নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শচীন দেব বর্মনের চুরি করা সুরগুলি এবং কিছু কথা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪



১৯৫৫ সাল। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠান। ট্যাক্সি ড্রাইভার সিনেমার 'যায়ে তো যায়ে কাহা' গানটির জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কারটি হাতে তুলে নিলেন শচীন দেব বর্মন (তখন পুরো সিনেমা নয়, সেরা গানের জন্য পুরস্কার দেয়া হতো)। প্রায় ৮ বছর ধরে পেছনে থাকার পর প্রথম সারির কম্পোজারদের কাতারে উঠে এলেন শচীন কর্তা। একটা প্রশ্ন রয়েই গেল, কারণ গানটির সুর একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত 'হে ক্ষণিকের অতিথি' থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। নকল গানের জন্য সেরা সঙ্গীতকারের পুরস্কার পেলেন শচীন দেব। এটাই প্রথম নয়, তিনি তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ারটি পেলেন অভিমান (১৯৭৩) এর জন্য। এর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান 'তেরে মেরে মিলন কি এ র‍্যায়না' একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরে সাজানো। এই লেখায় শচীন দেব বর্মনের ব্যাপারে প্রচলিত কিছু মিথ ভাঙ্গার চেষ্টা করবো। গায়ক শচীন দেবের ব্যাপারে আলোচনা এটি নয়, এ লেখার আলোকপাত 'হিন্দী ফিল্মি কম্পোজার' শচীন দেবের উপর।

ফিল্ম সঙ্গীতের দুটো ভাগ - গান এবং নেপথ্য সঙ্গীত। দ্বিতীয় ভাগটিতে শচীন কর্তার পারফরম্যন্স মোটেও বলার মতো নয়।

অর্কেষ্ট্রেশনে তার দুর্বলতা চোখে পড়বার মতো। এতটাই যে, চল্লিশের শেষের দিকে কোন এক সিনেমাতে কর্তার সঙ্গীতায়োজন করে দিয়েছিলেন সি রামচন্দ্র। পরে এই দুর্বলতা তিনি কাটিয়েছিলেন বেশ কিছু ভালো সহকারী দিয়ে। তবে বরাবরই এদিকে তার নজর কম ছিল। তাছাড়া তার দুর্বল স্বাস্থ্যও একটা বড় কারণ বলে মনে হয়।

একজন কম্পোজারের একটা সিগনেচার থাকে। তার কোন কাজ শুনলেই বুঝা যায় এটার স্রষ্টা কে। শচীন কর্তার ক্ষেত্রে সেটা পাওয়া যায় না। অথার থিওরি প্রয়োগ করা হলে মুম্বাইয়ের প্রথম সারির কম্পোজারদের মধ্যে কেবল তিনিই উৎরাতে ব্যর্থ হন। এটা তার ভেরিয়েশনের কারণে নয়, অনুকরণপ্রিয়তার কারণে।

অনেক বেশি কাজ সহকারীরা করে দিতো। অনেকেই বলে গাইড সিনেমার কয়েকটি গান সহকারী জয়দেবের করা (এরকম একটা রিউমার শোনা গিয়েছিল)। তেরে মেরে সাপ্নে বা দিন ঢল যায়ে - এরকমের গান শচীন আগে বা পরে কখনো করেননি। সমসাময়িক সময়ে করা জয়দেবের গানগুলো শুনলে বরং অনেক বেশি মিল পাওয়া যায়। সহকারীদের তিনি সিনেমা হলে পাঠাতেন ইংরেজি সিনেমা থেকে সুর তুলে আনতে।

ছেলে রাহুল দেব ১৯৫৭ সাল থেকে বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সঙ্গীতায়জনে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক, শচীনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাবার কাজে সাহায্য করেছেন। আরাধনার 'বাগো মে বাহার হ্যায়' এবং 'গুনগুনা রাহি হ্যায় ভমর' গানদুটোই কেবল কর্তার করা। বাকীগুলো রাহুল দেবের করা। স্ত্রী মীরা দেব কিছু সুরে সাহায্য করেন কর্তাকে।

