ট্র সর্বত্র এক বিভিষীকাময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়।মাতৃস্নেহ যে রাষ্ট্রীয় জীবনে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের জনগণ ৭৫ পরবর্তী সময়ে জরুরী অবস্থার মধ্যে হাজারো মানুষের রক্ত দিয়ে বুঝেছে।সেইসময়কার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইন্দিরা গান্ধীর মত একজন আধুনিকমনস্ক সুশিক্ষিত গণতন্ত্রমনা রাজনীতিবিদ জরুরী অবস্থা জারির মত ভয়ংকর অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার কারণ খুঁজতে গিয়ে সঞ্জয় গান্ধীর প্রতি অতিরিক্ত মাতৃস্নেহকেই অনেকে দায়ী করেছেন।এবং আমরা জানি যার ফলস্বরুপ ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাধীন ভারতে জেলখানায় যেতে হয়েছে। এবার আসি বাংলাদেশের প্রসংগে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের আমলে একটি টিভি ভিডিও ফুটেজ আজো নিশ্চয়ই আমাদের অনেকের চোখে ভাসছে। এরশাদের স্বল্পকালীন স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। অসুস্থ অবস্থায় বেডে শুয়ে। একমাত্র পুত্র এরিখ এরশাদ অটিস্টিক। বয়স কত আর হবে দুই কি তিন। রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় বিদিশাকে গ্রেপ্তারের আয়োজন চারিদিকে। ঠিক এইসময়ে বিদিশা টিভি ক্যমেরার সামনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী(সাবেক) খালেদা জিয়াকে 'মা' ও তারেক জিয়াকে 'ভাই' সম্ভোধন করে জাতির সামনে ক্ষমা ভিক্ষা চেয়েছেন !! বিদিশাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি অপছন্দ করতাম এরশাদের মত মানসিকবিকারগ্রস্ত উন্মাদকে বিয়ে করার জন্যে। কিন্তু সেদিনকার বিদিশার কান্না দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছিল। শুধু কাঁদাতে পারেনি মাতৃস্নেহে অন্ধ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হৃদয়। কারণ সবার ধারণা সেইসময় সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হত তারেক জিয়ার পরামর্শে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাতৃস্নেহের প্রভাব কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারি তা আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অসহায়ভাবে দেখতে পাচ্ছি। মাতৃস্নহের প্রথম ঝড়টা অবশ্য প্রখ্যাত ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক মাহফুজ আনামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। ১/১১ এর সময়ে কিছু নৈতিক ভুল স্বীকারের খেসারাত বেচারা মাহফুজ আনামকে দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে আদালতে হাজিরা দিয়ে। যাক এই সুযোগে হয়ত তাঁর বাংলাদেশ ভ্রমণটা হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু ডিজিএফআই এর নাম জড়িত আছে বলে হয়ত তাঁকে এখনো জেলখানার অন্দরমহল দেখতে হয়নি। কিন্তু ৮২ বছর বয়স্ক চিরতরুন শফিক রেহমান জীবনসায়াহ্নে দাঁড়িয়ে জেলবাসের অভিজ্ঞতাটা নেয়ার সৌভাগ্য ঠিকই অর্জন করে নিলেন। আর এই সৌভাগ্য কিন্তু মাতৃস্নেহের অবদানেরই ফল। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জয় হোক মাতৃস্নেহের !!
পূণশ্চঃ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হওয়ার পিছনে যে কয়েকজন গুরুজনের অবদান রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন প্রফেসর সাইদুর রহমান। যিনি কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। শেখ মুজিবকে হোস্টেল থাকার সুবিধা দেয়া সহ বিএ পরীক্ষা দেয়ার পরামর্শ সব এই মানুষটি করেছেন। সেই সাইদুর রহমান সাহেবই কিন্তু শফিক রেহমানের পিতা। আর একজন হচ্ছেন আবুল মনসুর আহমাদ। শেখ মুজিব যাকে রাজনৈতিক তাত্ত্বিক গুরু হিসেবে জানতেন। কাকতালীয়ভাবে তিনি হচ্ছেন মাহফুজ আনামের পিতা। অথচ দেশসেরা এই গূণীমানুষদেরকে আজ চরম অপমান অপদস্ত হতে হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের উপরে খঁড়্গ হয়ে নেমে এসেছে।
এর জন্যে কিন্তু দায়ী ঐ অন্ধ মাতৃস্নেহই!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

বিজন রয় বলেছেন: খুব খারাপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.