নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলীয় গনতন্ত্র চর্চা-

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০


বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দল।কার্যকরী অর্থে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দলটির ভূমিকা অপরিসীম। অস্বীকার করার উপায় নেই সামরিক বাহিনী থেকে আসা কোন ব্যক্তির উদ্যেগে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল এতটা গণভিত্তি পেয়েছে , তা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে আছে কিনা সন্দেহ আছে ? অন্তত আমার ক্ষুদ্র রাজনৈতিক ইতিহাস জ্ঞান সেই তথ্য খুঁজে পায়নি।অথচ গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখা জনপ্রিয় দলটিকে বিভিন্ন সময়ে সবচেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয় ,তা হচ্ছে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গনতন্ত্র চর্চার সীমাহীন অভাব। আসলে গণতন্ত্র চর্চার সীমাহীন অভাব না বলে বলা উচিৎ , ''দলের শীর্ষ নেতৃত্বের গনতন্ত্র চর্চায় সীমাহীন উদাসীনতা''।আরো স্থুলভাবে বললে তা দাড়ায় নেতৃত্বের দখলবাজি মানষিকতা।যেমন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মোতাবেক দলে '' এক নেতা এক পদ'' নীতি দলীয় গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশিত করে। সে ধারাবাহিকতায় দলের বর্তমান মহাসচিব জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই তাঁর অন্য দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নিয়ম মোতাবেক মহাসচিব দলের সাংগঠনিক প্রধান ।তাই তিনি দলের মধ্যে যেকোনো সাংগঠনিক চর্চা শুরু করলে সেটা অন্যদের অনুসরণ করা হচ্ছে সাংগঠনিক সংস্কৃতি বা কনভেনশন।গণতন্ত্র শুধু আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা যায় না , এর জন্য দরকার চর্চা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ,বিএনপিতে এই রাজনৈতিক চর্চার বড়ই অভাব।

তবে তাও আবার দলের ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী নেতৃত্বের।যাদের আবার একাডেমিক ও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব অত্যন্ত প্রকট।তাই দলের সাংগঠনিক বিধি লংঘণ করে যেকোনোভাবেই দলীয় পদ দখল করে রাখাই হচ্ছে তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
সমস্য হচ্ছে দলীয় নীতিমালা লংঘণে যখন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নেতৃত্ব দেয়া হয় তখন পুরো প্রক্রিয়াটিই মুখ থুবড়ে পড়ে ।এই যেমন বিএনপি'র সর্ব্বোর্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য জনাব মির্জা আব্বাস ! তিনি আবার ঢাকা মহানগর বিএনপি'র আহবায়কের পদ আকড়ে ধরে আছেন।অন্যদের কথা না হয় বাদই দিলাম! কারণ মির্জা আব্বাস দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য হয়ে যখন সাংগঠনিক নীতিমালা লংঘণ করেন ,তখন অন্যান্যরাতো উৎসাহ পাবেনই।তিনি সফল না বিফল সে বিতর্কে নাই বা গেলাম কিন্তু এটাতো সত্যি মির্জা আব্বাস দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য হয়ে নিজেই নিয়ম মানছেন না। তাই দলের বাইরের লোকজন যদি বলেন বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নাই, তাদের কি কোন শক্ত জবাব দেয়া যাবে!
অনেক বিএনপি'র রাজনৈতিক বোদ্ধাই হয়ত এদের পক্ষে একটি যুক্তি দেয়ার অবকাশ পাবেন, তা হচ্ছে এদের মত নেতার দরকার আছে! অন্যথায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে ! তাদের উদ্দেশে একটি কথাই বলে শেষ করব , যে নেতা ৪০ বছর রাজনীতি করেও তার যোগ্য উত্তরসূরী তৈরি করতে পারেননি ,তার মত ব্যর্থ নেতৃত্ব আর হতে পারে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিএনপি কি এই মুল্যায়নটা জীবনে কোন দিন একবারের জন্যও ভেবে দেখবে ? তৃণমুল ও উচ্চমুলের ব্যবধান কমে না আসা পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দলেই সুস্থ গনতন্ত্র চর্চা হতে পারেনা ।
ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.