নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যাক্সিম

ম্যাক্সিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানব বনাম বিলেতি নেতা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২

১,

চারদিকে সরকার পতনের আন্দোলন। বিএনপি-র নেতৃত্বে সমগ্র দেশের জনগন জেগে উঠেছে। তারেক জিয়া ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির সব অংগ সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি আয়েশি জীবন ছেড়ে রাজপথে নেমে এসেছেন। সরকার ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তারা গদিতে আসীন থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশের মানুষ গনতন্ত্রের স্বপ্ন দেখছে।



যতটুকু পড়লেন তা আমার কল্পনা বৈ কিছুই নয়। তারেক জিয়া জুজুর ভয়ে লন্ডনে দিনাতিপাত করছেন। বউয়ের চাকুরী চলে গেছে তাতে কোন অসুবিধা নেই।



বাস্তব চিত্র হচ্ছে দেশে দানবীয় শক্তি তারেক জিয়াকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। তিনি এয়ারপোর্টে নামার সাথে এ শক্তি তার ঘাড় মটকে দিবে। তিনি সেখান থেকে কিছু ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন এবং এখনও মাঝে মাঝে সভা সেমিনার করে দেশের গনতন্ত্র উদ্ধারে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।



তিনি আবার মাঝে মাঝে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে হয়ত অনুপ্রেরনাও দিয়ে যাচ্ছেন যার বদৌলতে তিনি আমাদের জোকস উপহার দিচ্ছেন। দেশে আন্দোলন হবে, আন্দোলনের তোড়ে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চাইতে বাধ্য হবে। আগামী ঈদের পরেই আন্দোলন শুরু হবে। কাউকে এক রত্তিও ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি জোকস বললেও অনেকের মনেই আশা জাগছে। যাদের মনে আশা জাগছে তারা বারংবার পরবর্তী ঈদের জন্য অপেক্ষা করছেন।



২,

এতক্ষন বেরশিক হয়েও একটু রশিকতা করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু আসলে আমার যেটি মনে হচ্ছে বিএনপি আন্দোলন করার মত অবস্থায় নেই এবং অদূর ভবিষ্যতে তাদের আন্দোলন করার মত অবস্থা তৈরী হবে বলেও মনে হয় না। কারনগুলো কী হতে পারে.......



_ছাত্রদলে ছাত্ররা নব্বইয়ের দশক থেকে রাজনীতি করা শুরু করে '১০ সাল পরবর্তী সময়ে দলে একটি পোষ্ট পেয়েছে। তাদের বয়স কম (!) হলেও তাদের কাউকে ছাত্র বলে মনে হয়না। মাথার চুল পড়েছে, কানের উপরের চুলে পাক ধরেছে। তারা ছাত্র হলেও সাধারণতঃ বাড়িতে তাদের স্ত্রী-সন্তান আছে। এমতাবস্থায় তারা গনতন্ত্র রক্ষার্থে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে চাইছেনা। তাও ভাল যে দেশের দানবীয় শক্তিকে উপেক্ষা করে তারা দেশেই বসবাস করছে, লন্ডন চলে যায়নি।



_ছাত্রলীগ অবশ্যই বেপরোয়া কিন্তু ছাত্রদল তাদের থেকে কোন অংশে কম নয় বরং ক্ষেত্রবিশেষ বেশীই বলা যায়। ম্যাডাম ক্ষমতা ছেড়েছেন আট বছর। এ দীর্ঘ সময় ছাত্রদলের পেটে উল্লেখযোগ্য কিছু যায়নি, তারা ক্ষুধার্ত হয়ে আছেন। ক্ষমতা পাওয়া মাত্র তারা ক্ষুধা নিবারণ করবেন এটাই স্বভাবিক। একদিকে ক্ষমতা পাওয়ার অনিশ্চয়তা অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর ক্ষমতা পেলেও ক্ষুধা মিটানোর ইনসাফ নিয়ে অনিশ্চয়তা তাদের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘ পনের-বিশ বছর রাজনীতি করেও নিজেদের ভবিষ্যত অনিশ্চত দেখে তারা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছেন।



_ঢাকা থেকে সমগ্র দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়। এদিকে ঢাকার কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রাজনীতিরই টালমাটাল অবস্থা। এখন ও পর্যন্ত ঢাকার বড় দুই নেতা পরষ্পর কামড়াকামড়িতে ব্যস্ত। সংগঠনের গোটা ভিত্তিই নড়বড়ে। আরও দুশ্চিন্তার কারন হচ্ছে তাদের এই দুরাবস্থার কথা তারা স্বীকার করতে নারাজ। জনগন চোখের সামনে তাদের দুরাবস্থা দেখছে অথচ তারা তাদের সংগঠনের ভিত্তিতে খুবই আস্থাশীল।



_নেতা লন্ডনে বসে অনুপ্রেরনা দিয়ে যাদেরকে আন্দোলনের মাঠে নামানো সম্ভব তারা বোধহয় শ্রীঘরে। বাকী যারা বাইরে আছেন তাদের বিলেতি অনুপ্রেনায় কাজ হচ্ছেনা। আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা তাদের বোধগম্য হলেও চুপ করে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। তারা টোটালি একটা বিদঘুটে অবস্থার মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে। আন্দোলনের জন্য গরম অনুপ্রেরণা, গরম খাবার দরকার।



মোটকথা, দেশের বর্তমান অবস্থা যদি গনতান্ত্রিক না হয় তাহলে সে গনতন্ত্র উদ্ধারের জন্য লন্ডনে বসে আন্দোলনের ছক কষলে তা বাস্তবসম্মত হবে বলে মনে হয়না। গনতন্ত্র উদ্ধারে দানবের ভয় উপেক্ষা করে দেশে এসে আন্দোলনের হাল ধরতে হবে। তাহলে বিএনপি কে নিয়ে মানুষ হয়ত আবারো স্বপ্ন দেখবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.