নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃষ্টিসুখের উল্লাসে

মোঃ ইয়াসির ইরফান

পৃথিবীর সব রাজনীতিবিদ যদি কবিতা ভালোবাসতেন অথবা সব কবি যদি রাজনীতিবিদ হতেন তাহলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারত। -জন এফ কেনেডী

মোঃ ইয়াসির ইরফান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প : কষ্ট নেবে কষ্ট

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৩



মোবাশ্বেরা খানম কিছুক্ষণ বিমূঢ়ের মতো তাঁর বউমার দিকে চেয়ে থাকলেন। তিনি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তিনি ঠিক শুনেছেন তো! বউমা তাঁর সাথে কখনো এভাবে কথা বলবে, এ যেন তাঁর ভাবনাতীত।
কিছুক্ষণ চুপ করে শুনে গেলেন বউমার কথা। সবটা ঠিকমতো তাঁর কানে গেল না। তাঁর ছেলের দিকেও তাকালেন, অকর্মার ঢেঁকিটা একপাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব শুনছে। কিচ্ছুটি বলছে না। এও কী সম্ভব! এ-ই কী তাঁর সেই ছেলে, যে মায়ের এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারত না বলে, ওইটুকুন বয়সে পাটায় ঘষে মরিচ-পিঁয়াজ পিষে দিত! মা একটু রাগ করলেই কাঁদতে কাঁদতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলত! এ-ই কী তাঁর সেই ছেলে? নাকি অন্য কেউ?
বিয়ের পর কি ছেলে আর মায়ের থাকে না? বউয়ের হয়ে যায়?

***

অরুচির কারণে মুখে কিছু তুলতে পারছে না শুনে, দুপুরে মেজ মেয়ে আসার সময় বাপের জন্য মুরগী রান্না করে এনেছিল। মোবাশ্বেরা খানমই বলেছিলেন, যেন কিছু রান্না করে নিয়ে আসে। মাঝে মেজ মেয়ের বাসায় কিছুদিন ছিলেন তাঁরা। তখন বেশ আহ্লাদ করে মেয়ের রান্না খেতেন আহমদুল্লাহ মাষ্টার। তাই এই অরুচিতে যদি মানুষটা দুটো ভাত মুখে দিতে পারে, সে চিন্তা করেই মেজ মেয়েকে বলেছিলেন বাপের জন্য যেন কিছু রান্না করে নিয়ে আসে।
মেজ মেয়ে রান্না করে এনেছিল, মুরগী-ভুনা। দুপুরে খাওয়ার সময় মেয়েকে সাথে নিয়ে বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলেন আহমদুল্লাহ মাষ্টার। ডায়াবেটিসের কারণে রাতে বেশী খান না। যেটুকু খান সেটুকু যেন ভালমতো খেতে পারেন, তাই বউমা কে মোবাশ্বেরা খানম বলেছিলেন মুরগী দিতে।
বউমা মুরগী দিয়েছিল। ওমা! মুখে দিতেই বিরক্তিতে মুখ-চোখ কুঁচকে উঠে আহমদুল্লাহ মাষ্টারের। মুরগী পুরো পানসে হয়ে গেছে। ঘটনা কি জিজ্ঞেস করতেই বউমা বলে, ঝোল ছিল না বলে সে জল মিশিয়ে দিয়েছে সেখানে!

