নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেমন্তিকা

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০




এই যে অঝোর রাত্রি নিশীথ যাচ্ছে কেটে ভালোবেসে
বাড়ছে নেশা মেহুল সুবাস বাড়ছে তৃষা শব্দে সুহাস;
কি আসে যায়!
আজকে যদি শরত কাশে রোদ্দুরে রূপ তোমার ভাসে ?
করকমলে'র অজলাতে ঘন শিশির কুয়াশা হয় !



কী আসে যায় !
একটা সময় উদাস হয়ে সব দ্বিধা কে চোখ রাঙিয়ে
ঊর্মিছটায় বলেই ফেলি - তোমার ছায়ায় মন ডুবেছে ...
বলি ই ...যদি তোমার বুকের পাতাঝরা শব্দগুলো আমায় দেবে ?
দেবে কি আজ মধ্যরাতের ঝড় প্রকোপে ফিসফিসানি হলদে বাতাস !



ও জোনাকি! তোমায় যদি হিমের রাতের কৃত্তিকা কই
বাঁধবে কি আজ হিমঝুরি তে কেয়ূর হাতে প্রাণের সই
কাঞ্চনে আর অশোক বনে অনুক্ষণের লালচে আভায়
নাইওর চলে বাপের বাড়ি লাজুক হাসি আঁচল ছাড়ায়।



কার্তিক মাসের অকাল ফুরায় অগ্রগামী অগ্রাহায়ন
পরব আসে মন বাতাসে গেন্দা ফুলের লাগল যে ঘ্রাণ;
আমন আউশ সুবাস বিলায় মল্লিকা তেও উপচানো রঙ
অইছন হাউশ মেটায় কৃষাণ গলুইয়া আর লাগলে আড়ং।



কিংশুকেতে ভ্রমর বিলাস; বাসক পাতায় লাগলে নাচন
বৈরী বাতাস খুব হা -হুতাশ রইলো না হয় মন উচাটন।
খুব অবেলার অংশু যখন ছায়ার কোলে সিনান করে ডুব টুপটুপ
ধানের শীষে কী আবেশে ঝনঝনানি বাঁজায় সে মল হৈমন্তী সুখ।









ছবি সূত্রঃ Click This Link

মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা!! অসাধারণ ভাবনা। কবির কল্পনার আল্পনায় হৈমন্তিক মুগ্ধতা । ++


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপুনিকে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাস্টার মশাই ;
আপনার মন্তব্যের আন্তরিকতা সবসময় আমাকে স্পর্শ করে! কবিদের ভাবানায় ডানা মেলার জন্য আপনাদের মত অসাধারণ কিছু পাঠক আছে , আর কি চাই বলেন !
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা আপনার জন্য। সবসময় অতটাই আনন্দে থাকুন, খুব খুব ভালো থাকুন।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: তালটা (তাল গাছের তাল নয় :D ) চমৎকার লাগল।

মেহুল সুবাস, কেয়ুর হাতে শব্দগুচ্ছগুলো বুঝি নি। :(

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা ইচ্ছে করে কোথাও কোথাও বেতাল রেখেছি , জানেন তো সবসময় অত তালে থাকতে নেই ;) তারপর ও চমৎকার অনুভবে মুগ্ধতা রাখলাম।

মেহুল সুবাস = মেঘলা সুবাস
কেয়ূর = বাজু , অঙ্গদ , বাহুর অলংকার। সোজা বাসায় ব্রেসলেট।

ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে :)

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: অসাধারন কবিতা।

একরাশ মুগ্ধতা++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তারেক ফাহিম;
কবিতায় একজন দারুণ পাঠকের উপস্থিতি, লেখকের জন্য আনন্দের!
প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছন্দ, ভাবনা, অনুভবতার সুখাবেশ

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চমৎকার বাক্য চয়নে ভালোলাগা রাখলাম।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: কেয়ূর = বাজু , অঙ্গদ , বাহুর অলংকার। সোজা বাসায় ব্রেসলেট। -- যাক বাঁচলুম। আমি আবার ভাবছিলুম ময়ুরের ছোট বোন-টোন, শালা-শালী কিনা। :P

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা যা বলেছেন আর কি !!
সব ই হবে তাল মিলিয়ে কেমন জানেন ?
একুশ বাকুশ তেকুশ :P

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রিয় ব্লগার মনিরা সুলতানা আপু......


ছন্দিত কাব্যে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া...... আজকাল বউদিরা হেমন্তী নাইওর যায় না.....


দ্বিতীয় পারার চতুর্থ সারিতে ফিসফিসানি হবে বুঝি.....


অনিঃশেষ শুভকামনা। হেমন্তীর শুভেচ্ছা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাত্রই আপনাকে নিয়ে মাইদুল সরকারের লেখা কবিতা পড়ে এলাম;
চমৎকার এঁকেছে সে আপনাকে শব্দে শব্দে ...

প্রিয় ব্লগার সম্বোধনে সম্মানিত ও আনন্দিত জনাব; সাথে হৃদয় ছোঁয়ার অনুভবের প্রকাশ!!! ব্লগার হিসেবে এ বিশাল পাওয়া নিঃসন্দেহে। হুম এটুকু অনেকটাই ঠিক আজকাল ভাবী বৌদিরা হলিডে তে ফরেন যায়। নাইওর যায় যাদের ঘর হইতে আঙিনা বিদেশে বাধ্য তারা।

হুম হুম ফিসফিসিয়ে চুপিচুপি বলি শব্দ'টা ফিসফিসানি ই হবে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনি হৈমন্তীর শুভেচ্ছা দিলে, আমি অপু তে সারলাম :)

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

নূর ইমাম শেখ বাবু বলেছেন:

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ও চমৎকার মন্তব্য করেছেন ;
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: ২. ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৯ ১

আখেনাটেন বলেছেন: তালটা (তাল গাছের তাল নয় :D ) চমৎকার লাগল।

মেহুল সুবাস, কেয়ুর হাতে শব্দগুচ্ছগুলো বুঝি নি। :(


একদম তাল কাহারবা!!

