নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

*----------একজন সাধারণ মানুয----------*

মোহামমদ ইকবাল হোসেন

শূন্য হাতে এলাম আমি/শূন্যে বসবাস/জলের মাঝে জন্ম আমার/জলে সর্বনাশ।

মোহামমদ ইকবাল হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একটি কবিতা এবং আজকের খবর

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪২

"এই মেয়ে এই শোন,

তোর আজ কপাল খারাপ আছে!

সাহেব যেটায় খাবার খেতো

প্লেটটা কোথায় গেছে?

আমতা আমতা করবিনা তুই

বল জলদি বল;

নইলে আজ খুনতি ছ্যাঁকা

তোর কর্মের ফল।



দশ বছরের মেয়ে একটা

কাম-কাজে নাই মন,

টম-জেরিতে চোখ পড়লে

পায় তারে কোন জন!

জামা কাপড় সব ই দেই

সাথে খানা পিনা

কাজের বেলায় ঠনঠন

নাম কিনা তার হিরা!

চোখের জলে মন পাবিনা

বল এখনো বল ...।"



"প্লেটটা আম্মা ভাইঙা গ্যাছে

আমার জ্বর ছিল খুব বেশি।

হাত কেঁপেছে, পা কেঁপেছে

পিছলে পড়ে গেছি।"



"ওমা বলছে কিরে, কি সর্বনাশ!

প্লেটটা অনেক দামি!

আজ তোর একদিন কি আমার একদিন

বুঝবি তবে, বুঝবি এখনি!

টুম্পা, ওরে কোথায় আছিস?

আমায় লাঠিটা দিয়ে যা ...।"

"আম্মু ওকে মেরোনা আর

জ্বরে পুড়ছে যে ওর গা।"

মরুক তবে, বিদায় হবে;

আমার এমন মেয়েই লাগবেনা।



এমন প্রহার সহ্য করার

বয়স কি তার আছে?

মৃত্যুশয্যায় হিরা এখন

মা তার কাঁদছে পাশে বসে।

বিদ্যালয়ে যাবার সময়

কাজের মেয়ে হিরা।

বাঁচলে এবার পড়তে দিবে

করবে খেলাধুলা,

পণ করেছে আঁখির জলে

হিরার দুঃখিনী মা।

"মেয়ে আমার হাসবে খেলবে

বাঁচাও ওগো মাওলা।"



০৯/১২/২০১৪ ইং





গত কিছুদিন আগে আমার লিখা এ কবিতাটি ,যার নাম ছিল "হিরা একটি মেয়ের নাম"। নিজের খেয়ালেই লেখা হয়েছিল এ কবিতাটি। কবিতাটি কেমন হয়েছে জানিনা। কিন্তু মনের অজান্তেই দু'ফোটা জল গড়িয়ে গেল তখন।



আর আজ যখন খবরের কাগজে দেখি শিরোনাম হল এমন একটি ঘটনা তখন নিজেকে কি ধরে রাখা যায়?



******

ফেনীতে গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতন, গৃহবধূ গ্রেপ্তার

নাজমুল হক শামীম, ফেনী প্রতিনিধি

বাংলারচোখ.কম



ফেনীতে গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতন, গৃহবধূ গ্রেপ্তার

ফেনীর শারমিন নামে ১১ বছরের এক শিশু গৃহকর্মী নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় শনিবার রাতে শহরের গৃহবধু সোহানা আক্তার প্রিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। প্রিয়া পেট্রোবাংলা এলাকার মাহি হাউজের নজরুল ইসলাম রানার স্ত্রী। নির্যাতিত শিশু শারমিন কুমিল্লার গোবিন্দ পুর এলাকার মো. রিপনের মেয়ে। শিশু শারমিন ফেনী সদর হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শারমিনের মা জেসমিন আক্তার জানায়, দরিদ্র বাবা-মা’র ২য় মেয়ে শারমিনকে অভাবের তাড়নায় কুমিল্লার গোবিন্দ পুর একটি পরিবারে কাজের জন্য দেয়। ওই ঘরের মেয়ে প্রিয়া আক্তারের বিয়ে হলে দুই বছর পূর্বে গৃহকর্মী শারমিনকে নিয়ে প্রিয়া ফেনী শহরের পেট্রল বাংলা এলাকার মাহি হাউজে বসবান করেন। প্রিয়ার স্বামী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম সহ প্রিয়া আক্তার মাঝে-মধ্যেই নানা অজুহাতে শারমিনের ওপর নির্যতন চালাত। গৃহকর্মী শারমিনের শরীরে কখনও গরম খুন্তির ছেঁকা বা ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিতো। শনিবার রাতে শারমিনের শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে প্রতিবেশিরা এ ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই বাসা থেকে শারমিনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