***

কথাটা শুনেই মাথায় যেন বাজ পড়ল মোবাশ্বেরা খানমের। ‘কি করলা এটা তুমি! তুমি জান যে, মানুষটা গত পনেরো দিন ধরে ভাত মুখে তুলতে পারছে না। এই মুরগী দিয়ে দুপুরে তিনি দুটো খেতে পেরেছিলেন। আর তুমি কি না... সেখানেই জল ঢেলে দিলে?’
‘অ্যাঁহ, এমন বেকুবের মতো কাজ কেউ করে?’
‘ডাল নেই তাই ঝোল করার জন্য...’
‘ডাল নেই বলে কেউ এভাবে ঝোল বানায়? পানি দিছ, ভাল কথা। লবণ-টবণ... মরিচ দিয়ে খাওয়ার মতো করে দিবা না? তুমি জান না, তোমার আব্বা কিছু খেতে পারছে না!’
এই নিয়ে বেশ হট্টগোল চলল কিছুক্ষণ। মোবাশ্বেরা খানমের ছোট ছেলেও ভাবীর এই নির্বুদ্ধিতায় বেশ ক্ষেপে গেলেন। পুরো বাসা জুড়ে একটু চেঁচামেচি চলল। তারপর সব স্তিমিত হয়ে এল, সংসারে যেমন হয়ে থাকে। সবাই যে যার রুমে গিয়ে শোয়ার আয়োজন করতে লাগল।
এই সময় হঠাৎ মোবাশ্বেরা খানম বউমার বাজখাঁই গলা শুনতে পেলেন। এবং একই রাতে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর মাথায় রক্ত চড়ে গেল।

***

‘আমার স্বামী ছাড়া কেউ আমাকে কিছু বললে অনেক অসুবিধা হবে। যা বলার আমার স্বামী বলবে। অন্য কেউ কিচ্ছু বলতে পারবে না। এই আমি বলে রাখলাম।’
বউমার এমন ঘোষণায় কয়েক মূহুর্ত স্তব্ধ হয়ে বসে থাকেন মোবাশ্বেরা খানম। ছিঃ, বউমার লজ্জা টজ্জা সব কোথায় গেল। ঘরে শ্বশুর আছে, এভাবে কথা বলতে তার একটুও বাঁধল না? রাতের বাজে একটা। এতবড় করে কথা বলছে, বিল্ডিংয়ের সব মানুষই তো মনে হয় জেগে যাবে। তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে আসেন মোবাশ্বেরা। বলেন, ‘রাত-দুপুরে আবার কি শুরু করলা বউমা?’
‘যা বলেছি বলেছি। কেউ আমাকে কিছু বললে অনেক অসুবিধা হবে কিন্তু।’
‘বউমা! ঘরে তোমার শ্বশুর আছে। কি বলছ তুমি এসব? ঘরের বউরা এভাবে কথা বলে? আমার মেয়েদের এত বছর হয়ে গেল বিয়ে হয়েছে। কই, তারা কখনো এই ধরণের কথা মুখেও আনতে পেরেছে? শুনেছ কখনো?’
‘আপনার মেয়েরা ওল্ড মডেলের। আমরা আধুনিক যুগের মেয়ে। আমাদের সাথে ওদের তুলনা হয় না।’
সেই রাতে তৃতীয়বারের মতো মাথায় বাজ পড়ল যেন মোবাশ্বেরা খানমের। তিনি হাই প্রেশারের রোগী। দাঁড়িয়ে থাকা তাঁর পক্ষে বেশ কষ্টের হয়ে গেল। কোনমতে একটা চেয়ার ধরে তিনি আসন্ন পতন থামানোর চেষ্টা করেন। বিমূঢ়ের মতো বউমার দিকে চেয়ে থাকেন।

***

খাটের একপাশ ধরে মূর্তির মতো বসে আছেন মোবাশ্বেরা খানম। বার-কয়েক ঢেকে জবাব না-পেয়ে, চুপ করে গেছেন আহমদুল্লাহ মাষ্টার। অন্ধকারে চোখ খোলা রেখে শুয়ে আছেন তিনি। তাঁর চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা জল কি গড়িয়ে পড়ল? অন্ধকারে বোঝার উপায় নেই।
আহমদুল্লাহ অনেক কিছু সহ্য করতে পারলেও স্ত্রীর অপমান মোটেই সহ্য করতে পারেন না। আজ তাঁরই সামনে তাঁর ছেলে-বউ তাঁর স্ত্রীর মুখের উপর কি সব বাজে কথা বলে গেল। অথচ তিনি টুঁ শব্দটিও করতে পারলেন না। বুড়ো হলে গায়ের জোর কমার সাথে সাথে কি মনের জোরও কমে যায়?
তিনি কি পারতেন না, ঐ উদ্ধত, দাম্ভিক-মুখরা রমণীটির দু’গালে দুটো চপেটাঘাত করতে? এক-দুই চপেটাঘাতে পরের কত ছেলেমেয়েই তো মানুষ করেছিলেন। ভদ্রতা-শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর কি উচিৎ ছিল না, অভব্য নারীটিকে একটু ভব্যতা-ভদ্রতা শিক্ষা দেয়ার? অন্তত কঠিন হুংকারও কি দিতে পারতেন না তিনি?
এমন কঠিন সময়েও কেন তিনি তাঁর স্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে পারলেন না? এই লজ্জায়, গ্লানিতে বিছানার একপাশে আরো গুটিয়ে যান তিনি। জানালা দিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে থাকতেই টের পেলেন, চোখ দিয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে নামছে। বাঁধা দিলেন না। নামুক, লবণাক্ত জলেরা আজ নেমে আসুক সব। গা-টা একটু শিরশির করে উঠল তাঁর। নাকি কান্নার দমকে কেঁপে উঠলেন তিনি?