মাঝে মাঝে অবশ্য ঝাঁপ বা ঝম্পক তাল এসেছে! :) :) :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তালে তালে যদি না বা মিলে বিক্রম আর বেতাল এসে ধরবে চেপে টুঁটি ;)

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১১

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: বাহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহহতুমিমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমতোতততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততসেসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসই কককককককককককককককককককককককককককককককককককককবিবববববববববববববববববববববববববববববববববববকতা লেলললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললললখকককককককককককককককককককককককককককককককককককককককককককককককতেতততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততততপাপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপপরোরররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররর
বুঝেছো কিছু আমার কথা । বুঝে থাকলে বলবে যে আমি প্রথম কী কথা বলেছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় স্বাগত আপনাকে ইসমাঈল আযহার ;
আপনি লেখায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন , বাহ ! কবি লেখক এই কথাটুকু দিয়ে ই ।

ধন্যবাদ শুভ কামনা আপনার জন্য ।

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাহ। দারুন লাগলো ।।।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আব্দুল্লাহ আল মামুন !
আপনার স্বল্পশব্দে প্রশংসায় ভালোলাগা রাখলাম।

শুভ কামনা অনিঃশেষ।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: তাহলে ধরতে পেরেছো তুমি!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: মনোমুগ্ধকর কবিতা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবনুর !
মন্তব্যে ভালোলাগা।

১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

আরোগ্য বলেছেন: আপনার কবিতায় হেমন্তের দারুণ চিত্র একেঁছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাব্যচিত্রে ভালোলাগার প্রকাশে কৃতজ্ঞতা ।
শুভ কামনা আপনার জন্য!

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৭

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: যদিও আম বোকা সোঁকা টাইপ । তেমন কিছু বুঝিনা :(

তবে পড়লাম । ভালো লেগেছে আপনার হেমন্তিকা 8-|

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলেগেছে তাতেই ঢের আমার জন্য; না বুঝলে কিন্তু ভালোলাগার কথা ও নয়।
পড়েছে মন্তব্য করেছেন , আমার ও অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ।

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: এত নান্দনিক কবিতা পড়ার পরে কিছু বলতে হলে রবী ঠাকুর থেকে ধার করেই বলতে হবে----

‘আজি হেমন্তের শান্তি ব্যাপ্ত চরাচরে
জনশূন্য ক্ষেত্র মাঝে দীপ্ত দ্বিপ্রহরে
শব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা উদার
রয়েছে পড়িয়া শ্রান্ত দিগন্ত প্রসার
স্বর্ণশ্যাম ডানা মেলি।’


১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ঠাকুর মশাই আরও লিখেছিলেন -


হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে,
হেমন্তিকা করল গোপন আঁচল ঘিরে।
ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো ‘দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো, সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’


ধন্যবাদ কপি পেস্টের জন্য :)

১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:০০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ও জোনাকি! তোমায় যদি হিমের রাতের কৃত্তিকা কই
বাঁধবে কি আজ হিমঝুরি তে কেয়ূর হাতে প্রাণের সই

....................................................................... প্রানের আকুতি সঙ্গোপনে আমরাও করি
তবে হৈমন্তী সুখ, সবার কাছে দেয়না ধরা ।
.......................................................
কবিতায় ++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ভাদ্রের তালপাকা গরমের পর সুখে শখে হেমন্ত ধরা দেয়া কিছুটা কঠিন ই ......
চমৎকার ছবি সহ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়েছিলেন, আশা করছি !

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন আপু.....
লাইক সহ +++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ এস বাশার ;
মন্তব্যে এবং প্লাসে আপ্লুত হলাম !!
আপনার যুগলবন্দী ও পড়লাম দারুণ লিখেছেন নিঃসন্দেহে ।

ধন্যবাদ ছোট্ট কথায় মনভালো করা মন্তব্যের জন্য ।

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবনুর !
মন্তব্যে ভালোলাগা।

ভালো থাকুন। সুখি থাকুন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ ।

২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

সনেট কবি বলেছেন: সন্দেহ কেন?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসম্ভব দ্রুত পঠন এবং একই মন্তব্যে সবার লেখায় !

আপনি নিজে একজন লেখক , খুব ভালো করেই জানেন একটা লেখার পিছনের কস্টের ইতিহাস ! আমার নিজের কথা বলি , এই কবিতায় ঠিক আমার কতদিনের কাজের ফাঁকের কল্পনা বলতে পারব না । কিন্তু পাতায় তুলে আনতে দুই দিনে কয়েক ঘণ্টা লেগেছে ;
হেমন্তের বর্ণনা , হেমন্তের ফুল , শস্য এ সময়ের প্রকৃতির উদারতা রঙ হেমন্ত কে নিয়ে লেখা কবিতা সব সব পড়তে জানতে হয়েছে , সাথে এসেছে নিজের অনুভব।

আমার জন্য একজন ফুল টাইম মা এর জন্য ব্যাপার টা অতটা সহজ নয়, এই কবিতা 'র পেছনে আমার ইনভেস্টমেন্ট অনেক। সুতরাং আমি চাইতেই পারি পাঠক আমার লেখা পড়েই মন্তব্য করুক। আমার লেখার ভালোলাগা ,মন্দলাগা নিয়ে আলোচনা করুক। তেমন না চাইলে ফেসবুকে দিয়ে লাইক সংগ্রহ আর নিজের টাকায় বই প্রকাশ করে সন্তুষ্ট থাকতাম।


আপনার ইন্দানিং কালের মন্তব্যগুলো আমাকে ভাবাচ্ছিলো, সেই হিসেবেই জানতে চেয়েছি । আপনাকে ছোট বা সন্দেহের কিছু নেই এখানে। আপনি এই ব্লগের একজন অন্যতম ব্লগার সিনিয়র ব্লগার , নতুনদের আপনার কাছে শেখার অনেক কিছু ই আছে। আর সেই অন্যতম সিনিয়র একজন ব্লগার হিসেবে আপনার দায়িত্ব ও অনেক বেশি।

সবকিছুর পর ও আপনার মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত ; নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাগরিক জীবনে কখন আসে কখন চলে যায় কে রাখে খবর!
ভাগ্যিস কবিগণ ছিলেন :)

শরৎ হেমন্ত কে কবিকাল বলা যায় কি?
কবিতাতেই বুঝি শুধু বেঁচে রয় . . .

