নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শূন্য হাতে এলাম আমি/শূন্যে বসবাস/জলের মাঝে জন্ম আমার/জলে সর্বনাশ।
কবিতা -(এক): ছুঁয়ে দাও
তুমি ছুঁয়ে দাও আমায়,
তুমি ছুঁয়ে দিলে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি।
তুমি ছুঁয়ে দাও,
তোমার ছোঁয়া পেলে আমি প্রাণ ফিরে পাই।
ছুঁয়ে দাও আমায়,
তোমার হাতের মিহিন পরশ পেলে
আমি বেঁচে থাকার আশ্বাস পাই ফিরে ।
তুমি আমার খুব কাছে এসে বসো,
তুমি কাছে বসলে আমার নিঃসঙ্গতা দূর হয়।
আমি বেদনা ভুলে যাই,
আবার কিছু করার সাহস ফিরে পাই।
তুমি আমার মাথায় হাতখানি বুলিয়ে দাও,
আমি নিঃশব্দে একটু ঘুমাই।
আমার চুল গুলো তোমার আঙ্গুলের স্পর্শে
সবুজ ঘাসের মত তাজা হয়ে ওঠে।
তুমি ছুঁয়ে দাও,
তুমি ছুঁয়ে দিলে সব কষ্ট ভুলে যাই আমি।
তুমি ছুঁয়ে দাও,
আমি আবার জেগে উঠি।
ছুঁয়ে দাও আমায়,
আমার শির উন্নত হয় তোমার স্পর্শে
আমি আবার শুরু করি নতুন করে ।
কবিতা -(দুই): ♥তোমার জন্মদিনে♥
আসছে তোমার এই জন্মদিনে
তুমি আরো এক বছরের বড় হবে।
এবার তোমায় আমি উপহার কিছু দিতে পারবোনা।
একেবারে খালি যাচ্ছে আমার হাত দু’খানা।
এইতো ক’দিন আগে আমি ভেবেছিলাম-
তোমায় একখানা টুকটুকে লাল শাড়ি অথবা
বেগুনী রঙ আছে এমন একখানা শাড়ি কিনে দেব।
তার আরো ক’দিন আগে অন্য কিছু।
আর বছরের শুরুটাতে ভেবেছিলাম-
তোমাকে এবার বিস্মিত করে দেব আমি।
কোন এক বিশাল রেস্তোরাতে সবাই থাকবে,
তোমাকে নিয়ে যাবো আমি, বাতিগুলো সব নিভে যাবে,
কেউ কোন কথা বলবেনা,চুপটি মেরে বসে থাকবে!
তুমি জানতে চাইবে অন্ধকার কেন?
আমি স্বাভাবিক ভাবে বলব, হয়তো বিদ্যুৎ নেই বলে।
রাত বারটা বেজে গেলে,হঠাৎ বাতিগুলো সব জ্বলে উঠবে!
সবাই তোমার জন্য করতালি দিয়ে ইংরেজীতে বলবে-
‘হ্যাপি বার্থডে, হ্যাপি বার্থডে’ !
কিছুই করা হলনা অর্থকষ্টে,
কে জানত বল, এমন হবে!
আমি ব্যর্থতা পছন্দ করিনা, অন্তত তোমার ক্ষেত্রে !
এবার তোমায় খুব ক্ষুদ্র কিছু দেব,
ছোট্ট একটা হীরের নাকফুল তোমায় এনে দেব।
কিন্তু তোমায় আমাকে একটা কথা দিতে হবে,
আমার গত জন্মদিনে-
তুমি খুব দামি যে ঘড়িটা আমায় দিয়েছিলে;
কোন প্রশ্ন করবেনা আমায় সেটা নিয়ে।
কারণ তুমি হয়তো কষ্ট পাবে আমার উত্তরে।
কবিতা -(তিন): মৌ এর স্বপ্ন
মৌ, তের বছরের একটি বালিকা।
পড়তে চায়, শিখতে চায়, বিদ্যালয়ে যেতে চায়।
যখন সে অনেক বড় হবে সে তখন পড়াতে চায়;
জাতিকে শিক্ষিত করার মহান কাজটি করতে চায়।
এই আদর্শিক স্বপ্ন বালিকা আজ বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা,
পারছেনা সে শিক্ষিত হতে;
পা দু’খানি তার আজ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে -
বিদ্যালয়ের আঙিনা ছুঁতে।
যখন আমাদের নিজের সন্তানেরা
ছুটোছুটি করছে, হাসছে খেলছে;
মৌ তখন দু’চোখের পানিতে
নিজের স্বপ্নের কথাগুলো বলছে।
আর কি ই বা করার আছে তার।
কি ই বা করার আছে তার মা-বাবার।
যে টাকা গুলো নিজেদের আগামীর জন্য
সে সব মিলিয়ে আর কতই বা হবে।
তবে কি এই মেয়েটি আজ ব্যর্থ হবে?
স্বপ্নটুকু কি তার লুটিয়ে পড়বে মাটিতে?
জাতি কি আজ কথা বলবেনা?
আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাবে
আরো একটি স্বপ্ন, আরো একটি জীবন?
হয়তো যাবে, হয়তো যাবেনা।
দিনের পর দিন, রাতের পর রাত,
এইভাবে কতগুলো নির্ঘুম রাত;
এমন কি একটি পৃথিবী হতে পারেনা!
যেখানে মানুষ গুলো একে অন্যের পরে
আসবে ছুটে, যার যতটুকু আছে;
নিঃস্বার্থে মানবের কল্যাণে।
কবিতা -(চার): কবিতা না ভালবাসা
আমি ভালবাসি তোমাকে,
আর তুমি ভালবাসো কবিতা।
আমি চাই তোমার কানের এক্কেবারে কাছে গিয়ে
ভালবাসার একখানা তাজা স্লোগান দিতে!
আর তুমি চাও সারাক্ষণ ভালবাসার কাব্য শুনতে।
তোমার ভাললাগে
নতুন কোন কাব্যের উথাল পাথাল ছন্দ।
আর আমার ভাললাগে
তোমার ভেজা চুলের মিষ্টি ওই গন্ধ্য।
তুমি ভালবাস
অবসরে কবিতার বই পড়তে,
আর আমি ভালবাসি
সারাক্ষন শুধু তোমায় দেখতে!
তোমার ভাললাগে
নতুন কোন কাব্য মালা,
আর আমার ভাললাগে
তোমার পিঠের উপর গড়িয়ে পড়া লম্বা চুলের খেলা!
বিকেলে তোমার ভাললাগে
কবিতার একখানি বই নিয়ে বসে পড়তে,
আর আমার ভাললাগে
তোমার শাড়ির আঁচল খানির
সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া দেখতে!
কাব্যিক রসিকতায় যখন
হাসি ফুটে ওঠে তোমার ওই ওষ্ঠদ্বয়ে,
আমার ইচ্ছে করে তখন
আলতো করে অনামিকা বুলিয়ে দিতে!
ক্লান্ত তুমি যখন ঘুমিয়ে পড়
কবিতার বইখানি বুকে নিয়ে,
শান্ত আমি চোখ মেলে রই
অপলক দৃষ্টিতে – তোমার দিকে চেয়ে।
ভালবাসা নয়, কবিতাই যেন
আজ তোমার কাছে বেশি প্রিয়।
প্রিয়তমা তুমি জেনে নিও
কবিতা আমিও ভালবাসি;
তোমার চেয়ে বেশি কভু নয়।
এই কবিতাগুলো নিজের লেখা। কবিতাগুলো শুনবেন এবং পড়বেন। আশা করি ভাল লাগবে।
©somewhere in net ltd.