নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট প্রতিষ্ঠায় নবাব সলিমুল্লাহর "৬০০ একর" জমিঃ মিথ এবং প্রকৃত তথ্য

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯


ইদানীং ফেসবুকে ঝড় উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট প্রতিষ্ঠায় নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন। অথচ তার জন্মবার্ষিকী এসব প্রতিষ্ঠান পালন করে না, পালন করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকার নবাবদের আদৌ কি কোনো আর্থিক ভুমিকা ছিল? থাকলে সেটা কী? কত জমি ছিল তাদের? কত জমি তারা দান করেছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই এই লেখা।

সরদার ফজলুল করিমের "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজঃ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা" বইয়ের ১৬-১৮ পৃষ্ঠা থেকে আমি এর সোজাসাপ্টা জবাব পাই।

""প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম যে সলিমুল্লাহ হল রাখা হল এর কারণ কি? এতে নওয়াব পরিবারের কি কোন আর্থিক কন্ট্রিবিউশন ছিল?

উত্তরঃ আদৌ কোনো কন্ট্রিবিউশন ছিল না। আবদুল্লাহ 'সোহরাওয়ার্দী' লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট ছিল [সোহরাওয়ার্দীদের পদবী যে সোহরাওয়ার্দী ছিল না এটাও তিনি উল্লেখ করেন]। এরা আহসান মঞ্জিলের টাকায় পড়ালেখা শিখেছে। এরা সলিমুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রায় দশ বছর পরে তার একটা মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর নামে একটা ছাত্রাবাস করার প্রস্তাব এঁরা করেন। মুসলিম ছেলেদের জন্য হল তখন তৈরি হয়ে গেছে। প্রথমে এ হল ছিল এখনকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিল্ডিঙয়ে। আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী বললেনঃ এই হলকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল করা হোক। কোন মুসলমান ধনীর কাছ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাইরেক্টলি কোন ফাইনেন্সিয়াল কন্ট্রিবিউশন পায় নাই। কথা ছিল গভর্ণমেন্ট অব ইন্ডিয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি করবে। সেই জন্য ১৯১০ থেকে কিছু টাকা ইন্ডিয়া গভর্ণমেন্ট আলাদা করে রাখত। ১৯২০-২১ এ এই টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ লক্ষ। কিন্তু এই ৬০ লক্ষ টাকা বেঙ্গল গভর্ণমেন্ট ডিড নট গিভ টু দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি। তারা সে টাকাটা পুরো নিয়ে নিল। সলিমুল্লাহ হল যে তৈরি হল তা পুরোটাই সরকারের টাকায়। নওয়াব পরিবারের টাকায় নয়; নওয়াব পরিবারের জায়গাতেও নয়। রমনার যে জায়গাটা ঢাকা ইউনিভার্সিটি-এর পুরাই খাসমহল, সরকারের জমি। সেটলমেন্ট রিপোর্ট-এ তাই আছে। .।.।.।..।.।ঢাকার নওয়াবদের জমিজমা এসেছে প্রধানত একটি সূত্র থেকে। ঢাকার স্থানীয় মুসলমানরা মৃত্যুর সময় কোন কোন সম্পত্তি নওয়াব আবদুল গণি ও আহসানউল্লাহকে ওয়াকফ করে দিয়ে যেত। ঢাকার নওয়াবদের জমির উৎস এই। তাও বেশি কিছু জায়গা জমি নয়। এটার ভেরিফিকেশন তো সোজা। যে কেউ ইন্টারেস্টেড, সে ঢাকা কালেক্টরেটে যেয়ে দেখে আসতে পারেন। কাজেও নওয়াব পরিবার যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়কে জমি দিবে, এমন জমি কোথায় ছিল? আহসান মঞ্জিলের কোন জমি ছিল না।


প্রশ্নঃ ঢাকার লোকের সঙ্গে ঢাকার নওয়াবদের সম্পর্ক কিরুপ ছিল?
ঢাকার মুসলমানদের সঙ্গে এদের কোন সম্পর্ক ছিল না। মুসলমানরা এদের পরিবারকে নিজেদের সমাজের কোন বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন বলে যে গ্রহণ করেছিল, এমনও নয়। ......

স্যার সলিমুল্লাহ ওয়াজ ইনস্টলড এজ নওয়াব, ইট ওয়াজ বিকজ অব দি গভর্ণমেন্ট। আতিকুল্লাহর নওয়াব হবার কথা ছিল। ""

সুতরাং যারাই এই প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, তারা ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে ঠিক খবর নিয়ে আসেন। না পারলে ক্ষমা চেয়ে আপনার পোস্টটি ডিলিট করে দেন। আর প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকরে যদি আপনি না চিনেন 'শিক্ষিত বাঙ্গালী মুসলমান' আপনি অহনো হইবার পারেন নাই।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তাহলে রবীন্দ্রনাথের তো কোন ভুমিকা ছিল না? বরং বিরোধীতা করেছিল?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩২

এম এম করিম বলেছেন: আমার ফোকাস ছিল সলিমুল্লাহ ও তার ৬০০ একর জমি।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমার চোখ ঠিকই আছে বস। আপনার পোস্ট নিয়া আমার এবার সন্দেহ হইতাসে কপি মারেননি তো?

পালন করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী।

আমি বলতে চেয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টায় রবি ঠাকুর তো ঘোর বিরোধি ছিল তাহলে তার নামে বিভিন্ন অনুষ্টান কেন পালন হয়?

আশা করি চশমাটা দিয়ে উঃ দিবেন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

এম এম করিম বলেছেন: হাহাহাহা ভাই সরি, মজা করতে গিয়ে কষ্ট দিছি। উত্তর মুছে দিয়েও রেহাই পেলাম না।

আমার ধারণা বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্যই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করা হয়।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তাহলে ব্লগার কুকরা কি অসত্য বলছেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

এম এম করিম বলেছেন: অধ্যাপক রাজ্জাক ভুল বলতে পারেন না। ব্লগার কুকরার পোস্টটি ফেসবুক থেকে কালেক্টেড। উনি লিখেও দিয়েছেন।

কেউ যদি সেটলমেন্ট রেকর্ড দেখে প্রমাণ করতে পারে রাজ্জাক স্যার ভুল, তবেই আমি মেনে নেব। অধ্যাপক রাজ্জাক এসব নিয়ে রীতিমত গবেষণা করেছেন। ১৯৩০ এর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র ছিলেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