কবিতায় ভাললাগা
++++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাগ্যিস কবিগণ ছিলেন !! নইলে তাদের মাঝেই তাদের কবিতাতেই যে আজকাল শরৎ হেমন্ত বেঁচে আছে কিভাবে খেয়াল করতো কেউ ;) ধন্যবাদ কবি কে ।

শরৎ হেমন্তের ব্যাপ্তিকাল অতটাই স্বল্প , ঠিক যেন এ সময়ে ফোটা শিউলির মত ! বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে ঠিকঠাক এর ঘ্রাণ নেয়া কঠিন। তবুও বেঁচে থাকে নতুন চালের আগমনে ধানে কলের শ্রমিকদের কলরবে , শহুরে রাস্তায় শিউলিমালা ফেরি করে ফেরা পথ শিশুদের মাঝে।
আর কবিদের জন্য আলাদা কাল লাগে নাকি ? সব কালেই ব্লগের কবিরা সরব ।

ভালোলাগা আর +++ অনুপ্রাণিত।

২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



'হেমন্তিকা' এ যেন হেমন্তের আগমনী সূর। দারুন শব্দবানে চমৎকার অনুভব। ভাল লাগলো কবিতার প্রকাশ ভঙ্গি আর সুরের ব্যঞ্জনা। সুফিয়া কামালের 'হেমন্ত' কবিতাটি আমার খুব প্রিয়।

সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে
কোন্ পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?

আনল ডেকে মটরশুঁটি,
খেসারি আর কলাই ফুলে
আনল ডেকে কুয়াশাকে
সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।

সকাল বেলায় শিশির ভেজা
ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে
হাল্কা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।

আরও এল সাথে সাথে
নুতন গাছের খেজুর রসে
লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা
মিষ্টি রোদে খেতে বসে।

হেমন্ত তার শিশির ভেজা
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
চুপে চুপে রং মাখাল
আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! আপনার শব্দ চয়ন ও চমৎকার ;
দারুণ ভাবে কবিতায় নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশ করলেন । যতখানি নিপুণতায় প্রবন্ধ লিখেন মন্তব্যে ও যথেষ্ট সৃজনশীল আপনি। সাথে শৈশবের পছন্দের কবিতা তুলে এনে ভালোলাগা পূর্ণ করলেন।


অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , শুভ কামনা সতত।

২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: দু'দিন পরে ব্লগে পা দিতেই দেখি হেমন্ত এসে গেছে। সেই কিশোরীবেলায় জীবনবাবুকে ভালোবাসার সাথে সাথে হেমন্তকেও ভালোবেসেছি। তোমার কবিতা মানেই শব্দের ঝংকার। হেমন্তকে খুব চুপচাপ শান্ত বলেই জানতাম। তোমার কবিতায় দেখি সে সম্রাটের বেশে, রাজকীয়!!

তোমার কবিতা পড়ে আবারো হেমন্তের প্রেমে ডুবলাম। কবিতাটা বার বার পড়ার মতো। কিভাবে পারো এভাবে শব্দের সরোদ বাজাতে? দ্বিতীয় স্তবকটা কি যে ভালো লেগেছে। কোথাও একটা মাতাল অনুভব আছে।

ভালোবাসা প্রিয় নীরা। ভালো থেকো আর ভালোবেসো।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তুমি যে কী পরিমাণ যত্নে মনে রাখো !! জীবনবাবু তো জীবনদায়িনী, তার কবিতা ভালোবাসায় ভালোবাসতে শেখায়।
এই চুপচাপ আপাত শান্ত দেখতে হেমন্ত যে আমার হৃদয়ের রাজা হয়ে আছে, তাই হয়ত ঝনঝনানি টের পেয়েছ একটু বেশী ই ।

শিখা হচ্ছে ভালোবাসার মেয়ে, কবিতার মেয়ে, মিথী'র জারুলফুল; তুমি জানো প্রেমে ডুবতে একেবারেই কবিতার মত নান্দনিকতায় তাই হয়ত তোমার কাছে আমার সাধারণ কবিতা ইন্দ্রাণী হয়ে ধরা দেয়। এ শুধু তুমি আমাকে ভালোবাসো বলে।

তোমাকে একটু শেয়ার করি -
সত্যি বলছি শরৎ হেমন্ত এই দুই ঋতু'র শুরু থেকেই আমি ঘ্রাণ টের পাই , একেবারেই মহুয়া মাতাল ঘ্রাণ।


এভাবেই রেখো ভালোবাসায় !
শুভ কামনা কবিতা'র জারুল ফুল।


২৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

শাহাদাত নিরব বলেছেন: ভালো লেগেছে
কয়েকবার পড়েছি ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শাহাদাত নিরব ;
লেখায় স্বাগত আপনাকে, ভালোলাগা প্রকাশে কৃতজ্ঞতা।

শুভ কামনা রইলো।

২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

রাকু হাসান বলেছেন:



লাইটা হৃদয়পিঞ্জরে আলতো করে ছোঁয়া দিল । হলদে বাতাস ফিসফিস করেই যেন বলছে আমায় ‘‘এই নে হেমন্তের প্রাণজুড়ানোর কবিতা । 8-| 8-|

ও জোনাকি! তোমায় যদি হিমের রাতে কৃত্তিকা কই
বাঁধকে কি আজ হিম ঝুরিতে কেয়ূর হাতে প্রাণের সই

কত ভাবনার লাইট ,ভীষণ ভালোলাগা শুধু দেয় না ,আমাকে । :)
অনেক কবিকে দেখেছি তাঁদের এক স্তবক থেকে অন্য স্তবকটি বেশি ভালো হয় ,মানে একটু পার্থক্য থাকে ভালোলাগার দিক থেকে । এই কবিতায় আমি দারুণ একটি ভারসাম্য পেলাম । এখানে প্রত্যেকটি লাইন আমার জন্য অসম্ভব ভালোলাগার ।
আচ্ছা আউশ ধান কি বাস্তবে দেখারসুযোগ হয়েছি কি ? নাকি এটাও কল্পনার আশ্রয়ে ।
মেহুল শব্দটি খুব পছন্দ হয়েছে সেই দিন থেকেই । তুমি বুঝিয়ে বলার পর সেই লাইনগুলো আমি নোট করে রেখেছি । আবার ব্যবহারেও খুব ভালো লাগছে । তোমার ব্যবহার আ্যালিউশনও চমৎকার লাগছে ।
:) মন্তব্যগুলো এখন পড়বো । তবে উত্তর আগেই পড়েছি ,জানলাম ও শেখার বস্তুও পেলাম । আচ্ছা আমি এই হেমন্তীকার গন্ধ পেয়েছিলাম ? ;)
থাক প্রিয়তে কবিতাটা 8-|

