নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম

মাঝে মধ্যে লিখি

এম এম করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি আল মাহমুদের কতটা সম্মান প্রাপ্য?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

ছবি উৎসঃ বাংলা ইনসাইডার

ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ কে বিবেচনা করা হয় (আধুনিক) আমেরিকান সিনেমার জনক হিসেবে। চ্যাপলিন তাঁকে বলতেন, "আমাদের সবার শিক্ষক"। 'রুপালী পর্দার শেক্সপীয়র'ও বলা হয় তাঁকে। ১৯১৫ সালে তিনি একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যার নাম 'দ্য বার্থ অব আ নেশন'। প্রথম আমেরিকান ব্লকবাস্টার বলা হয় সিনেমাটিকে এবং সিনেম্যাটিক টেকনিকের দিক দিয়ে যুগান্তকারী সিনেমা। এই সিনেমাতে তিনি Ku Klux Klan, বর্ণবাদ ও দাসপ্রথারকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেন। অনেক কালো অধ্যুষিত এলাকায় দাঙ্গা শুরু হয় সিনেমার মুক্তিতে। সিনেমাটি Thomas Dixon, Jr.এর ১৯০৫ এ প্রকাশিত উপন্যাস The Clansman এর উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়। সিনেমাতে যে দৃষ্টিভঙ্গী নেয়া হয় সেগুলো তখনকার দিনে প্রচলিত ছিল এবং অনেকে এলাকাতেই সে দৃষ্টিভঙ্গী জনপ্রিয় ছিল। সিনেমাটি ব্যবসার সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেও গ্রিফিথ স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। তিনি 'ইনটলারেন্স' নামে আরেকটি সিনেমা তৈরি করেন ১৯১৬ সালে। সিনেমা হিসেবে অনেক ইনফ্লুয়েনশিয়াল হলেও এটি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। গ্রিফিথ ছিলেন এই সিনেমার প্রযোজক। এর আর্থিক ক্ষতি থেকে তিনি পরবর্তী জীবনে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি।



গ্রিফিথ মারা যান ১৯৪৮ সালে। একাকী একটি হোটেলে থাকতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৫৩ সালে Directors Guild of America (DGA) তাদের সর্বোচ্চ সম্মানের নাম দেয় D. W. Griffith Award। ১৯৯৯ সালে তাঁরা এর নাম বদলে রাখে DGA Lifetime Achievement Award। কারণঃ 'দ্য বার্থ অব আ নেশন'। অথচ The Red Man's View (১৯০৯) বা Ramona (১৯১০) সিনেমা দুটিতে গ্রিফিথ নেটিভ আমেরিকানদের সাথে সাদাদের আচরণের সমালোচনা করেছেন। ১৯১১ সালে গ্রিফিথ The Rose of Kentucky প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন যেখানে Ku Klux Klan কে ভিলেন হিসেবে দেখিয়েছেন। তবু গ্রিফিথ রেহাই পাননি। Academy of Motion Picture Arts and Sciences এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। প্রতি বছর অস্কার দেয় তারা। গ্রিফিথকে কি তারা খুব স্মরণ করে? উত্তরঃ না। আধুনিক সিনেমার শেক্সপীয়র বা রবীন্দ্রনাথ এর অবস্থা এই।