এম এম করিম বলেছেন: ব্লগার কুকরার পোস্টটি রীতিমত মিথ্যাচার।

না বুঝে গোয়েবলসীয় প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৪

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: নবাবদের জমিদারীটা তাহলে ছিলো কোথায় তা কি জানতে পারি?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

এম এম করিম বলেছেন: জমিদারী আমার জানামতে ছিল না। তারা বংশ সূত্রে ব্যবসায়ী ছিলেন।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: আপনার কথা শুনে সত্যিই অবাক হলাম।
অন্তত এটা পড়েন Click This Link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

এম এম করিম বলেছেন: লিঙ্কে গিয়ে এটা পেলাম।

"বর্তমানে এই পাতায় কোন লেখা নেই। আপনি চাইলে অন্য পাতায় শিরোনামটি অনুসন্ধান করতে পারেন, অথবা সম্পর্কিত লগ অনুসন্ধান করতে পারেন, কিন্তু আপনার এই পাতাটি তৈরী করার অনুমতি নেই।"

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৯

প্রথম বাংলা বলেছেন: ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ. এইচ. আর. জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশ্চন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। লর্ড রোনাল্ডসে ১৯১৭ হতে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর থাকা কালে নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা কে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য ঘোষণা করেন। সৈয়দ শামসুল হুদার সুপারিশে স্যার এ. এফ. রাহমান কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট মনোনীত করা হয়, তিনি ইতিপূর্বে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলেন।[১১] পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
উইকিপেডিয়ার তথ্য, নবার জমি দিসে বলে উল্লেখ নাই, তবে প্রস্তাব কারিদের মধ্যে প্রথম এবং প্রধান ব্যক্তি নবার সলিমুল্লাহ

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

এম এম করিম বলেছেন: উইকি-র তথ্যে খুব একটা ভরসা নেই আমার।

সে যা হোক আমার কথা ছিল সলিমুল্লাহর দেয়া ৬০০ একর জমি নিয়ে। সেটা যে ভুল তা প্রমাণিত।

নবাবের অন্য ভূমিকা নিয়ে আমি কথা বলি নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সলিমুল্লাহর ভূমিকা কীভাবে প্রধান হল সেটা বোধগম্য নয়। ৩৮ বছরের নবাব কীভাবে প্রধান ভুমিকা রাখলেন সেটা ব্যাখ্যা করুন। শুধু একবার দেখা করলেই হয়ে গেল।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বসলাম গ্যালারিতে।। দেখি কে কি ভাবে, যুক্তি খন্ডায়।। আপনি মাঠে থাকবন তো?? না কি ওয়াক ওভার :-P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

এম এম করিম বলেছেন: আপনার কেন মনে হল আমি ওয়াক ওভার দেবো?

ঢাকা কালেক্টরেট এ গিয়ে দলিল থেকে প্রমাণ করবে এমন মুরোদ এখানে কারো নেই - এটা আগে থেকেই জানি। যুক্তির ধরনগুলো দেখুন।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: একটু কনফিউজ্ড হলাম আপনার লেখায় -এই টাকা আর জমির ইস্যুতুলে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান পুরোই অস্বীকার করলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পেছনে ?? একটা দেশের পাবলিক পলিসি হয় কিভাবে সেটা একটু চিন্তা করবেন না ? একটা বোরো ক্যাটালাইটিক এজেন্ট থাকতে হবে সব পাবলিক পলিসি ফর্মুলেশন আর ইমপ্লিমেন্টশনের পেছনে | কলিকাতার পাশেই ঢাকা তখন ছিল নিতান্তই গ্রামের মতো | সেই ঢাকায় কলিকাতা কেন্দ্রিক তখনকার পরাক্রমশালী এলিটদের বিরোধিতার পরেও এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলো কিভাবে ? এর পেছনের অন্যতম প্রধান ক্যাটালাইটিক এজেন্টটা হলো নবাব সলিমুল্লাহ | মনে রাখতে হবে তখন ব্রিটিশ শাসন চলছে | ব্রিটিশদের কাছে একসেস আমাদের সব নেতাদের ছিল না | তারা তাদের পাত্তাও দিতো না | এই সেই সময় যার কিছু আগে পরে গান্ধীর মতো নেতাও ইংরেজদের লাঠির বাড়ি খেত নিযমিত ! বঙ্গভঙ্গ রড হবার পর স্থানীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করে নবাব সলিমুল্লাহ তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের কাছে পূর্ব বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে দুটি হাতে লেখা চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন ১৯১১ সালে | নবাব সলিমুল্লাহর চিঠি দুটি লর্ড হার্ডিং তার শিক্ষা কাউন্সিল সচিব স্যার বাটলারের কাছে পাঠিয়েছিলেন খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবার জন্য | ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি নবাব সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ভাইসরয় হার্ডিংয়ের সাথে এই ব্যাপারে দেখা করেন | এই সাক্ষাতের ভিতিত্বেই পূর্ব বাংলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইংরেজ শাসকদের পক্ষ থেকে প্রথম অফিশিয়াল যোগাযোগ শুরু হয় ১৯১২ সালের দোসরা ফেব্রুয়ারিতে | এভাবেই শুরু হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন যাত্রা | আজ একশো বছর পর এসে কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে এর পেছনে সে সময়ের মুসলিম নেতাদের কোনো দান ছিল না বা তারা এর প্রতিষ্ঠাতা হবার সম্মানের প্রাপ্য না ! এ দেশের কেউ কেউ কেন তাতে সে দিচ্ছেন সেটা আমার পুরোপুরো বোধগম্যও হচ্ছে না | ইংরেজদের মতো একটি কলোনিয়াল পাওয়ার যে একটা পরাধীন দেশের মানুষ কে শিক্ষিত করে নিজেদের বিপদ বাড়াতে চাইবে না এটা বুঝতে সমস্যা কোথায় ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সন্মান নবাব স্যার সলিমুল্লাহ পেতেই পারেন |নবাব স্যার সলিমুল্লাহর উদ্যোগ ছাড়া আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চই বিশ্বের কোথাও না কোথাও হতো, আশেপাশেই হয়তো আরো একটা বেশি হতো... শুধু, ঢাকাতে হয়ত না হতো না এই যা!!! এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব, রাজস্ব ব্যুরোর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মাজিদের July 21, 2012 সংখ্যা ডেইলি ষ্টার -এ প্রকাশিত Missing links in the history of Dhaka University লেখাটা যে কেও দেখতে পারেন |

