নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার যানজট সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানঃ আমার ভাবনা/প্রস্তাবনা

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮



- ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ট্রাফিক জ্যামের কারণে ৫৫০ বিলিয়ন টাকা ক্ষতি হয়, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। (সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো)
- শুধুমাত্র এয়ারপোর্ট-পোস্তগোলা রোডেই গড় বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ২৭৩ বিলিয়ন টাকা। এর ৯০ শতাংশ সময় নষ্টের কারণে এবং বাকী ১০ শতাংশ জ্বালানী খরচের কারণে। (সূত্রঃ দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ২০১৬)
- বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাফিক জ্যামের কারণে প্রতিদিন ৩২ লাখ শ্রমঘন্টা নষ্ট হয়। বিনিয়োগ বোর্ডের ভাষ্যমতে ২০১৫ সালে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম দেশের জিডিপি-র ৭% খেয়ে ফেলেছে। এই সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৬২৮০ টাকা বেড়ে যাবে। (বাংলাদেশ পোস্ট, ২০১৭)
- ট্রাফিক জ্যামের ফলে দৈনিক ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা। (দ্য নিউ নেশন, ২০১৭)
- গত দশ বছরে ঢাকার গড় ট্রাফিক স্পীড ২১ কিমি/ঘন্টা থেকে নেমে ৭ কিমি/ঘন্টায় দাঁড়িয়েছে। (দ্য ডেইলি স্টার, ২০১৭)

আমরা সবাই কম বেশি এই তথ্যগুলো জানি এবং অনেকেই প্রতিদিন হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করি। এই সর্বগ্রাসী সমস্যা নিয়ে লেখা আমার উদ্দেশ্য নয়, আমার উদ্দেশ্য এর সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে লেখা।

স্কুল জোন গঠনঃ সকাল থেকে দুপুর অবধি ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের প্রধান কারণ আমি মনে করি স্কুলগুলোকে। একজন ছাত্র/ছাত্রীর সাথে কমপক্ষে একজন অভিভাবক এবং একটি প্রাইভেট কার বা রিক্সা থাকে। এই গাড়ী বা রিক্সাগুলো রাস্তায় গাড়ীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক স্পীড কমিয়ে দেয়।



ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি স্কুল জোন গঠন করে এই সমস্যা দূর করা যায়। যেমন ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এই এলাকার আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকায় থাকা সব স্কুল বসিলা বা বুড়িগঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় সরিয়ে নেয়া যায়। ওখানে সরকারের প্রচুর জায়গা আছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে স্কুল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনিটিজ যেমন খেলার মাঠ, পাঠাগার, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র ইত্যাদি গড়ে তোলা হবে। সব স্কুল একটি নির্দিষ্ট এলাকায় থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভাল হবে, স্কুলসমূহের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতাসমূহ সহজে করা যাবে।



ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ বাহনে বা হেঁটে স্কুলে আসতে পারবে না, তাদের অবশ্যই স্কুল বাস ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি বাসে ৫০-৬০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। একজন ড্রাইভার ও একজন সহকারী থাকবে। বাসগুলোর নির্দিষ্ট রুট ও সময়সূচী থাকবে। এগুলো কোনো নির্দিষ্ট স্কুলের বাস নয়, বরং নির্দিষ্ট স্কুল জোনের বাস। সিটি কর্পোরেশন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ বা দু'পক্ষ মিলে এই বাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।



কাছাকাছি কয়েকটি এলাকার জন্য একটি স্কুল জোন থাকবে এবং ঢাকার প্রতিটি এলাকা কেবল মাত্র একটি স্কুল জোনে পড়বে। এক জোনের এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা অন্য জোনে পড়তে যেতে পারবে না। অন্য জোনে পড়ার একটাই উপায় বাসা বদল করে অন্য জোনের এলাকায় যাওয়া। ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ৫০টি গাড়িতে না গিয়ে একটি গাড়িতে যাচ্ছে। তারা শহরের কেন্দ্রের দিকে না গিয়ে প্রান্তের দিকে যাচ্ছে কারণ স্কুল জোনসমূহ শহরের প্রান্তে অবস্থিত। কাজের জন্য মানুষ শহরের কেন্দ্রের দিকে যখন যাবে, একই সময়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শহরের প্রান্তের দিকে যাচ্ছে পড়ালেখা করতে। বিপরীতমুখী দু'টো স্রোত হওয়ায় জ্যাম হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। অধিকন্তু, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দও এসব স্কুল বাসে যাতায়াত করবে এবং সেজন্য নিজ নিজ স্কুল জোনভুক্ত এলাকায় তাদের থাকতে হবে।




