নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কিছুরই সাধ আছে কিন্তু সাধ্য যে নাই..........

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই.............

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পিলখানা থাকালীন আমার অভিজ্ঞতা..... ও কিছু অপ্রিয় কথা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

পিলখানা ! নামটা শুনলে পিলে চমকে যাবার মতো অবস্থা হয়। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের কথা মনে পড়ে এখন । ১৯৮৭ সালে আমার জন্ম ঐ পিলখানায়। জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছি ঐ পিলখানাতে, ও খানকার মাঠে খেলে আমি বড় হয়েছি । ঐ দিন আমি অনান্য দিনের মতো পিলখানার অভ্যন্তরে আমার পরিবার সাথে ছিলাম। আজ সেইদিনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আগেই বলে নিচ্ছি, আমি যা দেখেছি তাই শুধু বলব, কোন কারো পক্ষে ও না, বিপক্ষে ও না।

তার আগে কিছু তথ্য আপনাদের জানিয়ে রাখি।

১. পিলখানা এলাকাটা অনেক বড় একমাথা থেকে আরেকমাথা পর্যন্ত হেঁটে যেতে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা আর পুরোটা রাউন্ড বা ঘুরে দেখতে পায়ে হেটে ২.৩০ ঘন্টার ও বেশি লাগবে ।

২. বিডিআর মোট ৫ টি প্রবেশ গেট ।

১ নং গেট কামরাঙ্ঘীরচর সংল্গন (হাসপাতাল বিডিআর সদ্যস দের কোয়ার্টার )

২ নং গেট আজিমপুর/নিউপল্টন সংল্গন (গেটটি বন্ধ ১৯৯১ সাল থেকে সম্ভবত)

৩ নং গেট নিউমার্কেট সংল্গন (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিসার কোয়ার্টার)

৪ নং গেট ধানমন্ডি সংল্গন (ডিজি বাসভবন ও অফিসার মেস এবং অফিসার কোয়ার্টার)

৫ নং গেট হাজারীবাগ সংল্গন (দরবার হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিডিআর সদ্যস দের কোয়ার্টার)

বিডিআর সৈনিক দের পদবী

* সৈনিক/ সিপাহী
* ল্যান্স নায়েক
* নায়েক
* হাবিলদার
* নায়েব সুবেদার (জেসিও)
* সুবেদার (এই পোস্ট আসতে আসতে চাকরী মেয়াদ শেষ হয়ে যায়) (জসিও)
* ডিআইডি (ভাগ্যক্রমে হয়)
[যতটুকু আমি জানি]

এর পর কমান্ড সেকশন যা ৩ বছর প্রবেশনে আর্মি বা সেনাবাহিনি থেকে নিয়োগ পায়। বলতে গেলে পুরো কমান্ড আর্মির সেনাবাহিনি হাতে।

পিলখানয় কয়েক ধরনের আবাস আছে।
*অফিসার মেস (১ টি)
*অফিসার কোয়াটার (বাংলো সহ ৬০ /৭০ টি)
* জেসিও ও এনসিও মেস বা ব্যারাক (৬০০০+ বিডিআর দের)
* জেসিও ও এনসিও কোয়াটার (৮০০+-)
**** আনুমানিক****



এবার আসি মূল প্রসঙ্গে প্রতিটি বাহিনীর প্রতিটি বছর এর একটি নির্দিষ্ট সময় তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠান থাকে ঠিক তেমনি বিডিআর দের ও বিডিআর সপ্তাহ নামে বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয় । সাধারনত বিডিআর সপ্তাহ মার্চ মাসে হয় কিন্তু ২০০৯ সালে প্রথম (আমার দেখা) ফেব্রুয়ারিতে হল!! তাই চরিদিকে সাজসাজ রব ।

বিডিআর একটা নিয়ম ছিল, বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী আসে সেদিন যেন এটা একটা জেলখান হয়ে যেত। কারন কার ও বাসায় গেস্ট এলাও না, বাসার বাইরে বেরোনো নিষেধ , পিলখানার বাইরে থাকলে প্রধানমন্ত্রী না যাওয়া পর্যন্ত আপনি বাসায় [পিলখানায়] ঢুকতে পারবেন না । সবই প্রটকল এর অংশ ।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে,
আমার বাবা একজন মেডিকেল স্টাফ (সুবেদার) হিসাবে বিডিআর হাসপাতালে কর্মরত ছিল । সেইসূত্রে আমার ও পিলখানায় বেড়ে ওঠা। ওনার চাকরি জীবনের শেষ দিন ছিল ২২-২৫ শে ফেব্রুয়ারি মধ্যে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা। কিন্তু বিডিআর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিডিআর সপ্তাহ উপলক্ষে ছাড়পত্র না দিয়ে ২৫ তারিখে ছাড়পত্র প্রদান করবে বলে। কারন হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে। তাই ফেয়ার ওয়েল দিতে পারবে না এই সব আর কি ।