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

এম এম করিম বলেছেন: সলিমুল্লাহ-কে আপনি অন্যতম ক্যাটালিটিক এজেন্ট কেন বলতেছেন বোধগম্য নয়। ৩৮ বছরের এক বশংবদ নওয়াব -কে ভাইসরয় কেন গুরুত্ব দেবে? এসব নওয়াব রা ইংরেজের পক্ষে কাজ করার ফলস্বরুপ 'নওয়াব' উপাধি পেয়েছিলেন। এদেরকে এত মহান করে দেখার কোনো কারণ দেখি না।

"ইংরেজদের মতো একটি কলোনিয়াল পাওয়ার যে একটা পরাধীন দেশের মানুষ কে শিক্ষিত করে নিজেদের বিপদ বাড়াতে চাইবে না এটা বুঝতে সমস্যা কোথায় ?" আর এই ইংরেজের পা চাটা নয়াবকে আপনি বলছেন "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সন্মান নবাব স্যার সলিমুল্লাহ পেতেই পারেন |" এইসব ইতিহাস কই পান? খেয়ালখুশি মত ব্যাখ্যা করে দিলেন। এ দুতো লাইন যে কট্রাডিক্টরি সেটা বুঝলেন না! আজিব !

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

এম এম করিম বলেছেন: একটা কলোনি তে পাবলিক পলিসি কিভাবে হতো সে ব্যাপারে আপনার কোনো ধারণাই নেই।

নিউজ পেপারের রেফারেন্স দিয়ে ইতিহাস বলতে যাওয়াটা বোকামি।

একশ বছর পরে এসে কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে মুসলিম নেতাদের দান খয়রাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যখন বললে প্রত্যক্ষদর্শীরা উত্তর দিতে পারত তখন কেউ বলেনি।

নবাব আর স্যার এসব উপাধি কাদের দেয়া হত জানেন তো! এসব লোকেরা ইংরেজের বিরুদ্ধে যাবার বা তাদের সামনে মুখ তুলে কথা বলবার সাহস রাখতো না।

স্যার আশুতোষের ভূমিকার ব্যাপারে তো কিছু বললেন না।

সলিমুল্লাহ ১৯১৫ তে ৪৩ বছর বয়সে মারা যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আলোর মুখ দেখে তার ৬ বছর পর।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৬

পলাতক মুর্গ বলেছেন: প্রথম বাংলা বলেছেন: উইকিপেডিয়ার তথ্য, নবার জমি দিসে বলে উল্লেখ নাই, তবে প্রস্তাব কারিদের মধ্যে প্রথম এবং প্রধান ব্যক্তি নবার সলিমুল্লাহ

উইকিপিডিয়ার আরো তথ্যঃ
----------------------------

জনশ্রুতি আছে, মধুর ক্যান্টিন ছিল বাগানবাড়ির নাচঘর। তবে হাকিম হাবিবুর রহমানের মতে, এটি ছিল বাগানবাড়ির দরবার কক্ষ। এখানেই ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম লীগ। আহসানউল্লাহ ঢাকার নবাব ছিলেন ১৮৪৬ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত। ঢাকা শহরে বিস্তৃত তার তিনটি বাগান ছিল। এর মধ্যে একটি শাহবাগে অবস্থিত ছিল। শাহবাগের বাগানবাড়ির নাচঘরটিই বর্তমান মধুর ক্যান্টিন বলে ধারণা করা হয়। অন্য মত অনুযায়ী, সেই বাগানবাড়িতে মার্বেল পাথরের তৈরি একটি গোলাকার বৈঠকখানা ছিল। এই বৈঠকখানাটিই বর্তমানে মধুর ক্যান্টিন নামে পরিচিত।[১]

[১] মুনতাসীর মামুন, "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", পরিবর্ধিত সংস্করণ, জুলাই ২০০৮, অনন্যা প্রকাশনী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৩৭, ২৫৫, আইএসবিএন ৯৮৪-৪১২-১০৪-৩

https://bn.wikipedia.org/wiki/মধুর_রেস্তোরা#cite_note-muntasir.mamaun.smriti-1

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

এম এম করিম বলেছেন: জনশ্রুতি, ধারণা আর উইকি দিয়ে ইতিহাস রচনা করা যায় না।

প্রফেসর রাজ্জাকের সামনে মুনতাসীর মামুন-রে আমি গণায় ধরি না। সে যদি সেটলমেন্ট অফিসের রেকর্ড দেখে কথা বলতো তবে তা বিবেচ্য হতে পারত।

আমার লেখার লক্ষ্য ছিল সলিমুল্লাহ যে জমি দেয় নাই সেটা দেখানো। আপনি সেটা ভুল প্রমাণ করতে পারেন নাই।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০২

পলাতক মুর্গ বলেছেন:

Today's Madhur Canteen was once used as a 'Darbar Hall' of Nawabs for formal and informal meetings. Photo: Fritz Kapp

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

এম এম করিম বলেছেন: নিউজপেপারকে যে রেফেরেন্স হিসেবে দেয়া যায় না সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০৪

পলাতক মুর্গ বলেছেন: মধুর কেন্টিনের বিষয়ে লেখকের মতামত কি? ;)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

এম এম করিম বলেছেন: ভুমি রেকর্ডে রমনা কে খাস জমি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। সলিমুল্লাহ জমি দান করেছেন এমন প্রমাণ কই? উনি তো মারাই যান ১৯১৫ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট তখনো পাস হয় নি।

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

পলাতক মুর্গ বলেছেন: In 1830, the Ramna area, which included Shahbag, was incorporated into Dhaka city consequent to the deliberations of the Dacca Committee (for the development of Dacca town) founded by district collector Henry Walters.[15] A decade later, Nawab Khwaja Alimullah, founder of the Dhaka Nawab Family and father of Nawab Khwaja Abdul Ghani, purchased the Shahbag zamindari (estate) from the East India Company. Upon his death, in 1868, the estate passed to his grandson Nawab Khwaja Ahsanullah. In the early 20th century, Ahsanullah's son, Sir Nawab Khwaja Salimullah, was able to reclaim some of the lost splendour of the gardens by dividing them into two smaller gardens—the present-day Shahbag and Paribag (or, "garden of fairies";)—the latter named after Paribanu, one of Ahsanullah's daughters.

link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২০

এম এম করিম বলেছেন: আবারো উইকি !!!!!!!

