নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘Divide & Rule’......!!

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৩


বৃটিশরাজে শাসন দেখেছে সেরকম লোকের সংখ্যা এখন আর নেই বললেই চললে ।তবে রেখে যাওয়া বিভিন্ন পলিসি দিয়ে তাদের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যায়।এক অর্থে বৃটিশদের সফলই বলতে হবে। প্রায় ৭০ বছর আগে এদেশ ছেড়ে চলে গেলেও তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার অনেক নীতিই খুব ভালো ভাবেই প্রতিষ্ঠা করে যেতে সক্ষম হয়েছে তারা। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাত সমুদ্দুর তের নদীর ওপার থেকে এদেশে এসে তাদের শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যে নীতি গ্রহণ করেছিল সেই বিতর্কিত ‘Divide & Rule’। অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করো এবং শাসন করো। সেই নীতি গ্রহণ করে কখনো হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি, কখনো ভিন্ন ভাষা-ভাষীদের মাঝে দ্বন্দ তৈরি। কখনো আঞ্চলিকভাবে দ্বন্দ সংঘাতে ইন্ধন দিয়েছে। আর তারা নির্বিঘ্নে শাসন ক্ষমতা চালিয়ে গেছে। তবে এই নীতিও একদিন তাদের শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। অনিবার্য কারণেই তারা শেষ পর্যন্ত অস্বাভাবিক বিভক্তির মাধ্যমে রাজ্যপাট গুটিয়ে তল্পিতল্পাসহ চলে যেতে হয়েছে। কিন্তু চলে যাওয়ার সময়ে সাম্রাজ্যবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য সবচেয়ে কুখ্যাত রাজনৈতিক পলিসি Divide & Rule’এ অঞ্চলের শাসকগোষ্ঠীর হাতে দান করে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ , ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী সফলভাবে বৃটিশরাজের ‘Divide & Rule’ পলিসি প্রয়োগ করছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশে এটা প্রয়োগ হচ্ছে অত্যন্ত সৃজনশীল পদ্ধতিতে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ মানুষ এমনকি অনেক বুদ্ধিদীপ্ত নাগরিক জানেনই না কখন এবং কিভাবে সরকারের টিকে থাকার পলিসি Divide & Rule’দ্বারা তার চিন্তা জগত দখল বা হ্যাক হয়ে গেছে। হ্যাক শব্দটা ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে সরকারের বর্তমান Divide & Rule’পলিসি অনেকটা সাধারণ মানুষের চিন্তাজগত বা মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রণ করার মতই। অর্থ্যাৎ সরকার অনুশ্রুত পথ বা পদ্ধতিতে সবাইকে বা হ্যাক হওয়া সাধারণ মানুষকে ভাবতে উৎসাহিত করা বা বাধ্য করা। সর্ব-সাম্প্রতিক কালের সুপ্রিম কোর্টের সামনে আইনের শাসনের প্রতীক ভাস্কর্য বা মূর্তি বিতর্ক সরকারের Divide & Rule’এর সফল প্রয়াস। কারণ সরকারপ্রধান বা সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন এ বিষয়ে এমন শিশুসুলভ ভাব করছেন যেনো তারা ভাজা মাছটা উল্টিয়ে খেতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টের সামনে সম্ভবত মঙ্গলগ্রহ থেকে এক রাতে পথ ভুলে এসে গ্রীক দেবী এসে অবস্থায় দাড়িয়ে গেছে। পরদিন রাস্তায় সূর্য ওঠার পরে এদেশের বেশিরভাগ মেয়েকে শাড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখে কারো কাছ থেকে একখানা সুতি শাড়ি পড়ে চেয়ে নিয়েছেন।
পর্যবেক্ষণঃ Divide & Rule’পলিসি’র মাধ্যমে টিকে থাকা ভোটারবিহীন নির্বাচনে কর্তৃত্ববাদী সরকার খুব ভালোভাবেই জানে বাংলাদেশের প্রধান ঈদগাহ ময়দানের সামনে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে এই ভাস্কর্য বা মূর্তি স্থাপন করলে এদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী এ বিষয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আর ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠীর পক্ষে নির্বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করবে।অন্যদিকে যারা শিল্পসংস্কৃতির সাথে জড়িত খুব স্বাভাবিক কারণেই তারা এর প্রতিবাদ করবে। কিন্তু তাদের সংখ্যা যেহেতু কম তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান করতে কোন বাধা নাই।
প্রশ্নঃ জেনেশুনে কেন এই ধরনের ভাস্কর্য বা মূর্তি স্থাপন করতে দিলো ?
উওরঃ Divide & Rule’এবং এর মধ্য থেকে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ফায়দা তুলে নেওয়া।
মন্তব্যঃএকই অস্ত্র বার বার ব্যবহার করলে একসময় সাধারণ মানুষ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের দিকে সেই অস্ত্র ঘুরিয়ে ধরে !! Divide & Rule’বিতর্কিত ও কুখ্যাত রাজনৈতিক পলিসি ব্যবহারের মাত্রা সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে একটু বেশিই......!!!!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: "Divide & Rule’। অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করো এবং শাসন করো"

আচ্ছা বৃটিশরা ই বুদ্ধি পেল কোত্থেকে? তারা তো বহু বা অন্যদের দ্বারা পরাজিত ও শাসিত হয়েছে এছাড়া তাদের প্রায় ৩০০০ বছরের ইতিহাসে তারা অন্য কোন দেশে এসব করল না কিন্তু (আমার পড়া মতে) । বাট ১৬০০ সালের পর থেকে হঠ্যাৎ করে সব করতে লাগেলন। ব্যাপারটি রহস্যই মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.