নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিতা ও দুষ্টু রাখাল বালক !!

০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১১

অবশেষে চিতা বাঘ এসেই গেল।এটা যেনো অনেকটাই গ্রামের সেই দুষ্টু রাখাল বালকের পরিণতিই আমাদের বরণ করতে হয়েছে। বাঘ আসছে , বাঘ আসছে বলে সবাইকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখে যখন সত্যিই বাঘ চলে এসেছে তখন রাখাল বালক নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে।গত কয়েক বছর ধরে আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন ঘটনা দূর্ঘটনায় জঙ্গী সংশ্লিস্টতার ঢালাও অভিযোগ করে বাস্তবেই যখন জঙ্গী হামলা হলো তখন দেখা গেলো এই অযাচিত ভয়াবহ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে কার্যত তাদের কোনো প্রাথমিক প্রস্তুতিই নেই। যার দুঃখজনক ফল হচ্ছে দুজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু। এতে প্রমাণিত হয় আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী বিশেষ করে কতটা অপেশাদার বা অপ্রশিক্ষিত।
ঢাকার হাইলি সিকিউরড এরিয়া গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে ভয়াবহ জিম্মি দুর্ঘটনার ১৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে । কয়েকজন বাংলাদেশীসহ ২০জন বিদেশী নাগরিক এতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে।এখন সময় এসেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর দুর্বলতা , গাফেলতি ও অপেশাদারিত্ব খুঁজে বের করার।যেমন, গত ২০ মাস আগে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাবেলাকে হত্যার মধ্যে ডিয়ে মূলত; গুপ্তহত্যার শুরু। সেই ঘটনাটিও ঘটেছিল, একই এলাকায় অর্থ্যাৎ এখান থেকে ১১টি সড়ক পরে ৯০ নম্বর রোডে।তাছাড়া কয়েকবছর আগে সৌদি কুটনীতিক হত্যাও হয়েছিল এই এলাকায়ই। সুতরাং একটা বিষয় পরিস্কার পরিকল্পিতভাবেই হত্যাকারীরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকাকেই বেছে নিয়েছে।অথচ নিরাপত্তা বাহিনী বার বার ব্যর্থ হচ্ছে এ ধরনের পরিকল্পিত হামলা বানচাল করে দিতে। এর প্রধান কারণ কিন্তু বাহিনীর অপেশাদার মনোভাব ও প্রশিক্ষ্ণের অভাব।প্রশিক্ষণের অভাব বলতে বোঝাতে চাচ্ছি মাঠ পর্যায়ে যারা সশরীরে দায়িত্ব পালন করে তাদের কথা । পুলিশ বাহিনীতে কাউন্টার টেররিজমের উপরে যে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্যে বিদেশে বিশেষ করে আমেরিকা বা ইউরোপে পাঠানো হয় তার প্রায় সবগুলোতেই নির্বাচন করা হয় এ এস পি বা তার উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের।যারা কিনা আবার প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে এসেই পদোন্নতি পেয়ে নতুন কোনো রাজকীয় সুবিধাপ্রাপ্ত পদে সুখে শান্তিতে বসবাস করেন। আর মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৃটিশ আমলের প্রশিক্ষণ নিয়ে সন্ত্রাস দমনে ব্যস্ত থাকেন।তাই আইনশৃংখলা বাহিনীর পেশাদারি উতঁকর্ষতা বৃদ্ধির জন্যে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।অন্যথায় ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকট্ময় সময়ে পুলিশ বাহিনীকে সাহায্যের জন্যে অন্য বাহিনীর দিকে তীর্থের কাকের মত হা করে বসে থাকতে হবে । যাতে করে অযথা সময় ও প্রাণহানির আশাংকা থেকে যাবে।
তবে সবচেয়ে বড় যে দুর্বলতা তা হচ্ছে বাহিনীগুলোতে পেশাদারি মনোভাব গড়ে ওঠার অভাব। ফলশ্রুতিতে যে ঘটনা ঘটার পরে দায়িত্বশীল বাহিনীগুলো রাজনৈনিক নেতৃত্বের মত ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। যার ফলে মূল অপরাধীর ভূমিকা একসময়ে আড়ালে চলে যায়। তাই মূল ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন না করে অযথা রাজনৈতিক বাগাড়াম্বরপূর্ণ অপেশাদারি মনোভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.