নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক - একটি জরিপ এবং বাংলা সিনেমার অবস্থান

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯


আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় - ১. পৃথিবীর সেরা চলচ্চিত্র কোনটি? ২. আপনার প্রিয় চলচ্চিত্র কোনটি? - আপনার উত্তর একই নাও হতে পারে। যেকোন জরিপে কিভাবে প্রশ্ন করা হলো তার উপর নির্ভর করে উত্তরটা কেমন হবে। এমনকি একই প্রশ্ন ভিন্নভাবে ফ্রেম করলে উত্তর ভিন্ন হতে পারে। এসব সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই এই লেখা।
১. সাইট এন্ড সাউন্ড জরিপঃ ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকা সাইট এন্ড সাউন্ড ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে প্রতি দশ বছর পর পর সমালোচকদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সেরা সিনেমা নির্বাচন করে আসছে। স্থায়ীত্ব, নমুনা সংখ্যা ও নমুনা বৈচিত্র্যের কারনে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সিনেমা সম্পর্কিত জরিপ বলে বিবেচিত হয়। ২০১২ সালের জরিপটি ছিলো এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় জরিপ। ১ হাজারের বেশি সমালোচক, প্রোগ্রামার, পরিবেশক, চলচ্চিত্র লেখক এবং বিশেষজ্ঞের কাছে সেরা দশ ছবির তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সাড়াও পাওয়া যায় ব্যাপক। ৭৩টি দেশ থেকে ৮৪৬ টি ‘সেরা দশ’ তালিকা পায় সাইট এন্ড সাউন্ড। এই সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী এ যাবৎকালের সেরা ছবি হিসেবে ওরসন ওয়েলস্ এর সিটিজেন কেইন এর পাঁচ দশকের রাজত্বের অবসান ঘটিয়েছে আলফ্রেড হিচককের ভার্টিগো।

সমালোচক জরিপের পাশাপাশি, ১৯৯২ সাল থেকে পরিচালকদের মতামতের ভিত্তিতে আরেকটা জরিপ করছে ম্যাগাজিনটি। এ বছর জরিপে অংশ নেয়া ৩৫৮ জন পরিচালকের মধ্যে আছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, মার্টিন স্করসেসি, উডি এলেন, কুইনটিন টারানটিনো, ডারডিন ব্রাদার্স, ডেল টোরো প্রমুখ। এখানেও এবার এসেছে পরিবর্তন। গত দুই বারের সেরা সিটিজেন কেইনকে হটিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে টোকিও স্টোরি।



২. সমালোচক জরিপঃ

২.১ সেরা সিনেমাঃ ১৯১ ভোট পেয়ে সমালোচকদের দৃষ্টিতে সেরা ছবি হিচককের ভার্টিগো, তারপরে আছে যথাক্রমে ওয়েলসের সিটিজেন কেইন (১৫৭ ভোট), ওজুর টোকিও স্টোরি (১০৭ ভোট), রেনোয়াঁর দ্য রুল অব দ্য গেইম (১০০ ভোট) এবং মুুরনাও এর নির্বাক ক্লাসিক সানরাইজ (৯০ ভোট)। সেরা দশের তালিকায় ক্রমানুসারে পরের ছবিগুলো হচ্ছে ২০০১: আ স্পেইস ওডিসি (কুব্রিক), দ্য সার্চারস্ (ফোর্ড), ম্যান উইথ আ মুভি ক্যামেরা (ভার্টভ), প্যাশন অব যোয়ান অব আর্ক (ড্রেয়ার) এবং ৮ ১/২ (ফেলিনি)। সেরা দশের সাতটি ছবি সবাক, বাকি তিনটি নির্বাক। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ছবি সানরাইজ এবং প্যাশন অব যোয়ান অব আর্ক। ছবি দুটো মুক্তি পেয়েছিলো ১৯২৭ সালে। আর সবচেয়ে নতুন ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া ২০০১: আ স্পেইস ওডিসি ।