প্রধান সড়কে কিস এন্ড ড্রপ নয়ঃ সাতমসজিদ রোডে একাডেমিয়া, ফোর সীজন্স, জি এইচ হাইটস (গ্লোরিয়া জীন্স টাওয়ার), রেইনবো হার্ট হসপিটাল, ছায়ানট, আমিন মোহাম্মদ, স্টার কাবাব, ইবনে সিনা, আনাম র‍্যাংগস - এরকম আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যিক ভবন আছে। অনেক সময় রাস্তার পাশে প্রাইভেট কার থামিয়ে যাত্রী নামানো বা ঊঠানো হয়। একাডেমিয়ার সামনে প্রায়ই দু'সারিতে ব্যাক্তিগত গাড়ী থেমে থাকতে দেখা যায়, বিশেষত পীক আওয়ারে। গ্লোরিয়া জীন্স টাওয়ারের সামনে আমি তিন সারিতে গাড়ী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। এসব কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এটাকে নিষিদ্ধ বা শাস্তিযোগ্য করতে হবে। গাড়িকে জরিমানা না করে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে হবে। যেমন একাডেমিয়াকে যদি জরিমানা করা হয় কোনো অভিভাবকের সাধ্য নেই যে গাড়ী নিয়ে আসে। একাডেমিয়াই সেটা নিশ্চিত করবে, অন্য কারো কিচ্ছু করতে হবে না। জি এইচ হাইটসকে যদি জরিমানা করা হয় তারাই নিশ্চিত করবে কাস্টোমারদের গাড়ী যেন রাস্তায় না থাকে। পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস না রেখে ভবন করলে তার পরিণাম আপনাকেই ভোগ করতে হবে।



রাস্তায় গাড়ী পার্ক করা যাবেনাঃ এটি কার্যকর করতে হবে। যেমনটা আগের অনুচ্ছেদে বলেছি এটি একটি বড় সমস্যা। সেদিন তাজমহল রোড থেকে সলিমুল্লাহ রোড পর্যন্ত প্রচন্ড যানজট। উৎস খুঁজতে গিয়ে পেলাম - একটি ব্যক্তিগত গাড়ী রাস্তার একপাশে পার্ক করা আছে। একটি বাস যেতে গিয়ে বাকি রাস্তার অনেকটাই নিয়ে নিয়েছে এবং বিপরীতমুখী ট্রাফিককে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলাফল এই তীব্র যানজট। যেকোনো মার্কেট, শপিং মল, স্কুল বা আবাসিক ভবনের জন্যই এটা করা যায় - রাস্তায় পার্ক করলেই জরিমানা। কোনো গাড়ী অবৈধভাবে রাস্তায় কেউ পার্ক করতে পারবে না।



নো পার্কিং জোনঃ ধানমন্ডি এলাকার উদাহরণ দিয়ে বলছি। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে প্রচুর। ভেতরের রাস্তাগুলোতে দিনের বিভিন্ন সময়ে তাই অনেক ব্যক্তিগত বা অফিসের গাড়ী পার্ক করা থাকে। রাস্তার অর্ধেকটা এরা দখল করে রাখে। পুরো আবাসিক এলাকাটাকে নো পার্কিং জোন ঘোষণা করা হলে কেউ এখানে পার্ক করতে পারবে না। পার্ক করা মাত্রই 'উচ্চ হারে' জরিমানা করা হবে।

দখল হয়ে যাওয়া রাস্তা পুনরুদ্ধারঃ মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলার রাস্তাটা অনেক প্রশস্ত। কিন্তু তার প্রায় অর্ধেকটাই দখল হয়ে গেছে - সেখানে দোকানিরা নানান পসরা সাজিয়ে বসেছে, লোকজন মূল রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। অন্য পাশের অর্ধেকটা জুড়ে বাস পার্ক করে রাখা হয়েছে। পুরো রাস্তা সবসময় ব্যবহার উপযোগী থাকতে হবে।

'অতিথির গাড়ী পার্কিং বাহিরে' নয়ঃ আপনার ভবনে যদি অতিথির গাড়ী পার্কিং এর সুব্যবস্থা না থাকে অতিথিকে তা জানিয়ে দিন বা নিজের গাড়িতে করে তাকে নিয়ে আসুন। আপনার অতিথিকে বাইরে পার্ক করতে বলতে পারেননা। অতিথি আপনার, রাস্তা সবার। সবার সমস্যা সৃষ্টি করে এমন কিছু আপনি করতে পারেন না।

গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থাঃ আমরা রাস্তায় ড্রপ/কিস এন্ড রাইড করতে দিচ্ছি না, রাস্তায় গাড়ী পার্ক করতে দিচ্ছি না, তাহলে আপনি কী করবেন? প্রতিটি ভবনে পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস থাকতে হবে, না থাকলে করতে হবে। যেমনঃ ধানমন্ডি ১৫ এর কাছের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এখানে কিস এন্ড রাইডের ব্যবস্থা আছে কিন্তু রোগীর গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজন হলে গ্রাউন্ড ফ্লোরকে পার্কিং স্পেসে রুপান্তরিত করা যেতে পারে। জি এইচ হাইটস (গ্লোরিয়া জীন্স টাওয়ার) এ কিস এন্ড রাইডের ব্যবস্থা নেই কিন্তু তা ঘটছে। সমাধান জি এইচ হাইটস কে বের করে নিতে হবে। এখানে পার্কিং স্পেস আছে কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় অপ্রতুল নয়তো রাস্তায় পার্কিং হত না। যতজন কাস্টোমারের গাড়ী নিয়ে আসার ব্যবস্থা আছে তার বেশি হয়ে গেলেই ধরে নেয়া হবে ক্যপাসিটির বাইরে কাজ করছে। এটা হতে দেয়া যাবেনা, আপনি আপনার ক্যাপাসিটির বাইরে কাজ করতে পারেননা। তবে কি সবাই ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। না। জি এইচ হাইটস বেজমেন্টের পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফ্লোরকে পার্কিং স্পেস হিসেবে ব্যবহার করবে। পার্কিং স্পেস বাড়ানোর একটা সমাধান হতে পারে পাশাপাশি দু'তিনটা মার্কেট বা ভবন মিলে একটা কমন বা শেয়ারড পার্কিং স্পেস গড়ে তোলা। যেমন ধানমন্ডি ২ এর জন্য এরকম একটি পার্কিং স্পেসই যথেষ্ট। প্রতিটি এরকম এলাকাতেই তখন অনেকে কমার্শিয়ালি পার্কিং স্পেস তৈরি করে ভাড়া দেবে যা একটি ভাল ব্যবসায় পরিণত হতে পারে।

ইন্টারসেকশন লাগোয়া বাস স্টপ নয়ঃ বেশিরভাগ বাসস্টপই ইন্টারসেকশন লাগোয়া। বাসগুলো একটার পর একটা এসে দাঁড়াতে থাকলে সেটা ইন্টারসেকশন পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। বাস স্টপেজ ইন্টারসেকশন থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থিত হতে হবে। ইন্টারসেকশনে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না।

স্টপেজ নির্ধারণঃ সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া কোথাও গাড়ী থামানো যাবেনা এবং গাড়ী কোনো স্টপেজে নির্ধারিত সময়ের বেশি দাঁড়াতে পারবে না। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। অপেক্ষমান শেষ যাত্রীটি উঠামাত্রই গাড়ী স্টপেজ ছেড়ে যাবে। গাড়ী কাউকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নেবে না বা বাসার কাছে নামিয়ে দেবে না। আপনাকে স্টপেজে গিয়ে গাড়ী ধরতে হবে এবং স্টপেজ থেকে নেমে বাড়ি ফিরতে হবে। ফ্লাইওভারের শুরুতে বা শেষেও অনেক বাস যাত্রী উঠানামা করে, এটাও তখন বন্ধ হবে। চলার সময় বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। শুধুমাত্র স্টপেজে যাত্রী উঠানামার সময় দরজা খোলা যাবে।

এখানে থামুনঃ যেকোনো ইন্টারসেকশনে দেখা যায় সব দিক থেকি একসাথে যানবাহন যাবার চেষ্টা করে। গাড়িরা এগিয়া এসে রাস্তার অর্ধেকটা বন্ধ করে দেয়। বা যে গাড়িগুলো সামনে ইউ টার্ন নেবে বা মোড় নেবে তারা সোজা যাবার পথটা সরু বা বন্ধ করে দেয়। লেনে প্রয়োজনমতো নির্দেশ করে দিতে হবে 'এখানে থামুন', 'সোজা চলুন' বা 'লেন পরিবর্তন নয়'। এগুলো করতে হবে ইন্টারসেকশনের আগেই, মুখে নয়।

উল্টা পথ পরিহার করুনঃ অনেক সমস্যারই সৃষ্টি হয় প্রচলিত নিয়মাবলী ভাঙ্গার জন্য। উল্টো পথে চলার জন্য লাইসেন্স বাতিল (কমপক্ষে তিন মাস) এবং গাড়ী জব্দ করা উচিত। উচ্চ ফি দিয়ে এসব ফেরত নিতে হবে। ফুটপাত দিয়ে যারা বাইক চালান তাদের জন্যও একই শাস্তি বরাদ্দ রাখা উচিত।

