নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এমজেডএফ

কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী

এমজেডএফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এশিয়ার ‘উদীয়মান বাঘ’ বাংলাদেশ - পর্ব ১ : সম্ভাবনার বাংলাদেশ

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৮



গত দশকে এশিয়ায় দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতিগুলোর অন্যতম হলো বাংলাদেশ। এশিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান বাঘ’ (ইমার্জিং টাইগার) বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো। ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি আর প্রতিটি খাতে অপার সম্ভাবনা এ দেশকে পৌঁছে দিচ্ছে উৎকর্ষতার শীর্ষে। সস্তা শ্রমমূল্য, শিল্প উন্নয়ন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থাগুলো। আমাদের দেশের কিছু মানুষ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতিবাচক মন-মানসিকতার কারণে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে উগান্ডা-বুগান্ডা হয়ে যাবে মনে করলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বাংলাদেশ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আসছে।



৭০'র দশক থেকে কম দামের শিল্পপণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে মুক্তবাজার ও উন্নত অর্থনীতিসমৃদ্ধে অগ্রসরমান এশিয়ার চারটি দেশ সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও তাইওয়ানকে এশিয়ার ফোর ইমার্জিং টাইগারস বলা হতো। কারণ ১৯৬০ ও ১৯৯০ এর দশকে এই অঞ্চল ও দেশগুলোতে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। একবিংশ শতাব্দীতে এই চারটি দেশ উচ্চ আয়সম্পন্ন উন্নত অর্থনীতি অর্জন করে। বর্তমানে হংকং ও সিঙ্গাপুর পৃথিবীর শীর্ষ অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য-প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই চারটি দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ঘটনা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই দেশগুলো এখন চার এশীয় বাঘ (Four Asian Tigers) হিসাবে পরিচিত।

সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিরাট বিস্ময়। ১৯৭১ সালের জন্মলগ্নে যে দেশটি বিশ্বের জনগণের সহায়তা ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না বলা হচ্ছিল, সে দেশটি এই ৫০ বছরে উন্নয়নের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী আঘাত হানার আগে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। মহামারীর অভিঘাত সত্ত্বেও বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ধনাত্মক রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। আরো বিস্ময়কর হলো, মহামারী চলাকালীন ২০২০ সালে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী রেমিট্যান্স ২৩ শতাংশ বেড়ে ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের মার্চে ৪৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

২০১৮ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত পূরণকারী বাংলাদেশ ২০২১ সালে ওই উত্তরণ নিশ্চিত করেছে। ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান বাড়তে বাড়তে দেশের জিডিপির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তা ক্রমান্বয়ে কমে এখন জিডিপির ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পাকিস্তানকে উন্নয়নের প্রায় সব সূচকে পেছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু জিডিপির বিচারে বাংলাদেশ ভারতকে ২০২০ ও ২০২১ সালে টপকিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাই এখন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগার’ বা উদীয়মান বাঘ অভিহিত করা হচ্ছে। কম দামের শিল্পপণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে গত দশকজুড়ে গড়ে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ, যেমনটি হয়েছিল হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের শিল্পায়নের সময়। ‘বাংলাদেশ : দ্য নেক্সট এশিয়ান টাইগার?’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থা ‘ক্যাপিটাল ইকোনমিকস’ বলেছে, বাংলাদেশও হতে পারে এশিয়ার নতুন টাইগার।

বাংলাদেশের উন্নয়নের যেসব চমকপ্রদ বিষয়গুলোর কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ 'এশিয়ার উদীয়মান বাঘ' হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে সেগুলো হলো:

১. ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার ৮২ শতাংশের অবস্থান ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস মহামারীর তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর্যায়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যা হচ্ছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। (গত দুই বছরে মহামারীর কারণে দারিদ্র্য ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে)।

২. ১৯৭৬-৭৭ থেকে ১৯৮১-৮২ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত হিসেবে বৈদেশিক ঋণ-অনুদান ১০ শতাংশের বেশি ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা জিডিপির ২ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। বাংলাদেশ এখন আর সহায়তানির্ভর দেশ নয়; একটি বাণিজ্যনির্ভর দেশ।