আমাদের বাসা ছিল বিডিআর ১ নং গেইট সংলগ্ন (হাসপাতালের সাথে)। তো সেইদিন আমার বাবা সকাল বেলা ৭.৩০ সময় অফিসে চলে যায়। কারন আজ তাকে ছাডপত্র দিবে। বাসায় আমি ও আমার মা ছিলাম। সকালে আমার বাসায় ৬.০০ টার দিকে আমার কিছু ছাত্র পড়তে আসত । তাদের আমি একাউটিং পড়াই এই আর কি । তো তাদের পড়ানো শেষ করে আমি নাস্তা করার জন্য বসলাম, ৯.২০ {আনুমানিক} এর দিকে বারান্দায় । আমাদের বাসা ছিল একতলা , বাসার সামনে একটা পার্ক ছিল দোলনা , স্লিপার নিয়ে । ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রা খেলা করছিল । আমার ছাত্ররা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল । হঠাৎ শুনি আওয়াজ হচ্ছে ৯.৩৫ এর মতো বাজে ভাবলাম হয়তো টাটোশো এ প্রস্তুতি (টাটোশো হচ্ছে বাজি পোড়ানো যা বিডিআর সপ্তাহ শেষে করা হয়) তো আওয়াজ দেখি বাড়ছে। ৯.৪৫ এর ও একটু বেশি দেখি আমার বাবা দৌড়িয়ে বাসার দিকে আসছে। সে বাসায় ঢুকে প্রথম যে কথা বলল আমাকে,

বাবা তুমি যেভাবে পারো বেরিয়ে যাও দরবার হলে গুলাগুলি হয়েছে, আর্মি যেকোন সময়ে এ্যাটাকে আসতে পারে।

বাবাকে জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে ? তিনি বলেন জানি না তবে গন্ডগোল হইছে। উনি বললেন আমি আমার ইউনিটে যাই স্যার (আর্মি অফিসার) দের কাছে। আমি বেরোনোর চেষ্টা করলাম বাট দেরি হয়ে গেছে কারন আমাদের বাসার সামনে অনেক বিডিআর সদস্য সবাই অস্ত্র হাতে এবং ওপেন ফায়র করছে। যে যার মতো দোড়াছে , ফায়ার করছে। কিৃছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এরপর শুরু হলো মাইকিং

কেউ বাসার বাইরে বের হবেন না । আর্মি এ্যাটাকে আসতেছে, কোন বিডিআর জেসিও যদি বাসায় লুকায় থাকে তাহলে ধরে এনে রাস্তায় গুলি করা হবে।

আর বলা হল আমরা আর্মি অফিসার চাই না আমাদের সরকার নিজস্ব অফিসার দিক না হলে বিসিএস এর মাধ্যমে পারমান্টে অফিসার দিক। তিন বছরের জন্য ভাড়া করা অফিসার চাই না। ( মূলত দাবি এটাই ছিল যা পরে মিডিয়া ও সরকার ডালভাতে নিয়ে গেছে)


আমার বাবার জন্য আর ও ভীত হয়ে পড়লাম এরমাঝে সৈনিক রা আসলো বাসায় নক করে বলল স্যার আছে আমরা বলাম নাই উনি ওনার ইউনিটে।

আর ফোন এর পর ফোন যে মানুষ গুলো কে চিনি না পর্যন্ত তারা ও ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে বলছিল ভাল আছি কি না ? এভাবে কখন যে দুপুর ৩.০০ টা বেজে গেলো টের পাইনাই।

বাসার সামনে দেখলাম এক বিডিআর সদস্য বমি করছে জিস্গাস করলাম আংকেল কোন সমস্যা সে বলল সকাল থেকে কিছু খাই নাই ঘুমায় ছিলাম ব্যারাকে হঠাৎ সবাই বলল অফিসার দের সাথে ঝামেলা বাধছে , আর্মি এ্যাটাকে আসছে .. অস্ত্র ধরায় দিল তাই চলে আসছি। আমি জিস্গাস করলাম আংকেল আসলে কি হইছে বলল বাবা জানি না । এরমাঝে আবার ফায়ার ওপেন হলো উনি বলল বাবা তারতারি বারান্দায় থেকে ঘরে যে মেঝে তে শুয়ে পড়। ৭১ যুদ্ধ কালীন যুদ্ধ এর অবস্থা কেমন হয় তা বুঝেছি।