***

আকাশে আজ চাঁদের অস্তিত্ব নেই। থাকলে ভালো হতো। মোবাশ্বেরা খানম আগেও খেয়াল করেছেন, তাঁর অনন্ত দুঃখের দিনে চাঁদটাও কোথায় যেন লুকিয়ে যায়। কেউ তাঁর পাশে থাকে না, না-ছেলে না-মেয়ে। চাঁদও না।
হুঁহ, আধুনিক। আধুনিক হলে কি এমন নির্লজ্জের মতো রাত-দুপুরে চেঁচাতে হয়? বৃদ্ধ শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর মুখের উপর বাজে কথা বলতে হয়? মায়ের মতন শ্বাশুড়ীও কি আধুনিকাকে কিছু বলতে পারে না? আজকালকার রকম সকম অনেক কিছুই ঠিক বুঝতে পারেন না, মোবাশ্বেরা।
ভাগ্যিস, তিনি আধুনিক ছিলেন না। আল্লাহ তাকে বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন। আশির্ধ্বো শ্বশুর তাকে মায়ের মতো ভালবাসতেন। বলতেন, “তুই আমার মা, বুঝলি। তোর জামাইটা যেখানে খুশী চাকরি করুক, যেখানে যাবে যাক, বদলি যেখানে হবে হোক, তুই আমাকে ছেড়ে যাস না। কেমন মা!” তিনি কখনো শ্বশুর কে ছেড়ে যাননি। বাপের বাড়িতেও দুই দিনের বেশী থাকতেন না, বুড়ো মানুষটার কথা চিন্তা করে।
আহা, তাঁর বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর সাথেই ঘুমাত। কত গল্প করত তাঁরা! কাছে ডেকে পরম মমতায় কতবার মাথায় চুল বেঁধে দিতেন তিনি!
কি অদ্ভুত ভালবাসার সম্পর্ক ছিল তাদের! আহা! অজান্তেই চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে মোবাশ্বেরা খানমের।

***

বাতাসটা আজ খুব বেশী ঠান্ডা। একটা চাঁদরও জড়াননি মোবাশ্বেরা খানম। খুব শীত লাগছে তাঁর। আসলেই কি বাতাস এতটা ঠান্ডা?
তাঁর এক নাতনি আছে। ডাক্তার। বছর কয়েক আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে বিয়ে হয়েছে। নাতনি-জামাইয়ের রাগটা একটু বেশীই। অল্পতেই চটে যায়। মাঝে মধ্যেই সেই নাতনি তাকে ফোন দেয়। বলে ‘নানু, একটু দোয়া করবেন! যেন মানুষটার রাগটা একটু কমে যায়।’ কখনো কখনো মোবাশ্বেরা খানমের হাসি পায় নাতনির কথায়।
সেই নাতনির বিশাল পরিবার। শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, ননদ-দেবর নিয়ে এক মহাযজ্ঞ যেন সেখানে। কত খুনসুটি, ছোট-খাট তর্ক-বিতর্ক, কথা কাটাকাটি... কত কিছু হয়। সাংসারিক কত ঝামেলার কথা তাকে বলে। কই, সে তো কখনো শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ননদ-দেবরের কিছুতে অনুযোগ করে না। তবে সে কী আধুনিক নয়? তাঁর মেয়েদের মতোই পুরনো?