৩. এক দশক ধরে প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশ তার লেনদেন ভারসাম্যের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত অর্জন করে চলেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ঘাটতি এখন আর সংকটজনক নয়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈধ পথে প্রেরিত রেমিট্যান্সের চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধির হার এবং বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেশের লেনদেন ভারসাম্যের এ স্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।

৪. দেশের জনসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ কোটি এবং চাষযোগ্য জমির ক্রমসংকোচন সত্ত্বেও বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করে এখন ধান উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। শাক-সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ। নিত্য-নতুন উন্নত জাতের ফলনশীল শস্যের উদ্ভাদনের ফলে বলতে গেলে বাংলাদেশে একটি কৃষি বিপ্লব চলমান।

৫. ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (করোনা মহামারীর আগে) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। মহামারী সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু জিএনআই প্রাক্কলিত হয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার।

৬. ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অথচ ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল মাত্র ৭৫২ মিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। চীনের পর বাংলাদেশ পোশাক রফতানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিক পণ্য, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষিভিত্তিক খাদ্যপণ্য রফতানি বাজারে ভালোই সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

৭. বাংলাদেশের ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশে কাজ করছেন ও বসবাস করছেন। ২০২০ সালে প্রাতিষ্ঠানিক পথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

৮. ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের সাফল্যে গ্রামের ভূমিহীন নারীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পৌঁছে গেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এক-চতুর্থাংশের বেশি ঋণগ্রহীতা তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সাফল্য অর্জন করেছেন। ক্ষুদ্রঋণের সহায়তায় নারীর স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বাংলাদেশ বিশ্বে সফল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।

৯. বাংলাদেশের নারীদের প্রায় ৩৮ শতাংশ বাড়ির আঙিনার বাইরে অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে ক্রিয়াশীল। দেশের দ্রুত বিকাশমান পোশাক শিল্পে ৩৩ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর এ শ্রমিকদের ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী।

১০. বাংলাদেশে এখন ১৬ কোটি মোবাইল টেলিফোন রয়েছে, ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারের আমলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেশের কিছু কিছু উন্নতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থনীতিকে প্রশংসনীয়ভাবে গতিশীল করার প্রধান কৃতিত্ব বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকই দিতে হবে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও একই সরকার দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়ে উন্নয়নের গতি আরো বেগবান হয়েছে। তবে উন্নয়নের পাশাপাশি এখন সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ধনী-দরিদ্র ব্যবধান কমানো, আয়বৈষম্য নিরসন, কঠোরভাবে দুর্নীতি দমন, গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর, দমন-পীড়ন নীতি বন্ধ করা, বিচারহীনতা দূর করা, কৃষিতে গণমুখী নীতি প্রণয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য হ্রাস, দরিদ্র জনগণকে সুলভে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, সুলভে উৎপাদনশীল জনগণের কাছে ব্যাংকঋণ পৌঁছানো, ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা, সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, অগ্রাধিকার সহকারে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করা।

তথ্যসূত্র:
বণিকবার্তা
বাংলাদেশ প্রতিদিন
Four-asian-tigers
উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ভাল তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোষ্ট । তথ্যগুলি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ।
বিশ্ব ব্যাংকও তাদের সাম্প্রতিক এক পর্যালোচনায় বলেছে -
Bangladesh has an impressive track record of growth and poverty reduction.
It has been among the fastest growing economies in the world over the past
decade, supported by a demographic dividend, strong ready-made garment
(RMG) exports, and stable macroeconomic conditions. Continued recovery
in exports and consumption will help growth rates pick up to 6.4 percent in
fiscal year 2021-22.

Bangladesh tells the world a remarkable story of poverty reduction and development.
From being one of the poorest nations at birth in 1971 with per capita GDP tenth
lowest in the world, Bangladesh reached lower-middle-income status in 2015.
It is on track to graduate from the UN’s Least Developed Countries (LDC) list
in 2026. Poverty declined from 43.5 percent in 1991 to 14.3 percent in 2016,
based on the international poverty line of $1.90 a day (using 2011 Purchasing
Power Parity exchange rate). Moreover, human development outcomes improved
along many dimensions.
সুত্র : Click This Link

সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় সকলক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি আরো তরান্বিত হোক
এ কামনাই থাকল । তবে দুর্নীতির মুলৎপাটন, সুশাসন ও বাকস্বাধিনতার বিষয়াবলিসহ
অপরাপর সকল চ্যলেঞ্জিং বিষয়সমুহকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করে সকলের নিকট
গ্রহনযোগ্য ও কাঙ্খিতমাত্রায় নিয়ে আসাও প্রয়োজন । কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রন ও মোকাবেলা
সহ আয়ের সুসম বন্টন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । আয় বন্টনে বৈসম্যসহ সমাজে
বিদ্যমান সকল প্রকারের বৈসম্য রোধ করা না গেলে তা যে কোন সময় বড় বিপর্যয়
ডেকে আনতে পারে । নীতি নির্ধারকদের এ বিয়য়ে যথোপযুক্ত কর্মপন্থা গ্রহণ ও
বাস্তবায়ন প্রয়োজন ।



২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২০

এমজেডএফ বলেছেন: বিশ্ব ব্যাংকের তাৎপর্য্যপূর্ণ পর্যালোচনাসহ ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই। সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি ও অনিয়মের বাঁধা থাকা সত্বেও দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। দুর্নীতির সমালোচনার পাশাপাশি উন্নয়নও যে হচ্ছে সেটা অনেকেই স্বীকার করতে চাই না।

"তবে দুর্নীতির মুলৎপাটন, সুশাসন ও বাকস্বাধিনতার বিষয়াবলিসহ অপরাপর সকল চ্যলেঞ্জিং বিষয়সমুহকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করে সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য ও কাঙ্খিতমাত্রায় নিয়ে আসাও প্রয়োজন।" - সহমত।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আর যাই হোক বিনিয়োগ বান্ধব অন্তত বইলেন না!
যারা বিনিয়োগ করেছে বা করতে চাচ্ছে তাদের দু-একজনকে একটু জিজ্ঞেস করে দেখবেন? আর দেশীয় উদ্যোক্তাদের কত রকম
বাঁধার ( আগেও ছিল- এরকম হয়ে আসছে, অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি) সম্মুখীন হতে হচ্ছে এগুলো একটু জানার চেষ্টা করুন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

এমজেডএফ বলেছেন: পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সরকার বিনিয়োগ-বান্ধব উদ্যোগ নিলেও তা প্রশাসনিক জঠিলতা ও দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা পাচ্ছে না। দুর্নীতি আমাদের রক্ত-মাংস, ধর্ম ও-সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর থেকে শতভাগ মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

দুর্নীতি কমানোর জন্য আইন প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরেও দেখা যায় দুর্নীতি খুব একটা কমে না। কারণ সরিষার মধ্যেই ভুত! তবে আশার কথা হচ্ছে ইদানিং বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক প্রশাসনিক কাজ ডিজিটেলাইজ করা হয়েছে। এতে উদ্যোক্তরা লালফিতা ও ফাইল চালাচালির ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে। দেশে সৎ লোকের কত অভাব সেটা নিজের অবস্থানের চারিদিকে তাকালে বুঝা যায়। আমি নিজের ব্যবসার জন্য অনেকদিন ধরে দুটো সৎ লোক খুঁজে বের করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত মোটামুটি সৎ ও বিশ্বস্থ হবে এ ধরনের লোক দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। এরা চুরি করলেও আমাকে কিছু লাভ দিয়ে তারপরে করে।

শুনতে অপ্রিয় হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, চুরি-দুর্নীতির জন্য বাজেট রেখেই আপনাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব করতে হবে। অন্যথায় আপনি শতভাগ সফল হতে পারবেন না। দেশে দুর্নীতি আগেও ছিল এখনোও আছে। পার্থক্য হচ্ছে, আগে শুধু দুর্নীতি ছিল উন্নয়ন ছিল না। এখন দুর্নীতিও আছে পাশাপাশি উন্নয়নও আছে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে বেকারের সংখ্যা কত জানেন?
কত লোক রাস্তায় ঘুমায় জানেন?
কত লোক চিকিৎসা পাচ্ছে না জানেন?
কত কিশোর জুতার আঠার ঘ্রান নিচ্ছে জানেন?
কত লাখ কিশোর লেখাপড়া না করে হোটেলে মেসিয়ারের কাজ করছে জানেন?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