বিমল রায়ের দেবদাস (১৯৫৫) মুভিটির প্রথম পছন্দ কর্তা ছিলেন না। সে সময় শীর্ষে থাকা কম্পোজার নওশাদের রেট তখন এক লাখ দশ হাজার রুপি। তিনি এটা কমাতে রাজী না হলে, বাংগালী বিমল কর্তার কাছে আসেন। কর্তার রেট তখন পঁচিশ হাজার রুপি! শঙ্কর জয়কীষান, ও পি নাইয়ার, সি রামচন্দ্র - এরা সবাই কর্তার সামনে ছিলেন, পেছনে নয়। শচীন দেব কখনোই ১ নম্বর হতে পারেননি। ১৯৩৭-১৯৪৪ অনিল বিশ্বাস, ১৯৪৪-১৯৬৩ নওশাদ (শেষের কয়েক বছর তিনি ইঁদুর দৌড়ে ছিলেন না কারণ এত কম মুভি করতেন যে বছরে গড়ে একটাও এ্যালবাম বেরুতোনা), ১৯৬৩-১৯৬৯ শঙ্কর জয়কীষাণ, ১৯৭০-৭৫ রাহুল দেব বর্মন, ১৯৭৬-১৯৯১ লক্ষীকান্ত পেয়ারেলাল (এ আর রেহমান, নাদিম-শ্রাবণদের আগ পর্যন্ত) মুম্বাইয়ের শীর্ষ কম্পোজার ছিলেন।

রফি, লতা, আশা, মুকেশ, তালাত - এদের কাউকেই গড়ে তুলবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না তিনি। কিশোরের জন্য ছিলেন, শুরুতে গীতার জন্য ছিলেন।


নিচে শচীন দেব বর্মনের নকল গানগুলো দেয়া হলো লিঙ্কসহ (প্রথমে কর্তার গান, পরে মূল সুর)। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সূত্র এবং ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ১৯ টি গান। এর বাইরেও আছে, কিন্তু তখনকার ওয়ার্ল্ড মিউজিকের কতটাই বা এখন জানা সম্ভব!

১। তেরে মেরে মিলন কি এ র্যা য়না
যদি তারে নাই চিনি গো সেকি

২। ন্যায়না দিওয়ানে (১৯৫০)
সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে

৩। যায়ে তো যায়ে কাহা
হে ক্ষণিকের অতিথি

৪। জীবন কে সফর মে রাহি
মেক্সিকান হ্যাট ড্যান্স

৫। এক লাড়কী ভিগি ভাগি সি
সিক্সটিন টন্স

৬। ইয়ে দিল না হোতা বেচারা
মার্চ (দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই) । এই সুরে রাহুল দেবেরও অবদান আছে।

৭। সালা ম্যায় তো সাহাব বান গায়া
চেল্লা লা

৮। পুছো না ক্যায়সে ম্যায়নে
অরুনকান্তি কেগো যোগী ভিখারি

৯। মেরা সুন্দর সাপ্না বীত গায়া (১৯৪৭)
রোদন ভরা এ বসন্ত

১০। জ্বলতে হ্যায় যিসকে লিয়ে
একদা তুমি প্রিয়ে

১১। মেঘা ছায়ে আধি রাত
লহ লহ তুলে

১২। ইয়ে তানহায়ি হায় রে হায়
তোরা যে যা বলিস ভাই

১৩। আল্লাহ মেঘ দে পানি দে
আল্লাহ মেঘ দে পানি দে

১৪। চাহে কয়ি খুশ হো (ট্যাক্সি ড্রাইভার, ১৯৫৪)
তারানতেল্লা

১৫। হাম থে ও থি
ওয়াটার মেলন সং

১৬। ইয়ে ভি কয়ি রুঠ নে কা
ইয়ে ঘযায়েল

১৭। ইয়ে চান্দা রুস কা
আল বিন্ত এল শালাবিয়া

১৮। চান্দ ফির নিকলা
রসিক বালমা

১৯। গুনগুনা রাহি হ্যায় ভমর
সংকোচের বিহ্বলতায়

২০। পিঘলা হে সোনা (জাল, ১৯৫২)
ইউ আর মাই সানশাইন

২১। আরাধনার রুপ তেরা মাস্তানা একটি ত্রিপুরা-লোকগীতি থেকে নেয়া। (সুরটির প্রস্তাবক ছিলেন রাহুল দেব বর্মন এবং উত্থাপক কিশোর কুমার। কর্তার মূল সুরটি ছিল ভাটিয়ালির)

