নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়র আনিসুল হকের ফুলের টব বিতরণ ও মশার বেসুরো গান !

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক আমার দেখা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টিভি মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় উপস্থাপক( হানিফ সংকেত, ফজলে লোহানী , আব্দুর নূর তুষারকে ধর্ত্যব্যের মধ্যে রেখে)।১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী 'জনতার আদালত' ( আমি যদি ভুল বলে না থাকি, দেশের প্রথম রাজনৈতিক টিভি টক শো) এর উপস্থাপনা করে তিনি নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। যদিও এর পরে তাঁকে আর কোন টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার দায়িত্বে দেখা যায়নি,তবে গেস্ট হিসেবে দেখা গিয়েছে প্রথমে বিজিএমইএ তারপরে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে।কিছু মানুষের কথা শোনাও একধরনের এন্টারটেইন, আনিসুল হক তাদের মধ্যে অন্যতম।কথা বলার ক্ষেত্রে তাঁকে কখনো অনীহা বা বিব্রত হতে দেখিনি শুধু একবার ছাড়া ।সেটা ছিল সিটি নির্বাচনের সময়ে মেয়র পদপ্রার্থীদের নিয়ে কোন একটি টিভি চ্যানেল আয়োজিত টক শো। যাতে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহী বি চৌধুরী ও জোনায়েদ সাকী।সম্ভবত আনিসুল জীবনে এই প্রথম কারো সাথে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।যদিও তরুণ এই দুই রাজনীতিকও এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় কথার যাদুকর। মাহী বি চৌধুরীতো জনপ্রিয় বিভিন্ন টিভি রিয়েলিটি শোতেও উপস্থাপন্নাও করেছেন।যাক সেটা অন্য আলাপ কথা হচ্ছিল্‌, আনিসুল হককে এই সদা হাস্যেজ্জবল মানুষটি যখন ঢাকার মেয়র নির্বাচিত হন(যদিও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ছিল সেটা) তখন ভেবেছিলাম যাক বাবা এবার তাহলে মশার হুল থেকে রক্ষা পাবো।বাংলাদেশের অন্য আর দশটা সাধারণ মানুষের মত আমিও আশাবাদী মানুষ হিসেবে এই প্রত্যাশা করাটাই খুব স্বাভাবিক।এরমধ্যে গত মাস কয়েক আগে মশা মারার কামানের তীব্র শব্দে এক বিকেলে সচকিত হয়ে উঠি।আর বলতে শুরু করি এইতো এখন নির্বাচিত মেয়র এসেছে এখন আর যাই হোক নিয়মিত মশার ঔষধ দেয়া হবে।মেয়রের পক্ষে বিনা পয়সায় ঢোল পেটাতে শুরু করি।

কিন্তু হায় কয়েকদিন যেতে না যেতেই আমার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় , যখন গভীর রাতে ঘুমুতে গিয়ে মশার বেসুরো গান কানের কাছে বাজতে শুরু করে।এভাবে কয়েকদিন তবুও কানের কাছে গান শুনিয়ে ও হুল ফুটিয়ে শরীর ফুলিয়ে ক্ষান্ত হত। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মশার তীব্র রাজত্বে নতুন ভয় ঢুকে গিয়েছে কারণ মশারা এখন আর কানের কাছে গান শোনাতে ও শরীরের চামড়ার উপর দিয়ে হুল ফুটিয়ে রক্ত শুষে নিতে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না, ওরা এখন সরাসরি নাক মুখ দিয়ে ভিতরে ঢুকে ডাইরেক্ট একশনে যেতে চায়। জানি ওরা আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ডাইরেক্ট একশনের মেসেজ পেয়ে গেছে কিনা! হতে পারে মানুষের মনোভাব মশারা আগেই বুঝতে পারে সারভাইভ করতে হয়তো ওদের , তাই হয়তবা!

যাইহোক আলোচনা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে।বলছিলাম মেয়র আনিসুল হককে নিয়ে।মেয়র হিসেবে তার কর্মতৎপরতা প্রথম দিকে কিছুটা আশান্বিত করেছিল।গত কয়েকদিন মশার তীব্র অযাচিত বিরামহীন সংগীতচর্চা মেয়রের প্রতি গত কয়েক দিনে বিরক্ত এখন রাগে পরিণত হয়েছে।আর কিছুক্ষণ প্রথম আলো'র একটি নিউজ দেখে ঢাকা'র ভবিষ্যত মশার রাজত্ব নিয়ে রীতিমত আতংক অনুভব করছি। যদিও মেয়র কর্তৃক নেয়া উদ্যেগের মধ্যে একটা নির্মল উদ্যেগ। মেয়র ঢাকা শহরের নাগরিগদের মধ্যে ফুলের টব ও চারা বিতরণ শুরু করেছেন । চমৎকার একটি প্রকল্প।কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ভালো উদ্যেগ মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করে। 'ফুলের টব ও চারা' বিতরণের প্রকল্প আমার কাছে সেই রকম ভয়াবহ একটি উদ্যেগ মনে হচ্ছে।কারণ সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধন প্রকল্প যেভাবে মুখ থুবরে পড়ে নাগরিকদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে সেখানে লাখ লাখ ফুলের টব ও চারা বিতরণের মাধ্যেমে পুরো শহর এখন ডেঙ্গু মশা উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
তাই মাননীয় মেয়র ফুলের নির্মল ভালোবাসাও যে অনেক সময় বিষাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করতে এবারে অন্তত তা নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছি। অনুরোধ জানাচ্ছি, ''ফুলের সুবাস চাই তবে আগে মশার বেসুরো গান বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন''।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.