এমজেডএফ বলেছেন: জানি। দেশে দক্ষ লোকের অভাবে কতজন লোক ব্যবসা করতে পারছে না জানেন! বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামে এখন কাজের মানুষের অভাবে অনেকে চাষাবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। হোটেলে মেসিয়ারের কাজ এখন খারাপ পেশা না। আপনি মান্ধাতার আমলের কিছু গৎবাঁধা চিন্তা আর বুলি নিয়ে বসে আছেন।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি:
বাংলাদেশে প্রতিটি গ্রামের মতো আমাদের গ্রামেও র‌্যামিটেন্স ও মানুষের আয় বৃদ্ধির কারণে পাকা বাড়ি করার হিরিক পড়েছে। এখন ঘর করার জন্য রাজমিস্ত্রি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি গ্রামে যে দুই-একজন অদক্ষ রাজমিস্ত্রি আছে (মিস্ত্রির সাথে কয়েক মাস হেলপারের কাজ করে মিস্ত্রি হয়েছে!) তাদেরকে নিয়ে টানাটানি। এদের দৈনিক বেতন ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। অর্থাৎ মাসিক আয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এরা গ্রামে নিজের বাড়িতে থাকে-খায় অতিরিক্ত কোনো খরচ নাই। পাশাপাশি এসএসসি-এইসএসসি পাশ করে অনেক বেকার তরুণ বাজারের দোকানে বসে মাসের পর মাস আড্ডা দিচ্ছে আর মোবাইল ফোন টিপে ফেইস বুক দেখে। পরে মা-বাবা বিরক্ত হয়ে ৩ থেকে ৪ লাখ খরচ করে মাসিক ২০ থেকে ৩০ হাজর টাকা বেতনের চাকরির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠায়।

দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ, এমবিএ পাশ করে অনেক তরুণ এখন ভালো ভালো হোটেলে মেসিয়ারের কাজ করে। সুতরাং এটাকে যারা এখনও নিম্নমানের কাজ মনে করে তাদের চিন্তা-ভাবনা আধুনিক করা উচিত।

"কত লোক রাস্তায় ঘুমায় জানেন? কত কিশোর জুতার আঠার ঘ্রান নিচ্ছে জানেন? "
এর উত্তর বিস্তারিত বলতে গেলে একটি পুরো পোস্ট লিখতে হবে। শুধু এটুকুই বলি - সমস্যাগুলো (হোমলেস, ড্রাগ) বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রভাবশালী দেশ আমেরিকায়ও প্রবল। যে দেশ পরদেশের যুদ্ধ, সাহায্য ইত্যাদি খাতে বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে পারে সেদেশ নিজ দেশের অপমানজনক এ সমস্যাগুলো সমাধান করে না কেন? কারণ এ সমস্যার সাথে দেশের উন্নয়নের কোনো সম্পর্ক নেই। সমস্যার উৎস অন্যখানে যা শতভাগ সমাধান করা সম্ভব নয়।

"কত লোক চিকিৎসা পাচ্ছে না জানেন?"
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আগে যেখানে কবিরাজ ডাক্তারও ছিল না, সেখানে এখন এমবিবিএস ডাত্তার বসে। টাকার অভাব থাকলে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে।

"এ দেশে কিছু হবে না, এ দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে সবাই চোর।" - গৎবাঁধা এই সংলাপ আর সরকারের একচেঠিয়া সমালোচনা করে নিজেকে সুশীল ও দেশপ্রেমিক দেখানোর হাস্যকর এসব তামাশার দিন শেষ। দেশের জন্য কতটুকু দরদ আছে তা সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দেখাতে পারলে সরকার যে দলেরই হোক না কেন দেশের উন্নয়ন হবেই হবে।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দক্ষিণ এশিয়ার ইমাজিং টাইগার হিসেবে বাংলাদেশের উত্থান ও ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের সম্ভাবনা কারণ অনুসন্ধান সম্পর্কিত কারণগুলি যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক।জরিপটা যদি বিগত এক দশকের হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী দশকে অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি এ বিষয়ে যুগান্তকারী ভূমিকা নেবে বলে সংশয় থাকতে পারে না। প্রসঙ্গক্রমে ড:আলী ভাইয়ের," নীতি নির্ধারকদের এ বিয়য়ে যথোপযুক্ত কর্মপন্থা গ্রহণ ও
বাস্তবায়ন প্রয়োজন ।" কথাটির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।
সুন্দর তথ্যভিত্তিক জাতি তথা দেশবাসীর পক্ষে উৎসাহব্যঞ্জক পোস্টটিতে ভালোলাগা রইলো।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৯