২২। রাহুল দেবের আজা পিয়া তোহে পেয়ার দো (বাহারো কি সাপ্নে, ১৯৬৭) গানটি শচীন দেবের 'তিন দেবিয়া' সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড সুর থেকে নেয়া। তবে প্রভাবের ব্যাপারটা বোধ হয় উলটো, কারণ এই সিনেমায় আরডিবি সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। তাছাড়া 'তিন দেবীয়া'-র বেশ কয়েকটি গানে শচীনের অবদান নিয়ে প্রশ্ন আছে। খাব হো তুম কয়ি নেহি হো (তিন দেবিয়া, ১৯৬৫) গানটির সাথে পেয়ার দিওয়ানা হোতা হে মাস্তানা হোতা হ্যায় (কটি পতংগ, ১৯৭০) গানটির যথেষ্ঠ মিল আছে - এবং সেটা পঞ্চমের (আরডিবি-র ডাক নাম) কারণেই।

২৩। এ মেরে টোপি পলটকে আ (ফান্টুশ, ১৯৫৬) এর টিউন রাহুল দেবের করা। শচীন ছেলেতে গাইতে শুনে সেটা ব্যবহার করেন।

২৪। সার যো তেরা চকরায়ে (পিয়াসা, ১৯৫৭) গানটি রাহুল দেব বর্মনের করা। রাহুল তখন বাবার সহকারী। এটা তার প্রথম কম্পোজিশন।

২৫। অ্যায়সে তো না দেখো (তিন দেবীয়া, ১৯৬৫)
আমি তোমায় যত শুনিয়ে ছিলেম গান

২৬। আঁখো মে কেয়া জি (ন দো গেয়ারা, ১৯৫৭)। এটাকে অনেকেই রাহুল দেবের কম্পোজিশন মনে করে। এর কিছু অংশ পরে রাহুল দেব তার ১৯৭০ এর দ্য ট্রেন মুভির একটি গানে ব্যবহার করেন।

২৮। রাত আকেলি হে (জুয়েল থীফ, ১৯৬৭) গানটি কতটা শচীনের, কতটা রাহুলের সে ব্যাপারে ভিন্ন মত আছে।

২৯-৩২। তেরে মেরে সাপ্নে (গাইড, ১৯৬৫), দিন ঢল যায়ে (গাইড, ১৯৬৫), কাহি বেখায়াল হো কার (তিন দেবীয়া, ১৯৬৫), হাম বেখুদি মে (কালাপানি, ১৯৫৮)। অনেকের মতেই প্রথম তিনটি গান শচীনের সহকারী জয়দেব - এর করা। এই গানগুলোর সাথে জয়দেবের সমসাময়িক কম্পোজিশনের মিল আছে। জয়দেবের উত্তরাধীকারীরাও এরকম দাবী করেছেন। শেষ গানটির কাহিনী এরকম - একদিন জয়দেব একটি সুর ভাজছিলেন, কর্তা শুনে জানতে চাইলেন কী গান। জয়দেব বললেন প্রচলিত। কর্তা জয়দেবকে বলেই এই সুরে একটি বাংলা গান করলেন। তারপর সেই সুরে হিন্দী গানটি করেন।

## জিদ্দী (১৯৬৪)-র মান্না দে'র গাওয়া 'পেয়ার কি আগ মে' র ৩ঃ৩৭-৩ঃ৪৫ পর্যন্ত শুনুন, 'কাম সেপ্টেম্বার (১৯৬১)'-র থিম সং বাজাচ্ছেন শচীন। একই সুরে ত্রিশ বছর পর নাদিম শ্রাবণ 'রাজা' সিনেমা'র 'নজরে মিলি' গানটি বাঁধেন। কর্তার এখান থেকে, ওখান থেকে গান টোকার অভ্যাস নিয়ে আনন্দলোক পত্রিকায় খোলাখুলি কথা বলেছিলেন মান্নাদে।

বিবিসি-র ২০১৩ সালের জরিপে সেরা ১০০ বলিউড গানের তালিকায় শচীনের ৭টি গান স্থান পায় তার মধ্যে রুপ তেরা মাস্তানা এবং হোতো পে অ্যায়সি বাত আছে। এ দুটি গানে রাহুল দেব বর্মনের প্রভাবের কথা আগেই বলা হয়েছে। আউটলুক ম্যাগাজিনের ২০০৬ সালের সর্বকালের সেরা বিশ হিন্দী গানের তালিকায় শচীনের ৫টি গান স্থান পায়। তার মধ্যে একটি নকল (পুছোনা ক্যায়সে ম্যায়নে) এবং দু'টি অনেকের মতেই জয়দেবের করা (গাইড সিনেমার তেরে মেরে সাপ্নে এবং দিন ঢল যায়ে)।