২.২ সেরা পরিচালকঃ সমালোকদের রায়ে সর্বোচ্চ ৩১৮ ভোট পেয়ে সেরা পরিচালক ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’ আলফ্রেড হিচকক। ২৩৫ ভোট পেয়ে তার পরই আছেন ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভের সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক জাঁ লুক গদার। এরপরে আছেন যথাক্রমে ওরসন ওয়েলস, ইয়াসুযিরো ওজু, জাঁ রেনোয়াঁ, জন ফোর্ড, কার্ল থিওডর ড্রেয়ার, স্ট্যানলি কুব্রিক, আন্দ্রেই তারকোভস্কি এবং ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। সর্বোচ্চ ২৮টি ছবির জন্য ভোট পেয়েছেন গদার, ২১টির জন্য ফোর্ড এবং হিচকক ও বুনুয়েল দুজনেই ভোট পেয়েছেন ১৯ টি সিনেমার জন্য। সেরা ১০০ তে ৪টি করে ছবি নিয়ে শীর্ষে আছেন হিচকক, গদার ও বার্গম্যান। সেরা ২০০ তে সর্বোচ্চ ৬টি করে ছবি আছে গদার ও ব্রেসোঁর। সেরা ৩০০ তে সর্বোচ্চ ৭ টি করে ছবি আছে হিচকক, গদার, ব্রেসোঁ ও বুনুয়েল এর।




২.৩ ১৯৬৮-উত্তর সেরা ছবিঃ ১৯৬৮ সালের পর মুক্তি পাওয়া সেরা দশ ছবি হচ্ছে, যথাক্রমে- এপোক্যালিপস্ নাউ (কপোলা, ১৯৭৯), মিরর (তারকোভস্কি, ১৯৭৪) দ্য গডফাদার (কপোলা, ১৯৭২), ইন দ্য মুড ফর লাভ (ওং কার ওয়াই, ২০০০), মুলহল্যান্ড ড্রাইভ (লিঞ্চ ২০০৩), স্টকার (তারকোভস্কি, ১৯৭১), শোআহ্ (লান্জম্যান ১৯৮৫), দ্য গডফাদার পার্ট টু (কপোলা, ১৯৭৪), ট্যাক্সি ড্রাইভার (স্করসেসি, ১৯৭৬), জাঁন ডিয়েলম্যান (একারম্যান, ১৯৭৫) এবং সাতানতনগো (তার, ১৯৯৪)। এই সেরা দশে সর্বোচ্চ ৩টি ছবির পরিচালক ফ্রান্সিস কোর্ড কপোলা। আন্দ্রেই তারকোভস্কির আছে ২টি সিনেমা।



২.৪ সেরা নির্বাক ছবিঃ সমালোকদের জরিপ অনুযায়ী সেরা নির্বাক ছবিগুলো হচ্ছে (ক্রমানুসারে)- সানরাইজ (মুরনাও, ১৯২৭), ম্যান উইথ আ মুভি ক্যামেরা (ভার্টভ, ১৯২৯), প্যাশন অব যোয়ান অব আর্ক (ড্রেয়ার, ১৯২৭), ব্যাটলশীপ পটেমকিন (আইজেনষ্টাইন, ১৯২৫), দ্য জেনারেল (কীটন/ব্রাকম্যান, ১৯২৬), মেট্রোপলিস (ল্যাং, ১৯২৭), সিটি লাইটস (চ্যাপলিন, ১৯৩১), শারলক জুনিয়র (কীটন, ১৯২৪), গ্রীড (ভন স্ট্রোহেইম, ১৯২৫), উন চিয়েন আন্দালু (বুনুয়েল. ১৯২৮) এবং ইনটলারেন্স (গ্রিফিথ, ১৯১৬)।


২.৫ জীবীত পরিচালকদের সেরা ছবিঃ এই তালিকায় আছেন গদার (ব্রেথলেস ১৩ তম, কনটেম্পট-২১ তম), কপোলা (এপোক্যালিপস্ নাউ- ১৪ তম, দ্য গডফাদার পার্ট ওয়ান- ২১তম, দ্য গডফাদার পার্ট টু- ৩১তম), ডোনেন (সিংগিং ইন দ্য রেইন- ২০তম), ওং কার ওয়াই (ইন দ্য মুড ফর লাভ- ২৪ তম), লিঞ্চ (মুলহল্যান্ড ড্রাইভ- ২৮ তম), লান্জ‌ম্যান (শোআহ-২৯তম) এবং স্করসেসি (ট্যাক্সিড্রাইভার-৩১তম)।




