নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মির্জা ফখরুল = মহাসচিব- মহা= সচিব...!!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১০


বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবৎ একে অপরের প্রতিদ্বন্দী ।মাঝে ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের ক্ষমতা দখলবাজির সময়টুকু বাদ দিলে ৩১ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।দুটি রাজনৈতিক দলের আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও সাংগঠনিক কাঠামোগত বিষয়ে বিভিন্ন আশ্চর্যজনকভাবে মিল রয়েছে।যেমন দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ দলের অবস্থান সম্পর্কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।ছাত্রলীগ , যুবলীগ,থেকে শুরু করে মূল সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃত্ব প্রদানের পর্যন্ত দুটি সংগঠনের বর্তমান অবস্থানের কথা ধর্তব্যের মধ্যে রাখা হয়।উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরো পরিস্কার হবে। ধরি বিএনপি থেকে সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকার কোনো আসন থেকে কোনো বিশেষ অঞ্চলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হল ,দেখা যাবে আওয়ামী লীগও ঘুরে ফিরে একই অঞ্চলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে। দীর্ঘদিন যাবৎ এটা দুটি দলের মধ্যে অলিখিত রাজনৈতিক কনভেনশন।এতে কিন্তু সামগ্রিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যলেন্স প্রতিষ্ঠিত হয়।তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিও রয়েছে। আর ঝুঁকির প্রধান কারণ হচ্ছে পরিপূরক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের ব্যক্তিত্বের সংকট।আর এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সংকট শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার রাজনৈতিক জীবনের উপর প্রভাব বিস্তার করে না সামগ্রিক ভাবে নিজ নিজ দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। যা এই মুহূর্তে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।মির্জা ফখরুলের জাতীয় রাজনীতিতে উত্থাণ কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের দলীয় রাজনীতিতে উত্থাণের সাথে অনেকটাই এক সুতোয় বাঁধা।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন সৈয়দ আসরাফের মত ভদ্র, সজ্জন, সৎ, সংস্কৃতমনস্ক ব্যক্তিকে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন বিএনপিও একই গূণাবলী সম্পন্ন নেতৃত্বকে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার তাগিত অনুভব করে।মূলতঃ সেখান থেকে মির্জা ফখরুল সাহেবের জাতীয় রাজনীতিতে উত্থাণ।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিএনপি’র মত বহু মত , বহু পথ, বৈচিত্রময় রাজনৈতিক বৈশিস্ট্যের অধিকারী দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হলে যে অসম্ভব শক্তিসালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন আত্মবিশ্বাসী গূণাবলী থাকা বাঞ্চণীয় গত কয়েক বছরে ফখরুল সাহেবের কর্মকান্ডে সে অভাবটিই প্রকট থেকে প্রকটতর আকার ধারণ করেছে।অথচ তুলনামূলক বিচারে সৈয়দ আশরাফ মির্জা ফখরুলের চেয়ে ব্যক্তিগত গূণাবলীর বিচারে বেশ কিছুটা পিছিয়েই রয়েছেন অর্থ্যাৎ বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াতে আশরাফ সাহেবের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা রসালো গুজব শোনা যায় ,যা এই পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্যারিয়ারের জন্য সংকটাপন্ন করে তোলার জন্যে যথেস্ট।কিন্তু সৈয়দ আশরাফ সাহেব তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ত্রুটি-বিচ্যুতি হাওয়ায় মিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।পক্ষান্তরে মির্জা ফখরুল তাঁর ব্যক্তিত্বের সংকটের কারণেই বিএনপি’র মত দলের অসম্ভব ক্ষমতাশালী মহাসচিবের দায়িত্ব থাকার পরেও সাধারণ একজন সচিবে পরিণত হয়েছেন।একজন সচিব যেমন মনিবের যেকোনো আদেশ, নির্দেশেই জবী স্যার, জবী স্যার , বলে মাথা ঝোঁকান মির্জা ফখরুল সাহেব গত কয়েক বছর ধরে শুধু জবী ম্যাডাম, জবী ম্যাডাম ও জবী ভাইয়া জবী ভাইয়া বলতে বলতে নিজেকে মহাসচিব থেকে সচিবে অবনমন ঘটিয়েছেন।
তাই এটা এখন প্রমাণিত মির্জা ফখরুল সাহেবের ব্যক্তিত্বহীনতা ব্যলেন্স পদায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে।

পূনশ্চঃ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বি চৌধুরী অপসারণের পরে বিএনপি যাকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয় সেক্ষেত্রেও ঘুরেফিরে একই অঞ্চলের প্রার্থী খুঁজে বেড়িয়েছে। খুঁজেও পেয়েছিল চরম ব্যক্তিত্বহীন , ন-পুংশক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে। যার পরের ইতিহাসতো কত রক্ত, কত নির্যাতন, কত দেশান্তর, কত প্রিয়জন হারানোর মধ্যে দিয়ে দেখতে পাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.