প্রীতমের নাম শুনলেই লোকজন বলে উঠে চোর। কিংবা আনু মালিকের নাম শুনলেও। এখন সময় বদলেছে, ইন্টারনেটের কল্যাণে খুব সহজেই টিউন লিফটিং ধরে ফেলা যায়। কয়েক দশক আগে এটা ভাবাও যেতোনা। আর এর পুরো সুযোগ নিয়েছেন সেই সময়ের অনেক কম্পোজার বিশেষ করে - রাহুল দেব বর্মন,নাদিম-শ্রাবণ, রাজেশ রোশন, আন্নু মালিক, যতিন-ললিত, বাপি লাহিড়ী, লক্ষীকান্ত পেয়ারেলাল, শচীন দেব বর্মন, শঙ্কর-জয়কীষান প্রমুখ। নতুন সুর বানানোর চেয়ে এদের দক্ষতা বেশি ছিল অন্যের সুরকে পরিবর্তিত করে পরিবেশন করায়।

সবশেষে একটা কথা, 'বাঙ্গালী বলেই শচীন কর্তার ব্যাপারে বাড়িয়ে বলা' - এই অভ্যাসটা ছাড়তে হবে।

তথ্যসূত্রঃ
১। ইন্টারনেট
২। বিবিধ ভারতীতে অনিল বিশ্বাসের অনুষ্ঠানের ট্রান্সক্রিপ্ট
৩। R. D. Burman: The Man, The Music By Anirudha Bhattacharjee Balaji Vittal
৪। Behind the curtain : making music in Mumbai’s film studios By Gregory D. Booth
৬। 20 Best Hindi Film Songs Ever
৭। BBC 100 Greatest Bollywood Songs
৮। Naushadnama: The Life and Music of Naushad By Raju Bharatan
৯। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

মিলিএমেন বলেছেন: যে যুক্তিগুলো দিয়েছেন সেগুলো কি আপনার নিজের মতামত?

অনেক কথাই নতুন শোনালো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

এম এম করিম বলেছেন: তথ্যসূত্র আছে।

একটা/দু'টা নিজের মতামত থাকলেও তার স্বপক্ষে প্রমাণ আছে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

সুমন কর বলেছেন: অবাক করার মতো বিষয় !!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

এম এম করিম বলেছেন: হা, অবাক করার মতই ব্যাপার।

অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

রিকি বলেছেন: ভাই একটা শব্দ আছে হুবহু কপি আর একটা শব্দ আছে অ্যাডাপ্টেশন/ ইন্সপিরেশন---এই লিঙ্কের গানটা শুনে দেখেন, এটা থেকে চুরা লিয়া হে তুমনে যো নাকি কপি মারা হয়েছে (!!!!)---view this link ভালো করে শুনে দেখবেন, এটা। এটার সাথে কি চুরা লিয়া হে র হুবহু মিল আছে???? view this link

যদি সুরের এরকম ধরণের কথা বলেন, রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের সুর কিন্তু লোকগীতি বিশেষত বাউল, কীর্তন এগুলোর সাথে মিলে যায়, তাহলে কি সে-ও চোর ?? নজরুল গীতিতেও বেদূইনদের সুর, পার্সিয়ান মিউজিকের বৈশিষ্ট্য পাবেন, তারা উল্লেখ করে গেছে বিষয়গুলো। তারা স্বীকার করতো হ্যা আমি এরকম ইন্সপিরেশন নিয়ে/ ভালো লেগেছে তাই ওটাকেই গানের সুর বানিয়েছি, প্রীতম বা অনু মালিক কোন জায়গায় করে এই কাজ???? বিষয়টা স্বীকারের, যুগ যুগ ধরে একই কাজ হয়, কেউ স্বীকার করে, কেউ নিজেকেই সুরস্রষ্টা বানিয়ে দেয় !!! বিভিন্নতা এখানেই... আশা করি ব্যাপারটা বুঝবেন। B:-/