***

মোবাশ্বেরা খানম বুকের কোথায় যেন একটা দলা পাকানো অনুভূতি টের পান। ভীষন কষ্ট লাগছে তাঁর। মেজ মেয়ের বাসায়, বইয়ের আলমারিতে একটা বইয়ে একটা কবিতা পড়েছিলেন। কার কবিতা ঠিক মনে নেই তাঁর।
‘কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট’
এতটুকুই মনে আছে, আর নেই। কবিতাটা এখন খুব পড়তে ইচ্ছে করছে তাঁর। কিন্তু কোথায় পাবেন সেটা?
কত ধরণের কষ্টের কথা বলা হয় সেখানে। তাঁরও যে খুব কষ্ট হচ্ছে, ব্যাথা হচ্ছে। তীব্র অপমানের কষ্ট, লজ্জার কষ্ট, গ্লানির কষ্ট, ছেলের চুপ থাকার কষ্ট... কত রঙের, কত স্বাদের কষ্ট। ব্যক্ত কষ্ট, অব্যক্ত কষ্ট। এত কষ্ট কেন তাঁর? এত কষ্ট রাখবেন কোথায় তিনি!
মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালবাসার বিশাল এক সাম্রাজ্য আছে তাঁর। সেসব রাখার জায়গার অভাব পড়েনি কোনদিন। কেউ যেঁচে এসে নিয়ে গেছে, কাউকে বা তিনি যেঁচে দিয়েছেন।
কিন্তু এখন এই এত কষ্ট কোথায় রাখবেন, কাকেই বা দেবেন? এমন কেউ কি আছে, যে তাঁর থেকে কিছু কষ্ট নিয়ে যাবে? ওফ, অসহ্য বেদনা হচ্ছে তাঁর। অপমান-লজ্জার যুগল যাতনা বড় কষ্টের। ভীষণ কষ্টের। তিনি যেন আর সইতে পারছেন না। কেউ কি নেবে তাঁর কষ্ট?


(পুনশ্চ : কবিতার অংশটুকু কবি হেলাল হাফিজের 'ফেরিঅলা' কাব্য থেকে ধার করা। গল্পের শিরোনামটাও। )

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৪

শায়মা বলেছেন: বেচারা মোবাশ্বেরা বেগম!

তবে ঠিক হইসে।

একটু পানি মিশালে এই সব বলবে নাকি!!!!!!!!

অনেক মন দিয়ে পড়লাম ভাইয়া।
:) :) :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৫

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভুল করলে গুরুজনেরা তো একটু বকতেই পারেন। তাই বলে তাদের অশ্রদ্ধা করা মনে হয় ঠিক নয়।

ভাল থাকবেন, কেমন!

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

কালীদাস বলেছেন: এইসব কারণেই বিয়া করতে ভয় পাই /:)
লেখা ভাল হইছে :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: একদম ভাই। :)
ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: জগতে কষ্ট নিতে চাইনা কেও।

এটাই বাস্তবতা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: সুসময়ে সকলেই বন্ধু বটে হয়
অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়!

ধন্যবাদ, ভাই।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোবাশ্বেরা খানম আগেও খেয়াল করেছেন, তাঁর অনন্ত দুঃখের দিনে চাঁদটাও কোথায় যেন লুকিয়ে যায়। কেউ তাঁর পাশে থাকে না, না-ছেলে না-মেয়ে। চাঁদও না। - ভাল লেগেছে।
গল্পের মোবাশ্বেরা খানম জীবনের একটা পর্বের নাম। সব নববধূকেই একদিন এই পর্বের ভেতর দিয়ে জীবন পার করতে হয়।
গল্প ভাল লেগেছে। + +

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: মোবাশ্বেরা খানম এখন জীবনের 'শ্বাশুড়ী' পর্বে। নববধুর সংজ্ঞা সম্ভবত এখন বদলে গেছে। এখন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে 'বধু' নয়, দূর্ভোগ পোহান শ্বাশুড়ীরা। আমি যতটা দেখেছি আর কি।

ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ ভাই ইয়াসির ইরফান।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১১

মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.