এমজেডএফ বলেছেন: শত ব্যস্ততার মাঝেও পোস্ট পড়ে নিজের মূল্যবান মতামতটুকু দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পদাতিক ভাই। জাতি হিসাবে আমরা বেশিমাত্রায় নেগেটিভ। তাছাড়া দেশের উন্নয়নের ব্যাপারগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার সময়ও অনেকে দলীয় লেজুড়বৃত্তি থেকে বের হতে পারে না।

উদাহরণ: বাংলাদেশের চেতনাবাদীরা পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে, র‌্যামিটেন্সের পাহাড় জমেছে ইত্যাদি উন্নয়নের বিষয় নিয়ে লাফালাফি করছে। অন্যদিকে চেতনাবিরোধীরা ফেরির ধাক্কায় পদ্মাসেতু ভেঙ্গে গেছে, রূপপুর পারমাণবিক প্রজেক্টের দুর্নীতিবাজরা বালিশ-কম্বলের অবিশ্বাস্য আকাশচুম্বী দাম দেখিয়ে কোটি টাকা মেরে দিয়েছে, দেশ উগা্ন্ডা-বুগান্ডা হয়ে যাবে, কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়েছে ইত্যাদি নেতিবাচক ঘটনাগুলো নিেয়ই আছে।
প্রতিটি কাজের পজিটিভ-নেগেটিভ উভয় সাইডগুলো নিয়ে যে গঠনমূলক সমালোচনা সেটা কেউ করে না। সে কারণে এই পোস্টটি লিখেছিলাম।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

এমজেডএফ ভাই, আপনার লেখা পোস্ট ও প্রতিটি মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে সমর্থন করছি। আপনাকে একটি বিষয় জানাতে চাই - আত্মহত্যা হচ্ছে নিজেকে নিজে হত্যা করা আর আত্মবেকার হচ্ছে যিনি নিজেকে নিজে বেকার অকর্ম করে রাখেন। আত্মবেকার শব্দটি আমি নিজে তৈরি করেছি। কারণ আমার লোকজন নিয়ে কাজ করতে হয় কাজ করাতে হয়। আমি জানি দেশে আত্মবেকার কি পরিমান আছে এবং কেনো ?

কর্মসংস্থান করা ও নিজেকে নিজে কর্মী হিসেবে তৈরি করে নিতে পারা খুব কঠিন কাজ নয় কঠিন কাজ হচ্ছে কর্মহীন হয়ে থাকা। আমাদের দেশের কর্মহীন মানুষ যারা আছেন তারা কঠিন কাজটি বেছে নিয়েছেন তাই তারা কর্মহীন। কৃষি ও মৎস চাষ সহ গবাদিপশু পালন ও ব্যবসাতে বাংলাদেশে এখনও এক কোটি মানুষ কাজ করার ব্যবস্থা আছে - আমার মনে হয় না দেশে এক কোটি বেকার বা কর্মহীন মানুষ আছে।

পরিশেষে বলতে চাই বাংলাদেশের অগ্রগতি হবে তখন যখন দেশের ১৭ কোটি মানুষের অগ্রগতি হবে। আর এই অগ্রগতির জন চাই ১৭ কোটি মানুষেন সদিচ্ছা। একে অন্যের দোষারূপ করে লাভ নেই। নিজেকে নিজে কর্মী হিসেবে তৈরি করে নিতে হবে।

চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আমিও সময় করে বিস্তারিত লিখবো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৩

এমজেডএফ বলেছেন:
বাংলাদেশের বেকারত্বের বাস্তব অবস্থাটুকু তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই। দেশে আমার কিছু জমি-জমা আছে কৃষি-শ্রমিকের অভাবে সেগুলো নিয়মিত চাষাবাদ করা হয় না।