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাই রে এমন সব মন্তব্য করলে তো আমার কীবোর্ড ব্লক হয়;
অতখানি মমতায় লেখা পড়লে ভালোলাগা কাজল হয়ে চোখে থাকে। তাই তো ভালোলাগার হয়ে থাকে লাইনগুলো।

আচ্ছা হেমন্তে হেমন্তে তো বয়স কম হয় নাই রে ...
দেখেছি দেখছি আউশ দেখছি , খেয়েছি ও । নওগাঁ তে এখন ও আমাদের ক্ষেতে চাষ হয়। কল্পনা নয় একেবারেই ।

অপু হয়ে থাকলে এই হেমন্তিকার ই সুবাসে পাবার কথা ;)

প্রিয়তে থাকুক প্রিয়দের কাছে :)

২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ওমেরা বলেছেন: হেমন্ত কালকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম খুবই ভাল হয়েছে আপুনি। আমাদের এখানে গাছের সবুজ পাতাগুলো এখন আর নেই সবই লাল আর হলুদ হয়ে গিয়েছে । হেমন্তের ঝিরি ঝিরি বাতাসে পাতা গুলো ঝড়ে যাচ্ছে দিন গুলো ছোট হয়ে আসছে এ সময়টা সত্যি মন কেমন যেন উদাস উদাস লাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপুনি সুন্দর কবিতার জন্য।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম তোমাদের ওখানে তো আরও জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে আসে হেমন্ত !! পাতাঝরার দিন মন উদাসের দিন।
তুমি সুন্দর সুন্দর ছবি রেখো কেমন ! আমাদের জন্য চমৎকার একটা ছবি ব্লগের অপেক্ষায় রইলাম।

অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য ।

২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: কি আর করা ? কপি পেস্ট না করলে সে কি আর রবি বাবুর কবিতা থাকবে ! সে তো আমার হয়ে যেত !

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমিও সেই কথাই বলছি ...
ঠাকুর মশাই কে অত টানা হ্যাচরা না করে নিজেই দু এক লাইন ছুঁড়ে ফেললে পারো মন্তব্যে।

২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

জুন বলেছেন: হেমন্ত নিয়ে ছন্দে ছন্দে রুমঝুম নূপুর বাজিয়ে গেলে মনিরা । মনটা ভরে উঠলো প্রিয় ঋতু নিয়ে অসাধারন এই কবিতায় ।
+

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় জুন আপুর উপস্থিতি ও সবসময় আমার মনে রুমঝুম নূপুরের সুর তোলে!
খুব কাছের একজন হয়ে লেখার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু ।

২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,



দিন চলে যায় , রঙ বদলায়, সবই বদলে বদলে যায় । শুধু কারো কারো মন যা ছিলো থেকে যায় তেমন । তাতে কার কি এসে যায় !


প্রথম দুই স্তবকের সাথে পরের স্তবকগুলি ঠিক গেলোনা যেন !

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব সত্যি বলেছেন ভাইয়া;
দিন চলে যায় , রঙ বদলায়, সবই বদলে বদলে যায় । শুধু কারো কারো মন যা ছিলো থেকে যায় তেমন । তাতে কার কি এসে যায়
চমৎকার মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ভাইয়া !

হয়ত আপনার মুল্যায়ন সঠিক হয়ত গেলো না , যাচ্ছে না। আমি আবার দেখব, তবে কতটুকু পারব জানি না।

৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই যে অঝোর রাত্রি নিশীথ যাচ্ছে কেটে ভালোবেসে
বাড়ছে নেশা মেহুল সুবাস বাড়ছে তৃষা শব্দে সুহাস;
কি আসে যায়!
আজকে যদি শরত কাশে রোদ্দুরে রূপ তোমার ভাসে ?
করকমলে'র অজলাতে ঘন শিশির কুয়াশা হয় !


কবিতার শুরু থেকেই যেন হেমন্তের শিশিরগুলো কবিতার শব্দে শব্দে ঝরে পড়লো মনে I শেষে এসে সেই ঝরে পড়া আলাদা আলাদা প্রত্যেকটা শব্দ, লাইন একসাথে হয়ে ভালোলাগার একটা ঝলমলে শিশির চাদরও যেন বিছিয়ে দিল সারা মনে। শিশির হয়ে ঝরে পড়া কবিতার শব্দ, কথাগুলো ভোরের আলো পরে জ্বলজ্বলে মুক্তোর মত আলো ছড়িয়েই আছে এখনো মনে I বিউটিফুল ! যে কেউ পরেই বুঝবে এই কবিতাটা কার। শব্দের মণি মুক্তোয় সাজানো এতই সিগনেচার লেখা এটা আপনার (শিখা রহমান যা বলেছেন)I জাহিদ অনিক ঠিক বলেছে এই কবিতা পরে মন্তব্য করতে কবিগুরুর স্বরণ নেওয়াই দরকার ছিল I আহমেদ জিএস ভাইয়ের সাথে কিছুটা একমত হয়েও আমি ঝুঁকি নিয়েই নিজের কথাতেই বললাম প্রিয় ব্লগারের কবিতার প্রিয়তা I অনেক ভালো লাগা কবিতায় I







১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম মণিমুক্তা তো হয় আপনাদের মন্তব্য গুলো !!
এক একটা মন্তব্য আমার লেখার অলংকার হয়ে থাকে ! আমি আগেও বলেছি দারুণ সব আমার লেখা কে ছাড়িয়ে যাওয়া মন্তব্য গুলোর জন্য ই আমি ব্লগে ফিরে ফিরে আসি ; দু একটা লেখার সাহস করি ।

হুম জিএস ভাইয়া সব সময় আমার লেখার শুভাকাঙ্ক্ষী, উনার প্রতিটা উপদেশ আমার পরের লেখাকে শুদ্ধ করে।

আমি আনন্দিত আপনাদের মত পাঠক পেয়ে :)
সব সময় ভালোথাকার শুভ কামনা।

৩১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপু, নিঃসন্দেহে, খুব সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রান্ত !!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

আমি সিংচ্যান কে ভালোপাই কিন্তু :)

৩২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবিতায় সোঁদা মাটির গন্ধ পেলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ ভাইয়া ;
আপনি লেখার শুরু থেকে ই আমার একনিষ্ঠ পাঠক ; সেই হিসেবে সবচাইতে পুরনো পাঠক আপনি।

ধন্যবাদ অতখানি ধৈর্যশীল পাঠক হবার জন্য, সব সময় ভালোথাকুন।

৩৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: কবিতা কিশোরীর ঘুঙুরের মত ঝনঝন করে বাজে যেন। কেমন আবেশিত করে ফেলে আপনার কবিতা।
অনেক অনেক ভালো লাগা আপু+++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে আরেয় কাকে পেলাম আমার লেখায় !!
তুমি! তুমি! এত দিন কোথায় ছিলেন , বনলতা সেন !!!

