নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুরহান ওয়ানিঃ কাশ্মিরের মুক্তিকামী মানুষের প্রতিচ্ছবি !!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩

বুরহান ওয়ানি । মাত্র ২২ বছরের এক টগবগে কাশ্মিরী যুবক।লাগাতার ৭০ বছর ধরে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর আন্দোলনরত কাশ্মিরী জনগণের বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি। অথচ ভারতীয় সেনার একটি বুলেটই থামিয়ে দিল কাশ্মিরের ইতিফাদা'র প্রতীক হয়ে ওঠা বুরহান ওয়ানি'র জীবন প্রদীপ।খুব স্বাভাবিক কারণেই বুরহান ওয়ানি'র মৃত্যু কাশ্মিরের জনগণকে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছে।তাই কেউ বুঝুক আর না বুঝুক ( অর্থ্যাৎ ভারতীয় পক্ষ)কিন্তু দীর্ঘদিন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে কাজ করে তারা ঠিকই জানত এর প্রতিক্রিয়া ভারতীয় বাহিনীর জন্যে হবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

ঘটনা কিন্তু তাই হয়েছে । কাশ্মিরের উরিতে ভারতীয় সেনা ঘাটিতে হামলা হয়েছে। নিহত হয়েছে ১৮ সেনা। আবেগ তাড়িত না হয়ে যদি আমরা পুরো বিষয়টিকে দেখি তবে এটা কিন্তু কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের সাথে ভারতীয় বাহিনীর সাথে গেরিলা যুদ্ধের ফল।প্রশ্ন হচ্ছে বিশাল ভারতীয় বাহিনীর স্ট্রাটেজিগত পরাজয়।যেকোনো প্রতিষ্ঠিত বাহিনী তার সদস্যদের মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্যে একটি অজুহাত দাড় করানোর চেষতা করে। ভারতীয় সেনা বাহিনী এখন সেটাই করছে। দেশের মানুষের কাছে, বিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি হারানোর ভয়ে ঘটনার সাথে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা খোঁজার চেষ্টা করছে।যাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। কাশ্মিরের মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন থেকে বিশ্বমানবতার দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যাবে। এর অংশ হিসেবে এখন শুরু হয়েছে যুদ্ধের দামামা। কিন্তু বিশ্ব মিডিয়া ও ভারতীয় বাহিনী এখনো জানেনা কাশ্মিরের বুরহান প্রজন্ম পাকিস্তান ও ভারত উভয়কেই সমান চোখে দেখে। অর্থ্যাৎ দখলদার ! আর তারা চায় স্বাধীনতা । কাশ্মিরের স্বাধীনতা। তাই ভারতীয় পক্ষ যদি সত্যিকার অর্থে কাশ্মির সমস্যার সমাধান শান্তি চায় তবে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের সাথে সমস্যার অংশ হিসেবে না দেখে মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন হিসেবে দেখতে হবে। এবং এর সত্যিকার সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে সাময়িকভাবে, হয়ত কয়েক বছর, বা কয়েক দশক কাশ্মিরের মুক্তিকামীদের স্বাধীনতা স্পৃহা দমিয়ে রাখা যাবে কিন্তু আবার কোন মকবুল বাট, আবার কোন আজমল গুরু বা আবার কোন বুরহান ওয়ানি'র বজ্রকন্ঠ কাশ্মিরের স্বর্গীয় উপাত্যাকা্র আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করবে।

কারণ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার কোনো মৃত্যু নাই।স্বাধীনতা বা মুক্তিই হচ্ছে এর একমাত্র গন্তব্য!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর দখল করে আছে ভারত। কাশ্মীরে ৭ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় আর্মি মোতায়েন আছে, যেখানে ইরাকে হামলার সময় অ্যামেরিকার সৈন্য ছিল ৩,৮০,০০০। আফগানিস্তানে মোট ১ লক্ষের মত সৈন্য ছিল ২০০১ যুদ্ধের সময়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন আমাদের দেশে হামলা করে তখন পাকিস্তানি সৈন্য ছিল ৩,৬৫,০০০। এখান থেকেই বোঝা যায় কাশ্মীরের অবস্থা। গত ৬৯ বছরে কয়েক লক্ষ মানুষকে গুম এবং হত্যা করেছে ভারতের দখলদার বাহিনী। একটা ভ্রমন কাহিনীতে পড়েছিলাম কাশ্মীরি গাইড বলেছিলো, সৈন্যদের লালসা থেকে মেয়েদের বাঁচিয়ে রাখাই এখন কাশ্মিরিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। সেই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের জঙ্গি বলা, মানবতা কে অপমান করা। পৃথিবীর সমস্ত মুক্তিকামী মানুষকে অপমান করা। ১৯৭১ সালের আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কেও অপমান করা।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: কাশমিরের জনগনের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.