আমার বাবার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলাম উনি বললেন উনি উনার ইউনিটের প্রধান ডাক্তার লে: কর্নেল ফ..... ও ডাক্তার মেজর রা..... (দুজনে জীবিত আছেন) সাথে আছেন। স্যার রা ভালো আছে নিরাপদে আছে । আমি বলাম আপনি কাধেঁ র উপরের
র্যাংক খুলে ফেলেন, কারন সৈনিক রা মাইকিং করছে কাধের ওপর র্যাংক তার দেখতে চায় না ।

আমার বাবা বলেন তিনি নিজেও সাথের অফিসার দের র্যাংক খুলে ফেলেছেণ এবং উনাদের জন্য ডাক্তারী গাউন এনে দিছেণ।
আমাদের সাবধানে থাকতে বলেন । এভাবে সন্ধ্যা হলো মাইকিং করে বাসার সকল লাইট নিভিয়ে ফেলতে বলল কারন হেলিকপ্টার থেকে ফায়র হতে পারে... আমাদের বাসায় শুধু টিভি চলছিল .........

আমার বাবা যখন বাসায় আসলো জিগাসা করলাম কি হয়েছে, আমার বাবা বলল কিছুই বুঝা যাচ্ছ এ না। আমারা বলাম কেউ কি মারা গেছে উনি বলেন কতজন মারা গেছে তা জানি না কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারছে না । দরবার হলের ঐদিক থেকে কোন খবর আসতেছে না। তবে হাসপাতালে বলে শুনলাম কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আসছে ।

আমার বাবা কে আমরা আর যেতে দিলাম না কারন ২৫ তারিখ পর্যন্তই তো তার চাকরি ছিল । বাবা ও তার চাকরি জীবনের শেষ দিনে এই রকম পরিস্থিতে হতভম্ব হয়ে গেছিলেন কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না । রাত যেন আর কাটে ই না টিভি সামনে সারারাত বসে থাকলাম ........

সকালে ২৬.০২-২০০৯ মাইকিং করে বলা হলো পরিবার রা বের হয়ে যেতে পারেন কিন্তু বিডিআর সদস্য রা বের হতে পারবেন না । আমার বাবা আমাকে ও আমার মা কে বের হয়ে যেতে বলেন । আমার মা ও আমি বাবা সবাই ভাবলাম বেশি কিছু নেওয়ার দরকার নাই হয়তো বা আজ কাল এর মধ্যে সবঠিক হয়ে যাবে। ....... কারন তথন জানতাম না কি হয়েছে, কতজন মারা গেছে। তাই এক কাপড়ে ও কিছু টাকা সাথে নিয়ে আমি আর আমার মা বের হয়ে গেলাম কে জানত ! এই বের হওয়ার পর, ঘরের সকল মালপত্র পেয়েছিলাম ৪ মাস ১৩ দিন পর ..... রিফিউজির লাইফ কি জিনিস বুঝেছি ... অনার্স ৩ য় বর্ষ এর পরীক্ষা দিলাম বই ছাড়াই .........

যাক ফিরে আসি বের হয়ে যাবার পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে .... আমার বাবা র জন্য ভীত হয়ে পড়ি...

পরিস্থিতি শান্ত হয় ... আমার বাবার সাথে ২৬.০২.০৯ শেষ দেখা হয় এর পর আর্মি নিয়ন্ত্রন নেয় .... আমার বাবার প্রসংসা ও করা হয় যে সে দুজন সেনা অফিসার কে সেভ করে রেখেছিল তাদের সকল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ছিল এবং তাকে ০১.০৩.০৯ রিটায়ার্ড ধরে অবসর এর পক্রিয়া শুরু হয়। আমারা ও শুনে খুশি হই কারন রাতে ফোনে ১০ মিনিট এর মত কথা বলতে পারতাম শুধু। তখনই বাবার কাছে শুনি বিডিআর সদস্য দের খাবার এর কষ্ট। এভাবে আজ ছাড়ে, কাল ছাড়ে এরকম করতে করতে শুনি ০৬.৪.০৯ ছাড়পত্র দিবে । কিন্তু তা না হয়ে, ০৯.০৪.০৯ আমার বাবা এ্যারেস্ট হণ ।

আমি ও আজও বুঝতে পারি না কোন অপরাধে সে আজ কারাগারে?!
একজন মানুষ ৩৭ বছর একটা প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিল, সে শেষে দিনে তার সকল অর্জন এভাবে নষ্ট করতে পারে?!


