নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিঁপড়াবিদ্যা - প্রতিক্রিয়া

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২





তিন বন্ধু মিলে সেদিন মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ দেখতে গেলাম। সেখানে গিয়ে আরেক বন্ধুর সাথে দেখা। চারজন মিলে দেখলাম ফারুকীর নতুন সিনেমা যা ইতোমধ্যে সব রকমের মিডিয়াতেই যথেষ্ট আলোচিত হয়েছে।



সিনেমা দেখার পর প্রতিক্রিয়াঃ

আমি- ভালো লাগলো না তো !

বন্ধু১ – ন্যার‍্যাটিভ ভাল ছিল।

বন্ধু২ – মডার্নিজম, পোস্ট মডানির্জম এসব ব্যাপার আসেনি।

বন্ধু৩ – টাইমিং ~ কতক্ষন ক্যামেরাটা ধরে রাখতে হয় ফারুকী তা জানে।

বন্ধু ৪ – সস্তা। (ওর সাথে দেখা হয়েছে সিনেমা দেখার কয়েকদিন পর)

বন্ধু ৪ এর বন্ধু – এক্সপেরিমেন্টাল।



আমার বারবার মনে হচ্ছিলো ‘টেলিভিশিন’ এর চেয়ে ভাল হয়েছিল। পরিচালক হিসেবে ওটাই ফারুকীর সেরা কাজ। বুসানে ‘টেলিভিশিন’ যতটা সাড়া ফেলেছিল, ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ ততটা পারেনি। ক্লাসে জিজ্ঞেস করলাম মুভিটা কেউ দেখেছে কিনা, দু’জন হাত তুলল – দু’টিই মেয়ে। একটু অবাক হলাম, ছেলেরা কি আজকাল ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ছাড়া কিছু দেখেনা! ওদেরকে বললাম দশে সিনেমাটাকে কত দেবে? একজন ৬, আরেকজন ৭। দু’জনেই বলল ‘টেলিভিশিন’ ওদের বেশি ভালো লেগেছিলো। তাহলে ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ এত ব্যবসা করছে কেন? প্রচারণা। এই একটি জায়গায় এটা যোজন যোজন এগিয়ে।



সিনেমার কাহিনী আমাদের জীবন থেকে নেয়া ~ কয়েকজনের জীবনের গল্পকে একজনের গল্পে সাজানো হয়েছে। একটু সুড়সুড়ি আছে এবং সেটা বেশ কিছু দর্শক টানার জন্য যথেষ্ট। ডায়লগ প্রথাগত ফারুকী স্টাইল – সত্যজিত, ঋত্বিকের আভিজাত্য সেখানে নেই। তা থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু স্ক্রীপ্ট এবং ডায়লগ বরাবরের মতো এখনো ফারুকীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ~ বড় পরিচালক হবার পথে প্রধান অন্তরায়।



সবাই মিঠুর অভিনয় নিয়ে অনেক কথা বলছে। মিঠু কি ভালো অভিনয় করেছে? গল্পটা লেখাই হয়েছে এমনভাবে যাতে মিঠুকে কোন অভিনয় করতে না হয়! প্রশংসা যদি কিছু জুটে, সেটা ফারুকীর প্রাপ্য। এই মানের অভিনয় নিয়ে মিঠু বেশিদূর যেতে পারবেনা। শীনা চৌহান বরঞ্চ ভাল অভিনয় করেছে। যদিও কিছু কিছু দৃশ্যে আরো ভালো হতে পারতো – সে দোষ পরিচালকের ঘাড়ে বর্তায়। ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ –র দর্শকপ্রিয়তার একটা বড় কারণ এই ভারতীয় মডেল ও নায়িকা। শীনার আকর্ষনীয়তাকে ফারুকী বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করেছেন। সিনেমার দ্বিতীয়ার্ধে একটা বড় অংশ জুড়ে শীনা পর্দায় ছিলোনা এবং সিনেমাটা তখন প্রথমার্ধের চেয়ে খারাপ লেগেছে। এখানে আরেকটা কথা না বললেই নয়, শীনার কন্ঠ হিসেবে অপি করিম অসাধারণ পারফর্ম করেছে। আমরা আশা করবো অপি আবার নিয়মিত হবে।