অনেকদিন পর ফিরলে ব্লগে , লেখা ও পাচ্ছি না বহু দিন। আশা করছি চমৎকার লেখা নিয়ে ফিরছ ......

তোমাদের মত আবেশিত পাঠক পেয়ে নিজেকে অনেকবেশি ধন্য মনে হয়। ভালোবাসা তোমার জন্য।

৩৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অসাধারন +++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ;
ভালোথেকো সবসময়।

৩৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: আমি নিজে তো কবিতা লিখতে জানি না, তাই ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারছিনা কি কারনে কবিতাটা ভালো লাগলো! শুধু মনে হচ্ছে, টুপটাপ শিশির ঝরার শব্দের মত কিছু শব্দ ঝরে পড়ছে, আর ছবি এঁকে তুলছে- এক উদাসী বালিকার চোখে আমার প্রিয় ঋতু হেমন্তের ছবি।

চমৎকার কবিতাটার জন্য কয়েকটা ধন্যবাদ মনিরা।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু দিন শেষে ভালোলাগা টুকুই থাকে , ও টুকুই আমার লেখার প্রাপ্তি ......
এত কোমল সব শব্দে লেখার ভালোলাগা টুকু মন্তব্যে তুলে আনেন যে মন ভালোলাগায় পূর্ণ হয়ে যায়। কী যে চমৎকার !! মনে হচ্ছে আমি আমার নিজেকে দেখতে পাচ্ছি !!

আপনাকে ও অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ আপু।

৩৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ৪ নংএ চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্য টা ভালো লাগলো। উনি খুব মনোযোগ সহকারেই কবিতাটা পড়েছেন। অনুধাবন করেছেন।
১৫ নং এ জাহিদ অনিকের মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো। আসলেই, এতো নান্দনিক কবিতা পড়ার পর আর কোনো ভাষা থাকে না।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম উনি বেশ মনযোগী পাঠক; এবং অনুধাবন ও করেছেন। ক্যাবল মন্তব্যের বেলায় এই অনুভব টুকু প্রায়শই থাকে না আফসোস !
মাঝে মাঝে উনার মন্তব্য যে কারো জন্য গলার কাঁটা।

জাহিদ বুদ্ধিমান ছেলে ঠাকুর মশাই কে তুলে এনেছেন , ভালো না লেগে উপায় নেই।

ধন্যবাদ ধ্রুবক চমৎকার মন্তব্য সহ মুগ্ধ পাঠে ।

৩৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ধানের শীষে কি আবেশে ঝনঝনানি বাজায় সে মল হৈমন্তী সুখে।
এখানে মল হবে না মূল..?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধানের শীষে কী আবেশে ঝনঝনানি বাজায় সে মল হৈমন্তী সুখে ;
আবার এমন ও হতে পারে

ধানের শীষে কী আবেশে ঝনঝনানি বাজায় পায়েল হৈমন্তী সুখ ।

শব্দ টা মল ই হবে মূল নয় ।
মলঃ বি. নূপুরজাতীয় পায়ের অলংকারবিশেষ। [দেশি]।

ফিরে এসে মন্তব্যে শুভেচ্ছা ধ্রুবক :)

৩৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

সূর্যালোক । বলেছেন: হেমন্তের পরিপূর্ণগন্ধ কবিতায় । কবিতায় লাইক

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতার অনুভব আর প্রিয়তায় আনন্দিত আমি।
শুভ কামনা আপনার জন্য :)

৩৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অতিরিক্ত মুগ্ধতা, এত ভাল না লিখলে কি হয়না,

এসব ভয়ঙ্কর ভাল লেখা পড়ে পড়ে আমি শেষ। হতাশ!!

পোস্টে ১০০ টা মাইনাস------------- X((

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি যে বলেন ! অসম্ভব ভালো তো আপনি নিজে লিখেন-
সবসময় আপনার কবিতা ভালোলাগার মাত্রা ছাড়ায় ...

হুম হুম হতাশ না হলে কবিতা লেখা হবে কিভাবে !! আমাদের জন্য অনন্য এক কবিতা নিয়ে ফিরছেন আশা করি ।


আপনার মাইনাসে মাইনাসে প্লাসে আমি আনন্দিত :)
শুভ কামনা অনেক অনেক ভালো থাকুন ।

৪০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





কবিতায় যেন হেমন্তের কলরব! উষ্ণ হিমে প্রাকৃতিক ছলনা। যেন সে দূর্বোধ্য রমনী!!

কবিতা ভাল লেগেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হেমন্তের বেখেয়ালী আবহাওয়া কিন্তু তেমন ই বলে ;
রুক্ষতা আবার শিশিরের স্নিগ্ধতা কোমলতা ।
দূর্বোধ্য না বলে উপায় নেই ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য আর ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ।

৪১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

রাকু হাসান বলেছেন:


একজন কে ২৪৯ জন অনুসরণ করছে ,তিনি ১ জনকে অনুসরণ করছেন মাত্র । জানবো কিভাবে কে সেই একজন মহান মানুষ B-))

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেখছো কান্ড !!!!!
তোমার কাছে নোটিশ যায় নাই ??? ;) অনুসরন এর !!