২.৬ সেরা ওয়েষ্টার্নঃ জরিপ অনুযায়ী সেরা দশ ওয়েষ্টার্ন তালিকায় সর্বোচ্চ চারটি ছবি আছে জন ফোর্ডের। ছবিগুলো হচ্ছে দ্য সার্চারস (৭ম), দ্য ম্যান হু শট লিবার্টি ভ্যালান্স (১১৭ তম), মাই ডার্লিং ক্লেমেনটাইন ( ২৩৫তম) এবং ওয়াগন মাস্টার (২৮৫তম)। ক্লাসিক হলিউডের আরেক বিখ্যাত পরিচালক হাওয়ার্ড হক্স্ এর আছে দুটো ছবি- রিও ব্রাভো (৬৩তম) এবং রেড রিভার (২৩৫ তম)। এ তালিকায় আরো আছে স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্নের জন্য বিখ্যাত সের্গিও লিওঁ এর ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন দ্য ওয়েষ্ট (৭৮ তম) এবং দ্য গুড, দ্য ব্যাড এন্ড দ্য আগলি (২৮৩ তম)। তালিকার বাকী দুটো ছবি হচ্ছে স্যাম পেকিনপাহ্ এর বিতর্কিত ও সাড়া জাগানো দ্য ওয়াইল্ড বাঞ্চ (৮৪ তম) এবং নিকোলাস রে এর অন্য রকম ওয়েস্টার্ন জনি গিটার (২৮৩ তম)।


৩. পরিচালক জরিপঃ
৩.১ সেরা ছবিঃ ৪৮ জন পরিচালকের ভোট পেয়ে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছে ওজুর টোকিও স্টোরি। ৪২ ভোট পেয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিটিজেন কেইন ও ২০০১: আ স্পেইস ওডিসি। এই তালিকার পরে ছবিগুলো হচ্ছে ৪র্থ ৮ ১২ (ফেলিনি, ৪০ ভোট), ৫ম ট্যাক্সি ড্রাইভার (স্করসেসি, ৩৪ ভোট), ৬ষ্ট এপোক্যালিপস্ নাউ (কপোলা, ৩৩ ভোট), ৭ম ভার্টিগো (হিচকক, ৩১ ভোট) এবং দ্য গডফাদার পার্ট ওয়ান (কপোলা, ৩১ ভোট), ৯ম মিরর (তারকোভস্কি, ৩০ ভোট), ১০ম বাইসাইকেল থিভ্স (ডি সিকা, ২৯ ভোট)। কপোলার দুটি ছবি স্থান পেয়েছে এই সেরা দশে।




৩.২ সেরা পরিচালকঃ সর্বোচ্চ ৯৭ ভোট পেয়ে সবার উপরে আছেন ইতালিয়ান মাস্ত্রো ফেদেরিকো ফেলিনি। ২ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ‘পারফেকশনিস্ট’ স্ট্যানলি কুব্রিক। তারপরের অবস্থানগুলোতে যথাক্রমে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা ও ইঙ্গমার বার্গম্যান (৮২ ভোট), আন্দ্রেই তারকোভস্কি (৮১ ভোট), জাঁ লুক গদার ও মার্টিন স্করসেসি (৭৫ ভোট), আলফ্রেড হিচকক (৭২ ভোট), আকিরা কুরোসাওয়া (৭০ ভোট) এবং ওরসন ওয়েলস (৬৮ ভোট)। সর্বোচ্চ ১৫ টি সিনেমার জন্য ভোট পেয়েছেন গদার, ১৩টির জন্য পেয়েছেন বুনুয়েল ও ফোর্ড। সেরা ১০০ তে সর্বোচ্চ ৪টি করে ছবি আছে ফেলিনি, কুব্রিক, বার্গম্যান, গদার এবং ব্রেসোঁর। সেরা ২০০ তে সর্বোচ্চ ৭ টি ছুবি ‘দ্য সুররিয়েলিস্ট’ বুনুয়েলের, কুব্রিকের আছে ৬টি। সেরা ৩০০ তে সর্বোচ্চ ৮ টি ছবি আছে বুনুয়েলের, ৭ টি করে আছে ফেলিনি, তারকোভস্কি, হিচকক এবং কুরোসাওয়ার।


৪. সম্মিলিত তালিকাঃ
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে দুই জরিপ মিলে সেরা ছবি তাহলে কোনটি? সেরা পরিচালকই বা কে?

৪.১ সেরা ছবিঃ দুই জরিপ মিলে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ১৫টি ছবি হচ্ছে
১. ভার্টিগো (২২২ ভোট) ২. সিটিজেন কেইন (১৯৯ ভোট) ৩. টোকিও স্টোরি (১৫৫ ভোট) ৪. ২০০১: আ স্পেইস ওডিসি (১৩২ ভোট) ৫. দ্য রুল অব দ্য গেইম (১১৭ ভোট) ৬. সানরাইজ (১১০ ভোট) ৭. ৮ ১/২ (১০৪ ভোট) ৮. দ্য সার্চারস (৮৯ ভোট) ৯. এপোক্যালিপ্স্‌ নাউ (৮৮ ভোট) ১০. ব্রেথলেস (৮৪ ভোট) ১১. প্যাশন অব যোয়ান অব আর্ক (৭৮ ভোট) ১২. মিরর (৭৭ ভোট) ১৩. দ্য গডফাদার পার্ট ওয়ান (৭৪ ভোট) ১৪. পারসোনা (৭৩ ভোট) ১৫. ট্যাক্সি ড্রাইভার (৭২ ভোট) ।