গ্রামের বাড়িতে গেলে ঘর-বাড়ি মেরামতের জন্য মিস্ত্রি, ইলেট্রিসীয়ান, কার্পেন্টার অনেক রকমের লোকের প্রয়োজন হয়। ডাকতে গেলে বলে, আজকে সময় নাই কালকে আসবো। কালকে গেলে আবার সেই একই কথা। এভাবে এক সময় এসব কাজ অসমাপ্ত রেখে দেশ থেকে ফিরে আসার সময় এসে যায়। এরপরে যখন শুনি মানুষ বেকার, মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির জন্য ২-৩ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরছে। তখন মেজাজটা খুবই খারাপ হয়।

শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকবেন।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা ঠিক। তবে আমি ক্রেডিট দিব দেশের সাধারণ মানুষকে। এখানে সরকারের যে পরিমান ভুমিকা থাকার কথা ছিল সেরকম নেই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭

এমজেডএফ বলেছেন: অবশ্যই দেশের মানুষকে ক্রেডিট দিতেই হবে, সেইসাথে অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সরকারকেও ক্রেডিট দিতেই হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যার বেশিরভাগ লোক এবং দেশের বেশিরভাগ সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন পরিকাঠামো বা অবকাঠামো গড়ে তোলা। এটা হলো একটি দেশ, শহর, বা অন্য এলাকার অর্থনীতিকে কার্যকর রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও সুবিধা প্রদানকারী ব্যবস্থা। যেমন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, সেতু, সড়ক, কালভার্ট, টানেল নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা ইত্যাদি। পরিকাঠামো বা অবকাঠামো গড়ে তোলা সরকারের কাজ। এটা হলে জনগণ এই অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে নিজেরা এগিয়ে যাবে, দেশকেও এগিয়ে নেবে।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে !!!!!!!!!!!!!!!
১১ কোটি মানুষ !!
তব্দা খাইছি ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৪

এমজেডএফ বলেছেন:
বিটিআরসির সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজারে। ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার।

এক মাসের ব্যবধানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার। মোট ব্যবহারকারীর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার। নিদ্রা থেকে তব্দা ছেড়ে এবার জেগে উঠেন।

সূত্র: দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে ১১ কোটি ৬১ লাখ - কালের কন্ঠ, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৬

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আমি জেগে ছিলাম , জেগে জেগেই তব্দা খাইছি । তবে এই পরিসংখান যারা করেন আর যারা মেনেও নেয় তারা ঘুমিয়ে আছে তারাই নখ বিহীন দন্ত বিহীন টাইগার ।

বুঝে শুনে হিসাব করেন । দেশটাকে আর তলিয়ে যেতে দিয়েন না ।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


নিজ দেশকে উগান্ডা ভুগান্ডা বলা থেকে সরে আসা উচিত।

গণতন্ত্রের গ্রান্ড-ম্যাডামদের সেই আমলে আমলে ছিল একটানা ৫ বার দুর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ন,
২০০৯ এ নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার সংগে সঙ্গে দুর্নিতি কমতে কমতে ১২-১৬-১৩ ভেতর উঠানামা।
সে আমলের রেখে দেয়া রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন।, বর্তমানে এত অপচয় হ্যাকিং চুরি পাচারের পরও ৪৬ বিলিয়ন ডলার

পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আক্ষেপ দেখা যায়, পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতির জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ। আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, যা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শতগুণ। দেশটির শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ার পথে।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল। বর্তমানে তা কমে এখন ২০ শতাংশে নেমেছে। দিন দিন কমছে।


বাংলাদেশে একটা ধারণা প্রচলিত যে উন্নত স্বাস্থ ব্যবস্থা বলতে যে দেশে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মত ঝকঝকে ফাইভ স্টার হাসপাতাল বোঝাই শহর। কিন্তু ডাব্লুএইচও স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে সার্বিক জনস্বাস্থ ব্যাবস্থাকে সাপোর্ট দেয়া ও সবাইকে চিকিৎসা ও ঔসধ পৌছে মৃত্যুহার কমানো, কমমুল্যে বা বিনা মুল্যে টিকাদানের আওতায় এনে শিশুমৃত্যু মাত্মৃ মৃত্যু্র হার কমানো।
সে হিসেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ ব্যাবস্থা অবস্যই উন্নত হয়েছে। গ্রাম্য বাজারের ফার্মেসিতেও এম্বিবিএস ডাক্তারের চেম্বার দেখা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়াতে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টায় ঢাকায় পৌছানো যায়।