আজ সবাই বিচার চায় ........ আমি ও বিচার চাই, বিচার করুক কোন সমস্যা নাই .... আমার বাবা যদি সেদিন কোন অপরাধ করে থাকে তার সাজ্জা হক কিন্তু সকল প্রমান তার পক্ষে থাকার পর ও কেন আজ সে অপরাধী?????????

আর একটি কথা ৫৪ টি মানুষ এর কথা যে বারবার বলা হয় .. কিন্তু বাকী ২০ টি মানুষের মধ্যে ১১ টি মানুষ যে বিডিআর সৈনিক ছিল যারা বিদ্রোহ দমনে মারা গেছে তাদের কথা কেউ বলে না ।


আর বিচার প্রকিয়া শুরুর পর থেকে এইপর্যন্ত যে কতজন বিডিআর সদস্য নির্যাতনে মারা গেছে তার হিসাব যে ঐ ৭৪ কে ও ছাড়িয়ে গেছে তার হিসাব কয়জন রেখেছে?

কেউ বলে না , ১০০০০+ অধিক পরিবারের বছরের পর বছর কিভাবে ঠিকে আছে, তাদের চোখের কোনায় জমে উঠা জলের খবর কেউ রাখে না । রাখে না তাদের দুর্বিষসহ জীবনের খোজ ।

জাতি পারে শুধু তেল মাথায় তেল দিতে!!!!!







মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

ইয়ার শরীফ বলেছেন: আপনার জন্য সান্তনা ছাড়া কিছুই করার নেই,
আশা করি আপনার বাবা তাড়াতাড়ি মুক্ত হবেন।

আসলেই জাতির জন্য লজ্জাজনক অই ঘটনায় ভুক্তভুগি অনেক অনেক মানুষ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: নির্দোষ প্রমান এর জন্য সকল কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েচ্ছিল । এবং সেই সেনা অফিসারের ও আকেজন বিডিআর সৈনিক এর ১৬৪ ধারার ম্যৗাজিস্টেট এর কাছে জবানবন্ধী জমা দেওয়া হয়েচ্ছিল যাতে ঐ দিনের আমার বাবার কি ভূমিকা ছিল তা ফুটে ওঠে.... আদালত তা গ্রহন করে কিন্তু বলে এটা কোন দালিলিক প্রমান নয় । ভাই এর পর ও কি কিছু বলার থাকে??

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

লাবনী আক্তার বলেছেন: আপনার বাবার কথা শুনে সত্যিই অনেক দুঃখ লাগছে। নিরপরাধ মানুষগুলো কে কেন সাজা দেয়া হচ্ছে? সরকারের কাছে আপনারা আবেদন করুন আপনার বাবাকে ছাড়ার ব্যাপারে।


আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: নির্দোষ প্রমান এর জন্য সকল কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েচ্ছিল । এবং সেই সেনা অফিসারের ও আকেজন বিডিআর সৈনিক এর ১৬৪ ধারার ম্যৗাজিস্টেট এর কাছে জবানবন্ধী জমা দেওয়া হয়েচ্ছিল যাতে ঐ দিনের আমার বাবার কি ভূমিকা ছিল তা ফুটে ওঠে.... আদালত তা গ্রহন করে কিন্তু বলে এটা কোন দালিলিক প্রমান নয় । ভাই এর পর ও কি কিছু বলার থাকে??

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: :( :|

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

সান্টু বলেছেন: এভাবে অনেকে নির্দোষ মানুষ বন্দি আছে এটা অবাক করার বিষয়।

তবে বাংলাদেশ তো এখানে সবই সম্ভব।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: সর্বমোট ৫৫০০ ও বেশি বন্দী আছে কিন্তু তাদের বেশির ভাগই নির্দোষ অনেক এ নি:স্ব হয়ে গেছে ........

সবাই বলে বিদ্রোহ হয়েছে কিন্তু কেন হলো তা বলে না?

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আপনার জন্য সান্তনা ছাড়া কিছুই করার নেই,
আশা করি আপনার বাবা তাড়াতাড়ি মুক্ত হবেন।

আসলেই জাতির জন্য লজ্জাজনক অই ঘটনায় ভুক্তভুগি অনেক অনেক মানুষ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: সান্তনা আরে ভাই ওঠা নিয়েই তো আছি দেখি আরও কত বছর থাকতে পারি।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আল্লাহ উনার হেফাজত করুন....

ভাই এত নির্মম ঘটনা....আমরা সাধারন মানুষ বার বার ধোকা খাই...শুধু মাত্র নিজেদের বিবেক কে না খাটানোর কারনে....