বেনেডিক্ট আর্নল্ড - Revolutionary War (1775-83) এর আমেরিকান বীর, যার নাম পরবর্তীতে বিশ্বাসঘাতকের সমার্থক হয়ে যায়। যুদ্ধের শুরুতে ১৭৭৫ সালে তিনি একটি ব্রিটিশ গ্যারিসন দখলে অংশ নেন। ১৭৭৬ সালে নিউ ইয়র্কে ব্রিটিশ আক্রমণ প্রতিহত করেন। ১৯৭৭ সালে Saratoga য় ব্রিটিশ জেনারেল John Burgoyne এর আত্মসমর্পনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সেখানে তিনি পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হন। সুস্থ হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরতে ১ বছর লেগে যায়। তার বাঁ পা তখন ডানটির চেয়ে ২ ইঞ্চি ছোট। তিনি মনে করতেন তার ত্যাগের যথাযথ সম্মান তিনি পাননি। তাই ১৯৭৯ সালে ব্রিটিশ আর্মির সাথে গোপন আঁতাত করেন। তিনি টাকা এবং ব্রিটিশ আর্মিতে কমান্ডের বিনিময়ে West Point ছেড়ে দিতে সম্মত হন। তার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়, তিনি পালিয়ে যান ব্রিটিশদের কাছে। Saratoga যুদ্ধক্ষেত্রে একটি মেমোরিয়াল আছে। সেখানে লেখাঃ "In memory of the most brilliant soldier of the Continental army, who was desperately wounded on this spot, winning for his countrymen the decisive battle of the American Revolution, and for himself the rank of Major General." আর্নল্ডের কীর্তির কথা আছে, কিন্তু তার নাম নেই সেখানে। Saratoga-র ভিক্টোরি মনুমেন্টে চারটি কুলুঙ্গি আছে। তার তিনটিতে তিনজন জেনারেলের মূর্তি আছে, চতুর্থটি খালি। ইউ এস মিলিটারি একাডেমিতে একটি ফলক আছে। সেখানেও আর্নল্ড এর নাম না নিয়ে লেখা হয়েছে "major general... born 1740"।



Miramax এর সহ প্রতিষ্ঠাতা হার্ভি ওয়েনস্টেইন। অনেক সফল ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেমা প্রযোজনা করেন তিনি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য Sex, Lies, and Videotape (1989), The Crying Game (1992), Pulp Fiction (1994), Heavenly Creatures (1994), Flirting with Disaster (1996), Shakespeare in Love (1998) ইত্যাদি। পরবর্তীতে তিনি The Weinstein Company প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৫-২০১৭ পর্যন্ত তিনি ছিলেন এর কো-চেয়ারম্যান। যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে তিনি নিজ কোম্পানী থেকে চাকরিচ্যুত হন এবং Academy of Motion Picture Arts and Sciences থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০০ সালে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলো থেকে তাকে সম্মানসূচক ডিএইচএল ডিগ্রী দেয়া হয়। ২০০৪ এ honorary Commander of the Order of the British Empire উপাধি দেয়া হয়। ২০১২ তে পান knight of the French Legion of Honour। যৌন হয়রানির অভিযোগের পর ইউনিভার্সিটি অব বাফেলো সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রত্যাহার করে নেয়। তাদের ভাষ্য ছিল, "[তার আচরণ] সম্মানসূচক ডিগ্রীর স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক। " ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও বলেছে যে তারা তাদের দেয়া উপাধিগুলো প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

এখন আল মাহমুদে আসি। আল মাহমুদ বড় কবি। কিন্তু তিনি নিজেই নিজেকে পতিত করেছেন। অনেকে বলেন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু আল মাহমুদ সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেন নি। এটা বড় কোনো ইস্যু নয়, কবিকে মুক্তিযোদ্ধা হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কবি পরবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাহায্য নিয়েছেন, তাদের দ্বারা নিজেকে ব্যবহৃত হতে দিয়েছে। আমি দেখেছি আল মাহমুদের বই বেরুলেই শিবিরের ছেলেরা তার বই কিনে নিয়ে আসতো। তারা আর কোনো কবির বই কিনতো না, কবিতার পাঠক তারা ছিল না। তারা উপরের নির্দেশে বই কিনত। ততদিনে মনোজগতের মতো আল মাহমুদের রচনাও বদলে গেছে।

আমি জানি না কেন তিনি এটা করলেন। আল মাহমুদ নিজেও পরিষ্কার উত্তর দিয়ে যান নি। স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদ ভাবাপন্ন কবি জেলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে তিনি ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। ধর্ম মানে তো জামায়াতে ইসলামী নয়। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে পারতেন। তার স্বাধীন অবস্থান থাকতে পারতো। আপনি বলতে পারেন জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু ব্যারিস্টার রাজ্জাক বা মজিবুর - এদের পদত্যাগে এখন তো পরিষ্কার যে জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী দল। স্বাধীনতা একটি জাতির সবচেয়ে বড় ব্যাপার। এর বিরোধিতাকারী দলের সংস্পর্শে আসলে সব অর্জন ম্লান হয়ে যায়।

সৃষ্টিকে স্রষ্টা থেকে পৃথক করা যায় না। আল মাহমুদও তাই বর্তমানে এই অবস্থার সম্মুখীন হলেন। কেউ যদি তাকে নিয়ে না লিখেন, সে দোষ কবির। কেউ যদি তাকে ভুলে থাকেন, সে দোষ কবির। তাকে যদি শহীদ মিনারে না নেয়া হয় সে দোষও কবির নিজের। রাষ্ট্র যদি তাকে মর্যাদা না দেয়, সে দায়ও কবির। আল মাহমুদ, অথচ কবিদের আকালের দেশে আপনি কী না হতে পারতেন!