নাহ ..
এই সামুর নোটিফিকেশন আর ঠিক হইলো না 8-| /:)

:-B

৪২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ম্যাডাম। আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার অসম্ভব আন্তরিক মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ফারিয়া হোসেন প্রভা !
আশা করছি সবসময় সাথে পাবো ।


অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

৪৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

সুমন কর বলেছেন: একরাশ মুগ্ধতা !! ;)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চমৎকার ইমোজি তে মুগ্ধতা সুমন কর :)
লেখায় আপনাকে পেয়ে ভালোলাগলো; শুভ কামনা অনিঃশেষ।

৪৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ কিছুদিন ধরে সামুতে নিয়মিত বিচরণ করা হয়নি । আজ সকালে মনে হল সামুতে গিয়ে আমাদের প্রকৃতিকে নিয়ে লেখা একটি সুন্দর কবিতা পাঠ করব । মনে মনে ভাবছিলাম মনিরা আপুর ব্লগে গিয়ে দেখব তেমন কিছু আছে কিনা কেননা গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে প্রকৃতিতে থাকাএমন অনেক গাছ ও ফুলের কথা খুব সুন্দরভাবে তার কবিতাতেই বেশী ফুটে উঠে । নাম লিখে ক্লিক করেই পেয়ে গেলাম হেমন্তিকাকে । মনে হল আমাকে আর পায় কে । কবিতাটি নিয়ে পার করে দেয়া যাবে সারা বেলা ।

ষড়ঋতুর অনন্য ঋতু হলো আমার পরম প্রিয় রূপের রাণী সুখের বাণী হেমন্তকাল । স্নিগ্ধ হেমন্তকাল যেন আমাকে একটু বেশীই টানে । সকালে ধানগাছের ডগায় জমে থাকা শিশির যেন হেমন্তের মায়াবী রূপের সৌন্দর্যেরই পূর্বাভাস জানান দেয়।

সকালের প্রথম রোদের বর্ণচ্ছটায় গাছের পাতাগুলো যেমন হেসে ওঠে তেমনি তা আমার মনকেও প্রফুল্য করে দেয় । গাছের নরম-কচি পাতাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ আর সুনীল আকাশ বরাবরই আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। হেমন্তের রাতে মেঘমুক্ত আকাশে ফালি ফালি জোছনার আলো অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই যেন মনে হয় ঠিকরে পড়ে। হেমন্ত মানেইতো শিশিরস্নাত প্রহর। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই হেমন্তের আগমন ঘটে। সে সময় খুব সুন্দর দুধেল জোসনার মতো মনে হয় সকালের প্রকৃতিটা কে। হেমন্তে শিউলি, কামিনী, গন্ধরাজ, মল্লিকা, ছাতিম, দেবকাঞ্চন, হিমঝুরি, রাজঅশোক ইত্যাদি নানা ধরনেরকতনা ফুলই ফোটে। এ কবিতাতেও সে সব কথা সুন্দর ভাবে উঠেছে ফোট

আজকে যদি শরত কাশে রোদ্দুরে রূপ তোমার ভাসে ?
করকমলে'র অজলাতে ঘন শিশির কুয়াশা হয় !


বাংলার প্রকৃতিতে স্বীয় বৈশিষ্ট্যতা নিয়ে আবির্ভূত ফসলের ঋতু হেমন্তকাল। সারা মাঠ যেন সবুজে সবুজে ছেয়ে যায়। বাতাস বয়ে যায় মাঠের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ঢেউ খেলে যায় নিরুদ্দেশ অজানায়, সুন্দরের এ হাতছানি এতই মনোরম ও মনোলোভা যে তা ভাবুক হৃদয়ে ঝড়তুলে মুগ্ধতার ছোঁয়ায় ও ভালোবাসার অসীম মায়ায়। তাইতো দেখি এ কবিতায় হয়েছে বলা
ও জোনাকি! তোমায় যদি হিমের রাতে কৃত্তিকা কই
বাঁধকে কি আজ হিম ঝুরিতে কেয়ূর হাতে প্রাণের সই


পাতা ঝরা এই হেমন্তের অন্তরস্থিত প্রকৃতি নিয়ে হেমন্তিকায় উঠে এসেছে কতনা ফুলের নাম যাদের সাথে আমাদের বাহ্যিক একটি পরিচয় থাকলেও এর নামের সাথে প্রকৃত ফুলটির পরিচয় কিংবা হেমন্তের ফুল হিসাবে এর বৈশিষ্টের কথা আমাদের অনেকের কাছে তেমনভাবে জানা নেই । কবিতাটিতে থাকা অনেক গুলি ফুলের মধ্যে দুএকটি ফুল যথা কাঞ্চন , অশুক, কিংশুক আর বাসক ফুলের কথা না বললেই নয় ।

সাদা ও বেগুনী সুগন্ধি রক্ত কাঞ্চন ও দেব কান্চন সারা গাছ ভরে ফোটে হেমন্তে ।

অশোক ফোটার প্রধান মৌসুম যদি ও বসন্তকাল তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফোটতে দেখা যায় । একে নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। কামনা করি এই কবির হেমন্তিকার চরণ ষ্পর্শে অশোক বৃক্ষে অসংখ ফুল ফুটুক ।

কিংশুক বা পলাশ ফুলটি সম্পর্কে “ফুলগুলি যেন কথাকয় ” বইতে উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মা লিখেছেন- অনেক সুন্দর সুন্দর কথা ও দিয়েছেন ফুলটির বিবরণ, উৎপলা সেনের গানে আছে, “ কিংশুক ফুল হিংসুক ভারি, আজ করে ভাব, কাল করে আড়ি” ।


কবিতাটিতে থাকা বাসব ফুলের কথা আমাকে খানিকটা বাল্যকালের কথা মনে করিয়ে দেয় । হেমন্তের সকালে বাসক গাছের ফুল তুলে ফুলের বোটায় জমে থাকা মধু খেতাম চু চু করে । উল্লেখ্য বাসক ফুলের বোটায় মধুর মত মিষ্টি এক ফুটার মত রস জমে থাকে । গাছ হতে ফুল তুলে সাথে সাথে এ রস খেতে হতো , একটু দেরী হলে শুকিয়ে যেতো । শুধু ে এর মধু্‌ই খাওয়া হতো , তা নয় রপিপড়া বা মৌমাছির কামরে হাত-পা ফুলে গেলে, বিশেষ করে চামড়ার রং উজ্জ্বল করতে বাসক গাছের গাছের পাতার তিতা রসও পান করতে হতো আমাদের অনেককেই ।


কবিতাটি পাঠ করি আর ভাবি হেমন্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে কবিকে হেমন্তের ফুল , শস্য, সে সময়ের প্রকৃতির উদারতা, পকৃতি ও মানবের মনের রঙএর সাথে মিশ্রিত ভাবাবেগ ও ভাল বাসার কত কথাই না সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে কবিতাটিতে ।
এই যে অঝোর রাত্রি নিশীথ যাচ্ছে কেটে ভালোবেসে
বাড়ছে নেশা মেহুল সুবাস বাড়ছে তৃষা শব্দে সুহাস;
কি আসে যায়!