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

কপি এবং অ্যাডাপ্টেশন/ ইন্সপিরেশন এর মধ্যে সীমারেখাটা কোথায় টানবেন? রবীন্দ্রনাথ তার ভাঙ্গা গানের কথা বলেছেন। নজরুল বলেছেন কিনা জানিনা, কিন্তু শচীন দেব বর্মন বা রাহুল দেব বর্মনের সাথে তাদের একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। রবিন্দ্রনাথ, নজরুল নিজেরাই গান লিখতেন, হিন্দী কম্পোজাররা সেটা করতেন না।

আমার মনে হয় মিউজিকে সবচেয়ে কঠিন মুখরাটা করা, প্রথম লাইনের সুরটা করা। সেটাই যদি নিজের না হয় তবে আর থাকলো কী? চুরালিয়া কে আমি নকল গানই মনে করি। Bojoura - র গানের ক্যাসেটটি রাহুল দেব বর্মন কে দিয়েছিলেন উষা উত্থুপ। সেটা শুনেই তিনি সুরটি করেন। এই তো কিছুদিন আগে অ্যাডেলের একটি গান নিয়ে বেশ হৈ চৈ হলো, অথচ সেটা হয়তোবা রিমোটলি মিলে যায়। চুরালিয়ার প্রথম চার লাইন তো হু বহু। এগুলোকে কি বলবেনঃ (লিঙ্ক পরের মন্তব্যে)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

এম এম করিম বলেছেন: আজকেই একজন আমাকে জানাল নজরুলও স্বীকার করেছেন।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

এম এম করিম বলেছেন: শোলের মেহবুবা মেহবুবাতুমসে মিলকে অ্যাায়সা লাগা (পারিন্দা)
মিল গায়া হামকো সাথি মিল গায়া (হাম কিসিসে কাম নেহি)
তেরা মুঝসে হ্যায় পেহলে কা নাতা কয়ি
জিন্দেগী মিল্কে বিতায়েঙ্গে
ও মারিয়া (সাগর)আজ তু গায়ের সাহি
দিলবার মেরে

পড়োসানের এক চতুর নাগ - এর টিউনটিও অরিজিনাল নয়। চল্লিশের এক সিনেমায় প্রথম ব্যবহার করা হয়, কম্পোজার ছিলেন সরস্বতী দেবী।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের দেশেও এমন প্রচুর আছে, প্রিয় শিল্পী (অন্যতম) আইয়ুব বাচ্চুর অনেক গান আছে যে গুলো ষাট-সত্তরের দশকের ইংরেজি গানের সুরের কপি করা।

ব্লগার রিকি'র করা মন্তব্য'র কথা বিবেচ্য। অনেক নকল সুরে করা গান কিন্তু আসল সুরের গানকে ছাড়িয়ে যায়। তবে সুরকারদের উচিত এটা স্বীকার করা, যা করতে দেখা যায় না বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই।

ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি'র জন্য, ভালো থাকুন সবসময়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আশা করি ভাল আছেন।

ঠিক বলেছেন। আমাদের সাদাকালো যুগের বাংলা সিনেমার অনেক গানই নকল।

কপিরাইট থাকা অবস্থায় ব্যবহার করাটাই চুরি - সেটা একটু হোক বা পুরোটাই। আমার এটাই মনে হয়।

শুভকামনা।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

প্রামানিক বলেছেন: রিকির কথাগুলোর যুক্তি আছে। চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

নকল আর অনুপ্রেরণার সীমারেখা টানা খুব মুশকিল।

কপিরাইট থাকা অবস্থায় অনুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ এটাই মনে হয়।

ভালো থাকবেন।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

কালের হরকরা বলেছেন: পৃথিবীর প্রতিটি গানই ৭টি শুদ্ধস্বর এবং ৫টি কোমলস্বরের ভিত্তিতেই সৃষ্টি এটা ধ্রুব সত্য। তাই অনেক গানেরই সুর অনেক গানের সুরের ধারা মিলে যেতেই পারে তথাপিও কোথাও না কোথাও সাড়ে উনিশ-বিশ থাকেই। আমি যতদূর জানি আমাদের জাতীয় সঙ্গিতের সুর হুবহু এক বাউলের সুর। যাঁরা সুর করেন তাঁরা একটা প্রগতিশীল ধারার ধারক, বাহক গুনিজন। তাঁদের সম্পর্কে মন্তব্য করা আমাদের মতো ছাপোষা কেরাণীর কি সাজেরে ভাই?
দয়া করে মনঃক্ষুন হবেন না আশা করি, ভাল থাকবেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫

এম এম করিম বলেছেন: সবার কাজের ব্যাপারেই আলোচনা চলে।
রবীন্দ্রনাথ গান নিজে লিখতেন। অন্যদিকে এসব গানে সুর, কথা কোনটাই সঙ্গীত পরিচালকের নয়।
শুভকামনা।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অন্যরকম তথ্য জানালেন।শচীন দেব বর্মনের গান আমার খুব ভালো লাগে। রিকি আপু ভালো বলেছেন+

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কপিরাইট থাকা অবস্থায় অনুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ, এটাই মনে হয়।

শুভকামনা জানবেন।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯

উষ্ণীষ সেনগুপ্ত বলেছেন: মুম্বইয়ের নতুন যুগের সুরকারদের টোকাটুকি প্রতিযোগিতা দেখে আগে ভাবতুম, "হায়, সাদা-কালো যুগে সিনেমার গানে কি অসাধারণ সব সুর থাকত, সুরকারের প্রতিভার জৌলুস ঠিকরে পড়ত কলিতে কলিতে, আজকের দিনে জৌলুস কেবল আধুনিক ফিল্ম ও বাদ্য-প্রযুক্তির ঝকঝক HD পারিপাট্যে।" ওই বলে না, অন্ধের কিবা দিন, কিবা রাত্রি। আপনি তো মশাই আমাদের চোখ খুলে দিয়ে সেই নস্টালজিয়ার সুখটুকুও ঘুচিয়ে দেবেন দেখচি! :P
শচীনের কিছু গান যে রবীন্দ্র-নজরুল দ্বারা "প্রভাবিত" তা জানতুম (নজরুল তো ওঁদের পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠ-ও ছিলেন), তবে প্রভাবের বিস্তার যে এতদূর তা জানা ছিল না। এই গবেষণা করতে যে বেশ হ্যাপা পোয়াতে হয়েছে তা বুঝতেই পাড়ছে, আপনার অধ্যবসায়কে আমার সেলাম। কিন্তু ভাই শেষ তিনটি গানের মিল আমার অপটু কানে অন্তত ধরা পড়ল না। আর এটাও বলব যে ভদ্রলোক এত গানে সুর দিয়েছেন (৬০০-৭০০ বা তার বেশি বোধহয়, আমি ঠিক বলতে পারব না) ওনার এই ভুল-ত্রুটিগুলি কিছুটা ক্ষমাসুন্দর প্রশ্রয়ের চোখে আমরা দেখতেই পারি, তাই না? আর এই সুরগুলো যে তিনি বাঙালীর/ইংরেজের/আমেরিকানের কান থেকে ধার করে সমগ্র ভারতবর্ষের কানে তুলে দিতে পেরেছেন তার উপস্থাপনার মাধ্যমে, সেটাতে তার অল্প হলেও কিছুটা কৃতিত্ব রয়েছে এটা মানতে হবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

এম এম করিম বলেছেন: শেষ তিনটি গান সম্পর্কেঃ
১৭। অরিজিনাল গানটিকে একটু ফাস্ট করে দিন বা হিন্দী গানটিকে একটু স্লো করে দিন - পুরো মিলে যাবে।
১৮। মুখরা টা শুনুন, মিল পাবেন।
১৯। প্রথম দুটো লাইন

৮৯ টি সিনেমায় ৬৫৩ টি গানে সুর দিয়েছেন তিনি। কিন্তু নকল গানগুলোর কিছু গান (বা রাহুলের করা আরাধনা) তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এদের প্রভাব স্বীকার করেই তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। আমরা পুরোপুরি এড়িয়ে যাই - যেটা বোধ হয় ঠিক নয়। এসব কিছু মিলিয়েই এস ডি বর্মন হিন্দী ফিল্মের একজন বড় সুরকার, যেখানে কপি করা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে।

আমার অধ্যবসায়কে খুব সম্ভবত আপনি ওভারএস্টিমেট করেছেন। আমি দু'একটা যোগ করেছি আর সবগুলোকে একত্র করেছি মাত্র।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

মাইনাসমামা বলেছেন: যে যাই বলুক,পোসট প্রিয় তে রাখছি

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা জানবেন।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০০