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭

পলাতক মুর্গ বলেছেন: এখন তো দেখা যাচ্ছে, শাহবাগ এলাকা নবাবদের কেনা সম্পত্তি ছিল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

এম এম করিম বলেছেন: তা এই কেনা সম্পত্তির কত অংশ সলিমুল্লাহ দান করেন। তিনি মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট হবার ৬ বছর আগে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

এম এম করিম বলেছেন: নবাবের দানপত্রের একটা কপি দেন।

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: মুনতাসির মামুনের গবেষনালগ্ধ বই পড়ে উপযুক্ত তথ্য পাবেন কেননা তিনি দীর্ঘ ১৫-২০ বছর মহাফেজখানায় বসেই তথ্য নিতেন এবং তা ধারাবাহিক ভাবে বিচিত্রায় লিখতেন। আমি ৭৬ সালে তাকে পেয়েছি যখন তিনি এই কাজ শুরু করেছেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

আটলান্টিক বলেছেন: :P :P :P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

এম এম করিম বলেছেন: !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: অজানা অনেক কিছুই জানা হলো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: হেয়প্রতিপন্ন করবার উদ্দেশ্যে লেখাটা এতোটা ভিত্তিহীনভাবে না লেখলেও পারতেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

এম এম করিম বলেছেন: আমি কেবল বই থেকে তুলে দিয়েছি। এই লেখা ভিত্তিহীন বলে আপনি প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাককে মিথ্যাবাদী বলছেন। আপনার হাতে প্রমাণ থাকলে দেখান যে নবাব ৬০০ একর জমি দিয়েছিলেন।

১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

সৌম্য বলেছেন: নবাব অফ ঢাকা, কোন প্রশাসনিক পদ ছিলনা। নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ যেমন বাংলার নবাব হিসাবে শাসন করতেন, তেমন নয়। যেমন, রাজা রামমোহন রায় কোন দেশের রাজা ছিলেন না। জাস্ট পদবী। অনেকটা খান বাহাদুর, রায় বাহাদুর ধরনের। নবাব সলিমুল্লাহ'র দাদার বাবার নাম খাজা আলিমুল্লাহ, যিনি নবাব'স অফ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা। উনার মুল পেশা ছিল ব্যাবসা। মুলত ইউরোপিয়ানদের সাথে লবন ব্যাবসা করে তার পূর্বপুরুষ অনেক টাকা বানায়। ইংরেজরা কলোনী করার পর জাহাজ ভরে ভারতবর্ষ থেকে মালপত্র পাচার করতো, আসার সময় জাহাজ আসতো খালি। সাগরে খালি জাহাজ চালালে রোলিং খুব বেশী হয় দেখে খালি জাহাজ গুলো লবন দিয়ে ভরে রাখতো। পরে কুটবুদ্ধি ইংরেজরা ভারতবর্ষে লবন উতপাদন নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এই লবনই আমাদের কাছে বেচতো। বলতো ইম্পরর্টেড লবন বেশি ভালো (মহাত্মা গান্ধীর লবন মার্চ উল্লেখযোগ্য)। এই লবন ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্বে ছিল, সমাজের স্থানীয় গণ্যমাণ্যরা। ঠাকুর পরিবারের অর্থের উৎসও এই লবনের ডিলারশিপ।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়ে উনি ঢাকা, বরিশাল ত্রিপুরা আলাদা আলাদা অনেক গুলো জমিদারী কেনেন। পরে সব জমিদারিগুলোকে সেন্ট্রালাইজ করে ঢাকা থেকে কন্ট্রোল করতেন। কিন্তু ঢাকার সিংহভাগ জমির মালিকানা ছিল ভাওয়াল রাজার অধিনে। গাজীপুর থেকে শুরু করে রমনা পার্ক পর্যন্ত পুরো এলাকা ভাওয়াল রাজার এস্টেটভুক্ত। ভাওয়াল রাজার ওয়ারিশান নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় (উত্তমকুমার এই নিয়া একটা সিনেমা করছিলেন, সন্যাসী রাজা নামে)। তখন নগর ঢাকা ছিল মুলত ফার্মগেট থেকে শুরু করে জিঞ্জিরা পর্যন্ত বেসিক্যালি পুরান ঢাকা। ঢাকায় দশ বারোজন ভিন্ন ভিন্ন জমিদার ছিল আলাদা আলাদা জমিদারি নিয়ে। বেশীর ভাগ জমিদারই ছিল ইউরোপিয়ান। পোগোজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আর্মেনিয়ান নিক পোগোজ যেমন একজন জমিদার, ফার্মগেট ছিল ইটালিয়ান জমিদারদের, পাটুয়াটুলি ছিল পুর্তুগীজ জমিদারদের, শাহবাগ ছিল ইংরেজ জমিদারের বাগান বাড়ি। খাজা আলিমুল্লাহ শাহবাগ, পরিবাগ, রমনা পার্ক এইসব এলাকা টাকা দিয়ে কিনে নেন। ফ্রেঞ্চ জমিদারদের কাছ থেকে কিনে নেন আহসান মঞ্জিল যেটা নবাব বাড়ি বলে আমরা চিনি। ইংরেজ সরকারকে বিশাল ট্যাক্স দেবার কারনে উনি নবাব উপাধী পান। দরিয়া-ই-নুর (কোহ-ই-নুর বা কোহিনুর এর চাচাতো ভাই একই খনি থেকে পাওয়া) এর মালিকও ছিলেন তিনি।
উনার ছেলে স্যার খাজা আব্দুল গনি উত্তারিধিকার হন আলাদা জমিদারিগুলোর সেন্ট্রালাইজ স্টেটের মালিক। সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করার পুরুষ্কার হিসাবে উনাকে নবাব উপাধী দেয়া হয়, যেটা বংশ পরম্পরায় হাতবদল হতো। খাজা আব্দুল গণির পুত্র খাজা সলিমুল্লাহ, যিনি উত্তরাধিকার সুত্রে পদবী পান।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

এম এম করিম বলেছেন: "সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ সরকারকে সাহায্য করার পুরুষ্কার হিসাবে উনাকে নবাব উপাধী দেয়া হয়, যেটা বংশ পরম্পরায় হাতবদল হতো।"

ধন্যবাদ ইনফরমেটিভ মন্তব্যের জন্য।

২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

পলাতক মুর্গ বলেছেন: ১। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী নবাব আলিমুল্লাহ শাহবাগ জমিদারি এস্টেট ইংরেজদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন [১২ নম্বর কমেন্ট দ্রষ্টব্য], মধুর ক্যান্টিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এলাকায় অবস্থিত এবং সেটা নবাবদের দরবার হল ছিল বলেও বিভিন্ন রেফারেন্সে জানা যাচ্ছে।