সকল বিপদ গ্রাস্থ মানুষের জন্য সবাই আল্লাহর নিকট দোয়া করুন....
সমস্ত চক্র থেকে মাদের রক্ষ করুন....

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

আহসান হাবিব হীমূ বলেছেন: মন্তব্য করতেও লজ্জা লাগছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই লজ্জা পাচ্ছেন ......... আমি ও পাই কারন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান থেকে হয়ে গেছি বিদ্রোহীর সন্তান........

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

ভুদাই আমি বলেছেন: :( :( :(

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

কাকচক্ষু বলেছেন: সংরক্ষন করে রাখিলাম

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

ইসমাইল ইমু বলেছেন: খুবই দ‌ুঃখজনক-----

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

আনমনা 007 বলেছেন: এসব শুনলে খুব খারাপ লাগে। আমরা সাধারন মানুষ দোয়া ছাড়া আর কী করতে পারি, আল্লাহ আপনাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করুক।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ঘটনার সময় আমি খুব কাছেই ছিলাম।
কিছু প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে পাবেন
- কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে?
তিন পর্বে।

Part 1
Click This Link
part2
Click This Link
Part 3
Click This Link

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: আপনার সকল লেখাই আমি পড়েছি

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

ট্যামময বলেছেন: আমি ও বিচার চাই

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

ঝটিকা বলেছেন: আমার খুব কাছের এক আত্মীয়ও বিডিআর এছিলেন । আল্লাহর অশেষ রহমতে উনি চাকরি ফিরে পেয়েছেন। উনার কাছে কিছু কিছু শুনেছি কতটা অত্যাচার করা হয়েছে।
আপনার বাবার জন্য ভিষণ খারাপ লাগছে। উনার কতদিনের জেল হয়েছে? যাদেরকে বাচিয়ে ছিলেন তাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব, নিজ উদ্দ্যগে আপনার বাবাকে ছাড়ান।

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ওটা ছিল এক গভীর চক্রান্ত যার মূল দেশে নয় এটা বোঝা যায়। আর ন্যায়বিচার একটা আপেক্ষিক শব্দ ছাড়া কিছুই নয়।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

মো: ইলিয়াস বলেছেন: আপনার জন্য সান্তনা ছাড়া কিছুই করার নেই,
আশা করি আপনার বাবা তাড়াতাড়ি মুক্ত হবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: বিচার এখন ও চলছে

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭

অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: অনেক কষ্ট লাগলো পড়ে

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬

সবুজ-ভাই বলেছেন: ভাই এসব দেখার সময় কোথায় মানুষের দেখেন না প্রতি বছর ফেব্রুয়ারীতে কোন না কোন উপায়ে এ দিনটাকে ভুলে রাখার সরকারি ব্যবস্হা নেয়া হয় আর জনগনও সেই ব্যবস্হাকে মেনে নিয়েই খুশী থাকে। ডেসটিনির শো বা জয়ের আওয়ামিলীগে যোগদান এর থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আপনার তো কপাল ভাল আপনার বাবা এখনও বেচে আছেন। মুক্ত হয়েই বা কি করবেন তিনি ? আপনার কি ধারনা বাংলাদেশের মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন ?

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

অন্য কথা বলেছেন: কষ্ট লাগলো । এখন আপনার বাবার খবর কি ?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: বিচার এখন ও চলছে

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি চিৎকার করে কাদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার..
বুকের ব্যথা বুকে চাপা দিয়ে ধিয়েছি নিজেকে ধীক্কার


হায়দারের এই গানটাই শূধূ বলা যায় অব্যক্ত যন্ত্রনা আর কষ্টে!!!!!!!!

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিখাটি পড়ে চোখে পানি চলে আসলো।
আল্লাহ আপনার নিরপরাধ বাবার সহায় হোন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: এতদিন যেহেতু সহায় হয় নাই..... আরহবে ও না।

ইশ্বর থাকে ভদ্রপল্লীতে

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছু বলার ভাষা নেই।

২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৩

বাংলার হাসান বলেছেন: আমার বন্ধুর বাবা ছিলেন ডিআইডি, উনার চাকরী ও শেষ হয়ে গেছিলো। বাহিরে নতুন বাসা নেয়া হয়েছিল। যেদিন গন্ডগোল লাগে সেদিন বিকেলে নতুন বাসায় উঠার কথা ছিল। তিনি ২৫ তারিখে বাসায় ছিলেন। দীর্ঘ ৪মাস নির্যাতন ভোগ করে সাদা কাগজে সই দিয়ে মুক্ত হয়ে আসেন।

আর এক বন্ধুর শশুর তিনিও একই ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৬

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: বলার কিছু নাই...........

