নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমিটি নিয়ে বিএনপি’র কালতামামি

১১ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আরাফাত বিল্লাহ খান । জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। যাকে আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ট ( অবশ্য আমি মনে করি) মনে হয়। বর্তমান ছাত্ররাজনীতির গতানুগতিক ধারায় ছাত্রনেতাদের বাস্তবিক অর্থে রাজনীতি করার সুযোগ খুব একটা নেই।তাই সামগ্রিক রাজনীতি নিয়ে ছাত্রনেতৃত্বের ধারণা অনেকটা পদ-পদবী পাওয়া ও ক্ষমতায় গিয়ে কিভাবে অর্থবিত্তের মালিক এবং এক সময়ে জাতীয় সংসদের সবুজ চেয়ারটায় বসার সৌভাগ্যে অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।সেই বিচারে আরাফাতকে অনেকটাই ব্যতিক্রমী মনে হবে ।অন্তত বিভিন্ন সময়ে আলোচনার সুযোগ পেয়ে সেরকমটাই মনে হয়েছে।বাংলাদেশের রাজনীতির তাত্ত্বিক ও বাস্তব দুটি ক্ষেত্রেই ওর পরিস্কার একটি দর্শন রয়েছে।তবে আজকে আমি আরাফাতের রাজনৈতিক গূণাবলীর সে বৈশিষ্টের বিশ্লেষণে যাব না। আর তা বিশ্লেষণের যোগ্যতা আমি রাখিও না।মুলতঃ ওর সাথে বিভিন্ন সময়ে আলোচনাকালে দুইজন ব্যক্তি দ্বারা ওকে অনেক বেশি প্রভাবিত মনে হয়েছে ।তাদের একজন হচ্ছেন স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হক ।এবং দ্বিতীয়জন হচ্ছে ডাঃ কাজি মাজহারুল ইসলাম দোলন।যাকে সে অনেকটা নিজের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অভিভাবক বলে মনে করেন।আরাফাতের সাথে আমার যতবার দেখা হয়েছে তাতে খুব কম সময়ই গেছে যখন ডাঃ দোলন সাহেবের কথা ও বলেনি।তাতে আমার মনে হয়েছে ওর জীবনের কঠিন সময়ে ডাঃ দোলন সাহেবের সান্নিধ্য ওকে জীবনের কঠিন চলার পথে সাহস যোগায়।বলতে দ্বিধা নেই আরাফাতের কাছে ডাঃ দোলনের সাহেবের দলের প্রতি অর্থ্যাৎ বিএনপি’র প্রতি তাঁর নির্লোভ ডেডিকেশনের কথা শুনে আমি নিজেও তাঁর ফ্যান হয়ে উঠেছি। একজন রাজনৈতিক নেতার তাঁর সহকর্মীদের সাথে শুধু রাজনৈতিক সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ না। কারণ একজন প্রকৃত নেতা সার্বিক অর্থেই তাঁর সহকর্মীদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ।সামাজিক, রাজনৈতিক , ব্যক্তিগত সর্বত্রই।আরাফাতের কাছে বিভিন্ন সময় ডাঃ দোলন সাহেবকে আমার সার্বিক অর্থেই প্রকৃত নেতা মনে হয়েছে।
কিন্তু গত ৬ জুলাই বিএনপি ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকায় যখন ডাঃ দোলন সাহেবের নামটি পদায়নের দিক থেকে অবনমন হয়েছে দেখতে পাই তখন ব্যক্তিগতভাবে আমি যারপরনাই হতাশ হয়েছি।
বিস্তারিত আলোচনায় যাবো না শুধু এটুকু বলতে চাই ডাঃ দোলনের যায়গায় অর্থ্যাৎ বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি ডাঃ ফাওয়াজ হোসেন শুভ । তার অন্যতম যোগ্যতা তিনি সফলভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপি’র ভিআইপি পেশেন্টদের এটেনড করেন। যোগ্যতার বিচারে এটা কিন্তু দারূন যোগ্যতাই বটে।
পূনশ্চঃ ডাঃ দোলন সাহেবের এ যোগ্যতাটা নেই এটাই সম্ভবত তাঁর বড় যোগ্যতা।আর যোগ্যতার জন্যেই হয়ত আরাফাতদের জন্যে তাঁর শত ব্যস্ততার মাঝেও দরজা খোলা থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.