২। এখন লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক যা বলেছেন তার সাথে উপরের তথ্য মিলাই আসেনঃ

ক) সলিমুল্লাহ হলের যায়গা নবাবের নয় (হতে পারে, কিন্তু তার মানে ঢাকা বিশ্ববিদয়ালয়ের যায়গা নবাবের ছিল না- এইটা কিন্তু প্রমান হয় না)

খ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দশ বছর পরে সলিমুল্লাহ হলের ব্যাপারে প্রস্তাব আসে। (সলিমুল্লাহ হলের প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ১০ বছর পরে নেয়া হয়েছে, তার মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায়/ মুসলিমদের শিক্ষা বিস্তারে নবাবদের অবদানের জন্যই প্রস্তাব এসেছে )

গ) কোন মুসলিম ধনীর কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সাহায্য পায় নাই (এটাও স্বাভাবিক, সরকার যখন কোন কাজ করে, তখন সরকারি ফান্ড থেকেই সেটা করে, এজন্য আলাদা ভাবে ধনীদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয় না, তাছাড়া নবাব পরিবার এখানে নিজেদের জমি দিয়েছে, টাকার কথা আসবে কেন?)

৩। আমার কথা হল, এই ভূল ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাককে সামনে রেখে নবাবদের অবদানকে মিথ হিসাবে উল্লেখ করার বিষয়টি কি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত? লেখক সরাসরি জবাব দিবেন আশা করি।


৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

এম এম করিম বলেছেন: ১। রমনা আর শাহবাগ ভিন্ন এলাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রমনায় প্রতষ্ঠিত হয়েছিল। জমিজমা নিয়ে ঝামেলা আগে থেকেই ছিল। যে কেউ বৈধ মালিক হলে সেটলমেন্ট রেকর্ডে তা ঊঠার কথা। কিন্তু রেকর্ড অনুযায়ী রমনা খাস জমি।
২।
ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাবের জায়গায় এটা প্রমাণ কী করে হয়? নবাব জমি দেয়ার কোনো প্রমাণ নাই।
খ। উদ্যোগটা নিয়েছিল আহসান মঞ্জিলের টাকায় লেখাপড়া শেখা আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী। খুব সম্ভবত তার দাদা ঢাকার একটি মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন (তার নামের শেষে সোহরাওয়ার্দী ছিল না)। তিনি মারা গেলে তার পরিবারের সাহায্য এগিয়ে আসে নবাব পরিবার।
গ। আপনি তো প্রমাণই করতে পারেন নাই নবাব জমি দিছে
৩। আমি একটি বই থেকে "কোট" করেছি মাত্র। লেখায় কোটেশন মার্ক দেখলেই বুঝতে পারবেন আমি নিজের থেকে কিছু বলি নি। অন্যরা ইতিহাস বানিয়েছে।

২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

পলাতক মুর্গ বলেছেন: তাছাড়া আপনি সরাসরি প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক-কে কোট করছেন না। বরং সরদার আব্দুল করিমের লেখা একটি বইকে কোট করছেন। কাজেই আগে সরদার আব্দুল করিমের সত্যবাদিতা ঠিক আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

এম এম করিম বলেছেন: আছে। এটি আব্দুর রাজ্জাকের জীবদ্দশায় ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত হয় পত্রিকায়। পরে বই হিসেবে আসে। এখন পর্যন্ত কেউ এর সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন বলে জানা নেই। সরদার ফজলুল করিম ইন্টারভিউ টেপে রেকর্ড করে পরে তার ট্রান্সক্রিপ্ট করেন। প্রকাশের পর সেই সময়ে হৈচৈ হয়েছিল (রাজ্জাক বলেছিলেন আমরা যাদের ভাষা আন্দোলনের শহীদ বলে জানি তাদের একজন পুলিশের সোর্স ছিল। এটা তাকে বলেছিলেন পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা। রাজ্জাক বিব্রত হয়েছিলেন কিন্তু বক্তব্য প্রত্যাহার করেন নি। )। সময় পেলে বইটি পড়েই দেখুন না।

২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

পলাতক মুর্গ বলেছেন: সরি, আব্দুল করিমের যায়গায় ফজলুল করিম হবে,

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০১

এম এম করিম বলেছেন: সরদার ফজলুল করিম কলাভবনের সামনে মাইকে বক্তৃতা দেয়ার প্রচলন করেন। (এটা একটা খারাপ কাজ)

যাই হোক এমনও হয়েছে, রাজ্জাক স্যার ক্লাস থামিয়ে বলেছেন ওইটা শুনেন।

উনি এরকমই ছিলেন।

২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

পলাতক মুর্গ বলেছেন: সরদার ফজলুল করিমের পরিচয়ঃ

মে ১, ১৯২৫- সালের পহেলা মে বরিশালের আটিপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন৷ বাবা খবিরউদ্দিন সরদার কৃষিকাজ করতেন৷ মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী৷ তাঁরা দুই ভাই তিন বোন৷ সরদার ফজলুল করিমের শৈশবকাল কেটেছে গ্রামে৷ ম্যাট্রিকুলেশন শেষে তিনি প্রথম ঢাকা আসেন ১৯৪০ সালে। ঢাকায় ১৯৪২ সনে তিনি তার আই.এ. পাঠ সমাপ্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৫ সনে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সনে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দি হিসেবে দীর্ঘ ১১ বৎসর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে '৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তান হানাদারবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়মারা যান৷

দেখাই যাচ্ছে উনি বাম-এবং সংস্কৃতি ঘরানার লোক ছিলেন, কাজেই প্রতিপক্ষ মুসলিম লীগের ফাউন্ডার নবাব পরিবারের অবদান অস্বিকার করার জন্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের দেয়া তথ্য বিকৃত করা উনার দ্বারা সম্ভব হতে পারে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

এম এম করিম বলেছেন: আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

এম এম করিম বলেছেন: সরদার ফজলুল করিম যে কোনো শাসকের বশংবদ পা চাটা ব্যক্তি ছিলেন না এটা তো প্রমাণিত। তাতেই আপনার যুক্তির অসারতার প্রমাণ মেলে।

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পলাতক মুর্গ বলেছেন: ২০ নাম্বার কমেন্টের জবাব দেয়ার আগে আপনার উচিৎ ছিল "মধুর ক্যান্টিন" নবাবদের "দরবার হল" ছিল না - সেইটা প্রমাণ করা। সেইটা না করে আপনি বলতেছেন আমি প্রমান করতে পারি নাই যে নবাবরা জমি দিছে। ভেরি পুওর শো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