ফারুকীর ব্লকিং, শট কম্পোজিশন যথেষ্ট উঁচু মানের, অনেক বিখ্যাত পরিচালকের কথা মনে করিয়ে দেয়। মুখোশ, নারী পুতুল এসব মেটাফর ফারুকী আগেও ব্যবহার করেছে। এই পুনরাবৃত্তি ইচ্ছাকৃত (অনেক পরিচালকই এটা করে থাকেন)। দু'একটা দৃশ্য ছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের উপস্থিতি সেভাবে অনুভূত হয়নি। সিনেমার শেষ নিয়ে সবাই কথা বলছে। কোরিয়ান মুভি ওল্ডবয়ের শেষ শটটার কথা মনে আছে? মিল খুঁজে পাচ্ছেন? সিঁড়ির সিকোয়েন্সটা ভালো হয়েছে। কিভাবে করা হয়েছে কৌতূহল সবার। বিদেশী মুভিতে এটা বহুল ব্যবহ্রত টেকনিক। বাংলাদেশে কি এই প্রথম হলো! যারা বলছেন এটা এক্সপেরিমেন্টাল মুভি, তাদের এখনো চোখ ফুটেনি। নাচ-গানওয়ালা বানিজ্যিক সিনেমা ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ নয়, কিন্তু এটা একটা মোটামুটি মানের ‘আর্ট ফিল্ম’ও নয়। এটা একটা কমেডি-ড্রামা। কমেডি হওয়াটা সিনেমার অপরাধ নয়। সমস্যা হলো, এটা চরিত্রের/ঘটনার গভীরে পৌঁছানোর তেমন চেষ্টা করেনি। সব কিছুই সুপারফিশিয়াল। না হয়েছে ভালো কমেডি, না হয়েছে ভালো ড্রামা। মূল দুই চরিত্র ছাড়া বাকীদের কাজের সুযোগই নেই। এই রকমের মুভি বানাতে থাকলে বাংলাদেশের সিনেমা কি খুব বেশি এগুবে?



আরেকটা জিনিস চোখে লাগে - নিজের সিনেমাকে ফারুকীর ব্যাখ্যা (ইন্টারপ্রিট) করা। এটা পরিচালকের কাজ নয়, সমালোচক বা দর্শকের কাজ। পরিচালকের মেসেজ (পিপীলিকার পাখা গজানো ভালো নয়, এসব থেকে দূরে থাকা উচিত ইত্যাদি) যদি দর্শক সিনেমা দেখে না বুঝে তবে পরিচালক ব্যর্থ হয়েছেন। টিভিতে বা পত্রিকায় পরিচালকের মন্তব্য পড়ে যদি মেসেজ বুঝতে হয় তবে সেটা প্যাথেটিক। ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ -র উইকিতে গিয়ে দেখলাম সিনপসিসের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বড় একটা স্টেটমেন্ট পরিচালক ফারুকীর দেয়া আছে!!



ফারুকীর সবচেয়ে বড় অবদান বোধ হয় এ ধরনের মুভির দর্শক তৈরিতে। কিন্তু এরাই কি আমাদের আকাঙ্খিত দর্শকশ্রেনী? বার্গম্যান বা বুনুয়েলের মত কাউকে গ্রহণ করার জন্য এদেশের দর্শক কি তৈরি? সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে এটাই আমাকে ভাবাচ্ছিল। ভালো ছবির দর্শক এখনো নেই, তৈরি করতে হবে। তেমন প্রযোজক, পরিবেশক আর পরিচালক কই?



ফারুকী auteur (অমিতাভ রেজা যেমনটা বলেছেন) এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু auteur হওয়াটাই বড় কথা নয়। হিচকক, ওয়েলস, হক্স এরাও auteur আবার এড উড বা আমাদের হাল আমলের জাকির হুসেন রাজুও সংজ্ঞামতে auteur। ফারুকী এই স্কেলে কোথায় থাকবে সেটা তাকেই ঠিক করতে হবে এবং সময়ই তা আমাদের জানান দেবে। তবে এবার মনে হয় সে বড় কিছু করতে যাচ্ছে ~ নো ল্যান্ড’স ম্যান – চারটি ভিন্ন মহাদেশে চিত্রায়িত হবে। বাজেটও বেশি। সুতরাং অপেক্ষার পালা, এই আশায় যে ফারুকী এবার বলার মতো ভালো কিছু উপহার দেবে এবং অনুপ্রানিত করবে অনেককে।





*** একজন আমাকে জানাল কোরিয়ান মুভি হ্যান্ডফোন (২০০৯) এর সাথে ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ -র মিল আছে। আমি হ্যান্ডফোন দেখিনি। উইকিতে কাহিনী পড়লাম। ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ -র গল্পের অনেকটার (এক অভিনেত্রীর সেক্স ভিডিও ও ফোন হারিয়ে যাওয়া এবং তা ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করা) সাথে হ্যান্ডফোনের কাহিনী মিলে যায়। মুভিটা দেখলে বুঝা যেত আসলেই তার প্রভাব কতটা আছে বা আদৌ আছে কিনা।



হ্যান্ডফোন (২০০৯)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল বলেছেন

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ভালো থাকবেন।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১

দারাশিকো বলেছেন: বহুদিন বাদে সামুতে লগ ইন করলাম আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য। কিঞ্চিত আলোচনা করি।

ফারুকী কি দর্শক তৈরী করেছেন/করছেন? সম্ভবত না। ফারুকী তার নিজের সিনেমা-নাটকের দর্শক তৈরীতে বেশ সফল হয়েছেন, কিন্তু ফারুকীর সিনেমার খুব ছোট অংশ মূল ধারার বাংলা চলচ্চিত্র কিংবা ভিন্ন ধারার বাংলাদেশী চলচ্চিত্র দেখেন বলে মনে হয় না। ফেসবুকে যারা পিঁপড়াবিদ্যা নিয়ে মন্তব্য করছেন - তাদেরকে চোখে চোখে রাখুন। ফারুকীর আগামী সিনেমার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশী সিনেমা নিয়ে তাদের খুব কমই মন্তব্য করবেন!

