নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যাক্সিম

ম্যাক্সিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রদলের বর্তমান অবস্থা ও ঈদের পরের অান্দোলন

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০০

আমি বহু ছাত্রদলের নেতাদের চিনি যারা কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে আছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে।
রাজনীতির জন্য বা খালেদা জিয়ার জন্য তাদের যে ডেডিকেশন দেখা যায় তা খুবই হতাশাজনক।
,
এদের অধিকাংশই বেকার, কেউ কেউ আছে যারা ব্যাবসা বানিজ্য করে। কিন্তু তাদের অবস্থা খুবই নাজুক।
,
এমন অনেকেই আছে যারা ভাল ব্যবসায়ী, সব সময় তার ব্যবসায় সময় দেয়, রাজনীতির মাঠে তাদের দেখা যায়না বললেই চলে, কিন্তু ক্যামনে ক্যামনে তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে যায়।
,
আর যারা বেকার হয়েও পোস্টেড তারা এত মাত্রায় ফ্রাস্টেটেড যে তাগো চোখের দিকে তাকাইলে আপনে নিজেও ডিমটিভেইটেড হয়া যাবেন।
,
এদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সময়মত চাকরীর পিছনে না ছুটে বাড়ি থেকে টাকা এনে পলিটিক্স করছে সামনে ক্ষমতায় যাবে সে আশায়। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেছে তাদের ক্ষমতায়ও যাওয়া হয়নি, চাকরীও পায়নি।
,
বাড়ী থেকে টাকা নেওয়ার মত অবস্থা বা বয়স এখন তাদের কোনটাই নেই। দুএকটা বড় ভাইয়ের টাকায় কতদিনই বা চলা যায়! ঢাকায় থাকতে গেলে মাসে মিনিমাম ১০ হাজার টাকা খরচ আছে কিন্তু তাদের ১০ টাকা ইনকাম নাই। ফলে পরিচিতদের কাছে একটা পর্যায়ে তারা ছ্যাচড়া হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
,
বাংলাদেশে এই গ্রুপটার মত এত ফ্রাস্টেটেড যুব সমাজ আর নেই। এই ঈদে তাদের অধিকাংশ বাড়ি যাবে না। গেলেও খুবই লুকিয়ে চুকিয়ে থাকবে। গ্রামের যার সাথেই দেখা হবে সে বলবে- "কী এখন কী করতেছ? বেতন কত পাও? বিয়া করবা কবে?"
,
গ্রামের মানুষ তো তাদের ভিতরের অবস্থা জানে না! তাদের ভিতরে যে সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে স্তুপ হয়ে আছে!
,
আপনারা বলতেছেন এদের রাজপথে নামতে। ক্যামনে?
কেউ যে নামবেনা তা নয়। তাদের সংখ্যা অতি নগন্য।
,
আর ছাত্রদলের যেসব নেতারা এসি রুমে বা দোকানে বসে তাদের ব্যাবসা করতেছে কোনভাবেই বিএনপির ক্রান্তিলগ্নে আপনি তাদের রাজপথে পাবেন না।
অথচ দল ক্ষমতায় আসলে তারাই হবে সবচেয়ে বড় উপকারভোগী।
,
যতদিন না পর্যন্ত ছাত্রদলের এই প্যারাডক্সের সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কোন আন্দোলন হবে না। কোন ঈদের পরেই আন্দোলন হবে না।
,
সুতরাং যারা স্বপ্ন দেখছেন যে কিছু একটা হবে ভোটের আগে, তাদের বলতে চাই উপরের বিষয়গুলো ভাবুন। এর কোন সমাধান আমি খুঁজে পাইতেছিনা। ছাত্রদলের বর্তমান পুলাপানের প্রতি আমার কোন আস্থা নাই।
,
সব কিছু মাইনা নিতে নিতে এখন অভ্যাসে পরিণত হইছে। আগামী পাঁচ বছর হয়ত অভ্যাসটা আরো পাকাপোক্ত হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, কমপক্ষে এক দলের ডাকাতরা ডায়েরিয়ায় ভুগছে

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

ম্যাক্সিম বলেছেন: এরাই আবার যখন ক্ষমতায় আসবে তখন তারা দ্বিগুন হিংস্র হয়ে যাবে।
তারা হিতাহিত জ্ঞান হারাবে যে কীভাবে এতদিন পর পাওয়া ক্ষমতা ব‌্যাবহার করে যেমনেই হোক কোটিপতি হওয়া যায়।
কোটিপতি হওয়ার পরেও থামবেনা, তাদের অরাজকতা চলতেই থাকবে। লোভ দিন দিন বাড়তে থাকবে। সামান্য বিষয় নিয়ে নিজেরা মারামারি করে খুন খারাবি ঘটায় ফেলবে। তারা যেমনে আছে তেমনে থাকাই দ‌্যাশের জন্য ভাল, সাধারন মানুষের জন্য ভালো।

২| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: তাদের কোমর ভেঙ্গে গেছে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ম্যাক্সিম বলেছেন: এবং সে কোমর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.