রাস্তার ওয়ারেন্টিঃ রোড কন্সট্রাকশনের জন্য ওয়ারেন্টি প্রয়োগ করা যায় কিনা এ ব্যাপারে বিশদ গবেষণা হওয়া দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি অঙ্গরাজ্যে এবং কমপক্ষে ৮টি ইউরোপিয়ান দেশে পেভমেন্ট বা কন্সট্রাকশন ওয়ারেন্টির প্রচলন আছে। নিজের দু'টি লিঙ্কে এ বিষয়ক আলোচনা আছে। ওয়ারেন্টির প্রচলন হলে দুর্নীতিও অনেক কমে যাবে।
লিঙ্ক ১
লিঙ্ক ২

পুলিশ দিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল নয়ঃ পুলিশ দিয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা আর নয়। এখনো মান্ধাতার আমলে পড়ে আছি আমরা। অত্যাধুনিক ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে।

বাসে হেল্পার নয়ঃ নতুন ব্যবস্থায় সিটি বাসে হেল্পারের প্রয়োজন হবে না।

ক্যামেরা স্থাপন এবং তদারকিঃ ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের আধুনিকায়ন দরকার। জায়গায় জায়গায়, বিশেষ করে ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে বাইক/গাড়ী এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হতে হবে। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে ধরা বা ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়ে যাবে। বেসরকারি টোয়িং এজেন্সীকে লাইসেন্স দিতে হবে। তারাই খুঁজে খুঁজে বের করবে কারা নিয়ম না মেনে পার্ক করছে।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমঃ সিটি বাস সিস্টেমকে সরকারি খাতে নিয়ে আসতে হবে। এটাকে বেসরকারি খাতে দেবার ফলে যে নৈরাজ্য বা অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বেরুবার এটাই একমাত্র পথ।

দুঃখিতঃ ধৈর্য হারিয়ে ফেলায় তাড়াহুড়ো করে শেষ করতে হল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভাল, তবে কথা হচ্ছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

এম এম করিম বলেছেন: পলিসিমেকাররা।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্কুলবাস কিছুটা সাহায্য করবে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

এম এম করিম বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়। পীক আওয়ারে যানজট অনেকটাই কমিয়ে দেবে।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দ্বিতীয় হাইলাইটে টাইপিং মিস্টেক আছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

এম এম করিম বলেছেন: ধরতে পারছি না।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

সাইফুর রহমান খান বলেছেন: অসাধারণ প্রস্তাব, তবে বাস্তবায়ন করবে কে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

এম এম করিম বলেছেন: পলিসিমেকারদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

নতুন বলেছেন: সমস্যা আমাদের দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যা... :(

বিদেশে আপনার এই নিয়মেই সবাই চলছে কারন মানুষ বেশি নাই তাই নিয়ম মানা সহজ...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

এম এম করিম বলেছেন: জনসংখ্যাকে আমলে নিয়েই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ব্লগার নতুনয়ের সাথে সহমত পোষন করেই বলছি, জনসংখ্যা যেকোন সমস্যা বাস্তবায়নে প্রধান অন্তরায়।। বিশেষ করে গরীব দেশে।।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১০

এম এম করিম বলেছেন: গরিব দেশের চেয়ে গরিব প্রকল্পনা বেশি দায়ী বলে মনে হয়।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্কুলজোন করতে জমি পাওয়া কঠিন হবে।

আমার একটি প্রস্তাব-
পিলখানা ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টএ শহরের সকল বেসরকারি স্কুল কলেজ ইউনিভারসিটি সরিয়ে নেয়া সম্ভব।
জমি ও বিল্ডিং লিজ দেয়া যেতে পারে। বিজিবি ঢাকা অফিসের জন্য একটি বিল্ডিং রাখা যেতে পারে।
স্কুলট্রান্সপোর্ট আমেরিকার মত রাষ্টনিয়ন্ত্রিত হলে ভাল হয়।

বিজিবি থাকবে বর্ডারে। শহরের ভেতর কি?
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টর সকল অফিস ও অবকাঠামো মিরপুর ও সাভারে সরিয়ে নেয়া যায়। পৃথিবীর কোথাও রাজধানী শহরের ভেতর ক্যান্টনমেন্ট বা সীমান্ত ঘাটি থাকার নজির নেই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

এম এম করিম বলেছেন: সহমত।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। কিন্তু আমাদের কথা কে শুনবে?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

এম এম করিম বলেছেন: যদি কেউ শুনে সে আশায় বলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.