মানবী বলেছেন: সব চেয়ে অবাক হয়েছিলাম যখন জেনেছিলাম ওয়াহিদা রহমানের শুরুর দিকে সময়ই হলিউডের ছবির নকলে সিনেমা বানানো হয়েছে, অমিতাভের সাত্তে পে সাত্তা শৈশবে খুব পছন্দ করেছিলাম, পরে যখন অরিজিনাল হলিউড মুভি "সেভেন ব্রাদার্স এন্ড দেয়ার সেভেন ব্রাইডস" দেখি তারপর থেকে কেমন বিরক্তি এসে যায় হিন্দী (!)ক্লাসিকগুলোর প্রতি।
ভারতের নিজস্ব সুরের জগৎ অনেক সমৃদ্ধ সেখানে কি করানে তারা ভীনদেশী গানের সুর নকল করে তা সত্যিই বোধগম্য নয়।

"শচিন দেব বর্মন" কে কর্তা শচীন সম্বোধনটাও বুঝতে পারছিনা!!

পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ এম এম করিম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

এম এম করিম বলেছেন: সাত্তে পে সাত্তা, কার্জ, আরাধানা, আভিমান, শোলে, তেজাব, দিল হ্যায় কে মানতা নাহি, চোরি চোরি(রাজ কাপুর), বাজিগার, আকেলে হাম আকেলে তুম, গুলাম ইত্যাদিসহ অনেক সিনেমাই নকল।
শচীন দেব বর্মনকে অনেকেই বিশেষ করে বাঙ্গালীরা শচীন কর্তা ডাকে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা জানবেন।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আমার মনে হয় সুরে কারো একার অধিকার থাকা উচিত না। উচিত হইলে রবীন্দ্রনাথ নিজে লিখুক আর সচিন অন্যের লেখার উপর বসাক, চোর দুইজনই। কেউ যদি ধারে কাছের কিংবা একই সুরে অন্য কোন অর্থের কিংবা মানের গান আরও বেশি জনপ্রিয় করতে পারেন, আরো ভালোলাগা দিতে পারেন তবে সেইটা তার কৃতিত্বই বলতে হয়। আর জনপ্রিয়তা আর মানুষের কাছে পোউছানো যদি বড়ো লক্ষ্য হয়, সাফল্য নির্ধারনের নিয়ামক ধরা হয়, তবে উনারা সফল এবং গুনীও বটে। সবাই তো পারে না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

এম এম করিম বলেছেন: আপনার অভিমতে শ্রদ্ধা আছে, সমর্থন নেই। কারণ তা নকল করাকে বৈধতা দেয়। কপিরাইট না থাকলে কেউ নতুন কিছু তৈরিতে উৎসাহ পাবেনা।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

চ্যাং বলেছেন: সবগুলা চুরি মনে হইনাই।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: কপিরাইট আইন দিয়ে কি ধরতে পারবেন? কতটুকু মিললে সেটাকে নকল বলে কিংবা আইনের কাছে ধরা যাবে? এইখানে যতগুলো দিছেন, বেশ্রভাগই শুনে দেখলাম, আইন দিয়ে ধরতে পারবার মত একটাও নাই। আর সেইটা যখন না হয়, তখন কাজটা ভিন্ন কিংবা মৌলিকই হয়ে যায়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

শায়মা বলেছেন:
১। তেরে মেরে মিলন কি এ র্যা য়না
যদি তারে নাই চিনি গো সেকি


হুবুহু মিল......... B:-)

এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না!!!!!!

আমার গুরুর সাথে চোট্টামি!!!!!!!!!!!!!!!!! X((

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

এম এম করিম বলেছেন: হমম, মেনে নেয়া যায় না।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

জুন বলেছেন: তেরে মেরে মিলন আর যায়ে তো যায়ে কাহা এর সাথে আপনার উল্লিখিত রবীন্দ্র সংগীত একই রকম সুর।। উনি কি তার গানের রেকর্ডিং এর কোথাও এই নকল করার কথা উল্লেখ করেছিলেন?
না করে থাকলে চুড়ান্ত অন্যায় হবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

এম এম করিম বলেছেন: আমি যদ্দুর জানি, কোথাও স্বীকার করেন নি।


১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

শায়মা বলেছেন: ২। ন্যায়না দিওয়ানে (১৯৫০)
সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে


অবশ্যই চুরি.....
ডোন্ট লাইক ইট এ্যাট অল!!!!!!!!!! X((

রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর চুরি করা!!!!!!!!
এটা কি!!!