স্বাধীনতাবিরোধীদের নেতা গোলাম আযমকে নিয়ে আল মাহমুদঃ

"অধ্যাপক গোলাম আযম এর মত প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ এই উপমহাদেশে ক্রমাগত বিরল হয়ে এসেছে। তাঁর জীবনের খুটিনাটি বিষয় এবং রাজনৈতিক বিনিময়ের কৌতুহল উদ্দিপক ঘটনা অনেকেরই অজানা। তিনি সাহসী মানুষ এবং সুদৃড় মনবলের অধিকারী। তার বয়স আশির কোঠায়। কিন্তু তিনি অটুট স্বাস্হ্য এবং রাজনৈতিক ধীশক্তি সম্পন্ন। গত ৮০-র দশকে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলা দিয়ে জাতিকে এক ঘনায়মান রাজনৈতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করেছেন। এতে বুঝা য়ায়, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এই ৮০ বছর বয়সেও সতেজ এবং উদ্ভাবনাময়।
তার ব্যাপারে আমার নিজেরও কৌতুহলের কোন সীমা নেই। তার অনেক রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত আমাদের মত ব্যক্তিদের বোধগম্য নয়। যেমন তিনি সহসা আমীরে জামায়াতের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেছেন। কেন করেছেন এর কোন ব্যাখ্যা নেই। অমি একজন অল্প বুদ্ধি কবি এবং সাংবাদিক মাত্র। তাঁর এই অবসর গ্রহনের তাৎপর্য উপলদ্ধি করতে পারছিনা। হতে পারে যে,তিনি এর মধ্যে কোন বৃহৎ কল্যাণ দেখতে পেয়েছেন।
তিনি ইতিহাস নির্মাতা পুরুষ,অদম্য এবং অকুতোভয়। তাঁর দূরদৃষ্টি নিশ্চয় আমার মত কবির চেয়ে প্রখর,দিগন্ত বিস্তৃত এবং অনাগত কালের দিকে নিবদ্ধ। তবু একথা বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশের তথা এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত খুবই দুর্লভ। যিনি জেল-জুলুম,ফাসি ইত্যাদি তুচ্ছজ্ঞান করে সুদৃড় মনোবলের পরিচয় দিয়ে এসেছেন এবং বিপুল রাজনৈতিক শত্রুতা মোকাবেলা করে নিজের নাগরিক অধিকার আইনগত ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি আগুন ও গন্ধকের নদী পাড়ী দিয়ে একটি বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক দলকে সংঘটিত এবং সুদৃড় করে বিজয়ের তোড়নের সন্নিকটে এনে উপস্থিত করেছেন।
সর্বদিক দিয়েই তিনি সতেজ মানুষ,আমি মাঝে মধ্যে তাঁর সান্নিধ্য পাই বলে একথা বিলক্ষণ জানি। তাঁর “জীবনে যা দেখলাম” বইটি অচিরেই এদেশের জ্ঞান সন্ধানী মানুষের হ্রদয়কে স্পর্শ করবে, আমি এ আশা নিয়ে বসে থাকব।"
"জীবনে যা দেখলাম", আল মাহমুদ।

সরকার বিরোধী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে চলা এক কথা নয়।
ইসলামী আদর্শ আর জামাতের আদর্শ এক কথা নয়।
শেখ মুজিবকে অপছন্দ করা আর স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতা গোলাম আযমের প্রশস্তি গাওয়া এক কথা নয়।
নজরুল ব্রিটিশদের পা চাটা হলে তার সাথে আল মাহমুদের তুলনা চলত, এখন চলে না।