এম এম করিম বলেছেন: হাহাহা
আপনি তো হুদাই পেঁচাইতেছেন। কিছু সময় খরচ করেন। সেটেলমেন্ট রেকর্ড দেখেন। ঘরে বইসা ফেসবুক দেইখা ইতিহাস বানাইয়েন না ভাই।
এসব খেলা বাদ দেন।

২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

পলাতক মুর্গ বলেছেন: আমি উত্তর পাই নাই, আপনি মধুর ক্যান্টিন নবাবদের দরবার হল ছিল না - এইটা আগে প্রমান করতে হবে। নাইলে আমি ধরে নিব আপনার রেফারেন্স বুক লেখকের বিশ্বাসযোগ্যতায় সমস্যা আছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১২

এম এম করিম বলেছেন: আমি যা বলতে চাইছি সেটা প্রমাণ করেছি রেফারেন্স দিয়ে। ৬০০ একর জমি দেয়ার কথা যে পুরাই ভুয়া এটা প্রমাণিত।

২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: জমে উঠেছে । করিম সাহেব আরও নতুন কিছু আলাপ শুরু করুন এই বঙ্গ , বাঙ্গালা নিয়ে , আমরা থাকব ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই।

বামপন্থী বলে সরদার ফজলুল করিমের সব কথা, প্রমাণিত সত্যকেও মিথ্যা বলাটাকে জায়েজ মনে করে একদল লোক। তিনি যে মেনন টাইপের বাম ছিলেন না এটা উনাদের জানা নেই।



২৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

পলাতক মুর্গ বলেছেন: ত্যানা তো আপনি প্যাচাইতেছেন। আপনিও তো সেটেলমেন্ট রেকর্ড দেখান নাই, তাইলে আপনার কথা ঠিক হয় কিভাবে?
মধুর কেন্টিনের সেটেলমেন্ট রেকর্ড দেখান, তারপর নাহয় বুঝা যাবে আপনার বামপন্থি লেখক কতটা সত্যনিষ্ঠ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

এম এম করিম বলেছেন: আমি প্রফেসর রাজ্জাককে কোট করেছি। যিনি বলেছেন যে কেউ ভেরিফাই করতে চাইলে ঢাকা কালেক্টরেট এ গিয়ে সেটলমেন্ট রেকর্ড দেখে আস্তে পারে।

অতি ডানদের সমস্যা হইল তারা গুজবরে সত্য মনে করে। যুগে যুগে অতি উৎসাহী ডানরা এভাবেই সমাজের ক্ষতির কারণ হয়েছে।

প্রফেসর রাজ্জাক শিক্ষিত বিবেকবান ডান ছিলেন। মুসলীম লীগের সমর্থক ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। যার এক কথায় জয়নুল আবেদিনকেও সমান মর্যাদা দেয় মুজিব সরকার।

সলিমুল্লাহ ৬০০ নয়, ৬ একর জমি দান করছে আপনি প্রমাণ করেন। হুদাই লাফালাফি কইরা লাভ নাই।

২৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত জানা মতে শুধুমাত্রা বিচারিক আদালতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন ঘটনাকে বা প্রকাশিত ছবিকে প্রমান হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এর ব্যতয়ও ঘটে, আদালতের নির্দেশেরই। কিন্তু এই ধরনের লেখালেখিতে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এই বিষয়ে পরিষ্কার নই।

মাফ করবেন, প্রফেসর রাজ্জাক কে? উনার সম্পর্কে একদমই প্রায় কিছুই জানা নেই!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

এম এম করিম বলেছেন: প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক। শেখ মুজিব যখন তাকে এই প্রস্তাব দেন তখন তিনি বলেন আপনি জয়নুলরেও বানান। জয়নুল আবেদীন শিল্পাচার্য হয়ে যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ত্রিশের দশকে ছাত্র ছিলেন পরে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
তিনি রেহমান সোবহান কে অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে লিখতে বলেন যেখান থেকে টু ইকোনোমি আসে - ছয় দফার ভিত্তি ছিলো ওটা।
আহমদ ছফা তাকে নিয়ে বই লিখেছেন 'যদ্যপি আমার গুরু'।
সেই সময়ের মুসলিম চিন্তাবিদদের অনেককেই প্রভাবিত করেছেন। হালের সলিমুল্লাহ খান সহ অনেককেই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

এম এম করিম বলেছেন: একাডেমিক রিসার্চে উইকি বা সংবাদপত্রকে রেফারেন্স হিসেবে দেয়া যায় না। কারণ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেই প্রতষ্ঠিত বা ভেরিফায়েড সত্য - এমন নয়।

রাজ্জাক স্যার এবং সরদার ফজলুল করিম দু'জনেই সৎ শিক্ষাবিদ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুখ্যাত। বইয়ের সাক্ষাতকার ১৯৭৭ প্রকাশিত হয়। এটা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে নি। কারণ, সেটলমেন্ট রেকর্ড প্রফেসর রাজ্জাক দেখেছেন।

২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

উদুম্ভূত বলেছেন: এই নবাবরা তৎকালীন গন্যমান্যদের নিয়ে মুসলিম লীগ তৈরী না করলে, আওয়ামী লীগ তৈরী হত না, আওয়ামী লীগ না তৈরী হলে দেশ স্বাধীন হত না, লেট এলোন ঢাকা ভার্সিটি, মধুর ক্যান্টিন তো কালের বিবর্তনে রাম-বাদের সুশিলীয় অত্যাচার সহ্য করে মিথ্যাচারের সরাইখানায় কোন রকমে টিকে থাকা কাবাবের হাড্ডির একটা কোনা মাত্র।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

এম এম করিম বলেছেন: কথা হচ্ছিল নবাবরা ৬০০ একর জমি দিয়েছে কি না।
এ ব্যাপারে আপনার সোজা মন্তব্য করুন।

৩০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝতে পারছি। দুঃখিত আমি প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে শুনেছি, শুধুমাত্র অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলাতে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়েছিলাম। মুসলিম সমাজের উন্নয়ন সম্পর্কে নবাব সলিমুল্লাহ ইতিবাচক মনোভাব অনস্বীকার্য। উনি অনেক কাজ করেছিলেন। তবে আমার এক পরিচিত আইনজীবি কাছ থেকে শুনেছিলাম, নবাব সাহেব তাঁর সম্পত্তি বৃটিশদের কাছে বন্ধক রেখে তৎকালীণ সময়ে প্রায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা বা শূন্য কম চৌদ্দ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপী ঋণে পরিনত হয় এবং এই সকল সম্পত্তি ব্রিটিশ সরকার বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানে ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