২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

সামুর ভক্ত বলেছেন: আল্লাহ আপনাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করুক।

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

হেডস্যার বলেছেন:
আমার বাড়ির একজন গোলাগুলির প্রথম ঘন্টাতেই দেয়াল টপকে পালিয়ে গিয়েছিলো।
এখন সে চাকুরিহীন। অনেক নিরীহ বিডিআর এর উপর বিনা দোষে শাস্তির খড়গ নেমে এসেছিলো।

২৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

নিজাম বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে ও আপনার বাব-মাকে হেফযত করুন। এর বেশি কিছুই বলার নেই। আর্মি অফিসাররা পাগলা মত হয়ে গিয়েছে। ঐ দিন যারা বিডিআর-এর মধ্যে ছিল হোক সে অপরাধী বা নিরাপরাধ তাকে কোন না কোন প্রকার শাস্তি দিবেই। এটাই আর্মি অফিসারদের প্রতিজ্ঞা। কাউকে ফাঁসি বা যাবত জীবন জেল বা দশ-পাঁচ-দুই বছর জেল বা চাকরী থেকে বরখাস্ত বা পদোন্নতি বন্ধ বা বেতন বৃদ্ধি বন্ধ বা বেতন কর্তন অর্থাৎ কিছু না কিছু শাস্তি দিবেই। কাউকেই ছাড় দেবে না তারা। যতগুলি অফিসার মারা গেছে তারচেয়ে কয়েকগুন বেশি বিডিআর মারা পড়েছে এ খবর কেউ জানে না। হাজার হাজার বিডিআর জোয়ান নির্মম নির্যতনের শিকার হয়েছে, কেউ নির্যাতনে নিহত হয়েছে, কেউ চিরতরে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। আল্লাহকে বলুন আল্লাহই উপযুক্ত বিচার করবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: যা বলেছেন তা সবই ঠিক ... কিন্তু কে বলবে বলেন ?

ইশ্বর থাকে ভদ্রপল্লীতে

২৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মতামত চাই বলেছেন: সমবেদনা ...

২৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩০

নতুন বলেছেন: এই বিচার তো দেখানো বিচার মাত্র... আসল পরিকল্পনাকারী কারা আর খুনি কারা তা কখনোই সবাই জানতে পারবেনা...

জীবনটাই এমন জটিল জটিল সব সমস্যায় মানুষকে পড়তে হয়... আশাকরি সব ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনাদের সমস্যা সমাধান হবে....

ইশ্বর আসলেই থাকে ভদ্রপল্লীতে :(

২৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আপনাদের প্রতি সমবেদনা। আশা করি আপনার বাবা খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন এবং সম্মানের সাথে জীবন কাটাতে পারবেন।

৩০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

সুফিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। জানিনা কেন কেমন হয় ! তবু আসুন আমরা এই আশাটা এখনও মনের মাঝে ধরে রাখি যে আপনার বাবা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবেন। যদিও উনার জীবনের ক্ষতিটুকু আমরা কেউ পুষিয়ে দিতে পারব না।

আল্লাহ উনার মঙ্গল করুক।

৩১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আছিফুর রহমান বলেছেন: আপনার প্রতি সমবেদনা। সেই সাথে সুষ্ঠ বিচার কামনা।

৩২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

রাহমান রাফি বলেছেন: কি বলব ভাই
চোখের জল ফেলা ছাড়া
আমার আর কিছুই করার নাই।
জন্মেছি এই নপুংশক নগরে
শুয়োররাই সব চেটেপুটে খায়
কবে মুক্তি পাব হায়।

৩৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাজানো নাটকে বিচার চাওয়া অরণ্যে রোদনেরই নামান্তর!

৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

কোবিদ বলেছেন:

আপনার প্রতি সমবেদনা।

৩৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না!! তবে সত্যি বলতে কি এই ঘটনার সব কিছুর নাটের গুরুও যদি আপনার বাবা হয়ে থাকেন তাহলেও অবাক হব না!!!!!!!!!! কি যে ঘটেছে আর কি যে ঘটবে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার কিছুই মাথায় ডুকেনা!!!???

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: জ্বী ভাই কি মনে করব বলেন ২০০৯ থেকে তো শুধু মনে করেই যাচ্ছি আর অবাক হচ্ছি !!!!!!!!!!!

আমার বাবা ফেরেস্তা না সে ও অপরাধ করতে পারে .... কিন্তু তার জন্য তো তথ্য ও প্রমান লাগবে তাই নয় কি ??