এসব কে কখনও অ্যাডাপ্টেশন/ ইন্সপিরেশন- বলা যাবেনা রিকিমনি!!!!!!!:(


(যদি সুরের এরকম ধরণের কথা বলেন, রবীন্দ্রনাথের অনেক গানের সুর কিন্তু লোকগীতি বিশেষত বাউল, কীর্তন এগুলোর সাথে মিলে যায়, তাহলে কি সে-ও চোর ??)

না সে চোর না ......
কারণ বাউল কীর্তনের ভাব থাকলেও, সুর থাকলেও হুবুহু মিল নেই। নজরুলও তার নজরুল গীতিতেও বেদূইনদের সুর, পার্সিয়ান মিউজিকের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় বটে তবে তাই বলে নজরুল সেসব কোনো গানের হুবুহু নকল করেননি।
আর তাছাড়া হ্যাঁ

(তারা স্বীকার করতো হ্যা আমি এরকম ইন্সপিরেশন নিয়ে/ ভালো লেগেছে তাই ওটাকেই গানের সুর বানিয়েছি, প্রীতম বা অনু মালিক কোন জায়গায় করে এই কাজ???? বিষয়টা স্বীকারের, যুগ যুগ ধরে একই কাজ হয়, কেউ স্বীকার করে, কেউ নিজেকেই সুরস্রষ্টা বানিয়ে দেয় !!! বিভিন্নতা এখানেই... আশা করি ব্যাপারটা বুঝবেন। B:-/)

একদম ঠিক শচীন কর্তা স্বীকার করে নিলেই পারতেন। নিশ্চয়ই করেছিলেনও। আমরা জানিনা।:( আর আরও একটা কথা এই বহুল পরিচিত রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরগুলি নিয়ে গান বানাবার পর আবার মানুষের কাছে তা বলে দিতে হবে এমনটাও আমি মনে করিনা।

এখন যদি আমি লিখি
সখী ভাবনা কাহারে বলে সখী যাতনা কাহারে বলে কাউকে কি বলে দিতে হবে ইটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা???

ঠিক তেমনি শচীন দেব বর্মনও নিশ্চয়ই একই কথা ভেবেছিলেন। এটা তো সবাই বুঝবেই, জানবেই। কি যায় আসে? আমার ভালো লেগেছে আমি এই সুর নিয়েছি। তাই উনিও নিয়েছিলেন। আর তাই তো এসব গানগুলি এত সুন্দর!!!!!! কবিগুরুর গান বলে কথা!!!!!!


রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর না হলে কি আর এত ভালো হতো!!!!!!!:)


২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

এম এম করিম বলেছেন:
না, শচীন কর্তা স্বীকার করেন নি।

(একদম ঠিক শচীন কর্তা স্বীকার করে নিলেই পারতেন। নিশ্চয়ই করেছিলেনও। আমরা জানিনা।:( আর আরও একটা কথা এই বহুল পরিচিত রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরগুলি নিয়ে গান বানাবার পর আবার মানুষের কাছে তা বলে দিতে হবে এমনটাও আমি মনে করিনা।)

বাংলার বাইরে সে সময়ে রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রচার বেশি ছিলো না, এখনো নেই। বাংলাতেও কি সবাই রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনে? সিনেমার গানের শ্রোতা অনেক বেশি। অনেকে বুঝতেই পারেনি যে সুরের উৎস কোথায়।

আর বিদেশী গানগুলোর ব্যাপারেই বা কি বলা যায়! সেগুলো তো আর স্বদেশী কবিগুরুর ছিলোনা।

শুভকামনা।



১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

ডি মুন বলেছেন: কর্তার গান শুনেই শুধু মুগ্ধ হয়েছি কিন্তু এতকিছু আজই প্রথম জানলাম।
দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট।

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

এম এম করিম বলেছেন: আপনার জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসতে পেরেছি ভেবেই ভাল লাগছে। আশা করি ভাল আছেন।

শুভকামনা রইল।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: এস.ডি.বর্মন গান শুনে তো মন ভাল করার চেষ্টা করি।

লিংকের গানগুলি শুনতে হবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

এম এম করিম বলেছেন: নকল প্রায় সবাই করেছে এবং সব মিলিয়েই কর্তা হিন্দী ফিল্মের বড় কম্পোজারদের একজন।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.