অসাধারন কথামালা ও ভাবগাম্ভির্যে ভরপুর কবিতাটির সঠিক মুল্যায়ন করা আমার ক্ষমতার বাইরে । কবির জানার পরিধি ও গদবাধা শব্দের বাহুল্যতা ছাড়িয়ে প্রকৃতির নিগুড় কথামালা প্রকৃতির ভাষার মতই সহজ করে তুলে ধরায় অভিভুত হয়েছি ।

কবিতাটি প্রিয়তে গেল ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারণ !! কী যে অপূর্বতায় আপনি কবিতাকে দেখেন ! বিশ্লেষণ করেন ! আমি প্রতিবার অভিভূত হই।
অনেকদিন পর ফিরলেন, শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য তারপর ও কবিতা পড়ে আমার কবিতার চেয়ে ও দারুণ এক মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।

হেমন্ত আসলে যতটা স্বল্প সময়ের কিন্তু এর আবেদন অনেক!! এর রূপ বৈচিত্র্যের জন্য। আমার কবিতায় আসা ফুল প্রকৃতি সব কিছুর চমৎকার বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে আপনার মন্তব্যে। সাথে হেমন্তের যেসব ফুল আমার কবিতায় ব্যবহার করতে ভুলে গেছি তাদের নাম ও তুলে এনেছেন।

আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল, কিভাবে আমি ভুলে গেলাম ছাতিম ফুলের কথা !!!
ছাতিম ফুলের সাথে আমার শৈশবের অসম্ভব সুন্দর সব স্মৃতি রয়ে গেছে। একদিন সময় করে লিখে ফেলবো। আপনার তুলে আনা বাসক ফুলের সাথে মধুর স্মৃতি অনেক ভালোলাগলো।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন করা মন্তব্যের জন্য :) সব সময় ভালোথাকুন সুন্দর থাকুন।



৪৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

নজসু বলেছেন: হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে.
শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।

গানের তালে চোখ বুঝলে যে আবেশ হয়, আপনার হেমন্তিকাতেও একই অনুভব অনুভূত হলো আমার।
কবিতার প্রতিটি শব্দে হেমন্তের সমুদ্রে মন ডুবেছে।

পাকা ধানের গায়ে গায়ে বাতাসে দোল খেয়ে
ঝনঝনানির শব্দ যে শুনেছে সেই মজেছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !! কী চমৎকার রিনঝিন মন্তব্য !!


হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে.
শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।


লেখার পর এমন কিছু মন্তব্য লেখাকে সমৃদ্ধ করে নিঃসন্দেহে !
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য । ভালোথাকার শুভকামনা সবসময়ের।

৪৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৪

বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন প্রিয়

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ;
পাঠে এবং মন্তব্যে শুভ কামনা।

৪৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

অলিউর রহমান খান বলেছেন: কবিতা লিখতে আমার বেশ ভাল লাগে, সেটা যেমনই হোক; কিন্তু আমার প্রিয় বন্ধুটি মারা যাবার পর শত চেষ্টা করেও একটি নতুন কবিতা লিখতে পারিনি।

আপনার কবিতাটি সুন্দর! ভালো লেগেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয় বন্ধুকে প্রিয় করে রাখতেই না' হয় আবার লেখা শুরু করুন , সে ও বেঁচে থাকবে আপনার আমার মাঝে।

আমার লেখায় আপনাকে স্বাগত ! আশা করছি চমৎকার সময় কেটেছে !!
পাঠে এবং প্রশংসনীয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: সুন্দর।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে স্বপ্নীল ফিরোজ
ভালোলাগার প্রকাশে আনন্দিত আমি।

শুভ কামনা আপনার জন্য।

৪৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপু,
কেমনে যে এই মুগ্ধকর কবিতা মিস করলাম বুঝতে পারছি না!

অসাধারণ হয়েছে আপু, ভালোলাগা মিশ্রিত সব ভালবাসার প্লাসগুলো আপনার কবিতার জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি নিজেই একজন অনিয়মিত লেখক , তাই মিস করার কিছু নেই মাসে একদিন এলেই আমার লেখা নতুন ;)

আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধতা রাখলাম সৈয়দ তাজুল ইসলাম!
আশা করছি ভালো আছেন , ভালোলাগা মিশ্রিত প্লাসগুলো নিঃসন্দেহে আমার লেখার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো।


সবসময় ভালোথাকার শুভ কামনা আপনার জন্য ।

৫০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হু, সকলের আশার একশনে আমি চমৎকার আছি আপু। তা আপনি কেমন আছেন?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! এ ও কিন্তু দারুণ ভালোথাকা ; সকলেই আপনার উপর আশা করে !!! সবার কাছে কিন্তু সবার আশা ভরসা নেই। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আমি :)

ধন্যবাদ ফিরে এসে কুশলাদি বিনিময়ে' র জন্য।

ভালো থাকবেন।

৫১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

মিথী_মারজান বলেছেন: কি যে মিষ্টি একটা কবিতা!!!
ছন্দে ছন্দে বুনোফুল আর নতুন ধানের মোলায়েম সুঘ্রানে যেন আবেশিত হলাম।
জোনাকির কানে কথা বলার মত কোমলতা কয়জনেরই বা থাকে!
আপনার লেখা থেকে উচাটন শব্দটা ধার করেই বলি আপু, সত্যি সত্যি মন উচাটন হয় আপনার এমন কবিতায়।
অসাধারন!!!:)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে এ এ এ ..
মিথীমনি! তুমি হচ্ছে মিষ্টির ডাব্বা! এত মিঠুমিঠু করে মন্তব্য কর, আনন্দে মন লুটোপুটি খায়। মন ভালো হয়ে যায়। জানো তো , আমি আরণ্যক। প্রকৃতি আমাকে আনন্দ দেয় অফুরান। চন্দ্রমোহিয়ান হয়ে ও তোমার এই জোনাকি'র নরম আলো বুঝে নেয়ার ক্ষমতা সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে।
ভালোবাসা তোমাকে।

৫২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: হেমন্তে হৈমন্তীকাকে লাভ করলাম।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!!
প্রায় শেষ হেমন্তে হলে ও হৈমন্তী কে আমি পাইলেন ! ইহাকে পাইলেন ;)