আল মাহমুদকে নিয়ে চার শ্রেনীর লোক লাফাচ্ছেঃ
১। জামাতের অনুসারী (তাদের বড় অংশ )
২। ইসলামী ভাবাপন্ন
৩। বামদের একটা বড় অংশ (বাংলাদেশের বামেরা চিরকালই আদর্শিক দ্বন্দ্বে ভুগে )
৪। সবচেয়ে বড় দলটা হচ্ছে যাদের কম বয়সে জামাত/শিবির কর্তৃক মগজধোলাই (ব্রেনওয়াশ) হয়েছিল। এদের একটা বড় অংশ এখন সুশীল, ফেসবুক সেলিব্রিটি। অনলাইনে সবচেয়ে বেশি লেখালেখি করে এরা, ইউটিউবে সবচেয়ে তৎপর এরা। এগুলো শিবিরের ইন্সট্রাকশন ছিল। বইমেলায় সবচেয়ে বেশি বই বের করে এরা। এই ব্লগেও এখন এদের প্রাধান্য। এরা মোনাফেক শ্রেনীর। (একবার ক্ষমতাবদলের পর দেখলাম ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে গেল শিবিরের সাধারণ সম্পাদক। অথচ আওয়ামীলীগ আমলে শিবিরের সভাপতির পরিচয় বেরিয়ে আসার পর তাকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। যারা মেরেছিল তাদের মধ্যে ঐ ছেলেও ছিল যে কিনা প্রকৃতপক্ষে শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ! ) এই হচ্ছে শিবির। এবং এদের বড় অংশ গত ৩০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করেছে বা এখনো করছে। এখন অনেক ভাল অবস্থানে আছে এরা।

নোটঃ আল-মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধা কী না এ নিয়ে কয়েকটি লেখার লিংক
আল মাহমুদকে কি মুক্তিযোদ্ধা কবি বলা যায় ?

আল-মাহমুদ কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ?

আল মাহমুদের রাজনৈতিক বিবর্তনঃ

আল মাহমুদনামা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা তো মক্তবের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

এম এম করিম বলেছেন: অসাধারণ কবি। কবির প্রাণ কবি নিজেই নিয়েছেন অনেক আগে।
মানুষটা গেলেন পরশু।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে জান্নাত নসীব করুন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭

এম এম করিম বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে জান্নাত নসীব করুন

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



বাংলা সাহিত্যে উনার কতটুকু অবদান ইতিহাস বিচার করবে, আমরা বর্তমানে আমাদের বিবেক নিদিষ্ট দলীয় খাতায় লিপিবদ্ধ করেছি তাই এই বিবেক দিয়ে কোন কিছু বিচার না করাই বোধ হয় ভাল।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০

এম এম করিম বলেছেন: কবি স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করেছেন - এটাকে যদি আপনি রাজনৈতিক মন্তব্য মনে করেন তাহলে কিছু বলার নেই। যারা এরকম মনে করে তারাই প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি থেকে বেরুতে পারেনি।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

আফসানা মারিয়া বলেছেন: একজন লেখক বা কবি কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে লিখবেন কেনো? তিনি তো আপামর জনগণের কবি। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান তো ইতিহাসই তো বলে দিবে। এটা বিচার করার আপনি আমি কে?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১

এম এম করিম বলেছেন: আমি আপনিই ইতিহাস।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
আল মাহমুদকে নিয়ে যারা লাফাচ্ছে
তাদের বড় একটি অংশ সরাসরি জামাতের অনুসারী।

সবচেয়ে বড় দলটা হচ্ছে যাদের কম বয়সে জামাত/শিবির কর্তৃক মগজধোলাই (ব্রেনওয়াশ) হয়েছিল।
এরা ছোটকালে অন্ধভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল সমর্থক ছিল।
একটু বড় হয়ে ৩০ লাখ কে অন্ধভাবে ৩ লাখ বলে চিল্লাচিল্লি করে গেছে।
এদের কয়েকজন সোসাল মিডিয়ায় দুএক লাইন কবিতা লিখে সেলিব্রেটি হয়ে গেছে।
এখন সাহিত্যে উনার অবদান নিয়ে পাতার পর পাতা লিখছে।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪২

রাফা বলেছেন: চমৎকার ব্যাখ্যায় সব কিছু একেবারে সেই ফিলিপস বাত্তির মত ফকফকা।কিন্তু ঐযে যারা দেবতা জ্ঞানে পুজা করে তাদেরকে বুঝায় সাধ্য আছে কার ।
ধন্যবাদ,এম এম করিম।My opinion about al Mahmoud.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.