নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যাক্সিম

ম্যাক্সিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাতের অর্থ দ্বারা মসজিদ নির্মাণ করার বিধান কি? ফক্বীর বা অভাবী কাকে বলে?

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১৩

যাকাতের জন্য আল্লাহ তা’আলা যে আট শ্রেণীর কথা কুরআনে উল্লেখ করেছেন, তা ছাড়া অন্য কোন খাতে যাকাত প্রদান করা জায়েয নয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা আয়াতে إنما অব্যয় দ্বারা যাকাত প্রদানের খাতকে আট শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন,

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاِبْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِنْ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

“যাকাত তো হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাব গ্রস্থদের আর এই যাকাত আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং ইসলামের প্রতি তাদের (কাফেরদের) হৃদয় আকৃষ্ট করতে, ঋণ পরিশোধে, আল্লাহর পথে জিহাদে, আর মুসাফিরদের সাহায্যে। এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী অতি প্রজ্ঞাময়। (সূরা তওবাঃ ৬০)


সুতরাং তা মসজিদ নির্মাণের কাজে বা জ্ঞানার্জনের কাজে খরচ করা জায়েয হবে না। আর নফল সাদকা সমূহের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে যেখানে বেশী উপকার পাওয়া যাবে সেখানে প্রদান করা।


ফক্বীরের সংজ্ঞা হচ্ছেঃ স্থান ও কাল ভেদে যার কাছে পূর্ণ এক বছরের নিজের ও পরিবারের খরচ পরিমাণ অর্থ না থাকবে তাকে বলা হয় ফক্বীর। স্থান্তকাল ভেদে এজন্য বলা হয়েছে, হয়তো কোন কালে বা কোন স্থানে এক হাজার রিয়ালের অধিকারীকে ধনী বলা হয়। আবার কোন কালে বা কোন স্থানে এটা কোন সম্পদই নয়। কেননা সে সময় বা স্থানে জীবন ধারণের উপকরণ খুবই চড়া মূল্যের।


গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম | রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.