তবে, ফারুকীর মত নির্মাতাদের দরকার আছে। দর্শক থাকুক আর না থাকুক।

আর হ্যা, শীনা চৌহান ছবির আকর্ষন - এ প্রসঙ্গে আমার দ্বিমত আছে। শীনার উপস্থিতি নয়, বরং গল্পের দ্বিতীয়াংশ দুর্বল বলেই আকর্ষন কমেছে বলে বিশ্বাস করি।

হ্যাপী ব্লগিঙ :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।

আমি "এ ধরনের মুভির দর্শক" এর কথা বলতে ফারুকী এবং তার ঘরানার কাজের দর্শকের কথা বলেছি। আপনার সাথে একমত ফারুকীর মত নির্মাতার দরকার আছে। আমার মনে হয় ভালো চিত্রনাট্য পেলে সে ভালো কিছু করে ফেলতে পারে। সেই দক্ষতা সে অর্জন করেছে। (আর আজকাল লিঙ্ক খুব বড় একটা ব্যাপার, এই রিজিওনে ফারুকীর নেটওয়ার্ক যথেষ্ট শক্ত বলেই মনে হচ্ছে)

এটা সত্য যে গল্পের দ্বিতীয়াংশ দুর্বল। তবে, শীনার বদলে যদি জয়া অভিনয় করতো দর্শকদের অনেকেই দেখতে যেতোনা। সিনেমা হলে আশেপাশে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমার তেমনই মনে হলো।

আবারো অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
শুভকামনা রইল।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমত আপনাকে ধন্যবাদ। পিঁপড়াবিদ্যা নিয়ে মোটামুটি পূর্নাঙ্গ একটা রিভিউ পড়লাম। ভালো লেগেছে।

দ্বিতীয়ত, বহুদিন দারাশিকো ভাইকে ব্লগে দেখে ভালো লাগল। এক সময় যাদের মুভি রিভিউ নিয়মিত খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম, তিনি তাদের মধ্যে একজন।

চলচ্চিত্রটি এখনও দেখতে পারি নি, সময়ের অভাবে, তাই ভালো মন্দ ঠিক বলতে পারছি না। তবে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া টের পাচ্ছি যেখানে নেগেটিভ মার্কেটিংটাই বেশি চোখে পড়েছে। আশা করি খুব দ্রুত মুভিটা দেখে ফেলব।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

এম এম করিম বলেছেন: রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য,

ভাল থাকবেন।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

সুমন কর বলেছেন: মুভিটি দেখা হয়নি, তাই কিছু বলতে পারলাম না। অামি ফারুকীর কাছ থেকে বেশী কিছু অামা করি না।

কিন্তু অাপনার রিভিউ ভাল হয়েছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ @ সুমন কর।

খুব বেশি আশা আমিও করিনা। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফারুকীর অবস্থান দিন কে দিন পোক্ত হচ্ছে। তাই উপেক্ষা করতে পারিনি।


শুভকামনা সতত।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

বর্ণিল হেয়ালী বলেছেন: মুভি টা দেখতে হবে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

এম এম করিম বলেছেন: হ্যাপি ভিউয়িং !!!!

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: পিপড়া বিদ্যা দেখতে যেয়ে দেখলাম গার্ডিয়ান অব গ্যালাক্সি। অসাধারণ থ্রি-ডি ছবি। তবে আমার কাছে টু-ডি দি ইকুয়ালাইজার এর চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে।

সত্যি হলো, পিপড়া বিদ্যা দেখার ইচ্ছা মরে গেছে। এরচেয়ে সামনে Interstellar আসছে, সেইটা দেখবো।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২১

এম এম করিম বলেছেন: আমার ধারণা ইন্টারস্টেলার এ বছরের অন্যতম সেরা মুভি হতে যাচ্ছে।

আমিও অপেক্ষায় আছি।

আমার, আপনার অপেক্ষা সার্থক হোক।

শুভ কামনা।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৬

ডি মুন বলেছেন: ++++++++

রিভিউ ভালো লেগেছে।
পিপড়াবিদ্যা দেখা হয় নি এখনো। দেখার ইচ্ছা আছে।

আপনাকে শুভেচ্ছা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা ডি মুন।

রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভালো লাগা ভবিষ্যতের উৎসাহ হয়ে রইল।

হ্যাপি ভিউয়িং!!!

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এখনো দেখিনি তবে রিভিউ ভালো লেগেছে ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ভালো থাকবেন।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পিঁপড়াবিদ্যায় আমি দশে ৮ দেব। আর টেলিভিশনে ১০ এ ৯ই দেয়া যায়। আপনার রিভিউটা যথেষ্ট আন্তরিক মনে হলো। রিভিউ লেখা বন্ধ করে দিলেন নাকি?

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অাজকাল সময়াভাবে লিখতে পারিনা।
শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.