৪.২ সেরা পরিচালকঃ দুই জরিপ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ১৫ জন পরিচালক হচ্ছেনঃ
১. আলফ্রেড হিচকক (৩৯০ ভোট) ২. জাঁ লুক গদার (৩১০ ভোট) ৩. ওরসন ওয়েলস (২৯৯ ভোট) ৪. স্ট্যানলি কুব্রিক (২৫২ ভোট) ৫. ইয়াসুযিরো ওজু (২৫০ ভোট) ৬. আন্দ্রেই তারকোভস্কি (২৩৪ ভোট) ৭. ফেদেরিকো ফেলিনি (২২৯ ভোট) ৮. ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা (২২৭ ভোট) ৯. ইঙ্গমার বার্গম্যান (২২৬ ভোট) ১০. জাঁ রেনোয়াঁ (২২৩ ভোট) ১১. কার্ল থিওডর ড্রেয়ার (২১৩ ভোট) ১২. রবার্ট ব্রেসোঁ (২০৩ ভোট) ১৩. আকিরা কুরোসাওয়া (১৯৭ ভোট) ১৪. জন ফোর্ড (১৯৬ ভোট) ১৫. লুইস বুনুয়েল (১৭৫ ভোট)।


৫. বাংলা সিনেমার অবস্থানঃ

সমালোচকদের জরিপে ৬টি সিনেমায় সত্যজিৎ রায় ভোট পেয়েছেন ৫৬। আরেক বাঙ্গালী পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ৪টি ছবিতে পেয়েছেন ১১ ভোট। সত্যজিতের পথের পাঁচালী আছে সেরা ১০০ ছবির তালিকায় (৩২ তম)। সেরা ২০০ তে তার ২টি ছবি আছে, আর সেরা ৩০০ তে আছে ৪টি। সেরা ৩০০ তে ঋত্বিকের ১টি ছবি আছে। পরিচালকরা সত্যজিতের ৬টি ছবিতে মোট ১৭ ভোট দিয়েছেন, ৩টি ছবিতে ঋত্বিককে দিয়েছেন ৬ ভোট। এখানেও সত্যজিতের পথের পাঁচালী আছে সেরা ১০০ ছবির তালিকায় (৪৮ তম)।

দুই জরিপ মিলিয়ে উপমহাদেশের সেরা দুই পরিচালক - দুই বাঙ্গালী সত্যজিৎ রায় (৭৩ ভোট) এবং ঋত্বিক ঘটক (১৭ ভোট)। আর উপমহাদেশের সেরা তিন ছবি? পথের পাঁচালী (৪৩ ভোট), জলসাঘর (১১ ভোট) এবং মেঘে ঢাকা তারা (৯ ভোট)। তিনটিই বাংলা সিনেমা। বাংলাদেশ থেকে কেউ এই জরিপে অংশ নেননি এবং বাংলাদেশের কোন ছবি ভোটও পায়নি। আমরা অপেক্ষায় আছি কবে ‘বাংলাদেশী’ বাংলা সিনেমা জায়গা করে নেবে এই রকম জরিপে।

সূত্রঃ বি এফ আই।

কিছু কথাঃ মূল জরিপটি করা হয়েছিলো সেরা সিনেমা নিয়ে। সেরা পরিচালকের কোন জরিপ হয়নি। পরিচালিত সিনেমাগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের ভিত্তিতে পরিচালকদের অবস্থান বের করা হয়েছে। দুই জরিপ মিলিয়ে সম্মিলিত তালিকা এবং বাংলা সিনেমার অবস্থান নিয়ে পর্যালোচনাও লেখকের করা।

এটা ছিলো ব্লগে আমার প্রথম পোস্ট (লেখা হয়েছিলো তারও আগে)। রেজিস্ট্রেশনের পরপরই পোস্ট করায় তেমন কারো চোখে পড়েনি। তাই আবার পোস্ট করা - সিনেমাপ্রেমীদের জন্য।

ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/mokammel.karim

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সোজা প্রিয়তে...চমৎকার লিখেছেন! :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

এম এম করিম বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।


ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ২০০৭ সালে দুই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের সেরা সিনেমা নিয়ে জরিপ করেছিল । লিংক দিতে সমস্যা হচ্ছে, নিচের পোস্টে ক্লিক করতে পারেন,

Click This Link

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

এম এম করিম বলেছেন: মন্তব্য এবং লিঙ্কের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