এম এম করিম বলেছেন: দুঃখিত - 'জাতীয় অধ্যাপক' পুরো টাইটলটি না লেখার জন্য।

নবাব সলিমুল্লাহ শিক্ষানুরাগী ছিলেন এই ব্যাপারে আমি কিছু বলছি না। আমার আপত্তি তার দেয়া '৬০০ একর' জমি নিয়ে। আমার ধারণা কেউ এটা প্রমাণ করতে পারবে না।

আপনার পরিচিত আইনজীবী যা বলেছেন এরকম আমি আগে শুনিনি। এরকম হলে তা আরো লেখায় উঠে আসতো। এখনো কোথাও পড়িনি আমি। তাছাড়া সেটা সত্য হলেও জমিটা সলিমুল্লাহর দেয়া হয় না, ব্রিটিশদের সম্পত্তি হয়ে যায়, সরকারী।

৩১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: নবাব কী শুধু বংশ থেকে পাওয়া?

তারা কী জমিদার ছিলো না?
জমিদারী না থাকলে নবাবী ........ ?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

এম এম করিম বলেছেন: বংশ থেকে পাওয়া এবং ইংরেজ কতৃক রেকগনাইজড। মূলত ব্যবসায়ী। পরে সম্পত্তি/জমিদারি কিনে নেন।

এরা ইংরেজ-বানানো নবাব। সিরাজদ্দৌলার মত নবাব নয়।

৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আমিও আগে শুনিনি। কাকতালীয়ভাবে গতকালকেই আমার সাথে এই ব্যাপারে আলাপ হয়েছিলো। আপনার পোস্টে আলোচ্য আলোচনার পর আমি তাকে অনুরোধ করেছি, এই ব্যাপারে উপযুক্ত নথিপত্র যোগাড় করার জন্য।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

এম এম করিম বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি এ ব্যাপারে নতুন কিছু জানতে পারবো আপনার উদ্যোগের কারণে।

শুভকামনা জানবেন।

৩৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনাদের ঠেলাঠেলি দেখে খুব চিন্তায় আছি-- শেষে ঠেলাঠেলির চোটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে না তো!!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৭

এম এম করিম বলেছেন: হাহাহাহা

৩৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: প্রকৃত তথ্য কিছুই পোস্ট পড়ে পেলাম না। কি বলতে চাইছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট প্রতিষ্ঠায় নবাব সলিমুল্লাহ কোন জমি দেননি; নাকি দিয়েছেন কিন্তু তা ছয়শ একরের কম- এটা যদি খোলাসা করতেন সুবিধা হত। যদি বলেন কোন জমি দেননি তবে এখানে দেখুন Click This Link
এখানে বলা হয়েছে এদেশের প্রকৌশল শিক্ষা তথা আজকের বুয়েটের শুরু হয়েছিল নবাব সলিমুল্লাহর অর্থানুকূল্যে। ১৮৭৬ সালে বৃটিশ সরকার ঢাকার নলগোলায় চালু করেন ঢাকা সার্ভে স্কুল- এই স্কুল চলত নবাব আহসানউল্লাহর অর্থানুকূল্যে। ১৯০১ সালে তার মৃত্যুর পর তার ছেলে, নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০২ সালে এই স্কুলে ১১২,০০০ রুপী দান করেন। এইজন্য স্কুলের নাম পরিবর্তন করে নাম হয় আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং। ১৯০৮ সাল থেকে এই স্কুলে প্রকৌশলে ডিপ্লোমা দেয়া শুরু হয়। ১৯১২ তে এটা স্থানান্তরিত হয় সেখানে যেখানে আজকের বুয়েট অবস্থিত। ১৯৪৭ এ দেশভাগের পর এটা হয় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১৯৬২ সালে ইপিইউয়িটি এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বুয়েট। হয়ত বলবেন এখানে কোন জমির কথা নেই; কিন্তু সেই সময়কালে একলক্ষ বার হাজার টাকা কিসে খরচ হল? নলগোলা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে আজকের অবস্থানে আসতে সরকারি সাহায্যের কোন উল্লেখ কোথাও নেই। বুয়েটের এরিয়া মাত্র ৭৬ একর, এটা ওই টাকা দিয়ে কেনা এবং সেই কৃতজ্ঞতায় আজো বুয়েটের একটা হলের নাম আহসানউল্লাহ হল- পাকিস্তান সরকার একে বিশ্ববিদ্যালয় করার পরও।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

এম এম করিম বলেছেন: এই তথ্যেও নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন এমন প্রমাণ নেই। আমার বক্তব্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সলিমুল্লাহ জমি দেননি। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাকের মতে রমনার যে এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টিত সেটা খাস জমি। তিনি বুয়েট নিয়ে কিছু বলেননি। আমিও স্পেসিফিকালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি, বুয়েটের নয়।

অন্য আরেকটি পোস্টের উত্তরে এটা লেখা। তাই শিরোনামে 'বুয়েট' রয়ে গেছে।

লাখেরাজ বা নিষ্কর জমিও ছিল যেমন রমনা কালী মন্দির। তবে ঢাকায় লাখেরাজ জমি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৬

এম এম করিম বলেছেন: " এখানে বলা হয়েছে এদেশের প্রকৌশল শিক্ষা তথা আজকের বুয়েটের শুরু হয়েছিল নবাব সলিমুল্লাহর অর্থানুকূল্যে। ১৮৭৬ সালে বৃটিশ সরকার ঢাকার নলগোলায় চালু করেন ঢাকা সার্ভে স্কুল- এই স্কুল চলত নবাব আহসানউল্লাহর অর্থানুকূল্যে।" উইকি-র লাইনগুলো অনুবাদ করলে অর্থটা ভিন্ন দাঁড়ায়। আহসানউল্লাহ ডোনেশন দিতেন, কেবল তার টাকাতেই এটা চলত এমন নয়। তিনি নবাব ছিলেন ১৮৯৫-১৯০১ সময়কালে, তারও ১৯ বছর আগে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৬

পবন সরকার বলেছেন: আহসান উল্লাহ আর রবীন্দ্রনাথ, এই দুইজনের মধ্যে কার ভুমিকা কি রকম ছিল সেইটা একটু খোলাসা করেন।

১৯১২ সালে ইউনিভার্সিটি হয়ে থাকলে সেটেলমেন্টে জমির মালিকানা আসবে না কারণ ঢাকার সেটেলমেন্ট সিএস হয় ১৯২০সালে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১

এম এম করিম বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয় ১৯২১ সালে। সি এস- এর আগেও জমির মালিকানা ছিল, তার দখলদার/ভোগকারী ছিল, ভূমিকর ব্যবস্থা ছিল। সুতরাং মালিকানার রেকর্ড অন্য ফর্মে হলেও থাকবে।

আমার ফোকাস সলিমুল্লাহ ঢা বি প্রতিষ্ঠায় জমি দিয়েছিলেন কিনা সেটায়। আহসান উল্লাহ, রবীন্দ্রনাথ এখানে আসে কীভাবে!