ধন্যবাদ নক্ষত্র ; ভালোলাগা অফুরান।

৫৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


অসাধারন । ছন্দে ছন্দে হৈমন্তি । আমার অফিসের হৈমন্তির কথা মনে পরে গেল ।

বসেরা এখনো খেপায় ।

যাই হোক সুখাবেশ টা ধরে রাখি ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই তো ! এতক্ষণে না হেমন্তিকা পূর্ণতা পেলো।
স্বাগত দ্যা গ্রেট অপু ! হুম হুম কবিতা পাঠের সুখাবেশ নিয়ে যতইচ্ছে মনে করুন -
অফিসের , পাশের বাসার , পাশের বেঞ্চের , ঐ পাড়ার , এ পাড়ায় সব সব হৈমন্তিকে :) :)

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৫৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
না আপি । হৈমন্তি এখন অন্য অফিসে জব করে । অনেক আগেই চলে গেছে ।

রেখে গেছে শুধু ই স্মৃতি ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা সমস্যা নেই, চলে না গেলে নতুন হৈমন্তী আসবে কিভাবে ?
স্মৃতি সব সময় ই আনন্দের!! শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৯

হাসান মাহমুদ নীল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা ☺ যতোই পড়ছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি ☺☺

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি তো দেখছি একজন দুর্দান্ত পাঠক ! আমার মুগ্ধতা ও রইলো আপনার পাঠক সত্ত্বায়!
শুভ কামনা অনিঃশেষ :)

৫৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তোমার বুকের পাতাঝরার শব্দগুলো আমায় দেবে?" - বেস্ট পার্ট অভ দ্য পোয়েম! মেনী ক্ল্যাপস!!!!
হেমন্তিকার সুবাসের মৌ মাতাল আবেশ ছড়িয়ে আছে গোটা কবিতায়!!!
জাহিদ অনিক এর চমৎকার মন্তব্যটিতে (১৫) 'লাইক', এবং আপনার প্রতিমন্তব্যটাতেও +
আপনার ২০ নং প্রতিমন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ ও +। এ ছাড়াও আপনার অনেকগুলো প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। + দেখে বুঝতে পারবেন, কোনগুলো। মনে হলো, আপনার আজকের মন্তব্যগুলো অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু পৃথক মেজাজে লেখা। :)
ডঃ এম এ আলী এর ক্লাসিক মন্তব্যটাতে +। ওনার মন্তব্যে পাওয়া উৎপলা সেন এর গানটি ইউ টিউবে শুনলাম বেশ কয়েকবার। সেই ১৭/১৮ বছর বয়সে গানটি প্রথম শোনার দিন থেকেই মনে মনে গান ও গায়িকার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম! :) গানটির লিঙ্কঃ কিংশুক ফুল হিংসুক ভারি, আজ করে ভাব, কাল করে আড়ি
কবিতায় ২৩তম ভাল লাগা ++

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় আপনার পছন্দের লাইনে ভালোলাগা রাখলাম !

শরত হেমন্ত এই দুই ঋতুর একেবারেই আলাদা মাদকতা আছে, আছে হৃদয় ছোঁয়া আবেশ ! তাই কবিতা' তে ও তার রঙ মনে হয়। জাহিদ নিজের কবিতার মত মন্তব্যে ও অনন্য সব সময় 'ই, ভালোলাগা ও ছুঁয়ে যায়।

২০ নং প্রতিমন্তব্যে আমার সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। হুম হুম আপনি লাইক দিয়ে সেখানে আপনার পদ চিহ্ন রেখে এসেছেন তাই বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়।

একটু লজ্জিত হলাম ভাইয়া; আমি মনে হয় আসলেই মন্তব্য করা এবং উত্তরে তেমন মনযোগী নই , পাঠিক নিঃসন্দেহে আর একটু মনোযোগ প্রাপ্য। পরবর্তী সময় থেকে অবশ্যই এ ব্যাপারে নজর দিবো। আর একটা পূর্ণ পরিতৃপ্ত লেখা মেজাজ কে অবশ্যই একটু আলাদা সুঘ্রাণ দেয় নিশ্চয়ই।

আপনারা ব্লগের বেশ কয়েকজন আছে, মন্তব্যের মাঝে ই যাদের অপূর্ব মানসিকতার পরিচয় তুলে ধরেন- ডঃ এম এ আলী ভাই ও তাদের একজন; আপনাদের সবার কাছে ই আমি কৃতজ্ঞ।

উৎপলা সেন এর গানটি আপনার লিঙ্ক দেবার জন্যই বেশ অনেকবার শুনে ফেললাম, ভালো ও বেসে ফেললাম চমৎকার গান' টি কে। হাহাহাহা আসলে সেই বয়স টাই এমন, এত সহজেই ভালোলেগে যায়।

উৎসাহিত করা মন্তব্যে এবং ভালোলাগা রেখে লেখার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


৫৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারন কথামালা ও ভাবগাম্ভির্যে ভরপুর কবিতাটির সঠিক মুল্যায়ন করা আমার ক্ষমতার বাইরে । কবির জানার পরিধি ও গদবাধা শব্দের বাহুল্যতা ছাড়িয়ে প্রকৃতির নিগুড় কথামালা প্রকৃতির ভাষার মতই সহজ করে তুলে ধরায় অভিভুত হয়েছি - ডঃ এম এ আলী আমার কথাই যেন বলে গেলেন এসব কথায়।
আপনার এ পোস্টের অনেকগুলো প্রতিমন্তব্য কবিতার মতই সুন্দর। আর ব্যতিক্রম হিসেবে চাঁদগাজী এর মন্তব্যটাও বেশ প্রেরণাদায়ক।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলী ভাইয়ের মন্তব্যের চুম্বক অংশের সাথে সহমতে , আপনাদের দুজনের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ঝলক পেলাম। অতখানি সুন্দর করে ক' জন ই বা ভাবতে এবং প্রকাশ করতে পারে। দু' জনের কাছে ই আমার লেখালিখি নিয়ে কৃতজ্ঞ আমি।

আপনার এ পোস্টের অনেকগুলো প্রতিমন্তব্য কবিতার মতই সুন্দর
আপনার এই উদারতার প্রতি শ্রদ্ধা !!


হুম চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্য সব সময় ই ব্যতিক্রম কখনো যে কিভাবে বর্ষাবে বোঝা মুশকিল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.