৩য় বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশ। যারা ঔসধ উৎপাদনে সয়ংসম্পুর্ন।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে শত বিতর্ক থাকলেও ওষুধশিল্পের সুনাম বিশ্বজুড়ে। গুণগত মান ও কার্যকারিতার কারণে বাংলাদেশের ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববাজারে। দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মিটিয়ে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে ১৬০টি দেশে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের ৪৮ দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ। দেশের ২৫৭টি কোম্পানির কারখানায় বছরে ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল উৎপাদিত হচ্ছে এসব কারখানায়। এ শিল্পে প্রায় ২ লাখ শিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।
ওষুধশিল্প সমিতির তথ্যানুযায়ী, গত দুই বছরে ১ হাজার ২০০ ধরনের ওষুধ রপ্তানির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসেবে ৪৬ কোম্পানির ৩০০ ধরনের বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ আমেরিকা আরব সহ বিশ্বের ১৪৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাদেশের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরের কাছাকাছি। যা গ্লোবাল গড় আয়ু থেকেও বেশী।
কট্টর হাসিনা বিরোধী ডক্টর দেবপ্রীয় ভট্ট পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছে দেশের স্বাস্থ ব্যাবস্থা যে উল্লেখযোগ্য উন্নত হয়েছে মাতৃ মৃত্যু শিশুমৃত্যু কমে গড় আয়ু বৃদ্ধি হওয়া এটাই প্রমান।


বাংলাদেশ কি ঋন করে বড়লোক হইছে?
অনেকে বলছে সরকার বিপুল অংকের ঋন নিয়ে অবকাঠামো তৈরিতে অপচয় করছে ।
বাংলাদেশ মোটেও শ্রীলংকা, ইথিওপিয়া ও পাকিস্তানের মত বেপরোয়ারা ভাবে ঋন নিচ্ছে না
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ মাত্র ২৪,৮৯০ টাকা।
জিডিপির তুলনায় বিদেশি ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৫%। বিশাল বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প সমাপ্ত করে অপচয় করেও গতিতে এগিয়ে যাওয়া একটি উদীয়মান দেশের ১৫% বৈদেশিক ঋন খুবই কম। দির্ঘমেয়াদি ভাবে নিশ্চিন্ত ভাবে সন্তষজনক।
আর অন্যান্ন দেশ দেখুন জিডিপির তুলনায় পাকিস্তানের ঋণ ৪৬% শৃলংকার বর্তমানে 101% Previous yr 86.80%

অনেকে ব্যাংগ করে বলে জিডিপি খায় না মাথায় দেয়?
কবাংলাদেশের বেশিরভাগ দেসজ উৎপাদন (জিডিপি) অন্যান্ন দেশের মত শিল্পপতিরা বাড়াচ্ছে না, বানাচ্ছে দরিদ্র কৃষক জেলে মাছের ফার্ম মুর্গির ফার্ম ইত্যাদি ক্ষুদ্র এন্টারপেনররা। দেশে চাকুরি নাই তাই পেটের দায়ে উৎপাদন (জিডিপি) করছে।
এইসব জিডিপিতে সরকারের ভুমিকা কম, বরং সরকারি পেয়াদারা কর্তারা উৎকোচ চেয়ে উৎপাদনে বাধা দিচ্ছে। সরকারি দলের পান্ডারা চাঁদাবাজিকরে উৎপাদের অংশ ছিনিয়ে নিচ্ছে। এরপরও মরিয়া কৃষক শ্রমিক না খেয়ে থেকে হলেও পেটের দায়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

সরকার যে ভাল কাজটা করেছে সেটা হল বিদ্যুৎ।
সরকার বিপুল অর্থ অপচয় করে হলেও অনেক বাধা অতিক্রম করে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যাবস্থাটা অন্তত করেছে।
সাইফুর রহমানরা বলতো সবার জন্য বিদ্যুৎ লাগবে কেন? সবার জন্য ফোন দেয়া তো আরেক পাগলামী।
কিন্তু হাসিনা ১৩ বছর আগেই জোর গলায় বলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবার জন্য বিদ্যুৎ সবার জন্য ফোন লাগবে।
ছিল ৩ হাজার মেগাওয়াট, হাসিনা এসে বললেন আমাদের দরকার ৫, ৬ হাজারে হবে না, দরকার ৩০ হাজার মেগাওয়াট! পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকলে জনগনই দেশের উৎপাদন বাড়াবে।
দেশের রথি মহারথিরা মিডিয়াগুলো তখন হাসি তামাসায় মেতে উঠেছিল। কিন্তু সবার মুখে ছাই দিয়ে বর্তমানে বিদ্যুৎ সক্ষমতা এখন ৩০ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি, (২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট) ​