শিশু শারমিন জানায়, সামান্য ভুল-ত্রুটির কিংবা কাজে অমনোযোগী হলেই মালিক ও তার স্ত্রী শিশুটির শরীরে খুন্তির ছেঁকা ও গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করতো।

ফেনী মডেল থানায় গৃহকত্রী সোহানা আক্তার প্রিয়াকে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাসার একটি তালা ভাঙ্গার অপরাধে তার স্বামী তাকে (গৃহকর্মী) সামান্য চড় থাপ্পড় দিয়েছে মাত্র। এলাকার সন্ত্রাসীদের চাদা দেওয়া হয়নি বলে তারা তাকে (গৃহকত্রী) পুলিশে দিয়েছে।

ফেনী সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ গোলাম মাওলা জানান, শিশুর শরীর, মুখ, গলা ও পিঠে ছেকার ও আঘাতের চিহ্ন ও ঝলসানোর আলামত রয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ক্ষতস্থান শুকাতে অনেক সময় লাগবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হতে পারে।

ফেনী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, নির্যাতনের খবর পুলিশ গৃহকর্মী শারমিনকে উদ্ধার করে। শনিবার রাতে গৃহপরিচালক প্রিয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকালে গৃহকর্মী শারমিনের মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে প্রিয়া আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নজরুল ইসলাম রানা পলাতক রয়েছে। এই মেয়ে এই শোন,

তোর আজ কপাল খারাপ আছে!

সাহেব যেটায় খাবার খেত

প্লেটটা কোথায় গেছে?

আমতা আমতা করবিনা তুই

বল জলদি বল;

নইলে আজ খুনতি ছ্যাঁকা

তোর কর্মের ফল।



দশ বছরের মেয়ে একটা

কাম-কাজে নাই মন,

টম-জেরিতে চোখ পড়লে

পায় তারে কোন জন!

জামা কাপড় সব ই দেই

সাথে খানা পিনা

কাজের বেলায় ঠনঠন

নাম কিনা তার হিরা!

চোখের জলে মন পাবিনা

বল এখনো বল ...।



"প্লেটটা আম্মা ভাইঙা গ্যাছে

আমার জ্বর ছিল খুব বেশি।

হাত কেঁপেছে, পা কেঁপেছে

পিছলে পড়ে গেছি।"



ওমা বলছে কিরে, কি সর্বনাশ!

প্লেটটা অনেক দামি!

আজ তোর একদিন কি আমার একদিন

বুঝবি তবে, বুঝবি এখনি!

টুম্পা, ওরে কোথায় আছিস?

আমায় লাঠিটা দিয়ে যা ...।

"আম্মু ওকে মেরোনা আর

জ্বরে পুড়ছে যে ওর গা।"

মরুক তবে, বিদায় হবে;

আমার এমন মেয়েই লাগবেনা।



এমন প্রহার সহ্য করার

বয়স কি তার আছে?

মৃত্যুশয্যায় হিরা এখন

মা তার কাঁদছে পাশে বসে।

বিদ্যালয়ে যাবার সময়

কাজের মেয়ে হিরা।

বাঁচলে এবার পড়তে দিবে

করবে খেলাধুলা,

পণ করেছে আঁখির জলে

হিরার দুঃখিনী মা।

"মেয়ে আমার হাসবে খেলবে

বাঁচাও ওগো মাওলা।"



০৯/১২/২০১৪ ইং





গত কিছুদিন আগে আমার লিখা এ কবিতাটি ,যার নাম ছিল "হিরা একটি মেয়ের নাম"। নিজের খেয়ালেই লেখা হয়েছিল এ কবিতাটি। কবিতাটি কেমন হয়েছে জানিনা। কিন্তু মনের অজান্তেই দু'ফোটা জল গড়িয়ে গেল তখন।



আর আজ যখন খবরের কাগজে দেখি শিরোনাম হল এমন একটি ঘটনা তখন নিজেকে কি ধরে রাখা যায়?