যদ্দূর মনে পড়ে, আগের কোন এক জরিপে (১৯৯২ বা ২০০২ এ) তানভীর মোকাম্মেল অংশ নিয়েছিলো। ফলে বাংলাদেশি সিনেমা ভোট পেয়েছিলো।

আগের জরিপে তিতাস একটি নদীর নাম ১টি টপ টেন লিস্টে ছিলো। বাকীগুলো কোন লিস্টেই ছিলো না। নিচের লিঙ্কটি দেখতে পারেন।

Click This Link

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কালের সময় বলেছেন: প্রিয়তে নিতে পারলাম না তাই অনুসরন করেগেলাম

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

এম এম করিম বলেছেন: অনুসরণ অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো। ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সোজা প্রিয়তে.. :) :) :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

সুমন কর বলেছেন: দারুণ পোস্ট। প্রিয়তে।

অনেক অাশা নিয়ে ভার্টিগো দেখেছিলাম। ক্যামেরা অার সিনেম্যাটগ্রাফি কাজটুকুই অসাধারণ। অামার কাছে তেমন ভাল লাগেনি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয়তে নেয়ার জন্য।

ভার্টিগোর মিউজিক আমারিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের দৃষ্টিতে সর্বকালের দ্বিতীয় সেরা। সিনেমাটি অবসেশন নিয়ে বলেই বোধ হয় সমালোচকদের বেশি পছন্দ। (ইন দ্য মুড ফর লাভ এ কালারের ব্যবহার এবং ওল্ডবয়ের স্টোরি স্ট্রাকচারে ভার্টিগোর প্রভাব স্পষ্ট। আর কত ছবিতে যে ভার্টিগো জুম ব্যবহার করা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।)

ভার্টিগো আমার প্রিয় সিনেমা হলেও আমি মনে করি ১ নম্বর জায়গাটা সিটিজেন কেইনেরই প্রাপ্য।

সময় পেলে নিচের লিঙ্ক দুটো ঘুরে আসতে পারেন। ভালো থাকবেন।

Click This Link

Click This Link

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

ই- নাগরিক বলেছেন: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশী সিনেমা দেখে এবং বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকদের কাজ দেখে নিশ্চিৎ করে বলে দেয়া যায় এধরনের লিস্টে বাংলাদেশী সিনেমা ঢুকার কোন সম্ভবনাই নেই। :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

এম এম করিম বলেছেন: তবু আশা করতে দোষ কি, হোক না তা দূরাশা !

ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

সুমন কর বলেছেন: দিলাম Citizen Kane (1941) ডাউনলোড।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

এম এম করিম বলেছেন: করেছেন কি ভাই! ভালো না লাগলে আমি বিপদে পড়বো না তো!

সিটিজেন কেইন বিখ্যাত তার ইনোভেশনের জন্য - ডীপ ফোকাস সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ড এডিটিং, গল্প বলার ধরন, মিউজিক।

বেশিরভাগ লোকই এটা বিনোদনের জন্য দেখেনা, শেখার/পড়ার জন্য দেখে।

শুভকামনা।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৩

এফ রহমান বলেছেন: তথ্যবহুল। কিন্তু বর্ননা নিরস।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ভবিষ্যতে সরস করার চেষ্টা থাকবে।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১০

ডি মুন বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট।
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম আর আপনাকেও অনুসরনে নিলাম।

ভালো থাকুন আর এভাবেই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করুন।
শুভকামনা সতত।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ উতসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য এবং অনুসরণের জন্য।



ভালো থাকবেন।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৬

হু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। চলচিত্র সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেলাম। এবং বেশ কিছু বিখ্যাত চলচিত্রের নাম জানলাম যেগুলো আমি দেখি নি , সেগুলো দেখে ফেলব।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশা করি উপভোগ করবেন।

শুভকামনা।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

হাসান রাজু বলেছেন: মনে হয় এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সিনেমা দেখতে হলে সিনেমা বুদ্ধিজীবি হতে হবে ।
কিন্তু সুন্দর পোস্ট ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

এম এম করিম বলেছেন: সিনেমা বুদ্ধিজীবী !!!

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৭

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সিনেমা দেখি নেশার মত। ভালো লাগলো পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

এম এম করিম বলেছেন: আমিও আপনার মতো। সিনেমা প্রেম বা নেশা হয়ে গেছে। দুঃখ একটাই এখনো পেশা হিসেবে নিতে পারিনি।

ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

রোদেলা বলেছেন: বেশীর ভাগ ছবি আমার দেখা ,ভালো লাগলো।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.