রাস্তা ঘাট সেতু করেছে। প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের শেষমাথা পর্যন্ত পাকা রাস্তা হয়েছে। দেশের শতভাগ বাড়ীতে বিদ্যু পৌছেছে, ফোন ও ইন্টারনেট পৌছেতে শুরু করেছে ফলে দরিদ্র কৃষক শ্রমিক উৎপাদন বাড়িয়ে সরকারি অপচয়ের ৫০ গুন বেশি অর্থ রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দিয়েছে। দিচ্ছে .. পরক্ষভাবে।

দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে দারিদ্র কমছে এটা বাস্তব।
মফস্বলের পাড়ায় সাধারন খেটে খাওয়ার মধ্যবিত্ত বাসায় এসি লাগানো। একটা ছুটি পেলেই লাখ লাখ মানুষ ব্যায়বহুল কক্সবাজার কুয়াকাটায় গাড়ী ভাড়া করে যাচ্ছে, এরা কেউ ধনী উচ্চবিত্ত না উচ্চ মধ্যবিত্তও না, উচ্চবিত্তরা ভুটান যায় ভারত নইলে থাইল্যন্ড যায়।
এরা সাধারন নিম্ন মধ্যবিত্ত। এরা কক্সবাজারে ৪০০ টাকায় নাস্তা করতে গায়ে লাগে না। ২ হাজার টাকা খরচ করে মাওয়া ঘাটে যায় ইলিশ ভাজা খেতে।
দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ সংযোগ এত সস্তা না, খরচ আছে। দরিদ্র কৃষক সচ্ছল হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে। উচ্চমুল্যে ঘুষদিয়ে হলেও নিচ্ছে। সক্ষমতা হয়েছে তাই নিতে পারছে।
দেশের প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রমান করে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে দারিদ্র কমছে, কমছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৫৩

এমজেডএফ বলেছেন: উন্নয়নের আরো কিছু তথ্যসহ বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। উন্নয়নের পাশাপাশি যেসব নেতিবাচক বিষয়গুলো উঠে এসেছে শেখ হাসিনার উচিত সেগুলোর বিরুদ্ধে জোড়ালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কারণ এক শ্রেণীর দলকানা বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া নেতিবাচক বিষয়গুলো দিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের সব অর্জনকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নেতারা বলে কানাডা আপনি বলেন এশিয়ার উদয়মান টাইগার। বলতে আর পড়তে ভালোই লাগে বাস্তবতা ভিন্ন। এই চড়া দামের যুগে গ্রামের গরিব কেমনে চলে দেখে এসে লিখবেন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:০২

এমজেডএফ বলেছেন: "এশিয়ার উদয়মান টাইগার" আমি বলি নাই, বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো বলেছে। করোনা মহামারির দাপটে ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের সব দেশেই কমবেশি মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। যাদের আয় সীমিত তাদের জন্য এটি বিরাট সমস্যা। উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারকে চড়া দামের চাপে পিষ্ট এসব মানুষের দিকেও নজর দিতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকেও বাঘ বলা হয়!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: এই বাঘও মাঝে মাঝে গর্জন দেয়। আশা করি এ গর্জন ভবিষ্যতে নিয়মিত হবে।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২০

রোবোট বলেছেন: অনেক সমস্যা আছে। তারপরও ইকনমি অনেক বেড়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর মৌলবাদ দমাতে পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত খুবই উজ্জল।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৪

এমজেডএফ বলেছেন: দুর্নীতি আমাদের রক্ত-মাংশের সাথে মিশে গেছে। শতভাগ দমানো প্রায় অসম্ভব, তবে অবশ্যই কমাতে হবে। মৌলবাদ ও সন্ত্রাস এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে। এব্যাপারে আরো কঠোর হতে হবে। আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত, ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.