আর যেসব তথ্য প্রমান তার বিরুদ্ধে দেওয়া হইছে তাও তার পক্ষে ........ তাইলে বলেন নিজেরে কেমনে বুঝাই ???/

৩৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাই আজকের ইত্তেফাক দেখেন , প্রথম পাতায়, সংসদে দাঁড়িয়ে তোফায়েল স্বিকার করে নিলেন যে বিচার বা তদন্ত ঠিক ভাবে হয়নি। উনি বলেছেন "সুষ্ঠুভাবে বিচার ও তদন্ত হলে দেখা যাবে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গেও খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন।"

গতকাল ভিক্টিমদের পরিবারকে যে চেক প্রদান করা হয়েছে, সেই অনুষ্টানের পরো ভিক্টিমদের পরিবারের লোক জন বলেছেন,যে প্রকৃত অপরাধিদের স্বাস্তি হয় নাই!!! আপনারা এই বিষয় গুলো সবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিন!! অথচ সরকারের লোক জনই দাবি করছেন যে বিচার ভালো ও সুষ্ঠু হয়েছে !!!!????

প্রকৃত আপরাধি ধরা পড়ুক !!

নিন খবরের লিংক টা দিলাম

আপনার নিরাপরাধ বাবার জন্য শুভকামনা থাকল।

৩৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
বিএনপির নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ হয়েছে ২৬২ জনের।
বেকোসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন।

১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হলেও প্রকৃত খুনি ২০-২৫ জনের বেশী হওয়ার কথা নয়। ঘটনার আবর্তে কিছু নিরিহ লোকের ফাসি হয়ে গেল।

এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শহিদ সহ গুটিকয় সৈনিকই দরবার হলের জানালার ফাঁক দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন করছিল, একপর্যায়ে কিছু হটকারি সৈনিক স্টেজে দাড়িয়ে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের উপর কয়েক পশলা গুলি করে। ১৫০ জন অফিসারের ভেতর ৫০ জনের গায়ে গুলি লাগে, ময়নাতদন্তকারি ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশীরভাগই স্বল্প আহত হয়ে রক্তক্ষরনে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
বাকি বেঁচে যাওয়া শতাধিক অফিসারদের উপর আর কোন আক্রমন হয়নি। ২য় দিন খাদ্য সংকট দেখা দিলেও আটক অফিসারদের পর্যাপ্ত খাদ্য দেয়া হয়েছিল। এতেই বোঝা যায় ব্যাপক হত্যার ইচ্ছা, চক্রান্ত বা পরিকল্পনা ছিলনা।

বিদ্রোহ পরিকল্পিত হলেও হত্যাকান্ড পরিকল্পিত ছিলনা বলেই মনে হয়।
হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পর তাদের ভেতর অস্থিরতা ও সিদ্ধান্তহীনতা দেখা গেছে। পরবর্তিতে তারা আর কোন হত্যাকান্ড ঘটায়নি। লুন্ঠন ও অপ্রিতিকর কান্ডগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়।

সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারন ছিলনা। পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে আরো একদিন সময় নষ্ট করত না। নিগোসিয়েশন করে সময় নষ্ট করে আনাড়ির মত ধরা পরত না।

খুনিদের নেতা সহিদ সহ প্রায় সকল খুনিই ধরা পরেছে। বিচার শেষ হয়ে রায় হয়েছে। সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।

৩৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ন্যায় বিচার চাই জানি পাব না।


খালি অনেক করে চাই শহীদদের আত্মা শান্তি পাক

৩৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: অনেক খারাপ লাগলো :(

৪০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

মেহবুবা বলেছেন: এখন আপনার বাবার খবর কি? সেদিন যাদের তিনি সাহায্য করেছিলেন তারা যথেষ্ট চেষ্টা করলে আপনার বাবার ন্যায় বিচার পাওয়া সহজ বলে মনে করি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: তারা কেউ ই সাহায্য করে নাই । তাদের উপর অর্ডার ছিল কোন সাফাই স্বাক্ষী যেন তারা না দেয় ।

৪১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এই মূহুর্তে আপনি সমবেদনা পেতে পেতে ক্লান্ত হয়ে আছেন!
কিন্তু তারপরও সমবেদনা জ্ঞাপন ছাড়া আমারও অন্য কোন পথ না থাকায় সমবেদনা জ্ঞাপন করতে বাধ্য!

দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে ধৈর্য দান করুন! এবং আপনার পিতাকে দ্রুত মুক্ত করুন!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: সমবেদনা এখন আর প্রয়োজন নেই ভাই । কারন আমি অভ্যস্ত । তারপরও ধন্যবাদ । তার পর ও আমি এই লেখা প্রতিটি ২৫ শে ফ্রেবুয়ারি তে প্রকাশ করব , কারন জাতি জানুক ৭০+ নিহত হওয়া মানুষের সাথে ১০০০০+ পরিবার প্রতি নিয়ত কেদেছে । অপরাধ করে বা, না করে ।

৪২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই লিখাটি আমার fb তে পুস্ট না করে পারলামনা!
sorry!

post দেখতে facebook.com/s.tajul

৪৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: প্রতিবার এই লেখা পড়ি আর মন খারাপ হয়। আপনার বাবার এখন খবর কি?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: ১০ বছরের জেল , এবং এখন একটা মামলা অমিমাংসিত , মানে ঝুলায় রাখছে ।

৪৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২

সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা বলেছেন: আর বলা হল আমরা আর্মি অফিসার চাই না আমাদের সরকার নিজস্ব অফিসার দিক না হলে বিসিএস এর মাধ্যমে পারমান্টে অফিসার দিক। তিন বছরের জন্য ভাড়া করা অফিসার চাই না। ( মূলত দাবি এটাই ছিল যা পরে মিডিয়া ও সরকার ডালভাতে নিয়ে গেছে) - এই পরিবেশে সঠিক বিচার আশা করা যায় কি?

সমবেদনা জানাই আপনার বাবার জন্য।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: আসলে এটা একটা যোক্তিক দাবী ছিল ,তবে এর জন্য হত্যাকান্ড গ্রহনযেগ্যতা আসলেই তা সর্মথন করে না । আর বিচার ! ! ! সবার বিচার করেছে সেনাবাহিনী থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত অফিসার রাই ।

৪৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: ন্যয় বিচার পাবনা তবুও আশা করি.। আপনার বাবা অতি তাড়াতাড়ি মুক্ত পাও্য়ার কামনা করছি।

৪৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা থেকে এই অফিস দূরে কোথাও নেয়া উচিত। এই সব স্থাপনা শহরের কোন আবাসিক এলাকায় থাকা উচিত নয়।

৪৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ঘটনাটা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ীতেও তখন উদ্বেগ, উৎকন্ঠা। ছোটচাচা বিজিবিতে , তখন ফেনীতে পোস্টিং ছিল। অবস্য বিদ্রোহের সাথে ছিল না।

৪৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এদেশে ন্যায়বিচারের আশা করা বোকামী। আপনার জন্য সমবেদনা ছাড়া আর কিছুই দেয়ার নেই।

৪৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

স্বার্থহীন বলেছেন: বিচার ব্যবস্থা এমন হয়ে গাড়িঁয়েছে, নিদ্ধোষ মানুষকে অপরাধী বলে গণ্য করে। আর অপরাধী মানুষকে নিদ্ধোষ বলে গণ্য করে।

আপনাকে সান্তনা দেয়ার মত কোন ভাষাই আমার নাই। তবে আশা করছি অতি শ্রর্ঘীই আপনার বাবা নিদ্ধোষ প্রমাণিত হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবে।

৫০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সকল অপরাধীর বিচার হোক
কিন্তু একজন নিরাপরাধযেন সাজা ভোগ না করেন।
আপনার বাবার জন্য প্রার্থনা করছি নিরাপরাধ হলে
অবশ্যই ছাড়া পেয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

৫১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৯

নিশি মানব বলেছেন: আপনারতো কেবল বাবাই বন্দী আছেন।
নাম না জানা না চেনা কত মানুষযে বন্দী আছে এটা কতজনইবা জানে?
এ বন্দীদের মধ্যে কেউ কারো ভাই, কারো ছেলে কারো কত কি?
সবাই প্রহর গুনে এ বিচার কবে শেষ হবে।
কিন্তু কেউ এটা বলতে চায়না, আদৌ কি সঠিক বিচার হচ্ছে? সবাই কি ন্যায় বিচার পাচ্ছে?

দিন শেষ এ কথাটা মনে রাখবেন, সময় খুবই প্রতিশোধপরায়ন।
পয়তাল্লিশ বছর পরে হলেও যুদ্ধপরাধীদের বিচার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু খুনীদের ফাসিওও হয়েছে।
ঘটনা যাই থাকুক, কোন একটা অপরাধের জন্য হলেও খালেদা জিয়ার জেল হচ্ছে।
পিলখানার হত্যাকারী এর নাটেরগুরুদের বিচার একদিন হবেই।
সেটা হয়তো আমাদের জীবদ্দশায় কিংবা মরনের পরে।
তবে বিচার একদিন হবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.