******

ফেনীতে গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতন, গৃহবধূ গ্রেপ্তার

নাজমুল হক শামীম, ফেনী প্রতিনিধি

বাংলারচোখ.কম



ফেনীতে গৃহকর্মীকে নির্মম নির্যাতন, গৃহবধূ গ্রেপ্তার

ফেনীর শারমিন নামে ১১ বছরের এক শিশু গৃহকর্মী নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় শনিবার রাতে শহরের গৃহবধু সোহানা আক্তার প্রিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। প্রিয়া পেট্রোবাংলা এলাকার মাহি হাউজের নজরুল ইসলাম রানার স্ত্রী। নির্যাতিত শিশু শারমিন কুমিল্লার গোবিন্দ পুর এলাকার মো. রিপনের মেয়ে। শিশু শারমিন ফেনী সদর হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শারমিনের মা জেসমিন আক্তার জানায়, দরিদ্র বাবা-মা’র ২য় মেয়ে শারমিনকে অভাবের তাড়নায় কুমিল্লার গোবিন্দ পুর একটি পরিবারে কাজের জন্য দেয়। ওই ঘরের মেয়ে প্রিয়া আক্তারের বিয়ে হলে দুই বছর পূর্বে গৃহকর্মী শারমিনকে নিয়ে প্রিয়া ফেনী শহরের পেট্রল বাংলা এলাকার মাহি হাউজে বসবান করেন। প্রিয়ার স্বামী ঠিকাদার নজরুল ইসলাম সহ প্রিয়া আক্তার মাঝে-মধ্যেই নানা অজুহাতে শারমিনের ওপর নির্যতন চালাত। গৃহকর্মী শারমিনের শরীরে কখনও গরম খুন্তির ছেঁকা বা ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিতো। শনিবার রাতে শারমিনের শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে প্রতিবেশিরা এ ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই বাসা থেকে শারমিনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

শিশু শারমিন জানায়, সামান্য ভুল-ত্রুটির কিংবা কাজে অমনোযোগী হলেই মালিক ও তার স্ত্রী শিশুটির শরীরে খুন্তির ছেঁকা ও গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করতো।

ফেনী মডেল থানায় গৃহকত্রী সোহানা আক্তার প্রিয়াকে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাসার একটি তালা ভাঙ্গার অপরাধে তার স্বামী তাকে (গৃহকর্মী) সামান্য চড় থাপ্পড় দিয়েছে মাত্র। এলাকার সন্ত্রাসীদের চাদা দেওয়া হয়নি বলে তারা তাকে (গৃহকত্রী) পুলিশে দিয়েছে।

ফেনী সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ গোলাম মাওলা জানান, শিশুর শরীর, মুখ, গলা ও পিঠে ছেকার ও আঘাতের চিহ্ন ও ঝলসানোর আলামত রয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ক্ষতস্থান শুকাতে অনেক সময় লাগবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হতে পারে।

ফেনী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, নির্যাতনের খবর পুলিশ গৃহকর্মী শারমিনকে উদ্ধার করে। শনিবার রাতে গৃহপরিচালক প্রিয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকালে গৃহকর্মী শারমিনের মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে প্রিয়া আক্তারকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নজরুল ইসলাম রানা পলাতক রয়েছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৭

থার্ড পার্সন প্লুরাল বলেছেন: সত্যি দুঃখজনক ব্যাপার এইসব শিশু নির্যাতনের কথা শুনলে গা টা ছ্যাঁত করে উঠে ।বাস্তবিক ঘটনা গুলো তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে ভাল লেগেছে ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৬

মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: হ্যা, ঠিক তাই। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৩

খেলাঘর বলেছেন:


ভালো পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.