৩৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২২

সোহানী বলেছেন: যতদূর মনে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে ডিটেইলস্ ইতিহাস আছে। শুধুমাত্র প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ই নন অনেক গবেষনাই আছে।

কেউ কি নেই এ নিয়ে সকল গবেষনার কোন সামারি দিবে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৬

এম এম করিম বলেছেন: সব সূত্রসহ একটা সামারি পেলে আসলেই ভাল হত।
সব সন্দেহ-গুজবের অবসান হত।

৩৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৫

প্রামানিক বলেছেন: তৎকালে মুসলিমদের লেখা পড়া এগিয়ে নেয়ার জন্য মুসলমানরাই এগিয়ে গিয়েছিল। আমি সেই সময়ে লেখাপড়া করা অনেক মুসলমানের কাহিনীই জানি, লিখতে গেলে অনেক লিখতে হয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

এম এম করিম বলেছেন: আমি কোনো রকমের জেনারেলাইজেশনে যাচ্ছি না। আমার ফোকাস ছিল খুব স্পেসিফিক - নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন কি না।

৩৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: করিম ভাই, আপনার লেখাটা বেশ খানিকটা ধৈর্য ও সময় নিয়ে খুবই মনোযোগ সহকারে পড়লাম। পড়ে যা বুঝলাম তার সাথে আমার জানার মধ্যে ও প্রকৃত ইতিহাসের নিরিখে বেশ কিছু অসংগতি পেলাম বলেই মনে হলো। প্রথম এবং বড় অসংগতি আপনার উথ্বাপিত প্রথম প্রশ্নটিই; যেমন -

প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকার নবাবদের আদৌ কি কোনো আর্থিক ভুমিকা ছিল? এবং

প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম যে সলিমুল্লাহ হল রাখা হল এর কারণ কি? এতে নওয়াব পরিবারের কি কোন আর্থিক কন্ট্রিবিউশন ছিল?

আর, আপনার সাবলিল উত্তরপত্রখানাও সেরকম অসংগতিপূর্ণ -

উত্তরঃ আদৌ কোনো কন্ট্রিবিউশন ছিল না ...

আবার, তাদের নবাবি সম্পর্কে আপনি যে ধারনা পোষন করেন তার সাথেও একমত হতে পারলাম না বা সত্য ইতিহাস তা হতে দিল না।

আপনার জন্য আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, ভাই পোস্টিকে এডিট করে প্রকৃত ইতিহাসের নিরিখে সত্য আনয়ন করুন নতুবা ড্রাফটে নিন।

ধন্যবাদ ভাইজান, ভাল থাকবেন।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৪

এম এম করিম বলেছেন: ভাই প্রশ্ন বা উত্তর কোনোটাই তো আমি লিখিনি। আমি বই থেকে "কোট" করেছি মাত্র।

এগুলো তো আমার ধারণা নয়, প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের বলা কথা। যখন বলা হলো নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন (ব্লগার কুকরার পোস্ট)। আমার মনে হল এ বিষয়ে কোথাও পড়েছি। বই বের করে দেখলাম লেখা আছে। আমি ভাবলাম একটা মিথ্যা কথা এভাবে ছড়াচ্ছে! রাজ্জাক স্যার না জেনে বলবেন এটা আমি ভাবতে পারি না। উনি আমরা পরম শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি।

৩৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার চটজলদি প্রত্তুত্তোরের জন্য। তবে, আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি এইজন্য যে আপনিও সোজাসাপ্টা জবাব পেয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আপনার লেখায়ই।

যাইহোক, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যার আমারও একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। আমি বুঝলাম না উনি কি করে এমন কথা বলতে পারলেন।

কিন্তু, আমার কাছে শত-শত রেফারেন্স আছে যা উনার কথাকে প্রতিস্ঠিত করে না। প্যারাডক্সই মনে হল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২১

এম এম করিম বলেছেন: বইটা স্ক্যান করে একটা পোস্ট দিয়েছি। আশা করি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।

৪০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৩

শরিফ৭১ বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ। আমি বইটা আজকেই পড়ে শেষ করলাম। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বেশ দৃঢ় ভাবেই অস্বীকার করেছেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে নওয়াবদের ভুমিকা। জমি, টাকা কোন কিছুইকেই তিনি পাত্তা দেন নি। নওয়াবদের জমিজামা সংক্রান্ত বিষয়ে বলেছেন "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে তা পুরোটাই খাস জমি, সরকারী জমি। সেটেলমেন্ট রিপোর্টেও তাই বলা আছে। ঢাকার জমিজমা এসেছে প্রধানত একটি সূত্র থেকে। ঢাকার স্থানীয় মুসলমানরা মৃত্যুর সময়ে কোন কোন সম্পত্তি নওয়াব আবদুল গনি ও আহসানউল্লাহ কে ওয়াকফ করে দিয়ে যেত। ঢাকার নওয়াবদের জমির উৎস এই। তাও বেশি কিছু জায়গা জমি নয়। এটার ভেরিফিকেশন তো সোজা। যে কেউ ইন্টারেস্টেড, সে ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। কাজেই নওয়াব পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে জমি দিবে, এমন জমি কোথায় ছিল? আহসান মঞ্জিলের কোন জমি ছিল না।"
আরেকটা জায়গায় বলেছেন যখন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয় তখন নওয়াবদের অবস্থা পরতির দিকে, কাজেই চাইলেও সাহায্য করার মত অবস্থা ছিল না নওয়াবদের।
ব্রিটিশদের তেল মেরে চলা এই সব নওয়াবদের কে বাংলাদেশের মানুষ কোন অজানা কারনে মাথায় তুলে নাচে আর যারা প্রকৃত দেশ বন্ধু ছিলেন তাদেরকে চিনেও না।

০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

এম এম করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ @শরিফ৭১। আপনি বইটি পড়ে মন্তব্য করেছেন জেনে ভাল লাগল।

শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.