নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টিসুখের উল্লাসে

মোঃ ইয়াসির ইরফান

পৃথিবীর সব রাজনীতিবিদ যদি কবিতা ভালোবাসতেন অথবা সব কবি যদি রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। -জন এফ কেনেডী

মোঃ ইয়াসির ইরফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ক্যারীবিয়ান ক্রিকেটের শুভাকাংখী

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫০


স্যার ফ্র্যাংক ওরেলের অনেক বড় ভক্ত আমি । উনাকে যতটা শ্রদ্ধা-সম্মান করি, তাঁর কিছুটা কম-বেশী শ্রদ্ধা করি কেবলমাত্র আর একজন প্লেয়ারকে । আমাদের ক্যাপ্টেন কিং মাশরাফিকে । এদের ক্রিকেট-দর্শনটা এতটাই মুগ্ধকর-মনোহর যে, এনারা সর্বোচ্চ সম্মান আর সুমহান শ্রদ্ধা শুধু দাবী-ই করেন না, ব্যক্তিত্ব বলে আদায়ও করে নেন ।

স্যার ওরেলের জন্যেই সম্ভবত ক্যারীবিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম শুভাকাংখী হয়েছি । ক্যারীবিয়ান ক্রিকেটের দূর্দশায় ব্যথিত হই, ক্যারীবিয়ান ক্রিকেটের সুখে আপ্লুত হই । একইভাবে ড্যারেন স্যামির ভক্তও হয়েছি, তাঁর কোন ক্রিকেটীয় গুণাবলীর কারণে নয় । বরং কোন এক সাক্ষাতকারে “আমি ফ্র্যাংক ওরেলের উত্তরসূরী” বলা কথাটা-ই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করতে বেশী সাহায্য করেছে ।

এ বছরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপে উড়েছে ক্যারীবিয়ানদের বিজয়-পতাকা । উড়িয়েছেন হেটমায়েরের মতো প্যাশনেট ক্যারীবিয়ানরা ।

উইমেন্স বিশ্বকাপ ফাইনালেও উঠে গেছেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মেয়েরা । তাদের সেই আনন্দকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়ে শতকোটি মানুষকে শোক-সাগরে ভাসিয়ে স্যামিরাও উঠে গেছেন ফাইনালে ।

ইডেনে একই দিনে অনুষ্ঠেয় দুটি ফাইনালে ক্যারীবিয়ানদের ঠেকাতে আছেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধী অস্ট্রলিয়া ও ইংল্যান্ড । ক্যারীবিয়ান মেয়েদের জন্য আছেন ল্যানিংয়ের অস্ট্রলিয়া নারী ক্রিকেট দল । আর অন্য দিকে স্যামিদের জন্য আছেন তাদের আজন্ম প্রতিদ্বন্ধী শ্বেতাঙ্গ-ইংরেজ । যার নেতৃত্বে আছেন একজন আইরিশ, ইয়ন মরগান ।

আমি ক্যারীবিয়ান ক্রিকেটের ভয়ংকর শুভাকাংখী । খুব করে চাই, উপমহাদেশ থেকে দুটি ট্রফি-ই যাক সূদুর ক্যারীবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে । স্যার ওরেলের উত্তরসূরীদের গায়েই লাগুক বিশ্বসেরার তকমা । ক্যারীবিয়ান ক্রিকেট কিছুটা হলেও ফিরে পাক, তাদের হারানো গৌরব । স্বর্ণালী অতীতের কিছুটা আঁচ কিছুদিনের জন্য হলেও এই প্রজন্ম উপভোগের সুযোগ পাক । প্রথমবারের মতো দুবার টি-টুয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব ছুঁয়ে যাক গেইলদের । ট্রফিটায় দু’বার পরশ বুলানো ‘প্রথম’ ক্যাপ্টেন হিসেবে অমরত্ব অর্জন করুন, ড্যারেন স্যামি । লয়েডের উত্তরসূরী-ই এটা সবচেয়ে বেশী ডিজার্ভ করেন ।


গেইল-গ্যাংনাম অন্য কোনভাবে উদ্ভাসিত হোক আবার । ইডেনের রবিবারের রাতটা হোক রাসেল-সিমন্সদের । তার আগে ল্যানিংদের চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়কে ধূলিস্যাৎ করে দিয়ে ইডেনের বিকাল-সন্ধ্যাটাও হোক, ক্যারীবিয়ান নারী ক্রিকেট দলের ।
জিতুক ক্যারীবিয়ান ক্রিকেট । জিতুক স্যামিরা । জিতুক স্যার ওরেলের উত্তরসূরীরা ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পুরাই ধুয়াধুয়ি অবস্থা! খুব মজা পেয়েছি!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: :) B-)

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

এরশাদ বাদশা দ্যা ওয়ারিয়র বলেছেন: আমরাও সেটাই চাই। ওরাই হোক চ্যাম্পিয়ন। দূর্দান্ত একটা সেমিফাইনালে মোড়ল বিদায় করে দেয়ায় বিশ্বের বহু ক্রিকেটানুরাগীর সমর্থন তারাই পাবে। তবে গ্যালারী ওদের পক্ষে কথা বলবেনা, এটা নিশ্চিত। কলিজায় ছুরি চালানোর মতো ব্যাট চালিয়ে ভারতকে দর্শক বানিয়ে দেওয়া সিমন্স, রাসেল এবং জনসনদেরকে নিশ্চয়ই দূয়োই দেবে ইনডিয়ানরা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০০

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: হয়তো দূয়ো দেবে । আবার না-ও দিতে পারে । কারণ আইপিএলের কারণে গেইল-ব্রাভোরা ভারতে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । আন্দ্রে রাসেল তো ইডেনের (নাইট রাইডার্স) ঘরের ছেলে-ই হয়ে গেছে ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৬

এরশাদ বাদশা দ্যা ওয়ারিয়র বলেছেন: ঘরের ছেলে??? ওরা নিজেরটা ছাড়া আর কারোটা বোঝে? আপনার কি মনে হয়? লিখে দিতে পারি, ফাইনারে সকল ভারতীয় গ্যালারি মাতাবে ইংল্যান্ডের সমর্থনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.